Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Top Ad

Breaking News:

latest

Class 5 Bengali Masterda Question Answer | মাস্টারদা অশোককুমার মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

  Class 5 Bengali Patabahar All Question Answer |   ক্লাস পঞ্চম শ্রেণির বাংলা পাতাবাহার ১৭. মাস্টারদা—অশোককুমার মুখোপাধ্যায় মহাত্মা ...

 
মাস্টারদা প্রশ্ন উত্তর
Class 5 Bengali Patabahar All Question Answer |  ক্লাস পঞ্চম শ্রেণির বাংলা পাতাবাহার

১৭. মাস্টারদা—অশোককুমার মুখোপাধ্যায়
মহাত্মা গান্ধির কথা (মিলিয়ে পড়ো)—উমাশংকর যোশি
মুক্তির মন্দির সোপানতলে (গান)— মোহিনী চৌধুরী
১৮.মিষ্টি—প্রেমেন্দ্র মিত্র


(toc) #title=(Table of Content)

লেখক পরিচিতি : ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল অশোককুমার মুখোপাধ্যায় কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা দেবব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মাতা ছিলেন মীরা দেবী। ছেলেবেলা থেকেই বিভিন্ন রকমের বই পড়া, চিঠিপত্র পাঠ, পুরোনো ডাইরি পাঠ ইত্যাদি তাঁর নেশা ছিল। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জনংসযোগ ও বিপণন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া বর্তমানে তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অতিথি অধ্যাপক। লেখক অশোককুমার মুখোপাধ্যায়ের রচিত প্রবন্ধগুলির মধ্যে ‘টেগার্টের আন্দামান ডায়েরি’, ‘চেনা পড়া’, ‘অগ্নিপুরুষ', ‘চেনা মানুষ’, ‘প্রথম দিনের রবি’, ‘কিশোর সাহিত্য’, ‘সূর্য সেন’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

মাস্টারদা গল্পের বিষয়বস্তু : ‘মাস্টারদা’ অর্থাৎ সূর্য সেন,—তাঁর নির্দেশেই চট্টগ্রাম শহরের কমবয়সি বেশ কিছু ছেলে ইংরেজ পুলিশের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই করে তাদের গোলাবারুদের ভাণ্ডারটি দখল করে নিয়েছে। আগুন লাগিয়েছে টেলিফোন, টেলিগ্রাফের অফিস, ট্রেনলাইন ভেঙে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশের ঘাঁটিতে যে পতাকা উড়ছিল তা নামিয়ে সেখানে ভারতের পতাকা টাঙিয়েছে। ইংরেজরা ইতিপূর্বে কোনোদিন এমন উন্মত্ত যুবকদের দেখেনি, যারা ইংরেজদের বিরুদ্ধে এমন বেপরোয়া ভাবে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে এগিয়ে এসেছে। এতদিন পর তারা বুঝেছে ভারতবর্ষকে যে-কোনো ভাবেই ইংরেজদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। তবে এই ছেলের দলকে খেলাধুলা, বন্দুক চালানো, দেশ সম্পর্কে নানান গল্প কাহিনি বলে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করার পক্ষে যোগ্য করে তুলতে যার অবদান একবাক্যে বলা যায় তিনি নামেই একজন অঙ্কের শিক্ষক, তিনি মাস্টারদা নামেই সকলের কাছে পরিচিত।
মাস্টারদা ছিলেন উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক। খুব কম কথা বলেন, বাইরে থেকে দেখলে বোঝা যায় না তিনি একজন এত বড়ো দেশনেতা। বাঙালির ধুতি পাঞ্জাবি বা শার্ট পরা একেবারে সাধারণ মানুষ। এরকম একটি সাধারণ মানুষের মনেও যে স্বাধীনতার ভয়ংকর আগুন আছে তা কেউ না দেখলে বুঝবে না। রামকৃয়, বিবেকানন্দ ছিলেন তাঁর আদর্শ পুরুষ। সকল ছাত্রদের তিনি এই দুই মনীষীর ভক্তি-ত্যাগ ও তেজস্বিতার আদর্শে গড়তে চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তাঁর কাছে সবচেয়ে বড়ো কবি, তাই রবীন্দ্রনাথকে তিনি কবিসম্রাট বলতেন। তিনি জেলে থাকাকালীন রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা ইত্যাদি আবৃত্তি করতেন। তাঁর মতে রবীন্দ্রনাথ আমাদের সকলের জীবনে এক মস্ত বড়ো সম্পদ। এই সূর্য সেনই একদিন হাসিমুখে ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার উদ্দেশ্যে নিজের প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন।

মাস্টারদা—অশোককুমার মুখোপাধ্যায়

মাস্টারদা গল্পের হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর
১. নিজে নিজে লেখো :
১.১ আমাদের দেশের নাম কী?
উত্তর : আমাদের দেশের নাম ভারতবর্ষ।
১.২ আমাদের দেশে স্বাধীনতা দিবস কোন দিনটিতে পালিত হয়ে থাকে?
উত্তর : আমাদের দেশে ১৫ আগস্ট দিনটিতে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়ে থাকে।
১.৩ আমাদের দেশ কত সালে স্বাধীনতা লাভ করে?
উত্তর : ১৯৪৭ সালে।
১.৪ স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ দিয়েছেন এমন দুজন বীর বিপ্লবীর নাম লেখো।
উত্তর : স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ দিয়েছেন এমন দুজন বীর বিপ্লবীর নাম—ক্ষুদিরাম বসু, মাস্টারদা সূর্য সেন।
১.৫ চট্টগ্রাম শহরটি বর্তমানে কোন দেশে অবস্থিত?
উত্তর : চট্টগ্রাম শহরটি বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থিত।

২. নীচের এলোমেলো শব্দগুলি সাজিয়ে লেখো :
▸ মু ন স শা ক্ত—শাসনমুক্ত।
▸ টি পু লি ঘাঁ শ—পুলিশঘাঁটি।
▸ র কু ড় পা পু—পুকুরপাড়।
▸ তা ভা র মা ত—ভারতমাতা।
▸ ক ন্য অ র ম—অন্যরকম।
▸ রু বা গো দ লা—গোলাবারুদ।

৩. অর্থ লেখো :
স্বাধীন, সাথি, সম্মান, সাদাসিধে, স্তোত্র।
উত্তর : স্বাধীন—মুক্ত। সাথি—সঙ্গী। সম্মান-মর্যাদা। সাদাসিধে—অতিসাধারণ। স্তোত্র—স্তব, স্তুতি।
৪. নীচের শব্দগুলির যা অর্থ, সেই একই অর্থ বোঝায় এমন শব্দ মাস্টারদার কাহিনিতে রয়েছে, বুঝে নিয়ে শব্দগুলো লেখোঃ
▸ দৈত্য দানব
▸ যোগ্য উপযুক্ত
▸ কমবয়স যার অল্পবয়সি
▸ নগর শহর
▸ অবাক আশ্চর্য
▸ ভয়ংকর কাণ্ড সাংঘাতিক
▸ যুদ্ধ লড়াই
▸ ঐশ্বর্য সম্পদ

৫. বাক্যরচনা করোঃ
পতাকা, মা, দেশ, মুক্তি, ব্যায়াম।
▸ পতাকা—আমাদের জাতীয় পতাকায় তিনটি রং আছে।
▸ মা—বিমলা তার মায়ের কোনো কথা অবজ্ঞা করে না।
▸ দেশ—সুরেশবাবু দেশ থেকে কাল ফিরেছেন।
▸ মুক্তি—পাখিরা খাঁচা থেকে সর্বদাই মুক্তি চায়।
▸ ব্যায়াম—প্রতিদিন সকালবেলা ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকে।

৬. একটি, দুটি, তিনটি, চারটি, পাঁচটি, ছয়টি শব্দের বাক্য ‘মাস্টারদা' রচনাংশ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :
উত্তর : রাশভারী। (একটি শব্দের বাক্য)
সাংঘাতিক কাণ্ড। (দুটি শব্দের বাক্য)
দেশ আমাদের মা। (তিনটি শব্দের বাক্য)
কেমন মানুষ এই মাস্টারদা? ((চারটি শব্দের বাক্য)
তাঁর প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। (পাঁচটি শব্দের বাক্য)
আগুন লাগিয়েছে টেলিফোন আর টেলিগ্রাফের অফিসেও। (ছয়টি শব্দের বাক্য)

৭. চট্টগ্রামের ছেলেরা আগুন লাগিয়েছিল টেলিফোন টেলিগ্রাফের অফিসে
কথা বলবার সময় নীচে দাগ দেওয়া শব্দগুলোর মতো এমন অনেক বিদেশি শব্দই আমরা ব্যবহার করি। একেবারেই ইংরেজি শব্দ বলে চিনতে পারছ, এমন আর কী কী শব্দ খুঁজে পাও মাস্টারদার কাহিনিতে?
উত্তর : মাস্টারদার কাহিনিতে যে যে ইংরেজি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলি হল—ট্রেন, ইউনিয়ান জ্যাক, নোটিশ।

৮. ‘মাস্টারদা’ শব্দটার মধ্যে একটা বিদেশি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটা বাংলা শব্দ :
মাস্টার + দা (দা) = মাস্টারদা। এইরকমই আর একটি শব্দ, ধরো মাস্টার + মশাই (মশাই) = মাস্টার মশাই। এইরকম শব্দ তুমি আর কটি লিখতে পারবে?
উত্তর : ক্লাব + ঘর (ঘর) = ক্লাবঘর, ইউনিয়ান + বাজি (বাজি) = ইউনিয়ান বাজি।

৯. বিদেশি শব্দের সঙ্গে বাংলা শব্দ যুক্ত হয়নি, কিন্তু দুটো শব্দ মিলেমিশে একটাই কথা তৈরি করেছে, এমন কিছু কথা রয়েছে নীচে, এইসব কথাগুলো থেকে শব্দ দুটোকে আলাদা করে লেখো :
▸ গোলাবারুদ - গোলা, বারুদ। 
▸ খেলাধুলো - খেলা, ধুলো। 
▸ রাজ্যপাট  - রাজ্য, পাট
▸ ভারতমাতা - ভারত, মাতা। 
▸ শাসনমুক্ত - শাসন, মুক্ত। 
▸ ইংরেজদানব - ইংরেজ, দানব

১০. ‘মরণপণ’ কথাটার মধ্যে যে দুটো শব্দ আছে, তার শেষের শব্দ ‘পণ’।
ছোটো দলে আগে নিজেরা আলোচনা করে দেখো, শেষে ‘পণ’ যোগ করে আর কী কী শব্দ লিখতে পারবে?
উত্তর : শব্দের শেষে ‘পণ’ যোগ করে শব্দ তৈরি—জীবনপণ, বরপণ, প্রাণপণ।
১১. ‘খেলাধুলো’ ‘নরম-সরম’ এইরকম শব্দ রয়েছে ‘মাস্টারদা’র গল্পে। এখানে একটা শব্দেই জড়ানো রয়েছে দুটো শব্দ, প্রথম শব্দটার মানেই যেখানে আসল, আর তার সঙ্গে মিলিয়ে এসেছে দ্বিতীয় শব্দটা, সব সময় যার তেমন মানে নেই। এই ধরনের আর ক-টি শব্দ মাস্টারদার কাহিনিতে খুঁজে পাও, নিজেরা বার করো।
কোনো কোনো সময় আবার এইরকম দুটো শব্দের মানেই এক, ‘হাঁটা-চলা’ বা ‘রাইফেল-বন্দুক' যেমন। এরকম কয়েকটি শব্দ নিজে লেখো।
উত্তর : গোলাবারুদ, খাবার-দাবার, সাদাসিধে, হাসিখুশি, যেখানে-সেখানে, নিয়মকানুন, মাঠ-ময়দান, রকম-সকম।

১২. মাস্টারদা হাসিমুখে মেলামেশা করতেন ছোটো-বড়ো সবার সঙ্গে।
এইরকম জোড়া শব্দ, যার একটির মানে অন্যটির বিপরীত, কয়েকটি লেখো :
উত্তর : ভালো-মন্দ, রাত-দিন, সাদা-কালো, ঠিক-বেঠিক, যাওয়া-আসা, উঁচু-নীচু, করা-না করা।

১৩. নীচে দেওয়া শব্দগুলি থেকে কোনটা বিশেষ্য কোনটা বিশেষণ খুঁজে নিয়ে লেখো।
শক্তিশালী, সম্পদ, উদ্ধৃত, রাশভারী, শক্তি, সম্মান, স্বাধীন, অত্যাচার, শাসন, অনুরোধ।
▸ বিশেষ্য—সম্পদ, শক্তি, সম্মান, অত্যাচার, অনুরোধ, শাসন।
▸ বিশেষণ—শক্তিশালী, স্বাধীন, উদ্ধৃত, রাশভারী।

১৪. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলি বিশেষণে বদলে ফেলো। বিশেষণ শব্দগুলো পাবে শব্দঝুড়িতে। খুঁজে নিয়ে ঠিক শব্দের পাশে বসাও :
বিশেষ্য বিশেষণ
অত্যাচার অত্যাচারিত
মুক্তি মুক্ত
ভক্তি ভক্ত
ত্যাগ ত্যক্ত
শাসন শাসিত
স্পর্ধা স্পর্ধিত
সম্মান সম্মানিত
ঘোষণা ঘোষিত
সুখ সুখী
তেজস্বিতা তেজস্বী
প্রতিবাদ প্রতিবাদী

১৫. নীচের বিশেষণ শব্দগুলি বিশেষ্যে বদলাও বিশেষ্য শব্দগুলি পাবে শব্দঝুড়িতে খুঁজে নিয়ে ঠিকশব্দের পাশে বসাও :
বিশেষণ বিশেষ্য
গম্ভীর গাম্ভীর্য
রঙিন রং
উদ্ধৃত উদ্ধৃতি
বিদেশি বিদেশ
মনীষী মনীষা

১৬. নীচের বাক্যগুলির দিকে তাকিয়ে দেখো তো কোন্ কোন্ শব্দে তোমার মনে হচ্ছে কাজ শেষ হয়ে গেছে, আর কোন কোন শব্দে তোমার মনে হচ্ছে কাজ এখনো শেষ হয়নি, সেগুলো আলাদা করে লেখো :
১৬.১ এদেশে রাজত্ব করতে তাদের স্পর্ধা একেবারে আকাশ ছুঁয়েছে।
উত্তর : ছুঁয়েছে—কাজ শেষ হয়ে গেছে।
১৬.২ উমাতারা স্কুলের ছাত্ররা সেদিন অঙ্কের শিক্ষককে...অন্য নজরে দেখলেও, বুঝতেই পারেনি এই মানুষটি...ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়বেন।
উত্তর : লড়বেন—কাজ এখনও শেষ হয়নি।
১৬.৩ তাদের মনে হয়েছে, ভারতবর্ষের একটা জায়গায় যুদ্ধ করে যদি ইংরেজদের তাড়ানো যায়, সারা দেশ জেগে উঠবে।
উত্তর : উঠবে—কাজ এখনও শেষ হয়নি।
১৭. উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্ক-শিক্ষককে তোমার কেমন লাগল, এইভাবে লেখো :
উত্তর : উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্ক-শিক্ষকের নাম সূর্য সেন। সাদাসিধে মানুষটিকে দেখে সব সময়ে বোঝা যেত না তিনি কতখানি গম্ভীর। তাঁর ছাত্ররা তাঁকে মাস্টারদা বলে ডাকে। তিনি ভালোবাসতেন রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা। তিনি চেয়েছিলেন ভারতমাতাকে ইংরেজ কবল থেকে মুক্ত করতে। এই মানুষটিকে আমার প্রণাম জানাই

১৮. উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্ক-শিক্ষকটির প্রিয় কবি কে ছিলেন? এ গল্প থেকে তা কেমন করে জানতে পারো?
উত্তর : উমাতারা হাইস্কুলে অঙ্ক শিক্ষক মাস্টারদা সূর্য সেনের প্রিয় কবি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এতটাই প্রিয় ছিলেন যে রবীন্দ্রনাথকে তিনি ‘কবিসম্রাট’ বলতেন। রবীন্দ্রনাথের বহু কবিতা তাঁর মুখস্থ ছিল। জালালাবাদের পাহাড়ে লড়াইয়ের আগেও তিনি রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতা শুনেছেন। জেলের মধ্যে বসে তিনি রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়তেন। চিঠিতেও রবীন্দ্রনাথের লাইন উদ্ধৃত করতেন। সঙ্গীসাথিদের সকলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পড়তে অনুরোধ করতেন। এক কথায় তাঁর মতে রবীন্দ্রনাথ আমাদের ভারতবর্ষের এক মস্ত বড়ো সম্পদ। এ থেকেই বোঝা যায় মাস্টারদার কাছে প্রিয় কবি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১৯. কোন কবির কবিতা পড়তে তোমার খুব ভালো লাগে? তাঁর যে কবিতাটি তোমার সবচেয়ে পছন্দ, সেটির দুটি লাইন লিখতে পারো ?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত কবিতা পড়তে আমার খুব ভালো লাগে।
 দেবতা বিদায়
দেবতা মন্দির মাঝে ভকত প্রবীণ,
জপিতেছে জপমালা বসি নিশিদিন।

২০. পাঠ্য অংশটি পড়ে নিজে লেখো :
২০.১ ‘আগুন লাগিয়েছে টেলিফোন আর টেলিগ্রাফের অফিসেও'।—কারা এমন করেছিল? কেন করেছিল?
উত্তর : চট্টগ্রাম শহরের অল্পবয়সি কিছু ছেলে টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ অফিসে আগুন লাগিয়েছিল। ছেলেদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ভারতকে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করা। আর এই কাজে তাদের প্রেরণা জুগিয়েছিলেন মাস্টারদা। ছেলেরা বুঝেছিল ভারতবাসী দিনের পর দিন পরিশ্রম করবে আর তার ফল ভোগ করবে ইংরেজরা—এ আর কিছুতেই সম্ভব নয়। তাই সর্বপ্রথম তারা চট্টগ্রামে ইংরেজদের গোলাবারুদের ভাণ্ডারটি দখল করার সঙ্গে সঙ্গে টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।

২০.২ ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষে কোন পতাকা উড়ত? তার বদলে বিপ্লবীরা কেমন পতাকা ওড়ালেন?
উত্তর : ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষে ব্রিটিশ পতাকা—ইউনিয়ন জ্যাক উড়ত। তার বদলে বিপ্লবীরা সেখানে স্বাধীন ভারতের পতাকা ওড়ালেন।
২০.৩ ইংরেজ-আমলে ভারতীয়দের প্রতি ইংরেজরা কেমন আচরণ করত?
উত্তর : ইংরেজ-আমলে ভারতীয়দের প্রতি ইংরেজরা খুব অন্যায় অত্যাচার করত। ভারতবাসীরা দিনের পর দিন যে পরিশ্রম করত তার সবটুকু ফল ভোগ করত ইংরেজরা। প্রতিবাদ করলেই অকথ্য অত্যাচার করত। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে সাদা চামড়ার লোক ছাড়া কারও প্রবেশের অনুমতি ছিল না। রেস্তোরাঁর গায়ে নোটিশ ঝোলানো থাকত কালো চামড়ার লোক এবং কুকুরের প্রবেশ নিষেধ।

২০.৪ ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ কীভাবে মাস্টারদার নেতৃত্বে রুখে দাঁড়িয়েছিল? 
উত্তর : মাস্টারদার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম শহরের অল্পবয়সি কিছু ছেলে ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। মাস্টারদার কথামতো ছেলেরা চট্টগ্রামের অস্ত্রাগারে, টেলিফোন এবং টেলিগ্রাফের অফিসে আগুন লাগিয়েছে, রেলের লাইন ভেঙে দিয়েছে, মালগাড়ি উলটে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এভাবে ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল।


 লেখক পরিচিতি :  বাংলাদেশের অন্তর্গত ঢাকা শহরে কবি মোহিনী চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে। তাঁর পিতার নাম ছিল রামশঙ্কর চৌধুরী। ঢাকা ভিক্টোরিয়া স্কুলের প্রথম হিন্দু ছাত্র ছিলেন তিনি। ছেলেবেলা থেকেই কবি সাহিত্যানুরাগী ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থী থাকাকালীন বিভিন্ন সমাজমূলক কাজ এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। তিনি পঞ্চাশ-ষাট দশকের বিখ্যাত গীতিকার। বাংলার বিপ্লবী সমাজকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বহু কবিতা ও গান তিনি রচনা করেন। এই স্বদেশপ্রেমী কবি ১৯৫৫
সালের ২৫ মার্চ পরলোক গমন করেন।

 মুক্তির মন্দির সোপানতলে বিষয়বস্তু :
ভারতের সাধারণ মানুষ ইংরেজ জাতির পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য লড়াই করেছেন। শুধ তাই নয়, তাঁরা পরাধীন দেশে অভাব, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, ধর্মীয় কুসংস্কারের হাত থেকে ভারতবাসীকে মুক্ত করার জন্যই ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে প্রাণ পর্যন্ত বলিদান দিয়েছেন। মৃত্যুঞ্জয়ী বিপ্লবী দল স্বর্গের চেয়েও জন্মভূমিকে অনেক বেশি শ্রদ্ধা করেন। দেশের মানুষ স্বদেশব্রতে দীক্ষিত বীর বিপ্লবী মৃত্যুঞ্জয়ী নেতাদেরকে রক্তকমলে গাঁথা মালা দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছেন।

মুক্তির মন্দির সোপানতলে

১। ‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে’ কবিতাটি কে লিখেছেন?
উত্তর : মুক্তির মন্দির সোপানতলে কবিতাটি লিখেছেন কবি মোহিনী চৌধুরী।
২। কবি মোহিনী চৌধুরী কবে জন্মেছিলেন?
উত্তর : কবি মোহিনী চৌধুরী জন্মেছিলেন ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে।
৩। তিনি কোন দশকের গীতিকার?
উত্তর : কবি মোহিনী চৌধুরী ১৯৫০-৬০ দশকের গীতিকার।
৪। কবি মোহিনী চৌধুরীর লেখা গানগুলি গেয়েছেন এমন কয়েকজন গায়কের নাম লেখো।
উত্তর : মান্না দে, শচীন দেববর্মন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, জগন্নাথ মিত্র প্রমুখ গায়ক উল্লেখযোগ্য।
৫। অশ্রুজলে কী লেখা আছে?
উত্তর : মুক্তির মন্দির সোপানতলে যেসব অসংখ্য প্রাণ বলিদান হল তাদের ইতিহাস অশ্রুজলে লেখা আছে।
৬। কারা আর এই সুপ্রভাতে ফিরবে না?
উত্তর : ওই শিকলভাঙা বন্দিশালা অগণিত যেসব বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা হয়ে আছে তারা আর এই সুপ্রভাতে ফিরবে না।
৭। অস্তাচলে কারা চলে গেল?
উত্তর : যেসব তরুণ-অরুণ অর্থাৎ যেসব বিপ্লবী যুবক দেশের জন্য অকালে প্রাণ বিসর্জন দিল তাদের অস্তাচলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
৮। যারা স্বর্গগত তারা কী জানে?
উত্তর : যারা স্বর্গগত তারা এখনও জানে স্বর্গের চেয়ে তাদের কাছে জন্মভূমিই অধিক প্রিয়।
৯। কাদের চরণ চুম্বনের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : স্বদেশব্রতে মহাদীক্ষা লাভ করে যাঁরা ব্রিটিশদের হাতে প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের চরণ চুম্বনের কথা বলা হয়েছে।
১০। ‘জীর্ণ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘জীর্ণ” শব্দের অর্থ ‘ছেঁড়া’, ‘পুরাতন’, ‘অচল’ কিংবা বারবার ব্যবহার করে যা ক্ষয়ে গেছে বা নষ্ট হতে চলেছে।
১১। ‘জাতি’ বলতে তুমি কী বোঝো?
উত্তর : ধর্ম-জন্মভূমি-রাষ্ট্র-আদিমবংশ-ব্যবসায় ইত্যাদি অনুযায়ী যে বিভাজন তাকে বলে জাতি। যেমন—হিন্দু জাতি, আর্যজাতি, বাঙালি জাতি, বণিক জাতি ইত্যাদি।
১২। ‘যারা জীর্ণ জাতির বুকে জাগাল আশা’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : যে জাতি উদ্যম হারিয়ে ফেলেছে তাদেরকে নব উদ্যমে জাগিয়ে যাঁরা জাগিয়ে তুলেছেন কবি তাঁদের কথা বলেছেন এখানে।
১৩। 'যত তরুণ-অরুণ গেল অস্তাচলে?' কথাটির প্রকৃত অর্থ এখানে কী?
উত্তর : যে সকল নব যুবক দেশের জন্য অকালে জীবন বিসর্জন দিল তাদের কথাই কবিতায় বলা হয়েছে।
১৪। বন্দিশালা বিপ্লবীদের রক্তে রাঙা কেন?
উত্তর : বন্দিশালায় ধূর্ত শাসক ব্রিটিশরা স্বাধীনতাকামী যুবকদের বন্দি করে ফাঁসি দিয়েছে বলে ওই উক্তিটি করা হয়েছে।
১৫। ‘সুপ্রভাত’ বলতে কবি এখানে কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : কবি ‘সুপ্রভাত’ বলতে বুঝিয়েছেন এ দেশের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির লগ্নকে।


মিষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর

মিষ্টি—প্রেমেন্দ্র মিত্র

 লেখক পরিচিতি : ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে পিতা জ্ঞানেন্দ্রনাথের কর্মক্ষেত্র কাশীতে প্রেমেন্দ্র মিত্র জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবেই তিনি মাতৃহারা হন এবং মাতামহের কাছে মির্জাপুরে তিনি পালিত হন। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ রচনায় কবি সমান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। কিশোর সাহিত্যেও তিনি অসাধারণ পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। তাঁর সৃষ্ট ‘ঘনাদা’ চরিত্রটি এক অমর সৃষ্টি। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে কবি হিসেবে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় তাঁর প্রথম প্রকাশিত গল্প ‘শুধু কেরানি’ তাঁকে খ্যাতি এনে দেয়। 

প্রেমেন্দ্র মিত্র বাংলা গান রচনা করেও খুব খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর রচিত বহু ছায়াছবির গান যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। দীনেশচন্দ্র সেনের সংস্পর্শে এসে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রামতনু লাহিড়ী গবেষক হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর সুভাষচন্দ্র বসুর ‘বাংলার কথা’ ও ‘ফরোয়ার্ড’ পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের কপি লেখক হিসেবে কাজ করেন। চলচ্চিত্রের জন্য তিনি চিত্রনাট্য রচনা করাকেও কিছুকাল পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবি ‘সমাধান’ ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিলাভ করে। তিনি মোট ১৪টি ছবির পরিচালক ছিলেন। তাঁর রচিত চিত্রনাট্যের সংখ্যা – ৭০। ১৯৫৭ সালে ‘সাগর থেকে ফেরা’ কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি ‘আকাদেমি’ পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৫৮ সালে ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ লাভ করেন। সরকারি খেতাব ‘পদ্মশ্রী’ এবং বিশ্বভারতীর সাম্মানিক উপাধি-‘দেশিকোত্তম’ তিনি লাভ করেন। কবি প্রেমেন্দ্র মিত্রের ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে ৩ মে কলকাতায় তিরোধান ঘটে।

মিষ্টি কবিতার বিষয়বস্তু : সারাবছর ধরে আকাশের বুকে প্রকৃতির নানান খেলা চলে। ঝড়, জল, রোদ, বৃষ্টি নিয়েই প্রকৃতিই খেলা। ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে আকাশের বুকে প্রকৃতির এই খেলা যেমন অনেকসময় আমাদের দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে দেয় তেমনই প্রকৃতি যদি কোনো কারণে নীরব থাকে তবে আমাদের চলার পথে নানান বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি হয়। তবু নানান দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে জীবনে এগিয়ে চলার পথে মানুষ আনন্দ খুঁজে পায়। কেননা আমরা জানি কষ্টের বিনিময়ে পাওয়া যে সুখ তাই হল প্রকৃত সুখ। ঝড়, বৃষ্টি, রোদ ইত্যাদি প্রাকৃতির দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে আমরা যে সুখ লাভ করে থাকি তা হয় আনন্দের। তাই কবি বলছেন আকাশে ঝড়, বৃষ্টি, রোদ্দুর থাকুক। এর মধ্যেই আনন্দ লুকিয়ে আছে, যেমন—লুকিয়ে থাকে আখের মধ্যেই তার মিষ্টত্ব।
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. নিজের ভাষায় লেখো :
১.১ কোন ঋতুতে সাধারণত আকাশে ঝড় ওঠে না, মেঘ ডাকে না?
উত্তর : শীত ঋতুতে সাধারণত আকাশ ঝড় ওঠে না, মেঘ ডাকে না।
১.২ কোন ঋতুতে সাধারণত পথ-ঘাট পিছল হয়ে পড়ে?
উত্তরঃ বর্ষা ঋতুতে সাধারণত পথ-ঘাট পিছল হয়ে পড়ে।
১.৩ কোন পথে সহজেই গড়িয়ে পড়া যায়?
উত্তর : পিচ্ছিল পথে সহজেই গড়িয়ে পড়া যায়।
১.৪ চড়াই-উৎরাই রাস্তা কোথায় দেখা যায়?
উত্তর : চড়াই-উৎরাই রাস্তা অসমতল বা পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায়।
১.৫ ‘রাস্তা’ শব্দটি অন্য কোন নামে কবিতায় আছে?
উত্তর : ‘রাস্তা’ শব্দটি ‘পথ’ নামে আলোচ্য কবিতায় আছে।
১.৬ আখের প্রসঙ্গ রয়েছে, তোমার পাঠ্যসূচির এমন অন্য একটি রচনার নাম লেখো।
উত্তর : আখের প্রসঙ্গ রয়েছে এমন একটি রচনার নাম ‘বোকা কুমিরের গল্প।

২. নীচের এই শব্দগুলো মূল কোন কোন শব্দ থেকে এসেছে :
আখ—ইক্ষু
রোদ্দুর—রৌদ্র

৩. ‘চড়াই’ ও ‘পড়ে’—এই দুটি শব্দের দুটি করে অর্থ লেখো, বাক্যে ব্যবহার করো :
চড়াই—(পাখি বিশেষ) চড়াই পাখি সাধারণত চঞ্চল প্রকৃতির হয়।
চড়াই—(উঁচুনীচু) গাড়িটি চড়াই-উৎরাই পাহাড়ি রাস্তায় এগিয়ে চলল।
পড়ে—(পাঠ করা) তোমার পাঠ্য বইয়ের গল্পগুলি পড়ে নাও।
পড়ে—(পতিত হওয়া) শিশুটি রাস্তায় পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছে।

৪. তোমার স্কুলে যাওয়ার, খেলতে যাওয়ার, আর বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার রাস্তাগুলো কেমন, তিনটে রাস্তা নিয়ে আলাদা আলাদা দুটো করে বাক্য লেখো। এ প্রসঙ্গে কোন রাস্তাটি তোমার কেন ভালো লাগে, তার পক্ষে দুটি যুক্তি দাও।
উত্তর : (১) আমার স্কুলে যাওয়ার রাস্তা—আমি গ্রামাঞ্চলের ছেলে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাকা রাস্তায় উঠে সাইকেল, ভ্যান রিকশা, ঠেলাগাড়ি, মোটর বাইক আর নিত্যযাত্রী মানুষজনের ব্যস্ততাকে কাটিয়ে প্রতিদিন আমি স্কুলে যাই। (২) খেলতে যাওয়ার রাস্তা—আমাদের বাড়ির পিছন দরজা দিয়ে বেরিয়ে বাঁশ ঝাড়ের পাশ দিয়ে রাস্তা ধরে বুড়ো শিবতলা পেরিয়ে দিঘির ধারে বিরাট খোলা মাঠ। এই মাঠে প্রতিদিন আমরা বন্ধুরা বিকেলবেলা খেলতে আসি। (৩) বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার রাস্তা—আমাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাঁদিকে ধানখেত। ধানখেতের আলপথ ধরে পাশের গ্রামের বন্ধুর বাড়ি খুব তাড়াতাড়ি যাওয়া যায়। গ্রামাঞ্চলের তিনটি রাস্তার মধ্যে আমার খেলতে যাওয়ার রাস্তাটা বড়োই ভালো লাগে। কেননা আমি যখন বন্ধুদের সঙ্গে হই-হই করতে করতে বিরাট দিঘির ধারে খোলা মাঠে গিয়ে দাঁড়াই আমার মনে হয় আমি যেন পাখিদের মতো স্বাধীন, মুক্ত।
৫. কষ্টের বিনিময়ে পাওয়া যে সুখ তা-ই প্রকৃত সুখ। কবিতায় এই কথাটি কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে লেখো।
উত্তর : জীবনে প্রকৃত সুখ পেতে হলে মানুষকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। মনীষীগণ বলেছেন, অর্থ বিনা সুখ লাভ হয় না। এই অর্থকে লাভ করতে হলে নিজেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এর জন্য চাই উদ্যম, প্রচেষ্টা। জীবনে এগিয়ে যাবার লক্ষ্যে অনেক বাধাবিঘ্ন আসবে। কিন্তু সহ্য করে কষ্টের মধ্য দিয়ে, বাধাবিপত্তি কাটিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছোনোর যে সুখ সেই সুখই হল প্রকৃত সুখ। ‘মিষ্টি’ কবিতায় কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র বলেছেন, ‘আখ একটি শক্ত লাঠির মতো রসালো ফল। কিন্তু এই শক্ত লাঠির মতো আখ থেকে অনেক মেহনত করে মিষ্টি রস বের করে যখন আমরা পান করি তখন অত মেহনতের কথা ভুলে গিয়ে পরম তৃপ্তি লাভ করি।

৬.১ ছোটোদের প্রিয় ‘ঘনাদা’ চরিত্র কার সৃষ্টি?
উত্তর : প্রেমেন্দ্র মিত্রের সৃষ্টি।
৬.২ প্রেমেন্দ্র মিত্র কোন সাহিত্য-পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন? 
উত্তরঃ‘কল্লোল’ সাহিত্য-পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
৬.৩ তাঁর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : ‘সাগর থেকে ফেরা’, ‘হরিণ-চিতা-চিল'।
৭. কোন কোন মিষ্টি খাবার তোমার খেতে ভালো লাগে, নীচের মানস মানচিত্রে সেগুলির নাম লেখো ?


 এই মিষ্টিগুলি নিয়ে এক-একটা বাক্য লেখো।
উত্তর : দুধ থেকে দই হয়।
দুধকে ভালোভাবে ফুটিয়ে রাবড়ি তৈরি হয়।
দুধ থেকে তৈরি পায়েস একটি উপাদেয় খাবার।
শিশুরা সন্দেশ খেতে ভালোবাসে।
জ্বাল দিয়ে ঘন করা দুধ হল ক্ষীর।
পানতুয়া একটি রসের মিষ্টি।
ময়দা বা চালের গুঁড়ো দিয়ে মালপোয়া তৈরি হয়।
হালুয়া তৈরি করা খুবই সহজ।
জিভেগজা দেখলে জিভে জল আসে।
আইসক্রিম একটি ঠান্ডা পানীয়।
রসগোল্লা সবসময় রসে ডুবে থাকে।
আখের রস ফুটিয়ে গুড়, চিনি পাওয়া যায়।

৮. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
৮.১ নীচের কোন ছবিতে কোন ঋতুর আকাশ কেমন, তা (পাঠ্য বইয়ের ১০১ পৃষ্ঠার) ছবি দেখে নিজের ভাষায় বাক্সের মধ্যে লেখো।
শরৎ : শরৎকালের নীল আকাশে সাদা সাদা তুলোর মতো মেঘ উড়ে বেড়ায়। নদীর ধারে কাশফুলের শোভা উৎসবের গন্ধ নিয়ে মানুষের কাছে আবির্ভূত হয়। দেবী দুর্গার আগমনী গান শোনা যায়।

বর্ষা : বর্ষাকালে আকাশ কালো মেঘে ঢাকা থাকে। কখনও গুঁড়িগুঁড়ি, কখনও প্রবলবেগে বৃষ্টি হয়। নদী, খাল, বিল, পুকুর জলে ভরে যায়। বৃষ্টির আনন্দে ব্যাঙের কলরব শোনা যায়।

৮.২ এইরকম অন্য কোনো ঋতুর আকাশ সম্পর্কে লেখো।
উত্তর : গ্রীষ্ম ঋতুর আকাশ—বাংলার প্রথম ঋতু গ্রীষ্ম তার রুদ্র মূর্তি নিয়ে আকাশ-বাতাস উত্তপ্ত করে সমস্ত প্রাণীকে তৃষ্নার্ত  করে। এই সময় মাঝে মাঝে মধ্য গগনের সূর্যকে ঢেকে দিয়ে কালবৈশাখীর মত্ত ঝড় মুহূর্তের মধ্যে যেন সব কিছু ওলটপালট করে দেয়। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসকে গ্রীষ্মকাল ধরা হলেও বছরে প্রায় ছয়-মাসই এখানে গ্রীষ্মকাল। এই সময় সূর্যের কিরণ লম্বভাবে পড়ায় খুবই উষ্ণ হয়। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে নদীনালা, পুকুর-ডোবা সব শুকিয়ে যায়।

শীত ঋতুর আকাশ—পৌষ-মাঘ দুই মাস শীতকাল। শীতকালে উত্তরের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হয়। শীত শুষ্ক ঋতু। গাছের পাতা ঝরে যায়। ভোরে শিশির পড়ে। সন্ধ্যায় চারদিক কুয়াশায় ঢেকে যায়। কনকনে ঠান্ডায় শরীর অবশ হয়ে যায়। এই সময় মাঠে মাঠে প্রচুর রবি শস্য ফলে। শীতকালে সবুজ শাকসবজি এবং বিভিন্ন রকমের ফল পাওয়া যায়। সুস্বাদু খাবারের জন্য শীতকাল উপযুক্ত সময়। এই সময় নানা রকমের প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। খেজুর রসের মিষ্টান্ন খুবই উপাদেয় খাদ্য। প্রচণ্ড শীতে লোকে আগুন জ্বেলে কিংবা রোদে পিঠ দিয়ে শরীর উষ্ণ রাখে। শীতকালে নানা রকমের ফুল ফোটে।

No comments

Hi Welcome ....