এতোয়া মুন্ডার কাহিনি লেখিকা পরিচিতি : বাংলাদেশের ঢাকা শহরে মহাশ্বেতা দেবী ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছি...
এতোয়া মুন্ডার কাহিনি লেখিকা পরিচিতি :
বাংলাদেশের ঢাকা শহরে মহাশ্বেতা দেবী ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মণীশ ঘটক (যুবনাশ্ব) এবং মা ধরিত্রী দেবী। বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক ছিলেন তাঁর কাকা। প্রথমে রাজশাহিতে ও পরে কলকাতার আশুতোষ কলেজে ও বিশ্বভারতীতে তিনি উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ পাস করেন। মহাশ্বেতা দেবী নানান পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মহাশ্বেতা দেবী ইতিহাসের প্রখ্যাত অধ্যাপিকা ছিলেন। তিনি সাংবাদিক হিসেবে বহুদিন পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ‘অরণ্যের অধিকার’ গ্রন্থটি রচনা করে ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলির মধ্যে ঝাঁসির রানি, হাজার চুরাশির মা, রুদালি, অগ্নিগর্ভ, ধানের শীষে শিশির ইত্যাদি বিখ্যাত তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থের মধ্যে গল্পের গোরু ন্যাদোশ, এককড়ির সাধ, এতোয়া মুন্ডার যুদ্ধজয় ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তিনি সেবামূলক কাজের জন্য ম্যাগসেসাই পুরস্কার পেয়েছেন। সামাজিক দিক থেকে অনগ্রসর, অবহেলিত মানুষদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য তিনি নিরলস প্রয়াস চালিয়েছেন। ছোটোদের লেখাতেও তাঁর কৃতিত্ব যথেষ্ট। জিম করবেটের লেখা শিকার কাহিনিরও তিনি অনুবাদ করেছেন। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুলাই বিখ্যাত এই লেখিকার জীবনাবসান হয়।
এতোয়া মুন্ডার কাহিনি গল্পটির বিষয়বস্তু :
এতোয়া মুন্ডার কাহিনি নিয়ে এই গল্পটি রচিত হয়েছে। এখানে সর্দার মঙ্গল তাঁর দশ বছরের নাতি এতোয়াকে আদি পুরুষদের জীবনযাত্রা শুনিয়েছেন। সাঁওতালদের যেমন হুল বিদ্রোহ, তেমন মুন্ডাদের বিদ্রোহের নাম উলগুলান। সিধু কানু যেমন সাঁওতালদের হয়ে সাহেবদের বিরুদ্ধে ভীষণ যুদ্ধ করেছেন, তেমনি বিরসা মুন্ডাও সকল মুন্ডাদের একত্রিত করে সাহেবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। এসব আদিবাসী যুদ্ধে হেরে গেলেও এদের বীরত্বের উজ্জ্বল পরিচয় রয়েছে। সাহেবরা যুদ্ধ জয় করে কেমন ভাবে আধিপত্য বিস্তার করল এই কাহিনিতে সেই কথাই সর্দার মঙ্গল নাতি এতোয়াকে শুনিয়ে চলেছেন।
ছোটোনাগপুরের সুবর্ণরেখা ছাড়িয়ে ডুলং নদী পার হয়ে এতোয়াদের বাস। তাদের মধ্যে মুন্ডারা যেমন আছে, তেমন সাঁওতাল, লোধা এরাও রয়েছে। এদের গ্রামদেবতার নাম গরান। এদের জীবনযাত্রা অত্যন্ত সরল। আগেকার দিনে এসব উপজাতিদের মধ্যে লেখাপড়ার বালাই ছিল না। মাঠের কাজ, অন্যের গোরু চরানো, এই সবই ছিল এদের কাজ। সাহেবরা আসার আগে গ্রামের নাম শালগেড়িয়া ছিল, পরে নাম পালটে যায়। এরকম অনেক গ্রামের নাম পালটে যায়। শুধু সর্দার মঙ্গল, অন্ধ ভজন ভুক্তা এদের মুখেই এতোয়া আগেকার দিনের গল্প শোনে। এখন এই গ্রামের উন্নতি হয়েছে, ইস্কুল বসেছে। সাঁওতাল মাস্টার খুব ভালো। তিনি ইস্কুলের ছেলেমেয়েদের পড়ান, গ্রামের ছেলেমেয়েরা এখন ইস্কুলে যেতে শিখেছে। তবুও অন্ধ বুড়ো ভজন ভুক্তার মতো লোধা সেই হাতিঘর গ্রামের পুরোনো স্মৃতি ধরে রেখেছে। সে শূরবীর নামে এক আদিবাসী রাজার গল্প বলে। সুবর্ণরেখার নদীর মধ্যে সোনার রেণু থাকার কাহিনি শোনায়, সাহেবদের সঙ্গে তিরধনুক আর বন্দুকের মধ্যে ১৮৫৭-৫৮-র ভীষণ যুদ্ধ নিয়ে গর্ব করে, এতোয়া শুনে চলে। গ্রামের নতুন ইস্কুলে সে যাবে বলে মনে করে।
বাংলাদেশের ঢাকা শহরে মহাশ্বেতা দেবী ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মণীশ ঘটক (যুবনাশ্ব) এবং মা ধরিত্রী দেবী। বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক ছিলেন তাঁর কাকা। প্রথমে রাজশাহিতে ও পরে কলকাতার আশুতোষ কলেজে ও বিশ্বভারতীতে তিনি উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ পাস করেন। মহাশ্বেতা দেবী নানান পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মহাশ্বেতা দেবী ইতিহাসের প্রখ্যাত অধ্যাপিকা ছিলেন। তিনি সাংবাদিক হিসেবে বহুদিন পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ‘অরণ্যের অধিকার’ গ্রন্থটি রচনা করে ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলির মধ্যে ঝাঁসির রানি, হাজার চুরাশির মা, রুদালি, অগ্নিগর্ভ, ধানের শীষে শিশির ইত্যাদি বিখ্যাত তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থের মধ্যে গল্পের গোরু ন্যাদোশ, এককড়ির সাধ, এতোয়া মুন্ডার যুদ্ধজয় ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তিনি সেবামূলক কাজের জন্য ম্যাগসেসাই পুরস্কার পেয়েছেন। সামাজিক দিক থেকে অনগ্রসর, অবহেলিত মানুষদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য তিনি নিরলস প্রয়াস চালিয়েছেন। ছোটোদের লেখাতেও তাঁর কৃতিত্ব যথেষ্ট। জিম করবেটের লেখা শিকার কাহিনিরও তিনি অনুবাদ করেছেন। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুলাই বিখ্যাত এই লেখিকার জীবনাবসান হয়।
এতোয়া মুন্ডার কাহিনি গল্পটির বিষয়বস্তু :
এতোয়া মুন্ডার কাহিনি নিয়ে এই গল্পটি রচিত হয়েছে। এখানে সর্দার মঙ্গল তাঁর দশ বছরের নাতি এতোয়াকে আদি পুরুষদের জীবনযাত্রা শুনিয়েছেন। সাঁওতালদের যেমন হুল বিদ্রোহ, তেমন মুন্ডাদের বিদ্রোহের নাম উলগুলান। সিধু কানু যেমন সাঁওতালদের হয়ে সাহেবদের বিরুদ্ধে ভীষণ যুদ্ধ করেছেন, তেমনি বিরসা মুন্ডাও সকল মুন্ডাদের একত্রিত করে সাহেবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। এসব আদিবাসী যুদ্ধে হেরে গেলেও এদের বীরত্বের উজ্জ্বল পরিচয় রয়েছে। সাহেবরা যুদ্ধ জয় করে কেমন ভাবে আধিপত্য বিস্তার করল এই কাহিনিতে সেই কথাই সর্দার মঙ্গল নাতি এতোয়াকে শুনিয়ে চলেছেন।
ছোটোনাগপুরের সুবর্ণরেখা ছাড়িয়ে ডুলং নদী পার হয়ে এতোয়াদের বাস। তাদের মধ্যে মুন্ডারা যেমন আছে, তেমন সাঁওতাল, লোধা এরাও রয়েছে। এদের গ্রামদেবতার নাম গরান। এদের জীবনযাত্রা অত্যন্ত সরল। আগেকার দিনে এসব উপজাতিদের মধ্যে লেখাপড়ার বালাই ছিল না। মাঠের কাজ, অন্যের গোরু চরানো, এই সবই ছিল এদের কাজ। সাহেবরা আসার আগে গ্রামের নাম শালগেড়িয়া ছিল, পরে নাম পালটে যায়। এরকম অনেক গ্রামের নাম পালটে যায়। শুধু সর্দার মঙ্গল, অন্ধ ভজন ভুক্তা এদের মুখেই এতোয়া আগেকার দিনের গল্প শোনে। এখন এই গ্রামের উন্নতি হয়েছে, ইস্কুল বসেছে। সাঁওতাল মাস্টার খুব ভালো। তিনি ইস্কুলের ছেলেমেয়েদের পড়ান, গ্রামের ছেলেমেয়েরা এখন ইস্কুলে যেতে শিখেছে। তবুও অন্ধ বুড়ো ভজন ভুক্তার মতো লোধা সেই হাতিঘর গ্রামের পুরোনো স্মৃতি ধরে রেখেছে। সে শূরবীর নামে এক আদিবাসী রাজার গল্প বলে। সুবর্ণরেখার নদীর মধ্যে সোনার রেণু থাকার কাহিনি শোনায়, সাহেবদের সঙ্গে তিরধনুক আর বন্দুকের মধ্যে ১৮৫৭-৫৮-র ভীষণ যুদ্ধ নিয়ে গর্ব করে, এতোয়া শুনে চলে। গ্রামের নতুন ইস্কুলে সে যাবে বলে মনে করে।
❒ আরো পড়ুন : পঞ্চম শ্রেণি
পাতাবাহার বাংলা প্রশ্নোত্তর

এতোয়া মুন্ডার কাহিনী প্রশ্ন উত্তর
হাতেকলমে প্রশ্নোত্তর :
১. ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ গ্রামটার আদি নাম ছিল (শালগাড়া/হাতিঘর/হাতিবাড়ি/শালগেড়িয়া)।
উত্তর : গ্রামটার আদি নাম ছিল শালগেড়িয়া।
১.২ মোতি বাবু ছিলেন গ্রামের (আদিপুরুষ/ভগবান/জমিদার/মাস্টার)।
উত্তর : মোতি বাবু ছিলেন গ্রামের জমিদার।
১.৩ ‘এতোয়া’ শব্দটির অর্থ (রবিবার/সোমবার/বুধবার/ছুটির দিন)।
উত্তর : ‘এতোয়া’ শব্দটির অর্থ রবিবার।
১.৪ শুরবীর ছিলেন একজন (সর্দার/আদিবাসী রাজা/ বনজীবী/যাত্রাশিল্পী)।
উত্তর : শূরবীর ছিলেন একজন আদিবাসী রাজা।
১.৫ ভুলং, সুবর্ণরেখা নামগুলি (পাহাড়ের/ঝর্নার/নদীর/গাছের)।
উত্তর : ডুলং, সুবর্ণরেখা নামগুলি নদীর।
২. উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে বাক্যটি সম্পূর্ণ করো :
২.১ আর হাতিশালাটা ছিল পাথরের।
২.২ এতোয়ার দাদু বলে এক সময় একটা ছিল আদিবাসী গ্রাম।
২.৩ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায়।
২.৪ তবে জঙ্গল তো মা।
২.৫ প্রাইমারি স্কুলের চালাঘরের কোল দিয়ে পথ।
৩. অর্থ লেখো :
গর্জন—উচ্চ গম্ভীর আওয়াজ।
১. ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ গ্রামটার আদি নাম ছিল (শালগাড়া/হাতিঘর/হাতিবাড়ি/শালগেড়িয়া)।
উত্তর : গ্রামটার আদি নাম ছিল শালগেড়িয়া।
১.২ মোতি বাবু ছিলেন গ্রামের (আদিপুরুষ/ভগবান/জমিদার/মাস্টার)।
উত্তর : মোতি বাবু ছিলেন গ্রামের জমিদার।
১.৩ ‘এতোয়া’ শব্দটির অর্থ (রবিবার/সোমবার/বুধবার/ছুটির দিন)।
উত্তর : ‘এতোয়া’ শব্দটির অর্থ রবিবার।
১.৪ শুরবীর ছিলেন একজন (সর্দার/আদিবাসী রাজা/ বনজীবী/যাত্রাশিল্পী)।
উত্তর : শূরবীর ছিলেন একজন আদিবাসী রাজা।
১.৫ ভুলং, সুবর্ণরেখা নামগুলি (পাহাড়ের/ঝর্নার/নদীর/গাছের)।
উত্তর : ডুলং, সুবর্ণরেখা নামগুলি নদীর।
২. উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে বাক্যটি সম্পূর্ণ করো :
২.১ আর হাতিশালাটা ছিল পাথরের।
২.২ এতোয়ার দাদু বলে এক সময় একটা ছিল আদিবাসী গ্রাম।
২.৩ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায়।
২.৪ তবে জঙ্গল তো মা।
২.৫ প্রাইমারি স্কুলের চালাঘরের কোল দিয়ে পথ।
৩. অর্থ লেখো :
গর্জন—উচ্চ গম্ভীর আওয়াজ।
বাগাল—রাখাল।
গুঞ্জন — গুনগুন শব্দ।
দুলন্ত—দুলছে যা।
গোড়া—মূল ।
৪. বিপরীতার্থক লেখো :
পূর্বপুরুষ—উত্তরপুরুষ।
আদি—অন্ত।
কচি—পুরুষ্ট।
শুকনো—ভিজে।
বিশ্বাস-অবিশ্বাস।
৫. সমার্থক শব্দ লেখো :
জল—সলিল, বারি, নীর, অপ্।
নদী—স্রোতস্বিনী, তটিনী, তরঙ্গিণী।
সমুদ্দুর— জলধি, সাগর, বারিধি, সিন্ধু।
জঙ্গল—বন, অরণ্য, বিটপী।
উলগুলান—বিদ্রোহ, যুদ্ধ।
৬. ক্রিয়াগুলির নীচে দাগ দাও :
৬.১ সাবু আর শাল গাছের পাঁচিল যেন পাহারা দিত গ্রামকে।
৬.২ এখন কেউ চাঁদ দিয়ে বছর হিসাব করে?
৬.৩ ছোটোনাগপুর ছাড়লাম।
৬.৪ জঙ্গল নষ্ট করি নাই।
৬.৫ যে বাঁচায় তাকে কেউ মারে?
৭. দুটি বাক্যে ভেঙে লেখো :
৭.১ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায়।
উত্তর: গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল। সে নাতিটার দিকে তাকায়।
৭.২ হাতিশালাটায় দেয়াল তুলে ওটা এখন ধান রাখার গোলাঘর
উত্তর : হাতিশালাটায় দেয়াল তোলা হয়েছে। ওটা এখন ধান রাখার গোলাঘর।
৭.৩ আমাদের কালে, সেই জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যাও, তবে পাঠশালা।
উত্তর : আমাদের কালে, সেই জঙ্গল দিয়ে যেতে হত। চার মাইল গেলে তবে পাঠশালা।
৭.৪ এখন ও লাফায় আর নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল, আকাশ সকলকে ডেকে বলে, সে কী ভীষণ যুদ্ধ!
উত্তরঃ এখন ও লাফায়। নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল, আকাশ সকলকে ডেকে বলে, সে কী ভীষণ যুদ্ধ!
৭.৫ ডলং ও সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়, বয়ে যায়।
উত্তর : ডলং ও সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়। তারা বয়ে যায়।
৮. বাক্যরচনা করো :
- পাঁচিল—–চিনের পাঁচিল পৃথিবীতে সবচেয়ে লম্বা।
- চাঁদ—পূর্ণিমার রাতে চাঁদটা খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।
- দেশ—যার যার নিজের দেশ তার কাছে ভীষণ আপন।
- মানুষ—ভারতবর্ষে এমন কিছু কিছু মানুষ ছিলেন যারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক।
- জঙ্গল—সুন্দরবনের জঙ্গল বিশ্ব ঐতিহ্য তকমা পেয়েছে।
৯.২ কচি ছেলে, কিছুই জানে না।
উত্তর : না বাচক বাক্য।
৯.৩ সে যেন গেরুয়া জলের সমুদ্দুর।
৯.৩ সে যেন গেরুয়া জলের সমুদ্দুর।
উত্তর : হ্যাঁ বাচক বাক্য।
৯.৪ নামটা বদলে গেল কেন গো?
৯.৪ নামটা বদলে গেল কেন গো?
উত্তর : প্রশ্নসূচক বাক্য।
৯.৫ কী যুদ্ধ, কী যুদ্ধ!
৯.৫ কী যুদ্ধ, কী যুদ্ধ!
উত্তর : বিস্ময়বোধক বাক্য।
১০. কোনটি কোন শব্দ, ঝুড়ি থেকে বেছে নিয়ে আলাদা করে লেখো :
বিশেষ্য | বিশেষণ | সর্বনাম | অব্যয় | ক্রিয়া |
---|---|---|---|---|
শিকার | মস্ত | আমাদের | ও | চরায় |
লড়াই | বুড়ো | তুই | রাখে | |
ভীষণ | সে | ওঠে | ||
ঝাঁকড়া | ||||
ছোট্ট | ||||
সরু | ||||
ধারালো |
১১. নিম্নলিখিত প্রতিটি ক্ষেত্রে দুটি বাক্যকে জুড়ে একটি বাক্য লেখো :
(একটি করে দেওয়া হল)
১১.১ কী গল্পই বললে আজ দাদু। সবাই শুনছিল গো!
(দাদু আজ এমন গল্প বললে যে সবাই শুনছিল গো!)
১১.২ এতোয়া রে! ছেলে তুই বড্ড ভালো।
উত্তর : এতোয়া তুই বড্ড ভালো ছেলে।
১১.৩ তুই বড্ড বসি এতোয়া। তোর বাপেরও এতো কথা শুধাবার সাহস হতো না।
উত্তর : এতোয়ার মতো এত কথা শুধাবার সাহস তার বাপেরও হত না।
১১.৪ বাবুরা এল। আমাদের সব নিয়ে নিল।
১১.১ কী গল্পই বললে আজ দাদু। সবাই শুনছিল গো!
(দাদু আজ এমন গল্প বললে যে সবাই শুনছিল গো!)
১১.২ এতোয়া রে! ছেলে তুই বড্ড ভালো।
উত্তর : এতোয়া তুই বড্ড ভালো ছেলে।
১১.৩ তুই বড্ড বসি এতোয়া। তোর বাপেরও এতো কথা শুধাবার সাহস হতো না।
উত্তর : এতোয়ার মতো এত কথা শুধাবার সাহস তার বাপেরও হত না।
১১.৪ বাবুরা এল। আমাদের সব নিয়ে নিল।
উত্তর : বাবুরা এসে আমাদের সব নিয়ে নিল।
১১.৫ আদিবাসী আসছে। মানুষ বাড়ছে।
উত্তর : আদিবাসী আসায় মানুষ বাড়ছে।
১১.৫ আদিবাসী আসছে। মানুষ বাড়ছে।
উত্তর : আদিবাসী আসায় মানুষ বাড়ছে।
১২. এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি করো :
- দিসীআবা—আদিবাসী,
- বখারের্ণসু—সুবর্ণরেখা,
- গাংড়ারদ দরংগাড়া,
- টিড়াপোমা —–পোড়ামাটি,
- ষপুদিরুআ – আদিপুরুষ
১৩. এলেমেলো শব্দগুলি সাজিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি করো :
১৩.১ ছাগল কাজ গোরু ওর চরানো।
১৩.১ ছাগল কাজ গোরু ওর চরানো।
উত্তর : ওর কাজ গোরু ছাগল চরানো।
১৩.২ তির শনশন তারা তখন ছোঁড়ে।
১৩.২ তির শনশন তারা তখন ছোঁড়ে।
উত্তর : তারা তখন শনশন তির ছোঁড়ে।
১৩.৩ আগে হাজার চাঁদ হাজার।
১৩.৩ আগে হাজার চাঁদ হাজার।
উত্তর : হাজার হাজার চাঁদ আগে।
১৩.৪ ছিল পাথরের হাতিশালাটা আর।
উত্তর : আর ছিল পাথরের হাতিশালাটা।
১৩.৫ সপ্তাহে হাট প্রতি বসে তো গ্রামে।
১৩.৪ ছিল পাথরের হাতিশালাটা আর।
উত্তর : আর ছিল পাথরের হাতিশালাটা।
১৩.৫ সপ্তাহে হাট প্রতি বসে তো গ্রামে।
উত্তর : গ্রামে তো প্রতি সপ্তাহে হাট বসে।
১৪.১ লেখালেখি ছাড়াও আর কী কী কাজ মহাশ্বেতা দেবী করেছেন?
উত্তর : মহাশ্বেতা দেবী লেখালেখি ছাড়াও সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি অধ্যাপিকাও ছিলেন।
১৪.২ আদিবাসী জীবন নিয়ে লেখা তাঁর একটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : আদিবাসী জীবন নিয়ে লেখা তাঁর একটি বইয়ের নাম ‘এতোয়া মুক্তার যুদ্ধজয়'।
১৪.৩ ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম ‘গল্পের গোরু ন্যাদোশ’।
১৪.১ লেখালেখি ছাড়াও আর কী কী কাজ মহাশ্বেতা দেবী করেছেন?
উত্তর : মহাশ্বেতা দেবী লেখালেখি ছাড়াও সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি অধ্যাপিকাও ছিলেন।
১৪.২ আদিবাসী জীবন নিয়ে লেখা তাঁর একটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : আদিবাসী জীবন নিয়ে লেখা তাঁর একটি বইয়ের নাম ‘এতোয়া মুক্তার যুদ্ধজয়'।
১৪.৩ ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম ‘গল্পের গোরু ন্যাদোশ’।
১৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৫.১ ‘সেও এক ভীষণ যুদ্ধ’—কোন্ যুদ্ধের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর : সিধু কানু যখন সাঁওতালদের নিয়ে ১৮৫৫ সালে সাহেবদের সঙ্গে যুদ্ধে নামল, সেটা ছিল ভীষণ যুদ্ধ। সেই যুদ্ধের কথা এখানে বলা হয়েছে।
১৫.২ গাঁয়ের নাম হাতিঘর হল কেন?
উত্তর : মোতিবাবুর পূর্বপুরুষ মস্ত বড়ো জমিদার ছিলেন। তাঁদের হাতি ছিল, হাতিশালাটা পাথরের তৈরি ছিল। তখন থেকেই গ্রামটির নাম হাতিঘর ছিল।
১৫.৩ ভজন ভুক্তা এতোয়াকে কী বলত?
উত্তরঃভজন ভুক্তা এতোয়াকে বাছা বলত।
১৫.৪ হাতিঘর-এ কেমন ভাবে যাবে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর : হাতিঘর যেতে হাওড়া থেকে খড়্গপুরে নেমে বাসে করে গুপ্তমণি মন্দিরে বড়াম দেবীর মন্দিরের কাছে নামতে হবে। সেখান থেকে বাসে রোহিণীতে নামতে হবে। রোহিণী থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে সাত-আট মাইল হাঁটলে হাতিঘরে পৌঁছোনো যায়।
১৫.৫ এতোয়া নামটি কেন হয়েছিল?
১৫.৪ হাতিঘর-এ কেমন ভাবে যাবে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর : হাতিঘর যেতে হাওড়া থেকে খড়্গপুরে নেমে বাসে করে গুপ্তমণি মন্দিরে বড়াম দেবীর মন্দিরের কাছে নামতে হবে। সেখান থেকে বাসে রোহিণীতে নামতে হবে। রোহিণী থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে সাত-আট মাইল হাঁটলে হাতিঘরে পৌঁছোনো যায়।
১৫.৫ এতোয়া নামটি কেন হয়েছিল?
উত্তর : এতোয়া নামটি রবিবারে জন্মানোর জন্য হয়েছিল। ঠাকুর্দা নামটি রেখেছিলেন।
১৫.৬ এতোয়ার রোজকার কাজের বর্ণনা দাও।
উত্তর : এতোয়া রোজ গোরু, ছাগল, মোষ চরায়। তার প্রিয় মোষটির পিঠে চেপে সে গেরুয়া সমুদ্র পেরিয়ে চলে যায়। সে যেন এক দুরন্ত বাচ্চা ঘোড়া। ঠাকুরদার জন্য সে শুকনো ডাল, শুকনো পাতা, জ্বালানি ধরাবে বলে কুড়িয়ে আনে। প্রতি সপ্তাহে হাটের দোকানে ঝাঁটপাট দেয়। আম বাগানে বাবুর গোরু চরাতে চরাতে টোকো আম, মেটে আলু, শুকনো কাঠ কুড়িয়ে নেয়। ঘন সবুজ ঘাসবনে গোরু মোষ ছেড়ে দিয়ে ডুলং নদীর ধারে বসে। নিজের বাঁশে বোনা জালটা সুবর্ণরেখা নদীতে ফেলে মাছ ধরে।
১৫.৭ ‘এখন গ্রামে ইস্কুল, তবু...'—বক্তা কে? আগে কী ছিল?
উত্তর : বক্তা সাঁওতাল মাস্টার। আগেকার দিনে ইস্কুল যেতে হলে জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যেতে হত, তবে পাঠশালায় যেতে পারত। কারণ তখন ধারেকাছে কোনো ইস্কুল ছিল না।
১৬. বাঁদিকের শব্দের সঙ্গে মিল আছে এমন ডানদিকের শব্দ খোঁজো :

১৭. সংকেতটি অনুসরণ করে একটি গল্প বানাও :
উত্তর : নদীর পাড়ে সূর্য অস্ত গেল। কোনো গ্রামে মাদল বাজছে। পরব এসে গেল। এখানে সব ইস্কুলে ছুটি পড়ে গেছে। এবারের ছুটিতে আমরা বন্ধুরা মিলে বিষ্ণুপুর যাব ঠিক করেছি। শ্যাম বলল, বিষুপুরে আমার মামার বাড়ি। আমি খুব ছোটোবেলায় গিয়েছি। একটা সাঁকো পার হতে হয়। সাঁকোর গায়ে যে বাঁধ রয়েছে তার নাম লালবাঁধ। শোনা যায়, সেই লালবাঁধে বর্গিদের তাড়াতে গিয়ে দলমাদল কামান ব্যবহার করেছিলেন মন্দিরের দেবতা মদনমোহন। বিশাল সেই কামান দেখে বর্গিরা ভয়ে পালিয়ে যায়। ঠাকুর মদনমোহন তারপর সেই দলমাদল কামানটি লালবাঁধে ফেলে রেখে মন্দিরে চলে যান। সেই দলমাদল কামানটা এখন সরকার তুলে সংরক্ষণ করে রেখেছে। খুব বড়ো কামান। আমরা সেটা গিয়ে দেখব
সমর বলল, আমি একবার টুরিস্টদের সঙ্গে বিষুপুর গিয়েছিলাম। বিষুপুরে রাসমঞ এখনও অনেকে দেখতে যায়। প্রাচীন লোকে বিষুপুরকে গুপ্ত বৃন্দাবন বলে। বিষ্ণুপুরের মদনমোহন ঠাকুরের মন্দির দেখতে খুব সুন্দর। পোড়ামাটির কাজ বিষুপুরের মতো সুন্দর অন্য কোথাও নেই। মহিমা চেঁচিয়ে সকলকে বলল, আমিও যাব। পুজোর ছুটিটা আমরা সকলে ওখানে গিয়ে কাটিয়ে আসব।
পাখির কাছে ফুলের কাছে কবি পরিচিতিঃ
কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীনই তাঁর গল্প-কবিতা ‘দৈনিক সত্যযুগ’ পত্রিকায় ছাপা হয়। দৈনিক ‘গণকণ্ঠ’ পত্রিকার তিনি সম্পাদক ছিলেন। ‘লোক-লোকান্তর ‘কলের কলম’, ‘সোনালি কাবিন’ তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। তাঁর অন্যান্য গদ্যগ্রন্থের মধ্যে ‘ডাহুকী’, ‘আগুনের মেয়ে' ‘গল্পসমগ্র’ বিখ্যাত। অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও ‘মায়াবী পর্দা দুলে ওঠা’ এবং ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ।
কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীনই তাঁর গল্প-কবিতা ‘দৈনিক সত্যযুগ’ পত্রিকায় ছাপা হয়। দৈনিক ‘গণকণ্ঠ’ পত্রিকার তিনি সম্পাদক ছিলেন। ‘লোক-লোকান্তর ‘কলের কলম’, ‘সোনালি কাবিন’ তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। তাঁর অন্যান্য গদ্যগ্রন্থের মধ্যে ‘ডাহুকী’, ‘আগুনের মেয়ে' ‘গল্পসমগ্র’ বিখ্যাত। অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও ‘মায়াবী পর্দা দুলে ওঠা’ এবং ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ।
পাখির কাছে ফুলের কাছে কবিতার বিষয়বস্তু :
নারকেল গাছের মাথার ওপরে কবি রাতেরবেলা পূর্ণিমার চাঁদ উঠতে দেখলেন। কবির মন প্রকৃতির স্নিগ্ধ পরিবেশে উতলা হল। কবি দরজা খুলে বেরোলেন। মস্ত শহরটা তখন হিমেল হাওয়ায় থরথর করে কাঁপছে। কবি প্রথমে মিনার, তারপর পাথরঘাটার গির্জা, তারপর দরগাতলা পার হয়ে যখন লালদিঘির পাড়ে এসেছেন তখন দেখলেন, জোনাকিরা একত্রে সভা করছে। দেখলেন, পাখিরা সেখানে রয়েছে, ফুল ফুটেছে তারা কলরব করে কবিকে ডাকল, কাব্য করতে বলল। কবি তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে পকেট থেকে ছড়ার বই বের করলেন। পাখির কাছে, ফুলের কাছে কবি সেই ছড়ার বই থেকে তাঁর মনের কথা শুনিয়ে চললেন।
পাখির কাছে ফুলের কাছে প্রশ্ন উত্তর
হাতেকলমে প্রশ্নোত্তর :
১. ঠিক শব্দটি/শব্দগুলি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :
১.১ জোনাকি এক ধরনের (পাখি/মাছ/পোকা/খেলনা)।
উত্তর : জোনাকি এক ধরনের পোকা।
১.২ ‘মোড়’ বলতে বোঝানো হয় (গোল/বাঁক/যোগ/চওড়া)।
উত্তর : ‘মোড়’ বলতে বোঝানো হয় বাঁক।
১.৩ ‘দরবার’ শব্দটির অর্থ হল (দরজা/সভা/দরগা/দোকান) ।
উত্তর : ‘দরবার’ শব্দটির অর্থ হল সভা।
১.৪ প্রকৃতির সুন্দর চেহারা যে অংশটিতে ফুটে উঠেছে সেটি হল—(কাব্য হবে/মোড় ফিরেছি/কালো জল/ ডাবের মতো চাঁদ উঠেছে)।
উত্তর : প্রকৃতির সুন্দর চেহারা যে অংশটিতে ফুটে উঠেছে সেটি হল ডাবের মতো চাঁদ উঠেছে।
১.৪ প্রকৃতির সুন্দর চেহারা যে অংশটিতে ফুটে উঠেছে সেটি হল—(কাব্য হবে/মোড় ফিরেছি/কালো জল/ ডাবের মতো চাঁদ উঠেছে)।
উত্তর : প্রকৃতির সুন্দর চেহারা যে অংশটিতে ফুটে উঠেছে সেটি হল ডাবের মতো চাঁদ উঠেছে।
৩. শব্দঝুড়ি থেকে নিয়ে বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো :
বিশেষ্য | বিশেষণ |
---|---|
চাঁদ | লাল |
শহর | ঠান্ডা |
জোনাকি | মস্ত |
দরগাতলা | উটকো |
কলরব | গোলগাল |
৪.১ ‘থরথর’শব্দে ‘র’ বর্ণটি দু-বার রয়েছে। এরকম ‘ল’ বর্ণটি দু-বার আছে, এমন পাঁচটি শব্দ লেখো (যেমন—টলটল):
উত্তর : গোলগাল, কলকলিয়ে, ছলছল, দলবল, হালচাল।
৪.২ ‘কাছে’ শব্দটিকে ‘নিকটে’ এবং ‘দেখা করা’ এই দুই অর্থে ব্যবহার করে দুটি বাক্যে লেখো :
উত্তর : কাছে—(নিকটে)—আমার কাছে এখন টাকাপয়সা নেই।
উত্তর : কাছে—(দেখা করা)—আমি এখন বন্ধুর কাছে যাচ্ছি।
৫. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :
৫.১ ছিটকিনিটা আস্তে খুলে পেরিয়ে গেলাম ঘর।
৫.২ নারকোলের ওই লম্বা মাথায় হঠাৎ দেখি কাল।
৫.৩ এসো, আমরা সবাই না ঘুমানোর দল।
৫.৪ কাব্য হবে, কাব্য হবে—জুড়ল কলরব।
৫.৫ পাখির কাছে, ফুলের কাছে মনের কথা কই।
৬. অর্থ লেখো :
ঝিমধরা, উটকো, দরবার, কলরব, মিনার।
উত্তর : ঝিমধরা—অবসন্ন। উটকো—অচেনা। দরবার—সভা। কলরব—পাখিদের মিলিত রব, চিৎকার। মিনার—সৌধ।
৭. সমার্থক শব্দ লেখো :
চাঁদ, পাখি, ফুল, গাছ, জোনাকি
উত্তর : চাঁদ—শশী, পাখি—বিহঙ্গ, ফুল—পুষ্প, গাছ—উদ্ভিদ, জোনাকি—খদ্যোত।
৮. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
লম্বা, ঠান্ডা, হেসে, পদ্য, মস্ত।
উত্তর : লম্বা—বেঁটে, ঠান্ডা—গরম, হেসে—কেঁদে, পদ্য—গদ্য, মস্ত—ছোটো।
৯.১ কবি আল মাহমুদ কোন দেশের মানুষ ?
উত্তর : কবি আল মাহমুদ বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার মানুষ ছিলেন
৯.২ তিনি কোন বিখ্যাত আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন?
উত্তর : তিনি বাংলাদেশের বিখ্যাত ভাষা আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন।
৯.৩ তাঁর লেখা একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : তাঁর লেখা একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম ‘সোনালি কাবিন'।
১০. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১০.১ কবি ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন কেন?
৪.২ ‘কাছে’ শব্দটিকে ‘নিকটে’ এবং ‘দেখা করা’ এই দুই অর্থে ব্যবহার করে দুটি বাক্যে লেখো :
উত্তর : কাছে—(নিকটে)—আমার কাছে এখন টাকাপয়সা নেই।
উত্তর : কাছে—(দেখা করা)—আমি এখন বন্ধুর কাছে যাচ্ছি।
৫. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :
৫.১ ছিটকিনিটা আস্তে খুলে পেরিয়ে গেলাম ঘর।
৫.২ নারকোলের ওই লম্বা মাথায় হঠাৎ দেখি কাল।
৫.৩ এসো, আমরা সবাই না ঘুমানোর দল।
৫.৪ কাব্য হবে, কাব্য হবে—জুড়ল কলরব।
৫.৫ পাখির কাছে, ফুলের কাছে মনের কথা কই।
৬. অর্থ লেখো :
ঝিমধরা, উটকো, দরবার, কলরব, মিনার।
উত্তর : ঝিমধরা—অবসন্ন। উটকো—অচেনা। দরবার—সভা। কলরব—পাখিদের মিলিত রব, চিৎকার। মিনার—সৌধ।
৭. সমার্থক শব্দ লেখো :
চাঁদ, পাখি, ফুল, গাছ, জোনাকি
উত্তর : চাঁদ—শশী, পাখি—বিহঙ্গ, ফুল—পুষ্প, গাছ—উদ্ভিদ, জোনাকি—খদ্যোত।
৮. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
লম্বা, ঠান্ডা, হেসে, পদ্য, মস্ত।
উত্তর : লম্বা—বেঁটে, ঠান্ডা—গরম, হেসে—কেঁদে, পদ্য—গদ্য, মস্ত—ছোটো।
৯.১ কবি আল মাহমুদ কোন দেশের মানুষ ?
উত্তর : কবি আল মাহমুদ বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার মানুষ ছিলেন
৯.২ তিনি কোন বিখ্যাত আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন?
উত্তর : তিনি বাংলাদেশের বিখ্যাত ভাষা আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন।
৯.৩ তাঁর লেখা একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : তাঁর লেখা একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম ‘সোনালি কাবিন'।
১০. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১০.১ কবি ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন কেন?
উত্তর : নারকেল গাছের মাথায় চাঁদ উঠতে দেখে ঘরের ছিটকিনিটা খুলে কবি বেরিয়ে পড়েছিলেন। ঠান্ডা গোলগাল ডাবের মতো চাঁদের আলোতে প্রকৃতিকে প্রাণভরে দেখার জন্য কবি ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন।
১০.২ কবি কেন ছিটকিনিটি আস্তে খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন?
উত্তর : রাতেরবেলা বাড়ির সকলে ঘুমাচ্ছে। সে কারণেই কেউ যাতে জানতে না পারে এবং কারও যাতে অসুবিধা না হয়, সেই জন্য কবি ছিটকিনিটা আস্তে খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন।
১০.৩ বাইরে বেরিয়ে এসে কবি শহরকে কেমন অবস্থায় দেখলেন?
উত্তর : বাইরে বেরিয়ে এসে কবি মস্ত শহরটাকে যেন থরথর করে কাঁপতে দেখলেন। পাথরটা গির্জা চাঁদের আলোয় ঢেউ তুলেছে। দরগাতলা পার হয়ে তিনি যখন মোড়ের কাছে এসেছেন তখন দূরের পাহাড় যেন তাঁকে ডাকছে।
১০.৪ শহরে নেই, অথচ কবির মনে হল তিনি দেখছেন, এমন কোন কোন জিনিসের কথা কবিতায় রয়েছে?
উত্তর : শহরে নেই, অথচ কবির মনে হয়েছে তিনি দেখছেন, এরকম কয়েকটা জিনিস হল পাহাড়, লালদিঘি, পাথরঘাটা, দরগাতলা ইত্যাদি
১০.৫ সেই রাতে জেগে থাকার দলে কারা কারা ছিল? তারা কবির কাছে কী আবদার জানিয়েছিল?
উত্তর : সেই রাতে জেগে থাকার দলে কবির কাছে জোনাকির ছিল, ফুল, পাখিরা ছিল। তারা আবদার করে কবিকে কাব্য শোনাতে বলেছিল।
১০.৬ তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে কবি কী করলেন?
উত্তর : ফুল, পাখিদের আবদার শুনে কবি নিজের লেখা ছড়ার বই পকেট থেকে বের করে পাখির কাছে, ফুলের কাছে ওই ছড়াতে যেসব মনের কথা লেখা আছে, সেগুলো পড়ে শোনালেন।
১০.৭ রক্তজবার ঝোপের কাছে কাব্যের যে আসর বসেছিল, সেই পরিবেশটি কেমন, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর : রক্তজবার ঝোপের কাছে যে কাব্যের আসর বসেছিল, সেটা অত্যন্ত সুন্দর। সেই পরিবেশে আকাশে গোলগাল ডাবের মতো চাঁদ আলো দিচ্ছে। পাশে দিঘির জল টলটল করছে, জোনাকিরা ঝিকমিক করছে। ফুলেদের গন্ধ ছড়িয়েছে। রক্তজবা ঝোপে ছোটো ছোটো পাখিরা বসে কবির ছড়া শুনছে।
১০.৮ ‘চাঁদ’-কে নিয়ে তোমার পড়া বা শোনা একটি ছড়া লেখো
উত্তর : চাঁদকে নিয়ে আমার শোনা একটি ছড়া—
১০.২ কবি কেন ছিটকিনিটি আস্তে খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন?
উত্তর : রাতেরবেলা বাড়ির সকলে ঘুমাচ্ছে। সে কারণেই কেউ যাতে জানতে না পারে এবং কারও যাতে অসুবিধা না হয়, সেই জন্য কবি ছিটকিনিটা আস্তে খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন।
১০.৩ বাইরে বেরিয়ে এসে কবি শহরকে কেমন অবস্থায় দেখলেন?
উত্তর : বাইরে বেরিয়ে এসে কবি মস্ত শহরটাকে যেন থরথর করে কাঁপতে দেখলেন। পাথরটা গির্জা চাঁদের আলোয় ঢেউ তুলেছে। দরগাতলা পার হয়ে তিনি যখন মোড়ের কাছে এসেছেন তখন দূরের পাহাড় যেন তাঁকে ডাকছে।
১০.৪ শহরে নেই, অথচ কবির মনে হল তিনি দেখছেন, এমন কোন কোন জিনিসের কথা কবিতায় রয়েছে?
উত্তর : শহরে নেই, অথচ কবির মনে হয়েছে তিনি দেখছেন, এরকম কয়েকটা জিনিস হল পাহাড়, লালদিঘি, পাথরঘাটা, দরগাতলা ইত্যাদি
১০.৫ সেই রাতে জেগে থাকার দলে কারা কারা ছিল? তারা কবির কাছে কী আবদার জানিয়েছিল?
উত্তর : সেই রাতে জেগে থাকার দলে কবির কাছে জোনাকির ছিল, ফুল, পাখিরা ছিল। তারা আবদার করে কবিকে কাব্য শোনাতে বলেছিল।
১০.৬ তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে কবি কী করলেন?
উত্তর : ফুল, পাখিদের আবদার শুনে কবি নিজের লেখা ছড়ার বই পকেট থেকে বের করে পাখির কাছে, ফুলের কাছে ওই ছড়াতে যেসব মনের কথা লেখা আছে, সেগুলো পড়ে শোনালেন।
১০.৭ রক্তজবার ঝোপের কাছে কাব্যের যে আসর বসেছিল, সেই পরিবেশটি কেমন, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর : রক্তজবার ঝোপের কাছে যে কাব্যের আসর বসেছিল, সেটা অত্যন্ত সুন্দর। সেই পরিবেশে আকাশে গোলগাল ডাবের মতো চাঁদ আলো দিচ্ছে। পাশে দিঘির জল টলটল করছে, জোনাকিরা ঝিকমিক করছে। ফুলেদের গন্ধ ছড়িয়েছে। রক্তজবা ঝোপে ছোটো ছোটো পাখিরা বসে কবির ছড়া শুনছে।
১০.৮ ‘চাঁদ’-কে নিয়ে তোমার পড়া বা শোনা একটি ছড়া লেখো
উত্তর : চাঁদকে নিয়ে আমার শোনা একটি ছড়া—
চাঁদ উঠেছে মিথ্যে কথা,
ফুল ফুটেছে সত্যি,
কদমতলায় নাচে না হাতি
নেইকো কোনও দত্যি।
ভূত-প্রেত সব মিছে কথা
ভেবে ভেবে ঠকা,
দামাল শিশু শান্ত হবে
এই জন্যেই বকা।
ফুল ফুটেছে সত্যি,
কদমতলায় নাচে না হাতি
নেইকো কোনও দত্যি।
ভূত-প্রেত সব মিছে কথা
ভেবে ভেবে ঠকা,
দামাল শিশু শান্ত হবে
এই জন্যেই বকা।
ওরে গৃহবাসী কবিতাটির বিষয়বস্তু :
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ওরে গৃহবাসী’ কবিতাটি একটি সংগীতবিশেষ। কবিতাটি রবীন্দ্রসংগীত হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। গানটি বসন্ত উৎসবে গীত হয়। ভোর হয়েছে। কবি গৃহবাসীদের জাগিয়ে তুলছেন। জলে স্থলে বনতলে বাতাস দোলা দিচ্ছে। অশোক-পলাশ গাছের রাশি রাশি রঙিন হাসি ফুটে উঠেছে। প্রভাতের আকাশে পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘ ভেসে চলেছে। নবীন পাতা হিল্লোলে চতুর্দিক রাঙিয়ে দিয়েছে। কবি গৃহবাসীদের দরজা খুলে প্রকৃতির এই দৃশ্য দেখতে বলছেন। বাঁশ বনে দখিনা বাতাসে দুলে যাওয়া মর্মর শব্দ ভেসে আসছে। প্রজাপতি ঘাসে ঘাসে দোল খাচ্ছে। মৌমাছিরা ফুলে ফুলে মধু পান করছে। বাউল বীণা বাজিয়ে গান তুলেছে। মাধবীবিতানে বাতাস যেন ঢেউ খেলে যাচ্ছে। এখন সকালবেলা কবি গৃহবাসীদের আনন্দে, বাতাসের গন্ধে বিভোর হয়ে দরজা খুলে প্রকৃতি দেখতে বলছেন।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ওরে গৃহবাসী’ কবিতাটি একটি সংগীতবিশেষ। কবিতাটি রবীন্দ্রসংগীত হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। গানটি বসন্ত উৎসবে গীত হয়। ভোর হয়েছে। কবি গৃহবাসীদের জাগিয়ে তুলছেন। জলে স্থলে বনতলে বাতাস দোলা দিচ্ছে। অশোক-পলাশ গাছের রাশি রাশি রঙিন হাসি ফুটে উঠেছে। প্রভাতের আকাশে পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘ ভেসে চলেছে। নবীন পাতা হিল্লোলে চতুর্দিক রাঙিয়ে দিয়েছে। কবি গৃহবাসীদের দরজা খুলে প্রকৃতির এই দৃশ্য দেখতে বলছেন। বাঁশ বনে দখিনা বাতাসে দুলে যাওয়া মর্মর শব্দ ভেসে আসছে। প্রজাপতি ঘাসে ঘাসে দোল খাচ্ছে। মৌমাছিরা ফুলে ফুলে মধু পান করছে। বাউল বীণা বাজিয়ে গান তুলেছে। মাধবীবিতানে বাতাস যেন ঢেউ খেলে যাচ্ছে। এখন সকালবেলা কবি গৃহবাসীদের আনন্দে, বাতাসের গন্ধে বিভোর হয়ে দরজা খুলে প্রকৃতি দেখতে বলছেন।
ওরে গৃহবাসী প্রশ্নোত্তর প্র্যাকটিস
দু-এক কথায় উত্তর দাও :
১। ‘ওরে গৃহবাসী’ গানটি কে লিখেছেন?
উত্তর : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ওরে গৃহবাসী’ গানটি লিখেছেন।
২। কাকে বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ও সুরকার বলা হয়েছে?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ গীতিকার ও সুরকার বলা হয়েছে।
৩। তাঁর লেখা গানগুলি কোন বইতে লেখা রয়েছে?
উত্তর : ‘গীতবিতান’ নামক বইখানিতে তাঁর লেখা গানগুলি বিধৃত হয়েছে।
৪। ‘ওরে গৃহবাসী’ গানটিতে কোন কোন ফুলের উল্লেখ আছে?
১। ‘ওরে গৃহবাসী’ গানটি কে লিখেছেন?
উত্তর : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ওরে গৃহবাসী’ গানটি লিখেছেন।
২। কাকে বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ও সুরকার বলা হয়েছে?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ গীতিকার ও সুরকার বলা হয়েছে।
৩। তাঁর লেখা গানগুলি কোন বইতে লেখা রয়েছে?
উত্তর : ‘গীতবিতান’ নামক বইখানিতে তাঁর লেখা গানগুলি বিধৃত হয়েছে।
৪। ‘ওরে গৃহবাসী’ গানটিতে কোন কোন ফুলের উল্লেখ আছে?
উত্তর : অশোক, পলাশ, মাধবী।
৫। রবীন্দ্রনাথের গানগুলির স্বরলিপি কোথায় লেখা আছে?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথের গানগুলির স্বরলিপি ‘স্বরবিতান’ নামক বইতে বিভিন্ন খণ্ডে লিখিত রয়েছে।
৬। ‘ওরে গৃহবাসী’ গানটি কোন পর্যায়ভুক্ত?
৫। রবীন্দ্রনাথের গানগুলির স্বরলিপি কোথায় লেখা আছে?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথের গানগুলির স্বরলিপি ‘স্বরবিতান’ নামক বইতে বিভিন্ন খণ্ডে লিখিত রয়েছে।
৬। ‘ওরে গৃহবাসী’ গানটি কোন পর্যায়ভুক্ত?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথের ‘ওরে গৃহবাসী’ কবিতাটি ‘প্রকৃতি’ পর্যায়ভুক্ত।
৭। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবে জন্মেছিলেন?
উত্তর : ইংরেজি ১৮৬১ সালের ৭ মে, বাংলার ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ সাল, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মেছিলেন।
৮। কবিতাটিতে একই ভাবে সাতবার ব্যবহার করা হয়েছে এমন দুটি শব্দের নাম লেখো।
উত্তর : ‘দ্বার খোল্, দ্বার খোল্’ শব্দ দুটি কবিতায় সাতবার ব্যবহার করা হয়েছে।
৯। কবি কাদেরকে দ্বার খুলতে বলেছেন?
উত্তর : যারা ঘরে বাস করে কবি তাদের দ্বার খুলতে বলেছেন।
১০। কী কারণে গৃহবাসীকে কবি দ্বার খুলতে বলেছেন?
উত্তর : স্থলে অর্থাৎ ডাঙায়, জল এবং বনের মাটিতে দোল লেগেছে বলে কবি আনন্দে গৃহবাসীকে দ্বার খুলে দেখতে
বলছেন।
১১। ‘বনতল’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : ‘বনতল’ বলতে কবি বনের নীচ অর্থাৎ, শুকনো পাতা, মাটিকে বুঝিয়েছেন।
১২। বনতলে দোল লেগেছে কীভাবে বোঝা যায়?
উত্তর : বসন্তের হাওয়ায় বনের মাটিতে পড়ে থাকা পাতাগুলি যখন এদিক-ওদিক উড়ে যায় তখন বোঝা যায় বনতলে
দোল লেগেছে।
১৩। অশোকে পলাশে কবি কী দেখেছেন?
উত্তর : কবি অশোকে পলাশে দেখেছেন রাশি রাশি রাঙা হাসি।
১৪। রাঙা নেশা কোথায় বোঝা যাচ্ছে?
উত্তর : ভোরের আকাশে উড়ে বেড়ানো মেঘে রাঙা নেশা মিশে গেছে বোঝা যাচ্ছে।
১৫। নবীন পাতা কাকে বলে?
উত্তর : গাছের নরম কচি পাতাকে বলে নবীন পাতা।
১৬। ‘রাঙা হিল্লোল’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : ‘হিল্লোল’ মানে তরঙ্গ বা ঢেউ বা দোল লাগা। বাতাসে কচি কচি সবুজ পাতায় যে দোল খেলে যায়, কবি
তাকেই বলেছেন ‘রাঙা হিল্লোল'।
৭। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবে জন্মেছিলেন?
উত্তর : ইংরেজি ১৮৬১ সালের ৭ মে, বাংলার ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ সাল, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মেছিলেন।
৮। কবিতাটিতে একই ভাবে সাতবার ব্যবহার করা হয়েছে এমন দুটি শব্দের নাম লেখো।
উত্তর : ‘দ্বার খোল্, দ্বার খোল্’ শব্দ দুটি কবিতায় সাতবার ব্যবহার করা হয়েছে।
৯। কবি কাদেরকে দ্বার খুলতে বলেছেন?
উত্তর : যারা ঘরে বাস করে কবি তাদের দ্বার খুলতে বলেছেন।
১০। কী কারণে গৃহবাসীকে কবি দ্বার খুলতে বলেছেন?
উত্তর : স্থলে অর্থাৎ ডাঙায়, জল এবং বনের মাটিতে দোল লেগেছে বলে কবি আনন্দে গৃহবাসীকে দ্বার খুলে দেখতে
বলছেন।
১১। ‘বনতল’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : ‘বনতল’ বলতে কবি বনের নীচ অর্থাৎ, শুকনো পাতা, মাটিকে বুঝিয়েছেন।
১২। বনতলে দোল লেগেছে কীভাবে বোঝা যায়?
উত্তর : বসন্তের হাওয়ায় বনের মাটিতে পড়ে থাকা পাতাগুলি যখন এদিক-ওদিক উড়ে যায় তখন বোঝা যায় বনতলে
দোল লেগেছে।
১৩। অশোকে পলাশে কবি কী দেখেছেন?
উত্তর : কবি অশোকে পলাশে দেখেছেন রাশি রাশি রাঙা হাসি।
১৪। রাঙা নেশা কোথায় বোঝা যাচ্ছে?
উত্তর : ভোরের আকাশে উড়ে বেড়ানো মেঘে রাঙা নেশা মিশে গেছে বোঝা যাচ্ছে।
১৫। নবীন পাতা কাকে বলে?
উত্তর : গাছের নরম কচি পাতাকে বলে নবীন পাতা।
১৬। ‘রাঙা হিল্লোল’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : ‘হিল্লোল’ মানে তরঙ্গ বা ঢেউ বা দোল লাগা। বাতাসে কচি কচি সবুজ পাতায় যে দোল খেলে যায়, কবি
তাকেই বলেছেন ‘রাঙা হিল্লোল'।
১৭। বেণুবন কাকে বলে?
উত্তর : বেণু কথার মানে বাঁশ, বেণুবন হল বাঁশের বন।
১৮। ‘মর্মর’ কথার মানে কী?
উত্তর : বাতাসে গাছের ডালে ডালে শুকনো পাতায় ঘষা লেগে যে শব্দ শোনা যায় তাকে বলে মর্মর।
১৯। দখিনা বাতাস কোন ঋতুতে বয়ে চলে?
উত্তর : বসন্ত ঋতুতে দখিনা বাতাস বয়ে চলে।
২০। ঘাসে ঘাসে কী দেখা যাচ্ছে?
উত্তর : ভোরের বেলায় দখিনা বাতাসে ঘাসে ঘাসে প্রজাপতিকে দোল খেতে দেখা যাচ্ছে।
২১। ফুলের কাছে কে কী চাইছে?
উত্তর : মৌমাছি উড়ে উড়ে ফুলের কাছে দখিনা চাইছে অর্থাৎ ভালোবাসা চাইছে।
২২। ‘পাতায় বাজায় তার ভিখারির বীণা' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : ভিখারি যেমন তার বীণায় গুনগুন সুর শুনিয়ে ভিক্ষা করে তেমনি মৌমাছিও ফুলের কাছে গুনগুন গান করে
মধু ভিক্ষা করছে।
২৩। মাধবীবিতান কাকে বলে?
উত্তর : মাধবী হল এক ধরনের সুন্দর লতানে ফুল। আর বিতান বলতে মাথার ওপরে চাদরের মতো ঢাকা দেওয়া মণ্ডপ।
২৪। ‘বিভোল’ শব্দের মানে কী?
উত্তর : ‘বিভোল’ শব্দের মানে আনন্দে আত্মহারা হওয়া।
২৫। ‘স্বরলিপি’ কাকে বলে?
উত্তর : গানের সুর ও তাল ইত্যাদির সাংকেতিক বর্ণনা লেখা থাকে যেখানে, তাকে স্বরলিপি বলে।
২৬। ‘ওরে গৃহবাসী’ গানটির বিশেষত্ব কী?
উত্তর : প্রতিবছর শান্তিনিকেতনে ও অন্যান্য জায়গায় বসন্ত ঋতুতে ‘ওরে গৃহবাসী’ গানটি গাওয়া হয়। উপাচার্যের নেতৃত্বে
শান্তিনিকেতনের সকল ছাত্রছাত্রী এই ‘ওরে গৃহবাসী' গানটি গেয়ে বসন্ত উৎসবের সূচনা হয়। ১৯৩১ সালে এই গানটি রচিত
হয়। এর স্বরলিপিকার হলেন অনাদিকুমার দস্তিদার।
২৭। বসন্ত উৎসবের তাৎপর্য সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর : বসন্তের সমীরণে বাউল বাতাস মুগ্ধ করে সকলকে। আর এই বসন্তকে ঘিরেই কবি রচিত হয়েছে অজস্র গান ও কবিতা। কবির কলম বারবার ধরা দিয়েছে শান্তিনিকেতনের ‘বসন্ত উৎসব’। দোলযাত্রা উৎসব শান্তিনিকেতনে জনপ্রিয় ‘বসন্ত উৎসব' নামে পরিচিত। সকাল থেকেই শান্তিনিকেতনের রাস্তা রাঙা হয়ে ওঠে আবীরে। বিশ্বভারতী চত্বরই মূলত এই মূল অনুষ্ঠানের অঙ্গ। এটি মানুষের জন্য ঋতু পরিবর্তনকে উপভোগ করা ও নতুন বন্ধু বানাবার উৎসব। বসন্ত মানেই উৎসব। দেশ, কাল ও ঐতিহ্যভেদে উৎসবও হয় ভিন্ন। তবে বসন্ত ছুঁয়ে যায় পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে।
২৮। বসন্ত উৎসবে তুমি কী কী করো, তা সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর : এটি আদর্শ উত্তর। তোমরা শিক্ষক/শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে লিখবে। আমি প্রতিবছর আমাদের এলাকায় যে ‘বসন্ত উৎসব’ হয় তাতে অংশগ্রহণ করি। আমি প্রতিবছরই নাচ, কবিতা ও গানে অংশগ
এহণ করি। আমার নাচ ও গানের শিক্ষিকাগণ আমাকে সুন্দরভাবে অনুশীলন করান। এই উৎসবে এসে আমি খুব মজা ও আনন্দ পাই। আমার বাড়ির লোকেরাও আমাকে যথেষ্ট উৎসাহ দেন।
বিমলার অভিমান কবি পরিচিতিঃ
শিশুসাহিত্যিক নবকৃষ্ণের জন্ম হয় আমতায়, হাওড়া নারিটে ৪ এপ্রিল ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে। সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলে তিনি পড়াশোনা করেন। তাঁর রচিত ‘বালক পাঠ’, ‘বাঙালির ছবি’, ‘শিশুপাঠ’, ‘ছেলেখেলা’, ‘কবিতা কুসুম’, ‘শিশুরঞ্জন রামায়ণ’, ‘ছবির ছড়া’, ‘সকালের ইতিকথা’, ‘সুখবোধ ব্যাকরণ’, ‘নীতিপাঠ’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। ‘গোকুলে মধু ফুরায়ে গেল’ কবির প্রসিদ্ধ কবিতা। তিনি ‘সখা’ পত্রিকার সম্পাদক ও ‘মাসিক বসুমতী’ পত্রিকার সহ-সম্পাদক ছিলেন ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু হয়।
শিশুসাহিত্যিক নবকৃষ্ণের জন্ম হয় আমতায়, হাওড়া নারিটে ৪ এপ্রিল ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে। সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলে তিনি পড়াশোনা করেন। তাঁর রচিত ‘বালক পাঠ’, ‘বাঙালির ছবি’, ‘শিশুপাঠ’, ‘ছেলেখেলা’, ‘কবিতা কুসুম’, ‘শিশুরঞ্জন রামায়ণ’, ‘ছবির ছড়া’, ‘সকালের ইতিকথা’, ‘সুখবোধ ব্যাকরণ’, ‘নীতিপাঠ’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। ‘গোকুলে মধু ফুরায়ে গেল’ কবির প্রসিদ্ধ কবিতা। তিনি ‘সখা’ পত্রিকার সম্পাদক ও ‘মাসিক বসুমতী’ পত্রিকার সহ-সম্পাদক ছিলেন ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু হয়।
বিমলার অভিমান কবিতাটির বিষয়বস্তু :
বিমলা রাগ করে খেতে চাইছে না। বিমলার না খাবার কতকগুলি কারণ আছে। মা তার দাদাকে ক্ষীর, ননী বেশি করে দেয়। বিমলার বেলায় কম। একদিকে তার দাদা অন্যদিকে তার ভাই, দুজনেই যেন সোনার চুড়ো। মাঝখানে বিমলা যেন ছাইয়ের মতো, তার দর নেই। বিমলার মা দুরন্ত খোকাকে সামলে রাখতে বলে, তাকে কোলে নিতে বলে। আবার বাগানে ছাগল ঢুকলে তাকে তাড়িয়ে দিতে বলে। দাদা খেতে বসলে তাকে নুন আনতে বলে। পানে ঝাল লাগলে তাকে চুন আনতে বলে। এসব হাজার রকমের ফরমাস শুনতে শুনতে বিমলার দিকে কারোর খেয়াল থাকে না। তার খিদে পেয়েছে, কী তার কষ্ট হচ্ছে এসব কেউ দেখে না, জানতেও চায় না। বিমলার তাই অভিমান হয়েছে। সে কারণেই বিমলা রাগ করে এখন খেতে চাইছে না।
বিমলার অভিমান প্রশ্ন উত্তর
১. নিজে ভেবে লেখো :
১.১ তোমার বাড়িতে বাবা/মা/দাদা/ভাই/দিদি কে বেশি কাজ করে? তারা কী কী কাজ করে?
উত্তর : আমার বাড়িতে দিদি বেশি কাজ করে। সে বিছানা তোলে, ধোয়া বাসন গুছিয়ে রাখে, কাচা কাপড় জামা রোদে শুকাতে দেয়। আলনা গুছিয়ে রাখে, আমার ও ভাইয়ের পড়ার বইগুলো টেবিলে থাকে, সেগুলো তাকে তুলে টেবিল মুছে দেয়।
১.২ বাড়িতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এ বিষয়ে তোমার কী মনে হয় তা লেখো।
উত্তর : বাড়িতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এ বিষয়ে আমার মনে হয়, মেয়েরা সর্বদাই মাকে সাহায্য করে। মা যেগুলো সময়ের মধ্যে করে উঠতে পারেন না সেগুলো মেয়েরাই করে দেয়।
১.৩ ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে তফাত করা উচিত নয়—এই নিয়ে যুক্তি দিয়ে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর : ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে তফাত করা উচিত নয়। এর পিছনে যুক্তি হল— (১) শিক্ষার দিক থেকে ছেলে এবং মেয়ে সমান যোগ্যতাসম্পন্ন হতে পারে। (২) ছেলে এবং মেয়ে সবার সমান অধিকার আছে। (৩) কর্মক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়ে সবরকমই সংস্থায় কাজ করতে পারে। (৪) পাইলট, ড্রাইভার, মহাকাশযাত্রী সবেতে ছেলেমেয়েরাই সমান ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। (৫) গৃহস্থ এবং বাজার-দোকানের কাজ সবই ছেলেমেয়েরা একই সঙ্গে করতে পারে।
১.১ তোমার বাড়িতে বাবা/মা/দাদা/ভাই/দিদি কে বেশি কাজ করে? তারা কী কী কাজ করে?
উত্তর : আমার বাড়িতে দিদি বেশি কাজ করে। সে বিছানা তোলে, ধোয়া বাসন গুছিয়ে রাখে, কাচা কাপড় জামা রোদে শুকাতে দেয়। আলনা গুছিয়ে রাখে, আমার ও ভাইয়ের পড়ার বইগুলো টেবিলে থাকে, সেগুলো তাকে তুলে টেবিল মুছে দেয়।
১.২ বাড়িতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এ বিষয়ে তোমার কী মনে হয় তা লেখো।
উত্তর : বাড়িতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এ বিষয়ে আমার মনে হয়, মেয়েরা সর্বদাই মাকে সাহায্য করে। মা যেগুলো সময়ের মধ্যে করে উঠতে পারেন না সেগুলো মেয়েরাই করে দেয়।
১.৩ ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে তফাত করা উচিত নয়—এই নিয়ে যুক্তি দিয়ে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর : ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে তফাত করা উচিত নয়। এর পিছনে যুক্তি হল— (১) শিক্ষার দিক থেকে ছেলে এবং মেয়ে সমান যোগ্যতাসম্পন্ন হতে পারে। (২) ছেলে এবং মেয়ে সবার সমান অধিকার আছে। (৩) কর্মক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়ে সবরকমই সংস্থায় কাজ করতে পারে। (৪) পাইলট, ড্রাইভার, মহাকাশযাত্রী সবেতে ছেলেমেয়েরাই সমান ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। (৫) গৃহস্থ এবং বাজার-দোকানের কাজ সবই ছেলেমেয়েরা একই সঙ্গে করতে পারে।
২. শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য লেখো :
উত্তর : ভার—ওজন
উত্তর : ভার—ওজন
ভাঁড়—মাটির পাত্র
বাঁচা—জীবনধারণ
বাছা—বেচারি
সোনা—মূল্যবান ধাতু
শোনা—কানে শুনতে পাওয়া
বাঁচা—জীবনধারণ
বাছা—বেচারি
সোনা—মূল্যবান ধাতু
শোনা—কানে শুনতে পাওয়া
৩. নীচের প্রতিটি শব্দের দুটি করে অর্থ লেখো :
উত্তরঃ বেলা--দিন বা রাতের সময়কাল।
বেলা—বেলফুল।
দাম—জিনিসপত্রের মূল্যবিশেষ।
দাম—মানুষের প্রয়োজনীয়তা ও কাজকর্মের তুলনাবিশেষ।
৪. পাঠ্য কবিতাটি থেকে অন্ত্যমিল খুঁজে নিয়ে লেখো (৫টি) :
{নুন চুন | {ভার তার |
---|---|
{মুড়িয়ে তাড়িয়ে | {কারো মারো |
{শ্যামী আমি | {তাই ভাই |
৫. ‘ক’ সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

৬. শব্দঝুড়ি থেকে নিয়ে বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো :
৭. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :
৭.১ খাব না তো আমি।
৭.২ যা বিমলা যা।
৭.৩ ও বিমলা নে মা একবার।
৭.৪ অবু বেশি খাবে।
৭.৫ দে মা এনে চুন।

৬. শব্দঝুড়ি থেকে নিয়ে বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো :
বিশেষ্য | বিশেষণ |
---|---|
ক্ষীর | বেশি |
ছাই | দুরন্ত |
বিমলা | ঝাল |
নুন | ছোটো |
পান | কম |
নটে গাছ | |
খোকা |
৭. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :
৭.১ খাব না তো আমি।
৭.২ যা বিমলা যা।
৭.৩ ও বিমলা নে মা একবার।
৭.৪ অবু বেশি খাবে।
৭.৫ দে মা এনে চুন।
৮. শূন্যস্থান পূরণ করো :
৮.১ পূজা করি, দাও এনে, সোনামণি মা।
৮.২ কাঁদিলে দুরন্ত খোকা রাখা তারে ভার।
৮.৩ ছাগলেতে নটে গাছ খেলে যে মুড়িয়ে।
৮.৪ পানটা যে বড়ো ঝাল, দে মা এনে চুন।
৯. যেটা বেমানান তার নীচে দাগ দাও :
৯.১ ক্ষীর, ছাগল, বিমলা, অবনী, দাদা।
৯.২ ফুল, রাধু, বিমলা, সোনামণি মা, পূজা।
৯.৩ সোনার চুড়ো, ছাইয়ের নুড়ো, দাদা, বিমলা, মাধু।
৯.২ ফুল, রাধু, বিমলা, সোনামণি মা, পূজা।
৯.৩ সোনার চুড়ো, ছাইয়ের নুড়ো, দাদা, বিমলা, মাধু।
১০. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো : দাও, বড়ো, বেশি, ঝাল, আসে।
উত্তর : দাও—নাও, বড়ো—ছোটো, বেশি—কম, ঝাল—মিষ্টি, আসে—যায়।
১১. বাক্যরচনা করো :
ক্ষীর, দুরন্ত, ছাই, নটেগাছ, চুন।
- ক্ষীর—দুধ থেকে ক্ষীর হয়।
- ছাই—ঘুঁটে পুড়লে ছাই হয়।
- চুন—পান খেতে হলে চুন দরকার।
- দুরন্ত—দুরন্ত গতিতে রকেট এগিয়ে চলে।
- নটেগাছ—বাগানে নটেগাছ লতিয়ে চলে।
১২. শব্দগুলো ঠিকমতো সাজিয়ে বাক্য তৈরি করো :
১২.১ পরিমাণে দাদার কম বিমলার থেকে ক্ষীর।
১২.১ পরিমাণে দাদার কম বিমলার থেকে ক্ষীর।
উত্তর : ক্ষীর দাদার থেকে বিমলার পরিমাণে কম।
১২.২ হয় বিমলাকে ফুল পূজার আনতে।
১২.২ হয় বিমলাকে ফুল পূজার আনতে।
উত্তর : বিমলাকে পূজার ফুল আনতে হয়।
১২.৩ করে সবার পালন বিমলা ফরমাস সব।
১২.৩ করে সবার পালন বিমলা ফরমাস সব।
উত্তর : সবার সব ফরমাস বিমলা পালন করে।
১২.৪ মেয়ে বিমলার অবিচার প্রতি শুধু বলে হয় করা।
১২.৪ মেয়ে বিমলার অবিচার প্রতি শুধু বলে হয় করা।
উত্তর : মেয়ে বলে শুধু বিমলার প্রতি অবিচার করা হয়।
১২.৫ নয় করা ছেলেমেয়ের বৈষম্য মধ্যে উচিত।
১২.৫ নয় করা ছেলেমেয়ের বৈষম্য মধ্যে উচিত।
উত্তর : ছেলেমেয়ের মধ্যে বৈষম্য করা উচিত নয়।
১৩. কোনটি কী ধরনের বাক্য লেখো :
১৩.১ খাব না তো আমি।
উত্তর : না-বোধক বাক্য।
১৩.২ যা বিমলা যা।
উত্তর : আদেশমূলক বাক্য।
১৩.৩ ছাগলেতে নটে গাছ খেলে যে মুড়িয়ে।
উত্তর : বিস্ময়মূলক বাক্য।
১৩.৪ আমার বেলায় বুঝি, ক্ষীর মাত্র নাম-ই?
উত্তর : প্রশ্নমূলক বাক্য।
১৩.৪ আমার বেলায় বুঝি, ক্ষীর মাত্র নাম-ই?
উত্তর : প্রশ্নমূলক বাক্য।
১৪.১ কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য কোন্ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন?
উত্তর : কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র ছিলেন।
১৪.২ তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : কবির লেখা দুটি উল্লেখযোগ্য বই হল (১) ছবির ছড়া (২) সকালের ইতিকথা।
১৪.৩ তিনি কোন কোন পত্র-পত্রিকা সম্পাদনার কাজে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর : কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য ‘সখা’ পত্রিকার সম্পাদক এবং ‘মাসিক বসুমতী’ পত্রিকার সহ-সম্পাদক ছিলেন।
উত্তর : কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র ছিলেন।
১৪.২ তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : কবির লেখা দুটি উল্লেখযোগ্য বই হল (১) ছবির ছড়া (২) সকালের ইতিকথা।
১৪.৩ তিনি কোন কোন পত্র-পত্রিকা সম্পাদনার কাজে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর : কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য ‘সখা’ পত্রিকার সম্পাদক এবং ‘মাসিক বসুমতী’ পত্রিকার সহ-সম্পাদক ছিলেন।
১৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৫.১ বিমলাকে সারাদিন কোন্ কোন্ কাজ করতে হয়?
১৫.১ বিমলাকে সারাদিন কোন্ কোন্ কাজ করতে হয়?
উত্তর : বিমলাকে সারাদিন যেসব কাজ করতে হয় সেইগুলো হল— (১) মায়ের জন্য পূজার ফুল তোলা। (২) দুরন্ত খোকা কাঁদলে তাকে ভুলিয়ে রাখা। (৩) ছাগলে নটে গাছ মুড়িয়ে খেতে এলে তাকে তাড়ানো। (৪) দাদার পাতে লবণ দেওয়া। (৫) মায়ের পান খেতে ঝাল লাগলে চুন এনে দেওয়া।
১৫.২ বিমলার ছোটো ভাইয়ের নাম কী? সে ও তার দাদা বেশি বেশি খাবার পাবে কেন?
উত্তর : বিমলার ছোটো ভাইয়ের নাম অবু বা অবনী। বিমলার ছোটো ভাই ও দাদা বেশি পাবে এই কারণে যে, ছোটো
ভাইয়ের আবদার এবং বড়ো ভাইয়ের লেখাপড়ার জন্য।
১৫.৩ তাই বুঝি বিমলার কমে গেছে দাম-ই’ – বিমলার দাম কমে গেছে মনে হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : বিমলার দাম কমে যাওয়ার কারণ সে মেয়ে হয়ে জন্মেছে বলে।
১৫.৪ বিমলার প্রতি তোমার অনুভূতির কথা পাঁচটি বাক্যে লেখো। (*মধ্যশিক্ষা পর্ষদ)
উত্তর : বিমলা একটি সরল বুদ্ধিমতী মেয়ে। আজকাল ছেলের সঙ্গে মেয়ের কোনো পার্থক্য নেই। শিক্ষা, কাজকর্ম,
ক্ষমতা সবেতেই ছেলে ও মেয়ে সমান। উপযুক্ত পরিবেশে দুজনেরই সমান বিকাশ হয়। ছেলে ও মেয়ের মধ্যে সেই
কারণে কোনো তফাত করতে নেই।
১৫.৫ খেতে না চেয়ে তুমি বা তোমার বন্ধুরা কখনো প্রতিবাদ জানিয়েছ বা জানানোর চেষ্টা করেছ—যদি এমন
কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, সে সম্বন্ধে লেখো।
উত্তর : খেতে না চেয়ে আমি অবশ্য কোনো প্রতিবাদ জানাইনি বা জানানোর চেষ্টা করিনি। তবে আমার বন্ধুরা মাঝেমধ্যে
খেতে না চাওয়ার সংবাদ দেয়। সেখানে দেখা যায়, ইস্কুলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, অথচ রান্না তখনও হয়ে ওঠেনি।
সেই কারণেই আমার বন্ধুরা অনেকসময় না খেয়ে ইস্কুলে আসে বা পড়তে চলে যায়।
১৫.৬ বিমলার অভিমান করার কারণ কী তা নিজের ভাষায় আট/দশটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : বিমলার অভিমান করার কারণ, সে মেয়ে বলে তার প্রতি অনাদর করা হয়। বিমলা কারও কাছ থেকে তেমন
সুবিধা বা আদর পায় না। একটু বয়স হতেই তাকে বাড়ির লোকেরা সবসময় ফরমাস করে। সে বাঁচল কিংবা মরল, তার
কষ্ট হল কিংবা দুঃখ পেল এসব কেউ দেখে না। বিমলার যে একটু বিশ্রাম দরকার সেটা কেউ ভাবে না। সকলেই সুযোগ
পেলেই বা প্রয়োজন হলেই বিমলাকে দিয়ে খাটিয়ে নেয়। বিমলা যেহেতু বড়ো নয়, আবার ছোটোও নয়, সেই কারণে
সকলের ফরমাস তাকে শুনতে হয়। সেইমতো কাজ করতে হয়।
১৫.২ বিমলার ছোটো ভাইয়ের নাম কী? সে ও তার দাদা বেশি বেশি খাবার পাবে কেন?
উত্তর : বিমলার ছোটো ভাইয়ের নাম অবু বা অবনী। বিমলার ছোটো ভাই ও দাদা বেশি পাবে এই কারণে যে, ছোটো
ভাইয়ের আবদার এবং বড়ো ভাইয়ের লেখাপড়ার জন্য।
১৫.৩ তাই বুঝি বিমলার কমে গেছে দাম-ই’ – বিমলার দাম কমে গেছে মনে হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : বিমলার দাম কমে যাওয়ার কারণ সে মেয়ে হয়ে জন্মেছে বলে।
১৫.৪ বিমলার প্রতি তোমার অনুভূতির কথা পাঁচটি বাক্যে লেখো। (*মধ্যশিক্ষা পর্ষদ)
উত্তর : বিমলা একটি সরল বুদ্ধিমতী মেয়ে। আজকাল ছেলের সঙ্গে মেয়ের কোনো পার্থক্য নেই। শিক্ষা, কাজকর্ম,
ক্ষমতা সবেতেই ছেলে ও মেয়ে সমান। উপযুক্ত পরিবেশে দুজনেরই সমান বিকাশ হয়। ছেলে ও মেয়ের মধ্যে সেই
কারণে কোনো তফাত করতে নেই।
১৫.৫ খেতে না চেয়ে তুমি বা তোমার বন্ধুরা কখনো প্রতিবাদ জানিয়েছ বা জানানোর চেষ্টা করেছ—যদি এমন
কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, সে সম্বন্ধে লেখো।
উত্তর : খেতে না চেয়ে আমি অবশ্য কোনো প্রতিবাদ জানাইনি বা জানানোর চেষ্টা করিনি। তবে আমার বন্ধুরা মাঝেমধ্যে
খেতে না চাওয়ার সংবাদ দেয়। সেখানে দেখা যায়, ইস্কুলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, অথচ রান্না তখনও হয়ে ওঠেনি।
সেই কারণেই আমার বন্ধুরা অনেকসময় না খেয়ে ইস্কুলে আসে বা পড়তে চলে যায়।
১৫.৬ বিমলার অভিমান করার কারণ কী তা নিজের ভাষায় আট/দশটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : বিমলার অভিমান করার কারণ, সে মেয়ে বলে তার প্রতি অনাদর করা হয়। বিমলা কারও কাছ থেকে তেমন
সুবিধা বা আদর পায় না। একটু বয়স হতেই তাকে বাড়ির লোকেরা সবসময় ফরমাস করে। সে বাঁচল কিংবা মরল, তার
কষ্ট হল কিংবা দুঃখ পেল এসব কেউ দেখে না। বিমলার যে একটু বিশ্রাম দরকার সেটা কেউ ভাবে না। সকলেই সুযোগ
পেলেই বা প্রয়োজন হলেই বিমলাকে দিয়ে খাটিয়ে নেয়। বিমলা যেহেতু বড়ো নয়, আবার ছোটোও নয়, সেই কারণে
সকলের ফরমাস তাকে শুনতে হয়। সেইমতো কাজ করতে হয়।
Tags : এতোয়া মুন্ডার কাহিনি,এতোয়া মুণ্ডার কাহিনি,এতোয়া মুন্ডার কাহিনী,এতোয়া মুন্ডার কাহিনি মহাশ্বেতাদেবী,এতোয়া মুন্ডার কাহিনি প্রশ্ন উত্তর,এতোয়া মুন্ডার কাহিনি,,এতোয়া মুণ্ডার কাহিনী প্রশ্ন উওর,এতোয়া মুন্ডার কাহিনী মহাস্বেতা দেবী,এতোয়া মুন্ডার কাহিনি প্রশ্ন উত্তর,এতোয়া মুন্ডা,এতোয়া মুন্ডার কাহিনী অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর,এতোয়া মুণ্ডার কাহিনী,এতোয়া মুন্ডার কাহিনি গল্প,পাখির কাছে ফুলের কাছে,পাখির কাছে ফুলের কাছে কবিতা,পাখির কাছে ফুলের কাছে আল মাহমুদ,ষষ্ঠ পাখির কাছে ফুলের কাছে,পিইসি পাখির কাছে ফুলের কাছে,পাখির কাছে ফুলের কাছে অনুশীলন,পাখির কাছে ফুলের কাছে আলমাহমুদ,পাখির কাছে ফুলের কাছে প্রশ্ন উওর,সপ্তবর্ণা পাখির কাছে ফুলের কাছে,পাখির কাছে ফুলের কাছে কবিতার প্রশ্ন,পাখির কাছে ফুলের কাছে কবিতা আল মাহমুদ,পাখির কাছে ফুলের কাছে কবিতার বিষয়বস্তু,পাখির কাছে,বিমলার অভিমান,বিমলার অভিমান নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য,বিমলার অভিমান কবিতা,বিমলার অভিমান নবকৃষ্ণ,বিমলার অভিমান প্রশ্ন উত্তর,class 5 বিমলার অভিমান,বিমলার অভিমান উত্তর,বিমলার অভিমান প্রশ্ন,বিমলার অভিমান কার্টুন,বিমলার অভিমান বিষয়বস্তু,বিমলার অভিমান কবিতা আলোচনা,বিমলার অভিমান কবিতা সারাংশ,বিমলার অভিমান bengali rhymes,বিমলার অভিমান কবিতার ব্যাখ্যা,বিমলার অভিমান প্রশ্ন উত্তর,বিমলার অভিমান কবিতার বিষয়বস্তু,
No comments
Hi Welcome ....