EPC-2 Drama and arts in education mark 2 notes free in bengali version শিক্ষায় নাটক ও শিল্পকলা ২ মার্কের নোটস ❐ Read More : B.ED 2...
EPC-2 Drama and arts in education mark 2 notes free in bengali version
শিক্ষায় নাটক ও শিল্পকলা ২ মার্কের নোটস
❐ Read More :
Q1. নাটক বলতে কী বোঝায়?
➧ এককথায় নাটকের সর্বজনগ্রাহ্য সংজ্ঞা একটি বাক্যে বোঝানো কঠিন। অ্যারিস্টলের মত অনুযায়ী ‘নাট্য ঘটনা বা নাট্য ক্রিয়ার অনুকরণই হল নাটক'। অধ্যাপক নিকল নাটকের সংজ্ঞা বলতে যেটা বলেছেন, “নাট্যকলা হচ্ছে অভিনেতৃবর্গের দ্বারা উপস্থাপ্য জীবন সম্পর্কিত ধারণার এমনভাবে প্রকাশ, যা শ্রবণ ও দর্শনের জন্য সমবেত দর্শকদের আকৃষ্ট করে।”
Q2. থার্ড থিয়েটারের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
➧ থার্ড থিয়েটারের বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
(ক) এই থিয়েটারে পোশাক, আলো, মেকআপ প্রভৃতি ব্যবহৃত হয় না।
(খ) সমস্ত নাটকটি দৈহিক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়।
(গ) দর্শক চারিদিকে বৃত্তাকারে বসে।
(ঘ) শুধুমাত্র কণ্ঠ দিয়ে ধ্বনি বা সংগীত ব্যবহার করা হয়।
Q3. নাটকের বৃত্ত বা Plot কীভাবে ব্যবহৃত হয়?
➧ বাংলায় যাকে বৃত্ত বলা হচ্ছে, তাকে ইংরেজিতে প্লট বলে। প্লট নাটকের এক অতিশয় অপরিহার্য ও মূল্যবান উপাদান। প্লট ছাড়া নাটক নির্মাণ করা যায় না। যে-কোনো ঘটনার বাঁধুনি হচ্ছে প্লট। সহজ ও জটিল অবস্থায় যা নাটকে ব্যবহৃত হয়।
Q4. শিক্ষায় নাটক ব্যবহারের কয়েকটি উদ্দেশ্য লিখুন।
➧ শিক্ষায় নাটক ব্যবহারের কয়েকটি উদ্দেশ্য হল— (ক) শিক্ষার্থীর মানসিকতার পরিবর্তন, (খ) সামাজিক সচেতনতা, (গ) সহমর্মিতা, (ঘ) সহযোগিতা, (ঙ) নেতৃত্বদান, (চ) আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, (ছ) উচ্চারণে স্পষ্টতা, (জ) বিষয়ের প্রতি আগ্রহ সঞ্চার, (ঝ) মনোযোগ বৃদ্ধি।
Q5. ক্ল্যাসিক্যাল নাটক কাকে বলে? দুজন ক্ল্যাসিক্যাল নাট্যকারের নাম লিখুন।
➧ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ্য নয়, এমন অনেক মহৎ রচনা নিয়ে গোলযোগ সৃষ্টি হতেই ক্লাসিক অভিধাটির গুণগত মান নির্ধারিত হল এবং বলা হল যে রচনা প্রাচীন বা আধুনিক যাই হোক না কেন—যদি তা সৌন্দর্যের চূড়ান্ত আদর্শকে, সত্যের শাশ্বত রূপকে, পূর্ণতার চিরন্তন মানকে রক্ষা করে এবং প্রকাশ করে, তবে তা ক্লাসিক নাটক। দুজন ক্ল্যাসিক্যাল নাট্যকারের নাম হল—অ্যারিস্টটল ও সফোক্লিস।
Q6. বারলেস্ক কথার অর্থ কী?
➧ ইতালীয় শব্দ ‘Burla’ থেকে Burlesque কথার উৎপত্তি, এর মূল অর্থ বিদ্রুপ। ষোড়শ শতাব্দী থেকে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বারলেক্স শ্রেণির নাটক ইউরোপে দেখা গিয়েছিল। কোনো একটি গুরুগম্ভীর বিষয় বা ভঙ্গির এ এমনই অনুকরণ যাতে বিষয় ও রীতির মধ্যে বৈষম্যজনিত হাস্যরসের সৃষ্টি হয় তাকেই বারলেস্ক বলা হত।
Q7. সংলাপের সময় অভিনেতাকে কোন দিকগুলি খেয়াল রাখতে হয়?
➧ সংলাপ বলার সময় যে দিকগুলি অভিনেতাকে খেয়াল রাখতে হয়, তা হল— (১) উচ্চারণ, (২) ভাবব্যঞ্জনা, (৩) ছন্দ, (৪) বিরতি, (৫) শব্দে জোর, (৬) গতি, (৭) সুর, (৮) মুখস্থ।
Q8. স্বগতোক্তি এবং সংলাপের মধ্যে পার্থক্য কী?
➧ স্বগতোক্তি হল কোনো থিয়েটার বা সম্প্রচারের প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে বা কোনো নাটক বা ফিল্মে একজন অভিনেতার দীর্ঘ বক্তৃতা। অন্যদিকে সংলাপ হল কোনো নাটক বা চলচ্চিত্রের বৈশিষ্ট্য হিসেবে দুজন বা তার বেশি ব্যক্তিদের মধ্যে কথোপকথন। স্বগতোক্তির সময়সীমা সাধারণত সংলাপের তুলনায় বেশি হয়। সংলাপের ক্ষেত্রে অন্তত দুটি পক্ষ থাকতে হয়। কিন্তু স্বগতোক্তির ক্ষেত্রে ব্যক্তির একক উপস্থাপনই পর্যাপ্ত ভূমিকা পালন করে।
Q9.‘শিক্ষায় থিয়েটার’ বলতে কী বোঝায়?
➧ থিয়েটার শিখনের ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যার সাহায্যে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে পরিবর্তিত করতে পারে। অর্থাৎ যখন কোনো বিষয়কে বা পাঠ্যাংশকে অভিনয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করে তাদেরকে সচেতন করে তোলা হয়, তখন তাকে ‘শিক্ষায় থিয়েটার’ বলা হয়।
Q10. 'থার্ড থিয়েটার' কী?
➧ সামাজিক ন্যায় বিচার, শোষণ, দুর্নীতি, অত্যাচার, অর্থনৈতিক বৈষম্য ইত্যাদিকে হাতিয়ার করে দৃশ্যময় মঞ্চে জনসাধারণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগের মাধ্যমে যে নাটক অভিনীত হয়, তাকে ‘থার্ড থিয়েটার’ বলা হয়। সাধারণত সবাইকে হাসিয়ে, কখনও কাঁদিয়ে সামাজিক বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে থার্ড থিয়েটার নাটকের বার্তা জনসাধারণের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। থার্ড থিয়েটার-এর অন্যতম বিশিষ্ট নাট্যকার হলেন বাদল সরকার।
Q11. লোকনাট্যের চারটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
➧ লোকনাট্যের চারটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ— i. এই নাটক সাধারণত একটি সুনির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাসকারী কোনো নির্দিষ্ট মানবগোষ্ঠীর অভিনয়ভিত্তিক নাটক। ii. এই ধরনের জনবিনোদনমূলক নাটকে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি স্থান পায়। iii. লোকনাট্যতে বিশেষ সম্প্রদায়ের চিন্তাভাবনা, সংস্কার, বিশ্বাস, ধর্মীয় আচার- অনুষ্ঠানের রীতিনীতি প্রকাশ পায়। iv. লোকনাট্যের মাধ্যমে সামাজিক বার্তাপ্রদান করা যায়, যার মাধ্যমে সামাজিক কুপ্রথা, কুসংস্কার প্রভৃতির বিরুদ্ধে জনমত বা চেতনা গঠন করা যায়।
Q12. পথনাটক কী?
➧ যে নাটকের সাহায্যে তাৎক্ষণিক সংযোগ নির্মাণে সমাজের সমস্যাগুলি সর্ব সাধারণের সামনে স্বল্প খরচে খোলা জায়গায়, কেবলমাত্র অভিনয় গুণে উপস্থাপন করা হয়, সেসকল নাটককে ‘পথনাটক’ বলে। সফদার হাসমী সাহেব বলেছিলেন—ভারতে পথ- নাটক বলতে বোঝায় সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী নাটক। পৃথিবীর অন্যত্র এই নাটককে ব্যবহার করা হয়েছে সামাজিক ন্যায়বিচার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে।
Q13. নাটকের দুটি প্রভাব উল্লেখ করুন।
➧ নাটকের দুটি প্রভাব হল— i. নিজেদের জীবনের প্রতিরূপকে প্রত্যক্ষ করা যায় নাটকের মাধ্যমে। ফলে মানুষের মধ্যে অন্তর্দর্শন সৃষ্টি হয়। ii. নাটকের মাধ্যমে সামাজিক কুপ্রথা, কুসংস্কার, ভ্রান্তবিশ্বাস প্রভৃতির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে ওঠে। অর্থাৎ জনমানসে সচেতনতা সৃষ্টি হয়।
Q14. বাংলা ভাষার দুজন পৌরাণিক নাট্যকারের নাম লিখুন।
➧ বাংলা ভাষার দুজন পৌরাণিক নাট্যকারের নাম হল—দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও মন্মথ রায়।
Q15.‘নাট্যশাস্ত্র’-এর লেখক কে?
➧ ‘নাট্যশাস্ত্র’-এর লেখক ভরতমুনি (Bharata Muni) । তাঁকে ভারতীয় থিয়েটার বা নাটকের পিতৃপুরুষ বলে মনে করা হয়। নাট্যশাস্ত্রের মধ্যে নৃত্যগীত এবং অন্যান্য রসের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
Q16. পৌরাণিক নাটক কী?
➧ পৌরাণিক নাটক হল পুরাণ ও নাটকের সহাবস্থান। এ-নাটকে পুরাণ-পরিবেশকে তুলে ধরা হয়। এ এক অলৌকিক ক্রিয়াকলাপে পূর্ণ অতিপ্রাকৃতের জগৎ—যেখানে স্বর্গের দেবদেবীরা মর্ত্যের মানুষের ভাগ্যনিয়ন্তা, যেখানে দেবতারা সশরীরে আত্মপ্রকাশ করে বা অবতার প্রেরণ করে সাধুসজ্জনদের পরিত্রাণ ও দুষ্কৃতকারীদের বিনাশ করেন। যুক্তিবাদীদের কাছে অবিশ্বাস্য হলেও ভক্তিবাদীদের কাছে এই নাটক যথেষ্ট গ্রহণীয় হয়ে ওঠে। বাংলা ভাষায় দুজন পৌরাণিক নাট্যকারের নাম হল গিরিশচন্দ্র ঘোষও বিহারীলাল চট্টোপাধ্যায়।
Q17. শিক্ষার্থীদের শিখনে নাটকের দুটি প্রভাব উল্লেখ করুন।
➧ শিক্ষার্থীদের শিখনে নাটকের দুটি প্রভাব হল— i. নাটক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকার সামাজিক সত্যের মুখোমুখি করে। ফলে তাদের মধ্যে সমাজচেতনা গড়ে ওঠে। ii. নাটকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর আনন্দ বিনোদন ও মনোরঞ্জন হয়। ফলে পাঠ্যবিষয়ের একঘেয়েমি দূর হয়।
Q18. শিখনের মাধ্যম হিসেবে নাটক খুবই গুরুত্বপূর্ণ—ব্যাখ্যা করুন।
➧ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও বিষয়বস্তুর মধ্যে সংযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে নাটক একটি শক্তিশালী মাধ্যম। আমরা জানি যে, শিখন একটি সক্রিয় নির্মাণভিত্তিক পদ্ধতি, যখন আমরা কোনো কিছুকে জানতে চাই। শ্রেণি-শিখনে নাটক বিভিন্ন অভিজ্ঞতালব্ধ ঘটনাবলিকে উপস্থাপিত করে। কোনো কিছুর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নাটক প্রকৃতিগতভাবেই ছাত্র- ছাত্রীদের সামাজিক ঘটনাবলি ব্যাখ্যাকরণ, চিন্তাভাবনার আদানপ্রদান ও বিভিন্ন দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। এইভাবে নাটক শিক্ষার্থীদের অর্জিত তথ্য, সত্য ঘটনার ওপর প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সামাজিক অভিজ্ঞতাগুলিকে ব্যক্ত করে জ্ঞান-উপলব্ধির বিকাশসাধন করে। নাটকীয় উপস্থাপনার মাধ্যমে নাটক শিক্ষার্থীদের মনে সমাজের বিভিন্ন বিষয় সমূহকে বুঝে নিতে ও আত্মোপলব্ধিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
Q19.পথনাটিকার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করুন।
➧ পথনাটিকার বৈশিষ্ট্যগুলি হল— i. পথনাটকের জন্য কোনো মঞ্চ নির্মাণের প্রয়োজন হয় না। যে-কোনো খোলা জায়গায় পথনাট্য করা সম্ভব। ii. পথনাটক খরচসাপেক্ষ নয়। iii. এই নাটকের সাহায্যে তাৎক্ষণিক সংযোগ নির্মাণে সমাজের সমস্যাগুলি সহজেই সর্বসাধারণের সামনে তুলে ধরা যায়। iv. সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই নাটক দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করে। v. কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই এই নাটক কেবলমাত্র অভিনয় গুণে উপস্থাপন করা সম্ভব।
Q20. সুকুমার শিল্পকলা ও লোকশিল্পকলার দুটি পার্থক্য লিখুন।
➧ সুকুমার শিল্পকলা ও লোকশিল্পকলার দুটি পার্থক্য হল—
সুকুমার শিল্পকলা | লোকশিল্পকলা |
---|---|
1. সুকুমার শিল্পকলার মাধ্যমে সহজে একজন ব্যক্তির সৃজনশীলতার প্রতিফলন ঘটানো যায়। | 1. লোকশিল্প একটি সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক জীবনের শিকড়ে এবং জীবনব্যবস্থায় প্রতিফলিত হয়। |
2. সুকুমার শিল্পকলা বা চারুকলা বা ললিতকলা বলতে শিল্পকলার বেশ কিছু ধারার একটি দলকে বোঝায়, যার মধ্যে অঙ্কন, ভাস্কর্য, স্থাপত্য, সংগীত, কাব্য, মঞ্চ নাটক, নৃত্য, আবৃত্তি ও অভিনয় অন্তর্ভুক্ত। | 2. লোকশিল্প বলতে লোকসংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে তৈরি সমস্ত ধরনের চাক্ষুষ শিল্পকে বোঝায়। |
Q21. ভারতীয় সংগীতে ‘ঘরানা’ বলতে কী বোঝায়?
➧ ভারতীয় সংগীতে ‘ঘরানা’ বলতে সংগীতের এক-একটি বৈশিষ্ট্যময় রীতি বা শৈলীকে বোঝায়, যা এক বা একাধিক শিল্পীর শিল্পরীতির পরিচায়ক ও প্রচলিত অন্যান্য রীতি বা শৈলী থেকে পৃথক বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।
Q22. লোকগান' কী?
➧ গ্রামীণ সংস্কৃতির মাঝে সহজ, সরল, অনাড়ম্বর মানুষগুলির মধ্যে থেকে স্বতঃস্ফূর্ত বিরহ, আনন্দ, সুখ-দুঃখের যে সংগীত উঠে আসে, তাকে লোকসংগীত বা লোকগান বলা হয়। এইপ্রকার সংগীতের মাধ্যমে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার চিত্র প্রস্ফুটিত হয়।
Q23. ‘লয়’ কী? ‘লয়’-এর প্রকারগুলি উল্লেখ করুন।
অথবা, ‘তাল’ বলতে কী বোঝেন?
অথবা, তাল ও লয় কী?
➧ তাল ও লয় সম্বন্ধে নীচে আলোচনা করা হল—
- » তাল : সংগীতে ছন্দের বিভিন্নতা সাপেক্ষে ‘তাল’কে বলা হয় সংগীতের, অঙ্গ; কতকগুলি মাত্রা ও বিভাগের সমষ্টিকেই সংগীতে ‘তাল’ বলে। তাল মূলত দুই প্রকার—সমপদী (যাদের বিভাগ সমান, যথা—দাদরা তাল, কাহারবা তাল, একতাল, তিনতাল বা ত্রিতাল ইত্যাদি)। এবং বিষমপদী (যাদের বিভাগ সমাননয়, যথা—রূপক তাল, তেওড়া তাল, ঝাঁপতাল ইত্যাদি)।
- » লয় : সংগীতের ও ছন্দের সমান গতি এবং সমতা রক্ষা করার নাম ‘লয়’। লয় প্রধানত তিন প্রকার—বিলম্বিত লয়, মধ্য লয়, দ্রুত লয়।
Q24. সুরকার কাদের বলা হয়? যে-কোনো একজন সুরকারের নাম লিখুন।
➧ যখন কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ বিশেষ বাদ্যযন্ত্র ও কণ্ঠসংগীতের সমন্বয়ে বিশেষ বিশেষ ছন্দের ভিত্তিতে মাত্রার সমষ্টিগত তাল প্রয়োগে এক সুরমাধুর্যগত ছন্দের সৃষ্টি করতে পারেন, তখন তাঁকে বা তাঁদের সুরকার বলা হয়। এঁরা সাধারণত মিউজিক বিষয়গত যন্ত্রাংশ প্রয়োগে পারদর্শী ও পেশাদার হন। একজন সুরকারের নাম হল সলিল চৌধুরী।
Q25. ছন্দ কাকে কে বলে?
➧ কবিতার ধ্বনি এবং সাহিত্য রূপায়ণে ছন্দ অপিরহার্য। এক কথায় ধ্বনির বিভিন্ন তরঙ্গায়িত বৈচিত্র্যপূর্ণ বিভাগকেই ছন্দ বলা হয়। তালের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাত্রাবিশিষ্ট বিভাগের দ্বারা উক্ত ছন্দ রূপায়িত হয়ে থাকে। ছন্দ কবিতাকে শ্রুতিমধুর করে তোলে।
Q26. বাউল কাদের বলা কাদের বলা হয়?
➧ বাউল একটি সম্প্রদায়। মানব ধর্মই এই সম্প্রদায়ের মূল কথা। এই সম্প্রদায়ের লোকেরা মানুষের দেহকেই ভগবানের দেউল বলে মনে করেন এবং দেশ-দেশান্তরে গান গেয়ে বেড়ান। বাউল গানের অর্থ দ্ব্যর্থবোধক সাধারণভাবে এই গানের অর্থ একপ্রকার কিন্তু গভীরে এর অর্থ ভিন্নরূপ, মূলত পরমার্থ বিষয়ক। তাঁদের পোশাক-পরিচ্ছদও স্বাতন্ত্র্যপূর্ণ, একতারা হাতে এবং পায়ে ঘুঙুর বেঁধে নৃত্যের তালে তালে এ গান পরিবেশিত হয়। অধিকন্তু আনন্দলহরী, মন্দিরা এই গানের সহযোগী বাদ্যযন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
Q27. ভারতীয় সংগীতের উৎসগুলি কী?
➧ বস্তুত, ‘সামবেদ’কে বলা হয়েছে ভারতীয় সংগীতের উৎস। প্রাক্বৈদিক যুগে অর্থাৎ সিন্ধু সভ্যতার যুগে সংগীত কী প্রকারের ছিল, আমরা তার পরিচয় না-পেলেও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি বিশ্লেষণ করে জানতে পারি, সে যুগে সংগীতের ব্যবহার হত, সংগীতের অস্তিত্ব ছিল। আনুমানিক 2000 খ্রিস্ট পূর্বাব্দে বৈদিক যুগের সূত্রপাতের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা জানতে পারি, ভারতবর্ষে অনার্যদের, যথা—দ্রাবিড় ইত্যাদি জাতির ভাষা, সাহিত্য ও সংগীত বিদ্যমান ছিল। সামবেদে ‘সাম’ শব্দের অর্থ হল ‘সুমিষ্ট স্বর’ অর্থাৎ ‘সুর’। ঋগ্মন্ত্রগুলিকে সুরের মধ্যে সাজিয়ে সামবেদের সৃষ্টি; এর থেকেই আমরা পাই সংগীতের প্রাচীনতম রূপ। পরবর্তীকালে বিভিন্ন অঞ্চলের আদিবাসীদের নৃত্য-গীতে যে সংগীতের প্রতিফলন ঘটেছে, তা আর্যদের সংগীতের সংমিশ্রণে অথবা আর্য-আগমনের আগে অনার্যদের সংগীতরীতির-ই প্রতিফলন বিশেষ।
Q28. সংগীত-এর সংজ্ঞা দিন।
➧‘সংগীত’ হল— গীত, বাদ্য ও নৃত্য—এই তিনটি কলার সমাবেশ। বস্তুত, এই তিন কলারূপ পরস্পর স্বতন্ত্র, কিন্তু গীত-প্রধান হওয়ার জন্য ‘সংগীতে’ এই ত্রিবিধ কলাকৃতির সমাবেশ ঘটেছে। ধ্বনি থেকে এসেছে সুর এবং সুরকে সঙ্গী করেই কখনও ভাষার সাহায্যে, কখনও বা ভাষার সাহায্য না নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে ‘সংগীত’৷ ‘সংগীত’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল—সম্যরূপে গীত ইতি সংগীত। অর্থাৎ যে ধ্বনি তথা সুর মানুষের কণ্ঠে ও বাদনযোগ্য সংগীতোপযোগী বাদ্যযন্ত্রে গীত (গায়ন + বাদন) হয়, তাকে ‘সংগীত’ বলা হয়। কে
অথবা, সংগীত বলতে কী বোঝায়?
➧ গীত, বাদ্য ও নৃত্য সমন্বয়ে যে শিল্প তাকে সংগীত বলা হয়। শাস্ত্রে বর্ণিত চৌষট্টি প্রকার কলা বা শিল্পের মধ্যে সংগীত অন্যতম শ্রেষ্ঠ কলাবিদ্যারূপে পরিগণিত হয়েছে।
Q29. প্ৰাৰ্থনা সংগীত কী?
➧ সাধারণত ভগবানের কাছে প্রার্থনা করা বা উপাসনার ক্ষেত্রে যেসকল সংগীত পরিবেশিত হয়, সেগুলিকেই প্রার্থনা সংগীত বলা হয়। মূলত আধ্যাত্মিক মার্গের শব্দচয়ন এবং শান্ত সুরের মূর্ছনায় এই সংগীত গীত হয়। প্রাচীনকালে বৈদিকযুগের সময় থেকেই ভারতবর্ষে প্রার্থনা সংগীত ‘কোরাস’ বা সমবেতভাবে গীত হত। বিভিন্ন ধর্মের দর্শন ও মূল্যবোধ পাথেয় করে এই সকল সংগীতের কথা রচিত হত। কোনও সভার প্রাক্কালে, বিদ্যালয়ের পড়াশোনার সূচনায়, কোনও অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে প্রার্থনা সংগীত গেয়ে মানুষের একাগ্রতা, মনসংযোগ, পবিত্রতা ইত্যাদি বৃদ্ধি করা হয়।
Q30. রামনিধি গুপ্ত বাংলা সংগীতের ইতিহাসে একটি বিখ্যাত নাম কেন?
➧ রামনিধি গুপ্ত বাংলা সংগীতের ইতিহাসে বিখ্যাত নাম হওয়ার কারণ হল— তিনি বাংলা ‘টপ্পা’ সংগীতের একজন মহান সংস্কারক। তার আগে পর্যন্ত ‘টপ্পা’ এক ধরনের অরুচিকর নাম হিসেবে বিবেচিত হত। তিনিই সংগীতের এই ধারাকে জনপ্রিয় করে তোলেন।
Q31. কবিতা কী?
➧ কবিতা হল একটি বিশিষ্ট শিল্পমাধ্যম বা সাহিত্যমাধ্যম, যা রূপ-রস ও ভাষার বিশেষ ব্যবহারের মাধ্যমে কবির হৃদয়াবেগ পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়। ড. জনসন-এর মতে, কবিতা হল, ‘Metrical Composition the art of uniting pleasure with truth by calling imagination to the help of reason'। অ্যারিস্টটলও বলেছেন, 'modes of imitation of human actions'.
Q32. যে-কোনো দুজন ভারতীয় গজল গায়ক ও গায়িকার নাম উল্লেখ করুন।
➧ দুজন ভারতীয় গজল গায়ক ও গায়িকার নাম হল—জগজিৎ সিং, বেগম আখতার এ ছাড়াও পঙ্কজ উদাস, চিত্রা সিং।
Q33. ‘কারাওকে’ কী?
➧ জাপানি শব্দ ‘কারা’ (Kara) অর্থাৎ খালি (Empty), ওকেসুতরা (Okesutora) অর্থাৎ অর্কেস্ট্রা (Orchestra) শব্দ থেকে ‘কারাওকে’ শব্দটির উৎপত্তি। জাপানি ব্যবসায়ী দেইশুকে ইনোই (Daisuke Inoue) কারাওকে মেশিন আবিষ্কার করেন। কারাওকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গানের মিউজিক রেকর্ড করা থাকে এবং ওই মিউজিকের সঙ্গে কোনো গায়ক ওই গানটির সঙ্গে গলা মেলান। সাধারণত জনপ্রিয় গানের ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে মিউজিক অর্কেস্ট্রা ছাড়াই দর্শকদের গান শুনিয়ে বিনোদন করা হয়। Empty Track তৈরি করে সাউন্ড ইঞ্জিনিয়াররা Vocal Track-টিকে উহ্য করে দেওয়ায় গায়ক গলায় সুর তুলে ওই গান সহজেই পরিবেশন করতে সক্ষম হয়। এই পদ্ধতি চিন, কম্বোডিয়া, জাপান প্রভৃতি দেশে খুবই জনপ্রিয় । বর্তমানে ভারতবর্ষেও জনপ্রিয় হিন্দি, ইংরেজি ও আঞ্চলিক ভাষার গানগুলিকে এই কারাওকে সিস্টেমে দর্শকদের সামনে উপস্থাপিত করা হয়। এই পদ্ধতির সুবিধা হল—কোনো গায়ক মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট ছাড়াই নিজে সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কোনো ঘরোয়া পরিবেশে কিংবা একক খেয়ালে গানের অনুশীলন করতে পারেন।
Q34. সপ্তক কয়প্রকারের ও কী কী?
➧ সপ্তক তিন প্রকারের হয়। (ক) মন্ত্র বা উদারা সপ্তক (Lower Octave) (খ) মধ্য বা মুদারা সপ্তক (Middle Octave) (গ) তারা বা তার সপ্তক (Higher Octave)।
Q35. বিলম্বিত লয় বলতে কী বোঝায়?
➧ ধীর গতিকে বিলম্বিত লয় বলা হয়ে থাকে। এই লয়ে একটি মাত্রা থেকে অন্য মাত্রার ব্যবধান বেশি হয়। এই লয়ে নানাপ্রকার কাজ দেখানো যায়। বিলম্বিত লয় থেকে আরও ধীর একপ্রকার বিলম্বিত লয়ে তাকে অতি বিলম্বিত লয় বলা হয়।
Q36. কাহারবা বা কার্যা কী?
➧ এটি তবলার তাল, ৮ মাত্রা, দুই বিভাগ, প্রতিটি বিভাগ চারমাত্রা করে আছে, ১ তালি, ১ খালি, ১ মাত্রায় তালি ও ৫ মাত্রায় খালি, সমছন্দের তাল।
Q37. ঝুমুর গান কী?
➧ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান ইত্যাদি অঞ্চলের জনপ্রিয় গান এই ঝুমুর। প্রধানত রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলার বিষয়ে এই গান রচিত হয়। সাঁওতালদের মধ্যে মাদল সহযোগে এই গান করতে দেখা যায়। আদিবাসীদের মধ্যে গানবাজনা ও নৃত্যসহযোগে এই গান গাওয়া হয়।
Q38. প্রক্ষেপণ স্থান অনুযায়ী স্বরকে ক-ভাগে ভাগ করা হয়?
➧ প্রক্ষেপণ স্থান অনুযায়ী স্বরকে পাঁচভাগে ভাগ করা হয়। যথা—
(i) নাভি থেকে বলা
(ii) ফিফিস করে বলা
(iii) মুখগহ্বর থেকে বলা
(iv) নাকের সংস্পর্শে বলা
(v) মস্তিষ্ক স্পর্শ করে বলা
Q39. ভারতীয় সংগীতের উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে?
➧ ভারতীয় সংগীতের উৎপত্তি নিয়ে নানাপ্রকার কিংবদন্তি প্রচলিত। কারও মতে দেবাদিদেব শিব সংগীতের স্রষ্টা। আবার অন্য কারও মতে ব্রহ্মা সংগীতের জন্মদাতা। তবে অতি প্রাচীনকাল থেকে ভারতে সংগীতের প্রচলন ছিল।
Q40. গজল কাকে বলে?
➧‘গজল’ শব্দটি পারসিক শব্দ। পারসিক ভাষায় প্রেমের গানকে গজল বলা হয়। অনেকে মনে করেন আমীর খসরু এই গজল গানের প্রবর্তক ও প্রচারক। গজলের একটি স্থায়ী ও অনেকগুলি অন্তরা হয়। কাজী নজরুল ইসলাম প্রথম বাংলা গজল রচনা করেন।
Q41. নাদের অবস্থা কয় প্রকার?
➧ নাদের তিনপ্রকার অবস্থা হয়। (ক) নাদের রূপভেদ বা নাদের ছোটো-বড়ো হওয়া। (খ) নাদের জাতিভেদ (গ) নাদের উঁচু বা নীচু হওয়া।
Q42. সাতটি শুদ্ধ স্বরের উদ্ভব কোথা থেকে হয়েছিল? তিনটি উদাহরণ দিন।
➧ প্রাচীনকালে পশুপাখির ডাক থেকে সাতটি স্বরের উদ্ভব হয়েছিল।
- সা—ময়ূরের ডাক থেকে উৎপত্তি—স্বরটির শুদ্ধ নাম ষড়জ।
- রে—বৃষ বা ষাঁড়ের ডাক থেকে উৎপত্তি—স্বরটির শুদ্ধ নাম ঋষভ।
- গা—অজ বা ছাগের ডাক থেকে উৎপত্তি—স্বরটির শুদ্ধ নাম গান্ধার।
Q43. আদিমযুগে নৃত্যকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায়?
➧ আদিমযুগে নৃত্যকে মোটামুটি দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা—সামাজিক ও ভৌতিক বা ধর্মাশ্রিত। (ক) সামাজিক নৃত্য–বিবাহ, জন্ম, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যে নৃত্য হত। (খ) ভৌতিক বা ধর্মাশ্রিত নৃত্য—দেবতা-অপদেবতা পূজা, মৃত আত্মার আবাহন, সম্মোহন, নবান্ন, শিকার প্রভৃতি করার সময় যে নৃত্য হত।
Q44. ভরতনাট্যম বলতে কী বোঝায়?
➧ ভারতবর্ষের মার্গ নৃত্যধারার মধ্যে অন্যতম হল ভরতনাট্যম। ভাব, রাগ ও তাল—এই তিনের সমন্বয়ে নৃত্যের সৃষ্টি হয়। এজন্য কেউ কেউ মনে করেন ভাব, রাগ ও তালের উৎপত্তি। আবার অন্য একটি মতে প্রথম তিনটি বর্ণকে নিয়ে ভরতনাট্যম নামে ভরতমুনি প্রবর্তিত নৃত্য বলেই এর নাম ভরতনাট্যম।
Q45. শব্দম কাকে বলে?
➧ ভরতনাট্যমের একটি পর্যায়কে শব্দম বলে। যতিস্বরমের পর শব্দম অনুষ্ঠিত হয়। তেলুগু ভাষায় রচিত ভক্তিমূলক সংগীতের অভিনয়ের মাধ্যমে এই পর্যায়কে প্রকাশ করা হয়। সংস্কৃতে এ ধরনের স্বরকে যশোগীতি বলে। এতে মূলত সঞ্চারীভাবের প্রাধান্য দেখা যায়।
Q46. কথাকলি নৃত্যের অনুষ্ঠান কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
➧ সাধারণত খোলা মঞ্চে এই নৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। এই নৃত্যের মঞ্চ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে প্রায় ১৬ ফুট হয়। চারদিকে চারটি স্তম্ভাকৃতি দণ্ডের সঙ্গে শামিয়ানা বেঁধে তৈরি হয় মঞ্চের উপরিভাগের আচ্ছাদন। সবুজ পাতা ও ফুল দিয়ে মঞ্চসজ্জা করা হয়।
Q47. তাড়ি চরিত্র বলতে কী বোঝায়?
➧ এটি কথাকলি নৃত্যের একধরনের চরিত্র। এই চরিত্রে সবথেকে উজ্জ্বল ও প্রকট প্রসাধন ব্যবহার করা হয়। লাল, কালো ও সাদা তিনটি রং রূপসজ্জায় ব্যবহার করা হয়। লাল রং ভয়াল ও শয়তান রূপ প্রকাশের জন্য, কালো রং ধ্বংসাত্মক চরিত্র প্রকাশের জন্যে এবং সাদা রং কৌতুক চরিত্রের জন্য ব্যবহার করা হয়।
Q48. লোকনৃত্য কাকে বলে?
➧ মানুষের সমাজজীবন থেকে সৃষ্ট যে নৃত্য তাকে লোকনৃত্য বলে। মানুষের আচার-ব্যবহার, সংস্কৃতি ও দৈনন্দিন জীবনকে কেন্দ্র করে যে নৃত্য তাই লোকনৃত্য বলে পরিচিত। সমাজে সমস্ত সামাজিক অনুষ্ঠান ও উৎসব দলগতভাবে পালন করা হয়। সাধারণভাবে লোকনৃত্যকে ‘Collective creation of the folk' বলা হয়।
Q49. রায়বেঁশে নৃত্য কী?
➧ বীরভূমের রাজনগর ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে এই নৃত্য প্রচলিত। ঢাকঢোলের বাজনাসহ গোষ্ঠীবদ্ধ ভাবে তালে তালে বিভিন্ন ধরনের লম্ফ ও শারীরিক কসরত করে যে নৃত্য করা হয়ে থাকে, তাকে রায়বেঁশে নৃত্য বলা হয়। এই নৃত্যকে সামরিক নৃত্যও বলা হয়। মূলত রাজার সৈন্যরা কুচকাওয়াজের সময় এই নৃত্য করত।
Q50. ‘নৃত্য’ কী?
➧ নৃত্য বা নৃত্যকলার ইংরেজি Dance শব্দটি এসেছে প্রাচীন ফরাসি শব্দটি থেকে। ‘নৃত্য’ শব্দটি সাধারণত শারীরিক নড়াচড়ার প্রকাশভঙ্গিকে বোঝায়। ধর্মীয় মাদকতায় কিংবা মনোরঞ্জনের ক্ষেত্রে নৃত্যের ব্যবহার দেখা যায়।
Q51. ছৌ নাচের পরিচয় নিৰ্ণায়ক দুটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
➧ ছৌনাচের পরিচয় নির্ণায়ক দুটি বৈশিষ্ট্য হল— (i) ছৌ নাচ বিষয়গতভাবে মহাকাব্যিক। এই নাচে রামায়ণ ও মহাভারতের বিভিন্ন উপাখ্যান অভিনয় করে দেখানো হয়। কখনো কখনো অন্যান্য পৌরাণিক কাহিনিও অভিনীত হয়। (ii) ছৌনাচের মূল রস হল বীর ও রুদ্র। শেষে দুষ্টের দমন ও ধর্মের জয় দেখানো হয়। অর্থাৎ, জনমানসে ধর্মের প্রতিষ্ঠা করা হয়।
Q52. পূর্বভারতের যে-কোনো দুটি ‘লোকনৃত্যের’ নাম উল্লেখ করুন।
➧ পূর্বভারতের যে-কোনো দুটি লোকনৃত্যের নাম হল–বিহু, ঝুমুর। পূর্বভারতের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলের এই নৃত্যের ধারা বর্তমানে বিভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটাতে সমর্থ হয়েছে।
Q53. ‘গরবা’ নৃত্য কোন রাজ্যের নামের সঙ্গে যুক্ত?
➧ গরবা নৃত্য গুজরাট রাজ্যের নামের সঙ্গে যুক্ত। হিন্দু ধর্মানুসারে নবরাত্রি পালনের সময় এই নৃত্য পরিবেশন করা হয়। কোনো দেবদেবীর মূর্তি বা প্রজ্বলিত প্রদীপের চারদিক দিয়ে সমবেতভাবে সাধারণত এই নৃত্য করা হয়।
Q54. ভরতনাট্যমের স্তরগুলি উল্লেখ করুন।
➧ ভরতনাট্যমের স্তরগুলি নিম্নরূপ —
- আল্লারিপু ভরতনাট্যম অনুষ্ঠানের প্রথম নৃত্য।
- আল্লারিপুর পর অনুষ্ঠিত হয় যতিস্বরম।
- যতিস্বরম-এর পর অনুষ্ঠিত হয় শব্দম।
- শব্দমের পরে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণম।
- পরবর্তী অনুষ্ঠান পদম।
- সর্বশেষ অনুষ্ঠান তিল্লানা।
Q55. কথাকলি নৃত্যে কোন ধরনের সংগীত ব্যবহৃত হয়?
➧ কথাকলি নৃত্যে সংগীত ও বাদ্যযন্ত্রের প্রয়োগ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। কথাকলি গীতি পদম, শ্লোকম্ ও দণ্ডকম—তিন পর্যায়ে গীত হয়। দক্ষিণ ভারতীয় সংগীতের বিভিন্ন রাগ ও রাগিণী এখানে ব্যবহৃত হয়। সংগীতশিল্পীরা সোপান ভঙ্গিতে গীতি পরিবেশন করেন। জয়দেবের ‘গীতগোবিন্দ' অবলম্বনে অষ্টপদীগুলি কথাকলি সংগীতের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। কথাকলি নৃত্যনাট্যে সংগীতশিল্পীদের মধ্যে যিনি প্রধান তাঁকে ‘পেন্নান’ বলা হয়। অপর শিল্পী, যিনি প্রধান গায়ক কর্তৃক গীত হবার পর তার পুনরাবৃত্তি করেন, তাঁকে ‘সংকোটি বলা হয়। কথাকলি নৃত্যে চাণ্ডা, মাদ্লম্, চাংগালা ও এলাতালম বা কাইমনি—এই
চতুৰ্যন্ত্রই প্রধান। কথাকলি সংগীতে সাধারণত ‘carnatic' music পরিবেশিত হয়।
Q56. বিহু নাচ কোথায় দেখা যায়? এই নাচের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন। (
➧ অসমের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ও প্রচলিত লোকনৃত্য বিহু। বিহু উৎসবে সমাজের সব স্তরের লোকেরাই অংশগ্রহণ করে। একত্রিশে চৈত্র অর্থাৎ বছরের শেষ দিনে বিহু উৎসবের সূচনা হয় এবং প্রায় একমাস ধরে এই উৎসব চলে। বিহু নৃত্যের দুটি অংশ—বিহু ও হুচারী। বিহু নৃত্য শ্যামল প্রান্তরে বৃক্ষছায়ায় অনুষ্ঠিত হয়। বিহু ঢোল, গাগনা, বাঁশি, শিঙা প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র ও গানের সহযোগে এই অনুষ্ঠান হয়। ছেলেমেয়েরা তাকা (চেরা বাঁশের দ্বারা প্রস্তুত) দ্বারা সমবেতভাবে তালরক্ষা করে।
Q57. কেরালার প্রাচীনতম নৃত্যটির নাম কী? এর দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন।
➧ কেরালার প্রাচীনতম নৃত্যটির নাম হল কথাকলি। কথাকলি নৃত্যের দুটি বৈশিষ্ট্য হল— i. নৃত্যনাট্য আঙ্গিক, বাচিক, সাত্ত্বিক ও আহার্য—এই চারপ্রকার অভিনয়সমৃদ্ধ। ii. ভারতীয় নৃত্যকলার ইতিহাসে কথাকলি এক প্রাচীন ঐতিহ্য বহনকারী শিল্প, যা প্রায় সম্পূর্ণ বিদেশীয় প্রভাবমুক্ত। কথাকলি মূলত দৃশ্যকাব্য। এতে বাদক ও সংগীতশিল্পীর গীতি মিলিতভাবে পরিবেশিত হয়।
Q58. রসাভিনয় কী?
➧ রসাভিনয় কথাকলি নৃত্যনাট্যের কঠিনতম ও শ্রেষ্ঠতম অঙ্গ। নাট্যশাস্ত্রের মতে শৃঙ্গার, হাস্য, করুণ, রৌদ্র, বীর, ভয়ানক, বীভৎস ও অদ্ভুত—এই আটটি রস মন ও অনুভূতির সংঘাতে সৃষ্ট। রসই স্থায়ীভাবের উৎস। রতি, শোক, ক্লোধ, উৎসাহ, ভয়, জুগুপ্সা ও বিস্ময়—এই সাতটি স্থায়ীভাব। পরবর্তীকালে ‘শান্ত’কে নবম রসরূপে অভিহিত করা হয়েছে। কথাকলি নৃত্যে নবরসেরই প্রয়োগ হয়ে থাকে। এই রসনিষ্পত্তি শিল্পকলার উন্নততম পর্যায়। কথাকলি নৃত্যশিল্পীর ভাবাভিনয়ে যে উৎকর্ষের পরিচয় পাওয়া যায়, তা সত্যিই বিস্ময়কর
Q59. নৃত্যনাটিকা কী ?
➧ নৃত্যনাটক বলতে সাধারণত নির্বাক নৃত্যকেই বোঝায়। এই নাটকে ব্যাকগ্রাউন্ডে যন্ত্রসংগীত পরিবেশিত হয়, মঞ্চে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিমায় নৃত্যশিল্পী গানের ভাব প্রকাশ করে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গতিভঙ্গির চলনের মাধ্যমে যে অভিনয় অনুষ্ঠিত হয়, তাকেই নৃত্যনাট্য বলে। এই অভিনয় চার প্রকার—আঙ্গিক, বাচিক, সাত্ত্বিক ও আহার্য।
Q60. নৃত্যের মাধ্যমে শিখন কীভাবে হয়?
➧ নৃত্য শিক্ষাক্ষেত্রে নান্দনিক-উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করে, সহমর্মিতা ও দলবদ্ধতার বিকাশ ঘটায়। নৃত্য প্রভূত আনন্দদায়ক একটি বিষয়। আনন্দলাভের মধ্যে শারীরিক উৎকর্ষতাও বৃদ্ধি করে নৃত্য। অর্থাৎ বলা যায় যে, শিখনের একটি অনন্য ও উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হল নৃত্য।
Q61. রং কয় প্রকারের ও কী কী?
➧ রং দু-প্রকারের হয়, যথা—প্রাথমিক বা মৌলিক রং এবং মিশ্র বা যৌগিক রং। প্রাথমিক রং—যে রং অন্য কোনো রঙের দ্বারা প্রভাবিত নয় এবং যে রঙের নিজস্বতা আছে, তাকে প্রাথমিক রং বা মৌলিক রং বলে। প্রাথমিক রং তিনটি—লাল, নীল ও হলুদ। যৌগিক রং—দুই বা ততোধিক রঙের মিশ্রণে যেসব রং উৎপন্ন হয় তাকে যৌগিক রং বা মিশ্র রং বলা হয়। যেমন—কমলা, সবুজ, বেগুনি, বাদামি ইত্যাদি।
Q62. জৈব রং কাকে বলে?
➧ রং প্রকৃতিতে আমরা দু-ভাবে পাই, জৈব ও অজৈব অবস্থায় তা পাওয়া যায়। জীবজন্তু, গাছপালা প্রভৃতি থেকে যে রং পাওয়া যায়, তাকে জৈব রং বলে। গাছপালা থেকে যে রঙগুলি পাই, তা হল—ইন্ডিগো (Indigo), স্যাপগ্রিন (Sap Green), গ্যামবোজ (Gamboge) প্রভৃতি। অন্যদিকে জীবজন্তু থেকে যে রংগুলি পাই, সেগুলি ল–সিপিয়া (Sepia), কারমাইন (Carmine) প্রভৃতি।
Q63. জলরং ব্যবহারের সুবিধা কী কী?
অথবা, জলরঙের দুটি সুবিধা উল্লেখ করুন।
➧ জলরঙের ব্যবহারের সুবিধাগুলি হল – (ক) জলরঙের খরচ অপেক্ষাকৃত কম। (খ) স্বল্প সময়ে ছবিটি সম্পূর্ণ করা যায়। (গ) তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। (ঘ) আউটডোর স্টাডির ক্ষেত্রে জলরং সবথেকে উৎকৃষ্ট মাধ্যম।
Q64. টেম্পারার উপকরণগুলি লিখুন।
➧ টেম্পারার উপকরণগুলি হল— রঙের গুঁড়ো (Pigment), আটা (কৃত্রিম বা প্রাকৃতিক), সাপোর্ট (যার উপর ছবি আঁকা হবে), কাচ (যেখানে রং মেশানো হবে), তুলি, বাটি, স্প্যাচুলা, ড্রইংবোর্ড ইত্যাদি।
Q65. এনকস্টিক বলতে কী বোঝায়?
➧ এনকস্টিক হল একটি ছবি আঁকার পদ্ধতি। গ্রিক শব্দ ‘Enkaustikos’ থেকে কথাটি এসেছে। এর অর্থ হল ‘to heat’ ও ‘to burn’ গরম মধুমোমের সঙ্গে রঙের গুঁড়ো মিশিয়ে এই রং তৈরি করা হয়। গরণ অবস্থায় কাঠ বা বোর্ডের উপর ব্যবহার করা হত।
Q66. পরিপ্রেক্ষিত বলতে কী বোঝায়?
➧ কাজের ও দূরের বস্তু বা তলের মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয় করে চিত্রে ফুটিয়ে তোলাকেই পরিপ্রেক্ষিত বলা হয়। অর্থাৎ বিশেষ কোনো অবস্থান থেকে নির্দিষ্ট কোনো বস্তুর বা দৃশ্যের ত্রিমাত্রিক রূপ চিত্রে ফুটিয়ে তোলার পদ্ধতিকে পরিপ্রেক্ষিত (Perspective) বলা হয়।
Q67. চার্ট বলতে কী বোঝায়?
➧ চার্ট হল একটি শিক্ষোপকরণ। শিক্ষণের ক্ষেত্রে কোনো বিষয়বস্তুর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি বিশ্লেষণের জন্য চার্ট ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ পাঠ্য বিষয়বস্তুর মূল বক্তব্য বা তুলনামূলক বিশ্লেষণকে শিক্ষার্থীর সামনে মূর্ত করে তোলার জন্য দর্শনীয় উপকরণকে চার্ট বলা হয়।
Q68. মধুবনি কলার দুটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
➧ মধুবনি কলার দুটি বৈশিষ্ট্য হল— i. মধুবনি 'চিত্রকলা সম্পূর্ণরূপে গ্রামীণ ও লোকশিল্প। লোকশিল্পের বলিষ্ঠতা, সাবলীলতা ও সারল্য মধুবনি শিল্পের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ii. মধুবনি চিত্রকলামূলক অঙ্কন করতেন ব্রাহ্মণ, কায়স্থ প্রভৃতি উচ্চবংশীয় মহিলারা।
Q69. উৎস সহ ওয়ারলি চিত্রকলার দুটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য লিখুন।
➧ ওয়ারলি চিত্রকলার দুটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল— i. মহারাষ্ট্রে পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় নাসিক ও ধুলে অঞ্চলে ওয়ারলি উপজাতিদের বাস। এ ছাড়া গোয়া, দমন, দিউতে এদের দেখা মেলে। এইসকল অঞ্চলের উপজাতি মহিলারা চালের গুঁড়ো জলে মিশিয়ে সাদা তরল রং তৈরি করে ওয়ারলি চিত্রকলা তৈরি করেন। ii. সাধারণত বাড়ির আঙিনা বা দেয়াল গোবরমাটি দিয়ে মসৃণ করে লেপে তার ওপর ছবি আঁকা হলেও কখনো-কখনো স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত কালচে লাল রঙের মাটি বা গেরিমাটির ওপর সাদা রং আরও সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে। ওয়ারলি আদিবাসীরা মনে করেন এই চিত্ররচনার মধ্যে একটি শুভ মাঙ্গলিক ক্ষমতা আছে, যা অশুভ শক্তিকে বিতাড়ন করে।
Q70. বর্ণচক্রে কী কী প্রাথমিক রং থাকে?
➧ যে রঙের নিজস্বতা আছে এবং অন্য কোনো রঙের মিশ্রণে তৈরি হয় না, তাকে প্রাথমিক রং বা Primary Colour বা শুদ্ধ রং বলে। প্রাথমিক রং তিনটি— লাল, নীল, হলুদ। এই রংগুলির সংমিশ্রণের মাধ্যমে একাধিক যৌগিক রং সৃষ্টি হয়। যেমন—লাল + হলুদ = কমলা, লাল + নীল = বেগুনি।
Q71. ‘ফেব্রিক’-এর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী? ফেব্রিক চিত্রণ শুরু করার আগে পালনীয় দুটি নীতি কী কী?
➧ লাতিন শব্দ ‘fabrica' (যার অর্থ, কোনো দক্ষতার সঙ্গে উৎপন্ন) থেকে ফরাসি শব্দ ‘fabrique' কথাটির উৎপত্তি ঘটে 1500 শতাব্দীতে। সাধারণ ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে এর অর্থ ছিল, ধাতু ও পাথর ব্যবহারে পটু শ্রমিক বা কর্মচারী। পরবর্তী সময়ে 1800 শতকে এই ‘ফেব্রিক’ কথাটির অর্থ বস্ত্রনকশা হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করে। প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, মৃত্তিকা এবং অন্যান্য উপাদানগুলি, যা থেকে রঞ্জক নিষ্কাশিত হয়, সেগুলি দিয়েই বস্ত্ররঞ্জনের মাধ্যমে এই ফেব্রিক তৈরি হয়। ফেব্রিক চিত্রণ শুরু করার আগে পালনীয় দুটি নীতি হল— i. কাপড়ের ওপর নকশা অনুযায়ী রং নির্বাচন করতে হয়। খেয়াল রাখতে হয় যাতে রংগুলি পরস্পরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। হালকা রঙের কাপড়ের ওপর গাঢ় রং ও গাঢ় রঙের কাপড়ের ওপর হালকা ধরনের রংগুলি ভালো ফুটে ওঠে। ii. নকশা আঁকা কাপড় খুব সাবধানে রাখা উচিত। রং ভেজা থাকা অবস্থায় তার ওপর হাত পড়লে রং ধেবড়ে যায়। রং শুকিয়ে যাবার 24 ঘণ্টা পরে ইস্ত্রি করলে রঙের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়।
Q72. রঙের কয়েকটি দেশজ উৎস উল্লেখ করুন।
➧ রঙের কয়েকটি দেশজ উৎস হল – i. খনিজ পাথর থেকে প্রাপ্ত রঙের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল টেরাভার্ট পাথর থেকে পাওয়া সবুজ রং ও ল্যাপিস লাজুলি থেকে প্রাপ্ত নীল রং। খনিজ ধাতু সোনা ও রুপো দিয়ে যথাক্রমে সোনালি ও রুপালি রং পাওয়া যায়। তামার কুচির দুজনের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়ে সবুজ রং পাওয়া যায়। এইভাবে লোহার গুঁড়ো থেকেও কালো রং নিষ্কাশন করা হয়। ii. মৃত্তিকা জাত রংগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এলামাটিজাত হলুদ, গেরিমাটিজাত লাল। iii. লাক্ষা থেকে অলক্ত ও ঝিনুক পুড়িয়ে সাদা রং পাওয়া যায়। এগুলি প্রাণীজাত রঙের এলাকাভুক্ত। iv. উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত রঙের সংখ্যা অনেক। তার মধ্যে নীলগাছ থেকে পাওয়া নীল রংটি সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া কুসুম ফুল থেকে হলুদ, কুমকুম থেকে লাল, শিমপাতা থেকে সবুজ, শিউলি ফুল থেকে কমলা রং পাওয়া যায়।
Q73. স্কেচিং কী?
➧ অল্প সময়ের মধ্যে সামান্য কয়েকটি সাংকেতিক রেখার টানে কোনো বস্তু, মানুষ বা বিষয়বস্তুর রূপ, গঠনগত ভঙ্গিমা ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরাকে অঙ্কনে স্কেচ বলে। স্কেচ-এর মধ্যে দিয়ে বস্তুর ভঙ্গিমা, গঠন, আয়তন, আকৃতি, বস্তুর গতি, সাদৃশ্য গুণ ফুটে ওঠে।
Q74. অঙ্কনের ক্ষেত্রে চারকোল ব্যবহারের দুটি সুবিধা উল্লেখ করুন।
➧ অঙ্কনের ক্ষেত্রে চারকোল ব্যবহারের দুটি সুবিধা হল— i. হালকা দাগের জন্য ভাইন চারকোল ব্যবহার করা যায়। প্রাথমিক স্কেচ ভাইন চারকোল দিয়ে করলে তা সহজে মুছে সংশোধন করা যায়। ii. আঁকা শেষ হয়ে গেলে ফিক্সেটিভ স্প্রে করে দিলে আর আঁকাটি নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না।
Q75. প্রাথমিক বর্ণ ও মিশ্র বর্ণ কাকে বলে? কী কী?
➧ যে রঙের নিজস্বতা আছে এবং অন্য কোনো রঙের মিশ্রণে তৈরি হয় না, তাকে প্রাথমিক রং বা Primary Colour বা শুদ্ধ রং বলে। প্রাথমিক রং তিনটি--- লাল, নীল, হলুদ। দুটি প্রাথমিক রং মেশালে দুটি রং-ই তাদের স্বতন্ত্রবর্ণ হারায় এবং একটি তৃতীয় রঙের জন্ম দেয়, তাকে মিশ্র রং বা মাধ্যমিক রং বা Secondary Colour বলে। যেমন— লাল ও হলুদ মেশালে কমলা রং, নীল ও হলুদ মেশালে সবুজ, লাল
ও নীল মেশালে বেগুনি রং তৈরি হয়।
Q76. উষ্ণবর্ণ ও শীতল বর্ণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
➧ চরিত্র অনুসারে কিছু রং উষ্ণ রং বা Warm Colour ও কিছু রং Cool Colour বা ঠান্ডা রং, যে রং-এ মাঠের বিস্তার, আকাশের বিস্তার, সমুদ্রের বিস্তার, যেমন—নীল, সবুজ হয় সেগুলি হল Cool Colour। কারণ, কম উজ্জ্বলতার জন্য চোখের পক্ষে আরামদায়ক। যে রং-এ আগুনের তাপ অনুভব করা যায় তাকে উষ্ণ রং বলা হয়। কারণ উজ্জ্বলতার জন্য চোখের পীড়াদায়ক, যেমন—কমলা, হলুদ, লাল ৷ আমরা চিত্রপট, আসবাবপত্রে, ব্যাবহারিক জিনিসে, প্রয়োজন অনুসারে Warm বা Cool Colour ব্যবহার করি। শিল্পীরা ছবিতে এই উষ্ণ এবং ঠান্ডা রং সামঞ্জস্য অনুসারে ব্যবহার করে থাকেন।
Q77. হিউ, ভ্যালু, ক্রোমা কী?
➧ Munsee কোনো বর্ণ বলতে তার তিনটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন- হিউ (Hue), ভ্যালু (Value) ও ক্রোমা (Chroma)। হিউ হল বর্ণনাম, যেমন লাল, হলুদ, বেগুনি প্রভৃতি। রং কতটা হালকা বা-গাঢ়, কতখানি আলো বিচ্ছুরণ করছে, তাকে ভ্যালু বলে। সাদা মেশালে রঙের ভ্যালু বাড়ে ও কালো মেশালে রঙের ভ্যালু কমে। ক্রোমা বা স্যাচুরেশন হল রঙের তীব্রতা বা শুদ্ধতা। কোনো রঙের সঙ্গে সাদা, কালো বা অন্য কোনো রং মেশানো হলে রঙের স্যাচুরেশন কমে যায়। একজন চিত্রশিল্পীর ক্ষেত্রে রঙের এই গুণগুলি বোঝা অত্যন্ত আবশ্যিক। কারণ রঙের ওপর আলো পড়লে তার ভ্যালুর পরিবর্তন হয় এবং বর্ণের ক্রমাঙ্ক প্রভাবিত হয়।
Q78. তৈলচিত্রের দুটি সুবিধা ও অসুবিধা উল্লেখ করুন।
➧ তৈলচিত্রের দুটি সুবিধা হল— i. তৈলচিত্র অন্যান্য মাধ্যম অপেক্ষা অনেক দীর্ঘস্থায়ী। ii. এই মাধ্যমে সূক্ষ্মতিসূক্ষ্ম টোনাল ভ্যারিয়েশন (Tonal Variation) আনা যায় বলে চূড়ান্ত রিয়েলিস্টিক ছবি আঁকা যায়।
তৈলচিত্রে দুটি অসুবিধা হল— i. তৈলচিত্রের উপকরণগুলি দামি ও ব্যয়সাধ্য বলে তা অনেক সময় অসুবিধাজনক হয়ে ওঠে। ii. ভারতীয় আবহাওয়ায় তৈলচিত্র ফাঙ্গাস পড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
Q79. একবিন্দু পরিপ্রেক্ষিত ও দ্বি-বিন্দু পরিপ্রেক্ষিত কাকে বলে?
➧ একবিন্দু পরিপ্রেক্ষিত ও দ্বি-বিন্দু পরিপ্রেক্ষিতের সংজ্ঞা নীচে দেওয়া হল-
- একবিন্দু পরিপ্রেক্ষিত (One Point Perspective) : নির্দিষ্ট স্থান থেকে যদি পথের দুধার বা রেলগাড়ির দুই লাইন দেখা হয়, তাহলে দেখা যায় যে পথের দুধার বা রেলগাড়ির দুই লাইন দূরে যেতে যেতে ক্রমে পরস্পর কাছে সরে আসছে এবং শেষে একটা ভ্যানিশিং পয়েন্টে মিলিত হচ্ছে। একে One Point Perspective বলে।
- দ্বি-বিন্দু পরিপ্রেক্ষিত (Two Point Perspective) : যে-কোনো বড়ো বাড়ির একটা কর্নার থেকে দেখলে পাঁচিলের দুটো দিক একসঙ্গে দেখা যায়। এক্ষেত্রে দুটি ভ্যানিশিং পয়েন্ট হরাইজন্টাল লাইনে মিলিত হচ্ছে। একে Two Point Perspective বলে।
Q80. সৃজনশীল গল্প লেখার পর্যায়গুলি কী কী?
➧ সৃজনশীল গল্প লেখার পর্যায়গুলি হল— (১) চরিত্র নির্মাণ, (২) খসড়া তৈরি, (৩) ধারণার স্পষ্টতা, (৪) সঠিক বিচার, (৫) কথোপকথন (৬) আবেগের প্রকাশ, (৭) পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা।
Q81. সেকেন্ডারি মাটি (Secondary Clay) বলতে কী বোঝায়?
➧ এই মাটি সাধারণত জলবাহিত হয়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে পরিবাহিত হয়ে আসে। এই পরিবহণের সময় মাটির চরিত্রের মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন—মাটির কণাগুলি জলের স্রোতের ধাক্কায় মিহি গুঁড়ো হয়ে ভারী কণাগুলি থিতিয়ে যায়। এই মাটির কণার সঙ্গে নানা ধরনের জৈব বস্তু যুক্ত হয়ে মাটিকে নমনীয় করে তোলে। এই মাটি মূর্তি নির্মাণের পক্ষে উপযুক্ত।
Q82. মূর্তি তৈরির জন্য আর্মেচারের প্রয়োজনীয়তা কী?
➧ আর্মেচার বড়ো কোনো মূর্তি তৈরি করতে গেলে প্রয়োজন হয়। না হলে শুধুমাত্র মাটি মূর্তিকে ধরে রাখতে পারবে না। আমাদের এখানে ঠাকুর তৈরির ক্ষেত্রে খড়, বাঁশ ইত্যাদি দিয়ে আর্মেচার তৈরি করা হয়। ভাস্কর্যের ক্ষেত্রে তার, সুতলি, রড প্রভৃতি ব্যবহার করে আর্মেচার করা হয়।
Q83. ‘কোলাজ কী?
➧ কোলাজ একটি শিল্প উৎপাদন কৌশল; ফেলে দেওয়া অপ্রয়োজনীয় সাধারণ জিনিস, কাগজ, বোর্ড বা ক্যানভাস-এর ওপর আঠা দিয়ে সেঁটে একটি চিত্ররূপ সৃষ্টি করাকে কোলাজ বলে। চিন দেশে 200 খ্রিস্টাব্দে কাগজ আবিষ্কারের সময় থেকে প্রথম কোলাজ প্রযুক্তিগতভাবে ব্যবহার করা শুরু হয়। দশম শতকে জাপানে কবিতার মধ্যে কোলাজের ব্যবহার ছিল। ফরাসি শব্দ coller থেকে কোলাজ আহরিত। বিংশ শতকের শুরুতে কোলাজ আধুনিক শিল্পের একটি স্বতন্ত্র অংশ হয়ে ওঠে।
Q84. চারুশিল্প এবং কারুশিল্পের দুটি পার্থক্য লিখুন।
➧ চারুশিল্প এবং কারুশিল্পের মধ্যে পার্থক্য হল— i. চারুশিল্প হল এমন এক ধরনের কাজ, যেখান আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। অন্যদিকে কারুশিল্প হল এমন একধরনের কাজ, যেখানে কর্মের নির্দিষ্ট একটি আউটপুট রয়েছে, যেমন—ছাঁচ নির্মাণ করা বা খোদাই করা। ii. চারুশিল্প সাধারণত অ-কাঠামোগত (Unstructured) হয়ে থাকে, যেমন—পেন্টিং। অন্যদিকে কারুশিল্পের নির্দিষ্ট একটি গঠন রয়েছে, যার অর্থ হল, এর একটি নির্দিষ্ট দৃশ্যমান ফর্ম রয়েছে ।
Q85.‘ওরিগামি’-র অর্থ লিখুন।
➧ একখণ্ড কাগজকে না কেটে, কোনোরূপ আঠা ব্যবহার না করে কেবল ভাঁজ করে জীবজন্তু, পাখি ইত্যাদির রূপ দেওয়ার একটি কৌশল ও খেলা হল ওরিগামি। ওরিগামি শব্দটি জাপান থেকে এসেছে। ওরি (Ori) কথার অর্থ ভাঁজ করা ও কামি (Kami) পরিবর্তিত হয়ে গামি অর্থাৎ কাগজ। এর জন্য প্রথম যেটা প্রয়োজন তা হল কাগজ ৷ কাগজ বলতে আমরা আজকে যা বুঝি তার আবিষ্কার হয়েছিল চিনদেশে, প্রথম বা দ্বিতীয় খ্রিস্টাব্দে হান যুগে। পাতলা, শক্ত এবং সম্পূর্ণরূপে বর্গাকার কাগজই হল সবচেয়ে ভালো।
Q86. কবিতা কী?
➧ অল্প কথায় বলা যায় যে এ এমন একটি বিশিষ্ট শিল্পমাধ্যম বা সাহিত্যমাধ্যম, যা রূপ, রস ও ভাষার বিশেষ ব্যবহারের মাধ্যমে কবির হৃদয়াবেগকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়। ড. জনসনও এমনটাই বলেছেন; কবিতা হল ‘Metrical Composition: the art of uniting pleasure with truth by calling imagination to the help of reason’। অ্যারিস্টটলও বলেছেন, 'modes of imitation of human actions'।
Q87. সৃজনশীল কাজের দুটি নীতি উল্লেখ করুন।
➧ সৃজনশীল কাজের দুটি নীতি হল— i. সাবলীলতা : এখানে সাবলীলতা হল চিন্তন প্রক্রিয়ার দ্রুততা। সাবলীলতা হল সৃজনশীল কাজের একটি বৈশিষ্ট্য। ii. নমনীয়তা : নমনীয়তা বলতে বোঝানো হয় গতানুগতিক সংস্কৃতি, পূর্বে গৃহীত ধারণা প্রভৃতিকে সহজেই ত্যাগ করার ক্ষমতা। সৃজনশীল কাজের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
Q88. রঙ্গোলি কী?
➧ মাটির ওপর অঙ্কিত শুভ নকশাকে রঙ্গোলি বলা হয়। এটি সংস্কৃত শব্দ ‘রঙ্গভালি’ থেকে এসেছে। যার অর্থ রং দিয়ে অঙ্কিত লতা। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, রঙ্গোলি সমৃদ্ধি ও শ্রীর দেবীকে আহ্বান করে। এইজন্য শুভ অনুষ্ঠানে রঙ্গোলির আয়োজন করা হয়।
Q89. Simple Hand পাপেট কাকে বলে?
➧ একদম সাদামাটা Hand Puppet-গুলিতে খুব কম নড়াচড়া করার অংশ থাকে। এইগুলো তৈরি হয় মোটা শক্ত ধরনের প্ল্যাস্টিক অথবা কাপড় দিয়ে। এই ধরনের Hand Puppet-এর মুখ খোলা করা যায় না। এইগুলো হাতের থেকে খুব বেশি বড়ো হয় না।
Q90. অরিগামির সুবিধা কী?
➧ অরিগামির সুবিধাগুলি হল—
(ক) শুধুমাত্র কাগজ ব্যবহার করে করা যায়।
(খ) উপকরণের প্রয়োজন হয় না।
(গ) শিক্ষার্থীদের সহজে শেখানো যায়।
(ঘ) কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই কাজটি করা যায়।
Q91. ইকেবানা বলতে কী বোঝায়?
➧ ইকেবানা শব্দটি জাপান থেকে এসেছে। জাপানি ফুল সাজানোকে ইকেবানা বলা হয়। জাপানি শব্দ ইকেরু (Ikeru) মানে বাঁচিয়ে রাখা, ফুল সাজানো বোঝায় এবং হানা (Hana) মানে ফুল। ইকেবানা এক ধরনের ফুল সাজানোর শিল্প। জাপানে এই শিল্পের চর্চা দীর্ঘদিন ধরে চলছে।
Q92. ফ্রেস্কো কাকে বলে?
➧ বালি ও চুনের প্লাস্টার (Plaster) ভিজে থাকতে থাকতে তার উপর রং দিয়ে যে ছবি আঁকা হয়, তাকে ফ্রেস্কো (Fresco) বলে। ফ্রেস্কো সাধারণত দু-ধরনের হয়। যেথা— (১) ফ্রেস্কো বুয়োনো (Fresco Buono )
(২) ফ্রেস্কো সেকো (Fresco Secco) বা ড্রাই সেকো।
Q93. কাগজের মণ্ডের সুবিধা কী কী?
➧ কাগজের মণ্ডের সুবিধাগুলি হল— (ক) ফেলে দেওয়া কাগজকে পুনরায় ব্যবহার করা যায়। (খ) মাটির পরিবর্তে ব্যবহার করা যায়। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে মাটির পরিবর্তে উপযুক্ত মাধ্যম। (গ) কম খরচে কাজটি করা যায়।
Q94. পেপার ম্যাসে কী?
➧ পেপার ম্যাসে শব্দটি ফরাসি ভাষা থেকে এসেছে। একটি কাগজের উপর আর একটি কাগজের স্তর লাগিয়ে পেপার ম্যাসে করা হয়। প্রাচীন মিশরে এই পদ্ধতিতে কফিন বা মুখোশ তৈরি হত। আমাদের পুরুলিয়া জেলায় ছৌ-এর মুখোশে পেপার ম্যাসে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
Q95. ম্যুরাল কাকে বলে?
➧ ম্যুরাল শব্দটির আক্ষরিক অর্থ দেয়ালচিত্র। Mur শব্দটির অর্থ দেয়াল। তাই দেয়ালের ওপর আঁকা চিত্র হল ‘ম্যুরাল’। সর্বপ্রাচীন ম্যুরালের বয়স আনুমানিক 30,000 খ্রিস্টপূর্বাব্দ। প্রাক্ প্রস্তরযুগে অঙ্কিত এই ম্যুরালগুলির নিদর্শন ছড়িয়ে আছে নানা জায়গায়। তার মধ্যে স্পেনের আলতামিরা, ফ্রান্সের লাসকো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সাধারণত আর্থকালার ও চারকোলের সঙ্গে পশুচর্বি মেড়ে নিয়ে রং তৈরি করে লাগানো হত।
Q96. মাটির কাজের গুরুত্ব কী?
➧ মাটির কাজের গুরুত্ব হল— i. কাজটির মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীর সৌন্দর্যবোধ বৃদ্ধি পাবে, ii. শিক্ষার্থীরা কাজের পদ্ধতি ক্রম অনুসারে অনুকরণ করতে শিখবে, iii. উপকরণ সম্পর্কে প্রকৃত ধারণালাভ করবে, iv. কাজটি শেখার মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মবিকাশ বাড়বে।
Q97. ভিত্তিচিত্রের মাধ্যমে শিশুমনে সৌন্দর্যবিকাশ কীভাবে ঘটে?
➧ চিত্রের পাশে ভিত্তিচিত্রে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর নাম লিখে দিতে হবে। ভিত্তিচিত্র অঙ্কনের ফলে বিদ্যালয়প্রাঙ্গণ সুসজ্জিত হবে। শিশু ও বালক-বালিকারা তাদের চারপাশে অঙ্কন দেখলে তাদের সৌন্দর্যবোধ বিকশিত হবে ও তারাও বড়ো হয়ে বিদ্যালয়প্রাঙ্গণকে আরও সুন্দর করে তোলার জন্য নিজেরাও ভিত্তিচিত্র অঙ্কনে অংশগ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত হয়ে উঠবে।
EPC-2 Drama and arts in education
● Mark - 2 Notes
● Version : Bengali
● Quality : Full HD
● PDF Size : 800 KB
● PDF Total Page : 18
● Download Server : Google Drive
📢 PDF Uploaded Coming Soon
No comments
Hi Welcome ....