Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Top Ad

Breaking News:

latest

assignment submission b.ed practicum bengali version

  Engagement with the Field/ Practicum Any two of the following activities on the content areas of the respective discipline:- i. Individual...

b ed 1st semester assignment in bengali
 
Engagement with the Field/ Practicum
Any two of the following activities on the content areas of the respective discipline:-
i. Individual Seminar Presentation
ii. Group Presentation
iii. Assignment Submission

Assignment Submission B.ed Practicum Bengali Version


Assignment Submission
বিষয়বস্তু বা Topic : বিষয়বস্তু আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষা (Education as a Inter Disciplinary field of study.")

ভূমিকা (Introduction) : বর্তমানে শিক্ষা বিজ্ঞান' বিষয়টি একটি স্বতন্ত্র বিষয়বস্তু রূপে সর্বসমক্ষে মর্যাদা পাচ্ছে। কারণ, শিক্ষাবিজ্ঞান হল একটি বিষয় বিবিধ ক্ষেত্র থেকে বৈচিত্র্যপূর্ণ তত্ত্ব ও তথ্য আহরণ করে সমন্বিত রূপে জীবনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করে। সেজন্য শিক্ষাবিজ্ঞানের পরিধি অত্যন্ত বিসতৃত। যেমন—শিক্ষাবিজ্ঞানের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে- মনোবিজ্ঞান, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান,ইতিহাস, পরিসংখ্যান, প্রযুক্তিবিজ্ঞান ইত্যাদির মতো একাধিক জ্ঞানের ক্ষেত্র সেজন্য একে “আন্তঃবিষয়ক "Inter disciplinary Approach" বলা হয়। বর্তমান আলোচনাটিতে অনুসন্ধান করা হয়েছে যে সমস্ত জ্ঞানের ক্ষেএ গুলি শিক্ষাবিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত তাদের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক এবং আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষাবিজ্ঞানের অবস্থান। 

❏ উদ্দেশ্য (Objectives) : বর্তমান আলোচ্য বিষয়টিতে যে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে তা হল-
১. “আন্তঃবিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গির" (Inter Diciplinary Approach) অর্থ কী?
২.  শিক্ষাবিজ্ঞানের সঙ্গে সংযুক্ত বিষয়সমূহ কী কী?
৩. শিক্ষাবিজ্ঞানের সঙ্গে আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্র সমূহের সম্পর্ক কী?
৪. আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষাবিজ্ঞানের গুরুত্ব কী?

মূল বিষয়বস্তু (Main body) 
১. আন্তঃবিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গির অর্থ (Meaning of Inter disciplinary approach) : আন্তঃবিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি বলতে বোঝায় সেই সমস্ত বিষয়কে যেখানে দুই বা ততোধিক স্বতন্ত্র বিষয়ের অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে। অর্থাৎ, একটি বিষয়ের মধ্যে একাধিক বিষয়ের সংযুক্তিকরণ। আন্তঃবিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে নতুন সৃজনশীল চিন্তার ক্ষেত্র সমৃদ্ধ হয়। এই ধারণা গতানুগতিক একমুখী শিক্ষার ধারণা থেকে বহুমুখী জ্ঞানের দ্বারকে উন্মোচিত করেছে। আন্তাবিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গির যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য পাওয়া সম্ভব তা হল— (a) এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গিতে একাধিক বিষয়ের অন্তর্ভুক্তি থাকে। (b) এটি জ্ঞানের ক্ষেত্রকে উন্মোচিত করে। (c) এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। (d) এই দৃষ্টিভঙ্গি বিষয়বস্তুর পরিধিকে বিস্তৃত করে।
২. শিক্ষা বিজ্ঞানের সঙ্গে সংযুক্ত বিষয়সমূহ : (Education and related disciplises) : যেহেতু শিক্ষাবিজ্ঞানকে একটি আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সেহেতু এই বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন রয়েছে। যেমন-

৩. শিক্ষাবিজ্ঞানের সঙ্গে আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্রসমূহের সম্পর্ক (Relation between education and other inter-related disciplines) :
  • দর্শন শাস্ত্রের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক : শিক্ষার উদ্দেশ্য হল শিশুকে তার জন্মগত সম্ভাবনার বিকাশ ঘটিয়ে আচরণ ধারার পরিবর্তন ও পরিবর্ধনে সহায়তা করা। এই কাজে দর্শনশাস্ত্র শিক্ষাবিজ্ঞানকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়। আবার, উপযুক্ত শিক্ষা ব্যক্তির জীবন-দর্শনকে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। দর্শনের প্রভাব শিক্ষার আর অন্যান্য যেসব ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয় সেগুলি হল শিক্ষণ পদ্ধতি, শিক্ষার লক্ষ্য, শৃঙ্খলা স্থাপন, পাঠক্রম প্রণয়ন, মূল্যায়ন ব্যবস্থা, শিক্ষকের ভূমিকা ইত্যাদি।
  • মনোবিজ্ঞানের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক : দর্শন দ্বারা নির্ধারিত শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষার্থীরা কতটা সম্ভব তা নির্ধারণ করে দেয় মনোবিজ্ঞান। আধুনিক শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষার মূল ভিত্তি রচনা করেছে মনোবিজ্ঞান। মনোবিজ্ঞান ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের নীতিকে বিবেচনা করে শিক্ষা ব্যবস্থার গঠনে সহায়তা করে।
  • ইতিহাসের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞনের সম্পর্ক : ইতিহাস হল অতীত অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার। শিক্ষাবিজ্ঞান সেই ভাণ্ডার থেকে জ্ঞানের সঞ্চয় ও সঞ্চালন করে। ইতিহাসের হাত ধরেই মানব সভ্যতার ধারা উপলব্ধি করা সম্ভব। শিক্ষাবিজ্ঞান ও ইতিহাস উভয়ের কাজ হল পুরোনো অভিজ্ঞতার আলোকে নতুন ও সংশোধিত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
  • সমাজতত্ত্বের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক : সমাজতত্ত্ব শিক্ষাবিজ্ঞানকে সমাজের চাহিদাকে বুঝতে সাহায্য করে এবং সেই অনুযায়ী শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শিক্ষার পাঠক্রম, শিক্ষণ পদ্ধতি ইত্যাদি নির্ধারণেও সাহায্য করে। সমাজতত্ত্ব শিক্ষাবিজ্ঞানকে মানবীয় সম্পর্কের প্রকৃতি পর্যালোচনা করতে সহায়তা করে।
  • রাশিবিজ্ঞানের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক : শিক্ষাবিজ্ঞান মানুষ ও সমাজের নানা সমস্যা সমাধানের পথ  খুঁজতে নিয়োজিত। পরিসংখ্যান শিক্ষার নানা সমস্যা, মানুষের সমাজ জীবনে বেকার সমস্যা খাদ্য  সংক্রান্ত সমস্যা, শিক্ষা সমস্যা সমাধানের পথে শিক্ষা বিজ্ঞানের সঙ্গে হাত ধরে চলে। রাশিবিজ্ঞান  অগ্রগতির পথের সাফল্য বা অসাফল্যকে পরিমাপ করে উন্নতির সাথে সহায়তা করে।
  • প্রযুক্তিবিজ্ঞজ্ঞানের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক : শিক্ষাবিজ্ঞানের আলোচনার মূল বিষয় হলো শিক্ষণ-শিখনে প্রক্রিয়া সম্পাদন। শিক্ষাবিজ্ঞানের এই শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়াকে কার্যকারী করার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ্যা শিক্ষা সহায়ক পদ্ধতি ও কৌশলগুলিকে উন্নত রূপ দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রযুক্তিবিদ্যা শিখনের উপযুক্ত পরিবেশ গঠনে সহায়তাকরে। এটি শিক্ষার দ্বারকে সবার সম্মুখে কম শ্রম সাপেক্ষে আধুনিকতন রূপে উন্মোচনের চেষ্টা করে।
  • তুলনামূলক শিক্ষার সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক : তুলনামূলক শিক্ষা বিভিন্ন দেশের বা সমাজের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষণ কৌশল ও শিক্ষার অন্যান্য দিক সম্পর্কে তুলনামূলকভাবে আলোচনা করে। শিক্ষাবিজ্ঞানেন। সামগ্রিকভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করা। তুলনামূলক শিক্ষা, বিভিন্ন দেশের শিক্ষার রীতিনীতি, অংশের মূল উদ্দেশ্য হল পৃথিবীর বিভিন্ন সমাজের বা রাষ্ট্রের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বিচার-বিশ্লেষ সংক্রান্ত জ্ঞানও সরবরাহ করে।
  • ব্যবস্থাপনা শাস্ত্রের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক : ব্যবস্থাপনা শাস্ত্রের মূল আলোচ্য বিষয় হল সুপরিকল্পনার মাধ্যমে কম পরিশ্রমে অধিক কার্যকারী রূপে বিষয়ের উন্নতি সাধন করা। শিক্ষাবিজ্ঞানের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা শাস্ত্র যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদেরকে উন্নত শিক্ষাদানে সহায়তা করে।
  • নৃবিজ্ঞান শাস্ত্রের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক : নৃবিজ্ঞান ও শিক্ষাবিজ্ঞানের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হল মানুষ ও তার সংস্কৃতি। নৃবিজ্ঞান শিক্ষাবিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বহুমুখী জ্ঞানের আহরণ করে, এটি মানব বিকাশ মূলক  নানা দিক পর্যালোচনা করে।
  • অর্থশাস্ত্রের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক : সঠিকভাবে শিক্ষাপ্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থনীতির। জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। শিক্ষার সঙ্গে অর্থশাস্ত্র যুক্ত হয়ে শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাকে সঠিকভাবে পরিচালিত হতে সাহায্য করছে। অর্থশাস্ত্রের জ্ঞান শিক্ষাবিজ্ঞানের উন্নতির পথে আর্থিক সমস্যাকে সমাধানের পথ বলে দেয়।
  • ভৌতবিজ্ঞানের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক : ভৌতবিজ্ঞান শিক্ষাবিজ্ঞানের উদ্দেশ্যকে সফল করতে সহায়তা করে। ভৌতবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে মানুষ এই বিশ্বের জড় প্রকৃতি, জড় বস্তুর গঠন, শক্তি ও তার রূপান্তরের বিষয়গুলি শিক্ষার্থী অনুধাবন করতে পারে। সুতরাং, সেদিক থেকে ভৌতবিজ্ঞান শিক্ষাবিজ্ঞানের করে।
  • ভূগোলের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক : ভূগোল ও শিক্ষাবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার ক্ষেত্র হল মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ, ব্যক্তি ও সমাজের সম্পর্ক নির্ধারণ, মানুষ ও তার অর্থনৈতিক ক্রিয়া-কলাপ ইত্যাদি।
  • রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক : রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্ঞান শিক্ষাবিজ্ঞানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হয়ে রাষ্ট্র ও নিয়মকানুন, দায়িত্ব কর্তব্য, মূল্যবোধ অধিকার ইত্যাদি জ্ঞানের চর্চার মাধ্যমে বিষয়কে সমৃদ্ধ করেছে।
৪. আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষাবিজ্ঞানের গুরুত্ব (Importance of Education as inter-disciplinary field)
আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষাবিজ্ঞানের গুরুত্ব হল-
  • শিক্ষাবিজ্ঞানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় যুক্ত থাকার কারণে এই বিষয়ের বিষয়গত পরিধি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে মানুষের জানার বা জ্ঞানের ক্ষেত্রও অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে।
  • আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষাবিজ্ঞানে অনেক বিষয় রয়েছে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজন ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ  ও লালনপালন করতে পারে।
  • অনেকগুলি বিষয়ের সমাহার বলে শিক্ষাবিজ্ঞান থেকে অনেক নতুন বিষয়ের উদ্ভব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষাবিজ্ঞান অনেক বৌদ্ধিক, সামাজিক ও বাস্তব সমাধান করতে সম্ভব।
  • শিক্ষাবিজ্ঞানের সঙ্গে অনেকগুলি বিষয় যুক্ত থাকার কারণে এই ক্ষেত্রের নিয়ম অনেকটাই নমনীয়। এই শিক্ষাবিজ্ঞানের কোনো বিষয়গত পক্ষপাতিত্ব নেই।
❏ উপসংহার (Conclusion) : পরিশেষে বলা যায় যে, শিক্ষাবিজ্ঞান হল এরকমই একটি বিষয় যেখানে অনেকগুলি স্বতন্ত্র বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সেইজন্য শিক্ষাবিজ্ঞানকে আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অনেকগুলি বিষয় একসঙ্গে থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা বৈচিত্র্যপূর্ণ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। শিক্ষার্থীদের একঘেয়েমি পাঠের বোঝা থাকে না। শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন জ্ঞানের ক্ষেত্র উদ্ভাবনের সুযোগ পায়। তবে এ ধরনের বিষয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা হল অনেক বিষয়ের সমাহার বলে কোনোটিতেই গভীরভাবে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ থাকে না।

❏ ব্যবহৃত গ্রন্থাবলি (Refereness) :
  • হালদার তা ; চন্দ বি ; এবং বর্মন ,সু কু (২০১২) → শিক্ষা উন্নয়ন - আহেলি পাবলিশার্স, কলকাতা।
  • মুখোপাধ্যায়, দু ; কবিরাজ উ: (২০১৪) - শিক্ষাবিজ্ঞান , নীতি পদ্বতি ও কৌশল ; অহেলি পাবলিশার্স ,কলকাতা।
  •  শিক্ষা উন্নয়ন - তারিনী হালদার, বিনায়ক চন্দ্র, সুশান্ত কুমার বর্মন - আহেলি পাবলিশার্স, কলকাতা।
  •  শিক্ষাবিজ্ঞান নীতি পদ্বতি ও কৌশল - অধ্যাপক দুলাল মুখোপাধ্যায় ও ড.উদয়শঙ্কর কবিরাজ - আহেলি পাবলিশার্স, কলকাতা।
⚡ Benali Version PDF Download Available
i. Individual Seminar Presentation

⚡ English Version PDF Download Available
iii. Assignment Submission
📥 Ful HD PDF Download Now 👇

No comments

Hi Welcome ....