Madhyamik 2023 ABTA Hisotry Page - 122 to 125
বিভাগ- ‘ক’ ১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : ২০×১= ২০
১.১ নতুন সামাজিক ইতিহাসচর্চার মুখপত্র হল—
(ক) সোশ্যাল সায়েন্স হিস্ট্রি
(খ) সোশ্যাল হিস্ট্রি
(গ) সোসাইটি ফর হিস্ট্রি
(ঘ) সোশ্যাল হিস্ট্রি এ্যাসোসিয়েশন
১.২ ‘ডান্স ফর ইন্ডিয়া’ গ্রন্থটি রচনা করেন—
(ক) মমতাশংকর
(খ) শোভনা গুপ্ত
(গ) বিরজু মহারাজ
(ঘ) তপতী মজুমদার
১.৩ উডের ডেসপ্যাচ প্রকাশিত হয়—
(ক) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দ
(খ) ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দ
(গ) ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দ
ঘ) ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দ
১.৪ ‘স্বদেশের প্রতি’ কবিতাটির রচয়িতা হলেন—
(ক) ডিরোজিও
(খ) কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়
(গ) প্যারীচাঁদ মিত্র
(ঘ) দক্ষিণারঞ্জন মুখার্জি
১.৫ “উনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণ ছিল এক ধরনের অতিকথা” কথা বলেছেন –
(ক) সুশোভন সরকার
(খ) যদুনাথ সরকার
(গ) সুপ্রকাশ সন্ন্যাসী-ফকির রায়
(ঘ) বিনয় ঘোষ
১.৬ রানী শিরোমণি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন—
(ক) বিদ্রোহে
(খ) ফরাজি আন্দোলনে
(গ) চুয়াড় বিদ্রোহে
(ঘ) নীল বিদ্রোহে
১.৭ হুল দিবস পালিত হয় —
(ক) ৫ই জুন
(খ) ৩০শে জুন
(গ) ৫ই জুলাই
(ঘ) ৩০শে জুলাই
১.৮ ‘মহারানির ঘোষণাপত্র’ (১লা নভেম্বর, ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়—
(ক) কলকাতায়
(খ) দিল্লিতে
(গ) ঢাকায়
(ঘ) এলাহাবাদে
১.৯ ‘হিন্দু মেলা’ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যাঁর নাম জড়িত, তিনি হলেন—
(ক) প্যারীচাঁদ মিত্র
(খ) নবগোপাল মিত্র
(গ) শিশিরকুমার ঘোষ
(ঘ) সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি।
১.১০ ‘বর্তমান ভারত’ প্রবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয় (১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দ)—
(ক) উদ্বোধন পত্রিকাতে
(খ) বঙ্গদর্পণ পত্রিকাতে
(গ) প্রবাসী পত্রিকাতে
(ঘ) প্রবুদ্ধ ভারত পত্রিকাতে
১.১১ ‘বর্ণ পরিচয়’ প্রথম ভাগ প্রকাশিত হয়—
(ক) ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দ
(খ) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দ
(গ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ
(ঘ) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ
১.১২ বোলপুরে শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন—
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
১.১৩ মোপলা বিদ্রোহ হয়েছিল—
(ক) কোঙ্কন উপকূলে
(খ) কাথিয়াবাড় উপকূলে
(গ) মাদ্রাজে
(ঘ) মালাবার উপকূলে
১.১৪ অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (১৯২০ খ্রিস্টাব্দ)-এর প্রথম সভাপতি ছিলেন—
(ক) লালা লাজপৎ রায়
(খ) স্বামী সহজানন্দ
(গ) এন জি রঙ্গ
(ঘ) মুজাফ্ফর আহমদ
১.১৫ বাংলায় কৃষক প্রজা পার্টি (১৯২৯ খ্রিস্টাব্দ) প্রতিষ্ঠা করেন—
(ক) এ .কে ফজলুল হক
(খ) চারু মজুমদার
(গ) বীরেন্দ্রনাথ শাসমল
(ঘ) নলিনী গুপ্ত
১.১৬ স্বদেশী আন্দোলনের সময় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রতিষ্ঠা করেন—
(ক) ননীবালা দেবী
(খ) কুমুদিনী মিত্র
(গ) ঊর্মিলা দেবী
(ঘ) সরলাদেবী চৌধুরানী
১.১৭ ‘অ্যান্টি-সার্কুলার সোস্যাইটি’ (১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ) গঠন করেন—
(ক) শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু
(খ) সতীশচন্দ্র বসু
(গ) প্রমথনাথ বসু
(ঘ) হেমচন্দ্র ঘোষ
১.১৮ ‘সেলফ-রেসপেক্ট’ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন—
(ক) নারায়ণ গুরু
(খ) ই ভি রামস্বামী নায়কার
(গ) জ্যোতিরাও ফুলে
(ঘ) বি আর আম্বেদকর
১.১৯ জুনাগড় কবে ভারতভুক্ত হয়?
(ক) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ
(খ) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ
(গ) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ
(ঘ) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ
১.২০ ‘উদ্বাস্তু’ গ্রন্থটির রচয়িতা—
(ক) প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী
(খ) মণিকুন্তলা সেন
(গ) সুনন্দা সিকদার
(ঘ) হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
❐ আরো পড়ুনঃ মাধ্যমিক
{tocify} $title={Table of Contents}
বিভাগ-‘খ’ নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্তত একটি করে মোট ১৬টি প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১×১৬=১৬
উপবিভাগ - ২.১
২.১.১ কলকাতায় জাতীয় নাট্যশালা কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে ৭ ডিসেম্বর মাসে।
২.১.২. দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পশ্চিমী ধাঁচের বিশ্ববিদ্যালয় কোনটি।
উত্তরঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
২.১.৩ ‘শৃঙ্খলা বঝংকার’ গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
উত্তরঃ বীণা দাস।
২.১.৪ ‘ভারতের লৌহমানব’ নামে কে পরিচিত?
উত্তরঃ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল।
উপবিভাগ-২.২ ঠিক বা ভুল নির্ণয় করো :
২.২.১ ‘রসগোল্লা: বাংলার জগৎমাতানো আবিষ্কার’— গ্রন্থটি রচনা করেন হরিপদ ভৌমিক।
উত্তরঃ ঠিক ✔
২.২.২ ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট” পত্রিকার সম্পাদক শচন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায় সিপাহী বিদ্রোহের সমর্থক ছিলেন।
উত্তরঃ ভুল メ
২.২.৩ ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা করেন জগদীশচন্দ্র বসু।
উত্তরঃ ঠিক ✔
২.২.৪ এম এন রায়ের প্রকৃত নাম রাসবিহারী বসু।
উত্তরঃ ভুল メ
উপবিভাগ-২.৩ ‘ক’ স্তম্ভের সাথে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও:
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ |
---|---|
২.৩.১ বামাবোধিনী ⟶ | উমেশচন্দ্র দত্ত |
২.৩.২ খুৎকাঠি ⟶ | মুণ্ডা বিদ্রোহ |
২.৩.৩ ভাইকম সত্যাগ্রহ ⟶ | শ্রী নারায়ণ গুরু |
২.৩.৪ কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ ⟶ | তারকনাথ পালিত |
উপবিভাগ- ২.৫ নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো।
২.৫.১ বিবৃতি: উনিশ শতকে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে আদিবাসীরা বিদ্রোহে সামিল হয়।
ব্যাখ্যা-১ উচ্চবর্ণের মানুষেরা তাদের উপর অত্যাচার করত।
ব্যাখ্যা-২ অরণ্য আইন প্রবর্তন ও ঔপনিবেশিক আর্থিক শোষণে আদিবাসীদের জীবন চরম দুর্দশার সম্মুখীন হয়।
ব্যাখ্যা-৩ স্থানীয় জমিদাররা জমিদারদের ওপর আর্থিক শোষণ চালায়।
২.৫.২ বিবৃতি: সিপাহি বিদ্রোহে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণি যোগ দেয় নি।
ব্যাখ্যা-১ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির অনেকেই ব্রিটিশ শাসনকে ভারতের পক্ষে কল্যাণকর বলে মনে করতো।
ব্যাখ্যা-২ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণি ভীরু ও দুর্বল ছিল বলে।
ব্যাখ্যা-৩ বিদ্রোহের নেতা হিসেবে বিদ্রোহিরা দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে মেনে নিয়েছিল বলে।
২.৫.৩ বিবৃতি: বিপ্লব হলো একটি প্রতিবাদের উপায়।
ব্যাখ্যা-১ বিপ্লব হলো সামরিক অভ্যুত্থানের একটি ধারা।
ব্যাখ্যা-২ বিপ্লব সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি হয়।
ব্যাখ্যা-৩ বিপ্লবের মাধ্যমে প্রচলিত ব্যবস্থার দ্রুত ও আমূল পরিবর্তন ঘটে।
২.৫.৪ বিবৃতি: ‘একা’ আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে।
ব্যাখ্যা-১ এটি ছিল একটি ব্যক্তিগত আন্দোলন।
ব্যাখ্যা-২ এটি ছিল একটি কৃষক আন্দোলন।
ব্যাখ্যা-৩ এটি ছিল একটি শ্রমিক আন্দোলন।
বিভাগ-‘গ’ ৩। দুটি বা তিনটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে কোনো ১১টি) : ১১×২=২২
৩.১ নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চা বলতে কী বোঝায়?উত্তরঃ ১৯৮০-র দশক থেকে ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ায় বিভিন্ন দেশের গবেষকের উদ্যোগে জাতি, শ্রেণি, লিঙ্গ, ধর্ম প্রভৃতি নির্বিশেষে নিম্নবর্গের মানুষদের নিয়ে ইতিহাসচর্চা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধারা নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চা বা সাবলটার্ন স্টাডিজ নামে পরিচিত।
৩.২ আধুনিক ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফি বা আলোকচিত্রের গুরুত্ব কী?
উত্তরঃ আধুনিক ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে ফোটোগ্রাফি বা আলোকচিত্রের প্রধান গুরুত্বগুলি হল—[1] ফোটোগ্রাফি ইতিহাসচর্চার নতুন উপাদান সরবরাহ করতে পারে। [2] প্রচলিত তথ্য বা ঘটনার সত্যাসত্য ফোটোগ্রাফির দ্বারা
যাচাই করা যেতে পারে।
৩.৩ ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকার বিষয়বস্তু কী ছিল?
উত্তরঃ ‘গ্রামবার্ত্তাপ্রকাশিকা' পত্রিকার বিষয়বস্তু বা উদ্দেশ্য ছিল—[1] সমকালীন সময়ে গ্রামের আর্থ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা, [2] কৃষকদের ওপর জমিদার, মহাজন, নীলকরদের শোষণ-অত্যাচারের কাহিনী জনসমক্ষে তুলে ধরা, [3] গ্রামীণ মানুষদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের সমালোচনা করা, [4] প্রভুর শোষণ-অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাংলার সাধারণ মানুষকে সচেতন করা প্রভৃতি।
৩.৪ ভারতের শিক্ষার ইতিহাসে ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনের গুরুত্ব কী?
উত্তরঃ শিক্ষাক্ষেত্রে ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদের গুরুত্ব ছিল যে, এর দ্বারা— [1] কোম্পানি প্রতি বছর ১ লক্ষ টাকা ভারতীয় জনশিক্ষার জন্য ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেয়। [2] ভারতে জনশিক্ষার নীতি নির্ধারণের উদ্দেশ্যে ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে ‘জনশিক্ষা কমিটি’ বা ‘কমিটি অব পাবলিক ইন্সট্রাকশন' গঠিত হয়।
৩.৫ ওয়াহাবি আন্দোলনের দুটি উদ্দেশ্য লেখো।
উত্তরঃ [1] শুদ্ধিকরণ : বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল ইসলামের কুসংস্কারগুলি দূর করা এবং পবিত্র কোরান-নির্দেশিত পথে ইসলামের শুদ্ধিকরণ ঘটানো। [2] জমিদার-বিরোধিতা; ধর্মীয় সংস্কারের উদ্দেশ্যে শুরু হলেও ওয়াহাবি আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল অত্যাচারী জমিদার, নীলকর ও মহাজনদের আধিপত্য ধ্বংস করা।
৩.৬ ‘কেনারাম’, ‘বেচারাম’ কী?
উত্তরঃ ছোটোনাগপুরের সাঁওতাল-অধ্যুষিত অঞ্চলে বহিরাগত ব্যবসায়ীরা প্রকৃত যা ওজন হওয়া উচিত তার থেকে বেশি ওজনের বাটখারা দিয়ে ওজন করে সাঁওতালদের কাছ থেকে কৃষিপণ্য কিনত। এই বাটখারা ‘কেনারাম’ নামে পরিচিত।
ছোটোনাগপুরের সাঁওতাল-অধ্যুষিত অঞ্চলে বহিরাগত ব্যবসায়ীরা প্রকৃত যা ওজন হওয়া উচিত তার থেকে কম ওজনের বাটখারা দিয়ে ওজন করে সাঁওতালদের কাছে লবণ, চিনি প্রভৃতি পণ্য বিক্রি করত। এই বাটখারা ‘বেচারাম’ নামে পরিচিত।
৩.৭ জমিদার সভার প্রধান কর্মসূচিগুলি কী কী ছিল?
উত্তরঃ [i] জমিদারদের স্বার্থরক্ষার জন্য তারা সরকারের কাছে দাবি জানায়। [ii] তারা ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রকে নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা করে। [iii] তারা ভারতের সর্বত্র চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রসার ঘটানোর দাবি জানায় [iv] শাসন সংস্কারের জন্য তারা সরকারের কাছে দাবি জানায় ইত্যাদি।
৩.৮ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ‘ভারতমাতা’ চিত্রটি কেন তাৎপর্যপূর্ণ?
উত্তরঃ বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের সময় শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ‘ভারতমাতা’ (১৯০৫ খ্রি.) নামক চিত্রটি শিক্ষিত ও প্রগতিশীল ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবোধের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। অবনীন্দ্রনাথ হিন্দুদের ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মীর অনুকরণে চতুর্ভুজা ভারতমাতা’র চিত্রটি অঙ্কন করেন। বৈঘ্নব সন্ন্যাসিনীর পোশাক পরিহিতা ‘ভারতমাতা’র চার হাতে রয়েছে বেদ, ধানের শীষ, জপের মালা ও শ্বেতবস্ত্র। এর দ্বারা অবনীন্দ্রনাথ ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ- বিরোধী স্বদেশি আন্দোলনের যুগে ভারতীয়দের মধ্যে স্বদেশিয়ানা ও জাতীয়তাবাদী অনুভূতি জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন বলে এটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
৩.৯ মহেন্দ্রলাল সরকার কেন বিখ্যাত?
উত্তরঃ ড. মহেন্দ্রলাল সরকার (১৮৩৩-১৯০৪ খ্রি.) ছিলেন একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক। তিনি ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে (২৯ জুলাই) কলকাতার বৌবাজার স্ট্রিটে ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স’ বা আই এ সি এস প্রতিষ্ঠা করেন।
৩.১০ জাতীয় শিক্ষা পরিষদের দুটি উদ্দেশ্য লেখো।
উত্তরঃ জাতীয় শিক্ষা পরিষদ স্থাপনের দুটি উদ্দেশ্য হলো - [1] জাতীয় আদর্শ অনুসারে সাহিত্য, বিজ্ঞান ও কারিগরিশিক্ষা দান করা, [2] শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশসেবার মনোভাব জাগিয়ে তোল।
৩.১১ কবে, কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গান্ধীজি অহিংস অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন?
উত্তরঃ ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে (৫ ফেব্রুয়ারি) উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলার চৌরিচৌরা গ্রামে উত্তেজিত জনতা থানায় অগ্নি সংযোগ করে ২২ জন পুলিশকে পুড়িয়ে মারে। আন্দোলনে হিংসার প্রবেশ ঘটায় গান্ধিজি আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।
৩.১২ ভারতে কবে, কার সভাপতির ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ মানবেন্দ্রনাথ রায়ের নেতৃত্বে এবং অবনী মুখার্জি, মহম্মদ আলি,মহম্মদ সাফিক প্রমুখের সহযোগিতায় ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার তাসখন্দে প্রথম ‘ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
৩.১৩ ননীবালা দেবী স্মরণীয় কেন?
উত্তরঃ ননীবালা দেবী স্মরণীয় কারণ - বলগভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনকালে তিনি বিপ্লবীদের আশ্রয় দান ও গোপনে অস্ত্র সরবরাহ করতেন। এজন্য জেলে থাকাকালীন অকথ্য অত্যাচার সত্ত্বেও তিনি বিপ্লবীদের কোনো গোপন তথ্য প্রকাশ করেননি। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে এবং তাঁর দেশভক্তির আদর্শ বিপ্লবীদের মনে উৎসাহের সঞ্চার করেছিল।
৩.১৪ রসিদ আলি দিবস কেন পালিত হয়েছিল?
উত্তরঃ ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশদের হাতে বন্দি আজাদ হিন্দ বাহিনীর অন্যতম .সেনাপতি রশিদ আলির বিচার হয়। বিচারে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন তিনি। এই দণ্ডের প্রতিবাদে মুসলিম ছাত্র লিগ কলকাতায় ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি দিনটি রশিদ আলি দিবস হিসেবে পালনের কথা ঘোষণা করে।
৩.১৫ ‘রাজাকার’ কারা?
উত্তরঃ আক্ষরিক অর্থে রাজাকার শব্দের অর্থ হচ্ছে সেবাকারী। একাত্তর এর যুদ্ধের সময় যারা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিকে (পশ্চিম পাকিস্তান) সেবা করেছিল, তাদের খেদমত এ নিজেদের নিয়োজিত হয়ে দেশ ও মাটির সাথে বেঈমানি করেছিল তাদেরকেই সেইসময় রাজাকার বলা হয়েছিল।
৩.১৬ পট্টি শ্রীরামালু কে ছিলেন?
উত্তরঃ পট্টি শ্রীরামালু ছিলেন দক্ষিণ ভারতের একজন গান্ধিবাদী নেতা। মাদ্রাজ প্রদেশের তেলুগু ভাষাভাষী-অঞ্চল নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবিতে তিনি ৫৮দিন অনশন করে মৃত্যুবরণ (১৯৫২ খ্রি.) করেন।
৩.৭ জমিদার সভার প্রধান কর্মসূচিগুলি কী কী ছিল?
উত্তরঃ [i] জমিদারদের স্বার্থরক্ষার জন্য তারা সরকারের কাছে দাবি জানায়। [ii] তারা ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রকে নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা করে। [iii] তারা ভারতের সর্বত্র চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রসার ঘটানোর দাবি জানায় [iv] শাসন সংস্কারের জন্য তারা সরকারের কাছে দাবি জানায় ইত্যাদি।
৩.৮ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ‘ভারতমাতা’ চিত্রটি কেন তাৎপর্যপূর্ণ?
উত্তরঃ বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের সময় শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ‘ভারতমাতা’ (১৯০৫ খ্রি.) নামক চিত্রটি শিক্ষিত ও প্রগতিশীল ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবোধের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। অবনীন্দ্রনাথ হিন্দুদের ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মীর অনুকরণে চতুর্ভুজা ভারতমাতা’র চিত্রটি অঙ্কন করেন। বৈঘ্নব সন্ন্যাসিনীর পোশাক পরিহিতা ‘ভারতমাতা’র চার হাতে রয়েছে বেদ, ধানের শীষ, জপের মালা ও শ্বেতবস্ত্র। এর দ্বারা অবনীন্দ্রনাথ ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ- বিরোধী স্বদেশি আন্দোলনের যুগে ভারতীয়দের মধ্যে স্বদেশিয়ানা ও জাতীয়তাবাদী অনুভূতি জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন বলে এটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
৩.৯ মহেন্দ্রলাল সরকার কেন বিখ্যাত?
উত্তরঃ ড. মহেন্দ্রলাল সরকার (১৮৩৩-১৯০৪ খ্রি.) ছিলেন একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক। তিনি ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে (২৯ জুলাই) কলকাতার বৌবাজার স্ট্রিটে ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স’ বা আই এ সি এস প্রতিষ্ঠা করেন।
৩.১০ জাতীয় শিক্ষা পরিষদের দুটি উদ্দেশ্য লেখো।
উত্তরঃ জাতীয় শিক্ষা পরিষদ স্থাপনের দুটি উদ্দেশ্য হলো - [1] জাতীয় আদর্শ অনুসারে সাহিত্য, বিজ্ঞান ও কারিগরিশিক্ষা দান করা, [2] শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশসেবার মনোভাব জাগিয়ে তোল।
৩.১১ কবে, কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গান্ধীজি অহিংস অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন?
উত্তরঃ ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে (৫ ফেব্রুয়ারি) উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলার চৌরিচৌরা গ্রামে উত্তেজিত জনতা থানায় অগ্নি সংযোগ করে ২২ জন পুলিশকে পুড়িয়ে মারে। আন্দোলনে হিংসার প্রবেশ ঘটায় গান্ধিজি আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।
৩.১২ ভারতে কবে, কার সভাপতির ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ মানবেন্দ্রনাথ রায়ের নেতৃত্বে এবং অবনী মুখার্জি, মহম্মদ আলি,মহম্মদ সাফিক প্রমুখের সহযোগিতায় ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার তাসখন্দে প্রথম ‘ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
৩.১৩ ননীবালা দেবী স্মরণীয় কেন?
উত্তরঃ ননীবালা দেবী স্মরণীয় কারণ - বলগভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনকালে তিনি বিপ্লবীদের আশ্রয় দান ও গোপনে অস্ত্র সরবরাহ করতেন। এজন্য জেলে থাকাকালীন অকথ্য অত্যাচার সত্ত্বেও তিনি বিপ্লবীদের কোনো গোপন তথ্য প্রকাশ করেননি। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে এবং তাঁর দেশভক্তির আদর্শ বিপ্লবীদের মনে উৎসাহের সঞ্চার করেছিল।
৩.১৪ রসিদ আলি দিবস কেন পালিত হয়েছিল?
উত্তরঃ ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশদের হাতে বন্দি আজাদ হিন্দ বাহিনীর অন্যতম .সেনাপতি রশিদ আলির বিচার হয়। বিচারে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন তিনি। এই দণ্ডের প্রতিবাদে মুসলিম ছাত্র লিগ কলকাতায় ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি দিনটি রশিদ আলি দিবস হিসেবে পালনের কথা ঘোষণা করে।
৩.১৫ ‘রাজাকার’ কারা?
উত্তরঃ আক্ষরিক অর্থে রাজাকার শব্দের অর্থ হচ্ছে সেবাকারী। একাত্তর এর যুদ্ধের সময় যারা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিকে (পশ্চিম পাকিস্তান) সেবা করেছিল, তাদের খেদমত এ নিজেদের নিয়োজিত হয়ে দেশ ও মাটির সাথে বেঈমানি করেছিল তাদেরকেই সেইসময় রাজাকার বলা হয়েছিল।
৩.১৬ পট্টি শ্রীরামালু কে ছিলেন?
উত্তরঃ পট্টি শ্রীরামালু ছিলেন দক্ষিণ ভারতের একজন গান্ধিবাদী নেতা। মাদ্রাজ প্রদেশের তেলুগু ভাষাভাষী-অঞ্চল নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবিতে তিনি ৫৮দিন অনশন করে মৃত্যুবরণ (১৯৫২ খ্রি.) করেন।
বিভাগ-‘ঘ’ ৪। সাতটি বা আটটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও। প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১ টি করে মোট ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ৬×৪=২৪
উপবিভাগ-ঘ.১
৪.১ আধুনিক ইতিহাস চর্চায় নারী-ইতিহাস কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তরঃ ইতিহাসের বিষয়বস্তু সমগ্র মানবজাতি, যার অর্ধেক অংশ হল নারী। অথচ বিগত শতাব্দীতেও ইতিহাসচর্চায় নারীজাতিকে পুরুষের সমান গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হত না। ইতিহাসে নারী কী ভূমিকা পালন করেছে তা নিয়ে বর্তমানকালে চর্চা শুরু হয়েছে। এই চর্চাই হল নারী ইতিহাস।
[1] ইতিহাসে নারীর ভূমিকা : যুগে যুগে ইতিহাসে নারীর আসামান্য অবদান রয়েছে। নেফারতিতি, ক্লিওপেট্রা, রাজিয়া, নূরজাহান, দুর্গাবতী প্রমুখ নারী নিজের যোগ্যতার দ্বারা প্রাচীন ও মধ্যযুগে রাজনৈতিক ক্ষমতার অসীম আধারে পরিণত হয়েছিলেন। বিংশ- একবিংশ শতকেও বিভিন্ন দেশের সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতির ওপর বিশ্বের বিভিন্ন নারী প্রাধান্য বিস্তার করেছেন।
[2] ইতিহাসে নারীর বঞ্চনা: ইতিহাসের আলোচনায় পুরুষের আন্দোলন, যুদ্ধ, রাজনীতি, কূটনীতি প্রভৃতি গুরুত্ব পেলেও
নারীদের নেতৃত্ব, অধিকার, দাবিদাওয়া, আন্দোলন, মর্যাদা, শিক্ষাসংস্কৃতি প্রভৃতির যথেষ্ট আলোচনা ইতিহাসে করা হত না।
[3] নারী ইতিহাসচর্চার সূত্রপাত: ইতিহাসে নারীদের ভূমিকা নিয়ে আধুনিককালে গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটছে এবং পুরুষের সঙ্গে নারী ইতিহাসের চর্চাও গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে। ১৯৭০-এর দশক থেকে নারী ইতিহাসচর্চার সূত্রপাত ঘটেছে।
[4] ভারতে নারী ইতিহাসচর্চা: ভারতে নারী ইতিহাসচর্চা করেছেন নীরা দেশাই, জেরাল্ডিন ফোর্বস, বি আর নন্দ, কমলা ভাসিন প্রমুখ ইতিহাসবিদ এবং বাংলায় দীনেশচন্দ্র সেন, রামেন্দ্র চৌধুরী, শ্রীমন্মথনাথ সরকার, রাজশ্রী বসু, চিত্রা দেব, মালেকা বেগম, মাহমুদ শামসুল হক প্রমুখ এই ব্যাপারে চর্চা করেছেন।
উপসংহার: নারীদের ভূমিকাকে বাদ দিয়ে ইতিহাসচর্চা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই বর্তমান যুগের ইতিহাসচর্চায় নারী ইতিহাসচর্চা অবশ্যই অপরিহার্য।
৪.২ সতীদাহ প্রথা বিরোধী আন্দোলন বিশ্লেষণ করো।
ভূমিকা: ঊনিশ শতকের সূচনালগ্নেও বাংলা তথা ভারতীয় হিন্দুসমাজে সতীদাহপ্রথা বা সহমরণ নামে একটি মধ্যযুগীয় নিষ্ঠুর বর্বর প্রথা প্রচলিত ছিল। এই প্রথা অনুসারে স্বামীর মৃত্যুর পর জ্বলন্ত চিতায় তার বিধবা স্ত্রীকে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হত। রাজা রামমোহন রায়ের নেতৃত্বে এই বর্বর প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত হয়।[1] প্রেক্ষাপট: উনিশ শতকের শুরুতেও হিন্দুসমাজে স্বামীর মৃত্যুর পর তাদের বিধবা স্ত্রীরা সীমাহীন উপেক্ষার শিকার হত। সতীদাহ বা সহমরণের হাত থেকে তাদের রক্ষা না করে সমাজ বরং এই প্রথাকে সমর্থন করত। ব্রিটিশ সরকার এই কুপ্রথার বিরোধী হলেও তারা প্রথমদিকে এই প্রথা নিষিদ্ধ করে হিন্দু সম্প্রদায়কে ক্ষিপ্ত করতে চায়নি।
[2] আন্দোলন সংগঠন: সতীদাহপ্রথার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম রাজা রামমোহন রায় শক্তিশালী প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি লোকশিক্ষার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে হিন্দুসমাজ থেকে এই কুপ্রথার অবসান ঘটানোর চেষ্টা চালান।
[3] ধর্মীয় নির্দেশের সন্ধান: রক্ষণশীল হিন্দুরা সতীদাহপ্রথার বিরুদ্ধে রামমোহন রায়ের আন্দোলনে ক্ষুব্ধ হলে রামমোহন
‘মনুসংহিতা’ সহ বিভিন্ন হিন্দুশাস্ত্র ও ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে, সতীদাহপ্রথা হিন্দুধর্ম ও
শাস্ত্রবিরোধী। তিনি ‘সম্বাদ কৌমুদী' পত্রিকায় নিয়মিত প্রবন্ধ প্রকাশ করেন।
‘মনুসংহিতা’ সহ বিভিন্ন হিন্দুশাস্ত্র ও ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে, সতীদাহপ্রথা হিন্দুধর্ম ও
শাস্ত্রবিরোধী। তিনি ‘সম্বাদ কৌমুদী' পত্রিকায় নিয়মিত প্রবন্ধ প্রকাশ করেন।
[4] সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ: বিভিন্ন পুস্তিকা প্রকাশের মাধ্যমে সতীদাহপ্রথার বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে রামমোহন সমাজের
সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। তিনি ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে একটি বাংলা পুস্তিকা প্রকাশ করে শিক্ষিত মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি এবিষয়ে পরবর্তীকালে আরও কয়েকটি বাংলা ও ইংরেজি পুস্তিকা প্রকাশ করেন।
সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। তিনি ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে একটি বাংলা পুস্তিকা প্রকাশ করে শিক্ষিত মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি এবিষয়ে পরবর্তীকালে আরও কয়েকটি বাংলা ও ইংরেজি পুস্তিকা প্রকাশ করেন।
[5] ফলাফল: রামমোহন সতীদাহপ্রথা বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে বাংলার বিশিষ্ট নাগরিকদের স্বাক্ষর-সংবলিত একটি আবেদনপত্র তৎকালীন ভারতের বড়োলাট লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক (১৮২৮- ১৮৩৫ খ্রি.)-এর কাছে জমা দেন। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে বেন্টিঙ্ক ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে (৪ ডিসেম্বর) ১৭নং রেগুলেশন আইন পাস করে সতীদাহপ্রথা নিষিদ্ধ করেন।
উপসংহার: বেন্টিঙ্ক কর্তৃক সতীদাহপ্রথা নিষিদ্ধকরণ আইনকে রামমোহন রায় অকুণ্ঠ সমর্থন জানান। এরপর দীর্ঘকালব্যাপী এই বর্বর প্রথার অবসান ঘটে।
উপবিভাগ-ঘ.২ ৪.৩ মুণ্ডা বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
ভূমিকা: বর্তমান ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ছোটোনাগপুর ও তার নিকটবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায় বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ১৮৯৯-১৯০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ যে শক্তিশালী বিদ্রোহ শুরু করে তা সাধারণভাবে মুন্ডা বিদ্রোহ নামে পরিচিত।
মুন্ডা বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য ও কারণ: মুন্ডা বিদ্রোহের প্রধান কারণগুলি ছিল [i] জমিতে মুন্ডাদের চিরাচরিত যৌথ মালিকানা ব্যবস্থা (খুঁৎকাঠি প্রথা) বাতিল করা, [ii] মুন্ডাদের নিজস্ব আইন, শাসন ও বিচারব্যবস্থা বাতিল করা, [ii] মুন্ডাদের ওপর ভূমিরাজস্বের হার বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন ধরনের নতুন কর আরোপ, [iv] মুন্ডা শ্রমিকদের বেগার শ্রমদানে বাধ্য করা, [v] মুন্ডাদের জমিজমা বহিরাগত জমিদার ও মহাজনদের দ্বারা দখল, [ivi] মুন্ডাদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরণ প্রভৃতি।
ক্ষোভের সূত্রপাত: বিরসা এক নতুন ধর্ম প্রচার করে মুন্ডাদের ঐক্যবদ্ধ করেন। তিনি মুন্ডাদের খাজনা দিতে নিষেধ করেন এবং বিদেশিদের বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়ে এক স্বাধীন মুন্ডারাজ প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে তাঁকে দুই বছর (১৮৯৫-৯৬ খ্রি.) জেলে থাকতে হয়।
বিদ্রোহের প্রসার : বিরসা ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে একটি সেনাদল গঠন করে নতুন উদ্যমে বিদ্রোহে ঝাঁপিয়ে পড়েন। খুঁটি, রাঁচি,
চক্রধরপুর, বুন্দু, তামার, তোরপা, কারা বাসিয়া প্রভৃতি স্থানে তাঁর গোপন ঘাঁটি গড়ে ওঠে। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে বিদ্রোহ প্রবল আকার ধারণ করে। ইংরেজ কর্মচারী, পুলিশ, জমিদার, মহাজনদের পাশাপাশি থানা, গির্জা প্রভৃতির ওপরও আক্রমণ চলে।
বিদ্রোহের অবসান : প্রবল বিক্রমে লড়াই করেও বিদ্রোহী মুন্ডারা শেষপর্যন্ত আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ইংরেজ বাহিনীর
কাছে পরাজিত হয়। বহু বিদ্রোহীর ফাঁসি বা কারাদণ্ড হয়। এভাবে বিদ্রোহ থেমে যায়। বিরসা মুন্ডা রাঁচি জেলে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
উপসংহার: মুন্ডা উপজাতিদের বিদ্রোহ ছিল এক অর্থে কৃষকবিদ্রোহ। দরিদ্র মুন্ডা কৃষকরাই ছিল এই বিদ্রোহের প্রধান চালিকাশক্তি। নরহরি কবিরাজও মুন্ডা বিদ্রোহকে কৃষকবিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন।
৪.৪ ‘আনন্দমঠ’ গ্রন্থটির মধ্য দিয়ে কীভাবে জাতীয়তাবোধ ফুটে উঠেছে?
ভূমিকা: উনিশ শতকে ভারতীয় জাতীয়তাবোধের জাগরণে যেসব ব্যক্তি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি তাঁর ‘আনন্দমঠ' উপন্যাস রচনার মধ্য দিয়ে ভারতবাসীর মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগিয়ে তোলেন। এজন্য উপন্যাসটি ‘স্বদেশপ্রেমের গীতা’ নামে পরিচিত।
[1] গ্রন্থের রচনাকাল: ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ ও ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের পটভূমিতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসটি রচনা করেন।
[2] ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা: বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর ‘আনন্দমঠ' উপন্যাসে ভারতের ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থার তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি এদেশে ব্রিটিশ শাসনের করুণ অবস্থাটিকে তাঁর রচনায় ফুটিয়ে তোলেন এবং ব্রিটিশদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সকল ভারতীয়দের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
[3] দেশকে মা বলে সম্বোধন: ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র স্বদেশভূমিকে ‘মা’ বলে অভিহিত করেছেন। ফলে উপন্যাসটি স্বদেশপ্রেমের একটি নিদর্শনে পরিণত হয়েছে।
[7] পাশ্চাত্য শিক্ষার সমালোচনা: বঙ্কিমচন্দ্র তার উপন্যাসে পাশ্চাত্য শিক্ষার সমালোচনা করেছেন। তিনি মনে করেন পাশ্চাত্য শিক্ষা ভারতীয়দের ব্রিটিশ করণিক তৈরি করতে পারবে, কিন্তু এই শিক্ষায় শিক্ষিত কোনো মানুষই ব্রিটিশ বিরোধিতায় অংশ নেবে না।
[৪] দেশপ্রেমের প্রতিষ্ঠা: বঙ্কিমচন্দ্র সর্বদা দেশকে ঈশ্বর ও মা হিসেবে পুজো করেছেন। তিনি বলতেন—“Patriotism is Religion and Religion is Patriotism”, অর্থাৎ দেশপ্রেমই হল ধর্ম এবং ধর্মই হল দেশপ্রেম।
উপসংহার: বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাস ব্রিটিশদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে শিখিয়েছিল। এই গ্রন্থটি ভারতবাসীর কাছে জাতীয়তাবাদের গীতা হিসেবে গণ্য হয়েছিল। বঙ্কিমচন্দ্রের প্রশংসা করে বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ তাঁকে ‘ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ঋষি' বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে, তিনি শুধু সাহিত্য সৃষ্টি করেননি, তিনি একটি জাতির সৃষ্টি করেছেন।
উপবিভাগ-ঘ.৩ ৪.৫ বাংলায় ছাপাখানার বিকাশে ইউ এন রায় অ্যান্ড গল্প-এর ভূমিকা কী ছিল?
ভূমিকা: উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী (১৮৬৩-১৯১৫ খ্রি.) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি নানা পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে ঊনবিংশ শতকে নিম্নমানের মুদ্রণশিল্পের ব্যাপক উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হন।
[1] ইউ রায় অ্যান্ড সন্স প্রতিষ্ঠা: উপেন্দ্রকিশোর ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে বিদেশ থেকে আধুনিক উন্নত মুদ্রণযন্ত্র এনে কলকাতার
শিবনারায়ণ দাস লেনে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে এর নাম হয় ইউ রায় অ্যান্ড সন্স। এখানে তিনি মুদ্রণের কাজে উন্নতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা চালান।
[2] হাফটোন ব্লক তৈরি : উপেন্দ্রকিশোর তাঁর ছাপাখানায় কাঠের পরিবর্তে তামা ও দস্তার পাতে অক্ষর বা ছবি খোদাই করে মুদ্রণের প্রয়োজনীয় ব্লক তৈরি করেন। তিনি অন্ধকার ঘরে বসে আলোর প্রতিফলন ও প্রতিসরণ লক্ষ করে হাফটোন ব্লক তৈরির সূত্র উদ্ভাবন করেন। এর ফলে মুদ্রণশিল্প অনেক উন্নত হয়।
[3] ছবির ব্যবহার : উপেন্দ্রকিশোর বইয়ের প্রচ্ছদ ও বইয়ের ভেতরে লেখার সঙ্গে বিভিন্ন ছবির মুদ্রণ উন্নত করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা চালান। এই বিষয়ে তিনি ষাট ডিগ্রি স্ক্রিন, ডায়াফ্রাম পদ্ধতি, স্ক্রিন অ্যাডজাস্টার যন্ত্র, ডায়োটাইপ, রিপ্রিন্ট প্রভৃতি পদ্ধতি ব্যবহার করে রংবেরঙের নানা ছবি মুদ্রণের ব্যবস্থা করেন।
[4] স্টুডিয়ো স্থাপন : উপেন্দ্রকিশোর তাঁর ছাপাখানার সঙ্গে ছবি আঁকার একটি স্টুডিয়ো খোলেন। এখানে তিনি আধুনিক
ফোটোগ্রাফি নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা চালান। এর ফলে সাদাকালো ছবি প্রচলনের যুগে তিনি ছোটোদের জন্য রং-বেরঙেরবিভিন্ন বই প্রকাশ করতে সক্ষম হন। তিনি আধুনিক ফোটোগ্রাফি ও মুদ্রণশিল্প সম্পর্কে উচ্চশিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে তাঁর পুত্র সুকুমার রায়কে ইংল্যান্ডে পাঠান (১৯১১ খ্রি.)।
[5] প্রকাশনা: বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষার পর মুদ্রণশিল্পের যথেষ্ট উন্নতি ঘটিয়ে উপেন্দ্রকিশোর তাঁর ছাপাখানা থেকে ছোটোদের জন্য নিজের লেখা রঙিন বই একের পর এক প্রকাশ করতে থাকেন। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘ছেলেদের মহাভারত’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘সেকালের কথা’, ‘টুনটুনির বই’, ‘সন্দেশ’ পত্রিকা প্রভৃতি।
উপসংহার: উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী কর্তৃক বাংলার মুদ্রণশিল্পের আধুনিকীকরণের বিভিন্ন উপায় উদ্ভাবন এবং 'ইউ এন রায় অ্যান্ড সন্স’.. কোম্পানি প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাঁর উদ্যোগগুলি বাংলার মুদ্রণশিল্পকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়।
৪.৬ টীকা লেখো: বারদৌলি সত্যাগ্রহ।
উত্তরঃ গুজরাটের সুরাট জেলার বারদৌলি তালুকের কৃষকরা 1928 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ এক শক্তিশালী সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করে যা বারদৌলি সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত। বারদৌলিতে সম্পন্ন কৃষকেরা কুনবি পাতিদার নামে পরিচিত ছিল। এদের অধীনে জমি চাষ করত ঋণদাস নামে এক ধরনের দাস শ্রমিক। এখানকার 60 শতাংশ মানুষ ছিল নিম্নবর্ণের কালিপারাজ বা কালো মানুষ। আর উচ্চবর্ণের মানুষেরা উজালিপারাজ বা সাদা মানুষ নামে পরিচিত ছিল। হালি প্রথা অনুসারে এখানকার ভাগচাষিরা উচ্চবর্ণের মালিকদের অধীনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। সরকার বারদৌলির কৃষকদের ওপরে 1927 খ্রিস্টাব্দে খাজনার হার 22 শতাংশ বৃদ্ধি করে। ফলে কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়। 1925 খ্রিস্টাব্দে বারদৌলিতে ভয়ানক বন্যা হয় ফলে কৃষকদের ফসল নষ্ট হওয়ায় সেখানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফলে কৃষকদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে ওঠে।বারদৌলি সত্যাগ্রহে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কৃষকরা গান্ধিবাদী কংগ্রেস নেতা বল্লভভাই প্যাটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি এখানে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করে অহিংস প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলেন। এছাড়া নরহরি পারিখ রবিশংকর ব্যাস মোহনলাল পান্ডে প্রমুখ সর্দার প্যাটেলকে সহযোগিতা করেন। মিঠুবেন প্যাটেল মণিবেন প্যাটেল সারদা মেহতা ভক্তি বাঈ প্রমুখ নারী এই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। আন্দোলনের সমর্থনে বোম্বাই বিধানসভার সদস্য কে এম মুন্সি ও লালজি নারাণজি পদত্যাগ করেন। গান্ধিজিও বারদৌলিতে এসে আন্দোলনে নেতৃত্ব দানের কথা ঘোষণা করেন। শেষপর্যন্ত সরকার নিযুক্ত এক কমিটি 6.03 শতাংশ খাজনা বৃদ্ধি অনুমোদন করলে কৃষকরা তা দিতে রাজি হয়।
উপসংহার: সত্যাগ্রহ পদ্ধতিতে সংগঠিত বারদৌলি সত্যাগ্রহ কৃষকদেরকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। গান্ধিজির সত্যাগ্রহ নীতি এখানে আরও একবার সফল বলে প্রমাণিত হয়। যখন সরকার আন্দোলনের ফলে খাজনার হার 22 শতাংশ থেকে কমিয়ে 6.25 শতাংশ করে।
উপবিভাগ-ঘ.৪ ৪.৭ সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে প্রীতিলতা ওয়েদেদ্দার ও কল্পনা দত্তের ভূমিকা সংক্ষেপে লেখো।
বিপ্লবী আন্দোলনে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ভূমিকা :
আদর্শবোধ ও আত্মোৎসর্গের মাধ্যমে যারা নিজেদের জীবনকে অর্থবহ করে তুলেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (১৯১১-৩২ খ্রি:)।
[1] বিপ্লবী আন্দোলনে আগ্রহ: প্রীতিলতা ছাত্রাবস্থায় ঢাকার দীপালি সংঘে এবং পরে কলকাতায় ছাত্রী সংঘে যোগ দিয়ে
লাঠিখেলা, ছোরাখেলা প্রভৃতি শেখেন। তখন থেকেই বিপ্লবী আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে আগ্রহী হন।
[2] চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন: মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনায় প্রীতিলতা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরপর তিনি টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন অফিস ধ্বংস, পুলিশ লাইন দখল, জালালাবাদ পাহাড়ের যুদ্ধ (১৯৩০ খ্রি.), ধলঘাটের যুদ্ধ (১৯৩২ খ্রি.) প্রভৃতি কর্মসূচিতে অংশ নেন।
[3] মৃত্যুবরণ: পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে প্রীতিলতা পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন। এভাবে
দেশমাতার মুক্তিযুদ্ধে নিবেদিতপ্রাণ প্রীতিলতা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। প্রীতিলতাকে তাঁর মা আদর করে ডাকতেন ‘রানি’ বলে। প্রীতিলতার মৃত্যুর প্রসঙ্গে কল্পনা দত্ত লিখেছেন—“প্রীতির বাবা শোকে দুঃখে পাগলের মত হয়ে গেলেন, কিন্তু প্রীতির মা গর্ব করে বলতেন, ‘আমার মেয়ে দেশের কাজে প্রাণ দিয়েছে’।” পরিবারের চরম আর্থিক দুর্দশায় ধাত্রীর কাজ করে সংসার চালিয়েও প্রীতিলতার মায়ের এই গর্বটুকু বড়োই বীরত্বপূর্ণ।
বিপ্লবী আন্দোলনে কল্পনা দত্তের ভূমিকা :
বিংশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলার যেসব নারী ব্রিটিশ-বিরোধী বিপ্লবী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বিপ্লবী কল্পনা দত্ত (১৯১৩-৯৫ খ্রি.)।
[1] আন্দোলনে যোগদান: কলকাতার বেথুন কলেজে পড়ার সময়ই তিনি বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু ও কানাইলাল দত্তের বিপ্লবী
ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত হন। এই সময় তিনি কল্যাণী দাস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ছাত্রী সংঘে যোগ দেন এবং বিক্ষোভ, হরতাল প্রভৃতি
আন্দোলনে অংশ নেন।
[2] সূর্য সেনের দলে যোগদান: কল্পনা চট্টগ্রামে ফিরে (১৯৩০ খ্রি.) পূর্ণেন্দু দস্তিদারের মাধ্যমে বিপ্লবী সূর্য সেনের সঙ্গে পরিচিত হন। এরপর তিনি সূর্য সেন প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি-র চট্টগ্রাম শাখায় যোগ দেন।
[3] বিস্ফোরক আমদানি: কল্পনা কলকাতা থেকে গোপনে বিস্ফোরক এনে তা দিয়ে গান-কটন তৈরি করেন এবং এর সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জেলবন্দি বিপ্লবী গণেশ ঘোষ, অনন্ত সিং, লোকনাথ বল প্রমুখকে পালাতে সহায়তা করার চেষ্টা করেন।
[4] কারাদণ্ড: তিন মাস পর গৈরালা গ্রামের পুলিশের সঙ্গে অন্য একটি সংঘর্ষের সময় কল্পনার পিস্তলের গুলি ফুরিয়ে গেলে তিনি ধরা পড়েন। বিচারে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে কল্পনার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই থেমে যায়নি। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে মুক্তি পেয়ে কমিউনিস্ট পার্টি-তে যোগ দিয়ে কল্পনা ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যান। তিনি ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে দিল্লিতে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
৪.৮ বিভিন্ন মানুষের আত্মজীবনীতে ও স্মৃতিকথায় দেশভাগের প্রসঙ্গটি কীভাবে ফুটে উঠেছে, তা সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর : ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগ আধুনিক ভারতের ইতিহাসে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। দেশভাগের এই 'ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন বিষয় স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় উঠে এসেছে।
[1] দাঙ্গার উল্লেখ : দেশভাগের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কীভাবে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন প্রভৃতির শিকার হয়েছে এবং দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে তা বিভিন্ন লেখকের আলোচনায় উঠে এসেছে।
[2] দেশত্যাগের স্মৃতি: দেশত্যাগের সময় অতীতের বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিচারণ, অনেক বেদনা নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু প্রভৃতি বিষয়গুলি বিভিন্ন লেখক তাদের লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন।
[3] সম্পর্কের বিচ্ছেদ : দেশভাগ কীভাবে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পরিবার পরিজনের বিভিন্ন সদস্যের সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে, কীভাবে বহু প্রিয়জন একে অপরের থেকে চিরদিনের মতো হারিয়ে গেছে তা বিভিন্ন আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় আলোচিত হয়েছে।
[4] মাতৃভূমির প্রতি টান : নিজের মাতৃভূমির ভিটেমাটি ছেড়ে উদ্বাস্তু হলেও সেই ভিটেমাটি, পরিবেশ-পরিজনের প্রতি গভীর মমত্ববোধ এবং আকুল মনের টান বিভিন্ন লেখায় বার বার উঠে এসেছে।
[5] কয়েকজন লেখক: দেশভাগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে যাঁরা বাংলা ভাষায় বিভিন্ন আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা, উপন্যাস, গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রভৃতি লিখেছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, প্রফুল্ল রায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবেশ রায়, প্রফুল্ল চক্রবর্তী, দেবজ্যোতি রায় প্রমুখ, হিন্দি ভাষায় সাদাত হাসান মান্টো, কৃষণ চন্দর, যশপাল, রাঙ্গেয় রাঘো, ভীষ্ম সাহানী প্রমুখ, ইংরেজি ভাষায় খুশবন্ত সিং প্রমুখ।
উপসংহার: ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের দেশভাগ সম্পর্কে রচিত আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথাগুলি মানুষের সাত পুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে উদ্বাস্তু হওয়ার যে মর্মন্তুদ কাহিনি ফুটিয়ে তুলেছে তা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। সমকালীন ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রেও এগুলির মূল্য অসীম।
বিভাগ-‘ঙ ’৫ । পনেরো বা ষোলটি বাক্যে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ১×৮=৮
৫.১ ‘বাংলার নবজাগরণ”-এর চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করো।
বাংলার নবজাগরণের চরিত্র বা প্রকৃতি :
পঞ্চদশ শতকে সংঘটিত ইউরোপের নবজাগরণের সঙ্গে অনেকে উনিশ শতকে সংঘটিত বাংলার নবজাগরণের তুলনা করেছেন। এর ফলে বাংলার নবজাগরণের চরিত্র বা প্রকৃতি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এই নবজাগরণের চরিত্র বা প্রকৃতি ব্যাখ্যা করা হয়। যেমন-
[1] সীমিত পরিসর: উনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণের ব্যাপ্তি বা পরিসর ছিল খুবই সীমিত। তা ছিল মূলত শহরকেন্দ্রিক, বিশেষ করে কলকাতাকেন্দ্রিক। কলকাতার বাইরে গ্রামবাংলায় এই নবজাগরণের প্রসার ঘটেনি এবং গ্রামবাংলার বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এই নবজাগরণের কোনো সুফল পায়নি।
[2] মধ্যবিত্ত সমাজে সীমাবদ্ধ: বাংলার জাগরণ শুধু পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত প্রগতিশীল সমাজে সীমাবদ্ধ ছিল। বিভিন্ন
ঐতিহাসিক এই সমাজের লোকেদের ‘মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক’ বলে অভিহিত করেছেন। এজন্য অধ্যাপক অনিল শীল এই জাগরণকে এলিটিস্ট আন্দোলন বলে অভিহিত করেছেন। বাংলার এই জাগরণের সঙ্গে গ্রামগঞ্জের হাজার হাজার দরিদ্র মেহনতি মানুষের কোনো প্রত্যক্ষ যোগ ছিল না। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুও মনে করেন যে, ঔপনিবেশিক শাসনের জ্ঞানদীপ্তি শুধু উচ্চবর্গের হিন্দুদের ওপরই প্রতিফলিত হয়েছিল। সাধারণ জনগণের মধ্যে এর বিশেষ প্রভাব পড়েনি।
[3] ব্রিটিশ নির্ভরতা: বাংলার এই জাগরণ অতিমাত্রায় ব্রিটিশ-নির্ভর হয়ে পড়েছিল। ব্রিটিশ শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নবজাগরণের নেতৃবৃন্দ মনে করতেন যে, ব্রিটিশ শাসনের দ্বারাই ভারতীয় সমাজের মঙ্গল সাধিত হবে। ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকার লিখেছেন, ‘ইংরেজদের দেওয়া সবচেয়ে বড়ো উপহার হল আমাদের উনিশ শতকের নবজাগরণ। তিনি ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠাকে এজন্য ‘গৌরবময় ভোর’ বলে অভিহিত করেছেন।
৫.২ প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাভাবনার পরিচয় দাও।
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষাকে মানুষ ও প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় বলে মনে করতেন না। তিনি মনে করতেন, শিক্ষার সঙ্গে প্রকৃতি ও মানুষের সমন্বয় গড়ে তোলা দরকার। তাঁর শিক্ষাভাবনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল তাঁর প্রকৃতি ভাবনা।
[1] অরণ্য ধ্বংসের বিপদ: রবীন্দ্রনাথ বলেন যে, সকল জীব বৃক্ষদের অবলম্বন করে বেঁচে থাকে। কিন্তু আজ মানুষ নির্মমভাবে বন ধ্বংস করে মরুভূমিকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন অরণ্যের সংরক্ষণ। ‘অরণ্য দেবতা' প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন, “অনেক মানুষ অরণ্যকে ধ্বংস করে নিজেরাই ক্ষতি ডেকে এনেছে। বায়ুকে নির্মল করার ভার যে গাছের ওপর, যার পত্র ঝরে গিয়ে ভূমিতে উর্বরতা দেয়, তাকেই সে নির্মূল করেছে। বিধাতার যা কিছু কল্যাণের দান, আপনার কল্যাণ, বিস্মৃত হয়ে মানুষ তাকেই ধ্বংস করেছে।”
[2] প্রকৃতির মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থা: রবীন্দ্রনাথ বলেন যে, “এই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে হলে আবার আমাদের আহ্বান করতে হবে সেই বরদাত্রী বনলক্ষ্মীকে....।” তিনি শান্তিনিকেতনে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যেই তাঁর আদর্শ শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলেন। তিনি ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে শান্তিনিকেতনে বৃক্ষরোপণ উৎসবকে জোরদার করে তোলেন।
[3] গ্রামের উন্নয়নের ভাবনা: পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে জমিদারির দেখাশোনার দায়িত্ব (১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দ) পেয়ে রবীন্দ্রনাথ গ্রামে এসে গ্রামবাংলার আসল রূপটি চিনতে পারেন। তাই তিনি তাঁর পূর্বসূরিদের পথ ছেড়ে গ্রাম সংগঠনের মাধ্যমে পল্লিগ্রামের মঙ্গলের চিন্তাভাবনা শুরু করেন। তিনি উপলব্ধি করেন, গ্রামই ভারতের প্রাণ। গ্রামের উন্নতি ছাড়া দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। শিলাইদহে ‘মহর্ষি দাতব্য চিকিৎসালয়’ এবং পতিসরে হাসপাতাল স্থাপন ছাড়াও তিনি গ্রামে তাঁতের কাজ, মৃৎশিল্প প্রভৃতি কুটিরশিল্পের বিকাশে উদ্যোগ নেন।
[4] কৃষির উন্নয়ন: রবীন্দ্রনাথ পল্লিগ্রামের মানুষের কল্যাণের উদ্দেশ্যে কৃষিকাজের উন্নতির বিষয়ে বিভিন্ন রকম চিন্তাভাবনা শুরু করেন। রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে আদর্শ কৃষিক্ষেত্র স্থাপন করে সেখানে ট্র্যাক্টর, পাম্পসেট ও জৈব সার ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদনে বিপ্লব আনেন। রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহের কুঠিবাড়ির ৮০ বিঘা জমিতে আধুনিক কৃষিখামার গড়ে তোলেন।
[5] কৃষিবিদ্যা শিক্ষা: সেযুগে ধনী বাঙালি পরিবারের একমাত্র লক্ষ্য ছিল তাদের সন্তানদের আই সি এস বা ব্যারিস্টার বানানো। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ নিজ পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বন্ধুপুত্র সন্তোষচন্দ্র মজুমদার ও জামাতা নগেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলিকে কৃষিবিদ্যা শিখতে বিদেশে পাঠান। চাষের কাজে বৈজ্ঞানিক প্রথায় উন্নত বীজ, সার, সেচ প্রভৃতি ব্যবহার করে জনসাধারণের উন্নতিবিধানই ছিল তার এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
উপসংহার: ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন “আমার শিশুকালেই বিশ্বপ্রকৃতির সাথে আমার খুব একটি সহজ ও নিবিড় যোগ ছিল।” প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে মানুষের জীবন ও অস্তিত্বের এই সহাবস্থান তাঁর শিক্ষাচিন্তায় সর্বদা প্রতিফলিত হতে দেখা যায়।
৫.৩ বাংলায় নমঃশূদ্র আন্দোলন ও দলিত অধিকার বিষয়ে গান্ধীজি-আম্বেদকর বিতর্ক সংক্ষেপে আলোচনা করো।
ভূমিকা: ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকে ভারতের বিভিন্ন প্রতিনিধিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কংগ্রেস দলের প্রতিনিধি মহাত্মা গান্ধি এবং দলিত শ্রেণির প্রতিনিধি ড. ভীমরাও আম্বেদকর। দলিতদের অধিকার নিয়ে বৈঠকে গান্ধিজি ও আম্বেদকরের মধ্যে তীব্র মতভেদ ও বিতর্ক দেখা দেয়। নমঃশূদ্র সম্প্রদায় ছিল ঔপনিবেশিক আমলে বাংলার উল্লেখযোগ্য দলিত হিন্দু সম্প্রদায়। উনিশ ও বিশ শতকে বিভিন্ন কারণে তারা আন্দোলনে শামিল হয়।
[1] অস্পৃশ্যতা: নমঃশূদ্ররা হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও উচ্চবর্ণের হিন্দুরা নমঃশূদ্রদের অত্যন্ত ঘৃণার চোখে দেখত। নমঃশূদ্ররা উচ্চবর্ণের বাড়িতে পা ফেলার অধিকার পেত না অন্যদিকে ব্রাহ্মণ পুরোহিতরাও নমঃশূদ্রদের বাড়িতে পূজা, শ্রাদ্ধানুষ্ঠান প্রভৃতি করতে রাজি হত না। এজন্য নমঃশূদ্রদের মনে তীব্র ক্ষোভ ছিল।
[2] মতভেদের কেন্দ্রবিন্দু: গান্ধিজি ও আম্বেদকরের মধ্যে মতভেদের মূল বিষয় ছিল উচ্চবর্ণের হাত থেকে দলিতদের
অধিকার ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব আদায়। এই অধিকার আম্বেদকর যেভাবে বা যতটা চাইছিলেন তার সঙ্গে গান্ধিজি
একমত ছিলেন না।
[3] দারিদ্র্য: নমঃশূদ্ররা অন্যের কৃষিজমিতে মজুরের কাজ, মাছ ধরা, তাঁত বোনা, অন্যের বাড়ি ও জমিতে দিনমজুরের কাজ করা প্রভৃতি নিম্ন আয়ের পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিল। এইসব কারণে প্রচলিত সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে তাদের মনে ক্ষোভ জমেছিল।
[4] আম্বেদকরের পৃথক নির্বাচনের দাবি: আম্বেদকর লক্ষ করেছিলেন যে, দলিতরা ভারতের সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায়
তারা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে এবং এজন্য তারা নির্বাচনে নিজেদের যথেষ্ট সংখ্যক প্রতিনিধিকে জেতাতে ব্যর্থ হয়। তাই আম্বেদকর দলিতদের জন্য পৃথক নির্বাচন, তথা রাজনৈতিক অধিকার দাবি করেন।
[5] শোষণ: নমঃশূদ্ররা নানা ধরনের শোষণের শিকার হয়েছিল। তাদের ওপর জমিদার ও সরকার করের বোঝা বাড়ানোর ফলে তীব্র অর্থনৈতিক শোষণ চলত। মুসলিম সম্প্রদায়ও নমঃশূদ্রদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালাত। এর ফলে নমঃশূদ্ররা সংঘবদ্ধ হয়ে এসবের মোকাবিলার উদ্যোগ নেয়।
উপসংহার: দলিতদের অধিকারের প্রশ্নে গান্ধিজির উদ্যোগকে আম্বেদকর পর্যাপ্ত নয় মনে করে দলিতদের পৃথক নির্বাচনের দাবিতে অটল থাকেন। কিন্তু এর বিরুদ্ধে দীর্ঘ অনশনে গান্ধিজির প্রাণসংশয় দেখা দিলে আম্বেদকর গান্ধিজির সঙ্গে পুনা চুক্তি (১৯৩২ খ্রি.) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে পৃথক নির্বাচনের দাবি ত্যাগ করেন।
ABTA History | Download |
---|---|
Page - 124 & 125 (বিভাগ-‘গ’ ৩ | বিভাগ-‘ঘ’ ৪ | বিভাগ-‘ঙ ’৫) | ![]() |
Madhyamik 2023 ABTA Hisotry Page - 145 to 148
বিভাগ- ‘ক’ ১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : ২০×১=২০
১.১ ভারতে চিপকো আন্দোলন ছিল–
(ক) শ্রমিক আন্দোলন
(খ) পরিবেশ আন্দোলন
(গ) কৃষক আন্দোলন
(ঘ) ভাষা আন্দোলন
১.২ পৃথিবীর প্রাচীন খেলার নাম—
(ক) কাবাডি
(খ) জুডো
(গ) মানাকালী
(ঘ) হকি
১.৩ হিন্দু কলেজের বর্তমান নাম—
(ক) প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়
(খ) সুরেন্দ্রনাথ কলেজ
(গ) রামমোহন কলেজ
(ঘ) বিদ্যাসাগর কলেজ
১.৪ “গ্রামবার্তা প্রকাশিকা” প্রকাশ করেন—
(ক) হরিনাথ মজুমদার
(খ) কালীপ্রসন্ন সিংহ
(গ) দীনবন্ধু মিত্র
(ঘ) হরিশচন্দ্র মুখার্জি
১.৫ বাংলার নবজাগরণ ছিল—
(ক) ব্যক্তি কেন্দ্রিক
(খ) প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক
(গ) কলকাতা কেন্দ্রিক
(ঘ) গ্রাম কেন্দ্রিক
১.৬ “দার-উল-হারব” কথার অর্থ হল—
(ক) ইসলামের দেশ
(খ) শান্তির দেশ
(গ) শত্রুর দেশ
(ঘ) মহাজনের এলাকা
১.৭ সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের একজন নেতা হলেন—
(ক) দেবী সিংহ
(খ) জোয়া ভগত
(গ) চিরাগ আলি
(ঘ) বিদ্যাধর মহাপাত্র
১.৮ “Eighteen Fifty Seven” গ্রন্থের লেখক কে?
(ক) সুরেন্দ্রনাথ সেন
(খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) বঙ্কিমচন্দ্র
(ঘ) শরৎচন্দ্র
১.৯ “The Government of India Act” আইনটি পাশ হয়—
(ক) ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দ
(খ) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দ
(গ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ
(ঘ) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ
১.১০ ভারতসভার প্রথম অধিবেশন বসে কলকাতার—
(ক) অ্যালবার্ট হলে
(খ) ডিরোজিও হলে
(গ) টাউন হলে
(ঘ) বেকার হলে
১.১১ ছাপাখানার মুদ্রণের জন্য সর্বপ্রথম বাংলা অক্ষর তৈরি করেন—
(ক) হ্যালহেড
(খ) সুবেশচন্দ্র মজুমদার
(গ) চার্লস উইলকিনস
(ঘ) অগাস্টাস হিকি
১.১২ ‘গোলদীঘির গোলামখানা” নামে পরিচিত ছিল—
(ক) বসু বিজ্ঞান মন্দির
(খ) কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ
(গ) বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সস্টিটিউট
(ঘ) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১.১৩ “লাঙ্গল” পত্রিকা কোন সংস্থার মুখপত্র ছিল?
(ক) স্বরাজ্য দল
(খ) যুগান্তর দল
(গ) বাংলার শ্রমিক কৃষক দল
(ঘ) ভারতের কমিউনিস্ট দল-এর
১.১৪ তিন কাঠিয়া প্রথ যে ফসলের সঙ্গে যুক্ত সেটি হল—
(ক) নীল
(খ) পাট
(গ) আম
(ঘ) ধান
১.১৫ ‘'ভারতের নাইটেঙ্গল” নামে পরিচিত ছিলেন—
(ক) কল্পনা দত্ত
(খ) তরু দত্ত
(গ) সরোজিনী নাইডু
(ঘ) মাতঙ্গিনী হাজরা
১.১৬ ‘বাংলায় অরন্ধন’ দিবস পালিত হয় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ—
(ক) ১৫ অক্টোবর
(খ) ১৭ ডিসেম্বর
(গ) ১৮ ডিসেম্বর
(ঘ) ১৬ অক্টোবর
১.১৭ সূর্য সেন প্রতিষ্ঠিত বিপ্লবী দলের নাম—
(ক) অনুশীলন সমিতি
(খ) গদর দল
(গ) ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি
(ঘ) বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স
১.১৮ “ছেড়ে আসা গ্রাম” কোথাকার ছেড়ে আসা গ্রাম?
(ক) ভারতের
(খ) বাংলাদেশের
(গ) পাকিস্তানের
(ঘ) ভুটানের
১.১৯ দেশীয় রাজ্য ছিল না—
(ক) রোমের
(খ) ভূপালের
(গ) হায়দ্রাবাদের
(ঘ) জয়পুরের
১.২০ পুনর্গঠিত কেরল রাজ্যটি অবস্থিত ছিল—
(ক) গোদাবরী উপত্যকায়
(খ) দক্ষিণ ওড়িষ্যায়
(গ) কাথিয়াবাড় উপদ্বীপে
(ঘ) মালাবার উপকূলে
বিভাগ-‘খ’ নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্তত একটি করে মোট ১৬টি প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১×১৬=১৬
উপবিভাগ - ২.১ একটি বাক্যে উত্তর দাও:
২.১.১ সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মজীবনীর নাম কী?
উত্তরঃ A nation in making
২.১.২ “সত্যার্থ প্রকাশ”-এর রচয়িতা কে ছিলেন?
উত্তরঃ স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী।
২.১.৩ “ধরতি আবা” নামে কে পরিচিত?
উত্তরঃ বিরসা মুন্ডা।
২.১.৪ একা আন্দোলন কবে, কোথায় শুরু হয়েছিল?
উত্তরঃ ১৯২১-২২ উত্তরপ্রদেশে।
উপবিভাগ-২.২ ঠিক বা ভুল নির্ণয় করো:
২.২.১ “নর্মদা বাঁচাও” আন্দোলনের নেত্রী ছিলেন মেধা পাটেকর।
উত্তরঃ ঠিক ✔
২.২.২ শ্রীরামকৃষ্ণ “রামকৃষ্ণ মিশন” প্রতিষ্ঠা করেন।
উত্তরঃ ভুল メ
২.২.৩ মির নিশার আলি বাঁশের কেল্লা বানিয়েছিলেন।
উত্তরঃ ঠিক ✔
২.২.৪ প্রমথনাথ বসু ছিলেন একজন পদার্থ বিজ্ঞানী।
উত্তরঃ ভুল メ
উপবিভাগ-২.৩ ‘ক’ স্তম্ভের সাথে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও:
‘ক’ স্তম্ভ | 'খ' স্তম্ভ |
---|---|
২.৩.১ কালীপ্রসন্ন সিংহ ⟶ | হুতোম প্যাঁচার নকশা |
২.৩.২ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল ⟶ | কৃষক আন্দোলন |
২.৩.৩ সত্তর বৎসর ⟶ | বিপিনচন্দ্র পাল |
২.৩.৪ সাম্প্রদায়িক রাঁটোয়ারা ⟶ | ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দ |
উপবিভাগ- ২.৫ নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো।
২.৫.১ বিবৃতি: রামমোহন রায় লর্ড আমহার্স্টকে চিঠি লিখেছিলেন।
ব্যাখ্যা-১ সতীদাহ প্রথা বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে।
ব্যাখ্যা-২ ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের আবেদন জানিয়ে।
ব্যাখ্যা-৩ ভারতে সংস্কৃত শিক্ষা বিস্তারের আবেদন জানিয়ে।
২.৫.২ বিবৃতি : জাতীয়তাবাদের বীজ বপন করে “বর্তমান ভারত” গ্রন্থটি।
ব্যাখ্যা-১ গ্রন্থটিতে পাশ্চাত্য সভ্যতার নানাদিক তুলে ধরা হয়েছে।
ব্যাখ্যা-২ গ্রন্থটি ভারতের দুর্বলতা দূর করে ভারতবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মন্ত্রদান করে।
ব্যাখ্যা-৩ গ্রন্থটিতে ভারতের ভুলভ্রান্তি তুলে ধরা হয়।
২.৫.৩ বিবৃতি: রবীন্দ্রনাথ ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা পছন্দ করতেন না।
ব্যাখ্যা-১ কারণ, এই শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল ব্যয় সাপেক্ষ।
ব্যাখ্যা-২ কারণ, এই শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যম ছিল মাতৃভাষা।
ব্যাখ্যা-৩ কারণ, এই শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের মনের বিকাশ ঘটাত না।
২.৫.৪ বিবৃতি: ইতিহাসে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদাদের নাম স্মরণীয়।
ব্যাখ্যা-১ চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে অংশগ্রহণের জন্য।
ব্যাখ্যা-২ ঢাকার ইডেন কলেজের সমাজসেবার কাজে যুক্ত থাকার জন্য।
ব্যাখ্যা-৩ স্ট্যানলি জাকসনকে গুলি করে হত্যা করার জন্য।
বিভাগ-‘গ’ ৩। দুটি বা তিনটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে কোনো ১১টি) : ১১×২=২২
৩.১ পরিবেশের ইতিহাসের গুরুত্ব কী? ৩.২ সোমপ্রকাশ পত্রিকার বিষয়বস্তু কী ছিল? ৩.৩ “শ্রী রামপুর ত্রয়ী” কাদের বলা হয়? ৩.৪ ভারতে শিক্ষার ইতিহাসে ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দ সনদ আইনের গুরুত্ব কী? ৩.৫ খুৎকাঠি প্রথা কী? ৩.৬ কোল বিদ্রোহের দুটি কারণ লেখো। ৩.৭ “অস্ত্র আইন” কী? ৩.৮ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণীয় কেন? ৩.৯ বসু বিজ্ঞান মন্দিরে কোন কোন বিষয়ের গবেষণা হতো? ৩.১০ কাকে “বাংলা মুদ্রণ শিল্পের জনক” বলা হয় এবং কেন? ৩.১১ লর্ড কার্জন কেন বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫) করেন? ৩.১২ “সীমান্ত গান্ধী” কাকে বলা হতো এবং কেন? ৩.১৩ বখস্ত ভূমি আন্দোলন কী? ৩.১৪ অসহযোগ আন্দোলনের দুই মহিলা নেত্রীর নাম লেখো। ৩.১৫ রশিদ আলি দিবস কী? ৩.১৬ দলিত কাদের বলা হয়?
বিভাগ-‘ঘ’ ৪। সাতটি বা আটটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও। প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১ টি করে মোট ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ৬×৪=২৪
উপবিভাগ-ঘ. ১ ৪.১ ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা কী? ৪.২ “বামাবোধিনী” পত্রিকায় সমকালীন সমাজের কীরূপ প্রতিফলন ঘটেছে? উপবিভাগ-ঘ.২ ৪.৩ বিপ্লব, বিদ্রোহ ও অভ্যুত্থানের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করো। ৪.৪ মহাবিদ্রোহের সময় কোম্পানীর ভারতীয় সিপাহীদের অসন্তোষের কী কী কারণ ছিল? উপবিভাগ-ঘ.৩ ৪.৫ কারিগরি শিক্ষার বিকাশে বাংলায় টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের কী ভূমিকা ছিল? ৪.৬ টীকা লেখো: মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা। উপবিভাগ-ঘ.৪ ৪.৭ ভগৎ সিং কেন স্মরণীয়? ৪.৮ জুনাগড় রাজ্যটি কীভাবে ভারতভুক্ত হয়?
বিভাগ-‘ঙ’ ৫। পনেরো বা ষোলটি বাক্যে যে কোন ১টি প্রশ্নের উত্তর দাও: ১×৮=৮
৫.১ বিদ্যাসাগরের নেতৃত্বে বিধবা বিবাহ আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। বিদ্যাসাগর কতটা সাফল্য অর্জন করেছিলেন? ৫.২ সিপাহী বিদ্রোহকে কী একটি জাতীয় বিদ্রোহ বলা যায়? সপক্ষে ও বিপক্ষে আলোচনা করো। ৫.৩ ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিকদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো। ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি সম্বন্ধে একটি টীকা লেখো।
ABTA History | Download |
---|---|
Page - 147 & 148 (বিভাগ-‘গ’ ৩ | বিভাগ-‘ঘ’ ৪ | বিভাগ-‘ঙ ’৫) | ![]() |
Madhyamik 2023 ABTA Hisotry Page - 170 to 172
বিভাগ-‘ক’ ১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো: ২০×১ = ২০
১.১ নতুন সামাজিক ইতিহাসচর্চা শুরু হয়—
(ক) আঠারো শতকে
(খ) উনিশ শতকে
(গ) বিশ শতকে
(ঘ) একুশ শতকে
১.২ উদয়শঙ্কর হলেন একজন বিখ্যাত—
(ক) গায়ক
(খ) নৃত্যশিল্পী
(গ) চিত্রশিল্পী
(ঘ) অভিনেতা
১.৩ প্রাচ্যবাদী শিক্ষার প্রবক্তা ছিলেন—
(ক) মেকলে
(খ) আলেকজান্ডার ডাফ
(গ) ডেভিড হেয়ার
(ঘ) এইচ ডি কোলব্রুক
১.৪ ‘নীলদর্পণ’ নাকটটি প্রথম অভিনীত হয়—
(ক) কলকাতায়
(খ) ঢাকায়
(গ) শ্রীরামপুরে
(ঘ) রংপুরে
১.৫ উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণ সীমাবদ্ধ ছিল যে শ্রেণির মধ্যে—
(ক) উচ্চবিত্ত
(খ) মধ্যবিত্ত
(গ) নিম্নবিত্ত
(ঘ) কৃষক
১.৬ ‘ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন’ পাশ হয়—
(ক) ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দ
(খ) ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দ
(গ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ
(ঘ) ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দ
১.৭ ‘চুয়াড়’ শব্দের অর্থ –
(ক) অসভ্য
(খ) কৃষক
(গ) প্রতারক
(ঘ) বিদ্রোহী
১.৮ এগুলির মধ্যে কোনটি বেমানান—
(ক) বর্তমান ভারত
(খ) গোরা
(গ) সত্তর বছর
(ঘ) আনন্দমঠ
১.৯ হিন্দুমেলার অপর নাম ছিল—
(ক) শ্রাবণ মেলা
(খ) চৈত্র মেলা
(গ) বৈশাখী মেলা
(ঘ) রামনবমী মেলা
১.১০ নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন প্রবর্তন করেন—
(ক) লর্ড রিপন
(খ) লর্ড লিটন
(গ) লর্ড নর্থব্রুক
(ঘ) লর্ড ক্যানিং
১.১১ “বাংলার গুটেনবার্গ” বলা হয়—
(ক) পঞ্চানন কর্মকার
(খ) চার্লস উইলকিন্স
(গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(ঘ) ইউ এন রায়
১.১২ রাধানাথ সিকদার যে বিভাগে কাজ করতেন—
(ক) ভূ-তত্ত্ব
(খ) জরিপ
(গ) হিন্দু কলেজ
(ঘ) প্রশাসনে
১.১৩ একা আন্দোলন হয়েছিল যে সময়ে—
(ক) বঙ্গভঙ্গ
(খ) অসহযোগ
(গ) আইন অমান্য
(ঘ) ভারত ছাড়
১.১৪ হালি প্রথা প্রচলিত ছিল—
(ক) গুজরাটে
(খ) যুক্তপ্রদেশে
(গ) বিহারে
(ঘ) মাদ্রাজে
১.১৫ ভারতে প্রথম মে দিবস পালিত হয়—
(ক) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দ
(খ) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দ
(গ) ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ
(ঘ) ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ
১.১৬ রাষ্ট্রীয় স্ত্রী সংঘ গঠন করেন—
(ক) সরোজিনী নাইডু
(খ) লীলা নাগ
(গ) উর্মিলা দেবী
(ঘ) বাসন্তী দেবী
১.১৭ বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স গুপ্ত সমিতি তৈরি হয়েছিল—
(ক) কলকাতায়
(খ) লন্ডনে
(গ) আমেরিকায়
(ঘ) ঢাকায়
১.১৮ দলিতদের “হরিজন” বলে সম্বোধন করেন—
(ক) জ্যোতিরাও স্কুলে
(খ) শ্রী নারায়ণ গুরু
(গ) গান্ধীজী
(ঘ) ড. বি আর আম্বেদকর
১.১৯ স্বাধীন ভারতের প্রথম ভাষাভিত্তিক রাজ্য হল—
(ক) পশ্চিমবঙ্গ
(খ) গুজরাট
(গ) অন্ধ্রপ্রদেশ
(ঘ) তামিলনাড়ু
১.২০ উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানে যে চুক্তি হয়—
(ক) গান্ধী-আরউইন চুক্তি
(খ) পুনা চুক্তি
(গ) নেহেরু-লিয়াকৎ চুক্তি
(ঘ) পঞ্চশীল চুক্তি
২। যে কোনো ষোলটি প্রশ্নের উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১টি করে প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১৬×১=১৬
উপবিভাগ - ২.১ একটি বাক্যে উত্তর দাও:
২.১.১ গ্রামবার্তা প্রকাশিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তরঃ কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার।
২.১.২ পাইকান কথাটির অর্থ কী?
উত্তরঃ নিষ্কর জমিদান।
২.১.৩ বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত ছাপাখানাটির নাম কী?
উত্তরঃ সংস্কৃত যন্ত্র।
২.১.৪ কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দলের একজন নেতার নাম লেখো।
উত্তরঃ জয়প্রকাশ নারায়ণ।
উপবিভাগ ২.২ ঠিক বা ভুল নির্ণয় করো :
২.২.১ বিপ্লবী আন্দোলন সমর্থন করায় সোমপ্রকাশ পত্রিকাটি বন্ধ হয়।
উত্তরঃ ভুল メ
২.২.২ প্রাচ্য-পাশ্চাত্যবাদী দ্বন্দ্বে শেষপর্যন্ত প্রাচ্যবাদীরা জয়ী হয়।
উত্তরঃ ভুল メ
২.২.৩ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহ প্রথম শুরু হয়েছিল বারাকপুরে।
উত্তরঃ ঠিক ✔
২.২.৪ মোপলা আন্দোলন ছিল একটি শ্রমিক বিদ্রোহ।
উত্তরঃ ভুল メ
উপবিভাগ ২.৩ ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :
‘ক’ স্তম্ভ | 'খ' স্তম্ভ |
---|---|
(২.৩.১) অন্নদামঙ্গল ⟶ | চিত্রিত গ্রন্থ |
(২.৩.২) গণবাণী ⟶ | মুজাফ্ফর আমদ |
(২.৩.৩) ভাইকম সত্যাগ্রহ ⟶ | শ্রী নারায়ণ গুরু |
(২.৩.৪) Voice of Freedom ⟶ | ঊষা মেহতা |
উপবিভাগ - ২.৫ নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো :
২.৫.১ বিবৃতি: প্রচলিত ইতিহাসে নারীর ভূমিকা ছিল প্রান্তিক।
ব্যাখ্যা-১ সমাজ ছিল পুরুষতান্ত্রিক।
ব্যাখ্যা-২ ঐতিহাসিকদের বেশিরভাগ ছিল পুরুষ।
ব্যাখ্যা-৩ নারীরা সমাজে ছিল উপেক্ষিত।
২.৫.২ বিবৃতি: স্বামী বিবেকানন্দের বাণীর মধ্যে অভিনবত্ব ছিল।
ব্যাখ্যা-১ তিনি ধর্মের সঙ্গে সমাজকে যুক্ত করেন।
ব্যাখ্যা-২ তিনি ধর্মের সঙ্গে বিজ্ঞানকে যুক্ত করেন।
ব্যাখ্যা-৩ তিনি ধর্মকে দেশাত্মবোধের কাজে লাগিয়েছিলেন।
২.৫.৩ বিবৃতি: গগণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যাঙ্গচিত্রের প্রধান বিষয়।
ব্যাখ্যা-১ সমাজের ধনী ও অভিজাতদের সমালোচনা করা।
ব্যাখ্যা-২ নারীদের প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা দেওয়া।
ব্যাখ্যা-৩ মাতৃভূমি থেকে বিদেশিদের বিতাড়ন।
২.৫.৪ বিবৃতি: সরলাদেবী চৌধুরানী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তৈরি করেন
ব্যাখ্যা-১ স্বদেশি দ্রব্যের চাহিদা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য।
ব্যাখ্যা-২ দরিদ্রদের উন্নতিবিধানের জন্য।
ব্যাখ্যা-৩: লক্ষ্মীদেবীর পূজার আয়োজন করা।
বিভাগ-‘গ’ ৩। দুটি অথবা তিনটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে কোনো ১১টি) : ১১×২=২২
৩.১ স্থানীয় ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ কেন? ৩.২ জীবনস্মৃতি গ্রন্থটির সীমাবদ্ধতা লেখো। ৩.৩ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল? ৩.৪ ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বিভক্ত হল কেন? ৩.৫ খুৎকাঠি প্রথা কী? ৩.৬ ফরাজি আন্দোলনের লক্ষ্য কী ছিল? ৩.৭ “সভা-সমিতির যুগ” কাকে বলে? ৩.৮ ইউরোপীয়েরা ইলবার্ট বিলের বিরোধিতা করেছিল কেন? ৩.৯ IACS প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল? ৩.১০ বসু বিজ্ঞান মন্দিরে কোন কোন বিষয়ে গবেষণা করা যেতো? ৩.১১ তিনকাঠিয়া ব্যবস্থা কী? ৩.১২ রসিদ আলি দিবস কেন পালিত হয়? ৩.১৩ নারী কর্মমন্দির কেন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল? ৩.১৪ কার্লাইল সার্কুলার কেন জারি করা হয়েছিল? ৩.১৫ রাজ্য পুনঃগঠন কমিশন কেন গঠিত হয়? ৩:১৬ পেপসু কী?
বিভাগ-‘ঘ’ ৪। সাত বা আটটি বাক্যে যে কোনো ছটি প্রশ্নের উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১টি করে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে) : ৬×৪=২৪
উপবিভাগ-ঘ.১ ৪.১ খেলাধূলার ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ কেন? ৪.২ নারীশিক্ষার প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান লেখো। উপবিভাগ-ঘ.২ ৪.৩ ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রকৃতি লেখো। ৪.৪ গোরা উপন্যাসে কীভাবে জাতীয়তাবাদ ফুটে উঠেছিল? উপবিভাগ-ঘ.৩ ৪.৫ কারিগরি শিক্ষার বিকাশে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ভূমিকা লেখো। ৪.৬ ওয়ার্কার্স এন্ড পেজেন্টস পার্টি সম্পর্কে লেখো। উপবিভাগ-ঘ.৪ ৪.৭ দলিত আন্দোলন বিষয়ে গান্ধী-আম্বেদকর বিতর্ক কী ছিল? ৪.৮ হায়দ্রারাবাদ রাজ্যটি কীভাবে ভারতভুক্ত হয়েছিল?
বিভাগ-‘ঙ’ ৫। পনেরো বা ষোলটি বাক্যে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ১×৮=৮
৫.১ উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণের চরিত্র বিশ্লেষণ করো। ৫.২ বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ কীভাবে হয়েছিল? ৫.৩ অসহযোগ আন্দোলন পর্বে শ্রমিক আন্দোলনের বিবরণ দাও।
Madhyamik 2023 ABTA Hisotry Page - 192 to 195
বিভাগ-‘ক’ ১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো: ২০×১ = ২০
১.১ ভারতে ফুটবল খেলার প্রচলন করে—
(ক) ইংরেজরা
(খ) ফরাসীরা
(গ) ওলন্দাজরা
(ঘ) পর্তুগীজরা
১.২ ভারতীয়রা আলুর ব্যবহার শিখেছিল কাদের কাছ থেকে—
(ক) পর্তুগীজদের
(খ) ইংরেজদের
(গ) মুঘলদের
(ঘ) ওলন্দাজদের
১.৩ ভারতীয় চলচ্চিত্রের ‘জনক’ বলা হয়—
(ক) হীরালাল সেনকে
(খ) ঋত্বিক ঘটককে
(গ) দাদা সাহেব ফালকেকে
(ঘ) সত্যজিৎ রায়কে
১.৪ বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়—
(ক) ৮ই জুন
(খ) ২২শে ফেব্রুয়ারি
(গ) ৮ই মার্চ
(ঘ) ৫ই জুন
১.৫ প্রথম সরকারি শিক্ষা কমিশন (হান্টার কমিশন) গঠিত হয়—
(ক) ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে
১.৬ তত্ত্ববোধিনী সভার প্রতিষ্ঠাতা—
(ক) রামমোহন রায়
(খ) কেশবচন্দ্র সেন
(গ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) স্বামী বিবেকানন্দ
১.৭ বাংলার নবজাগরণ ছিল—
(ক) ব্যক্তি কেন্দ্রিক
(খ) প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক
(গ) কলকাতা কেন্দ্রিক
(ঘ) গ্রাম কেন্দ্রিক।
১.৮ ‘হুল’ কথাটির অর্থ হল—
(ক) ঈশ্বর
(খ) স্বাধীনতা
(গ) অস্ত্র
(ঘ) বিদ্রোহ
১.৯ মহারানীর ঘোষণাপত্রে (১৮৫৮) প্রধান উদ্দেশ্য ছিল—
(ক) ভারতবাসীর আনুগত্য অর্জন
(খ) ভারতে ব্রিটিশদের একচেটিয়া অধিকার লোপ
(গ) ভারতীয় প্রজাদের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার দান
(ঘ) মহাবিদ্রোহে (১৮৫৭) ভারতীয়দের মুক্তি
১.১০ ল্যান্ড হোল্ডার্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন—
(ক) রাজা রাধাকান্ত দেব
(খ) প্রসন্নকুমার ঠাকুর
(গ) রাজা রামমোহন রায়
(ঘ) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
১.১১ হিন্দু মেলার সম্পাদক ছিলেন—
(ক) নবগোপাল মিত্র
(খ) গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) রাজনারায়ণ বসু
(ঘ) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
১.১২ বাংলা মুদ্রণ শিল্পের জনক নামে পরিচিত—
(ক) জেমস অগাস্টাস হিকি
(খ) ন্যাথিনিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড
(গ) পঞ্চানন কর্মকার
(ঘ) চার্লস উইলকিন্স
১.১৩ বাংলা ভাষায় প্রথম বই ছাপা হয়—
(ক) ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে
১.১৪ বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউড-এর প্রথম অধ্যক্ষ—
(ক) অরবিন্দ ঘোষ
(খ) সতীশচন্দ্ৰ বসু
(গ) যোগেশচন্দ্র ঘোষ
(ঘ) প্রমথনাথ বসু
১.১৫ ‘দেশ প্রাণ’ নামে পরিচিত ছিলেন—
(ক) সতীশচন্দ্র সামন্ত
(খ) অশ্বিনীকুমার দত্ত
(গ) বীরেন্দ্র শাসমল
(ঘ) যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত
১.১৬ মোপলা বিদ্রোহ (১৯২১) হয়েছিল—
(ক) মালাবার উপকূলে
(খ) কোঙ্কন উপকূলে
(গ) গোদাবরী উপত্যকায়
(ঘ) তেলেঙ্গানা অঞ্চলে
১.১৭ মীরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হয়েছিল—
(ক) জাতীয় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে
(খ) বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে
(গ) শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে
(ঘ) কৃষক নেতাদের বিরুদ্ধে
১.১৮ ‘মাস্টারদা’ নামে পরিচিত ছিলেন—
(ক) বেণীমাধব দাস
(খ) সূর্য সেন
(গ) কৃষ্ণকুমার মিত্র
(ঘ) হেমচন্দ্র ঘোষ
১.১৯ স্বাধীনতার প্রাক্কালে ভারতের সবচেয়ে বড় দেশীয় রাজ্য ছিল—
(ক) কাশ্মীর
(খ) জুনাগড়
(গ) হায়দ্রারাবাদ
(ঘ) জয়পুর
১.২০ ভারতের স্বাধীনতা আইন পাশ হয়—
(ক) ১৯৪৮-এর ৪ই জুলাই
(খ) ১৯৪৭-এর ১৮ই জুলাই
(গ) ১৯৪৭- এর ৩০শে জুলাই
(ঘ) ১৯৪৭-র ১৫ই আগস্ট
বিভাগ-‘খ’ ২। যে কোনো ষোলটি প্রশ্নের উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১ টি করে প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১৬×১=১৬
উপবিভাগ : ২.১ একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১.১ বিপিনচন্দ্র পালের আত্মজীবনী গ্রন্থের নাম কী?
উত্তরঃ সওর বৎসর।
২.১.২ ভারতে নিম্নবর্গের ইতিহাসের জনক কে?
উত্তরঃ রণজিৎ গুহ।
২.১.৩ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য কে ছিলেন?
উত্তরঃ গুরুদাস বান্ধোপাধ্যায়।
২.১.৪ বর্ণপরিচয় কে রচনা করেন?
উত্তরঃ বিদ্যাসাগর।
উপবিভাগ : ২.২ ঠিক বা ভুল নির্ণয় করো :
২.২.১ ‘নদীয়া কাহিনী’ গ্রন্থটি শহরের ইতিহাসের অন্তর্গত।
উত্তরঃ ভুল メ
২.২.২ আনাল পত্রিকা গোষ্ঠীর উদ্ভব হয় ফ্রান্সে।
উত্তরঃ ঠিক ✔
২.২.৩ বাবা রামচন্দ্র ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের নেতা।
উত্তরঃ ভুল メ
২.২.৪ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রতিষ্ঠা করেন বাসন্তী দেবী।
উত্তরঃ ভুল メ
উপবিভাগ : ২.৩ ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও : ৪×১=৪
‘ক’ স্তম্ভ | 'খ' স্তম্ভ |
---|---|
(২.৩.১) টমাস ব্যারিংটন মেকলে ⟶ | পাশ্চাত্য শিক্ষা |
(২.৩.২) কেশবচন্দ্র সেন ⟶ | নববিধান সমাজ |
(২.৩.৩) রাজা রাধাকান্ত দেব ⟶ | ল্যান্ড হোল্ডার্স সোসাইটি |
(২.৩.৪) স্বামী বিবেকানন্দ ⟶ | বর্তমান ভারত |
উপবিভাগ : ২.৫ নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো:
২.৫.১ বিবৃতি: ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ পত্রিকাটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ-
ব্যাখ্যা-১ ছাত্র সমাজকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে আকৃষ্ট করে।
ব্যাখ্যা-২ কৃষকদের আন্দোলনের খবর প্রকাশিত করে।
ব্যাখ্যা-৩ সাঁওতাল বিদ্রোহ দমন ও নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের সমালোচনা করে।
২.৫.২ বিবৃতি: হালহেড় তাঁর বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ লেখেন এদেশীয় ইংরেজ কর্মচারীদের বাংলা ভাষা শেখাবার জন্য
ব্যাখ্যা-১ কারণ এদেশের ইংরেজ কর্মচারীরা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনুরাগী ছিলেন।
ব্যাখ্যা-২ কারণ বাংলা ভাষা না জানলে ইংরেজ কর্মচারীদের পদোন্নতি হতো না।
ব্যাখ্যা-৩ কারণ এদেশের বাণিজ্য ও প্রশাসন চালাবার জন্য ইংরেজ কর্মচারীদের বাংলা ভাষা আয়ত্ত করা প্রয়োজন ছিল।
২.৫.৩ বিবৃতি: বকাস্ত আন্দোলনের উদ্দেশ্য হল জমি উদ্ধার
ব্যাখ্যা-১ জমিদারদের থেকে জমি উদ্ধার।
ব্যাখ্যা-২ খাজনা অনাদায়ে কেড়ে নেওয়া জমি উদ্ধার।
ব্যাখ্যা-৩ জোর করে জমি দখল।
২.৫.৪ বিবৃতি: ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় ভোগেশ্বরী ফুকাননী পুলিশের গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন –
ব্যাখ্যা-১ ভোগেশ্বরী ফুকাননী পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র সংগ্রামে মারা যান।
ব্যাখ্যা-২ পলাতকা বিপ্লবী ভোগেশ্বরী ফুকাননী আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃত হলে পুলিশ তাকে গুলি
ব্যাখ্যা-৩ ভোগেশ্বরী ফুকাননী অসমের নওগা জেলায় পুলিশ থানায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে মারা যান।
বিভাগ-‘গ’ ৩। দুটি অথবা তিনটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে কোনো ১১টি) : ১১×২=২২
৩.১ নতুন সামাজিক ইতিহাসের নতুনত্ব কী? ৩.২ ব্রিটিশ সরকার কেন সোমপ্রকাশ পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল? ৩.৩ ‘মেকলে মিনিট' কী? ৩.৪ কী উদ্দেশ্যে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ৩.৫ নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী কাদের বলা হয়? ৩.৬ এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারীদের প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল? ৩.৭ ‘নববিধান’ কী? ৩.৮ চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল? ৩.৯ ‘ল্যান্ড হোল্ডার্স সোসাইটি’ কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়?-৩.১০ উনিশ শতককে ‘সভা-সমিতির’ যুগ বলা হয় কেন? ৩.১১ ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ ছিল কেন? ৩.১২ মোপলা বিদ্রোহের (১৯২১) কারণ কী? ৩.১৩ ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই অক্টোবর বাংলার নারী সমাজ কেন অরন্ধন পালন করে? ৩.১৪ বীণা দাস স্মরণীয় কেন? ৩.১৫ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে ‘ভারতের লৌহমানব’ বলা হয় কেন? ৩.১৬ কী পরিস্থিতিতে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন (১৯৫৩) গঠিত হয়েছিল?
বিভাগ-‘ঘ’ ৪। সাত বা আটটি বাক্যে যে কোনো ছটি প্রশ্নের উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১টি করে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে) : ৬×১=২৪
উপবিভাগ : ঘ.১ ৪.১ উডের নির্দেশনামা (১৮৫৪) কে এদেশের শিক্ষা বিস্তারের ‘মহাসনদ’ বলা হয় কেন? ৪.২ নারী শিক্ষার প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কী ভূমিকা ছিল? উপবিভাগ: ঘ.২ ৪.৩ মহাবিদ্রোহের (১৮৫৭) প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব কিরূপ ছিল? ৪.৪ ভারত সভার প্রতিষ্ঠা ও বিকাশে সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর ভূমিকা বিশ্লেষণ করো। উপবিভাগ: ঘ.৩ ৪.৫ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময়ে শ্রমিকশ্রেণির ভূমিকা কিরূপ ছিল? ৪.৬ দলিত অধিকার বিষয়ে গান্ধী-আম্বেদকর বিতর্ক লেখো। উপবিভাগ: ঘ.৪ ৪.৭ জুনাগড় রাজ্যটি কীভাবে ভারতভুক্ত হয়? ৪.৮ উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে ভারত সরকার কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করে?
বিভাগ-‘ঙ’ ৫। পনেরো বা ষোলটি বাক্যে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ১×৮=৮
৫.১ লেখায় ও রেখায় কীভাবে ভারতীয় জাতীয়তাবাদ ফুটে উঠেছিল আলোচনা করো।
৫.২ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা চিন্তা ও শান্তিনিকেতন ভাবনার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
৫.৩ বাংলায় নমঃশূদ্র আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
Madhyamik 2023 ABTA Hisotry Page - 221 to 224
বিভাগ-‘ক’ ১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো: ২০×১ = ২০
১.১ নতুন সামাজিক ইতিহাসচর্চা শুরু হয়—
(ক) ১৯৩০-৪০ এর দশকে
(খ) ১৯৫০- ৫০ এর দশকে
(গ) ১৯৫০-৬০ এর দশকে
(ঘ) ১৯৬০-৭০ এর দশকে
১.২ ‘নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর নাম কোন খেলার সাথে যুক্ত?
(ক) ফুটবল
(খ) হকি
(গ) ক্রিকেট
(ঘ) মল্লযুদ্ধ
১.৩ বিধবাবিবাহ আইন পাশ করেন—
(ক) লর্ড এলেনবরা
(খ) লর্ড ময়রা
(গ) লর্ড ডালহৌসি
(ঘ) লর্ড ক্যানিং
১.৪ ‘ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন’ গঠিত হয়—
(ক) ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে
১.৫ সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদের বিরোধী ছিলেন—
(ক) নবকৃষ্ণ দেব
(খ) শ্রীশচন্দ্র দেব
(গ) নীহারকৃষ্ণ দেব
(ঘ) রাধাকান্ত দেব
১.৬ মুন্ডাবিদ্রোহের প্রধান কেন্দ্র ছিল—
(ক) হাজারিবাগ
(খ) রাঁচি
(গ) পালামৌ
(ঘ) চাঁইবাসা
১.৭ ‘মেদিনীপুরের লক্ষ্মীবাঈ’ নামে পরিচিত ছিলেন—
(ক) রানী রাসমণি
(খ) রানী দুর্গাবাঈ
(গ) রানী শিরোমণি
(ঘ) রানী তারাবাঈ
১.৮ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘বঙ্গমাতা’ চিত্রটি অঙ্কন করেন—
(ক) ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে
১.৯ মহাবিদ্রোহে যোগ দেয়নি যে রাজ্যটি—
(ক) বিহার
(খ) উত্তর প্রদেশ
(গ) মধ্যপ্রদেশ
(ঘ) পাঞ্জাব
১.১০ জমিদার সভার সভাপতি ছিলেন—
(ক) রাজা রাধাকান্ত দেব
(খ) রাজনারায়ণ বসু
(গ) প্রসন্নকুমার ঠাকুর
(ঘ) দ্বারকানাথ ঠাকুর
১.১১ ‘বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ’ প্রতিষ্ঠা করেন—
(ক) জগদীশচন্দ্র বসু
(খ) মহেন্দ্রলাল সরকার
(গ) সত্যেন্দ্রনাথ বসু
(ঘ) প্রফুল্লচন্দ্র রায়
১.১২ বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণ পরিচয়' বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল—
(ক) ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে
১.১৩ রাম্পা উপজাতীয় বিদ্রোহ সংগঠিত হয় —
(ক) মালাবার অঞ্চলে
(খ) কোঙ্কন উপকূলে
(গ) উড়িষ্যা উপকূলে
(ঘ) গোদাবরী উপত্যকায়
১.১৪ ‘ফ্লাউড কমিশন' কোন বিদ্রোহের সাথে যুক্ত—
(ক) চম্পারণ
(খ) তেভাগা
(গ) তেলেঙ্গানা
(ঘ) কুম্ফা
১.১৫ ‘পতিদার যুবক মণ্ডল’ গড়ে উঠেছিল—
(ক) বারদৌলিতে
(খ) সীতাপুরে
(গ) মির্জাপুরে
(ঘ) বারাবাঁকিতে
১.১৬ ‘নারী কর্মমন্দির’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন—
(ক) উর্মিলাদেবী
(খ) বাসন্তীদেবী
(গ) কল্পনা দত্ত
(ঘ) লীলা রায় (নাগ)
১.১৭ 'ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি' যে ঘটনার সাথে যুক্ত ছিল—
(ক) অলিন্দ যুদ্ধ
(খ) ডান্ডি অভিযান
(গ) লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা
(ঘ) চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন
১.১৮ মাহাদ মার্চ পরিচালিত হয়েছিল—
(ক) অস্পৃশ্যদের আইনসভায় আসন সংরক্ষণের জন্য
(খ) গ্রামের পুকুরের জল ব্যবহারের জন্য
(গ) মন্দিরে প্রবেশের জন্য
(ঘ) অস্পৃশ্যদের চাকরির সংরক্ষণের জন্য
১.১৯ গণভোটের মাধ্যমে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়—
(ক) কাশ্মীর
(খ) হায়দরাবাদ
(গ) জুনাগড়
(ঘ) গোয়ালিয়র
১.২০ উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানের জন্য যে চুক্তি হয় তা হল—
(ক) গান্ধী-আরউইন চুক্তি
(খ) পুনা চুক্তি
(গ) নেহেরু-লিয়াকৎ চুক্তি
(ঘ) পঞ্চশীল চুক্তি
বিভাগ-‘খ’ ২। নীচের প্রশ্নগুলিত উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১টি করে মোট ১৬টি প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১৬×১=১৬
উপবিভাগ : ২.১ একটি বাক্যে উত্তর দাও :
(২.১.১) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনীর নাম কী?
উত্তরঃ আত্মচরিত।
(২.১.২) লালন ফকির কোন সম্প্রদায়ের সাধক ছিলেন?
উত্তরঃ বাঊল।
(২.১.৩) রংপুর কৃষক বিদ্রোহ কবে সংগঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৭৮৩ সালে।
(২.১.৪) ‘জাতীয়তাবাদের গীতা’ কোন গ্রন্থকে বলা হয়।
উত্তরঃ আনন্দ মঠ।
উপবিভাগ : ২.২ ঠিক বা ভুল নির্ণয় করো :
(২.২.১) আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় একজন জীববিজ্ঞানী ছিলেন
উত্তরঃ ভুল メ
(২.২.২) মোপলা আন্দোলন একটি কৃষক আন্দোলন ছিল
উত্তরঃ ঠিক ✔
(২.২.৩) রসিদ আলি ছিলেন নৌবিদ্রোহের নেতা
উত্তরঃ ভুল メ
(২.২.৪) বাংলার নারীদের মধ্যে বিপ্লবী ভাবধারা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল ‘সখী সমিতি’
উত্তরঃ ঠিক ✔
উপবিভাগ : ২.৩ ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :
‘ক’ স্তম্ভ | 'খ' স্তম্ভ |
---|---|
(২.৩.১) বামাবোধিনী ⟶ | মহিলা পত্রিকা |
(২.৩.২) কৃষ্ণদেব রায় ⟶ | জমিদার |
(২.৩.৩) হজরত মহল ⟶ | অযোধ্যা |
(২.৩.৪) বাবা রামচন্দ্র ⟶ | কৃষক আন্দোলন |
উপবিভাগ : ২.৫ নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সাথে সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো:
২.৫.১ বিবৃতি: অতীতকে তার মতোই তুলে ধরতে হবে।
ব্যাখ্যা-১ ইতিহাসের বিকৃতি কাম্য নয়।
ব্যাখ্যা-২ ইতিহাস প্রাণবন্ত।
ব্যাখ্যা-৩ ইতিহাস ইতিহাসবিদদের কথাই তুলে ধরে।
২.৫.২ বিবৃতি: ঊনবিংশ শতকে এক বিকল্প শিক্ষানীতি গড়ে উঠেছিল।
ব্যাখ্যা-১ প্রাচ্য শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য।
ব্যাখ্যা-২ পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য।
ব্যাখ্যা-৩ বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার উন্নতির জন্য।
২.৫.৩ বিবৃতি: ব্রিটিশ আমলে সার্বজনীন শিক্ষার বিস্তার হয়নি, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল-
ব্যাখ্যা-১ জাতীয়তাবাদের বিকাশ।
ব্যাখ্যা-২ ইংরেজ অনুগত কেরানি শ্রেণি তৈরি করা।
ব্যাখ্যা-৩ শিক্ষার উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় ইতিহাস সংস্কৃতির পরিচয় ঘটানো।
২.৫.৪ বিবৃতি: কৃষক আন্দোলনগুলি সর্বভারতীয় রূপ গ্রহণ করেনি।
ব্যাখ্যা-১ সারা ভারতের কৃষকেরা বহুধা বিভক্ত ছিল।
ব্যাখ্যা-২ কংগ্রেস কৃষক আন্দোলনের প্রতি সুবিচার করেনি।
ব্যাখ্যা-৩ ভারতের সব রাজ্যে কৃষকশ্রেণির অস্তিত্ব ছিল না।
বিভাগ-‘গ’ ৩। দুটি অথবা তিনটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে কোনো ১১টি) : ১১×২=২২
৩.১ আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার প্রধান উপাদানগুলো কী কী? ৩.২ সাময়িক পত্র বলতে কী বোঝায়? ৩.৩ সমাজসংস্কারে নব্যবঙ্গদের ভূমিকা কী ছিল? ৩.৪ সাধারণ জনশিক্ষা কমিটি কেন গড়ে ওঠে? ৩.৫ নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকা কীরূপ ছিল? ৩.৬ পাইকান জমি কাকে বলা হয়? ৩.৭ কোন আইন দ্বারা লর্ড লিটন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছিলেন এবং কেন? ৩.৮ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল? ৩.৯ ঊনবিংশ শতকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স’ এর ভূমিকা কী ছিল? ৩.১০ শ্রীরামপুর ত্রয়ী কাদের বলা হয়? ৩.১১ নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? ৩.১২ চৌরিচৌরা ঘটনা কী? ৩.১৩ ‘দলিত’ কাদের বলা হয়? ৩.১৪ রশিদ আলি দিবস কী? ৩.১৫ লাইন অব কন্ট্রোল (LOC) কী? ৩.১৬ স্বাধীনতার পর কোন কোন দেশীয় রাজ্য নিয়ে ভারত সমস্যায় পড়ে?
বিভাগ-‘ঘ’ ৪। সাত বা আটটি বাক্যে নিম্ন লিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১টি করে মোট ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে) : ৬×১=২৪
উপবিভাগ:ঘ.১ ৪.১ ফোটোগ্রাফি কীভাবে ইতিহাসকে জীবন্ত করে তোলে? ৪.২ ‘হুতোম প্যাঁচার নক্সা’ গ্রন্থে ঊনবিংশ শতকের বাংলার কীরূপ সমাজচিত্র পাওয়া যায়? উপবিভাগ:ঘ.২ ৪.৩ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহে বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণির মনোভাব কেমন ছিল? ৪.৪ “ভারতমাতা” চিত্রের মধ্য দিয়ে কীভাবে জাতীয়তাবাদ প্রকাশিত হয়েছে? উপবিভাগ:ঘ.৩ ৪.৫ বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার পেছনে রবীন্দ্রনাথের কী উদ্দেশ্য ছিল? ৪.৬ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে কৃষকসমাজ সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল না কেন? উপবিভাগ:ঘ.৪ ৪.৭ দলিত আন্দোলন বিষয়ে গান্ধী-আম্বেদকর বিতর্ক নিয়ে একটি টীকা লেখো। ৪.৮ ‘আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায়’ দেশভাগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
বিভাগ-‘ঙ’ ৫। পনেরো বা ষোলটি বাক্যে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ১×৮=৮
৫.১ কৃষক বিদ্রোহরূপে বাংলার নীল বিদ্রোহের কারণ ও গুরুত্ব আলোচনা করো।
৫.২ বাংলার ছাপাখানার বিস্তার কীভাবে শিক্ষাবিস্তারের সহায়ক হয়েছিল? এ বিষয়ে শ্রীরামপুর মিশনের অবদান কী ছিল? ৫.৩ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে নারী ও ছাত্রদের ভূমিকা কীরূপ ছিল?
Madhyamik 2023 ABTA History Page - 243 to 246
বিভাগ- ‘ক’ ১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : ২০×১=২০১.১ ভারতীয় পোশাকের নৃ-তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের ওপর গুরুত্ব দেন—
(ক) অরেল স্টাইন
(খ) কানিংহাম
(গ) জন মার্শাল
(ঘ) কর্নেল ডালটন
১.২ কত খ্রিস্টাব্দে ‘ব্রিটিশ সোসাইটি অব স্পোর্টস হিস্ট্রি’ গড়ে?
(ক) ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে
১.৩ কে বলেছেন যে “বাংলার নবজাগরণ আন্দোলন ইউরোপীয় নবজাগরণ আন্দোলনের বিপরীত মুখী”—
(ক) যদুনাথ সরকার
(খ) সুপ্রকাশ রায়
(গ) অমলেশ ত্রিপাঠি
(ঘ) বিনয় ঘোষ
১.৪ বাংলায় সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের আদর্শের প্রধান প্রচারক ছিলেন?
(ক) শ্রীরামকৃষ্ণ
(খ) তৈলঙ্গস্বামী
(গ) বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী
(ঘ) স্বামী বিবেকানন্দ
১.৫ ‘শব্দ কল্প দ্রুম’ নামক সংস্কৃতি অভিধানের রচয়িতা হলেন?
(ক) কেশবচন্দ্র সেন
(খ) রাধাকান্ত দেব
(গ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) রাজা রামমোহন রায়
১.৬ ব্রিটিশ সরকার বনবিভাগের ইনস্টেপক্টর জেনারেল নিয়োগ করেন—
(ক) ম্যাক্ডোনাল্ডকে
(খ) ভায়াট্রিস ব্রান্ডিসকে
(খ) ভায়াট্রিস ব্রান্ডিসকে
(গ) জেমস্ লঙকে
(ঘ) চার্লস কুইন্টালকে
১.৭ কোন গভর্নর জেনারেলের নির্দেশে কোল বিদ্রোহ দমিত হয়েছিল?
(ক) লর্ড উইলিয়াম বেন্টিক
(খ) লর্ড ক্যানিং
(গ) লর্ড কার্জন
(ঘ) লর্ড মেয়ো
১.৮ পাকুড়ের রাজবাড়ি দখল করে কোন উপজাতি বিদ্রোহীরা?
(ক) সাঁওতালরা
(খ) কোলরা
(গ) ভীলরা
(ঘ) মুণ্ডারা
১.৯ ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে বিদ্রোহের নেতা ছিলেন—
(ক) সত্যানন্দ
(খ) দয়ানন্দ
(গ) ভবানন্দ
(ঘ) নবীনানন্দ
(ঘ) নবীনানন্দ
১.১০ ব্রিটিশ আমলে সর্বপ্রথম কোথায় রাজনৈতিক সংগঠনগুলির প্রতিষ্ঠা শুরু হয়?
(ক) পাঞ্জাব
(খ) বাংলা
(গ) মাদ্রাজ
(ঘ) বোম্বাই
১.১১ টেগোর অ্যান্ড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন—-
(ক) দ্বারকানাথ ঠাকুর
(খ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১.১২ মেলা, যাত্রা, কথকতা ইত্যাদি জনপ্রিয় লোকমাধ্যমকে শিক্ষা প্রদানের কাজে লাগানোর উপর জোর দেন—
(ক) রামমোহন রায়
(খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(ঘ) স্বামী বিবেকানন্দ
১.১৩ অসহযোগ আন্দোলনে বীরভূমের কৃষক আন্দোলনের প্রধান নেতা ছিলেন—
(ক) বীরেন্দ্রনাথ শাসমল
(খ) সোমেশ্বর চৌধুরী
(গ) জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
(ঘ) স্বামী বিদ্যানন্দ
১.১৪ গুজরাটের ব্রোচ জেলার যে স্থানে আইন অমান্যকালে খাজনা বন্ধের আন্দোলন হয়েছিল, সেটি হল—
(ক) বারদৌলি
(খ) খেদা
(গ) জাম্বুসার
(ঘ) রাজকোট
১.১৬ রশিদ আলি দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়—
(ক) বামপন্থী ছাত্র সংগঠন
(খ) মুসলিম লীগ
(গ) কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ
(গ) কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ
(ঘ) জাতীয়বাদী ছাত্র সংগঠন
১.১৬ ভারতীয় বিপ্লব কমিটি গঠন করেন—
(ক) সুভাষচন্দ্র বসু
(খ) মানবেন্দ্রনাথ রায়
(গ) সূর্য সেন
(ঘ) মুজফ আহমদ
১.১৭ বাঘাযতীনের নির্দেশে কোন জাহাজে করে অস্ত্রশস্ত্র প্রেরণ করেন সি এফ মার্টিন—
(ক) ম্যাভেরিক
(খ) কামাগাথা মারু
(গ) তোষামারু
(ঘ) প্রিন্স অব ওয়েলস
১.১৮ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় কোন কমিশনের সদস্য ছিলেন?
(ক) রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন
(খ) সরকারি ভাষা কমিশন
(গ) ভাষাভিত্তিক প্রদেশ কমিশন
(ঘ) জে ভি পি কমিটি
১.১৯ হায়দরাবাদ রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন?
(ক) সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়া
(খ) চিন কিলিচ খাঁ
(গ) মীর মহম্মদ ওসমান আলি
(ঘ) পট্টি শ্রীরামালু
১.২০ ‘সূর্য দীঘল বাড়ি' স্মৃতি কথা লেখেন—
(ক) আবু ইসাক
(খ) নীলিমা ইব্রাহিম
(গ) চৌধুরী খালিকুজ্জমান
(ঘ) বাবলুকুমার পাল
(ঘ) বাবলুকুমার পাল
বিভাগ-‘খ’ ২। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১টি মোট ১৬টি উত্তর দিতে হবে) : ১৬×১=১৬
উপবিভাগ: ২.১ একটি বাক্যে উত্তর দাও :
(২.১.১) মুক্তি সংঘ কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৯০৩ খ্রিঃ।
(২.১.২) রংপুর বিদ্রোহ দমনে কে ব্রিটিশবাহিনীকে নেতৃত্ব দেন?
উত্তরঃ ম্যাকডোনাল্ড।
(২.১.৩) রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মুখপত্রের নাম কী ছিল?
উত্তরঃ ব্রহ্মবাদিন ও প্রবুদ্ধ ভারত।
(২.১.৪) ভারতের কোথায় প্রথম প্রসেস প্রিন্টিং এর কাজ শুরু হয়।
উত্তরঃ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে, গোয়ায় প্রসেস প্রিন্টিং এর কাজ শুরু হয়।
উপবিভাগ : ২.২ ঠিক বা ভুল নির্ণয় করো :
(২.২.১) বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু ও মেঘনাদ সাহা স্বাধীন ভারতে জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনে যুক্ত ছিলেন।
উত্তরঃ ঠিক ✔
(২.২.২) কংগ্রেস ও খিলাফৎ নেতারা একা আন্দোলনকে সমর্থন জানায়।
উত্তরঃ ঠিক ✔
(২.২.৩) খাদ্যাভাস, পোশাক-পরিচ্ছদ প্রভৃতি থেকে মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আভাস পাওয়া যায়।
উত্তরঃ ঠিক ✔
(২.২.৪) মহাত্মা গান্ধী ছিলেন একজন দলিত নেতা।
(২.২.৪) মহাত্মা গান্ধী ছিলেন একজন দলিত নেতা।
উত্তরঃ ভুল メ
উপবিভাগ : ২.৩ ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :
‘ক’ স্তম্ভ | 'খ' স্তম্ভ |
---|---|
(২.৩.১) কালিপ্রসন্ন সিংহ ⟶ | হুতুম প্যাঁচা |
(২.৩.২) সারাভারত কিষানসভা ⟶ | ১৯৩৬ |
(২.৩.৩) সর্ব ভারতীয় জাতীয় সম্মেলন ⟶ | ১৮৮৩ |
(২.৩.৪) উর্মিলা দেবী ⟶ | নারী কর্মমন্দির |
২.৫ নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো :
(২.৫.১) বিবৃতি: ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ নীলচাষিদের সমর্থন করে—
ব্যাখ্যা-১ সম্পাদক হরিশচন্দ্র নিজেও নীল কৃষক ছিলেন।
ব্যাখ্যা-২ গ্রামের জমিদাররা এজন্য হরিশচন্দ্রকে অর্থ সাহায্য করে।
ব্যাখ্যা-৩ হরিশচন্দ্র ব্রিটিশ বিরোধী নির্ভিক সাংবাদিকতার পক্ষে ছিলেন।
(২.৫.২) বিবৃতি: ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজরা তিন আইন পাশ করে—
ব্যাখ্যা-১ এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু মুসলমান খ্রিস্টান সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা।
ব্যাখ্যা-২ এই আইন ছিল বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করা অসবর্ণ বিবাহ আইনসিদ্ধ করা।
ব্যাখ্যা-৩ এই আইনের প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নতি সাধন করা।
(২.৫.৩) বিবৃতি: সরলাদেবী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রতিষ্ঠা করেছিল —
ব্যাখ্যা-১ গ্রামের গরিবদের অর্থ সাহায্যের জন্য।
ব্যাখ্যা-২ আন্দোলনকারী নারীদের সাহায্যের জন্য।
ব্যাখ্যা-২ আন্দোলনকারী নারীদের সাহায্যের জন্য।
ব্যাখ্যা-৩ স্বদেশী পণ্য বিক্রির জন্য।
(২.৫.৪) বিবৃতি: সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারার মাধ্যমে দলিতদের পৃথক নির্বাচন করা হলে, গান্ধীজী তার প্রতিবাদে আমরণ অনশন শুরু করেন—
ব্যাখ্যা-১ হিন্দুদের মধ্যে বিভেদনীতি তৈরির প্রতিবাদে গান্ধীজী অনশন করে।
ব্যাখ্যা-২ গান্ধীজী ছিলেন দলিতদের নির্বাচনী অধিকারের বিরোধী।
ব্যাখ্যা-৩ ব্রিটিশ সরকার গান্ধীজীকে অনশন করতে প্ররোচিত করে।
বিভাগ-‘গ’ ৩। দুটি অথবা তিনটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে কোনো ১১টি) : ১১×২=২২
৩.১ চলচ্চিত্রের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো। ৩.২ সোমপ্রকাশ পত্রিকায় নারীদের সম্পর্কে কী ধরণের সংবাদ প্রকাশিত হয়। ৩.৩ নববৈষ্ণব আন্দোলন সম্পর্কে লেখো। ৩.৪ দু-জন বিদেশিনীর নাম লেখো, যারা বাংলার নারী শিক্ষার প্রসারে কাজ করেছেন। ৩.৫ অধিকার হারিয়ে জীবিকা নির্বাহে বহু আদিবাসী কী ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে? ৩.৬ বিদ্রোহ শুরু করার জন্য বীরসা মুণ্ডা কী ধরণের সাময়িক প্রস্তুতি নেন? ৩.৭ দেশীয় ভাষার সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দ) এর বিরুদ্ধে ভারত সভার আন্দোলনের পরিচয় দাও। ৩.৮ অনারেবল কোম্পানিজ প্রেস সম্পর্কে কী জানো? ৩.৯ কবে বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়? এর অধ্যক্ষ কে ছিলেন? ৩.১০ বিশ্বভারতীবিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন খ্যাতনামা শিক্ষার্থীর নাম লেখো। ৩.১১ হালি প্রথা কোথায় চালু ছিল? এই প্রথার কী রীতি ছিল? ৩.১২ কবে, কাদের উদ্যোগে লেবার স্বরাজ পার্টি অব দি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়? ৩.১৩ ভগিনী সেনা কী? ৩.১৪ ভারতের স্বাধীনতা আইনে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় রাজ্যগুলি কী অধিকার পায়? ৩.১৫ ভারতের স্বাধীনতা আইনের দুটি ধারা উল্লেখ করো? ৩.১৬ উদ্বাস্তু সমস্যা ভারতের অর্থনীতিতে কীরূপ সংকটের সৃষ্টি করে?
বিভাগ-‘ঘ’ ৪। সাত বা আটটি বাক্যে যে কোনো ছটি প্রশ্নের উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১টি করে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে) : ৬×১=২৪
উপবিভাগ-ঘ.১ ৪.১ আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসাবে পত্র-পত্রিকার গুরুত্ব কী? ৪.২ হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও সম্পর্কে কী জানো? উপবিভাগ-ঘ.২ ৪.৩ উনিশ শতকে বাংলার ফরাজি আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। ৪.৪ মহাবিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণগুলি উল্লেখ করো। উপবিভাগ-ঘ.৩ ৪.৫ অসহযোগ আন্দোলনে কৃষকদের ভূমিকা লেখো। ৪.৬ টীকা লেখো : কংগ্রেস সমাজতান্ত্রিক দল। উপবিভাগ-ঘ.৪ ৪.৭ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকা লেখো। ৪.৮ স্বাধীন ভারত সরকার দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির বিষয়ে কী ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে?
বিভাগ-‘ঙ’ ৫। পনেরো বা ষোলটি বাক্যে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ১×৮=৮
৫.১ নীল বিদ্রোহের কারণ ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো। ৫.২ ভারতের মুক্তির সংগ্রামে শ্রমিকশ্রেণির ভূমিকা আলোচনা করো। ৫.৩ মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি ও ব্যর্থতার কারণগুলি আলোচনা করো।
Madhyamik 2023 ABTA History Page - 264 to 267
বিভাগ-‘ক’ ১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : ২০×১ = ২০
১.১ নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চা শুরু হয়—
(ক) ১৯৪০-এর দশকে
(খ) ১৯৫০-এর দশকে
(গ) ১৯৬০-এর দশকে
(ঘ) ১৯৯০-এর দশকে
১.২ ভারতীয়রা আলু খাওয়া শেখে—
(ক) ওলন্দাজদের কাছ থেকে
(খ) পর্তুগীজদের কাছ থেকে
(গ) ইংরেজদের কাছ থেকে
(ঘ) স্কটল্যান্ডের কাছ থেকে
১.৩ বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়—
(ক) ৫ই জুলাই
(খ) ৮ই মার্চ
(গ) ১৫ই জানুয়ারি
(ঘ) ৫ই জুন
১.৪ সোমপ্রকাশ পত্রিকার প্রকাশক ছিলেন—
(ক) অক্ষয়কুমার মিত্র
(খ) দীনবন্ধু মিত্র
(গ) দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ
(ঘ) গঙ্গাচরণ সরকার
১.৫ গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন—
(ক) উমেশচন্দ্র দত্ত
(খ) যোগেশচন্দ্র বাগল
(গ) হরিনাথ মজুমদার
(ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
১.৬ বাংলা ভাষায় লিখিত প্রথম ঐতিহাসিক উপন্যাস—
(ক) দূর্গেশনন্দিনী
(খ) আনন্দমঠ
(গ) কপালকুণ্ডলা
(ঘ) বিষবৃক্ষ
১.৭ ‘ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করেন—
(ক) লর্ড কার্জন
(খ) লর্ড বেন্টিঙ্ক
(গ) লর্ড মেকলে
(ঘ) লর্ড ওয়েলেসলি
১.৮ সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করে আইন পাশ হয়—
(ক) ১১৭২৯ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে
১.৯ ইংরেজ সরকার প্রথম ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন পাশ করেন—
(ক) ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে
১.১০ রংপুর বিদ্রোহের একজন নেতা ছিলেন—
(ক) মজনু শাহ
(খ) দীগম্বর বিশ্বাস
(গ) নুরুলউদ্দিন
(ঘ) রামরতন মল্লিক
১.১১ খুৎকাটি প্রচলিত ছিল—
(ক) মুণ্ডা সমাজে
(খ) ভিল উপজাতি সমাজে
(গ) সাঁওতাল সমাজে
(ঘ) কোল সমাজে
১.১২ ভারতে প্রথম ওয়াহাবি আন্দোলনের সূচনা করেন—
(ক) তিতুমির
(খ) সৈয়দ আহমেদ
(গ) দুদুমিঞা
(ঘ) আব্দুল ওয়াহাব
১.১৩ ভারতের ‘প্রথম ভাইসরয়' ছিলেন—
(ক) লর্ড লিটন
(খ) লর্ড ক্যানিং
(গ) লর্ড ময়রা
(ঘ) লর্ড ডালহৌসি
১.১৪ ‘জমিদার সভা’ স্থাপিত হয়—
(ক) ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দ
(খ) ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দ
(গ) ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দ
(ঘ) ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে
১.১৫ ‘ভারতমাতা’ চিত্রটি আঁকেন—
(ক) নন্দলাল বসু
(খ) গগণেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১.১৬ ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থের রচয়িতা—
(ক) স্বামী বিবেকানন্দ
(খ) ডিরোজিও
(গ) ডেভিড হেয়ার
(ঘ) বিদ্যাসাগর
১.১৭ আধুনিক বাংলা বই ব্যবসার পথ প্রদর্শক বলা হয়—
(ক) রাধাকান্ত দেব
(খ) রামমোহন রায়
(গ) বিদ্যাসাগর
(ঘ) স্বামী বিবেকানন্দ
১.১৮ শ্রীরামপুর ছাপাখানার প্রথম প্রতিষ্ঠাতা—
(ক) উইলিয়াম কেরি
(খ) জন অ্যান্ড্রুজ
(গ) পঞ্চানন কর্মকার
(ঘ) চার্লস উইলকিন্স
১.১৯ আধুনিক রসায়ন শাস্ত্রের জনক বলা হয়—
(ক) জগদীশচন্দ্র বসুকে
(খ) আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়কে
(গ) মেঘনাদ সাহাকে
(ঘ) রাসবিহারী ঘোষকে
১.২০ বিশ্বভারতী হিসাবে সরকারি অনুমোদন পায়—
(ক) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে
বিভাগ-‘খ’ ২। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১টি করে মোট ১৬টি প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১৬×১=১৬
উপবিভাগ : ২.১ একটি বাক্যে উত্তর দাও :
(২.১.১) ভারতের প্রথম স্বীকৃত ঐতিহাসিক গ্রন্থটির নাম লেখো।
উত্তরঃ রাজতরঙ্গিনী।
(২.১.২) ভারতের প্রথম জাতীয়তাবাদী পত্রিকার নাম লেখো।
উত্তরঃ বঙ্গদর্শন।
(২.১.৩) ডিরোজিও কে ছিলেন?
উত্তরঃ নব্যবঙ্গ আন্দোলনের প্রাণপুরুষ।
(২.১.৪) নীলবিদ্রোহের একজন নেতার নাম লেখো।
উত্তরঃদিগম্বর বিশ্বাস।
উপবিভাগ : ২.২ ঠিক বা ভুল নির্ণয় করো :
(২.২.১) কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় খেলাধুলার ইতিহাস চর্চার সাথে যুক্ত।
উত্তরঃ ঠিক ✔
(২.২.২) ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা হলেন কেশবচন্দ্ৰ সেন।
উত্তরঃ ভুল メ
(২.২.৩) সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ প্রচার করেন স্বামী বিবেকানন্দ।
উত্তরঃ ভুল メ
(২.২.৪) কলকাতা বিশ্ববিদ্যায়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য ছিলেন আশুতোষ মুখোপাধ্যায়।
উত্তরঃ ভুল メ
উপবিভাগ : ২.৩ ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :
‘ক’ স্তম্ভ | 'খ' স্তম্ভ |
---|---|
(২.৩.১) বারাসত বিদ্রোহ ⟶ | তিতুমির |
(২.৩.২) রানী লক্ষ্মীবাঈ ⟶ | ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহ |
(২.৩.৩) চার্লস উইলকিন্স ⟶ | বাংলার মুদ্রণ শিল্পের জনক |
(২.৩.৪) রোনাল্ড রস ⟶ | ম্যালেরিয়া |
২.৫ নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো:
(২.৫.১) বিবৃতি: আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা হল এক ধরনের সাহিত্য।
ব্যাখ্যা-১ যেখানে লেখক তার জীবনের ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন।
ব্যাখ্যা-২ যেখানে লেখক শুধু সাহিত্য রচনা করেছেন।
ব্যাখ্যা-৩ লেখকের বর্ণনায় সমকালীন সমাজচিত্র ফুটে উঠেছে।
(২.৫.২) বিবৃতি: কালীপ্রসন্ন সিংহ রচিত ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’ একটি উৎকৃষ্ট রচনা –
ব্যাখ্যা-১ এটি প্যাঁচার ওপর লেখা মূল্যবান গ্রন্থ।
ব্যাখ্যা-২ এটি একটি উপন্যাস।
ব্যাখ্যা-৩ সমসাময়িক কলকাতার সমাজ জীবনের সুস্পষ্ট প্রতিফলন এতে দেখা যায়।
(২.৫.৩) বিবৃতি: উনিশ শতকের নারী জাগরণের বৈশিষ্ট্য ছিল
ব্যাখ্যা-১ নারীদের সামাজিক উন্নয়ন।
ব্যাখ্যা-২ নারীশিক্ষার প্রচলন।
ব্যাখ্যা-৩ নারীদের নৈতিক উন্নতি।
(২.৫.৪) বিবৃতি: ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ অরণ্য আইনকে জোরদার করা হয় –
ব্যাখ্যা-১ ব্রিটিশ সরকার দমননীতির মাধ্যমে অরণ্যের উপর উপজাতিদের অধিকার খর্ব করতে চেয়েছিল।
ব্যাখ্যা-২ ব্রিটিশ সরকার অরণ্যকে কৃষি জমিতে রূপান্তরিত করতে চেয়েছিল।
ব্যাখ্যা-৩ সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে ব্রিটিশ সরকার বনজ সম্পদগুলিকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল।
বিভাগ-‘গ’ ৩। দুটি অথবা তিনটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে কোনো ১১টি) : ১১×২=২২
৩.১ নব্য সামাজিক ইতিহাস কাকে বলে? ৩.২ ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেট ব্যবহারের দুইটি সুবিধা উল্লেখ করো। ৩.৩ “হুতোম প্যাঁচার নকশা” গ্রন্থে কলকাতার কী ধরনের সমাজচিত্র পাওয়া যায় উল্লেখ করো। ৩.৪ “লালন ফকির” বিখ্যাত কেন? ৩.৫ ‘বিপ্লব’ বলতে কী বোঝো? ৩.৬ কে কোন সময়কে কেন ‘সভাসমিতির যুগ’ বলেছেন? ৩.৭ ‘নব্যবঙ্গ’ বলতে কী বোঝো? ৩.৮ ‘ভারতসভার’ উদ্দেশ্য কী ছিল? ৩.৯ ‘মহারানীর ঘোষণাপত্রে’ কী বলা হয়েছিল? ৩.১০ গগণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। ৩.১১ ‘বোস ইন্সটিটিউট’ কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন? ৩:১২ ‘বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা’ কেন গঠিত হয়েছিল? ৩.১৩ ‘বটতলা প্রকাশনী’ কী? ৩.১৪ ‘কারা শ্রীরামপুর ত্রয়ী’ নামে পরিচিত? ৩.১৫ ‘গোলদিঘির গোলামখানা’ কোন প্রতিষ্ঠানকে কেন বলা হতো? ৩.১৬ ‘জেমস অগাস্টাস হিকি’ কেন বিখ্যাত?
বিভাগ-‘ঘ’ ৪। সাত বা আটটি বাক্যে যে কোনো ছটি প্রশ্নের উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১টি করে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে) : ৬×১=২৪
উপবিভাগ:ঘ.১ ৪.১ নারী শিক্ষা প্রসারে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা সংক্ষেপে লেখো। ৪.২ স্বামী বিবেকানন্দের ‘নব বেদান্ত ধারণা’ সম্পর্কে যা জান লেখো। উপবিভাগ-ঘ.২ ৪.৩ সাঁওতাল বিদ্রোহ সম্বন্ধে টীকা লেখো। ৪.৪ নীল বিদ্রোহের কারণ লেখো। উপবিভাগ: ঘ.৩ ৪.৫ জাতীয়তাবাদ বিকাশে বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ' উপন্যাসের ভূমিকা আলোচনা করো। ৪.৬ ‘ভারতমাতা’ চিত্রের মাধ্যমে কীভাবে জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটেছে লেখো। উপবিভাগ: ঘ.৪ ৪.৭ ছাপাখানার বিকাশে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর অবদান লেখো। ৪.৮ বাংলায় কারিগরি শিক্ষার বিকাশে ‘বেঙ্গল টেকনিক্যাল কলেজে’র অবদান লেখো।
Ads28
বিভাগ-‘ঙ’ ৫। পনেরো বা ষোলটি বাক্যে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ১×৮=৮
৫.১ ভারতে ইংরেজি শিক্ষা বিস্তারে ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব’ বলতে কী বোঝায়? শিক্ষা বিস্তারে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা আলোচনা করো। ৫.২ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি আলোচনা করো। ৫.৩ প্রকৃতি মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা ভাবনা আলোচনা করো।
Madhyamik 2023 ABTA History Page - 286 to 289
বিভাগ-‘ক’ ১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : ২০×২ = ২০
১.১ প্রথম নাট্যচর্চার উদ্ভব ঘটেছিল—
(ক) ইংল্যান্ডে
(খ) গ্রিসে
(গ) ভারতে
(ঘ) ফ্রান্সে
১.২ বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম রাজনৈতিক পত্রিকা হল—
(ক) বঙ্গদর্শন
(খ) বামাবোধিনী
(গ) সোমপ্রকাশ
(ঘ) সমাচার চন্দ্রিকা
১.৩ ‘এশিয়াটিক সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠা করেন—
(ক) উইলিয়াম কেরি
(খ) উইলিয়াম ওয়ার্ড
(গ) উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক
(ঘ) উইলিয়াম জোন্স
১.৪ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য ছিলেন—
(ক) লর্ড ক্যানিং
(খ) লর্ড ডালহৌসি
(গ) লর্ড লিটন
(ঘ) লর্ড রিপন
১.৫ ‘তিন আইন’ পাশ হয়—
(ক) ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে
১.৬ সুই মুন্ডা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন—
(ক) চুয়াড় বিদ্রোহে
(খ) কোল বিদ্রোহে
(গ) সাঁওতাল বিদ্রোহে
(ঘ) মুণ্ডা বিদ্রোহে
১.৭ ‘বাংলার নানা সাহেব' নামে পরিচিত—
(ক) তিতুমির
(খ) দীগম্বর বিশ্বাস
(গ) রামরতন মল্লিক
(ঘ) ঈশানচন্দ্র রায়
১.৮ ‘মহারানীর ঘোষণাপত্র’টি রচনা করেন—
(ক) ডিসরেলি
(খ) ক্যানিং
(গ) আউট্রাম
(ঘ) ডারবি
১.৯ সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন—
(ক) রামগোপাল ঘোষ
(খ) প্যারিচাঁদ মিত্র
(গ) রামতনু লাহিড়ী
(ঘ) নবগোপাল মিত্র
১.১০ ‘গোরা’ উপন্যাসটি প্রথমে প্রকাশিত হয়—
(ক) দেশ পত্রিকায়
(খ) প্রবাসী পত্রিকায়
(গ) অমৃতবাজার পত্রিকায়
(ঘ) উদ্বোধন পত্রিকায়
১.১১ ভারতে সর্বপ্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করে—
(ক) ইংরেজরা
(খ) পর্তুগীজরা
(গ) ফরাসিরা
(ঘ) জার্মানরা
১.১২ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন—
(ক) জওহরলাল নেহরু
(খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর
১.১৩ বখস্ত আন্দোলন শুরু হয়েছিল—
(ক) বিহারে
(খ) উড়িষ্যায়
(গ) পাঞ্জাবে
(ঘ) রাজস্থানে
১.১৪ সর্বভারতীয় কিষান সভার প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়—
(ক) মাদ্রাজে
(খ) লক্ষ্ণৌ-এ
(গ) বোম্বাই-এ
(ঘ) দিল্লিতে
১.১৫ ‘কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল’ প্রতিষ্ঠিত হয়—
(ক) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে
১.১৬ অনুশীলন সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন—
(ক) সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
(খ) সতীশচন্দ্র সামন্ত
(গ) সতীশচন্দ্ৰ রায়
(ঘ) সতীশচন্দ্র বসু
১.১৭ ‘ভারতের বিপ্লববাদের জনক' বলা হয়—
(ক) বাসুদেব বলবন্ত ফাদককে
(খ) সূর্য সেনকে
(গ) লালা হরদয়ালকে
(ঘ) রাসবিহারী বসুকে
১.১৮ ‘সত্যশোধক সমাজ’-এর মুখপত্রের নাম—
(ক) প্রবাসী
(খ) দেশ
(গ) দীনমিত্র
(ঘ) সঞ্জীবনী
১.১৯ ‘সেদিনের কথা' গ্রন্থটি রচনা করেন—
(ক) দক্ষিণারঞ্জন বসু
(খ) মণিকুন্তলা সেন
(গ) মহাশ্বেতা দেবী
(ঘ) বুদ্ধদেব বসু
১.২০ ‘রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন'-এর সভাপতি ছিলেন—
(ক) ফজল আলি
(খ) এস কে দেব
(গ) কে এম পানিক্কর
(ঘ) হৃদয়নাথ কুঞ্জরু
বিভাগ-‘খ’ ২। নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১টি করে মোট ১৬টি প্রশ্নের উত্তর দাও) :
১৬×১=১৬
উপবিভাগ : ২.১ একটি বাক্যে উত্তর দাও :
(২.১.১) ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অধিনায়ক কে ছিলেন?
উত্তরঃ ফ্রাঙ্ক ওরেল।
(২.১.২) কাকে ‘দক্ষিণ ভারতের বিদ্যাসাগর’ বলা হয়?
উত্তরঃ বীরসালিঙ্গম পানতুলু।
(২.১.৩) কত খ্রিস্টাব্দে সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ শুরু হয়?
উত্তরঃ ১৭৬৩ থেকে ১৮০০ সালে।
(২.১.৪) হিন্দুমেলার পত্রিকার নাম কী?
উত্তরঃ ন্যাশনাল পেপার।
উপবিভাগ : ২.২ ঠিক বা ভুল নির্ণয় করো :
(২.২.১) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য ছিলেন প্রথম বাঙালি প্রকাশক।
উত্তরঃ ঠিক ✔
(২.২.২) মোপলা আন্দোলন ছিল শ্রমিক আন্দোলন।
উত্তরঃ ভুল メ
(২.২.৩) ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি’ ঘোষণা করেন র্যামসে ম্যাকডোনাল্ড।
উত্তরঃ ঠিক ✔
(২.২.৪) ‘রাজাকার’ হল কাশ্মীরের একটি দাঙ্গা বাহিনী।
উত্তরঃ ভুল メ
উপবিভাগ : ২.৩ ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :
‘ক’ স্তম্ভ | 'খ' স্তম্ভ |
---|---|
(২.৩.১) বিদ্যোৎসাহিনী সভা ⟶ | কালীপ্রসন্ন সিংহ |
(২.৩.২) তত্ত্ববোধিনী সভা ⟶ | দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর |
(২.৩.৩) বঙ্গভঙ্গ প্রকাশিকা সভা ⟶ | গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য |
(২.৩.৪) ভারত সভা ⟶ | আনন্দমোহন বসু |
উপবিভাগ : ২.৫ নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঙ্গে সঠিক বাক্যটি নির্বাচন করো:
(২.৫.১) বিবৃতি: ইতিহাস নিছক অতীতের গল্প নয়।
ব্যাখ্যা-১ ইতিহাস অতীতের লোককথা মাত্র।
ব্যাখ্যা-২ ইতিহাস বিভিন্ন কালের চিত্রকলা।
ব্যাখ্যা- ৩ ইতিহাস প্রমাণিত উপাদানের ওপর প্রতিষ্ঠিত অতীতের বিবরণ।
(২.৫.২) বিবৃতি: শ্রীরামপুর ছাপাখানা মুদ্রন ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যাখ্যা-১ এর ফলে ঔপনিবেশিক শিক্ষানীতির বিরোধিতা করা হয়েছিল।
ব্যাখ্যা-২ এর ফলে জাতীয় শিক্ষা আন্দোলন গড়ে উঠেছিল।
ব্যাখ্যা-৩ এর ফলে বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছিল।
(২.৫.৩) বিবৃতি: ভারত সরকার ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে মীরাট ষড়যন্ত্র মামলা শুরু করে।
ব্যাখ্যা-১ এর উদ্দেশ্য ছিল বিপ্লবীদের দমন করা।
ব্যাখ্যা-২ এর উদ্দেশ্য ছিল দেশব্যাপী সাম্যবাদী কার্যকলাপ দমন করা।
ব্যাখ্যা-৩ এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দমন করা।
(২.৫.৪) বিবৃতি: বাংলার নমঃশূদ্ররা ‘দলিত’ আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা-১ তাঁরা সামাজিক অবস্থানের উন্নয়ন চেয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা-২ তাঁরা নিজেদের ব্রাহ্মণত্ত্বের দাবি আদায় করতে চেয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা-৩ তাঁরা রাজনৈতিক ক্ষমতাসহ সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধা চেয়েছিলেন।
বিভাগ-‘গ’ ৩। দুটি অথবা তিনটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে কোনো ১১টি) : ১১×২=২২
৩.১ স্থানীয় ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ কেন? ৩.২ আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসাবে ‘জীবনের ঝরাপাতা’ গ্রন্থের ভূমিকা কী? ৩.৩ ভারতের শিক্ষার ইতিহাসে ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনের গুরুত্ব কী ছিল? ৩.৪ ভারতে নারী শিক্ষা বিস্তারে বিদ্যাসাগরের অবদান কী ছিল? ৩.৫ ‘বিপ্লব’ বলতে কী বোঝায়? ৩.৬ নীল বিদ্রোেহ অন্যান্য কৃষক বিদ্রোহ থেকে আলাদা কেন? ৩.৭ ‘ইলবার্ট বিল’ কী? ৩.৮ গগণেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বাংলা ব্যঙ্গচিত্রের জনক' বলা হয় কেন? ৩.৯ ছাপাখানার জগতে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী বিখ্যাত কেন? ৩.১০ বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল? ৩.১১ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে বাংলার কৃষকরা কেন যোগদান করেনি? ৩.১২ ‘ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি’-র কর্মসূচি কী ছিল? ৩.১৩ ‘কার্লাইল সার্কুলার’ কী? ৩.১৪ ‘রশিদ আলি দিবস’ কেন পালিত হয়েছিল? ৩.১৫ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে ‘ভারতের লৌহমানব’ বলা হয় কেন? ৩.১৬ কোন পরিস্থিতিতে জে ভি পি (JVP) কমিটি গঠিত হয়েছিল?
বিভাগ-‘ঘ’ ৪। সাত বা আটটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১টি করে মোট ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে) : ৬×৪=২৪
উপবিভাগ: ঘ.১ ৪.১ ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে ডেভিড হেয়ার কী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন? ৪.২ স্বামী বিবেকানন্দের ধর্ম সংস্কারের আদর্শ ব্যাখ্যা করো। উপবিভাগ:ঘ. ২ ৪.৩ ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহকে কী সামন্ত শ্রেণির বিদ্রোহ বলা
যায়? ৪.৪ জমিদার সভাকে ‘ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনের অগ্রদূত’ বলা হয় কেন? উপবিভাগ:ঘ.৩ ৪.৫ ‘একা আন্দোলন’-এর পরিচয় দাও। ৪.৬ আইন অমান্য আন্দোলনে শ্রমিকশ্রেণির ভূমিকা কীরূপ ছিল? উপবিভাগ : ঘ.৪ ৪.৭ কীভাবে কাশ্মীর
সমস্যার সৃষ্টি হয়? ৪.৮ ভারতে স্বাধীনতা লাভের পরবর্তীকালে উদ্বাস্তু সমস্যার উদ্ভব কীভাবে হয়েছিল?
বিভাগ-‘ঙ’ ৫। পনেরো বা ষোলটি বাক্যে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ১×৮=৮
৫.১ মুণ্ডা বিদ্রোহের কারণগুলি ব্যাখ্যা করো। এই বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল? ৫.২ বিজ্ঞান চর্চার বিকাশে মহেন্দ্রলাল সরকার ও জগদীশচন্দ্র বসুর কীরূপ অবদান ছিল? ৫.৩ সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।
Madhyamik 2023 ABTA History Page - 308 to 311
বিভাগ-‘ক’ ১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : ২০×১=২০
১.১ মল্লিকা সারাভাই কিসের জন্য খ্যাতি লাভ করেছেন—
(ক) সংগীত
(খ) নৃত্য
(গ) চিত্রকলা
(ঘ) চলচ্চিত্র
১.২ ভারতে নিম্নবর্গের ইতিহাস চর্চার প্রবক্তা হলেন—
(ক) রণজিৎ গুহ
(খ) সুমিত সরকার
(গ) বিপানচন্দ্র
(ঘ) রমেশচন্দ্র দত্ত
১.৩ সাধারণ জনশিক্ষা কমিটি গঠিত হয়েছিল—
(ক) ১৭১৩ খ্রিস্টাব্দ
(খ) ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দ
(গ) ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দ
(ঘ) ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দ
১.৪ উনিশ শতকের নারী শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানটি হল—
(ক) বিটন (বেথুন) স্কুল
(খ) স্কটিশচার্চ স্কুল
(গ) হেয়ার স্কুল
(ঘ) হিন্দু স্কুল
১.৫ ‘গ্রামবার্তা পত্রিকা’ প্রকাশিত হত—
(ক) যশোর থেকে
(খ) রানাঘাট থেকে
(গ) বারাসত থেকে
(ঘ) কুষ্টিয়া থেকে
১.৬ ‘বারাসত বিদ্রোহ’-এর সময় বাংলার গভর্নর ছিলেন—
(ক) লর্ড ক্যানিং
(খ) লর্ড ডালহৌসি
(গ) লর্ড ময়রা
(ঘ) লর্ড বেন্টিঙ্ক
১.৭ খুৎকাটি প্রথা যে সমাজে প্রচলিত ছিল—
(ক) মুণ্ডা সমাজে
(খ) কোল সমাজে
(গ) সাঁওতাল সমাজে
(ঘ) চুয়াড় সমাজে
১.৮ ‘বন্দেমাতরম্' সংগীতটি রচিত হয়—
(ক) ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে
১.৯ বাংলার ‘মুকুটহীন রাজা’ বলা হতো—
(ক) নবগোপাল মিত্রকে
(খ) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে
(গ) আনন্দমোহন বসুকে
(ঘ) অরবিন্দ ঘোষকে
১.১০ কার্টুনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটিয়েছিলেন—
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
১.১১ বাংলা ভাষায় প্রথম ছাপা বই হল—
(ক) বর্ণপরিচয়
(খ) 'এ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ'
(গ) মঙ্গল সমাচার মতিয়ের
(ঘ) অন্নদামঙ্গল
১.১২ বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়—
(ক) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে
১.১৩ একা আন্দোলন ঘটেছিল—
(ক) বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন পর্যায়ে
(খ) আইন অমান্য আন্দোলন পর্যায়ে
(গ) অহিংস অসহযোগ আন্দোলন পর্যায়ে
(ঘ) ভারত ছাড়ো আন্দোলন পর্যায়ে
১.১৪ কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল (সোশ্যালিস্ট পার্টি) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল—
(ক) কলকাতায়
(খ) দিল্লিতে
(গ) বোম্বাইতে
(ঘ) মাদ্রাজে
১.১৫ ‘গিরনি কামগার ইউনিয়ন’ কোন শ্রমিকদের সংগঠন ছিল—
(ক) পাট শিল্প শ্রমিক
(খ) চা শিল্প শ্রমিক
(গ) রেলওয়ে শিল্প শ্রমিক
(ঘ) বস্ত্রশিল্প শ্রমিক
১.১৬ ‘অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি’-এর সম্পাদক ছিলেন—
(ক) শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু
(খ) কৃষ্ণকুমার মিত্র
(গ) চিত্তরঞ্জন দাস
(ঘ) আনন্দমোহন বসু
১.১৭ ‘ঝাঁসির রানি’ ব্রিগেডের নেতৃত্বে ছিলেন—
(ক) কল্পনা দত্ত
(খ) লক্ষ্মী স্বামীনাথন
(গ) লীলা নাগ
(ঘ) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
১.১৮ ‘জাস্টিস পার্টি’ গঠিত হয়েছিল—
(ক) ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে
১.১৯ দেশীয় রাজ্যগুলোর ভারতভুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন—
(ক) মহাত্মা গান্ধী
(খ) লিয়াকত আলি
(গ) বল্লভভাই প্যাটেল
(ঘ) মহম্মদ আলি জিন্না
১.২০ নীচের কোনটি দেশীয় রাজ্য ছিল না—
(ক) বম্বে
(খ) ভোপাল
(গ) হায়দরাবাদ
(ঘ) জয়পুর
বিভাগ-‘খ’ ২। যে কোনো যোলটি প্রশ্নের উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে) :
১৬×১=১৬
উপবিভাগ : ২.১ একটি বাক্যে উত্তর দাও :
(২.১.১) কোন গভর্নর জেনারেলের আমলে বিধবা বিবাহ আইন পাশ হয়?
উত্তরঃ লর্ড ডালহৌসি।
(২.১.২) বয়কট আন্দোলনের মূল দাবি কী ছিল?
উত্তরঃ ব্রিটিশ পুঁজির উপর আঘাত হানা।
(২.১.৩) কোন প্রেক্ষাপটে ‘গোরা’ উপন্যাস লেখা হয়েছিল?
উত্তরঃ স্বদেশী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে।
(২.১.৪) ‘বর্ণপরিচয়’ কে রচনা করেন।
উত্তরঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
উপবিভাগ : ২.২ ঠিক বা ভুল নির্ণয় করো :
(২.২.১) রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেব।
উত্তরঃ ভুল メ
(২.২.২) ‘বীরাষ্টমী ব্রত’ শুরু করেন সরলাদেবী চৌধুরানী।
উত্তরঃ ঠিক ✔
(২.২.৩) সারদারঞ্জন রায় ‘ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব’ তৈরি করেন।
উত্তরঃ ভুল メ
(২.২.৪) হরিপুরা কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করেছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু।
উত্তরঃ ভুল メ
উপবিভাগ : ২.৩ ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :
‘ক’ স্তম্ভ | 'খ' স্তম্ভ |
---|---|
(২.৩.১) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ⟶ | ব্যঙ্গ চিত্র |
(২.৩.২) উইলিয়াম কেরি ⟶ | শ্রীরামপুর ছাপাখানা |
(২.৩.৩) ফজলুল হক ⟶ | কৃষক প্রজাপার্টি |
(২.৩.৪) রশিদ আলি ⟶ | আজাদ হিন্দ ফৌজ |
উপবিভাগ : ২.৫ নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো:
(২.৫.১) বিবৃতি: নব্যবঙ্গ আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছিল—
ব্যাখ্যা-১ এই আন্দোলনের কোনো সংগঠন ছিল না।
ব্যাখ্যা-২ এই আন্দোলন ছিল শহরের কিছু শিক্ষিত ব্যক্তিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
ব্যাখ্যা-৩ এই আন্দোলনে ব্রিটিশদের সঙ্গে বোঝাপড়া ছিল।
(২.৫.২) বিবৃতি: আইন অমান্য আন্দোলনে ভারতের কৃষক সম্প্রদায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে শামিল হয়েছিল।
ব্যাখ্যা-১ কৃষকদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টি এই আন্দোলনের কর্মসূচিভুক্ত হয়।
ব্যাখ্যা-২ কৃষক সম্প্রদায় এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পায়।
ব্যাখ্যা-৩ আন্দোলনে কৃষিকর মুকুবের বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়।
(২.৫.৩) বিবৃতি: ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে মহাত্মা গান্ধী ও বি আর আম্বেদকর পুনা চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
ব্যাখ্যা-১ র্যামসে ম্যাকডোনাল্ড-এর ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা’ তাঁরা মেনে নেন।
ব্যাখ্যা-২ লন্ডনে অনুষ্ঠিত তৃতীয় গোলটেবিল বৈঠকে যোগদানের বিষয়ে তারা সহমত হন।
ব্যাখ্যা-৩ হিন্দু ও দলিতের যৌথ নির্বাচন প্রক্রিয়া তাঁরা মেনে নেন।
(২.৫.৪) বিবৃতি: দুদুমিঞার মৃত্যুর পর ফরাজি আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়ে।
ব্যাখ্যা-১ ব্রিটিশ সরকারের দমন নীতির আশ্রয় নেওয়ার কারণে।
ব্যাখ্যা-২ ফরাজি আন্দোলন ছিল ধর্মের মোড়কে আবৃত কৃষক বিদ্রোহ।
ব্যাখ্যা-৩ দুদুমিঞার উত্তরাধিকারীগণ ধর্মসংস্কারে মনোনিবেশ করেছিলেন।
বিভাগ-‘গ’ ৩। দুটি অথবা তিনটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে কোনো ১১টি) : ১১×২=২২
৩.১ ব্রিটিশ সরকার কেন ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে সোমপ্রকাশ সাময়িক পত্রের প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়? ৩.২ ইতিহাসের উপাদান হিসেবে চিঠিপত্রের গুরুত্ব কী? ৩.৩ ‘বামাবোধিনী পত্রিকা' বিখ্যাত ছিল কেন? ৩.৪ স্বামী বিবেকানন্দের নব্য বেদান্তবাদের মূল কথা কী ছিল? ৩.৫ নীলবিদ্রোহে বুদ্ধিজীবী শ্রেণির ভূমিকা কী ছিল? ৩.৬ কোল বিদ্রোহের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো। ৩.৭ ‘ল্যান্ড হোল্ডার্স সোসাইটি’ কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? ৩.৮ মহারানির ঘোষণাপত্রের (১৮৫৮) মূল উদ্দেশ্য কী ছিল? ৩.৯ বাংলায় ছাপাখানার বিকাশে পঞ্চানন কর্মকারের ভূমিকা কী ছিল? ৩.১০ ‘বটতলা প্রকাশনা’— কী? ৩.১১ বারদৌলি সত্যাগ্রহ আন্দোলন কেন শুরু হয়েছিল? ৩.১২ কী উদ্দেশ্যে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল গঠিত হয়েছিল? ৩.১৩ ‘তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার’— কী? ৩.১৪ মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কেন? ৩.১৫ সদ্য স্বাধীন ভারত রাষ্ট্রের সামনে প্রধান দুটি সমস্যা কী ছিল? ৩.১৬ ‘স্মৃতিকথা’ কীভাবে দেশভাগের ইতিহাস রচনার উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়?
বিভাগ-‘ঘ’ ৪। সাত বা আটটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১টি করে মোট ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে) : ৬×৪=২৪
উপবিভাগ: ঘ.১ ৪.১ নারী ইতিহাসচর্চা গুরুত্বপূর্ণ কেন? ৪.২ বাংলায় চিকিৎসা বিদ্যার বিকাশে কলকাতা মেডিকেল কলেজের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো উপবিভাগ : ঘ.২ ৪.৩ ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করেছিল কেন? ৪.৪ ভারত সভার উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী উল্লেখ করো। উপবিভাগ: ঘ.৩ ৪.৫ ছাপাখানার বিকাশে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর অবদান কী ছিল? ৪.৬ টীকা লেখো : ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি। উপবিভাগ :ঘ:৪ ৪.৭ স্বাধীনতার পর কীভাবে ভাষার ভিত্তিতে ভারতবর্ষ পুনর্গঠিত হয়েছিল? ৪.৮ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা কী ছিল?
বিভাগ-‘ঙ’ ৫। পনেরো বা ষোলটি বাক্যে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ১×৮=৮
৫:১ উনিশ শতকের প্রথমার্ধে সতীদাহ প্রথা বিরোধী প্রচেষ্টাগুলোর পরিচয় দাও। রামমোহন রায় কীভাবে সতীদাহ প্রথা বিরোধী আন্দোলনকে সাফল্যমণ্ডিত করেন? ৫.২ সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো। ৫.৩ ভারতে বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স (IACS) এবং বসু বিজ্ঞান মন্দির-এর অবদান আলোচনা করো।
madhyamik abta test paper history page 243, madhyamik abta test paper 2023, history page 122, madhyamik abta test paper 2023, history page 243, madhyamik abta test paper 2023, history page 170, madhyamik abta test paper 2023, history page 221, madhyamik abta test paper 2023, history page 286,
No comments
Hi Welcome ....