❐ আরো পড়ুনঃ উচ্চমাধ্যমিক Philosophy MCQ সূচিপত্র Class 12th MCQ Question Practice Chapter - 1 ❍ যুক্তি : অধ্যায়ের আলোচনা ● যুক্তি ...
❐ আরো পড়ুনঃ
Class 12th MCQ Question Practice Chapter - 1
❍ যুক্তি : অধ্যায়ের আলোচনা
● যুক্তি চেনার উপায় : যুক্তি হল জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হওয়ার একটি প্রক্রিয়া। যুক্তি গঠিত হয় এক বা একাধিক আশ্রয়বাক্য এবং একটি সিদ্ধান্তের সমন্বয়ে। কিন্তু যে-কোনো বচনসমষ্টিকেই যুক্তি বলা যাবে না। আমরা সেই সমস্ত বচনসমষ্টিকে যুক্তি বলব, যেখানে ঘোষিত এক বা একাধিক বচনের সত্যতা থেকে আর-একটি বচনের সত্যতা নিঃসৃত হওয়ার দাবি করা হয়।● অবরোহ যুক্তি চেনার উপায় : অবরোহ যুক্তির প্রধান আশ্রয়বাক্য বা হেতুবাক্য সর্বদাই সামান্য বচন বা সার্বিক সংশ্লেষক বচন হয় এবং সিদ্ধান্ত অনিবার্যভাবে আশ্রয়বাক্য বা হেতুবাক্য থেকে নিঃসৃত হয়। সিদ্ধান্তে কোনো নতুনত্ব থাকে না।
● আরোহ যুক্তি চেনার উপায় : আরোহ যুক্তির আশ্রয়বাক্য সর্বদাই বিশেষ বচন এবং সিদ্ধান্ত সার্বিক ৰচন হয়। সিদ্ধান্তে নতুনত্ব আরোহ অনুমানের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
● বৈধ ও অবৈধ যুক্তি : বৈধ যুক্তির আশ্রয়বাক্য সত্য হলে সিদ্ধান্ত কখনোই মিথ্যা হতে পারে না। আর অবৈধ যুক্তির আশ্রয়বাক্য সত্য হলে সিদ্ধান্ত সত্যও হতে পারে, আবার মিথ্যাও হতে পারে।
সোফিস্ট নামক গ্রিস দেশীয় দার্শনিকগণ তর্কমূলক আলোচনার রীতি উদ্ভাবন করেন। তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষাদান; প্রমাণ বা প্রতিষ্ঠা নয়। তাই তাঁরা যুক্তি-সহ সুদৃঢ় মত প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে অপরকে নিজ মত গ্রহণে বাধ্য করেন এবং এতেই তাঁরা সন্তুষ্ট ছিলেন। অ্যারিস্টট্ল (খ্রি.পূ. ৩৮৪-খ্রি.পূ.৩২২)-ই প্রথম উপলব্ধি করেছিলেন যে, বিচারমূলক চিন্তা নিয়েই এক বিশিষ্ট বিজ্ঞানের বিষয়বস্তু গড়ে উঠতে পারে। তাই অ্যারিস্টলকে পাশ্চাত্য যুক্তিবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তাঁর সময় থেকে যুক্তিবিজ্ঞান নিরন্তর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে। অ্যারিস্টট্ল মধ্যযুগীয় তার্কিক সম্প্রদায় এবং পোর্ট রয়াল
লজিকের নীতিসমূহের যুক্তিবিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে যে যুক্তিবিজ্ঞান, তাকে সাধারণত পরম্পরাগত যুক্তিবিজ্ঞান বা ট্র্যাডিশনাল লজিক নামে অভিহিত করা হয়।
অ্যারিস্টট্ল প্রথম বচনের আকারের গুরুত্ব অনুভব করেন এবং সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, সব অনুমানই হল আকারনিষ্ঠ। তাঁর এই আবিষ্কার তাঁকে প্রসিদ্ধির সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করে। প্রাচীনপন্থী বা অ্যারিস্টটলীয় ধারানুসৃত আকারনিষ্ঠ যুক্তি-
বিজ্ঞানের ভিত্তি হল – (১) বচনের A, E, I, O – এই চতুর্বিধ রূপ, (২) কোনো উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো বিধেয়কে স্বীকার বা অস্বীকারের মাধ্যমেই বচনের গঠন বা রূপ প্রকাশিত হয়। (৩) ন্যায় বা সিলজিমই হল অনুমানের একমাত্র রূপ। অ্যারিস্টটলীয় ধারানুসৃত যুক্তিবিজ্ঞান ও আধিবিদ্যক যুক্তিবিজ্ঞানের বিরোধিতা করেন প্রয়োগবাদীরা। যুক্তিবিজ্ঞানকে মানুষের জীবনোপযোগী করার জন্য এবং যুক্তিক্রিয়াকে মানুষের অন্যান্য ক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করার প্রচেষ্টায় তাঁরা মনোবিজ্ঞানকে যুক্তিবিজ্ঞানের ভিত্তিস্বরূপ মনে করেছেন।
যুক্তিবিজ্ঞানের লক্ষ্য হল ‘আকারের’ স্বরূপ প্রকাশ করা। সাংকেতিক বা প্রতীকমূলক যুক্তিবিজ্ঞান হল আকারনিষ্ঠ। গাণিতিক প্রমাণ-পদ্ধতির স্বরূপ বিশ্লেষণে প্রমাণিত হয়েছে যে, সম্পূর্ণভাবে আকারনিষ্ঠ হলেই সেগুলি প্রকৃত প্রমাণ হয়ে উঠতে পারে। অতএব, গণিতমাত্রই হল বিশুদ্ধ আকারবিজ্ঞান। সুতরাং যুক্তিবিজ্ঞান তার প্রকৃত লক্ষ্যে উপনীত হলে বিশুদ্ধ গণিতের সঙ্গে তার অভেদ রচিত হবে। আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যুক্তিবিজ্ঞানকে আকারনিষ্ঠ শাস্ত্ররূপে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে— ফলে বিশুদ্ধ যুক্তিবিজ্ঞান ও বিমূর্ত গণিতশাস্ত্রের মধ্যে অভিন্নতা প্রমাণিত হয়েছে। তাই নবতম যুক্তিবিজ্ঞানের প্রেরণার জনক হলেন সাংকেতিক বা গাণিতিক যুক্তিবিজ্ঞানীরা। সাংকেতিক বা প্রতীকচিহ্নের মাধ্যমে যুক্তির আকার স্পষ্ট হয়।
120 sec
No comments
Hi Welcome ....