WBCHSE H.S Philosophy S.A.Q Questions Practice Set 2023 ২০২৩ উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন চারটি অধ্যায় একসঙ্গে প্রশ্নও উত্তর প্র্যাকটিস সেট ৭. বুল...
WBCHSE H.S Philosophy S.A.Q Questions Practice Set 2023
৭. বুলীয় ভাষ্য ও ভেনচিত্র
৮. সত্যাপেক্ষক
৯. আরোহ অনুমানের স্বরূপ
১০.কারণ
৮. সত্যাপেক্ষক
৯. আরোহ অনুমানের স্বরূপ
১০.কারণ
❏ ⇩ Table of Contents ⇩
বুলীয় ভাষ্য ও ভেনচিত্র প্র্যাকটিস সেট
Q1.বুলীয় ভাষ্য কী?
অথবা, নিরপেক্ষ বচনের বুলীয় ব্যাখ্যা কী?
➣অস্তিত্বমূলক তাৎপর্যের ভিত্তিতে জর্জ বুল নিরপেক্ষ বচনের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা বুলীয় ভাষ্য নামে পরিচিত। এই ব্যাখ্যায় বলা হয় যে, সামান্য বচনের অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য নেই, কেবল বিশেষ বচনের অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য আছে।
Q2.বুলীয় লিপি কী?
➣অস্তিত্বমূলক তাৎপর্যের ভিত্তিতে বুল চার প্রকার নিরপেক্ষ বচনের যে গাণিতিক রূপ দিয়েছেন, তাকে বলে বুলীয় লিপি।
Q3. অস্তিত্বমূলক তাৎপর্যের ধারণার প্রবর্তক কী?
➣ অস্তিত্বমূলক তাৎপর্যের ধারণার প্রবর্তক ছিলেন জর্জ বুল।
Q4. বুলীয় লিপির উদ্ভাবক কে?
➣ বুলীয় লিপির উদ্ভাবক হলেন জর্জ বুল।
Q5.অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য কাকে বলে?
➣ কোনো বচনের মাধ্যমে যদি অন্তত কোনো একটি ব্যক্তি বা বস্তুর অস্তিত্বকে ঘোষণা করা হয়, তবে তাকে অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য বলা হয়।
Q6.অস্তিত্বমূলক দোষ কাকে বলে?
➣ যে বচনের অস্তিত্বমূলক স্বীকৃতি নেই, সেই বচনকে হেতুবাক্য করে যদি এমন বচন নিঃসৃত করা হয় যার অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য আছে; তখন সেই যুক্তিকে অস্তিত্বমূলক দোষ বলা হয়।
Q7.কোন কোন বচনের অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য আছে?
➣বিশেষ বচনের অর্থাৎ I এবং O বচনের অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য আছে।
Q8.শ্রেণি গুণফল বা শ্রেণি ব্যবচ্ছেদ কাকে বলে?
➣ যেসব ব্যক্তি বা বস্তু একইসঙ্গে দুটি শ্রেণির সদস্য, তাদের নিয়ে যে ক্ষুদ্রতর শ্রেণি গঠন করা হয়, সেই ক্ষুদ্রতর শ্রেণিটিকে উক্ত শ্রেণি দুটির গুণফল বা ব্যবচ্ছেদ বলা হয়।
Q9.শূন্যগর্ভ শ্রেণি কাকে বলে?
➣ শূন্যগর্ভ শ্রেণির প্রথম প্রবক্তা হলেন জর্জ বুল। যে শ্রেণির অন্তর্গত কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর বাস্তব অস্তিত্ব নেই, তাকে শূন্যগর্ভ শ্রেণি বলে। যেমন— ঘুমপরি।
Q10. সমীকরণের আকার কী?
➣ বুলীয় রীতি অনুসারে S দ্বারা নির্দেশিত শ্রেণি শূন্যগর্ভ হলে ‘S’ ও ‘0’ –এর মধ্যে একটা সমীকরণ চিহ্ন (=) বসিয়ে লিখতে হয় S = 0, একেই বলে সমীকরণের আকার।
Q11.অসমীকরণের আকার কী?
➣ বুলীয় রীতি অনুসারে S দ্বারা নির্দেশিত শ্রেণি যদি সদস্যযুক্ত হয় তবে ‘s’ এবং ‘0’-এর মধ্যে একটা অসমীকরণ চিহ্ন (≠) বসিয়ে লিখতে হয় S ≠ 0, একেই বলে অসমীকরণের আকার।
Q12.নিঃশূন্য বচন কাকে বলে?
➣ যে বচনের উভয় পদ দ্বারা কমপক্ষে একজন ব্যক্তি বা বস্তুর অস্তিত্ব বোঝায়, তাকে নিঃশূন্য বচন বলা হয়। যেমন— বিজ্ঞ মানুষ।
Q13.একক শ্রেণি কাকে বলে?
➣যে শ্রেণি কেবল একটি ব্যক্তি বা বস্তুর অস্তিত্ব নির্দেশ করে, তাকে একক শ্রেণি বলা হয়।
Q14.পরিপূরক শ্রেণি বলতে কী বোঝো?
➣ মূল শ্রেণির বিরুদ্ধ শ্রেণিকে মূল শ্রেণির পরিপূরক শ্রেণি বলা হয়।
Q15. বিরুদ্ধ শ্রেণি কাকে বলে?
➣ যদি দুটি পদ এমন দুটি শ্রেণিকে বোঝায়, যাদের, কোনো বস্তুই উভয় শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না, তখন সেই বিরোধী শ্রেণি দুটিকে পরস্পরের বিরুদ্ধ শ্রেণি বলা হয়। যেমন— ‘মানুষ’ শ্রেণিটির বিরুদ্ধ শ্রেণি হল অ-মানুষ।
সত্যাপেক্ষক প্র্যাকটিস সেট
Q1.ধ্রুবক কাকে বলে?➣ যুক্তি বা বচনের যেসব প্রতীককে পরিবর্তন করা যায় না, তাকে ধ্রুবক বলে। যেমন—- (ডট), v (ভেল) প্রভৃতি।
Q2.সংকেত বা প্রতীক কাকে বলে?
➣সংকেত বা প্রতীক হল এক প্রতিনিধিমূলক চিহ্ন, যার সাহায্যে বাক্য বা বচন বা তার কোনো অংশকে প্রকাশ করা যায়।
Q3.গ্রাহক কী?
➣ যে প্রতীকচিহ্নের স্থানে আমরা যে-কোনো পদ বা বচন বসাতে পারি, তাকে বলে গ্রাহক প্রতীক বা গ্রাহক। যেমন— p হল একটি প্রতীকচিহ্ন। p-এর পরিবর্তে আমরা ‘মানুষ’ পদটি বসাতে পারি আবার ‘রাম হয় মানুষ’ বচনটিও বসাতে পারি।
Q4.পদ-গ্রাহক প্রতীক কাকে বলে?
➣ যে প্রতীকচিহ্ন আমরা যে-কোনো পদের (উদ্দেশ্য ও বিধেয়) পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারি তাকে পদ-গ্রাহক প্রতীক বলা হয়। যেমন— ‘সকল মানুষ হয় মরণশীল'—এখানে মানুষ (উদ্দেশ্য) পদটির পরিবর্তে আমরা p এবং মরণশীল (বিধেয়) পদটির পরিবর্তে বসাতে পারি। p ও q হল পদ-গ্রাহক প্রতীক ।
Q5.নিবেশন দৃষ্টান্ত কাকে বলে?
➣ একটি বচনাকার থেকে প্রাপ্ত একাধিক বচনগুলিকে নিবেশন দৃষ্টান্ত বলা হয়। যেমন— p এই বচনাকার থেকে— রাম হয় বিদ্বান, সকল ফুল হয় সুন্দর, সুমনা হয় বুদ্ধিমতী ইত্যাদি বচন পাওয়া যেতে পারে।
Q6.সত্যাপেক্ষ যুক্তি কাকে বলে?
➣ যে যুক্তির অন্তত একটি অবয়ববাক্য যৌগিক বচন সেই যুক্তিকে সত্যাপেক্ষ যুক্তি বলে।
Q7.সত্যাপেক্ষক কাকে বলে?
➣সত্যাপেক্ষ বচনের আকারকে সত্যাপেক্ষক বলে। যেমন— ‘যদি মেঘ করে তবে বৃষ্টি হবে’ –সত্যাপেক্ষ এই বচনের আকারটি অর্থাৎ সত্যাপেক্ষকটি হল pつ q |
Q8.নিষেধক বচন কাকে বলে?
➣কোনো বচনে যা বলা হয়, তাকে অস্বীকার করলে বা তাকে মিথ্যা বলে ঘোষণা করলে যে বচনটি পাওয়া যায়, তাকে ওই মূল বচনের নিষেধক বচন বলে। যেমন— ‘এমন নয় যে মানিকবাবু সৎ’।
আরোহ অনুমানের স্বরূপ প্র্যাকটিস সেট
Q1.মন্দ উপমাযুক্তি কাকে বলে?➣ যে উপমাযুক্তিতে দুটি বিষয়ের সাদৃশ্য নিছকই আকস্মিক, বাহ্যিক, অপ্রাসঙ্গিক ও কম গুরুত্বপূর্ণ হয় এবং তারই ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তাকে মন্দ বা দুষ্ট উপমাযুক্তি বলা হয় ।
Q2.একটি মন্দ উপমাযুক্তির উদাহরণ দাও।
➣ একটি মন্দ উপমাযুক্তির উদাহরণ :
কুকুর ও চেয়ার উভয়েরই চারটি পা আছে।
কুকুর কামড়াতে পারে।
.:. চেয়ারও কামড়াতে পারবে।
Q3.আরোহ অনুমানের আকারগত ভিত্তিগুলি কী কী?
➣ আরোহ অনুমানের আকারগত ভিত্তিগুলি হল কার্যকারণ সম্পর্ক এবং প্রকৃতির একরূপতা নীতি।
Q4.আরোহ অনুমান কাকে বলে? / আরোহ অনুমানের সংজ্ঞা দাও।
➣ কয়েকটি বিশেষ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে প্রকৃতির একরূপতা ও কার্যকারণ নীতির উপর ভিত্তি করে একটি সার্বিক সংশ্লেষক বচন প্রতিষ্ঠা করাকেই আরোহ অনুমান বলা হয়।
Q5.আরোহ যুক্তির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
➣ আরোহ অনুমানের দুটি বৈশিষ্ট্য হল— (১) আরোহ অনুমানের সিদ্ধান্তটি একাধিক যুক্তিবাক্য থেকে নিঃসৃত হয়। (২) আরোহ অনুমানের সিদ্ধান্তটি সামান্য সংশ্লেষক বচন হয়।
Q6. সামান্যীকরণ বলতে কী বোঝো?
➣ কতকগুলি বিশেষ মূর্ত দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে সমজাতীয় সমগ্র বিষয়ের বিমূর্ত ধারণা গঠনের মানসিক প্রক্রিয়াকে
সামান্যীকরণ বলে। ‘লৌকিক আরোহের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
Q7.অবৈজ্ঞানিক আরোহকে লৌকিক আরোহ বলা হয় কেন?
➣ অবৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমান সাধারণ মানুষের মতো কার্যকারণ সম্বন্ধ নির্ণয় না করেই অবাধ অভিজ্ঞতার উপর
ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গঠন করে বলে একে লৌকিক আরোহ বলা হয়।
Q8.লৌকিক আরোহ অনুমানকে অবৈজ্ঞানিক বলা হয় কেন?
➣ লৌকিক আরোহ অনুমানে অবৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমানের মতোই কার্যকারণ সম্বন্ধের উপর নির্ভর না করে কেবলমাত্র
অবাধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিশেষ বচন থেকে সামান্য বচনে যাওয়া হয় বলে একে অবৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমান বলা হয়।
➣ অবৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমান সাধারণ মানুষের মতো কার্যকারণ সম্বন্ধ নির্ণয় না করেই অবাধ অভিজ্ঞতার উপর
ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গঠন করে বলে একে লৌকিক আরোহ বলা হয়।
Q8.লৌকিক আরোহ অনুমানকে অবৈজ্ঞানিক বলা হয় কেন?
➣ লৌকিক আরোহ অনুমানে অবৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমানের মতোই কার্যকারণ সম্বন্ধের উপর নির্ভর না করে কেবলমাত্র
অবাধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিশেষ বচন থেকে সামান্য বচনে যাওয়া হয় বলে একে অবৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমান বলা হয়।
Q9.অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ কী?
➣ অবৈজ্ঞানিক বা লৌকিক আরোহ অনুমানে কতিপয় সদর্থক দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে, কার্যকারণ সম্বন্ধের উপর ভিত্তি না
করে, কেবল অবাধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সার্বিক সংশ্লেষক বচন প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর ফলে যে দোষের সৃষ্টি হয়, তাকে
অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ বলে।
Q10.অবৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমানকে কি মূল্যহীন বলা যায়?
➣ না, অবৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমানকে মূল্যহীন বলা যায় না। কারণ আমরা দৈনন্দিন জীবনে কার্যকারণ নিয়মের উপর
নির্ভর না করে অনেক সময় অবাধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্তে উপনীত হই। এ ছাড়া এই ধরনের অনুমান কার্যকারণ সম্পর্কের একটা ইঙ্গিত দিয়ে থাকে, তা অস্বীকার করা যায় না।
Q11.বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমানের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।
➣ অবৈজ্ঞানিক বা লৌকিক আরোহ অনুমানে কতিপয় সদর্থক দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে, কার্যকারণ সম্বন্ধের উপর ভিত্তি না
করে, কেবল অবাধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সার্বিক সংশ্লেষক বচন প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর ফলে যে দোষের সৃষ্টি হয়, তাকে
অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ বলে।
Q10.অবৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমানকে কি মূল্যহীন বলা যায়?
➣ না, অবৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমানকে মূল্যহীন বলা যায় না। কারণ আমরা দৈনন্দিন জীবনে কার্যকারণ নিয়মের উপর
নির্ভর না করে অনেক সময় অবাধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্তে উপনীত হই। এ ছাড়া এই ধরনের অনুমান কার্যকারণ সম্পর্কের একটা ইঙ্গিত দিয়ে থাকে, তা অস্বীকার করা যায় না।
Q11.বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমানের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।
বৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমান | অবৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমান |
---|---|
(i) বৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমানের সিদ্ধান্তটি কার্যকারণ নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত। | (i) অবৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমানের সিদ্ধান্তটি অবাধ অভিজ্ঞতার উপর প্রতিষ্ঠিত। |
(ii) বৈজ্ঞানিক আরোহে সদর্থক ও নঞর্থক উভয় প্রকার দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। | (ii) অবৈজ্ঞানিক আরোহে কেবল সদর্থক দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। নঞর্থকের প্রতি লক্ষ রাখা হয় না। |
Q12. সাদৃশ্যমূলক আরোহ অনুমান কাকে বলে?
অথবা, উপমাযুক্তি কাকে বলে?
➣ যে প্রকার আরোহ অনুমানে দুই বা ততোধিক বস্তুর মধ্যে কয়েকটি বিষয়ে সাদৃশ্য লক্ষ করে অপর কোনো বিষয়ে
তাদের মধ্যে সাদৃশ্য আছে বলে অনুমান করা হয়, তখন তাকে সাদৃশ্যমূলক আরোহ অনুমান বা উপমাযুক্তি বলে।
Q13. উপমা কাকে বলে?
➣ দুটি বিষয়ের মধ্যে সাদৃশ্যের ভিত্তিতে কোনো কিছু বর্ণনা, কল্পনা বা অনুমান করাকে উপমা বলা হয়।
Q14.উপমাযুক্তির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
➣ উপমাযুক্তির দুটি বৈশিষ্ট্য হল – (ক) উপমাযুক্তিতে আমরা বিশেষ সত্য থেকে বিশেষ সত্যে উপনীত হই। (খ) উপমাযুক্তিতে জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাই এখানে আরোহমূলক লাফ বর্তমান থাকে।
Q15. উপমাযুক্তির মূল্যায়নের একটি মানদণ্ড লেখো।
➣ উপমাযুক্তির মূল্যায়নের একটি মানদণ্ড হল হেতুবাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্তের সংখ্যা যত বেশি হবে, উপমাযুক্তির সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতাও তত বেশি হবে।
Q16. উপমাযুক্তি মূল্যায়নের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড কী?
অথবা, উপমাযুক্তির মূল্যায়নে প্রাসঙ্গিকতার মানদণ্ডটি লেখো।
➣ উপমাযুক্তির সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ডটি হল— যুক্তিবাক্যের দৃষ্টান্তগুলির মধ্যে সাদৃশ্যগুলি যদি প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতার মাত্রা বেশি হবে, আর সাদৃশ্যগুলি যদি অপ্রাসঙ্গিক হয় তবে সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতার মাত্রা কম।
অথবা, উপমাযুক্তি কাকে বলে?
➣ যে প্রকার আরোহ অনুমানে দুই বা ততোধিক বস্তুর মধ্যে কয়েকটি বিষয়ে সাদৃশ্য লক্ষ করে অপর কোনো বিষয়ে
তাদের মধ্যে সাদৃশ্য আছে বলে অনুমান করা হয়, তখন তাকে সাদৃশ্যমূলক আরোহ অনুমান বা উপমাযুক্তি বলে।
Q13. উপমা কাকে বলে?
➣ দুটি বিষয়ের মধ্যে সাদৃশ্যের ভিত্তিতে কোনো কিছু বর্ণনা, কল্পনা বা অনুমান করাকে উপমা বলা হয়।
Q14.উপমাযুক্তির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
➣ উপমাযুক্তির দুটি বৈশিষ্ট্য হল – (ক) উপমাযুক্তিতে আমরা বিশেষ সত্য থেকে বিশেষ সত্যে উপনীত হই। (খ) উপমাযুক্তিতে জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাই এখানে আরোহমূলক লাফ বর্তমান থাকে।
Q15. উপমাযুক্তির মূল্যায়নের একটি মানদণ্ড লেখো।
➣ উপমাযুক্তির মূল্যায়নের একটি মানদণ্ড হল হেতুবাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্তের সংখ্যা যত বেশি হবে, উপমাযুক্তির সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতাও তত বেশি হবে।
Q16. উপমাযুক্তি মূল্যায়নের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড কী?
অথবা, উপমাযুক্তির মূল্যায়নে প্রাসঙ্গিকতার মানদণ্ডটি লেখো।
➣ উপমাযুক্তির সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ডটি হল— যুক্তিবাক্যের দৃষ্টান্তগুলির মধ্যে সাদৃশ্যগুলি যদি প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতার মাত্রা বেশি হবে, আর সাদৃশ্যগুলি যদি অপ্রাসঙ্গিক হয় তবে সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতার মাত্রা কম।
কারণ প্র্যাকটিস সেট
Q1. ‘বেইন (Bain)-এর মতে কারণের সংজ্ঞা কী?
➣ বেইন-এর মতে, কারণ হল কার্যের জন্য অনিবার্যভাবে প্রয়োজনীয় শর্তাবলি ও পারিপার্শ্বিক ঘটনার সমষ্টি।
Q2.কার্ভেথ রিড কীভাবে কারণের লক্ষণ দিয়েছেন?
➣ কার্ভেথ রিড-এর মতে, গুণের দিক দিয়ে কারণ হল কার্যের অব্যবহিত, শর্তান্তরহীন, অপরিবর্তনীয় পূর্ববর্তী ঘটনা এবং
পরিমাণের দিক থেকে কারণ হল কার্যের সমান।
Q3. কারণের প্রকৃতি সম্পর্কে কার্ভেথ রিড কী বলেছেন?
➣ গুণের দিক থেকে কারণ হল, কার্যের অব্যবহিত শর্তান্তরহীন অপরিবর্তনীয় পূর্ববর্তী ঘটনা এবং পরিমাণের দিক থেকে
কারণ হল কার্যের সমান।
Q4.মিল ‘স্থায়ী কারণ’ বলতে কী বলেছেন?
➣ যেসব ঘটনাকে সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করা সম্ভব নয়, দার্শনিক মিল তাদের নাম দিয়েছেন স্থায়ী কারণ। যেমন – উত্তাপ, বায়ুমণ্ডলীয় চাপ, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ইত্যাদি।
Q5.মিল কীভাবে কারণ-এর লক্ষণ দিয়েছেন?
➣ মিল এর মতে, যদি কোনো ঘটনা শর্তান্তরহীন ও অপরিবর্তনীয়ভাবে পূর্ববর্তী কোনো ঘটনা বা ঘটনার সংমিশ্রণকে
অনুসরণ করে, তাহলে পূর্ববর্তী ঘটনাকে কারণ বলা হয়।
Q6.মিল কারণ-এর কি সংজ্ঞা দিয়েছেন?
➣মিলের মতে, কারণ হল কার্যের নিয়ত শর্তহীন, অপরিবর্তনীয় পূর্বগামী ঘটনা।
Q7.কারণ কাকে বলে?
➣ দার্শনিক কার্ভেথ রিড-এর মতে, গুণের দিক থেকে কারণ হল কার্যের অব্যবহিত শর্তান্তরবিহীন, অপরিবর্তনীয়, পূর্ববর্তী ঘটনা।
Q8. কার্য কী?
➣ কারণের জন্য যা কিছু ঘটে তা হল কার্য।
Q9.কার্যকারণ সম্পর্ক আরোহ অনুমানের কীরূপ ভিত্তি?
➣ কার্যকারণ সম্পর্ক আরোহ অনুমানের আকারগত ভিত্তি।
Q10.কারণের পরিমাণগত লক্ষণের মূলভিত্তিগুলি কী কী?
➣ কারণের পরিমাণগত লক্ষণের মূলভিত্তিগুলি হল— (১) জড়ের সংরক্ষণ নীতি এবং (২) শক্তির নিত্যতা নীতি।
Q11.কারণের পরিমাণগত সমতা কোন দুটি নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত?
➣ কারণের পরিমাণগত লক্ষণ যে দুটি নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত তা হল—(১) ভরের নিত্যতা সূত্র এবং (২) শক্তির নিত্যতা সূত্র।
Q12.শক্তির নিত্যতা সূত্র কী?
➣ এই জগতে শক্তির পরিমাণ অপরিবর্তিত। যে পরিবর্তন আমরা লক্ষ করি, তা হল শক্তির বিশেষ রূপের পরিবর্তন। যেমন— কয়লার দহনের ফলে তাপ সৃষ্টি হয়। আবার তাপ- বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
Q13.শর্ত কী?
➣ শর্ত হল কারণের এমন এক অপরিহার্য অংশ, যা কার্য সৃষ্টি করার পক্ষে একান্ত প্রয়োজনীয়।
Q14.বহুকারণবাদের একটি অসুবিধা লেখো।
➣ বহুকারণবাদ মেনে নিলে কারণকে কার্যের অপরিবর্তনীয় পূর্ববর্তী ঘটনা বলা যাবে না।
Q15.বহুকারণবাদের সমস্যা দূর করার একটি উপায় লেখো।
➣ বহুকারণবাদে কারণ ও কার্য উভয়কে সামান্য অথবা বিশেষ অর্থে গ্রহণ করা হলে, বহুকারণবাদের সমস্যা দূর হবে।
Q16. বৃষ্টি হল মাটি ভেজার কারণ—বাক্যটিতে 'কারণ' কথাটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
➣ উল্লিখিত বাক্যটিতে ‘কারণ’ কথাটি পর্যাপ্ত শর্ত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
Q17.‘এককারণবাদ কী?
➣ যে মতবাদ অনুসারে একটি কার্যের কেবল একটি কারণ থাকে, তাকে এককারণবাদ বলে।
❏ আরো পড়ুনঃ
● h.s philosophy question 2019
● h.s philosophy question 2020
● h.s philosophy suggestion 2022
No comments
Hi Welcome ....