Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Top Ad

Breaking News:

latest

HS Philosophy Suggestion 2023 | SAQ Importance Question and Answer

২০২৩ উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন চারটি অধ্যায় একসঙ্গে প্রশ্নও উত্তর প্র্যাকটিস সেট  HS Philosophy Suggestion ১. যুক্তি  ৩. বচনের বিরোধিতা ও বিরূপতা ...

উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন  প্র্যাকটিস সেট


২০২৩ উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন চারটি অধ্যায় একসঙ্গে প্রশ্নও উত্তর প্র্যাকটিস সেট 

HS Philosophy Suggestion

১. যুক্তি 
৩. বচনের বিরোধিতা ও বিরূপতা 
৪. অমাধ্যম অনুমান 
৬. প্রাকল্পিক ও বৈকল্পিক ন্যায়

HS Philosophy Suggestion 2023 New SAQ Question


{tocify} $title={Table of Contents}

১. যুক্তি :  প্রশ্নও উত্তর প্র্যাকটিস সেট 

Q1.যুক্তির সত্যতা বলতে কী বোঝো?
➣ যুক্তির সত্যতা বলতে যুক্তির অন্তর্গত বচনগুলির সত্য বা মিথ্যাকে বোঝায়। বৈধ যুক্তির হেতুবাক্য সত্য হলে সিদ্ধান্ত অবশ্যই সত্য হয়, আর হেতুবাক্য সত্য এবং সিদ্ধান্ত মিথ্যা হলে যুক্তি অবৈধ হয়।
Q2.অবরোহ যুক্তিবিজ্ঞানে বচনের সত্যতাকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
➣ অবরোহ যুক্তিবিজ্ঞানে বচনের সত্যতাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
Q3. সত্যতা কয় প্রকার ও কী কী?
➣ সত্যতা দু-প্রকার – (১) আকারগত সত্যতা, (২) বস্তুগত সত্যতা।
Q4. যুক্তির আকারগত সত্যতা বলতে কী বোঝো?
➣ যুক্তির আকারগত সত্যতা বলতে বোঝায় যুক্তির অন্তর্গত বচনের মধ্যে কোনো অন্তর্বিরোধ নেই এবং অন্যান্য জ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
Q5. যুক্তির বস্তুগত সত্যতা কাকে বলে?
➣ যুক্তির বস্তুগত সত্যতা বলতে বোঝায় যুক্তির বিষয়বস্তুর সত্যতা বা যুক্তির অন্তর্গত বচনগুলির সত্য-মিথ্যাকে।
Q6.সত্যতা ও বৈধতার মধ্যে সম্পর্ক কী?
➣ বৈধতা ও সত্যতার মধ্যে সম্পর্ক হল— যুক্তির হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়ই সত্য হলে যুক্তি বৈধ হয়, আর হেতুবাক্য সত্য ও সিদ্ধান্ত মিথ্যা হলে যুক্তি অবৈধ হয়।
Q7.সত্যতা ও বৈধতার একটি পার্থক্য লেখো।
➣‘সত্যতা’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় বচনের ক্ষেত্রে এবং ‘বৈধতা’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় যুক্তির ক্ষেত্রে।
Q8. বৈধতা ও সত্যতার মধ্যে প্রভেদ কোথায়?
➣ বৈধতা হল যুক্তির আকারের ধর্ম, সত্যতা হল বাস্তবানুগত্য।
Q9.স্বতঃসত্য বাক্য কাকে বলে?
➣ যেসকল বাক্যের গঠন এমনই যে, বাক্যটি সবসময়ই সত্য, তাকে স্বতঃসত্য বাক্য বলা হয়।
Q10.স্বতঃমিথ্যা বাক্য কাকে বলে?
➣ যেসকল বাক্যের গঠন এমনই যে, বাক্যটি সবসময়ই মিথ্যা, তাকে স্বতঃমিথ্যা বাক্য বলে।
Q11.আপতিক বাক্য কাকে বলে?
➣ যেসকল বাক্যের গঠন এমনই যে, সেটি কোনো কোনো ক্ষেত্রে সত্য আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে মিথ্যা হতে পারে, তাকে আপতিক বাক্য বলে।
Q12.বৈধ ও অবৈধ যুক্তির পার্থক্য কী?

বৈধ যুক্তি অবৈধ যুক্তি
(১) সিদ্ধান্তটি যুক্তিপদ্ধতির নিয়মানুসারে হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়। (১) সিদ্ধান্তটি যুক্তিপদ্ধতির নিয়ম অনুসরণ না করেই হেতুবাক্য থেকে নিঃসৃত হয়।
(২) আশ্রয়বাক্য বা হেতুবাক্য সত্য হলে সিদ্ধান্ত কখনোই মিথ্যা হতে পারে না। (২) আশ্রয়বাক্য বা হেতুবাক্য সত্য হলেও সিদ্ধান্ত মিথ্যা হতে পারে।

Q13.যুক্তির কয়টি অংশ ও কী কী?
➣ প্রতিটি যুক্তি দুটি অংশ নিয়ে গঠিত হয়— (১) হেতুবাক্য বা যুক্তিবাক্য বা আশ্রয়বাক্য এবং (২) সিদ্ধান্ত।
Q14.যুক্তির অবয়বগুলি কী কী?
➣ যুক্তির অবয়বগুলি হল— যুক্তিবাক্য এবং সিদ্ধান্ত।
Q15.হেতুবাক্য কাকে বলে?
➣ যে বাক্যের সাহায্যে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাকে হেতুবাক্য বলা হয়।
Q16.সিদ্ধান্ত বলতে কী বোঝো?
➣কোনো যুক্তিতে হেতুবাক্যের সাহায্যে যে বাক্যকে প্রমাণ বা প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাকে সিদ্ধান্ত বলা হয়।
Q17.অনুমান কী?
➣ অনুমান হল একটি মানসিক প্রক্রিয়া, যার সাহায্যে এক বা একাধিক জ্ঞাত সত্যের ভিত্তিতে অজ্ঞাত তথ্যকে জানা যায়।
Q18.‘অনুমান ও যুক্তির পার্থক্য কী?
অনুমানের ক্ষেত্রে আমরা এক বা একাধিক যুক্তিবাক্য দিয়ে শুরু করি এবং তারপর ওইসব যুক্তিবাক্য দ্বারা সমর্থিত হয়ে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হই। অন্যদিকে যুক্তির ক্ষেত্রে আমরা সিদ্ধান্ত দিয়ে তর্ক শুরু করি এবং সিদ্ধান্তটি যেসব যুক্তি বাক্যের দ্বারা সমর্থিত হতে পারে সেগুলিকে খুঁজে বের করি।
Q19.বচন ও যুক্তির মধ্যে পার্থক্য কী?
➣ বচন হল অবধারণের ভাষায় প্রকাশিত রূপ এবং যুক্তি হল অনুমানের ভাষায় প্রকাশিত রূপ।
Q20. Logike শব্দটি কোথা থেকে উৎপত্তি হয়েছে?
➣ Logike শব্দটি ল্যাটিন শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে।


Q21. Logos শব্দের অর্থ কী?
➣ Logos শব্দের অর্থ হল চিন্তা বা ভাষা।
Q22.যুক্তির অবয়ব কাকে বলে?
➣ যেসব বচন দিয়ে যুক্তি গঠিত হয়, তাদেরকে বলা হয় যুক্তির অবয়ব।
Q23.আধুনিক যুক্তিবিজ্ঞানের জনক কে?
➣ আধুনিক যুক্তিবিজ্ঞানের জনক হলেন জর্জ বুল।
Q24.তর্কবিদ্যাকে চিন্তা বা বুদ্ধির মূলনীতিসমূহের বিজ্ঞানরূপে কারা অভিহিত করেছেন?
➣তর্কবিদ্যাকে চিন্তা বা বুদ্ধির মূলনীতিসমূহের বিজ্ঞানরূপে অভিহিত করেছেন— ডেভিড হিউম এবং ইমানুয়েল কান্ট।
Q25.মানুষের জীবনে তিনটি পরম আদর্শ কী কী?
➣মানুষের জীবনে তিনটি পরম আদর্শ হল—সত্য, শিব ও সুন্দর।
Q26.যুক্তি কাকে বলে?
➣ যুক্তি হল বচন সমষ্টি, যেখানে একটি বচনের সত্যতা এক বা একাধিক বচনের সত্যতার উপর নির্ভর করে বলে দাবি করা হয়।
Q27.যুক্তিবিজ্ঞান বা তর্কবিজ্ঞান কাকে বলে?
➣যে শাস্ত্র অবৈধ যুক্তি থেকে বৈধ যুক্তিকে পৃথক করার পদ্ধতি ও বিধি সম্পর্কে আলোচনা করে, তাকে যুক্তিবিজ্ঞান বলে।
Q28.যুক্তিবিজ্ঞানের বা তর্কবিদ্যার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী?
➣ ব্যুৎপত্তিগত অর্থে তর্কবিদ্যা হল, ভাষায় প্রকাশিত চিন্তা সম্পৰ্কীয় বিজ্ঞান। তর্কবিদ্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ Logic, যেটি ল্যাটিন শব্দ Logos থেকে উদ্ভূত হয়েছে। Logos-এর অর্থ চিন্তা। সুতরাং ব্যুৎপত্তিগত দিক থেকে Logic শব্দের অর্থ চিন্তা সম্পৰ্কীয় বিজ্ঞান।
Q29.মাধ্যম অবরোহ মুক্তি কাকে বলে?
➣ যে অবরোহ যুক্তিতে দুটি হেতুবাক্যকে সংযুক্ত করে সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, তাকে মাধ্যম অবরোহ যুক্তি বলা হয়। যেমন – প্রাকল্পিক ন্যায়, বৈকল্পিক ন্যায়।
Q30.বাক্যনির্ভর অবরোহ অনুমান কাকে বলে?
➣ যে অবরোহ অনুমানে যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে সম্পর্কটি কিছু বাক্য বা অঙ্গবাক্যনির্ভর হয়, তাকে বাক্যনির্ভর অবরোহ অনুমান বলা হয়।
Q31.পদনির্ভর অবরোহ অনুমান কাকে বলে?
➣ যে অবরোহ অনুমানে যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে সম্পর্কটি যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তবাক্যের অন্তর্গত কিছু পদনির্ভর হয়, তাকে পদনির্ভর অবরোহ অনুমান বলা হয়।
Q32.আকারনিষ্ঠ অবরোহ অনুমান কাকে বলে?
➣ যে বৈধ অবরোহ অনুমানে ভাষাগত অর্থের পরিবর্তে যুক্তিনিষ্ঠ আকারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাকে আকারনিষ্ঠ অবরোহ অনুমান বলা হয়।
Q33.আকার-নিরপেক্ষ অবরোহ অনুমান কাকে বলে?
➣ যে অবরোহ অনুমানের বৈধতা আকারের পরিবর্তে ভাষাগত অর্থের উপর নির্ভর করে, তাকে আকার-নিরপেক্ষ অবরোহ অনুমান বলা হয়।
Q34.সাপেক্ষ যুক্তি কাকে বলে?
➣যে অবরোহ যুক্তির অন্তত একটি অবয়ব সাপেক্ষ বচন, তাকে সাপেক্ষ যুক্তি বলে। সাপেক্ষ যুক্তিকে যৌগিক যুক্তিও বলা হয়। কারণ, সাপেক্ষ বচনমাত্রই যৌগিক বচন।
Q35.মিশ্র যুক্তি বলতে কী বোঝায়?
➣যে যুক্তিতে নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ উভয় প্রকার অবয়বই থাকে, সেই যুক্তিকে মিশ্র যুক্তি বলে।
Q36.পর্যবেক্ষণ কাকে বলে?
➣অবাধ অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে উদ্দেশ্যপূর্ণ কোনো প্রত্যক্ষণকে পর্যবেক্ষণ বলা হয়।
Q37.পরীক্ষণ কাকে বলে?
➣ সুনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে কোনো ঘটনার পর্যবেক্ষণ এবং নিরীক্ষণ প্রক্রিয়াকে পরীক্ষণ বলা হয়।
Q38.প্রকৃতির একরূপতা নিয়ম বলতে কী বোঝায়?
➣ প্রকৃতির একরূপতার নিয়ম বলতে বোঝায় যে, প্রকৃতি সর্বদা একই পরিবেশে একইরকম আচরণ করে।
Q39.কার্যকারণ নিয়ম বলতে কী বোঝায়?
➣ কার্যকারণ নিয়ম বলতে বোঝায় সেই নিয়মকে, যাতে বলা হয় জগতে প্রতিটি কার্যের নির্দিষ্ট কারণ আছে এবং কারণ না ঘটলে কার্য সংঘটিত হয় না।
Q40.যুক্তির বৈধতা বলতে কী বোঝো?
➣ যুক্তির বৈধতা বলতে বোঝায় উক্ত যুক্তির সিদ্ধান্তটির যুক্তিপদ্ধতির নিয়ম অনুসরণ করে হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হওয়া।
Q41.বৈধতা কার ধর্ম?
➣ বৈধতা হল যুক্তির অন্যতম বৈশিষ্ট্য বা ধর্ম।
Q42.বৈধ বা অবৈধ বিষয়টি কার সঙ্গে যুক্ত?
➣ যুক্তির সঙ্গে বৈধ বা অবৈধ বিষয়টি যুক্ত ৷
Q43.যুক্তি কখন বৈধ হয়?
➣ যখন কোনো যুক্তির সিদ্ধান্ত যুক্তিপদ্ধতির নিয়ম অনুসরণ করে হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, তখন যুক্তিটি বৈধ হয়।
Q44.যুক্তি কখন অবৈধ হয়?
অথবা, একটি অবরোহ যুক্তি কখন অবৈধ হয়?
➣ কোনো যুক্তির সিদ্ধান্ত যখন হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় না, তখন যুক্তি অবৈধ হয়।
Q45.যুক্তির আকারগত বৈধতা কাকে বলে?
➣ যুক্তির আকারগত বৈধতা বলতে বোঝায় যে, সেই আকারের অন্তর্গত সব যুক্তিই বৈধ। অর্থাৎ যুক্তির আশ্রয়বাক্য সত্য এবং সিদ্ধান্ত মিথ্যা না হওয়াকেই যুক্তির আকারগত বৈধতা বলা হয়।


Q46.বৈধ যুক্তি বলতে কী বোঝো?
➣ বৈধ যুক্তি বলতে বোঝায় সেই যুক্তিকে যার সিদ্ধান্তটি যুক্তি পদ্ধতির নিয়ম অনুসরণ করে হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়।
Q47.একটি বৈধ যুক্তির উদাহরণ দাও, যার আশ্রয়বাক্য মিথ্যা।
➣ উদাহরণ : সকল গোরু হয় দ্বিপদ প্রাণী।
    সকল কুকুর হয় গোরু।
  সকল কুকুর হয় দ্বিপদ প্রাণী।
Q48.অবরোহ যুক্তি কখন বৈধ হয়?
➣ অবরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি যখন আশ্রয়বাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, তখন অবরোহ যুক্তিটি বৈধ হয়।
Q49.একটি অবরোহ যুক্তি কখন অবৈধ হয়?
➣ অবরোহ যুক্তির আশ্রয়বাক্যগুলি সত্য এবং সিদ্ধান্ত মিথ্যা হলে অবরোহ যুক্তিটি অবৈধ হয়।
Q50.একটি বৈধ অবরোহ যুক্তির উদাহরণ দাও যার আশ্রয়বাক্য মিথ্যা কিন্তু সিদ্ধান্ত সত্য।
➣ কোনো মন্ত্রী নয় পুরুষ (মিথ্যা)।
    সকল স্ত্রীলোক হয় মন্ত্রী (মিথ্যা)।
    কোনো স্ত্রীলোক নয় পুরুষ (সত্য)।
 —যুক্তিটি বৈধ, কারণ এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়।
Q51.একটি বৈধ অবরোহ যুক্তির উদাহরণ দাও, যার সিদ্ধান্ত মিথ্যা।
➣ উদাহরণ : সকল পশু হয় মানুষ (মিথ্যা)।
     সকল সিংহ হয় পশু (সত্য)।
   সকল সিংহ হয় মানুষ (মিথ্যা)।
—যুক্তিটির সিদ্ধান্ত মিথ্যা, কিন্তু আকারগত দিক থেকে বৈধ।
Q52.এমন একটি যুক্তির দৃষ্টান্ত দাও, যা বৈধ কিন্তু সত্য নয়।
➣ উদাহরণ : সকল প্রাণী হয় মানুষ (মিথ্যা)।
      সকল মানুষ হয় সর্বজ্ঞ ব্যক্তি (মিথ্যা)।
      কোনো কোনো সর্বজ্ঞ ব্যক্তি হয় প্রাণী (মিথ্যা)।
Q53. একটি বৈধ যুক্তির উদাহরণ দাও, যার আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়ই মিথ্যা।
➣ উদাহরণ : সকল মানুষ হয় চতুষ্পদ জীব (মিথ্যা)।
     সকল পাখি হয় মানুষ (মিথ্যা)।
     সকল পাখি হয় চতুষ্পদ জীব (মিথ্যা)।
Q54.বৈধ যুক্তির ভিত্তি কী?
➣ বৈধ যুক্তির ভিত্তি হল— প্রসক্তি সম্বন্ধ।
Q55. প্রসক্তি সম্বন্ধ কী?
➣ বৈধ অবরোহ যুক্তির আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে এমন সম্বন্ধ থাকে, এর আশ্রয়বাক্য সত্য হলে সিদ্ধান্ত মিথ্যা হতে পারে না; এই সম্বন্ধকে প্রসক্তি সম্বন্ধ বলে।
Q56.অবরোহ যুক্তির প্রসক্তি সম্বন্ধ কী?
➣ অবরোহ যুক্তির হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে যে সম্বন্ধ, তা প্রসক্তি সম্বন্ধ নামে খ্যাত।
Q57. অবৈধ যুক্তি কাকে বলে?
➣ অবৈধ যুক্তি বলতে বোঝায়, যে যুক্তির হেতুবাক্য সত্য অথচ সিদ্ধান্ত মিথ্যা।
Q58.একটি অবৈধ যুক্তির উদাহরণ দাও, যার হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়ই সত্য।
➣ উদাহরণ : সকল মা হয় মহিলা (সত্য)।
   সকল শাশুড়ি হয় মহিলা (সত্য)। ভীড়
   সকল শাশুড়ি হয় মা (সত্য)।
Q59.যুক্তিবিজ্ঞানে ‘সুতরাং’ শব্দটি কীসের নির্দেশক।
➣ যুক্তিবিজ্ঞানে ‘সুতরাং’ শব্দটি যুক্তির সিদ্ধান্তের নির্দেশক।
Q60.অবরোহ যুক্তি বলতে কী বোঝো?
➣ যে যুক্তিতে সিদ্ধান্তটি এক বা একাধিক হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় এবং আশ্রয়বাক্য সত্য হলে সিদ্ধান্তটি অবশ্যই সত্য হবে ও সিদ্ধান্ত কখনোই হেতুবাক্যের তুলনায় ব্যাপক হয় না, তাকে অবরোহ যুক্তি বলে।
Q61.আরোহ যুক্তি বলতে কী বোঝো?
➣ যে যুক্তিতে কয়েকটি বিশেষ বস্তু বা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রকৃতির একরূপতা নীতি ও কার্যকারণ নিয়মের উপর ভিত্তি করে একটি সার্বিক সংশ্লেষক বচন সিদ্ধান্তরূপে প্রতিষ্ঠিত করা হয়, তাকে আরোহ যুক্তি বলে।
Q62.অবরোহ যুক্তির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
➣ অবরোহ যুক্তির দুটি বৈশিষ্ট্য হল— (১) অবরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়। (২) অবরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি কখনোই হেতুবাক্যের চেয়ে অধিক ব্যাপক হয় না।
Q63.আরোহ যুক্তির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
➣ আরোহ যুক্তির দুটি বৈশিষ্ট্য হল— (১) আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি সর্বদা একাধিক হেতুবাক্যের ভিত্তিতে গঠিত হয়। (২) আরোহ যুক্তিতে অভিজ্ঞতার সাহায্যে হেতুবাক্যের বস্তুগত সত্যতা বিচার করা হয়।
Q64.অবরোহ অনুমান ও আরোহ অনুমানের (যুক্তি) পার্থক্য লেখো।
➣অবরোহ ও আরোহ অনুমানের পার্থক্যগুলি হল— (১) অবরোহ অনুমানের সিদ্ধান্তটি হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, কিন্তু আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় না। (২) অবরোহ যুক্তির সিদ্ধান্ত হেতুবাক্যের চেয়ে অধিক ব্যাপক হয় না। কিন্তু আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্ত হেতুবাক্যের তুলনায় অধিক ব্যাপক হয়।
Q65.অমাধ্যম অবরোহ যুক্তি কাকে বলে?
➣ যে অবরোহ যুক্তিতে সিদ্ধান্তটি একটিমাত্র হেতুবাক্য থেকে অর্থের পরিবর্তন না করে বিধিসম্মতভাবে সরাসরি নিঃসৃত হয়, তাকে অমাধ্যম অবরোহ যুক্তি বলে। যেমন— আবর্তন ও বিবর্তন।


৩. বচনের বিরোধিতা ও বিরূপতা প্র্যাকটিস সেট 

Q1.বচনের বিরোধিতা কাকে বলে?
➣ একই উদ্দেশ্য-বিধেয়যুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচনের মধ্যে যদি গুণ কিংবা পরিমাণ অথবা গুণ ও পরিমাণ উভয় ক্ষেত্রেই প্রভেদ থাকে, তাহলে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বচনের বিরোধিতা বলা হয়। যেমন – A ও E বচনের মধ্যে এই সম্বন্ধ বর্তমান।
Q2.বচনের বিরোধিতার ক্ষেত্রে কয়টি বচন থাকে?
➣ বচনের বিরোধিতার ক্ষেত্রে দুটি বচন থাকে।
Q3.লৌকিক অর্থে বচনের বিরোধিতা কাকে বলে?
 লৌকিক অর্থে দুটি নিরপেক্ষ বচন একসঙ্গে সত্য এবং একসঙ্গে মিথ্যা না হলে, উক্ত বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বচনের বিরোধিতা বলা হয়।
Q4.বচনের বিরোধিতার দুটি শর্ত কী কী?
বচনের বিরোধিতার দুটি শর্ত হল – (১) বচন দুটির উদ্দেশ্য ও বিধেয় এক বা অভিন্ন হবে। (২) বচন দুটির মধ্যে (ক) কেবল গুণের পার্থক্য থাকবে বা (খ) কেবল পরিমাণের পার্থক্য থাকবে বা (গ) গুণ ও পরিমাণ – এই দুয়েরই পার্থক্য থাকবে।
Q5.বচনের বিরোধিতার আবশ্যিক শর্ত কী?
➣ বচনের বিরোধিতার আবশ্যিক শর্ত হল— বিরোধী বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয় অভিন্ন হবে এবং গুণ ও পরিমাণ পৃথক হবে।
Q6.প্রচলিত যুক্তিবিজ্ঞানে বিরোধিতার মাপকাঠি কী?
 অভিন্ন উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচনের গুণ ও পরিমাণকেই প্রচলিত যুক্তিবিজ্ঞানে বিরোধিতার মাপকাঠি বলা হয়।
Q7.কখন দুটি বচন পরস্পরবিরোধী হয়?
অভিন্ন উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচন যখন গুণ কিংবা পরিমাণ অথবা গুণ ও পরিমাণ উভয় দিক থেকে পৃথক হয়, তখন বচন দুটি পরস্পরবিরোধী হয়।
Q8.বচনের বিরোধিতা কয় প্রকার ও কী কী?
 বচনের বিরোধিতা চার প্রকার। যথা— বিপরীত বিরোধিতা, অধীন-বিপরীত বিরোধিতা, অসম বিরোধিতা ও বিরুদ্ধ বিরোধিতা

Q9.নব্য মতে বা বুলীয় মতে, বিরোধিতা কত প্রকার ও কী কী?
 নব্য মতে, বিরোধিতা একপ্রকার এবং তা হল বিরুদ্ধ বিরোধিতা।
Q10.বিপরীত বিরোধিতা বা অতিবিষমতা কাকে বলে?
 একই উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত দুটি সামান্য বচনের মধ্যে যদি কেবল গুণের পার্থক্য থাকে, তবে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বিপরীত বিরোধিতা বলা হয় । A ও E বচনের মধ্যে এই সম্বন্ধ বর্তমান।
Q11.অধীন-বিপরীত বিরোধিতা বা অনুবিষমতা কাকে বলে?
 একই উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত দুটি বিশেষ বচনের মধ্যে যদি কেবল গুণের পার্থক্য থাকে, তবে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে অধীন-বিপরীত বিরোধিতা বলা হয়। যেমন— I ও O বচনের মধ্যে এই সম্বন্ধ বর্তমান।
Q12.বিরুদ্ধ বিরোধিতা কাকে বলে?
➣ একই উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচন যখন গুণ ও পরিমাণ উভয় দিক থেকে পৃথক হয়, তখন বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বিরুদ্ধ বিরোধিতা বলা হয়। এই সম্বন্ধে যুক্ত বচনগুলি হল A – O ও E – I।
Q13.বিরুদ্ধ বিরোধিতার মূল শর্তগুলি উল্লেখ করো।
 বিরুদ্ধ বিরোধিতার মূল শর্তগুলি হল – (১) বচন দুটির উদ্দেশ্য ও বিধেয় এক হবে। (২) বচন দুটির গুণ ও পরিমাণ-এর পার্থক্য থাকবে।
Q14.অসম বিরোধিতা কাকে বলে?
 একই উদ্দেশ্য, বিধেয় ও গুণযুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচনের মধ্যে যদি কেবল পরিমাণের পার্থক্য থাকে, তবে ওই বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে অসম বিরোধিতা বলা হয়। এই সম্বন্ধে যুক্ত বচনগুলি হল A – I ও E – O।
Q15.অধীন-বিপরীত বিরোধিতার একটি দৃষ্টান্ত দাও।
কোনো কোনো মানুষ হয় সৎ ব্যক্তি (I)।অধীন বিপরীত
কোনো কোনো মানুষ নয় সৎ ব্যক্তি (O)।) বিরোধিতা
Q16.বিরুদ্ধ বিরোধিতার দৃষ্টান্ত দাও।
➣ (১) সকল শিশু হয় সরল (A)।  বিরুদ্ধ
কোনো কোনো শিশু নয় সরল (O)। বিরোধিতা
(২) কোনো মানুষ নয় অমর (E)। বিরুদ্ধ
কোনো কোনো মানুষ হয় অমর (I)। বিরোধিতা
Q17.কোন দুটি বচনের মধ্যে অধীন-বিপরীত বিরোধিতার সম্বন্ধ রয়েছে?
 বিশেষ সদর্থক বচন (I) এবং বিশেষ নঞর্থক বচনের (O) মধ্যে।
Q18.বিপরীত বিরোধিতার সম্বন্ধযুক্ত বচনগুলি কী কী?
 বিপরীত বিরোধিতার সম্বন্ধযুক্ত বচনগুলি হল A – E বচন।
Q19.বিপরীত বিরোধিতা সম্বন্ধের একটি দৃষ্টান্ত দাও।
➣ সকল পুস্তক হয় পড়ার যোগ্য (A)। বিপরীত
কোনো পুস্তক নয় পড়ার যোগ্য (E)।  বিরোধিতা
Q20. বিরুদ্ধ বিরোধিতার একটি দৃষ্টান্ত দাও।
➣ সকল পানীয় হয় খাদ্যদ্রব্য (A)। বিরুদ্ধ
কোনো কোনো পানীয় নয় খাদ্যদ্রব্য (O)। বিরোধিতা
Q21.অসম বিরোধিতার একটি দৃষ্টান্ত দাও।
 কোনো মানুষ নয় পূর্ণ (E)।  অসম
কোনো কোনো মানুষ নয় পূর্ণ (O) ।  বিরোধিতা
Q22.বিরুদ্ধ বিরোধিতা কখন হয়? অথবা, কখন দুটি বচন পরস্পরের বিরুদ্ধ হয়?
➣ একই উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচনের যখন গুণ ও পরিমাণ উভয়ই পৃথক হয়, তখন বিরুদ্ধ বিরোধিতা হয়।
Q23.কোনো মানুষ নয় সৎ।'—অসম বিরোধী বচনটি কী হবে?
 মূল বচন : কোনো মানুষ নয় সৎ ব্যক্তি (E)।
অসম বিরোধী বচন : কোনো কোনো মানুষ নয় সৎ (O)।
Q24.বিরোধানুমান কাকে বলে?
বিরোধিতার সম্বন্ধে যুক্ত দুটি বচনের মধ্যে একটির সত্য বা মিথ্যার উপর ভিত্তি করে অন্য বচনটির সত্য বা মিথ্যার অনুমানকে বিরোধানুমান বলা হয়।
Q25.বিরোধানুমানকে কোন ধরনের অনুমান বলা হয়?
 বিরোধানুমানকে অবরোহমূলক অমাধ্যম অনুমান বলা হয়।
Q26.অতিবর্তী বচন কাকে বলে?
➣ বিপরীত বিরোধিতার ক্ষেত্রে সামান্য বচনকে (A, E) বলা হয় অতিবর্তী বচন।
Q27.অসম বিরোধিতার সত্যতার নিয়মটি লেখো।
 অসম বিরোধিতার ক্ষেত্রে সামান্য বচনটি সত্য হলে বিশেষ বচনটিও সত্য হবে। কিন্তু এর বিপরীত কথা সত্য নয়। আবার বিশেষ বচনটি মিথ্যা হলে সামান্য বচনটিও মিথ্যা হবে কিন্তু এর বিপরীত কথা সত্য নয়।


৪. অমাধ্যম অনুমান প্র্যাকটিস সেট 

Q1.অবরোহ অনুমান কত প্রকার ও কী কী?
➣ অবরোহ অনুমান দুই প্রকার– (১) অমাধ্যম অনুমান এবং (২) মাধ্যম অনুমান।
Q2.অমাধ্যম অনুমান কাকে বলে?
 ➣যে অবরোহ অনুমানে সিদ্ধান্তটি একটিমাত্র হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, তাকে অমাধ্যম অনুমান বলে।
Q3.অমাধ্যম অনুমানের একটি উদাহরণ দাও।
➣ অমাধ্যম অনুমানের একটি উদাহরণ :
বিবর্তনীয়—সকল মানুষ হয় চোর (A)।
বিবর্তিত—কোনো মানুষ নয় অ-চোর (E)।
Q4.মাধ্যম অনুমান কাকে বলে?
➣ যে অবরোহ অনুমানে সিদ্ধান্তটি একাধিক হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, তাকে মাধ্যম অনুমান বলে।
Q5.আবর্তন কাকে বলে?
➣ যে অমাধ্যম অনুমানে একটি বচনের গুণ অপরিবর্তিত রেখে উদ্দেশ্য ও বিধেয়কে ন্যায়সংগতভাবে যথাক্রমে অন্য একটি বচনের বিধেয় ও উদ্দেশ্যে পরিণত করা হয়, তাকে আবর্তন বলে।
Q6.অমাধ্যম অনুমানের দুটি প্রকারের নাম লেখো।
➣ অমাধ্যম অনুমানের দুটি প্রকার হল – (ক) আবর্তন ও (খ) বিবর্তন।
Q7.আবর্তনকে অমাধ্যম অনুমান বলা হয় কেন?
➣ আবর্তনের ক্ষেত্রে একটিমাত্র আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়। এই কারণে একে অমাধ্যম অনুমান বলা হয়।
Q8.আবর্তনের চতুর্থ নিয়মটি কী?
➣ আবর্তনের চতুর্থ নিয়মটি হল—এই নিয়মানুসারে যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি সেই পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না।
Q9.আবর্তনের গুণ সংক্রান্ত নিয়মটি কী?
➣ আবর্তনের গুণের নিয়মটি হল— আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণের কোনো পরিবর্তন হবে না। অর্থাৎ আশ্রয়বাক্য যদি সদর্থক হয়, সিদ্ধান্তও সদর্থক হবে এবং আশ্রয়বাক্য যদি নঞর্থক হয় তাহলে সিদ্ধান্তও নঞর্থক হবে।
Q10.আবর্তনের ব্যাপ্যতা সংক্রান্ত নিয়মটি কী?
➣ আবর্তনের ব্যাপ্যতা সংক্রান্ত নিয়মটি হল— যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সেই পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না।
Q11.আবর্তনের যে-কোনো দুটি নিয়ম উল্লেখ করো।
অথবা,আবর্তনের বৈধতার দুটি নিয়ম লেখো।
➣ আবর্তনের বৈধতার দুটি নিয়ম হল— (১) আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ অভিন্ন হবে। (২) যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য নয় সেই পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না।
Q12.আবর্তন কত প্রকার ও কী কী?
➣ আবর্তন দুই প্রকার – (১) সরল আবর্তন এবং (২) অ-সরল আবর্তন।
Q13.সরল আবর্তন কাকে বলে?
অথবা,সম-আবর্তন কাকে বলে?
➣ যে আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ ও পরিমাণ অভিন্ন রেখে উদ্দেশ্য ও বিধেয়কে ন্যায়সংগতভাবে স্থানপরিবর্তন করা হয়, তাকে সরল আবর্তন বলা হয়। E এবং I বচনের সরল আবর্তন সম্ভব।
Q14.একটি সরল আবর্তনের উদাহরণ দাও।
➣ একটি সরল আবর্তনের উদাহরণ হল—
আবর্তনীয় : সকল পুস্তক হয় গ্রন্থ (A)।
আবর্তিত : সকল গ্রন্থ হয় পস্তক (A)।
Q15.অ-সরল আবর্তন কাকে বলে?
➣ যে আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ অভিন্ন রেখে পরিমাণ এবং উদ্দেশ্য ও বিধেয়কে ন্যায়সংগতভাবে স্থানপরিবর্তন করা হয়, তাকে অ-সরল আবর্তন বলা হয়। A বচনের আবর্তন হল অ-সরল আবর্তন।
Q16.অসম বা সীমিত আবর্তন কাকে বলে?
➣ যে আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ পৃথক পৃথক হয়, তাকে অসম বা সীমিত আবর্তন বলে। A বচনের আবর্তন হল অসম আবর্তন।
Q17.অসম বা অ-সরল আবর্তনের একটি উদাহরণ দাও।
➣ অসম বা অ-সরল আবর্তনের একটি উদাহরণ হল—
আবর্তনীয় : সকল মানুষ হয় সুখী প্রাণী (A)।
আবর্তিত : কোনো কোনো সুখী প্রাণী হয় মানুষ (I) ।
Q18.বিবর্তনকে অমাধ্যম অনুমান বলা হয় কেন?
➣ বিবর্তনের ক্ষেত্রে একটিমাত্র আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়। এই কারণে বিবর্তনকে অমাধ্যম অনুমান বলা হয়।
Q19.বিপরীত পদ কী?
➣ কোনো পদের বিপরীত অর্থযুক্ত পদকে তার বিপরীত পদ বলে। বিপরীত পদ হল এমন দুটি পদ, যে দুটি পদকে যুক্ত করলে নির্দেশিত ব্যক্তি বা বস্তুর সমগ্র শ্রেণিকে পাওয়া যায় না। যেমন—সাদা ও কালো।
Q20.অমানুষ কবি নেই।' —বচনটির বিবর্তন করো।
➣মূল বচন বা বিবর্তনীয় :
    কোনো কবি নয় অমানুষ (E)।
    বিবর্তিত : সকল কবি হয় মানুষ (A)।

৬. প্রাকল্পিক ও বৈকল্পিক ন্যায়

Q1. বৈধতা/অবৈধতা নির্ণয় করো :
 হয় পাখিটি কাক অথবা কোকিল।
পাখিটি কাক নয় কারণ পাখিটি কোকিল।
➣ হয় পাখিটি কাক অথবা কোকিল।
    পাখিটি কোকিল৷
.:. পাখিটি কাক নয়।
যুক্তিটি বৈধ, এটি বৈকল্পিক ন্যায়।
Q2. বৈধতা / অবৈধতা নির্ণয় করো।
যদি লক্ বস্তুবাদী হন তবে তিনি দার্শনিক।
লক্‌ দার্শনিক।
সুতরাং তিনি বস্তুবাদী।
➣ যুক্তিটি অবৈধ, কারণ এটি অনুগ স্বীকারজনিত দোষে দুষ্ট।
Q3. প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়ে বৈধতার একটি নিয়ম লেখো।
➣ প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়ে বৈধতার একটি নিয়ম হল— অপ্রধান হেতুবাক্যে পূর্বগকে স্বীকার করে সিদ্ধান্তে অনুগকে স্বীকার করতে হয়।
Q4.গঠনমূলক প্রাকল্পিক ন্যায় কখন বৈধ হয়?
 ➣ গঠনমূলক প্রাকল্পিক ন্যায়ে যখন পূর্বগকে অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে এবং অনুগকে সিদ্ধান্তে স্বীকার করা হয়, তখন যুক্তিটি বৈধ হয়।
Q5.সাপেক্ষ বা যৌগিক যুক্তি কাকে বলে?
➣যে যুক্তিতে অন্তত একটি অবয়ব সাপেক্ষ বা যৌগিক বচন তাকে সাপেক্ষ যুক্তি বলা হয়।
Q6.প্রাকল্পিক বচন কাকে বলে?
➣ যে সাপেক্ষ বচনে অঙ্গবাক্যগুলি ‘যদি-তাহলে’ সংযোজক দ্বারা যুক্ত হয়, তাকে প্রাকল্পিক বচন বলে।
Q7.প্রাকল্পিক বচনের অনুগ কাকে বলে?
➣ প্রাকল্পিক বচনের তবে বা তাহলে-র পরবর্তী অংশকে প্রাকল্পিক বচনের অনুগ বলা হয়।

No comments

Hi Welcome ....