Class 10 Life Science 2 Mark SAQ Notes | দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান : জনন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর নোটস ❐ আরো পড়ুনঃ দশম শ্রেণি (জীবন বিজ্ঞা...
Class 10 Life Science 2 Mark SAQ Notes | দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান : জনন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর নোটস
❐ আরো পড়ুনঃ দশম শ্রেণি (জীবন বিজ্ঞান)
Q1. স্টক ও সিয়ন কাকে বলে?
▸গ্রাফটিং বা জোড়কলমের ক্ষেত্রে যে গাছের কাণ্ড কেটে ফেলে শুধু তার মূল অংশ ব্যবহৃত হয়, তাকে স্টক বলে। পক্ষান্তরে যে উন্নত ও অভিপ্রেত উদ্ভিদের শাখা স্টকের সঙ্গে সংযোজিত করা হয়, তাকে সিয়ন' বলে।
Q2. ‘ধান বা ভুট্টাগাছে (একবীজপত্রী) জোড়কলম বা গ্রাফটিং সম্ভব নয়'—ব্যাখ্যা করো।
▸একবীজপত্রী উদ্ভিদ, যেমন—ধান, গম, ভুট্টা, তাল বা নারকেল-এর ক্যামবিয়াম কলা থাকে না। ক্যামবিয়াম কলা বৃদ্ধি পেয়ে জোড়কলমে নতুন জাইলেম ও ফ্লোয়েম কলা সৃষ্টি করে দুটি উদ্ভিদের সংযোগ তৈরি করে। ক্যামবিয়াম কলা থাকে না বলে সমস্ত একবীজপত্রী উদ্ভিদের জোড়কলম সম্ভব হয় না।
Q3. স্টক, সিয়ন ও গ্রাফটিং শব্দগুলির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করো।
▸গ্রাফটিং বা জোড়কলম হল একপ্রকার কৃত্রিম অঙ্গজ জনন। এক্ষেত্রে একটি অভিপ্রেত উদ্ভিদের কাণ্ড বা শাখা অর্থাৎ সিয়ন নিয়ে, অপর একটি একই প্রজাতি বা সমগোত্রীয় কোনো উদ্ভিদের কাণ্ড বা শাখা কেটে অর্থাৎ স্টক, এর ওপর জুড়ে দেওয়া হয়।
Q4. কৃত্রিম অঙ্গজ জননের প্রয়োজন হয় কেন?
অথবা, কলম প্রস্তুতির সার্থকতা কী?
▸ কৃত্রিম অঙ্গজ জননের প্রয়োজন হয়, কারণ— ➊ বীজবিহীন উদ্ভিদ, যেমন—কলা, আনারস, আঙুর প্রভৃতি উদ্ভিদের সহজে নতুন উদ্ভিদ করা যায়। ➋ নির্দিষ্ট ও অভিপ্রেত বৈশিষ্ট্যের উদ্ভিদ চারা তৈরি এই পদ্ধতিতে পাওয়া সম্ভব হয়। ➌ দ্রুত, কম খরচে চারা তৈরি প্রভৃতি কৃত্রিম অঙ্গজ জনন যেমন—কলম প্রস্তুতি, দ্বারা পাওয়া সম্ভব হয়।
Q5 টোটিপোটেন্সি কী? একটি টোটিপোটেন্ট কোশের নাম লেখো।
▸বিচ্ছিন্ন দেহকোশের উপযুক্ত পরিবেশে সম্পূর্ণ জীবদেহে পরিণত হওয়ার ক্ষমতাকে টোটিপোটেন্সি বা পূর্ণত্বক্ষমতা বলে। একটি টোটিপোটেন্ট কোশের নাম হল স্টেম কোশ।
Q6. কলোজেনেসিস ও রাইজোজেনেসিস কী?
▸ মাইক্রোপ্রোপাগেশন পদ্ধতিতে ক্যালাস কলা থেকে প্রাথমিক মূল বা বিটপ সৃষ্টি হওয়াকে বলা হয় অরগ্যানোজেনেসিস। ক্যালাস কলা থেকে প্রাথমিক বিটপ সৃষ্টি হওয়াকে বলে কলোজেনেসিস (caulogenesis) এবং প্রাথমিক মূল সৃষ্টি হওয়াকে বলে রাইজোজেনেসিস (rhizogenesis)।
Q7. প্রোপাগিউল (propagule) কাকে বলে?
▸ মাইক্রোপ্রোপাগেশন বা অন্যান্য বংশবিস্তার পদ্ধতিতে যে উদ্ভিদ দেহাংশ থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়, তাকে প্রোপাগিউল বলে। যেমন—কাণ্ড বা মুকুল। যৌন জননের ক্ষেত্রে বীজ হল প্রোপাগিউল।
Q8. ক্লোনিং কাকে বলে? তোমার জানা একটি ক্লোনিং পদ্ধতির নাম লেখো।
▸একই জিনগত উপাদান বিশিষ্ট জীব তৈরিকে ক্লোনিং বলে। অণুবিস্তারণ পদ্ধতিতে একটি উদ্ভিদ দেহাংশ থেকে অসংখ্য প্ল্যান্টলেট বা চারাগাছ ক্লোন করা হয়।
Q9. মাইক্রোপ্রোপাগেশনের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
▸ মাইক্রোপ্রোপাগেশনের দুটি বৈশিষ্ট্য হল—➊ মাইক্রোপ্রোপাগেশন কলাকর্ষণ বা টিস্যু কালচার পদ্ধতির একটি বিশেষ প্রকার যার মাধ্যমে উদ্ভিদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। ➋ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদের পছন্দমাফিক ভ্যারাইটির দ্রুত সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটানো হয়।
Q10. কলাকর্ষণ বা টিস্যু কালচার কাকে বলে?
▸যে প্রযুক্তি পদ্ধতিতে জীবদেহ থেকে সংগৃহীত কলা, উপযুক্ত পুষ্টিমাধ্যমে জীবাণুমুক্ত পরিবেশে কর্ষণ করা হয়, তাকে কলাকর্ষণ বা টিস্যু কালচার বলে। মাইক্রোপ্রোপাগেশনে কলাকর্ষণ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
Q11. এক্সপ্ল্যান্ট কী?
▸উদ্ভিদের যে বিশেষ ক্ষুদ্র অংশ অণুবিস্তারণের জন্য ব্যবহার করা হয়, তাকে এক্সপ্ল্যান্ট বলে। ভাজক কলাপূর্ণ অংশ, যেমন—অগ্রমুকুল, মূলাগ্র, কন্দজাতীয় অঙ্গ ইত্যাদি এক্সপ্ল্যান্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
Q12. ক্যালাস কী?
▸জীবাণুমুক্ত এক্সপ্ল্যান্টকে টেস্টটিউবে কর্ষণ মাধ্যম (culture media)-এ রাখলে ধীরে ধীরে কোশ বিভাজন শুরু হয় এবং এক্সপ্ল্যান্টের কোশগুলি থেকে অবিভেদিত কোশসমষ্টির সৃষ্টি হয়, একেই ক্যালাস বলে। ক্যালাসের কোশগুলি টোটিপোটেন্ট প্রকৃতির হয় এবং তা থেকে সম্পূর্ণ উদ্ভিদ সৃষ্টি হতে পারে।
Q13. কর্ষণ দ্রবণটি কী কী দ্বারা প্রস্তুত করা হয়?
▸ কর্ষণ দ্রবণে উপাদন হল— ➊ ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট: নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফার প্রভৃতি খনিজের লবণ।➋ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট: লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, বোরন, তামা ও মলিবডেনাম-এর লবণ। ➌ কার্বন ও শক্তি-উৎস: সুক্রোজ শর্করা, এ ছাড়াও গ্লুকোজ বা ফ্রুক্টোজ। ➍ ভিটামিন : থায়ামিন, নিকোটিনিক অ্যাসিড, বায়োটিন। ➎ নাইট্রোজেন সরবরাহকারী উপাদান (অ্যামিনো অ্যাসিড): গ্লুটামিন, অ্যাসপারজিন ও অ্যাডিনিন।➏ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক উপাদান (হরমোন) : IAA, 4-D, NAA (অক্সিন), 6-বেনজিনঅ্যামিনোপিউরিন (সাইটোকাইনিন), GA3 (জিব্বেরেলিন) ও অ্যাবসিসিক অ্যাসিড।
Q14. মাইক্রোপ্রোপাগেশনের অসুবিধাগুলি উল্লেখ করো।
▸ মাইক্রোপ্রোপাগেশনের অসুবিধাগুলি হল— ➊মাইক্রোপ্রোপাগেশনে জিনগত প্রকরণ ঘটে না বলে উদ্ভিদটির অভিযোজন ক্ষমতা কম হয়। ➋ এটি অভিব্যক্তিতে সহায়তা করে না।
Q15. কিছু উদ্ভিদের ক্ষেত্রে অঙ্গজ জনন আবশ্যিক কেন?
অথবা, উদ্ভিদদেহে প্রাকৃতিক অঙ্গজ জননের গুরুত্ব লেখো।
▸কিছু উদ্ভিদের ক্ষেত্রে অঙ্গজ জনন আবশ্যিক, কারণ—➊ কলা, গোলাপ প্রভৃতি উদ্ভিদে যৌন জনন হয় না। এইসব ক্ষেত্রে অঙ্গজ জনন হল জননের একমাত্র উপায়। ➋ যৌন, অযৌন জনন সময়সাপেক্ষ জটিল ও বাহক নির্ভর, অন্য দিকে অঙ্গজ জনন সরল ও দ্রুত প্রজনন পদ্ধতি। তাই বহু উদ্ভিদ এই পদ্ধতিতে প্রজননে অভিযোজিত হয়।
Q16. জনুক্রম কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
▸যৌন জননকারী কোনো জীবের জীবনচক্রে হ্যাপ্লয়েড (n) ও ডিপ্লয়েড (2n) জনুর পর্যায়ক্রমিক আবর্তনকে জনুক্রম বলে। উদাহরণ: Dryopteris (ড্রায়োপটেরিস) বা ঢেঁকিশাক, Marsilea (মারসিলিয়া) বা সুসনি শাক, Equisetum (ইকুইজিটাম), Pteridium (টেরিডিয়াম) প্রভৃতি। ফার্ন, মসসহ যৌন জননকারী সকল উদ্ভিদ এবং Paramoecium (প্যারামেসিয়াম), Monocystis (মনোসিস্টিস)-সহ যৌন জননকারী সকল জীব।
Q17. জনুক্রমে মিয়োসিসের গুরুত্ব লেখো।
▸ জীবের জনুক্রমে ডিপ্লয়েড রেণুধর দশা (2n) ও হ্যাপ্লয়েড লিঙ্গধর দশা (n) পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়। রেণুস্থলীর রেণু মাতৃকোশে মিয়োসিস পদ্ধতিতে রেণু উৎপন্ন হয়ে লিঙ্গধর জনু সৃষ্টি হয়। লিঙ্গধর জনু হ্যাপ্লয়েড হয় বলেই তার পুং ও স্ত্রীজনন-অঙ্গে যথাক্রমে হ্যাপ্লয়েড শুক্রাণু ও হ্যাপ্লয়েড ডিম্বাণু তৈরি হয়। তারা মিলিত হলে পুনরায় ভ্রূণ, তথা রেণুধর জনু সৃষ্টি হয় অর্থাৎ মিয়োসিস ঘটে বলেই জনুক্রম সম্ভব হতে পারে।
Q18. জনুক্রমের গুরুত্ব লেখো।
▸কোনো জীবের হ্যাপ্লয়েড ও ডিপ্লয়েড জনু চক্রাকারে আবর্তিত হলে তার জেনেটিক বস্তুর ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হয় জনুক্রমের মাধ্যমে।
Q19. স্পোরোফাইট কাকে বলে?
▸ ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদে ডিপ্লয়েড জাইগোট মাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে যে বহুকোশী ডিপ্লয়েড উদ্ভিদ সৃষ্টি করে, তাকে স্পোরোফাইট বা রেণুধর উদ্ভিদ বলে।
Q20. গ্যামেটোফাইট কাকে বলে?
▸ফার্ন-জাতীয় উদ্ভিদের ডিপ্লয়েড উদ্ভিদে রেণু মাতৃকোশে মিয়োসিসের ফলে উৎপন্ন রেণু অঙ্কুরিত হয়ে যে বহুকোশী হ্যাপ্লয়েড উদ্ভিদ সৃষ্টি করে তাকে, গ্যামেটোফাইট বা লিঙ্গধর জনু বলে।
Q21. জননের সাধারণ বৈশিষ্ট্য লেখো।
▸ জননের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল— ➊ মাইটোসিস, মিয়োসিস অথবা উভয় পদ্ধতিতেই কোশ বিভাজনের মাধ্যমে জননের বিভিন্ন পর্যায় সম্পন্ন হয়। জননকালে জননকোশ তথা গ্যামেট সৃষ্টি থেকে শুরু করে ভ্রূণের উৎপত্তি তথা অপত্য জীব সৃষ্টি, প্রতিক্ষেত্রেই কোশ বিভাজন ঘটে। ➋ জননের আণবিক ভিত্তি হল DNA-র প্রতিলিপিকরণ বা রেপ্লিকেশন। ➌ জননকোশ বা গ্যামেট অথবা রেণু থেকে অপত্য জীব সৃষ্টি হয়।
Q22. জনন কত প্রকার ও কী কী?
▸জনন প্রধানত দুই-প্রকার, যথা— ➊ অযৌন জনন এবং ➋ যৌন জনন। এ ছাড়া অঙ্গজ বংশবিস্তার বা অঙ্গজ জনন ও অপুংজনি বা পার্থেনোজেনেসিস এর সাহায্যেও জীবেরা জনন সম্পন্ন করে।
Q23. অযৌন জনন কাকে বলে?
▸ যে জনন প্রক্রিয়ায় গ্যামেট উৎপাদন ছাড়াই শুধুমাত্র দেহকোশ বিভাজিত হয়ে অথবা রেণু উৎপাদনের মাধ্যমে জনিতৃ জীবের মতো অপত্য জীব সৃষ্টি হয়, তাকে অযৌন জনন বলে । যেমন— ঈস্ট-এর কোরকোদগম পদ্ধতি।
Q24. যৌন জনন কাকে বলে?
▸ জনন কোশাধারে বা জনন-অঙ্গে সৃষ্ট দুটি ভিন্ন জননকোশ, অর্থাৎ পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে সংঘটিত উন্নততম জনন প্রক্রিয়াকে যৌন জনন বলে। যেমন—মানুষ, খরগোশ, হরিণ প্রভৃতি উন্নত প্রাণীর জনন।
Q25. অযৌন ও যৌন জননের এককদ্বয়ের নাম লেখো।
▸ অযৌন জননের একক রেণু (উদ্ভিদ), যৌন জননের একক গ্যামেট (শুক্রাণু ও ডিম্বাণু)।
Q26. যৌন জননের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
▸ যৌন জননের দুটি বৈশিষ্ট্য হল— যৌন জননে দুই প্রকার গ্যামেট, যথা—➊ শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনের ফলে অপত্যের সৃষ্টি হয়। ➋ এইপ্রকার জননের মাধ্যমে ভেদ বা প্রকরণ সৃষ্টি হয়, যা নতুন প্রজাতি সৃষ্টিতে তথা জীবের বিবর্তনে সাহায্য করে।
Q27. সিনগ্যামি কী?
▸যে যৌন জননে জনন কোশাধার (gametangium)-এর বাইরে পুং ও স্ত্রীগ্যামেটের মিলন সম্পূর্ণভাবে এবং স্থায়ীরূপে সংঘটিত হয়, তাকে সিনগ্যামি বলে। যেমন— Chlamydomonas (ক্ল্যামাইডো মোনাস)-এ এই ধরনের জনন দেখা যায়।
Q28. আইসোগ্যামি কাকে বলে?
▸যে যৌন জননে পুংগ্যামেট স্ত্রীগ্যামেট অঙ্গসংস্থানগতভাবে ও শারীরবৃত্তীয়ভাবে একই রকমের হয়, তাদের মিলনকে আইসোগ্যামি বলে। যেমন— Chlamydomonas (ক্ল্যামাইডোমোনাস) নামক শৈবাল, Monocystis (মনোসিস্টিস) নামক প্রোটোজোয়া ইত্যাদিতে প্রধানত আইসোগ্যামি দেখা যায়।
Q29. অ্যানাইসোগ্যামি কাকে বলে?
▸যে যৌন জননে পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেটের, আকার, আয়তন ও আকৃতি সমান হয় না এবং গ্যামেটের মিলন জনন-অঙ্গের বাইরে ঘটে, তাকে অ্যানাইসোগ্যামি বলে। যেমন— ক্ল্যামাইডোমোনাস নামক শৈবালে এই পদ্ধতি দেখা যায়।
Q30. উগ্যামি কাকে বলে?
▸ যে যৌন জননে পুংগ্যামেটটি ক্ষুদ্র ও সচল প্রকৃতির হয়, এবং স্ত্রীগ্যামেটটি বড়ো ও নিশ্চল প্রকৃতির হয়, তাদের মিলনকে ঊগ্যামি বলে। যেমন—Oedogonium (ইডোগোনিয়াম) ও Volvox (ভলভক্স) নামক শৈবাল এবং উন্নতশ্রেণির সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রাণী এইপ্রকার জনন সম্পন্ন করে।
Q31. যৌন জননের সুবিধাগুলি লেখো।
▸যৌন জননের সুবিধাগুলি হল— ➊ যৌন জননের মাধ্যমে পিতা-মাতার বহু গুণাবলী সন্তান-সন্ততির মধ্যে সঞ্চারিত হয়, ফলে তারা সহজেই নতুন পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়। ➋ যৌন জননের মাধ্যমে যে নতুন বৈশিষ্ট্যযুক্ত অপত্য জীবের উদ্ভব ঘটে, তাদের অভিব্যক্তি ঘটাও সম্ভব হয়। ➌ যৌন জননের মাধ্যমে পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্যাবলী সন্তান-সন্ততির মধ্যে সঞ্চারিত হওয়ার ফলে পুরুষানুক্রমে বংশের ধারা অক্ষুণ্ণ থাকে। ➍ যৌন জননের ফলে যেসব জীব বংশবিস্তার করে তাদের কিছুসংখ্যক প্রতিনিধি যে-কোনো রকম প্রতিকূল পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিয়ে পুনরায় বংশবিস্তার করে।
Q32. যৌন জননের অসুবিধাগুলি লেখো।
▸ যৌন জননের অসুবিধাগুলি হল— ➊ এটি ধীর গতির প্রক্রিয়া তাই যৌন জননের মাধ্যমে বংশবিস্তারের জন্য বেশিমাত্রায় সময় ব্যয়িত হয়। ➋ এই পদ্ধতিতে দুটি ভিন্ন লিঙ্গের জীবের (পুরুষ ও স্ত্রী) প্রয়োজন হয়, যা সর্বদা পাওয়া নাও যেতে পারে। ➌ এই পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল ও অসংখ্য গ্যামেটের অপচয় ঘটে, ফলে সাফল্য লাভের সম্ভাবনাও কম থাকে।
Q33. বহুবিভাজন কাকে বলে?
▸ এককোশী জীবকোশ যে অযৌন জনন পদ্ধতিতে বিভক্ত হয়ে বহুসংখ্যক অপত্য সৃষ্টি করে, তাকে বহুবিভাজন বলে। যেমন—Plasmodium (প্লাসমোডিয়াম), সাইজোগনি ও স্পেরোগনি দ্বারা অসংখ্য অপত্য Plasmodium (প্লাসমোডিয়াম) তৈরি করে।
Q34. টরুলা দশা ও টরুলেশন কী?
▸ ঈস্টের কোরকোগম নামক অযৌন জনন পদ্ধতিতে নতুন উৎপন্ন কোরকটি মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বেই পুনরায় কোরক তৈরি করা শুরু করে এবং ছদ্ম মাইসেলিয়াম গঠন করে। এই অবস্থাটি টরুলা নামক জীবের মতো হওয়ায় একে টরুলা দশা বলা হয়। কোরকোগম পদ্ধতিতে ছদ্ম মাইসেলিয়াম গঠনের মাধ্যমে জনন প্রক্রিয়াকে টরুলেশন বলে।
Q35. স্পাইরোগাইরা ও প্ল্যানেরিয়ার অযৌন জনন কোন কোন পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়?
▸স্পাইরোগাইরার অযৌন জনন খণ্ডীভবন পদ্ধতিতে ও প্ল্যানেরিয়ার অযৌন জনন পুনরুৎপাদন পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়।
Q36. চলরেণু বা জুস্পোর কাকে বলে?
▸ উদ্ভিদের অযৌন জননের রেণুগুলি সিলিয়া বা ফ্ল্যাজেলাযুক্ত হলে তা গমনে সক্ষম হয়। এদের চলরেণু বা জুস্পোর বলে। যেমন- ভলভক্স, ক্ল্যামাইডোমোনাস প্রভৃতি শৈবালের চলরেণু।
Q37. সোরাস ও অ্যাপ্লানোস্পোর কী ও তা কোথায় দেখা যায়?
▸ সোরাস: ফার্ন ও ছত্রাকে যে গুচ্ছকার স্পোর বা রেণুপূর্ণ স্পোরানজিয়া বা রেণুস্থলী দেখা যায় তাকে সোরাস বলে। যেমন—ড্রায়োপটেরিস নামক ফার্ন। অ্যাপ্লানোস্পোর: ছত্রাকে যে বিশেষ ফ্ল্যাজেলাবিহীন, প্রাচীরযুক্ত, হ্যাপ্লয়েড অচলরেণু দেখা যায় তাকে অ্যাপ্লানোস্পোর বলে। যেমন - পেনিসিলিয়াম,অ্যাগারিকাস।
38. জাইগোস্পোর কাকে বলে?
▸নিম্নশ্রেণির জীবের দুটি গ্যামেটের সংযুক্তি পদ্ধতিতে মিলনের ফলে যে ডিপ্লয়েড কোশের সৃষ্টি হয়, তাকে জাইগোস্পোর বা ভ্রূণরেণু বলে। যেমন—স্পাইরোগাইরার দেহে জাইগোস্পোর দেখা যায়।
Q39. মিষ্টি আলুর মূল কী প্রকৃতির হয় ও তার কাজ কী?
▸মিষ্টি আলুর মূল রসালো প্রকৃতির কন্দাল মূল। এটি প্রকৃতপক্ষে অস্থানিক মূল। এটি খাদ্য সঞ্জয়ের ফলে স্ফীত হয়ে কন্দের আকার ধারণ করে। প্রততী শ্রেণির উদ্ভিদের ক্ষেত্রে এই মূল উৎপন্ন হয়। এই মূল উদ্ভিদের অঙ্গজ বংশবিস্তারে সহায়তা করে।
Q40. একটি প্রাকৃতিক ও একটি কৃত্রিম অঙ্গজ জনন পদ্ধতির উদাহরণ দাও।
▸ প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন পদ্ধতির একটি উদাহরণ হল - পত্রাশ্রয়ী মুকুল দ্বারা পাথরকুচির অঙ্গজ জনন। কৃত্রিম অঙ্গজ জনন পদ্ধতির উদাহরণ হল অণুবিস্তারণ বা মাইক্রোপ্রোপাগেশন।
Q41. দ্বিবিভাজন ও বহুবিভাজনের পার্থক্য লেখো।

Q42. শাখাকলম ও জোড়কলমের পার্থক্য লেখো।

Q43. খণ্ডীভবন ও পুনরুৎপাদনের পার্থক্য লেখো।

Q44. প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন ও যৌন জননের পার্থক্য লেখো।
অথবা, অপত্যের প্রকৃতি ও সময়সীমা-এর ভিত্তিতে প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন ও যৌন জননের মধ্যে পার্থক্য কী?

Q45. রেণু ও গ্যামেটের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

No comments
Hi Welcome ....