Class IX Geography Mark : 2 Notes নবম শ্রেণি : ভূগোল ও পরিবেশ | অধ্যায় : (৩) পৃথিবীপৃষ্ঠের কোন স্থানের অবস্থান নির্ণয় ১.অক্ষাংশ কী? ❒ নির...
Class IX Geography Mark : 2 Notes
নবম শ্রেণি : ভূগোল ও পরিবেশ | অধ্যায় : (৩) পৃথিবীপৃষ্ঠের কোন স্থানের অবস্থান নির্ণয়
১.অক্ষাংশ কী?
❒ নিরক্ষরেখার উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বের মান হল অক্ষাংশ (latitude)। যেমন— কলকাতার অক্ষাংশ 22°30′ উত্তর একই অক্ষাংশযুক্ত স্থানগুলিকে যোগ করে অক্ষরেখা অঙ্কিত হয়।
২. দ্রাঘিমাংশ কী?
❒ মূলমধ্যরেখার পূর্ব বা পশ্চিমে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বের মান হল দ্রাঘিমাংশ (longitude)। যেমন— কলকাতার দ্রাঘিমাংশ 88°30′ পূর্ব। একই দ্রাঘিমাংশযুক্ত স্থানগুলিকে যোগ করে দ্রাঘিমারেখা আঁকা হয়।
৩. স্থানীয় সময় কী?
❒ কোনো দ্রাঘিমারেখায় মধ্যাহ্নকাল অনুসারে সেই স্থানের গণনায় প্রাপ্ত সময় হল সেই স্থানের ‘স্থানীয় সময়' (local time) এরপর এই মধ্যাহ্ন সময় অনুসারে দিনের অন্যান্য সময় গণনা করা হয়।
৪. প্রমাণ সময় কী?
❒ এক বা একাধিক নির্দিষ্ট দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময়ের সাপেক্ষে কোনো দেশ বা বিস্তৃত অঞ্চলের গণনায় প্রাপ্ত সময় হল প্রমাণ সময় (standard time)। এই সময়ের সাহায্যে কোনো দেশের সময় নির্ধারণ করা যায়।
৫. অক্ষরেখা বা সমাক্ষরেখা কী?
❒ নিরক্ষরেখার উভয় দিকে ভূপৃষ্ঠকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টনকারী সমান অক্ষাংশযুক্ত কাল্পনিকরেখাগুলি হল অক্ষরেখা বা সমাক্ষরেখা (parallel)। ভূপৃষ্ঠের ওপর একই অক্ষাংশে অবস্থিত স্থানগুলিকে কাল্পনিকরেখার সাহায্যে যোগ করে এই বৃত্তাকাররেখা আঁকা হয়। যেমন—কর্কটক্রান্তিরেখা (23½° উত্তর)।
৬. দ্রাঘিমারেখা কী?
❒ সুমেরুবিন্দু থেকে কুমেরুবিন্দু পর্যন্ত ভূপৃষ্ঠের ওপর উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত অর্ধবৃত্তাকার কাল্পনিকরেখাগুলি হল দ্রাঘিমারেখা (meridian)। ভূপৃষ্ঠের ওপর একই দ্রাঘিমায় অবস্থিত স্থানগুলিকে কাল্পনিকরেখার সাহায্যে যোগ করে এই অর্ধবৃত্তাকাররেখা আঁকা হয়। যেমন- মূলমধ্যরেখা।
৭. অক্ষরেখার কী কী বৈশিষ্ট্য দেখা যায় ?
❒ [1] অক্ষরেখাগুলি প্রত্যেকটি পূর্ণবৃত্ত এবং পরস্পরের সমান্তরাল হয়। [2] অক্ষরেখাগুলি পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে থাকে। [3] অক্ষাংশের মান বৃদ্ধি পেলে অক্ষরেখার পরিধি কমে যায়। [4] একই অক্ষরেখায় অবস্থিত বিভিন্ন স্থানের স্থানীয় সময়ের পার্থক্য দেখা যায় ।
৮. দ্রাঘিমারেখার কী কী বৈশিষ্ট্য দেখা যায়?
❒[1] প্রত্যেকটি দ্রাঘিমারেখা অর্ধবৃত্ত। [2] সব দ্রাঘিমারেখার পরিধি সমান। [3] দ্রাঘিমারেখাগুলি পৃথিবীকে উত্তর-দক্ষিণে বেষ্টন করে থাকে। [4] একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত বিভিন্ন স্থানের স্থানীয় সময় একই হয়।
৯. প্রতিপাদ স্থান কী?
❒ ভূগোলকের কেন্দ্র স্পর্শকারী যে-কোনো ব্যাসের দুই প্রান্তবিন্দুর একটি, অপরটির প্রতিপাদ স্থান। যেমন—কলকাতার (22°30' উ:) প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশ 22°30' দক্ষিণ।
১০. আন্তর্জাতিক তারিখরেখা কী?
❒ আন্তর্জাতিক তারিখরেখা হল এমন একটি কাল্পনিকরেখা যে রেখাটি মোটামুটিভাবে 180° দ্রাঘিমারেখা অনুসরণ করে, সুমেরু থেকে কুমেরু পর্যন্ত বিস্তৃত। এই রেখাটিকে বার ও তারিখের শুরু ও শেষ হিসেবে ধরা হয়।
১১. নিরক্ষীয় তল কী?
❒ নিরক্ষরেখা থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দুর দিকে গেলে পৃথিবীর মধ্যভাগ বরাবর যে কাল্পনিক তল পাওয়া যায়, তাকে নিরক্ষীয় তল বলে। নিরক্ষীয় তল, পৃথিবীকে সমান ভাগে উত্তর এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বিভক্ত করে।
১২. সেক্সট্যান্ট কী?
❒ যে যন্ত্রের সাহায্যে ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ দেখে অক্ষাংশ পরিমাপ করা যায়, তাকে সেক্সট্যান্ট বলে।
১৩. অক্ষরেখাগুলিকে সমাক্ষরেখা বলে কেন?
❒ ভূপৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত কোনো স্থানে নিরক্ষীয় তলে অবস্থিত পৃথিবীর কেন্দ্রের সাথে যে কোণ উৎপন্ন করে তা অক্ষাংশ। সমঅক্ষাংশযুক্ত স্থানগুলিকে যোগ করলে যে রেখা পাওয়া যায় তাই অক্ষরেখা। যেহেতু এদের অক্ষাংশ সমান তাই একে সমাক্ষরেখাও বলে।
১৪. বিষুবরেখা কী?
❒ ‘বিষুব’ শব্দের অর্থ সমান দিন ও সমান রাত্রি। নিরক্ষরেখা 0° বরাবর সারাবছর দিনরাত্রি সমান থাকে বলে, নিরক্ষরেখাকে বিষুবরেখাও বলা হয়।
১৫. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রমাণ দ্রাঘিমাগুলি কী কী?
❒ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব-পশ্চিমে অধিক বিস্তৃত। ফলে এই দেশের পূর্ব দিকের সাথে পশ্চিম দিকের স্থানীয় সময়ে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ করা যায়। তাই এই দেশে 75° পশ্চিম, 90° পশ্চিম, 105° পশ্চিম এবং 120° পশ্চিম এই চারটি দ্রাঘিমার সময়কে প্রমাণ দ্রাঘিমার সময় হিসাব করে কাজ করা হয়।
১৬. কোনো দেশ স্থানীয় সময়ের পরিবর্তে প্রমাণ সময়কে বেশি মান্যতা দেয় কেন?
❒ কোনো দেশের পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তার বেশি হলে দেশগুলিতে একাধিক স্থানীয় সময় দেখা যায়। স্থানীয় সময় অনুযায়ী কোনো দেশের রেল, ডাক, বিমান এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে অসুবিধা হয়। এই অসুবিধা দূর করার জন্যই কোনো দেশের পূর্ব-পশ্চিমের বিস্তার দেখে এক বা একাধিক প্রমাণ সময় নির্ধারণ করা হয়।
১৭. ভারতের প্রমাণ সময় কী?
❒ 82°30' পূর্ব দ্রাঘিমারেখাটি ভারতের ঠিক মধ্যভাগ দিয়ে বিস্তৃত। একে প্রমাণ দ্রাঘিমা হিসেবে ধরে, এর সাহায্যে ভারতের প্রমাণ সময় নির্ধারণ করা হয়। গ্রিনিচ ও ভারতের প্রমাণ সময়ের পার্থক্য 5 ঘণ্টা 30 মিনিট।
১৮. সুমেরুবৃত্তরেখা ও কুমেরুবৃত্তরেখা কাকে বলে?
❒ 66½° উত্তর অক্ষরেখাকে সুমেরুবৃত্তরেখা বলে। সুমেরুবৃত্তরেখা থেকে সুমেরুবিন্দু পর্যন্ত উত্তর হিমমণ্ডল বিস্তৃত। 66½° দক্ষিণ অক্ষরেখাকে কুমেরুবৃত্তরেখা বলে। কুমেরুবৃত্তরেখা থেকে কুমেরুবিন্দু পর্যন্ত দক্ষিণ হিমমণ্ডল বিস্তৃত।
১৯. কোনো স্থান এবং তার প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কত?
❒ কোনো স্থান এবং তার প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য 180°। 1° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের ব্যবধান 4 মিনিট হলে কোনো স্থান এবং তার প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হবে 12 ঘণ্টা (180 × 4 = 720 মিনিট বা 12 ঘণ্টা)।
২০. উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ বলতে কী বোঝ?
❒ নিরক্ষরেখার উত্তরে অবস্থিত যে-কোনো অক্ষাংশকে উত্তর অক্ষাংশ বলে। অর্থাৎ 1° থেকে 90° উত্তর পর্যন্ত অংশ উত্তর অক্ষাংশ। তেমনি নিরক্ষরেখার দক্ষিণে অবস্থিত যে-কোনো অক্ষাংশ দক্ষিণ অক্ষাংশ নামে পরিচিত।
২১. ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমা কত এবং এটি কোন কোন স্থানের ওপর দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে?
❒ ভারতে 82°30´ পূর্ব দ্রাঘিমা হল ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমা এবং এই দ্রাঘিমার সময় অনুসারে ভারতের প্রমাণ সময় নির্ণয় করা হয়। ভারতের ঠিক মাঝবরাবর এলাহাবাদ শহরের কাছে কোকনদের ওপর দিয়ে এই প্রমাণ দ্রাঘিমা বিস্তৃত হয়েছে।
২২. আন্তর্জাতিক তারিখরেখাকে কোথায় কোথায় একটু বাঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে?
❒ আন্তর্জাতিক তারিখরেখা উত্তরে র্যাঙ্গাল দ্বীপের কাছে সামান্য পশ্চিমে, বেরিং প্রণালীর মধ্যে সামান্য পূর্বে, অ্যালুশিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছে 7° পশ্চিমে এবং দক্ষিণে ফিজি, চ্যাথাম প্রভৃতি দ্বীপপুঞ্জের কাছে প্রায় 11° পূর্বে বাঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২৩. ভৌগোলিক জালক কী?
❒ ভূগোলকে অঙ্কিত অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলি পরস্পরকে সমকোণে ছেদের ফলে যে জালকের সৃষ্টি হয়, সেটিই ভৌগোলিক জালক (graticules)। এর সাহায্যে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা যায়।
২৪. কৌণিক দূরত্ব কাকে বলে?
❒ গোলাকার পৃথিবীর দুটি স্থান থেকে, পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত সরলরেখা আঁকলে পৃথিবীর কেন্দ্রে যে কোণ তৈরি হয়, সেই কোণই হল ওই দুটি স্থানের মধ্যেকার কৌণিক দূরত্ব। কৌণিক দূরত্বের একককে ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেন্ডে প্রকাশ করা হয়।
২৫. দ্রাঘিমা ও সময়ের মধ্যে সম্পর্ক কী?
❒ দ্রাঘিমার পার্থক্যের সাহায্যে সময় নির্ণয় করা যায়। প্রতি 1° দ্রাঘিমার পার্থক্যে স্থানীয় সময়ের পার্থক্য হয় 4 মিনিট। আবার, দুটি স্থানের স্থানীয় সময়ের পার্থক্যের সাহায্যে কোনো একটি স্থানের দ্রাঘিমাও নির্ণয় করা যায়।
২৬. G.M.T. ও I.S.T. কী ?
❒ G.M.T. হল Greenwich Mean Time অর্থাৎ, গ্রিনিচের গড় সময়। এটি ০° দ্রাঘিমার স্থানীয় সময়কে নির্দেশ করে। I.S.T. হল Indian Standard Time অর্থাৎ, ভারতীয় প্রমাণ সময়। এটি ভারতের 82°34' পূর্ব দ্রাঘিমার স্থানীয় সময়কে নির্দেশ করে।
২৭. উষ্ণমণ্ডলের উষ্ণতা বেশি হয় কেন?
❒ কর্কটক্রান্তিরেখা ও মকরক্রান্তিরেখার মধ্যবর্তী অংশটি উষ্ণমণ্ডলের অন্তর্গত। এই অঞ্চলে সূর্যের উত্তরায়ণ এবং দক্ষিণায়নের শেষসীমার মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় সূর্যের আলো লম্বভাবে পড়ে ও সারাবছরই দিনরাত্রির দৈর্ঘ্য প্রায় সমান থাকে বলে এখানকার তাপমাত্রা অন্য অংশ থেকে বেশি হয়।
২৮. a.m. এবং p.m. কী ?
❒ কোনো স্থানে রাত 12 টার পর থেকে দুপুর 12 টার পূর্বমূহুর্ত পর্যন্ত সময়কাল হল ante meridian বা সংক্ষেপে a.m. এবং দুপুর 12 টার পর থেকে রাত 12 টার পূর্বমূহুর্ত পর্যন্ত সময়কাল হল post meridian বা pm.
২৯. ক্রনোমিটার কী ?
❒ ক্রনোমিটার হল একটি সঠিক দোলকযুক্ত ঘড়ি, যা সবসময় গ্রিনিচ সময় নির্দেশ করে। ইংরেজ ঘড়ি প্রস্তুতকারক জন হ্যারিসন এই ঘড়ি আবিষ্কার করেন। (গ্রিক শব্দ 'khronoe' =সময়, ‘meter' = যন্ত্র)।
৩০. মহাবৃত্ত ও ক্ষুদ্রবৃত্তের মধ্যে প্রভেদ কী?
❒ ভূগোলকে আঁকা যে বৃত্তের কেন্দ্র এবং ভূগোলকের কেন্দ্র একই বিন্দুতে থাকে, সেই বৃত্ত হল মহাবৃত্ত। অপরদিকে, যেসব পূর্ণবৃত্তের কেন্দ্র এবং ভূগোলকের কেন্দ্র একই বিন্দুতে অবস্থান করে না তাকে ক্ষুদ্রবৃত্ত বলে । নিরক্ষরেখা একটি মহাবৃত্ত কিন্তু 20° অক্ষরেখা একটি ক্ষুদ্রবৃত্ত।
৩১. মহাবৃত্ত কী ?
❒ পৃথিবীর ওপর দিয়ে এমন বৃত্ত কল্পনা করা হয়েছে, যার কেন্দ্র ও পৃথিবীর কেন্দ্র এক। সেরকমই একটি মহাবৃত্তের উদাহরণ হল নিরক্ষরেখা। যে-কোনো দ্রাঘিমারেখা এবং তার বিপরীত (180°) দ্রাঘিমারেখা যোগ করলেও মহাবৃত্ত পাওয়া যায়।
৩২. নিরক্ষরেখা কী?
❒ সুমেরুবিন্দু ও কুমেরুবিন্দু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীর মাঝবরাবর যে কাল্পনিক বৃত্তাকাররেখা পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে রয়েছে, তা নিরক্ষরেখা নামে পরিচিত। এর অক্ষাংশের মান ০°।
৩৩. মূলমধ্যরেখা কী?
❒ উত্তর লন্ডনের গ্রিনিচ শহরের ওপর দিয়ে উত্তরে সুমেরু থেকে দক্ষিণে কুমেরু পর্যন্ত বিস্তৃত যে দ্রাঘিমারেখা কল্পনা করা হয়েছে, তাকে মূলমধ্যরেখা বলে। এর মান ০° এটি পৃথিবীকে পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধে ভাগ করেছে।
৩৪. হ্যাডলির অকট্যান্ট কী? কোথায় দেখা যায়?
❒ হ্যাডলির অকট্যান্ট একটি নক্ষত্র। এটি দক্ষিণ মেরুমুখী নক্ষত্র। তাই দক্ষিণ গোলার্ধের যে-কোনো জায়গা থেকে রাত্রিবেলা এটিকে দেখা যায়।
No comments
Hi Welcome ....