Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Top Ad

Breaking News:

latest

থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়

 Read More ... ●  Best Diet For Pregnancy Women ●  Victor Dog Food থাইরয়েড কি কারনে হয়? প্রায় ২০ থেকে ৩০ গ্রাম ওজনের সামান্য এই গ্ল্যাণ্ড...


animated-new-image-0047 Read More ...
● Best Diet For Pregnancy Women
● Victor Dog Food


থাইরয়েড কি কারনে হয়?

প্রায় ২০ থেকে ৩০ গ্রাম ওজনের সামান্য এই গ্ল্যাণ্ড থাইরয়েড। এটি গলার ঠিক ল্যারিংক্স বা স্বরযন্ত্র-এর নিচে অবস্থিত। এই গ্ল্যাণ্ডের দুটো লোব আছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে এই ছোট্ট গ্ল্যাণ্ড। রোগী তার কিছু উপসর্গ নিয়ে এই ডাক্তার সেই ডাক্তার করে বেড়াচ্ছেন। তার অসুবিধা — (i) কোনকিছুতে ভাল না লাগা। (ii) খেতে ভাল লাগে না। (iii) কোন কাজ করতে ইচ্ছা করে না। (iv) টিভি বা সিনেমা দেখতে বিরক্তি লাগে। (v) স্বামীর বা স্ত্রীর একান্ত সঙ্গও অপছন্দ। তিনি যদি মধ্য-বয়স্ক মহিলা হন তবে তার শরীর অকারণে মোটা হতে শুরু করে। ব্লাড টেষ্ট করালেই ধরা পড়ে এই থাইরয়েড রোগ। পুরুষদেরও এই রোগ হয়।
❏ থাইরয়েডের বিবরণ : থাইরয়েড একটি গ্ল্যাণ্ডের নাম। এটি থাকে গলার সামনে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ট্র্যাকিয়াল রিং বা শ্বাসনালী কার্টিলেজের সামনে। এই গ্ল্যান্ডের কোন নালী নেই। নালীবিহীন গ্ল্যান্ডকে বলে এণ্ডোক্রিন। এই গ্ল্যাণ্ড থেকে যে হরমোন বেরোয় তার নাম থাইরক্সিন। এই বেরনর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্ল্যাণ্ড থেকে নিঃসৃত থায়রয়েড স্টিমিউলেটিং হরমোন (TSH) নামের এক হরমোন। এই TSH বেশি ক্ষরিত হলে থাইরক্সিন -এর নিঃসরণ কমে। থাইরয়েড সংক্রান্ত নানা বিপত্তির উৎস TSH-এর বাড়াকমা। থাইরক্সিন (T4) এবং আর এক রকম হরমোন ট্রাই-আয়োডো-থাইরোলিন (T3) নিঃসৃত হয় থাইরয়েড গ্ল্যাণ্ড থেকে।

❏ থাইরয়েডের ভূমিকা :
  • দেহের বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশ ও যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি।
  • মস্তিষ্কে ও স্নায়ুর নানা কাজকর্মে সাহায্য করে এই হরমোন
  • এই হরমোন অন্ত্রনালীতে গ্লুকোজ শোষণ এবং প্রয়োজনে লিভারে সঞ্চিত গ্লাইকোজেন থেকে গ্লুকোজ রূপান্তরে সাহায্য করে।
  • হাড় থেকে ক্যাললিয়াম ও ফসফরাস মুক্ত করতে সাহায্য করে।
  • স্তনে দুধের ক্ষরণ বাড়ায়।
  • হার্ট রেট বাড়ায়।
  • পেচ্ছাবে নাইট্রোজেন-ক্রিয়েটিনিনের পরিমান বৃদ্ধি করে।
  • শরীরের স্বাভাবিক আবেগ ও অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে থাইরক্সিন।

❏ থাইরয়েড গ্ল্যাণ্ডের অসুখ : ১. হাইপোথাইরয়েডিজম : কোন কারণে হরমোন নিঃসরণের পরিমাণ কমে গেলে অল্পবয়সে যে রোগ হয় তার নাম ক্রেটিনিজম। আর বেশি বয়সে যে রোগটি হয় তার নাম মিক্সোডিমা। ২. হাইপারথাইরিয়েডিজম। ৩. থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের ক্যানসার অথবা সাধারন টিউমার। ৪. এছাড়া অ্যাকুইট থাইরইডাইটিস, হাসিমোটোজ ডিজিজ, থাইরোগ্লসাল সিষ্ট, ব্যাকটেরিয়াল থাইরয়েডাইটিস ইত্যাদি নানা রোগ হয় থাইরয়েডের। মাঝে মধ্যেই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাইরয়েড গ্ল্যাণ্ডটা পরীক্ষা করা দরকার। এক ঢোক জলপান করতে করতে আয়নার দিকে তাকালে দেখা যাবে থাইরয়েড গ্ল্যণ্ডের ওঠানামা। তখন সহজেই বোঝা যাবে গ্ল্যাণ্ডের বৃদ্ধি। সাধারণত খাদ্যে আয়োডিন ঘাটতির জন্যই এই গ্ল্যাণ্ড ফুলে ওঠে। এই গ্ল্যাণ্ড বড় হয়ে গেলে শ্বাসনালীর ওপরে চাপ লাগতে পারে।
❏ থাইরয়েড সমস্যা : থাইরয়েডের রোগে দ্রুত চুল উঠে যায়। চামড়া তার উজ্জ্বলতা হারায়। কুঁচকে যায়। মুখটা ফোলা ফোলা লাগে। ফ্যাকাসে হয়ে ওঠে মুখমণ্ডল। জিবটা মোটা ও খসখসে হয়। গলার স্বরের কোমলতা কমে যায়। কর্কশ হয়ে ওঠে স্বর। ভ্রু উঠে যায়। চোখের কোনে পিচুটি জমে। হরমোন কমে গেলে খিদে কমে তবুও ওজন বাড়তে থাকে। হরমোন বাড়লে খিদে বাড়ে কিন্তু ওজন কমে। যৌনাঙ্গ ঠিকমত গঠিত হয় না ধ্বজভঙ্গ। কোন কিছুতেই ভাল না লাগা। খেতে, গল্প করতে, বেড়াতে, টিভি দেখতে, এমনকী যৌনমিলনেও অনীহা। মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠে। সামান্য ব্যাপারে তর্ক হয়ে যায় প্রিয়জনের সঙ্গে। মনের অমিল দেখা দেয়। কথা বলতে না বলতেই চোখ দিয়ে টসটস করে জল পড়তে শুরু করে। কান্নার প্রবৃত্তি। বেশ জরুরি কথাও মনে থাকে না। বিমর্ষতা সবকিছু থাকার পরেও তার মনে হয় তার কিছুই নেই।


❏ পুরুষ বা মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের লক্ষণ : (i) সবসময় ক্লান্তি। (ii) রান্নাবান্না করতে ও হাঁটতে অসুবিধা। (iii) সবসময় ঘুম ঘুম ভাব। (iv) সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে গেলে হাঁপিয়ে ওঠে রোগী। (iv) হরমোন কমলে নাড়ীর গতি কমে, আর বাড়লে নাড়ীর গতিও বাড়ে। (v) অল্পেতেই ঠান্ডা লাগে ও সর্দি হয়। (vi) সবসময় পেটের অসুখ লেগেই থাকে।

❏ থাইরয়েড বেশি হলে কি হয় : আপনার শিশুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি তার শরীর ও মনের কোন বৃদ্ধি না হয় বা তার খিদে কমে যাচ্ছে বা সে স্কুলের পড়া ঠিকমতো মনে রাখতে পারছে না বা লেখাপড়ায় তার কোন আগ্রহ নেই কিংবা খেলাধুলো সম্বন্ধে সে উদাসীন অথবা প্রতিবার সে পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ করছে তখন আর দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হতে পারে আপনার বাচ্চা থাইরয়েডজনিত কোন অসুখে ভুগছে।

১. থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট : এই টেস্টে রক্তের 
T3 , Tও TSH এর মাত্রা মেপে দেখা হয়।
২. থাইরয়েড স্ক্যান : এতে গামা ক্যামেরার সাহায্যে থাইরয়েডের স্ক্যান করা হয়। ফলে খুব ছোট কোন নডিয়্যুল থাকলেও সেটা ধরা পড়ে।
৩. রেডিওঅ্যাকটিভ স্টাডি : তেজস্ক্রিয় আয়োডিন ১৩১ রোগীকে খাইয়ে দেখা হয় যে থাইরয়েড গ্ল্যাণ্ড কী পরিমাণে সেটা গ্রহণ করছে। সেই অনুযায়ী হট্ এরিয়া ও কোল্ড এরিয়া নিরূপণ করা হয়। থাইরয়েডে ক্যানসার থাকলে সহজেই এতে ধরা পড়ে।
৪. নিড্‌ল বায়োপসি : ছুঁচ ফুটিয়ে ‘FNAC’ থাইরয়েড গ্ল্যাণ্ড থেকে রস সংগ্রহ করে তার মধ্যে কী ধরনের কোষ রয়েছে তা অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে খুঁজে দেখা হয় এই পদ্ধতিতে। এতে সহজেই ক্যানসার কোষের উপস্থিতি ধরা পড়ে।


 কী খাবেন, কী খাবেন না :
এই রোগে আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ১০০-১৫০ মাইক্রোগ্রাম আয়োডিন খাবারের সঙ্গে খাওয়া প্রয়োজন। হাইপারথাইরয়েড রোগীর শরীরে বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপ এত বেড়ে যায় যে তার প্রচুর খিদে হয়। তখন সম্ভব হলে তাকে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হয়। হাইপোথাইরয়েড রোগীদের খেতে হবে পমফ্রেট, সার্ডিন, ইলিশ ইত্যাদি মাছ। গাজর, বাঁধাকপি, শালগম, মূলো, পেয়ারা ও বাদাম খাওয়া বারণ।
❏ থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না / শিশুদের সমস্যা : থাইরয়েড হরমোনের অভাবে শিশুদের যে রোগ হয় তার নাম ক্রেটিনিজম। গর্ভকালে মায়ের শরীরে আয়োডিনের অভাব থাকলে থাইরয়েড হরমোন ঠিকমত বেরয় না। ফলে অনেক সময় বিকলাঙ্গ ও জড়বুদ্ধিসম্পন্ন শিশুর জন্ম হয়। তাদের নানারকম লক্ষণ থাকতে পারে যেমন ― ১. শিশু মাথা তোলা, হামাগুড়ি দেওয়া, বসা, হাঁটা, কথা বলা সব কিছুই দেরিতে শেখে। একে বলে ডিলেড মাইলস্টোনস। ২. বাচ্চার ত্বক খসখসে, মোটা ও শুকনো হয়। মাথায় চুল কম।৩. ঠোঁট মোটা, নাক থ্যাবড়া, চোখ ছোট, মোটা জিব, মুখটা হাঁ হয়ে থাকে। ফলে সবসময় মুখ দিয়ে লালা বেরয়। ৪. যৌন অঙ্গ ও যৌন গ্ল্যাণ্ড সবই অপরিণত হয়। ৫. মানসিক বিকাশ অপরিণত। ৬. কানে কম শোনে বলে কথা বলতে শিখে না। ৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে। ৮. উচ্চতায় বাড়ে না শিশু বেঁটে হয়েই থাকে। ৯. গলার স্বর কর্কশ হয়ে উঠে।

❏ থাইরয়েড সমস্যার ট্রিপস্ : থাইরয়েড হরমোন দেহে বেশি হয়ে গেলে খাওয়া-দাওয়া হালকা হলে ভাল। কিছু হালকা ব্যায়াম করা প্রয়োজন। মানসিক দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলা দরকার। কিছু ব্যায়াম― ১. হলাসন। ২. মৎস্যাসন। ৩. সিংহাসন। ৪. শশঙ্গাসন। ৫. সর্বাঙ্গাসন। প্রতিটা ব্যায়াম করার পর ৩০ সেকেন্ড ধরে শবাসন করতে হবে। মাথাসহ ঘাড় একবার ডানদিকে একবার বামদিকে একবার উপরে একবার নিচে এইভাবে দশবার করুন। পিটুইটারি গ্ল্যান্ড থেকে যেন TSH-এর ক্ষরণ ঠিক হয় সেজন্য শীর্ষাসন করা দরকার। তবে কানের পর্দার ফুটো কিংবা হাই ব্লাড প্রেসার থাকলে সেসব এড়িয়ে চলা ভাল।

No comments

Hi Welcome ....