Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Top Ad

Breaking News:

latest

WB CLASS IX GEOGRAPHY CHAPTER 3 MARK-3 NOTES BENGALI VERSION

Class IX Geography Mark : 3 Notes নবম শ্রেণি : ভূগোল ও পরিবেশ  | অধ্যায় : (৩) পৃথিবীপৃষ্ঠের কোন স্থানের অবস্থান নির্ণয় ❐  আরো পড়ুনঃ  নবম শ...

Class IX Geography Mark : 3 Notes


নবম শ্রেণি : ভূগোল ও পরিবেশ  | অধ্যায় : (৩) পৃথিবীপৃষ্ঠের কোন স্থানের অবস্থান নির্ণয়

❐ আরো পড়ুনঃ নবম শ্রেণি

১. ফেরেলের সূত্রটি লেখো।
❒ নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে পৃথিবীর আবর্তন বেগ ক্রমশ কমে যায়। এর ফলে যে কোরিওলিস বলের সৃষ্টি হয় তার প্রভাবে বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত প্রভৃতি ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি গতিশীল পদার্থই উত্তর থেকে দক্ষিণে বা দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হওয়ার সময় বেঁকে যায় বা গতিবিক্ষেপ ঘটে। এই গতিবিক্ষেপের ফলে বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোত উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়। মার্কিন বিজ্ঞানী উইলিয়ম ফেরেল 1855 খ্রিষ্টাব্দে এই সূত্রটি প্রতিষ্ঠা করেন বলে একে ফেরেলের সূত্র বলে

২. পৃথিবীর সর্বত্র আবর্তন বেগ সমান নয় কেন?
❒ পৃথিবী 23 ঘণ্টা 56 মিনিট 4 সেকেন্ড-এ নিজ অক্ষের ওপর একবার আবর্তন করে। পৃথিবীর বিভিন্ন অক্ষরেখায় পরিধি বিভিন্ন হবার কারণে বিভিন্ন অক্ষরেখার আবর্তন বেগের তারতম্য হয়। নিরক্ষরেখা বরাবার পৃথিবীর পরিধি সবচেয়ে বেশি তাই নিরক্ষরেখা বরাবর পৃথিবীর আবর্তন বেগও সবাধিক। নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তন বেগ ঘণ্টায় 1670 কিমি। নিরক্ষরেখা থেকে যত মেরুর দিকে যাওয়া যায় ততই পৃথিবীর পরিধি ক্রমশ কমে যায় ও মেরুতে শূন্য হয়। তাই নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে আবর্তন কমে যায়

৩. কোরিওলিস বল বা কোরিওলিস এফেক্ট বলতে কী বোঝ?
❒ পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য ভূপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ুপ্রবাহ এবং সমুদ্রস্রোত সোজা পথে প্রবাহিত না হয়ে একটু বেঁকে প্রবাহিত হয়। যে বলের কারণে বায়ুপ্রবাহ এবং সমুদ্রস্রোতের এই দিকবিক্ষেপ ঘটে তাকে কোরিওলিস বল (coriolis force) বা কোরিওলিস এফেক্ট বলে। 1835 সালে ফরাসি গণিতবিদ গ্যাসপার্ড গুস্তাভ দ্য কোরিওলিস (G. G. De Coriolis) এটি প্রথম আবিষ্কার করেন। তিনি বলেন পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্যই এই বলের সৃষ্টি হয়। তাঁর নামানুসারে এই বলকে কোরিওলিস বল বা কোরিওলিস এফেক্ট নাম দেওয়া হয়েছে।
৪. কোরিওলিস বলের প্রভাব লেখো।
❒ কোরিওলিস বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে প্রবাহিত কোনো গতিশীল বস্তুর দিকবিক্ষেপ ঘটে। এই বলের প্রভাবে বায়ুপ্রবাহ এবং সমুদ্রস্রোত উত্তর গোলার্ধে সোজাসুজি প্রবাহিত না হয়ে একটু ডানদিকে (ঘড়ির কাঁটার গতির দিকে) বেঁকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে একটু বামদিকে (ঘড়ির কাঁটার গতির বিপরীত দিকে) বেঁকে প্রবাহিত হয়। বিজ্ঞানী ফেরেল এই সূত্রটি আবিষ্কার করেন বলে, তাঁর নামানুসারে এই সূত্রকে ফেরেলের সূত্র বলে।

৫. পৃথিবীর কক্ষপথের বৈশিষ্ট্য লেখো।
❒ যে নির্দিষ্ট পথে পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে তাকে পৃথিবীর কক্ষপথ বলে।
বৈশিষ্ট্য: [1] পৃথিবীর কক্ষপথটি উপবৃত্তাকার। [2] পৃথিবীর কক্ষপথের পরিধি প্রায় 96 কোটি কিলোমিটার। [3] পৃথিবীর কেন্দ্র এবং সূর্যের কেন্দ্র কক্ষপথের সমতলে অবস্থান করে। [4] পৃথিবীর কক্ষপথের একটি নাভিতে সূর্য অবস্থান করে।

৬. সূর্যের দৈনিক আপাত গতি কী?
❒ উৎপত্তির পর থেকেই সূর্যকে সামনে রেখে পৃথিবী নিজের মেরুদণ্ডের চারিদিকে আবর্তন করে চলেছে। পৃথিবীর ওপরে অবস্থান করায় আমাদের মনে হয় পৃথিবী স্থির আর সূর্য পৃথিবীকে কেন্দ্র করে পূর্বদিক থেকে পশ্চিম দিকে ঘুরে চলেছে। এজন্য সূর্যকে প্রতিদিন পূর্ব দিকে উদিত হতে আর পশ্চিম দিকে অস্ত যেতে দেখি। প্রকৃতপক্ষে পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করছে বলেই সূর্যকে পূর্ব থেকে পশ্চিমে যেতে দেখি। আপাতভাবে সূর্যের এই পূর্ব থেকে পশ্চিমে সরে যাওয়াকে সূর্যের দৈনিক আপাত গতি বলে।

৭. প্রতি চার বছর অন্তর ফেব্রুয়ারি মাস 29 দিনের হয় কেন ?
❒ সূর্যকে একবার সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে 365 দিন 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড। এই সময়কালকে বলে এক সৌরবছর। তবে, হিসাবের সুবিধার জন্য পৃথিবীর একবার সম্পূর্ণ পরিক্রমণের সময়কালকে 365 দিন ধরা হয়। এর ফলে, প্রত্যেক বছর যে প্রায় 6 ঘণ্টা (5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড) সময় কম ধরা হয়, তা প্রতি চতুর্থ বছরে ফেব্রুয়ারি মাসের সঙ্গে একদিন (6 × 4 = 24 ঘণ্টা বা 1 দিন) বাড়িয়ে পূরণ করা হয়। তাই প্রতি চতুর্থ বছরে ফেব্রুয়ারি মাস 29 দিনের এবং বছরটি 366 দিনের হয়। এজন্য যে বছরের ফেব্রুয়ারি মাস 29 দিনের হয় সেই বিশেষ বছরটিকে বলা হয় লিপইয়ার বা অধিবর্ষ।

৮. পৃথিবীর অক্ষের হেলানো অবস্থান ও তার গুরুত্ব লেখো।
❒ পৃথিবীর অক্ষ কক্ষতলের সঙ্গে 66½° কোণ করে অবস্থান করে অর্থাৎ, পৃথিবীর অক্ষ কিছুটা হেলানো অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে—[1] দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে। [2] উষ্ণতার তারতম্য হওয়ায় ঋতুপরিবর্তন ঘটে। [3] সূর্যরশ্মির পতনকোণের পার্থক্য হয়। [4] একই সময়ে উত্তর গোলার্ধে ও দক্ষিণ গোলার্ধে বিপরীত ঋতু দেখা যায়। [5] সূর্যকে কখনও বড়ো ও কখনও ছোটো দেখায়। 
৯. পৃথিবীর আবর্তন গতি ও পরিক্রমণ গতির পার্থক্যগুলি লেখো।
❒ পৃথিবীর আবর্তন গতি ও পরিক্রমণ গতির মধ্যে পার্থক্যগুলি হল—
বিষয় আবর্তন গতি পরিক্রমণ গতি
1.ধারণা নিজ অক্ষের চারিদিকে ঘূর্ণন। সূর্যের চারিদিকে ঘূর্ণন।
2.সময়কাল 23 ঘণ্টা 56 মিনিট 4 সেকেন্ড। 365 দিন 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড।
3.প্রভাব দিনরাত্রির সংঘটন, জোয়ারভাটা সৃষ্টি প্রভৃতি। ঋতুপরিবর্তন, দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্যের তারতম্য প্রভৃতি।

১০. সৌরবছর ও নাক্ষত্রবছরের মধ্যে পার্থক্যগুলি লেখো। 
 ❒ সৌরবছর ও নাক্ষত্রবছরের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল— 
বিষয় সৌরবছর নাক্ষত্রবছর
1.ধারণা পৃথিবীর গড় সৌরদিনের সাপেক্ষে বিবেচিত বছর। পৃথিবীর নাক্ষত্রদিনের সাপেক্ষে বিবেচিত বছর।
2.সময়কাল 365 দিন 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড। 365 দিন 6 ঘণ্টা মিনিট 10 সেকেন্ড।
3.দিন সংখ্যার পরিবর্তন প্রতি চতুর্থ বছরে দিনসংখ্যার 1 দিন বাড়ানো হয়। দিনসংখ্যার কোনো পরিবর্তন হয় না।

১১. পৃথিবীর অপসূর ও অনুসূর অবস্থানেরে মধ্যে পার্থক্যগুলি লেখো। 
 ❒ পৃথিবীর অপসূর ও অনুসূর অবস্থানের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল—
বিষয় অপসূর অনুসূর
1.সংজ্ঞা সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব সবচেয়ে বেশি (15.20 কোটি কিমি) হলে, তাকে অপসূর অবস্থান বলে। সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব সবচেয়ে কম (14.70 কোটি কিমি) হলে, তাকে অনুসূর অবস্থান বলে।
2.তারিখ 4 জুলাই। 3 জানুয়ারি
3.পরিক্রমণ বেগ হ্রাস পায়। বৃদ্ধি পায়৷

১২. মহাবিষুব ও জলবিষুব মধ্যে পার্থক্যগুলি লেখো। 
 ❒ মহাবিষুব ও জলবিষুব এর মধ্যে পার্থক্যগুলি হল—
বিষয় মহাবিষুব জলবিষুব
1.ধারণা ছায়াবৃত্ত সমস্ত অক্ষরেখাকে সমদ্বিখণ্ডিত করায় পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত সমান হয়। উত্তর গোলার্ধে এই দিনটিকে মহাবিষুব বলে। ছায়াবৃত্ত সমস্ত অক্ষরেখাকে সমদ্বিখণ্ডিত করায় পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত সমান হয় ও দক্ষিণ গোলার্ধে এই দিনটিকে জলবিষুব বলে।
2.তারিখ 21 মার্চ। 23 সেপ্টেম্বর।
3.ঋতু এই সময় উত্তর গোলার্ধে বসন্ত ঋতু ও দক্ষিণ গোলার্ধে শরৎ ঋতু বিরাজ করে। এই সময় উত্তর গোলার্ধে শরৎ ঋতু ও দক্ষিণ দক্ষিণ গোলার্ধে বসন্ত ঋতু বিরাজ করে।

১৩. কর্কটসংক্রান্তি ও মকরসংক্রান্তির মধ্যে পার্থক্যগুলি লেখো।
❒ কর্কটসংক্রান্তি ও মকরসংক্রান্তির মধ্যে পার্থক্যগুলি পার্থক্যগুলি হল—
বিষয় মহাবিষুব জলবিষুব
1.তারিখ 21 জুন তারিখকে কর্কটসংক্রান্তি বলে। 22 ডিসেম্বর তারিখকে মকরসংক্রান্তি বলে।
2.দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য উত্তর গোলার্ধে দিন বড়ো ও রাত্রি ছোটো এবং দক্ষিণ গোলার্ধে রাত্রি বড়ো দিন ছোটো হয়। উত্তর গোলার্ধে রাত্রি বড়ো ও দিন ছোটো এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দিন বড়ো রাত্রি ছোটো হয়।
3.ঋতু উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকাল। উত্তর গোলার্ধে শীতকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল।

১৪. সুমেরুপ্রভা ও কুমেরুপ্রভার মধ্যে পার্থক্যগুলি লেখো। 
❒ সুমেরুপ্রভা ও কুমেরুপ্রভার মধ্যে পার্থক্যগুলি হল— 
বিষয় সুমেরুপ্রভা কুমেরুপ্রভা
1.অবস্থান উত্তর গোলার্ধে সুমেরু অঞ্চল দেখা যায়। দক্ষিণ গোলার্ধে কুমেরু অঞ্চল দেখা যায়।
2.সময়কাল 23 সেপ্টেম্বর থেকে 21 মার্চ পর্যন্ত। 21 মার্চ থেকে 23 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
3.পরিচিত অরোরা বোরিয়ালিস নামে পরিচিত। উত্তর গোলার্ধে শীতকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল।


No comments

Hi Welcome ....