বাংলা ভাষা চর্চা প্রশ্ন-উত্তর সমাধান ষষ্ঠ শ্রেণি বোধ পরীক্ষণ : বোধ পরীক্ষণ বলতে বোঝায় একটি বিষয় সম্পর্কে কে কতখানি বোধগম্য করতে পারল তার...
বাংলা ভাষা চর্চা প্রশ্ন-উত্তর সমাধান ষষ্ঠ শ্রেণি
বোধ পরীক্ষণ : বোধ পরীক্ষণ বলতে বোঝায় একটি বিষয় সম্পর্কে কে কতখানি বোধগম্য করতে পারল তারই মূল্যায়ন। কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প প্রভৃতি বিষয়কে কেন্দ্র করে বোধ পরীক্ষণ রচিত হয়। বোধ পরীক্ষণে প্রথমার্ধে ভালো ভাবে বারবার পড়তে হয়। তারপর ব্যাকরণগত ও ভাবগত বিভিন্ন দক্ষতাভিত্তিক অনেক বিষয়ে উত্তর দিতে হয়।বোধ পরীক্ষণ–এক
🖉 হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১.১ দলসুদ্ধ যে যেখানে ছিল কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে গেল—কারণ—
(ক) বনে আগুন লেগেছিল।
১.১ উপরের অনুচ্ছেদটির মূল বিষয় হল--
(ক) ভ্রমণ
৮. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
৮.১ ‘সুকুমারের রক্ত উত্তাল হয়ে উঠল।'—সুকুমারের রক্ত উত্তাল হয়ে উঠেছিল কেন?
➙ প্রৌঢ় শেরপা পেম্বা নরবু যদি বানালির ইজ্জত বাঁচানোর জন্য জীবন দিয়ে দেবার সাহস দেখাতে পারে তবে সুকুমার নিজে একজন বাঙালি তরুণ হয়ে তাদের পাহাড়ি অভিযান সফল করতে পারবে না কেন—এই চিন্তা করে সুকুমারের রক্ত উত্তাল হয়ে উঠল।
৮.২ ‘অতি দুঃখে হেসে ফেলল।'—কে হেসে ফেলল? এমন ঘটার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়েছে?
➙ দিলীপ অতি দুঃখে হেসে ফেলেছিল। কারণ, দিলীপ যখন দেখল যে বেলা আড়াইটের সময় তেষ্টায় তার বুকটা ফেটে যাচ্ছে অথচ তাদের সঙ্গে রাখা বোতলের জল সব জমে বরফ হয়ে গিয়েছে তখনই বাস্তব অবস্থা বুঝে তার হাসি পেয়েছিল।
৮.৩ ‘খাড়া চড়াই। একটু একটু করে উঠছি।'- '—এমন একটি কাল্পনিক পর্বত অভিযানের অভিযাত্রী হিসেবে চার-পাঁচটি বাক্য লেখো।
➙ শেরপা যারা সর্বদা পর্বত চড়াই-উৎরাই পথে তারা পর্বতশৃঙ্গ অভিযানের সময় পিঠে অক্সিজেন ও যৎসামান্য খাবার নিয়ে বিপজ্জনক উঁচু স্থানে পাড়ি দিতে হয়। পথে শ্রান্ত-ক্লান্ত হয়ে পড়লে অল্পক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার এগিয়ে যেতে হয়। যারা পর্বতশৃঙ্গ জয়ের নেশায় মেতে ওঠে তারা অসম সাহসের অধিকারী ও ভরপুর আত্মবিশ্বাসী।
১.১. ইনকা সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ দেখতে দুর্গম পাহাড়ি পথে যে নদীর গিরিখাত পেরোতে হয়, তার নাম—
(ক) উরুবাম্বা
১. নিম্নলিখিত বিকল্পগুলির মধ্যে কোনটি ঠিক চিহ্নিত করো :
১.১ অজয় নদীর যে রূপটি কবিদের গান ও কবিতায় ফুটে উঠেছে, তা হলো—
(ক) সৌন্দর্য
১.১ অজয় নদীর যে রূপটি কবিদের গান ও কবিতায় ফুটে উঠেছে, তা হলো—
(ক) সৌন্দর্য
(খ) ধ্বংসলীলা
(গ) বালিয়াড়ি
(ঘ) নৌ-যাত্রা
১.২ অজয় নদীর তীরে এখনও পাওয়া যায়, বহু যুগের পুরোনো—
(ক) বাসন
১.২ অজয় নদীর তীরে এখনও পাওয়া যায়, বহু যুগের পুরোনো—
(ক) বাসন
(খ) বালি
(গ) ধাতু
(ঘ) সভ্যতা
১.৩ অজয় নদী বয়ে গেছে—
(ক) হুগলি জেলা দিয়ে
১.৩ অজয় নদী বয়ে গেছে—
(ক) হুগলি জেলা দিয়ে
(খ) বাঁকুড়া জেলা দিয়ে
(গ) বীরভূম জেলা দিয়ে
(ঘ) উত্তর ২৪ পরগনা দিয়ে
২. নিম্নলিখিত শব্দগুলির যথার্থ প্রতিশব্দ অনুচ্ছেদ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :
২.১ স্রোতস্বিনী ➙ নদী।
২.২ অভিনব ➙ অপূর্ব।
২.১ স্রোতস্বিনী ➙ নদী।
২.২ অভিনব ➙ অপূর্ব।
২.৩ প্রতিমা ➙ মূর্তি।
২.৪ সৃষ্টি ➙ উৎপত্তি।
২.৫ প্রাচীন ➙ বহুকাল আগে।
২.৪ সৃষ্টি ➙ উৎপত্তি।
২.৫ প্রাচীন ➙ বহুকাল আগে।
৩. .......বহুকাল আগে কোনো ভুলে-যাওয়া দুর্ঘটনায় যারা অজয় নদীর জলে প্রাণ দিয়েছিল'—এই বাক্যটি থেকে সন্ধিবদ্ধ পদ খুঁজে বের করে, তার সন্ধি বিচ্ছেদ করো।
➙ দুর্ঘটনা = দুঃ + ঘটনা।
৪. অজয় নামের মানেই হলো যাকে পোষ মানানো যায় না।—এই বাক্যটিকে হ্যাঁ-বাচক বাক্যে লেখো।
➙ অজয় নামের মানে হল যাকে পোষ মানানো যায়।
৫. কত যুগ ধরে কবিরা অজয় নদীর সর্বনাশা রূপ সম্বন্ধে কবিতা আর গান লিখেছেন। (দুটি বাক্যে ভেঙে লেখো।)
➙ কত যুগ ধরে কবিরা অজয় নদীর সর্বনাশা রূপ সম্বন্ধে কবিতা লিখেছেন। এই নদীর সর্বনাশা রূপ নিয়ে কবিরা গানও লিখেছেন।
৬. কাঠের নৌকোর টুকরো এখন পাথরের মতো হয়ে গেছে।—এই বাক্যটিকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তরিত করে লেখো।
➙ কাঠের নৌকো টুকরো হয়ে গেছে এবং নৌকোর টুকরোগুলো পাথরের মতো হয়ে গেছে।
➙ দুর্ঘটনা = দুঃ + ঘটনা।
৪. অজয় নামের মানেই হলো যাকে পোষ মানানো যায় না।—এই বাক্যটিকে হ্যাঁ-বাচক বাক্যে লেখো।
➙ অজয় নামের মানে হল যাকে পোষ মানানো যায়।
৫. কত যুগ ধরে কবিরা অজয় নদীর সর্বনাশা রূপ সম্বন্ধে কবিতা আর গান লিখেছেন। (দুটি বাক্যে ভেঙে লেখো।)
➙ কত যুগ ধরে কবিরা অজয় নদীর সর্বনাশা রূপ সম্বন্ধে কবিতা লিখেছেন। এই নদীর সর্বনাশা রূপ নিয়ে কবিরা গানও লিখেছেন।
৬. কাঠের নৌকোর টুকরো এখন পাথরের মতো হয়ে গেছে।—এই বাক্যটিকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তরিত করে লেখো।
➙ কাঠের নৌকো টুকরো হয়ে গেছে এবং নৌকোর টুকরোগুলো পাথরের মতো হয়ে গেছে।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
৭.১ অজয় নদীর উৎপত্তি কোথায়?
➙ অজয় নদীর উৎপত্তি ছোটোনাগপুরের মালভূমিতে।
৭.২ অজয় নদীকে নিয়ে গান ও কবিতা রচিত হয়েছে কেন?
➙ কত যুগ ধরে অজয় নদীর সর্বনাশা রূপ ও দুর্ঘটনা দেখে কবিরা এই নদীকে নিয়ে কবিতা ও গান রচনা করেছেন।
৭.৩ পশ্চিম বাংলায় অজয়ের মতোই সর্বনাশা বলে পরিচিত আর একটি নদীর নাম কী? এদের যে-কোনো একটি সম্পর্কে দু-তিনটি বাক্যে লেখো।
➙ দামোদর নদ পশ্চিম বাংলার এক বিখ্যাত নদী। বহু প্রাচীন এই নদীতে পলিমাটি জমে যাওয়ায় এর জলধারণ ক্ষমতা ক্ষীণ হয়ে গেছে। ফলে প্রায় প্রতি বছরই অতিরিক্ত বর্ষণে ওই নদীর তীরবর্তী অঞ্চল বন্যার জলে ভেসে যায়।
৭.৪ ‘অজয় নদীর জলে প্রাণ দিয়েছিল'—কারা প্রাণ দিয়েছিল? এর কারণ কী?
➙ আজ পর্যন্ত মাঝে মাঝেই অজয় নদীর ধারের বালি খুঁড়ে যেসব পুরোনো নৌকার অপূর্ব খোদাই করা ভাঙা টুকরো খুঁজে পাওয়া গেছে তা দেখে স্পষ্ট অনুমান করা যায় যে, সর্বনাশা অজয়ের স্রোতে তখনকার দিনে যাত্রীবাহী অনেক মূল্যবান নৌকা ডুবে বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। এই দুর্ঘটনার তিনটি কারণ হতে পারে। প্রথমত, কোনো নৌকায় হয়তো অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে মাঝ নদীতে বেসামাল হয়ে ডুবে গেছে। দ্বিতীয়ত, বর্ষাকালে অতিবর্ষণে নদীর ভয়ংকর স্রোতের মুখে পড়ে নৌকা ডুবে গেছে। তৃতীয়ত, বর্ষাকালে কোনো পালতোলা নৌকা প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়ে যাত্রীসমেত উলটে গেছে।
৭.৫ যে-কোনো নদী সম্পর্কে তোমার যা মনে হয় কয়েকটি বাক্যে লেখো।
➙ পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নদী হল গঙ্গা। হিন্দুদের কাছে গঙ্গা অতি পবিত্র নদী। গঙ্গার উৎপত্তিস্থল ভারতের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত উত্তরাখণ্ড রাজ্যের হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে। গঙ্গার দৈর্ঘ্য ২৫০০ কিলোমিটার। নদীটি উত্তরাখণ্ড থেকে প্রবাহিত হয়ে উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। গঙ্গার দুই পাশে অনেক উপনদী রয়েছে।
৭.১ অজয় নদীর উৎপত্তি কোথায়?
➙ অজয় নদীর উৎপত্তি ছোটোনাগপুরের মালভূমিতে।
৭.২ অজয় নদীকে নিয়ে গান ও কবিতা রচিত হয়েছে কেন?
➙ কত যুগ ধরে অজয় নদীর সর্বনাশা রূপ ও দুর্ঘটনা দেখে কবিরা এই নদীকে নিয়ে কবিতা ও গান রচনা করেছেন।
৭.৩ পশ্চিম বাংলায় অজয়ের মতোই সর্বনাশা বলে পরিচিত আর একটি নদীর নাম কী? এদের যে-কোনো একটি সম্পর্কে দু-তিনটি বাক্যে লেখো।
➙ দামোদর নদ পশ্চিম বাংলার এক বিখ্যাত নদী। বহু প্রাচীন এই নদীতে পলিমাটি জমে যাওয়ায় এর জলধারণ ক্ষমতা ক্ষীণ হয়ে গেছে। ফলে প্রায় প্রতি বছরই অতিরিক্ত বর্ষণে ওই নদীর তীরবর্তী অঞ্চল বন্যার জলে ভেসে যায়।
৭.৪ ‘অজয় নদীর জলে প্রাণ দিয়েছিল'—কারা প্রাণ দিয়েছিল? এর কারণ কী?
➙ আজ পর্যন্ত মাঝে মাঝেই অজয় নদীর ধারের বালি খুঁড়ে যেসব পুরোনো নৌকার অপূর্ব খোদাই করা ভাঙা টুকরো খুঁজে পাওয়া গেছে তা দেখে স্পষ্ট অনুমান করা যায় যে, সর্বনাশা অজয়ের স্রোতে তখনকার দিনে যাত্রীবাহী অনেক মূল্যবান নৌকা ডুবে বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। এই দুর্ঘটনার তিনটি কারণ হতে পারে। প্রথমত, কোনো নৌকায় হয়তো অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে মাঝ নদীতে বেসামাল হয়ে ডুবে গেছে। দ্বিতীয়ত, বর্ষাকালে অতিবর্ষণে নদীর ভয়ংকর স্রোতের মুখে পড়ে নৌকা ডুবে গেছে। তৃতীয়ত, বর্ষাকালে কোনো পালতোলা নৌকা প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়ে যাত্রীসমেত উলটে গেছে।
৭.৫ যে-কোনো নদী সম্পর্কে তোমার যা মনে হয় কয়েকটি বাক্যে লেখো।
➙ পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নদী হল গঙ্গা। হিন্দুদের কাছে গঙ্গা অতি পবিত্র নদী। গঙ্গার উৎপত্তিস্থল ভারতের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত উত্তরাখণ্ড রাজ্যের হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে। গঙ্গার দৈর্ঘ্য ২৫০০ কিলোমিটার। নদীটি উত্তরাখণ্ড থেকে প্রবাহিত হয়ে উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। গঙ্গার দুই পাশে অনেক উপনদী রয়েছে।
বোধপরীক্ষণ—-দুই
১. নীচের বিকল্পগুলির মধ্যে কোনটি ঠিক চিহ্নিত করো :১.১ দলসুদ্ধ যে যেখানে ছিল কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে গেল—কারণ—
(ক) বনে আগুন লেগেছিল।
(খ) হাতিদের শিকারিরা তাড়া করেছিল।
(গ) একটা হাতি চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছিল।
(ঘ) হাতিরা একটা ফাঁদে পড়েছিল।
১.২ মা-হাতিদের বাইরের দিকে মুখ করে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ার কারণ—
(ক) বিপদগ্রস্ত হাতিটি কীভাবে উদ্ধার পায়, ওরা তা দেখতে চেয়েছিল।
১.২ মা-হাতিদের বাইরের দিকে মুখ করে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ার কারণ—
(ক) বিপদগ্রস্ত হাতিটি কীভাবে উদ্ধার পায়, ওরা তা দেখতে চেয়েছিল।
(খ) বাচ্চাদের আটকে রাখার জন্য এমন করতে হয়েছিল।
(গ) বাইরের দিকে খেয়াল রাখলে পালাতে সুবিধে হবে।
(ঘ) ওপরের কোনোটিই নয়।
২. নদীর ধারে অনেকখানি বালি। তার ওপর দিয়ে অনেকখানি জায়গা জুড়ে হাতির দল নদী পার হবার চেষ্টা করছিল।—এই বাক্য দুটি জুড়ে একটি বাক্যে পরিণত করো।
➙ নদীর ধারে অনেকখানি বালি তাই তার ওপর দিয়ে অনেকখানি জায়গা জুড়ে হাতির দল নদী পার হবার চেষ্টা করছিল।
৩. অন্য হাতিরা কয়েক মুহূর্ত হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।—‘হতভম্ব’—শব্দটি বদলে একই অর্থযুক্ত অন্য একটি শব্দ ব্যবহার করে বাক্যটি পুনরায় লেখো।
➙ অন্য হাতিরা কয়েক মুহূর্ত হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
৪. নদীর ধারে অনেকখানি বালি—'খানি’ কী ধরনের পদ?
➙ ‘খানি’ একটি প্রত্যয়।
৫. তারপরেই পুরুষরা চটপট কাজে লেগে গেল।—এই বাক্যটিকে নঞর্থক বা না বাচক বাক্যে রূপান্তরিত করে লেখো।
➙ তারপরেই পুরুষরা ধীর গতিতে কাজ করল না।
২. নদীর ধারে অনেকখানি বালি। তার ওপর দিয়ে অনেকখানি জায়গা জুড়ে হাতির দল নদী পার হবার চেষ্টা করছিল।—এই বাক্য দুটি জুড়ে একটি বাক্যে পরিণত করো।
➙ নদীর ধারে অনেকখানি বালি তাই তার ওপর দিয়ে অনেকখানি জায়গা জুড়ে হাতির দল নদী পার হবার চেষ্টা করছিল।
৩. অন্য হাতিরা কয়েক মুহূর্ত হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।—‘হতভম্ব’—শব্দটি বদলে একই অর্থযুক্ত অন্য একটি শব্দ ব্যবহার করে বাক্যটি পুনরায় লেখো।
➙ অন্য হাতিরা কয়েক মুহূর্ত হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
৪. নদীর ধারে অনেকখানি বালি—'খানি’ কী ধরনের পদ?
➙ ‘খানি’ একটি প্রত্যয়।
৫. তারপরেই পুরুষরা চটপট কাজে লেগে গেল।—এই বাক্যটিকে নঞর্থক বা না বাচক বাক্যে রূপান্তরিত করে লেখো।
➙ তারপরেই পুরুষরা ধীর গতিতে কাজ করল না।
৬. মা-হাতিরা বাচ্চাদের নিয়ে, নদীর তীরে নিরাপদে উঁচু জমিতে, বাচ্চাদের মধ্যিখানে রেখে, বাইরের দিকে মুখ করে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল।— এই বাক্যটিকে ভেঙে তিনটি পৃথক বাক্যে লেখো।
➙ (i) মা হাতিরা বাচ্চাদের নিয়ে চিহ্নিত। (ii) নদীর তীরে নিরাপদে জমিতে দাঁড়িয়ে রইল। (iii) বাচ্চাদেরকে মাঝখানে রেখে বাইরের দিকে মুখ করে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
৭. অমনি দলসুদ্ধ সকলেই যে যেখানে ছিল, কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে গেল।—এই বাক্যটিকে সরলবাক্যে রূপান্তরিত করো।
➙ অমনি দলসুদ্ধ সকলেই কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে গেল।
৭. অমনি দলসুদ্ধ সকলেই যে যেখানে ছিল, কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে গেল।—এই বাক্যটিকে সরলবাক্যে রূপান্তরিত করো।
➙ অমনি দলসুদ্ধ সকলেই কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে গেল।
৮. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
৮.১ '....হাতির দলের মধ্যে একটা বিকট চ্যাঁচাতে লাগল।'—তার এই বিকট চিৎকারের কারণ কী ছিল?
➙ পুরুষ হাতির দলের মধ্যে একটা বিকট চ্যাঁচাতে লাগল, কারণ সে নদীর ধারে বালিতে ডুবে যাচ্ছিল।
৮.২ তারপরেই পুরুষরা চটপট কাজে লেগে গেল।'—পুরুষরা কী কাজে লাগল? তার ফলাফল কী হয়েছিল?
➙ পুরুষ হাতিরা গাছের বড়ো বড়ো ডাল ভেঙে সেগুলিকে দিয়ে চোরাবালির চারদিকে গোল করে ফেলতে লাগল। গাছের ডালগুলো তাদের বিপদে পড়া সাথির একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেল। এর ফলে অল্প সময়ের মধ্যে গাছের ডালের ওপর সামনের পায়ে ভর দিয়ে বিপদগ্রস্ত হাতিটি আস্তে আস্তে নিরাপদ স্থানে উঠে এলো।
৮.৩ উপরের অনুচ্ছেদটির মধ্যে একটি নিটোল গল্পের আদল রয়েছে। এই গল্পটির কী নাম দেওয়া যায় লেখো। এই নামকরণের স্বপক্ষে দুটি যুক্তি দাও।
➙ গল্পটির নাম হল—“একতাই বল”। এরূপ নামকরণের পক্ষে দুটি যুক্তি হল, হাতির দলের মধ্যে একতা ও বন্ধুত্ব রয়েছে। নিজেদের দলের কেউ বিপদে পড়লে তারা সকলে সমবেত হয়ে তার সমাধান করে। তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ হল—আলোচ্য গল্পে হঠাৎ বালিতে ডুবে যাওয়া হাতিটির জীবন রক্ষা করা।
৮.১ '....হাতির দলের মধ্যে একটা বিকট চ্যাঁচাতে লাগল।'—তার এই বিকট চিৎকারের কারণ কী ছিল?
➙ পুরুষ হাতির দলের মধ্যে একটা বিকট চ্যাঁচাতে লাগল, কারণ সে নদীর ধারে বালিতে ডুবে যাচ্ছিল।
৮.২ তারপরেই পুরুষরা চটপট কাজে লেগে গেল।'—পুরুষরা কী কাজে লাগল? তার ফলাফল কী হয়েছিল?
➙ পুরুষ হাতিরা গাছের বড়ো বড়ো ডাল ভেঙে সেগুলিকে দিয়ে চোরাবালির চারদিকে গোল করে ফেলতে লাগল। গাছের ডালগুলো তাদের বিপদে পড়া সাথির একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেল। এর ফলে অল্প সময়ের মধ্যে গাছের ডালের ওপর সামনের পায়ে ভর দিয়ে বিপদগ্রস্ত হাতিটি আস্তে আস্তে নিরাপদ স্থানে উঠে এলো।
৮.৩ উপরের অনুচ্ছেদটির মধ্যে একটি নিটোল গল্পের আদল রয়েছে। এই গল্পটির কী নাম দেওয়া যায় লেখো। এই নামকরণের স্বপক্ষে দুটি যুক্তি দাও।
➙ গল্পটির নাম হল—“একতাই বল”। এরূপ নামকরণের পক্ষে দুটি যুক্তি হল, হাতির দলের মধ্যে একতা ও বন্ধুত্ব রয়েছে। নিজেদের দলের কেউ বিপদে পড়লে তারা সকলে সমবেত হয়ে তার সমাধান করে। তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ হল—আলোচ্য গল্পে হঠাৎ বালিতে ডুবে যাওয়া হাতিটির জীবন রক্ষা করা।
বোধ পরীক্ষণ—তিন
১. নীচের বিকল্পগুলির মধ্যে কোন্টি ঠিক চিহ্নিত করো :১.১ উপরের অনুচ্ছেদটির মূল বিষয় হল--
(ক) ভ্রমণ
(খ) পর্বতশৃঙ্গ অভিযান
(গ) বেড়ানো
(ঘ) কোনোটিই নয়।
১.২ 'বাঙালকা ইজ্জত বঁচানেকে লিয়ে হমলোগ জান দেনে কে লিয়ে তৈয়ার হ্যায়।'—এই বাক্যটির বাংলা তরজমা করলে দাঁড়ায়—
১.২ 'বাঙালকা ইজ্জত বঁচানেকে লিয়ে হমলোগ জান দেনে কে লিয়ে তৈয়ার হ্যায়।'—এই বাক্যটির বাংলা তরজমা করলে দাঁড়ায়—
(ক) বাঙালির জন্য আমরা প্রাণ দিতে প্রস্তুত।
(খ) বাঙালির কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত।
(গ) বাংলার প্রাণ বাঁচাতে আমরা যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।
(গ) বাংলার প্রাণ বাঁচাতে আমরা যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।
(ঘ) বাংলার সম্মান বাঁচাতে আমরা প্রাণ দিতেও রাজি।
২. নিম্নলিখিত শব্দগুলির উপযুক্ত প্রতিশব্দ অনুচ্ছেদ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :
২.১ উঁচু বা খাড়া রাস্তা।
২. নিম্নলিখিত শব্দগুলির উপযুক্ত প্রতিশব্দ অনুচ্ছেদ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :
২.১ উঁচু বা খাড়া রাস্তা।
➙ খাড়া চড়াই।
২.২ চার-টুকরো হয়ে যাওয়া।
২.২ চার-টুকরো হয়ে যাওয়া।
➙ চৌচির।
২.৩ শ্বাসবায়ু।
২.৩ শ্বাসবায়ু।
➙ দম।
২.৪ আলোড়ন।
২.৪ আলোড়ন।
➙ উত্তাল।
২.৫ বিন্দু।
২.৫ বিন্দু।
➙ ফোঁটা।
৩. ‘দিলীপ চট করে জলের বোতল খুলে গলায় উপুড় করে ঢেলে দিল।'—এই বাক্যটির উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ ভাগ করে দেখাও।
➙ উদ্দেশ্য : দিলীপ।
➙ বিধেয় : চট করে জলের বোতল খুলে গলায় উপুড় করে ঢেলে দিল।
৪. 'হঠাৎ সে মুখ খুলল।' —এই বাক্যটিকে না-বাচক বাক্যে রূপান্তরিত করে লেখো।
➙ হঠাৎ সে মুখ না-খুলে থাকতে পারল না।
৫. সুকুমার বলল, ‘উপরে চলো।'—উক্তি পরিহার করে বাক্যটিকে অন্যভাবে লেখো।
➙ সুকুমার তাকে উপরে যেতে বলল।
৬. ‘দিলীপ দেখল বোতলের জল ঠান্ডায় জমে বরফ হয়ে গিয়েছে।'—এই বাক্যটিকে জটিল বাক্যে রূপান্তরিত করো।
➙ দিলীপ যখন দেখল তখন বোতলের জল ঠান্ডায় জমে বরফ হয়ে গিয়েছে।
৭. তবু দিলীপ বিরক্ত হল না, অতি দুঃখে হেসে ফেলল।'—এই বাক্যের বিশেষণ পদের নীচে দাগ দাও।
➙ বাক্যটির বিশেষণ পদ হল—বিরক্ত, অতি দুঃখে।
৩. ‘দিলীপ চট করে জলের বোতল খুলে গলায় উপুড় করে ঢেলে দিল।'—এই বাক্যটির উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ ভাগ করে দেখাও।
➙ উদ্দেশ্য : দিলীপ।
➙ বিধেয় : চট করে জলের বোতল খুলে গলায় উপুড় করে ঢেলে দিল।
৪. 'হঠাৎ সে মুখ খুলল।' —এই বাক্যটিকে না-বাচক বাক্যে রূপান্তরিত করে লেখো।
➙ হঠাৎ সে মুখ না-খুলে থাকতে পারল না।
৫. সুকুমার বলল, ‘উপরে চলো।'—উক্তি পরিহার করে বাক্যটিকে অন্যভাবে লেখো।
➙ সুকুমার তাকে উপরে যেতে বলল।
৬. ‘দিলীপ দেখল বোতলের জল ঠান্ডায় জমে বরফ হয়ে গিয়েছে।'—এই বাক্যটিকে জটিল বাক্যে রূপান্তরিত করো।
➙ দিলীপ যখন দেখল তখন বোতলের জল ঠান্ডায় জমে বরফ হয়ে গিয়েছে।
৭. তবু দিলীপ বিরক্ত হল না, অতি দুঃখে হেসে ফেলল।'—এই বাক্যের বিশেষণ পদের নীচে দাগ দাও।
➙ বাক্যটির বিশেষণ পদ হল—বিরক্ত, অতি দুঃখে।
৮. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
৮.১ ‘সুকুমারের রক্ত উত্তাল হয়ে উঠল।'—সুকুমারের রক্ত উত্তাল হয়ে উঠেছিল কেন?
➙ প্রৌঢ় শেরপা পেম্বা নরবু যদি বানালির ইজ্জত বাঁচানোর জন্য জীবন দিয়ে দেবার সাহস দেখাতে পারে তবে সুকুমার নিজে একজন বাঙালি তরুণ হয়ে তাদের পাহাড়ি অভিযান সফল করতে পারবে না কেন—এই চিন্তা করে সুকুমারের রক্ত উত্তাল হয়ে উঠল।
৮.২ ‘অতি দুঃখে হেসে ফেলল।'—কে হেসে ফেলল? এমন ঘটার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়েছে?
➙ দিলীপ অতি দুঃখে হেসে ফেলেছিল। কারণ, দিলীপ যখন দেখল যে বেলা আড়াইটের সময় তেষ্টায় তার বুকটা ফেটে যাচ্ছে অথচ তাদের সঙ্গে রাখা বোতলের জল সব জমে বরফ হয়ে গিয়েছে তখনই বাস্তব অবস্থা বুঝে তার হাসি পেয়েছিল।
৮.৩ ‘খাড়া চড়াই। একটু একটু করে উঠছি।'- '—এমন একটি কাল্পনিক পর্বত অভিযানের অভিযাত্রী হিসেবে চার-পাঁচটি বাক্য লেখো।
➙ শেরপা যারা সর্বদা পর্বত চড়াই-উৎরাই পথে তারা পর্বতশৃঙ্গ অভিযানের সময় পিঠে অক্সিজেন ও যৎসামান্য খাবার নিয়ে বিপজ্জনক উঁচু স্থানে পাড়ি দিতে হয়। পথে শ্রান্ত-ক্লান্ত হয়ে পড়লে অল্পক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার এগিয়ে যেতে হয়। যারা পর্বতশৃঙ্গ জয়ের নেশায় মেতে ওঠে তারা অসম সাহসের অধিকারী ও ভরপুর আত্মবিশ্বাসী।
বোধ পরীক্ষণ—-চার
১. নীচের বিকল্পগুলির মধ্যে কোনটি ঠিক চিহ্নিত করো :১.১. ইনকা সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ দেখতে দুর্গম পাহাড়ি পথে যে নদীর গিরিখাত পেরোতে হয়, তার নাম—
(ক) উরুবাম্বা
(খ) আন্দিজ
(গ) পেরু
(ঘ) রকি
১.২ ছোটো ট্রেন থেকে নেমে লোহার ব্রিজ পেরোতে হয়—
(ক) বাসে চেপে
১.২ ছোটো ট্রেন থেকে নেমে লোহার ব্রিজ পেরোতে হয়—
(ক) বাসে চেপে
(খ) সাইকেলে চেপে
(গ) পায়ে হেঁটে
(ঘ) এক লাফে।
২. এই নির্জন মৃত প্রস্তরপুরী হচ্ছে ইনকাদের হারানো শহর—নিম্নরেখ পদটির সন্ধি বিচ্ছেদ করো।
➙ নির্জন = নিঃ + জন (বিসর্গ সন্ধি) = যেখানে কোনো মানুষ নেই।
৩. 'দুর্গম পথ, কিন্তু আশ্চর্য সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ।’--এই বাক্যটি সরলবাক্যে রূপান্তরিত করো।
➙ দুর্গম পথ হলেও আশ্চর্য সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ।
৪. নীচের শব্দগুলির যথার্থ প্রতিশব্দ অনুচ্ছেদ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :
৪.১ সিঁড়ি ➙ সোপান।
২. এই নির্জন মৃত প্রস্তরপুরী হচ্ছে ইনকাদের হারানো শহর—নিম্নরেখ পদটির সন্ধি বিচ্ছেদ করো।
➙ নির্জন = নিঃ + জন (বিসর্গ সন্ধি) = যেখানে কোনো মানুষ নেই।
৩. 'দুর্গম পথ, কিন্তু আশ্চর্য সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ।’--এই বাক্যটি সরলবাক্যে রূপান্তরিত করো।
➙ দুর্গম পথ হলেও আশ্চর্য সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ।
৪. নীচের শব্দগুলির যথার্থ প্রতিশব্দ অনুচ্ছেদ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :
৪.১ সিঁড়ি ➙ সোপান।
৪.২ মনোরম ➙ আশ্চর্য সুন্দর।
৪.৩ ঘর ➙ কক্ষ।
৪.৪ তরঙ্গায়িত ➙ ঢেউয়ের মতো।
৫. দুর্গম পদ—নিম্নরেখ পদটি কীভাবে গঠিত হয়েছে দেখাও।
➙ দুর্গম হল বিশেষণ পদ। পদটি দুটি শব্দের মিলনে অর্থাৎ সন্ধি করে হয়েছে দুর্গম। যথা—দুঃ + গম = দুর্গম। প্রথম শব্দের শেষ উচ্চারণে বিসর্গ ধ্বনির সঙ্গে ‘গ’ এই ব্যঞ্জনধ্বনির মিলন হওয়ার জন্য বিসর্গ ধ্বনি এসেছে এবং ওই রেফ বসেছে পরবর্তী শব্দের প্রথম বর্ণের মাথায়।
৬. দক্ষিণ আমেরিকার পেরু রাজ্য। বিশাল আন্দিজ পর্বতমালার এক অংশ পড়েছে এই পেরুর মধ্যে। (একটি বাক্যে পরিণত করো।)
➙ দক্ষিণ আমেরিকার পেরু রাজ্যে বিশাল আন্দিজ পর্বতমালার এক অংশ পড়েছে।
৭. সরু ফিতের মতো রাস্তা বেয়ে আমাদের ছোটো ট্রেন ঘুরে ঘুরে পাহাড়ে উঠেছে। (দুটি বাক্যে ভেঙে লেখো।)
➙ সরু ফিতের মতো রাস্তা বেয়ে চলেছে। ওই রাস্তায় আমাদের ছোটো ট্রেন ঘুরে ঘুরে পাহাড়ে উঠেছে।
৮. দূরে, যত দূরে চোখ যায় শুধু ঢেউয়ের মতো পর্বতমালা।—নিম্নরেখ পদটি কী ধরনের পদ?
➙ ‘শুধু’ শব্দটি অব্যয় পদ।
৯. আশ্চর্য সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ। —‘সুন্দর’ এবং ‘প্রাকৃতিক’ পদদুটির যথাক্রমে বিশেষণ এবং বিশেষ্যের রূপ দুটি লেখো।
➙ সুন্দর—সৌন্দর্য। প্রাকৃতিক—প্রকৃতি।
১০. ‘এই নির্জন মৃত প্রস্তরপুরী হচ্ছে ইনকাদের হারানো শহর ... —এই বাক্যের ‘প্রস্তরপুরী’-র মতো—‘পুরী’ সহযোগে আরও দুটি শব্দ বানাও।
➙ মর্তপুরী। স্বর্গপুরী ।
৫. দুর্গম পদ—নিম্নরেখ পদটি কীভাবে গঠিত হয়েছে দেখাও।
➙ দুর্গম হল বিশেষণ পদ। পদটি দুটি শব্দের মিলনে অর্থাৎ সন্ধি করে হয়েছে দুর্গম। যথা—দুঃ + গম = দুর্গম। প্রথম শব্দের শেষ উচ্চারণে বিসর্গ ধ্বনির সঙ্গে ‘গ’ এই ব্যঞ্জনধ্বনির মিলন হওয়ার জন্য বিসর্গ ধ্বনি এসেছে এবং ওই রেফ বসেছে পরবর্তী শব্দের প্রথম বর্ণের মাথায়।
৬. দক্ষিণ আমেরিকার পেরু রাজ্য। বিশাল আন্দিজ পর্বতমালার এক অংশ পড়েছে এই পেরুর মধ্যে। (একটি বাক্যে পরিণত করো।)
➙ দক্ষিণ আমেরিকার পেরু রাজ্যে বিশাল আন্দিজ পর্বতমালার এক অংশ পড়েছে।
৭. সরু ফিতের মতো রাস্তা বেয়ে আমাদের ছোটো ট্রেন ঘুরে ঘুরে পাহাড়ে উঠেছে। (দুটি বাক্যে ভেঙে লেখো।)
➙ সরু ফিতের মতো রাস্তা বেয়ে চলেছে। ওই রাস্তায় আমাদের ছোটো ট্রেন ঘুরে ঘুরে পাহাড়ে উঠেছে।
৮. দূরে, যত দূরে চোখ যায় শুধু ঢেউয়ের মতো পর্বতমালা।—নিম্নরেখ পদটি কী ধরনের পদ?
➙ ‘শুধু’ শব্দটি অব্যয় পদ।
৯. আশ্চর্য সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ। —‘সুন্দর’ এবং ‘প্রাকৃতিক’ পদদুটির যথাক্রমে বিশেষণ এবং বিশেষ্যের রূপ দুটি লেখো।
➙ সুন্দর—সৌন্দর্য। প্রাকৃতিক—প্রকৃতি।
১০. ‘এই নির্জন মৃত প্রস্তরপুরী হচ্ছে ইনকাদের হারানো শহর ... —এই বাক্যের ‘প্রস্তরপুরী’-র মতো—‘পুরী’ সহযোগে আরও দুটি শব্দ বানাও।
➙ মর্তপুরী। স্বর্গপুরী ।
১১. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
১১.১ মাচুপিচু কী ?
➙ ইনকাদের প্রাচীন সভ্যতা হারানো শহর ভিলকাপাম্পার আধুনিক নাম হল মাচুপিচু।
১১.২ ‘এক আশ্চর্য নগরীর কঙ্কালদেহ’—এই নগরীটি কোথায় অবস্থিত? এর যাত্রাপথের বিবরণ দাও।
➙ এই নগরীটি দক্ষিণ আমেরিকার পেরু রাজ্যের আন্দিজ পর্বতমালার একাংশ পাহাড়ঘেরা মালভূমির ওপর অবস্থিত। দুর্গম পথ হলেও আশ্চর্য সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে সরু ফিতের মতো রাস্তায় ছোটো ট্রেনটি ঘুরে পাহাড়ে উঠেছে। মাঝে উরুবাম্বা নামে নদীর গিরিখাত, তার ওপর একটি লোহার ব্রিজ। ট্রেন থেকে নেমে পায়ে হেঁটে লোহার ওই ব্রিজ পেরিয়ে ওপারে ট্যুরিস্ট বাসে উঠে যতদূর চোখ যায় শুধু ঢেউয়ের মতো পর্বতমালা তারপর পাহাড় ঘেরা মালভূমির ওপর ইনকা নগরীর মৃতদেহ যেন নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে।
১১.৩ প্রাচীন নগরীর ধ্বংসাবশেষ হয়তো আমরা সবাই দেখিনি। কিন্তু আমাদের চারপাশে এমন অনেক প্রাচীন বাড়ি-মন্দির-মসজিদ-গির্জা-স্তূপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এই ধরনের তোমার দেখা যে-কোনো একটি পুরোনো স্থাপত্যকীর্তির কথা চার-পাঁচটি বাক্যে লেখো।
➙ আমার দেখা একটি প্রাচীন স্তূপ হল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের পশ্চিমবাংলার প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে অবস্থিত প্রাচীন কালের ওই বিশ্ববিখ্যাত বৌদ্ধ মঠ ও বিশ্ববিদ্যালয়। কলকাতা থেকে প্রায় বারো ঘণ্টার পথ ট্রেনে করে বিহার রাজ্যের রাজগির স্টেশনে নামতে হয়। সেখান থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নালন্দা বৌদ্ধ মঠ ও বিহারের ধ্বংসস্তূপ। হাজার বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। তবু নালন্দার সিঁড়ি ভাঙা প্রকোষ্ঠগুলিব জীর্ণদেহ আমাদের মতো লক্ষ লক্ষ পর্যটকদেরকেও পরম বিস্মিত করছে।
১১.১ মাচুপিচু কী ?
➙ ইনকাদের প্রাচীন সভ্যতা হারানো শহর ভিলকাপাম্পার আধুনিক নাম হল মাচুপিচু।
১১.২ ‘এক আশ্চর্য নগরীর কঙ্কালদেহ’—এই নগরীটি কোথায় অবস্থিত? এর যাত্রাপথের বিবরণ দাও।
➙ এই নগরীটি দক্ষিণ আমেরিকার পেরু রাজ্যের আন্দিজ পর্বতমালার একাংশ পাহাড়ঘেরা মালভূমির ওপর অবস্থিত। দুর্গম পথ হলেও আশ্চর্য সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে সরু ফিতের মতো রাস্তায় ছোটো ট্রেনটি ঘুরে পাহাড়ে উঠেছে। মাঝে উরুবাম্বা নামে নদীর গিরিখাত, তার ওপর একটি লোহার ব্রিজ। ট্রেন থেকে নেমে পায়ে হেঁটে লোহার ওই ব্রিজ পেরিয়ে ওপারে ট্যুরিস্ট বাসে উঠে যতদূর চোখ যায় শুধু ঢেউয়ের মতো পর্বতমালা তারপর পাহাড় ঘেরা মালভূমির ওপর ইনকা নগরীর মৃতদেহ যেন নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে।
১১.৩ প্রাচীন নগরীর ধ্বংসাবশেষ হয়তো আমরা সবাই দেখিনি। কিন্তু আমাদের চারপাশে এমন অনেক প্রাচীন বাড়ি-মন্দির-মসজিদ-গির্জা-স্তূপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এই ধরনের তোমার দেখা যে-কোনো একটি পুরোনো স্থাপত্যকীর্তির কথা চার-পাঁচটি বাক্যে লেখো।
➙ আমার দেখা একটি প্রাচীন স্তূপ হল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের পশ্চিমবাংলার প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে অবস্থিত প্রাচীন কালের ওই বিশ্ববিখ্যাত বৌদ্ধ মঠ ও বিশ্ববিদ্যালয়। কলকাতা থেকে প্রায় বারো ঘণ্টার পথ ট্রেনে করে বিহার রাজ্যের রাজগির স্টেশনে নামতে হয়। সেখান থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নালন্দা বৌদ্ধ মঠ ও বিহারের ধ্বংসস্তূপ। হাজার বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। তবু নালন্দার সিঁড়ি ভাঙা প্রকোষ্ঠগুলিব জীর্ণদেহ আমাদের মতো লক্ষ লক্ষ পর্যটকদেরকেও পরম বিস্মিত করছে।
Tags: anandam academy class 6 bengali,bodh parikhan for wbcs,descriptive bengali for wbcs,class 6 bengali bhasacharcha chapter 3 question answer,wb tet bengali class,wbcs bengali compulsory,bodh parikhon,bodh porikhan,comprehension in bengali,ssc bengali,wbcs bengali compulsory classes,wbcs bengali writing,bodh porikkhan korar niyom
No comments
Hi Welcome ....