ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা | Class VI Health and Physical Education Chapter 4 Question Answer ❐ আরো পড়ুনঃ পঞ্চম শ্রেণি স্বাস্...
ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা | Class VI Health and Physical Education Chapter 4 Question Answer
❐ আরো পড়ুনঃ পঞ্চম শ্রেণি
১. বহুর মধ্যে থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে ‘(✓)’ চিহ্ন দাও :
(ক) এই আসনটি দীর্ঘ দিন অনুশীলন করলে পায়ের বাত, সায়াটিকা, পেশিবাত, অগ্নিমান্দ্য, কোমর ও কাঁধের সন্ধিস্থলে ব্যথা ও ভেরিকোজ ভেইন ইত্যাদি সারাতে সাহায্য করে। এই আসনটির নাম কী?
(i) অর্ধচন্দ্রাসন
(ii) শীৎকারী প্রাণায়ম
(iii) সুপ্ত বজ্রাসন
(iv) চক্রাসন
(খ) এই আসনটি দীর্ঘ দিন অনুশীলন করলে হাঁটু, মেরুদণ্ড ও ঘাড়ের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে, পেটের মধ্যে সঞ্চিত গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এই আসনটির নাম কী?
(i) পশ্চিমোত্তানাসন
(ii) পবণমুক্তাসন
(iii) যোগমুদ্রা
(iv) মৎসাসন
(গ) এই আসনটির পর্যায়ক্রমিক অনুশীলনের পদ্ধতি হলোঃ প্রারম্ভিক অবস্থা পা দুটি সামনের দিকে মেলে দিয়েসোজা হয়ে বসতে হবে। পা দুটি জোড়া থাকবে। হাত শরীরের পাশে মাটির উপর থাকবে। হাতের আঙুলগুলোকে সামনের দিকে রাখতে হবে।
(১) দু-পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে পদ্মাসনে বসতে হবে।
(২) শরীরের পিছনে বাঁ হাত দিয়ে ডান হাতের কবজিকে ধরতে হবে। অথবা একহাতের তালু অপর হাতের তালুর উপর রেখে নাভির কাছে রেখে করা যেতে পারে।
(৩) কোমরের কাছ থেকে ভেঙে সামনের দিকে ঝুঁকে কপালকে মাটিতে ঠেকাতে হবে।
(৪) শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে কিছু সময় এই অবস্থা ধরে রাখার পর ধীরে ধীরে প্রারম্ভিক অবস্থায় ফিরে আসতে হবে। এই আসনটির নাম কী?
(i) মৎসাসন
(ii) সুপ্ত বজ্রাসন
(iii) যোগমুদ্রা
(iv) পশ্চিমোত্তানাসন
(ঘ) এই প্রাণায়ামটি দীর্ঘ দিন অনুশীলন করলে শ্বাসক্রিয়া সাধারণভাবে শীৎ শব্দ করতে করতে মুখ দিয়ে শ্বাসগ্রহণ ও দু-নাক দিয়ে শ্বাস ধীরে ধীরে ত্যাগ করতে হয়। এই আসনটির নাম কী?
(i) অনুলোম-বিলোম
(ii) কপালভাতি
(iii) যোগমুদ্রা
(iv) শীৎকারী প্রাণায়ম
২. ছবিগুলি দেখে চিহ্নিতকরণ করো :
(ক) কোন ছবিটি অর্ধচন্দ্রাসন আসনটির তার পাশে ‘(✓)’ চিহ্ন দাও।

৩. শীৎকারী প্রাণায়মের স্বাসক্রিয়া, পদ্ধতি উপকারিতা ও সতরকর্তা বর্ণনা করো ।
- শ্বাসক্রিয়াঃ সাধারণভাবে শীৎ শব্দ করতে করতে মুখ দিয়ে শ্বাসগ্রহণ ও দু-নাক দিয়ে শ্বাস ধীরে ধীরে ত্যাগ করতে হয়।
- পদ্ধতিঃ (১) সুখাসনে অথবা পদ্মাসনে বসতে হয়। (২) মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হয়। (৩) দু-হাত সোজা ও সমান্তরালভাবে দু-হাঁটুর উপর রাখতে হবে। (৪) দু-হাতের তালু চিত অবস্থায় তর্জনী ও বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ একত্র করে বাকি আঙুল সোজা রাখতে হয়।
- উপকারিতাঃ অরুচিতে রুচি আনে, খিদে বাড়ায়, নিদ্রাহীনতা ও অলসতা দূর করে। দেহে বলবৃদ্ধি করে, দেহের নানাপ্রকার অসুবিধা দূর করে। দেহে উজ্জ্বলতা ও লাবণ্য বৃদ্ধি করে। দেহ ও মনকে শান্ত করে।
- সতর্কতাঃ যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত আছে, সর্দিকাশি, হাঁপানি এবং টনসিল, ফ্যানেনজাইটিসে ভোগে তাদের যোগ-বিশেষজ্ঞ বা যোগ-চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই প্রাণায়ামটি করা উচিত।
৪. চক্রাসনের উপকারিতা করে তালিকাভুক্ত করো।
উপকারিতা : এই আসনটি মেরুদণ্ডের নমনীয়তা আনে, মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। লম্বা হতে সাহায্য করে। দেহের বাড় বৃদ্ধির জন্য এই আসনটি ভীষণ উপকারী।
নিয়মানুগ অঙ্গসঞ্চালনা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন প্র্যাকটিস
✱ সঠিক উত্তর নির্বাচন করো :
(i) ‘ব্রতচারী’ অংশে গানটির নাম —
(ক) আমরা ছাত্রদল
(খ) আমরা মানুষদল
(গ) আমরা যুবকদল
(ঘ) তরুণ দল
(ii) ‘ফুটবল খেলি মোরা’ অংশে দল হয়—
(ক) সাত জনে
(খ) নয় জনে
(গ) এগারো জনে
(ঘ) তেরো জনে
(iii) ফুটড্রিলের আবিষ্কার হলেন—
(ক) মেজরগ জার্নাল ড্রেল
(খ) গুরুসদয় দত্ত
(গ) জেমস স্কট
(ঘ) নিউটন
(iv) আদেশের অংশ থাকে—
(ক) ৫টি
(খ) ৪টি
(গ) ৩টি
(ঘ) ২টি
(v) কত খ্রিস্টাব্দে জার্মান মেজর জার্নাল ড্রেল ফুটড্রিল প্রচলন করেছিলেন—
(ক) ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৭৬৬ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে
✱ এককথায় উত্তর দাও :
(i) 'আমরা মানুষদল' গানে কয়টি লাইন আছে?
উত্তর : ১৩ লাইন।
(ii) 'আমরা মানুষদল' গানে কতবার গান করতে হবে?
উত্তর : দু-বার
(iii) ফুটবল খেলায় বেকায়দায় চার্জ করলে কী হয়?
উত্তর : পা ফুলে ঢোল।
(iv) ড্রিলের আক্ষরিক অর্থ কী?
উত্তর : বারবার অনুশীলন দ্বারা শিক্ষাদান।
(v) ফুটড্রিল ও মার্চিং সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কে থাকে?
উত্তর : আদেশদানকারী বা দলনেতা।
✱ সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১. ফুটড্রিল ও মার্চিং সম্পর্কে কী জানো?
উত্তর : ফুটড্রিল ও মার্চিং সেনাবাহিনীতে খুবই প্রচলিত। ফুটড্রিলের আবিষ্কার হলেন জার্মান মেজর জার্নাল ড্রেল। তিনি ১৬৬৬ খিস্টাব্দে সেনাবাহিনীকে সুনিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালনার জন্য ফুটড্রিল প্রচলন করেছিলেন। ফুটড্রিলের মাধ্যমে মার্চিং-এর প্রধান বিষয়গুলো শেখানো হয়। মার্চিং-এর আভিধানিক অর্থ হল সৈন্যদলের নিয়মিত চলন (Regulated movement of soldiers)। মার্টিং হল আদেশের সঙ্গে সঙ্গে শৃঙ্খলবদ্ধ নিয়মমাফিক হাঁটাচলা। ড্রিলের আক্ষরিক অর্থ হল বারবার অনুশীলন দ্বারা শিক্ষাদান (Training by repeated exercises)। অর্থাৎ, আদেশের সঙ্গে সঙ্গে বারবার সঠিকভাবে মার্চিং অনুশীলন করাকে ফুটড্রিল বলে।
২. ফুটড্রিল ও মার্টিং করার সময় লক্ষণীয় বিষয়গুলি কী কী?
উত্তর : ফুটড্রিল করার সময় প্রধানত তিনটি বিষয়ের ওপর লক্ষ রাখতে হবে। তিনটি বিষয় হল – (১) স্মার্টনেস অর্থাৎ চটপটে ভাব, (২) স্টেডিনেস অর্থাৎ স্থিরচিত্ততা বা অটলতা, (৩) কম্বিনেশন অর্থাৎ একসঙ্গে কাজ করার ক্ষমতা। তা ছাড়া ফুটড্রিল এবং মার্চিং অভ্যাস করার সময় একই ধরনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করতে হবে। কোমরের বেল্ট ও পায়ের জুতোর লেস যেন শক্ত করে বাঁধা থাকে। ছাত্রছাত্রীরা উচ্চতা অনুযায়ী সারিবদ্ধভাবে যাতে দাঁড়ায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
৩. আদেশ—‘বিশ্রাম’ বা ‘বিরাম’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর : দীর্ঘক্ষণ সাবধান অবস্থায় দাঁড়ানোর ক্লান্তি বা একঘেয়েমি দূর করার জন্য ফুটড্রিল ও মার্চিং-এ বিশ্রাম দেওয়া হয়। সংগঠিত কোনো অনুষ্ঠান শুরুর দেরি হলে বিশ্রাম অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
No comments
Hi Welcome ....