ষষ্ঠ শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর বাংলা Class 6 Bengali Sahitocharcha Questions Answer ▻ আরো পড়ুনঃ ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা সূচিপত্র ...
তিনটি অধ্যায়ঃ একসঙ্গে প্রশ্ন উত্তর |
---|
অধ্যায়ঃ ৪ ▻ মেনি |
অধ্যায়ঃ ৫ ▻ পশুপাখির ভাষা |
অধ্যায়ঃ ৬ ▻ ঘাস ফড়িং |
মেনি কবিতার বিষয়বস্তু :
আমাদের গৃহপালিত প্রাণী হল গোরু, কুকুর, বিড়াল, ঘোড়া, ছাগল, মহিষ ইত্যাদি। বিড়াল তাদের অন্যতম। বিড়াল সর্বত্রই দেখা যায়। সমস্ত প্রাণীরই নারীপুরুষ আছে। তেমনি বিড়ালেরও আছে নারী-পুরুষ। পুরুষ জাতীয় বিড়ালকে বলা হয় হুলো বিড়াল। নারী জাতীয় বিড়ালকে বলা হয় মেনি বিড়াল। এদের শরীরে আছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তুলতুলে নরম লোম। কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের লেখা ‘মেনি’ কবিতায় স্পষ্টতই একটি নারী জাতীয় বিড়ালের কথা বলা হয়েছে। বিড়াল অধিকাংশই দুষ্টু প্রকৃতির হয়। এরা মানুষের সঙ্গেই বাস করে। অর্থাৎ, এদের শরীর নরম তুলতুলে বলে অনেকেই কোলে নিয়ে আদর করে। কবিতায় সেইরকমই একটি আদুরে মেনি বিড়ালের কথা কবি তুলে ধরেছেন। কবির বাড়ির ঘনিষ্ঠ একটি বিড়াল হাঁড়ি থেকে মাছ তুলে খেয়ে নেয়। মেনিটার জন্য ঘরে দুধ দই রাখা দায় হয়ে পড়ে। অর্থাৎ, খুব সাবধানে না রাখলে বিড়াল সুযোগ বুঝে যেভাবেই হোক দুধ দই চুরি করে খাবে এবং নষ্ট করে দেবে।
বিড়ালটা পাশাপাশি সমস্ত বাড়িতেই যাওয়া আসা করে। তার স্বভাব মতো সব বাড়িরই কিছু না কিছু সে ক্ষতি করে।ছোটোদের বিছানায় আরামে ঘুমোতে ভালোবাসে। উৎপাত ছাড়া মেনি বিড়ালটা আর কিছুই জানে না। তার অনেক দোষ। গুণ কিছুই নেই। তবু তার ওপর একটা আকর্ষণ অনুভব করেন কবি। তাকে ছেড়ে দিতে বা তাড়িয়ে দিতেও মন চায় না। প্রকৃতপক্ষে মানুষেরও স্বভাব হল, ছোটোদের প্রতি একটা স্নেহের টান। বিড়াল দুষ্টু প্রাণী হলেও সে মানুষের সঙ্গে থেকে বাড়ির শিশুদের মতোই মেলামেশা করার সুযোগ নিয়ে বসে। শিশুরা যেমন তাদের স্বভাব অনুযায়ী কোনো ন্যায়-অন্যায়, ভুল-ত্রুটি বিচার না করে যা খুশি তাই করে, তেমনি মেনি বিড়ালও স্নেহের সুযোগ নিয়ে যা খুশি তাই করে। তাতে বড়োদের রাগ হয়।
একদিন সেই বিড়ালটাকে দেখতে না পেলে আবার মন তাকেই খুঁজে বেড়ায়। কবির নিত্যসঙ্গী মেনি বিড়ালটাও এইরকম স্বভাবের। সে গোটা দিনরাত আর দেখা দিচ্ছে না। বারবার তার জন্য কবির দৃষ্টি খোঁজ করছে। বাড়ির ছেলেগুলো তার জন্য কান্নাকাটি করছে। কবির মনও তাকে দেখতে না পেয়ে ছটফট করছে। এটা মানুষের স্নেহেরই স্বভাব। শিশুর দুষ্টুমি দেখলে বড়োদের বিরক্ত হয়ে ওঠা। আবার তাকে দেখতে না পেলে মন ছটফট করা। এটাই পৃথিবীর নিয়ম।
মেনি কবিতার প্রশ্নোত্তর প্র্যাকটিস
১ .সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(ক) মেনি ঘুমোয় (টেবিলে/মাটিতে/বিছানায়)।
(খ) চলে গেল গোটা (দিনরাত/সময়/অবসরে) রে।
(গ) মেনি হল (গোরু/বিড়াল/ছাগল)।
(২) মেনি কী কী খায়?
উত্তর : মেনি মাছ, দুধ-দই খায়।
পশুপাখির কোনো ভাষা আছে কিনা অর্থাৎ, তাদের পরস্পরের মনের ভাব বোঝানোর জন্য তারা কোনো শব্দ ব্যবহার করে কিনা এসব নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। লেখকের মতে পশুপাখিরা মানুষের অনেক কথারই অর্থ বোঝে। কুকুর, বনমানুষ, ঘোড়া, মুরগি, হাঁস, ছাগল প্রভৃতি পশু যেমন মানুষের কথা বোঝে তেমনি এরা কথা বলতে না পারলেও এদের আচার-আচরণে বুঝিয়ে দেয় যে এরা খুব বুঝেছে। বিড়াল বা কুকুরের ঝগড়ার বা কান্নার আওয়াজ স্পষ্ট বোঝা যায়। কুকুর ঝগড়া বা রাগের সময় ঘেউ ঘেউ করে, ভয় বা কান্নার সময় ‘কেঁউ’ করে।
বিড়াল হল সাধারণ শব্দে ‘ম্যাও’, ‘মিউ’ করে, রাগ বা ঝগড়ায় ‘ওয়াও’ করে। পাখিরাও ভয়, রাগ প্রভৃতি প্রকাশ করার জন্য বিশেষ আওয়াজ করে, আবার বিপদের সময় একরকম আওয়াজও করে। রিউবেন ক্যাস্টাং নামে বিখ্যাত এক সাহেব প্রায় দীর্ঘ চল্লিশ বছর পশুদের ভাষা বুঝে তাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হয়ে থেকেছেন। তিনি জংলি হাতি, বাঘ, ভালুক, গরিলা ইত্যাদির আক্রমণ থেকে অনেকবারই নিশ্চিত বেঁচে গেছেন শুধুমাত্র পশুদের ভাষা বোঝার জন্য। ক্যাস্টাং সাহেবের মতে, সিংহকে যদি তার ভাষায় বোঝানো যায় বা তার আদবকায়দায় তার কাছে যাওয়া যায় তাহলে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি খাঁচার এবং জঙ্গলের অর্থাৎ, পোষা এবং বুনো জন্তুদের সঙ্গে দীর্ঘকাল আলাপ-পরিচয় করেছেন। যেমন শিম্পাঞ্জি, গরিলা, সিংহ, গ্রিজলি ভালুক, শ্বেত ভালুক ইত্যাদি।
তিনি এসব পশুর গলার শব্দ অবিকল নকল করে এদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছেন। পশুরা শব্দের সাহায্যেও কথা বলে, আবার ইশারায়ও কথা বলে। কুকুরের ল্যাজ নাড়া আর কান নাড়াও তাদের এক ধরনের ভাষা। পোষা জন্তুগুলো অনেক বেশি চেঁচামেচি করলেও বন্যজন্তুরা প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে যথেষ্টই নীরব থাকে। শিম্পাঞ্জি, ওরাংওটাং জাতীয় বনমানুষের ভাষা বিশেষ কিছু নেই। কয়েক জাতীয় বড়ো বানর ছাড়া অন্যান্যদের ভাষা অতি সামান্যই। ক্যাস্টাং সাহেব হাতি, সিংহ, বাঘ, শ্বেত ভল্লুকের গায়ে হাত দেওয়ার আগে তাঁর ভাষা তারা বুঝছে কিনা তা বিশেষভাবে লক্ষ করেছেন।
১.১. সুবিনয় রায়চৌধুরী কী কী বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন?
উত্তর : তিনি হারমোনিয়াম, এসরাজ প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন।
১.২. সুবিনয় রায়চৌধুরী কোন পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর : ‘সন্দেশ’ পত্রিকার সঙ্গে।
৩. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণ এবং বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো :
পশু, মুখ, মন, পরীক্ষা, চালাক, অর্থ, লোভ, জন্তু, মেজাজ।
উত্তর : পশু ➝ পাশব। মুখ➝ মৌখিক। মন➝মানসিক। পরীক্ষা➝ পরীক্ষিত। চালাক➝ চালাকি। অর্থ➝ অর্থপূর্ণ। লোভ➝ লোভী। জন্তু➝ জান্তব। মেজাজ ➝ মেজাজি।
পশু, মুখ, মন, পরীক্ষা, চালাক, অর্থ, লোভ, জন্তু, মেজাজ।
উত্তর : পশু ➝ পাশব। মুখ➝ মৌখিক। মন➝মানসিক। পরীক্ষা➝ পরীক্ষিত। চালাক➝ চালাকি। অর্থ➝ অর্থপূর্ণ। লোভ➝ লোভী। জন্তু➝ জান্তব। মেজাজ ➝ মেজাজি।
৪. বাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ আলাদা করে দেখাও :
উদ্দেশ্য | বিধেয় |
---|---|
৪.১. মুরগিরা | ‘তি-তি’ ডাক শুনে আসে। |
৪.২. পাখিরাও | ভয়, রাগ প্রভৃতি প্রকাশ করবার জন্য বিশেষ বিশেষ শব্দ উচ্চারণ করে থাকে। |
৪.৩. ক্যাস্টাং সাহেব | প্রায় চল্লিশ বছর বন্য জন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন। |
৪.৪. শিম্পাঞ্জি, ওরাং | এদের বিষয় কিছু লেখা হয়নি। |
৫. প্রতিশব্দ লেখো : পাখি, কুকুর, হাতি, সিংহ, বাঘ।
- পাখি➝ বিহঙ্গ, পক্ষী, খেচর, খগ, বিহগ।
- কুকুর➝ কুকুর, সারমেয়, কুত্তা, শ্বা, নেড়িকুকুর।
- হাতি➝ মাতঙ্গ, কুঞ্জর, হস্তী, করী, গজ, ঐরাবত।
- সিংহ➝ কেশরী, মৃগরাজ, পশুরাজ, মৃগেন্দ্র।
- বাঘ➝ শার্দূল, ব্যাঘ্র, দ্বীপী।
৬. নীচের যে শব্দ গুলিতে এক বা বহু বোঝাচ্ছে তা চিহ্নিত করে লেখো :
৬.১. কুকুরেরাও কথা শুনে হুকুম পালন করতে ওস্তাদ।
উত্তর : কুকুরেরাও। বহু বোঝাচ্ছে।
৬.২. তোমার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে।
৬.২. তোমার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে।
উত্তর : তোমার। এক বোঝাচ্ছে।
৬.৩ বিপদের সময় পরস্পরকে জানাবার উপায়ও পশুপাখিরা বেশ জানে।
উত্তর : পশুপাখিরা। বহু বোঝাচ্ছে।
৬.৪. রিউবেন ক্যাস্টাং নামে একজন সাহেব বহুকাল পশুদের সঙ্গে ভাব পাতিয়ে বেড়িয়েছেন।
উত্তর : একজন সাহেব। এক বোঝাচ্ছে।
৬.৫. একেও ভাষা বলতে হবে।
৬.৩ বিপদের সময় পরস্পরকে জানাবার উপায়ও পশুপাখিরা বেশ জানে।
উত্তর : পশুপাখিরা। বহু বোঝাচ্ছে।
৬.৪. রিউবেন ক্যাস্টাং নামে একজন সাহেব বহুকাল পশুদের সঙ্গে ভাব পাতিয়ে বেড়িয়েছেন।
উত্তর : একজন সাহেব। এক বোঝাচ্ছে।
৬.৫. একেও ভাষা বলতে হবে।
উত্তর : একেও। এক বোঝাচ্ছে।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
৭.১. ভাষার প্রয়োজন হয় কেন?
উত্তর : মনের ভাব প্রকাশের জন্য বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত সংকেতময় ধ্বনিকে ভাষা বলে। ভাষা পরিবর্তনশীল, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহারে ভাষার প্রয়োজন। এবং এই ভাষা দিন দিন পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হয়ে চলেছে।
৭.২. ‘পশুপাখিরা অবিশ্যি মানুষের অনেক কথারই অর্থ বোঝে।'—একথার সমর্থনে রচনাটিতে কোন কোন প্রসঙ্গের অবতারণা করা হয়েছে? তুমি এর সঙ্গে আর কী কী যোগ করতে চাইবে?
উত্তর : এ প্রসঙ্গে রচনাতে কুকুর, বনমানুষ, ঘোড়া, মুরগি, হাঁস, ছাগল, হাতি ইত্যাদি পশুগুলি যে মানুষের ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষার অর্থ বোঝে তা খুব টের পাওয়া যায়। আমি এর সঙ্গে যোগ করে আরও বলতে পারি যে, বিড়ালকে লক্ষ করে ‘চ্যু-চ্যু’ শব্দ করলে বিড়াল সামনে এসে খাবারের লালসায় ল্যাজ নাড়তে থাকে। খাঁচায় পোষা টিয়া-ময়না-তোতার কাছে শিষ দিলে তারা চোখ-মুখ ফিরিয়ে বোঝার চেষ্টা করে। অনেক কাকাতুয়া বা তোতা-টিয়া মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারে।
৭.৩. রিউবেন ক্যাস্টাং-এর অভিজ্ঞতার কথা পাঠ্যাংশে কীভাবে স্থান পেয়েছে, তা আলোচনা করো।
উত্তর : রিউবেন ক্যাস্টাং সাহেব পশুদের ভাষা বোঝেন বলেই তিনি অনেক পশুর কাছে গিয়েও নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন। তিনি একবার জংলি হাতির সামনে পড়েছিলেন, একবার বাঘের গরম নিশ্বাস অনুভব করেছেন, একবার প্রকাণ্ড ভালুকের থাবার মুখোমুখি হয়েছেন, একবার এক গরিলা তাঁকে প্রায় জড়িয়েই ধরেছিল—কিন্তু পশুদের ভাষার জ্ঞান তাঁর খুব জানা ভালো ছিল বলে তিনি সাক্ষাৎ যমকেও এড়িয়ে যেতে পেরেছেন।
৭.৪. ‘একেও ভাষা বলতে হবে।'—কাকে ‘ভাষা'র মর্যাদা দিতে হবে বলে বক্তা মনে করেন? তুমি কি এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত? বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : মানুষের সামনে পশুসমূহের অঙ্গভঙ্গিও ভাষা বলে মর্যাদা দিতে হবে। হ্যাঁ, আমি এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত। লেখক যেমন বলেছেন, 'কুকুরের লেজ নাড়া আর কান নাড়ার মধ্যে অনেক অর্থ আছে' তা আমিও লক্ষ করেছি। আমি দেখেছি বিড়ালকে একটা মাছের কাঁটা দেখিয়ে ‘আঃ আঃ' শব্দ করলে সে তক্ষুনি দৌড়ে আসে। আবার, মাছের কাঁটাটি তাকে না দিয়ে যদি হাতেই ধরে রাখি তাহলে বিড়ালটা ল্যাজ নাড়তে থাকে আর মুখের দিকে তাকিয়ে ক্রমাগত ম্যাও ম্যাও করতে থাকে। এ থেকে আমি বুঝতে পেরেছি যে, সে আকুতি জানিয়ে বলছে, ‘দয়া করে আমাকে মাছের কাঁটাটা খেতে দাও।'
উত্তর : এ প্রসঙ্গে রচনাতে কুকুর, বনমানুষ, ঘোড়া, মুরগি, হাঁস, ছাগল, হাতি ইত্যাদি পশুগুলি যে মানুষের ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষার অর্থ বোঝে তা খুব টের পাওয়া যায়। আমি এর সঙ্গে যোগ করে আরও বলতে পারি যে, বিড়ালকে লক্ষ করে ‘চ্যু-চ্যু’ শব্দ করলে বিড়াল সামনে এসে খাবারের লালসায় ল্যাজ নাড়তে থাকে। খাঁচায় পোষা টিয়া-ময়না-তোতার কাছে শিষ দিলে তারা চোখ-মুখ ফিরিয়ে বোঝার চেষ্টা করে। অনেক কাকাতুয়া বা তোতা-টিয়া মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারে।
৭.৩. রিউবেন ক্যাস্টাং-এর অভিজ্ঞতার কথা পাঠ্যাংশে কীভাবে স্থান পেয়েছে, তা আলোচনা করো।
উত্তর : রিউবেন ক্যাস্টাং সাহেব পশুদের ভাষা বোঝেন বলেই তিনি অনেক পশুর কাছে গিয়েও নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন। তিনি একবার জংলি হাতির সামনে পড়েছিলেন, একবার বাঘের গরম নিশ্বাস অনুভব করেছেন, একবার প্রকাণ্ড ভালুকের থাবার মুখোমুখি হয়েছেন, একবার এক গরিলা তাঁকে প্রায় জড়িয়েই ধরেছিল—কিন্তু পশুদের ভাষার জ্ঞান তাঁর খুব জানা ভালো ছিল বলে তিনি সাক্ষাৎ যমকেও এড়িয়ে যেতে পেরেছেন।
৭.৪. ‘একেও ভাষা বলতে হবে।'—কাকে ‘ভাষা'র মর্যাদা দিতে হবে বলে বক্তা মনে করেন? তুমি কি এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত? বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : মানুষের সামনে পশুসমূহের অঙ্গভঙ্গিও ভাষা বলে মর্যাদা দিতে হবে। হ্যাঁ, আমি এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত। লেখক যেমন বলেছেন, 'কুকুরের লেজ নাড়া আর কান নাড়ার মধ্যে অনেক অর্থ আছে' তা আমিও লক্ষ করেছি। আমি দেখেছি বিড়ালকে একটা মাছের কাঁটা দেখিয়ে ‘আঃ আঃ' শব্দ করলে সে তক্ষুনি দৌড়ে আসে। আবার, মাছের কাঁটাটি তাকে না দিয়ে যদি হাতেই ধরে রাখি তাহলে বিড়ালটা ল্যাজ নাড়তে থাকে আর মুখের দিকে তাকিয়ে ক্রমাগত ম্যাও ম্যাও করতে থাকে। এ থেকে আমি বুঝতে পেরেছি যে, সে আকুতি জানিয়ে বলছে, ‘দয়া করে আমাকে মাছের কাঁটাটা খেতে দাও।'
৭.৫. 'তাই তারা স্বভাবতই নীরব'— কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের এই স্বভাবগত 'নীরবতা'র কারণ কী?
উত্তর : জঙ্গলের পশুদের কথা বলা হয়েছে। জঙ্গলের পশুরা জানে তারা শব্দ করলে তাদের শিকার ধরা কঠিন হবে। তা ছাড়া তাদের সাড়া পেলে বলবান অন্য কেউ তাদের আক্রমণ করতে পারে এই ভয়ে তারা চুপচাপ থাকে। প্রধানত এই দুটি কারণে তারা নীরব থাকে।
৭.৬. 'এরা তো মানুষেরই জাতভাই।'—কাদের 'মানুষের জাতভাই' বলা হয়েছে? তা সত্ত্বেও মানুষের সঙ্গে তাদের কোন পার্থক্যের কথা পাঠ্যাংশে বলা হয়েছে, তা লেখো।
উত্তর : শিম্পাঞ্জি, ওরাং, গরিলা ইত্যাদি বন্য পশুগুলি মানুষের জাতভাই। তা সত্ত্বেও এদের সঙ্গে মানুষের পার্থক্য হল এই যে, এদের মুখে ভাষা বড়ো একটা নেই। কিন্তু এরা মানুষের মতো ভালোবাসা, সহানুভূতি ইত্যাদি ভাবও পাতায় সহজেই।
৭.৭. তোমার পরিবেশে থাকা জীবজন্তুর ডাক নিয়ে তুমি একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তর : আমার পরিবেশে থাকা জীবজন্তুদের ডাক বলতে প্রথমেই আমি বলব কাকের কথা। হাতে কোনো খাবার দেখলে কাক ‘কা কা’ শব্দ করে। কাক অবশ্য নিজেদের মধ্যে ভাব করা বা ঝগড়া করার সময় খুব কা কা শব্দ করে। খাবারের লোভে বিড়াল ম্যাও ম্যাও করে। কোকিল মিষ্টি সুরে কুহু-উ-উ করে। চড়াই পাখি চিড়িক চিড়িক করে। কুকুর রেগে গেলে ঘেউ ঘেউ করে। কুকুরের দুঃখ জাগলে আকাশের দিকে মুখ করে কর্কশ স্বরে ‘কো-ও-ও-ও' করে। গোরু খিদে পেলে হাম্বা রব করে। ছাগল অনেকটা মিহিমহি-হি, মিহি-হি-হি করে।
উত্তর : জঙ্গলের পশুদের কথা বলা হয়েছে। জঙ্গলের পশুরা জানে তারা শব্দ করলে তাদের শিকার ধরা কঠিন হবে। তা ছাড়া তাদের সাড়া পেলে বলবান অন্য কেউ তাদের আক্রমণ করতে পারে এই ভয়ে তারা চুপচাপ থাকে। প্রধানত এই দুটি কারণে তারা নীরব থাকে।
৭.৬. 'এরা তো মানুষেরই জাতভাই।'—কাদের 'মানুষের জাতভাই' বলা হয়েছে? তা সত্ত্বেও মানুষের সঙ্গে তাদের কোন পার্থক্যের কথা পাঠ্যাংশে বলা হয়েছে, তা লেখো।
উত্তর : শিম্পাঞ্জি, ওরাং, গরিলা ইত্যাদি বন্য পশুগুলি মানুষের জাতভাই। তা সত্ত্বেও এদের সঙ্গে মানুষের পার্থক্য হল এই যে, এদের মুখে ভাষা বড়ো একটা নেই। কিন্তু এরা মানুষের মতো ভালোবাসা, সহানুভূতি ইত্যাদি ভাবও পাতায় সহজেই।
৭.৭. তোমার পরিবেশে থাকা জীবজন্তুর ডাক নিয়ে তুমি একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তর : আমার পরিবেশে থাকা জীবজন্তুদের ডাক বলতে প্রথমেই আমি বলব কাকের কথা। হাতে কোনো খাবার দেখলে কাক ‘কা কা’ শব্দ করে। কাক অবশ্য নিজেদের মধ্যে ভাব করা বা ঝগড়া করার সময় খুব কা কা শব্দ করে। খাবারের লোভে বিড়াল ম্যাও ম্যাও করে। কোকিল মিষ্টি সুরে কুহু-উ-উ করে। চড়াই পাখি চিড়িক চিড়িক করে। কুকুর রেগে গেলে ঘেউ ঘেউ করে। কুকুরের দুঃখ জাগলে আকাশের দিকে মুখ করে কর্কশ স্বরে ‘কো-ও-ও-ও' করে। গোরু খিদে পেলে হাম্বা রব করে। ছাগল অনেকটা মিহিমহি-হি, মিহি-হি-হি করে।
৭.৮. এমন একটি গল্প লেখো যেখানে পশুপাখিরা মানুষের সঙ্গে মানুষেরই মতো কথাবার্তা বলেছে আর তাদের মধ্যে অপরূপ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে।
উত্তর : শিরোনাম— পশুর সঙ্গে
উত্তর : শিরোনাম— পশুর সঙ্গে
- শিকারি➝ বাঘ মামা! ভালো আছ?
- বাঘ➝ হালুম। কে তুমি?
- শিকারি➝ মামা আমি তোমার ভাগ্নে, মানুষ। চেনো তো? তুমি আমাদের জাতীয় পশু। তুমি বনের রাজা।
- বাঘ➝ বুঝেছি। একদম চ্যাচামেচি করো না। চুপ করে বসো। ওই হরিণটা আমি ধরব।
- হরিণ➝ ওগো বাঘ আমায় খেয়ে ফেলল গো!
- বাঘ➝ তুই আমার খাদ্য। তোকে না খেলে আমি খাব কী?
- শিকারি➝ হরিণটা তো পালিয়ে গেল মামা।
- হাতি➝ তুমি এখানে কেন এসেছ মানুষ? বনে আমাদের রাজত্ব। তোমরা ভালো নও। তোমরা আমাদের অনেককে ধরে নিয়ে গিয়েছো।
- বাঘ➝ না ভায়া হাতি। এই মানুষটা ভালো। বন্ধুত্ব করতে চায় আমাদের সঙ্গে। ও আমাদের ভাষা বোঝো
- হাতি➝ কীভাবে বুঝলে বাঘ দাদা? মানুষগুলোকে সহজে চেনা যায় না। ওরা আমাদের অনেক হাতি ওদের ঘরে ভুলিয়ে নিয়ে গেছে। তোমাকেও নিয়ে যাবে ভুলিয়ে। চালাকি করে খাঁচায় পুরবে তোমাকে।
- শিকারি➝ সত্যিই আমি তোমাদের ভালোবাসি হাতি মহাশয়। ওই যে ডালে বসে আছে সুন্দর এক ময়না। আমার কথা জিজ্ঞেস করো ওকে।
- ময়না➝ ঠিক ঠিক। এই লোকটা ভালো। ও আমাদের কথা বোঝে। এই তো গরিলাবাবু আসছে। এর সঙ্গে এই লোকটাকে একটু আগে কোলাকুলি করতে দেখেছি।
- গরিলা ➝ হ্যাঁ, ঠিক ঠিক। ওই লোকটাকে আমি চল্লিশ বছর ধরে জানি। ও আমাদের মনের কথা বোঝে। ও আমাদের কোনো ক্ষতি করবে না।
- হাতি➝ ভালুক ভায়া আসছে। ওকেও একবার জিজ্ঞেস করে নেওয়া যাক।
- ভালুক➝ আমি শুনেছি তোমাদের কথা। আমি এই লোকটার কথাই বলতে এলাম। ও আমাকে খাবার দেয়। নিজেও খায়। আমি নিরামিষ খাবার ভালোবাসি সে খবর ও জানে।
- সমস্ত পশু একসঙ্গে বলল ➝ তাহলে আমাদের সকলকে খাবার দেবে তো?
- মানুষ➝ তা কী করে দেব? তোমরা যে যার খাবার খুঁজে নিয়ে খাও। আমি মানুষ হলেও মানুষদের সঙ্গে থাকব না কোনোদিন। তোমরা সকলেই আমার প্রিয় বন্ধু। আমি তোমাদের সঙ্গেই থাকতে চাই।
৮. পাশের ছবিটি দেখে নিজের ভাষায় পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর : (ছবিটি নিজের বইয়ের পৃষ্টা ২৭ দেখো)
১) ছোটোবেলা থেকেই সাহেবের স্বপ্ন ছিল বন্যপশুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবেন।
২) প্রথমে তিনি পশুদের আদবকায়দা চালচলন অনেকদিন ধরে লক্ষ করলেন।
৩) একদিন সত্যি সত্যি তিনি খুব সাহস করে এক প্রকাণ্ড ভালুকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ফেললেন।
৪) একটা গরিলা একবার তাঁকে জড়িয়ে ধরল।
৫) পশুদের ভাষা বুঝে সাহেব নিশ্চিন্ত মনে প্রায় চল্লিশ বছর বন্যজন্তুদের সঙ্গে থেকে গেলেন।
উত্তর : (ছবিটি নিজের বইয়ের পৃষ্টা ২৭ দেখো)
১) ছোটোবেলা থেকেই সাহেবের স্বপ্ন ছিল বন্যপশুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবেন।
২) প্রথমে তিনি পশুদের আদবকায়দা চালচলন অনেকদিন ধরে লক্ষ করলেন।
৩) একদিন সত্যি সত্যি তিনি খুব সাহস করে এক প্রকাণ্ড ভালুকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ফেললেন।
৪) একটা গরিলা একবার তাঁকে জড়িয়ে ধরল।
৫) পশুদের ভাষা বুঝে সাহেব নিশ্চিন্ত মনে প্রায় চল্লিশ বছর বন্যজন্তুদের সঙ্গে থেকে গেলেন।
একটু ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়ছে। কবি সেই বৃষ্টি ভেজা সবুজ ঘাসে পা দিয়েছেন। অমনি ঘাসফড়িং এর সঙ্গে কবির নতুন করে আত্মীয়তা শুরু হয়ে গেল। হয়ে গেল গলায় গলায় ভাব। ঘাসফড়িং তার সবুজ মাথা তুলে কত রকমের খেলা দেখাল। তার কাছ থেকে চলে আসার সময় কবির মন খারাব হয়ে গেল। তিনি ঘাসফড়িংকে বলে এলেন তিনি আবার আসবেন। কবির ঘরের দরজার সামনে এখন সবুজ আর সবুজ। অর্থাৎ, রাশি রাশি সবুজ ঘাস। সবুজ ঘাস মানেই ঘাসফড়িং-এর বসবাস। কবি তাঁর নিজের জীবনের প্রয়োজনে দূরে চলে এসেছেন। এখন আবার ঝিরঝিরে বৃষ্টি হলেই কবির মনে পড়ে যায়, তিনি কথা দিয়ে এসেছেন ভিজে ঘাসের ওপর তাঁকে আবার যেতেই হবে।
✏ হাতে কলমে :
১.১. কবি অরুণ মিত্র কোন বিদেশি ভাষায় বিশেষজ্ঞ ছিলেন?
উত্তর : ফরাসি ভাষায়।
১.২. তাঁর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
১.২. তাঁর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : খুঁজতে খুঁজতে এতদূর, ঘনিষ্ঠ তাপ।
২. বাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ আলাদা করে দেখাও :
২.১. ভাব না করে পারতামই না আমরা।
২.১. ভাব না করে পারতামই না আমরা।
উত্তর : আমরা (উদ্দেশ্য)। ভাব না করে পারতামই না (বিধেয়)।
২.২. সবুজ মাথা তুলে কত খেলা দেখাল ঘাসফড়িং।
উত্তর : ঘাসফড়িং (উদ্দেশ্য)। সবুজ মাথা তুলে কত খেলা দেখাল (বিধেয়)।
২.৩. আমার ঘরের দরজা এখন সবুজে সবুজ।
উত্তর : আমার ঘরের দরজা (উদ্দেশ্য)। এখন সবুজে সবুজ (বিধেয়)।
২.৪. ভিজে ঘাসের ওপর আমাকে যেতেই হবে আবার।
উত্তর : আমাকে (উদ্দেশ্য)। ভিজে ঘাসের ওপর যেতেই হবে আবার (বিধেয়)।
২.২. সবুজ মাথা তুলে কত খেলা দেখাল ঘাসফড়িং।
উত্তর : ঘাসফড়িং (উদ্দেশ্য)। সবুজ মাথা তুলে কত খেলা দেখাল (বিধেয়)।
২.৩. আমার ঘরের দরজা এখন সবুজে সবুজ।
উত্তর : আমার ঘরের দরজা (উদ্দেশ্য)। এখন সবুজে সবুজ (বিধেয়)।
২.৪. ভিজে ঘাসের ওপর আমাকে যেতেই হবে আবার।
উত্তর : আমাকে (উদ্দেশ্য)। ভিজে ঘাসের ওপর যেতেই হবে আবার (বিধেয়)।
৩. নীচের শব্দগুলি বাক্যে ব্যবহার করে একটি অনুচ্ছেদ তৈরি করো।
ভাব, ভিজে, নতুন, আত্মীয়তা, মনখারাপ, সবুজ, ঝিরঝির।
এভাবে আমরা শুরু করতে পারি : খোলা মাঠের সঙ্গে আমার ভারি ভাব। বিশেষ করে তার ওপরে গালচের মতো সবুজ ঘাস যখন ভিজে থাকে। যেন একটা নতুন পৃথিবীর মধ্যে দিয়ে আমি হেঁটে যাচ্ছি।
উত্তর : (পরবর্তী অংশ).... একটি ঘাসফড়িং ঘাসের ওপরে মুখ তুলতেই তার সঙ্গে আমার আত্মীয়তা হয়ে গেল। একটু পরেই হঠাৎ ঝিরঝির করে বৃষ্টি নামল। ঘাসফড়িংকে ছেড়ে আসতে হবে ভেবে আমার খুব মনখারাপ হয়ে গেল।
৪. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে এবং বিশেষণ শব্দগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো।
উত্তর : আত্মীয়তা—আত্মীয়। ঘাস—ঘেসো। সবুজ—সবজে, সবুজাভ। নতুন—নতুনত্ব।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
৭.১. কবির সঙ্গে ঘাসফড়িং-এর নতুন আত্মীয়তা কীভাবে গড়ে উঠল?
উত্তর : কবি অরুণ মিত্র জন্মেছেন গ্রামে। গ্রামের সবুজ তৃণভূমিতে পা রেখে তিনি বড়ো হয়ে উঠেছেন। একদিন ঝিরঝিরে বৃষ্টির পর তিনি যখন সবুজ ভিজে ঘাসে পা রাখলেন তখনই ঘাসফড়িং তাঁকে দেখা দিল। এদিক-ওদিক লাফ দিল। কবি বুঝলেন ঘাসফড়িং সামনা সামনি ঘাসেই লাফালাফি করছে। কবি বুঝলেন ঘাসফড়িং তাঁর সঙ্গে আত্মীয়তা গড়ে তুলছে। কবি তার আত্মীয়তা গভীর অনুরাগের সঙ্গে গ্রহণ করলেন।
৭.২. কবির কৌতূহল ও ভালো লাগায় ঘাসফড়িং কীভাবে সাড়া দিল বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর : ভিজে ঘাসে কবি পা দিতেই ঘাসফড়িং লাফ দিল। এক লাফ নয়, কয়েকটি লাফ দিল। কবির কৌতূহল বাড়ল। তিনি দ্বিতীয় পা দিলেন ঘাসফড়িং আবার লাফ দিল অর্থাৎ, সে কবির অনুভবে সাড়া দিয়ে যেন ছন্দ মিলিয়ে লাফালাফি করতে লাগল।
৭.৩. ঘাসফড়িং-এর কাছ থেকে চলে আসার সময় কবির মন খারাপ হল কেন বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : প্রত্যেকেরই কমবেশি বন্ধু থাকে। কবিরও বন্ধুত্ব হয়েছে ঘাসফড়িং-এর সঙ্গে। গভীর বন্ধুত্ব। বেড়েছে বন্ধুত্বের আকুলতা। বন্ধুত্বের সেই আকুলতা থেকেই কবির মন খারাপ হল।
৭.৪. ‘বলে এলাম আমি আবার আসব'—পঙ্ক্তিটির মধ্য দিয়ে কবির কোন মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে?
উত্তর : পঙ্ক্তিটির মধ্যে কবির মনের সুগভীর ভালোবাসার ভাব ব্যক্ত হয়েছে।
৭.৫. ‘আমার ঘরের দরজা এখন সবুজে সবুজ।'—কবির এরূপ সবুজের সমারোহ দেখার কারণ কী?
উত্তর : যে যাকে ভালোবাসে সে সারাক্ষণ তার কথাই চিন্তা করে। প্রতিনিয়ত তার মুখখানি ভেসে ওঠে। কবি অরুণ মিত্র ভিজে ঘাসে যখন ঘাসফড়িং-এর সঙ্গে বন্ধুত্ব করলেন তখন থেকেই তার ছবিটি কবির হৃদয় গাঁথা হয়ে আছে। তাই অনেক দূরে থেকে যখনই কবি সেই ঘাসফড়িং-এর কথা মনে করলেন তখনই তিনি দেখতে পেলেন যেন তাঁর দরজার সামনে ঘাসের বনে মুখ তুলে দেখা দেওয়া সেই ঘাসফড়িং এসে কবির জন্য অপেক্ষা করছে।
৭.৬. ভিজে ঘাসের ওপর আমাকে যেতেই হবে আবার।'—কোন ‘ভিজে ঘাসের ওপর’ কবিকে ফিরতেই
হবে? সেখানে তিনি যেতে চান কেন?
উত্তর : ঝিরঝির বৃষ্টির পর ভিজে ঘাসের ওপর পা দিয়ে কবির সঙ্গে যে ঘাসফড়িং-এর গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল তাকে কবি কথা দিয়ে এসেছেন তার কাছে তিনি আবার যাবেন। তার কাছে তাঁকে আবার যেতেই হবে। সেখানে তিনি যেতে চান তাঁর হৃদয়ের গভীর ভালোবাসার টানে।
৭.৭. প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার নিবিড় টান কীভাবে কবি অরুণ মিত্রের ‘ঘাসফড়িং’ কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে,
তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর : কবি অরুণ মিত্র বাংলার সবুজ শ্যামলিমাময় গ্রামে জন্মেছেন। ঘন সবুজের মধ্যে বড়ো হয়ে উঠেছেন। বাংলার সবুজ গ্রাম তাঁর বাল্যসঙ্গী, কৈশোরকালের অন্তরঙ্গ বন্ধু, যৌবনে তাঁর মনে প্রিয়তমার স্পর্শ অনুভব করিয়েছে। তাই তাঁর হৃদয়ে প্রতিনিয়ত গ্রামবাংলার সবুজ গাছপালা, ঘাসপাতা, কীটপতঙ্গ প্রতিটির অন্তরঙ্গ ছবি জেগে উঠছে। তাদের প্রতি তাঁর সুগভীর ভালোবাসার টান বিরহজ্বালায় ক্রমাগত বেড়ে উঠছে।
৭.১. কবির সঙ্গে ঘাসফড়িং-এর নতুন আত্মীয়তা কীভাবে গড়ে উঠল?
উত্তর : কবি অরুণ মিত্র জন্মেছেন গ্রামে। গ্রামের সবুজ তৃণভূমিতে পা রেখে তিনি বড়ো হয়ে উঠেছেন। একদিন ঝিরঝিরে বৃষ্টির পর তিনি যখন সবুজ ভিজে ঘাসে পা রাখলেন তখনই ঘাসফড়িং তাঁকে দেখা দিল। এদিক-ওদিক লাফ দিল। কবি বুঝলেন ঘাসফড়িং সামনা সামনি ঘাসেই লাফালাফি করছে। কবি বুঝলেন ঘাসফড়িং তাঁর সঙ্গে আত্মীয়তা গড়ে তুলছে। কবি তার আত্মীয়তা গভীর অনুরাগের সঙ্গে গ্রহণ করলেন।
৭.২. কবির কৌতূহল ও ভালো লাগায় ঘাসফড়িং কীভাবে সাড়া দিল বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর : ভিজে ঘাসে কবি পা দিতেই ঘাসফড়িং লাফ দিল। এক লাফ নয়, কয়েকটি লাফ দিল। কবির কৌতূহল বাড়ল। তিনি দ্বিতীয় পা দিলেন ঘাসফড়িং আবার লাফ দিল অর্থাৎ, সে কবির অনুভবে সাড়া দিয়ে যেন ছন্দ মিলিয়ে লাফালাফি করতে লাগল।
৭.৩. ঘাসফড়িং-এর কাছ থেকে চলে আসার সময় কবির মন খারাপ হল কেন বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : প্রত্যেকেরই কমবেশি বন্ধু থাকে। কবিরও বন্ধুত্ব হয়েছে ঘাসফড়িং-এর সঙ্গে। গভীর বন্ধুত্ব। বেড়েছে বন্ধুত্বের আকুলতা। বন্ধুত্বের সেই আকুলতা থেকেই কবির মন খারাপ হল।
৭.৪. ‘বলে এলাম আমি আবার আসব'—পঙ্ক্তিটির মধ্য দিয়ে কবির কোন মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে?
উত্তর : পঙ্ক্তিটির মধ্যে কবির মনের সুগভীর ভালোবাসার ভাব ব্যক্ত হয়েছে।
৭.৫. ‘আমার ঘরের দরজা এখন সবুজে সবুজ।'—কবির এরূপ সবুজের সমারোহ দেখার কারণ কী?
উত্তর : যে যাকে ভালোবাসে সে সারাক্ষণ তার কথাই চিন্তা করে। প্রতিনিয়ত তার মুখখানি ভেসে ওঠে। কবি অরুণ মিত্র ভিজে ঘাসে যখন ঘাসফড়িং-এর সঙ্গে বন্ধুত্ব করলেন তখন থেকেই তার ছবিটি কবির হৃদয় গাঁথা হয়ে আছে। তাই অনেক দূরে থেকে যখনই কবি সেই ঘাসফড়িং-এর কথা মনে করলেন তখনই তিনি দেখতে পেলেন যেন তাঁর দরজার সামনে ঘাসের বনে মুখ তুলে দেখা দেওয়া সেই ঘাসফড়িং এসে কবির জন্য অপেক্ষা করছে।
৭.৬. ভিজে ঘাসের ওপর আমাকে যেতেই হবে আবার।'—কোন ‘ভিজে ঘাসের ওপর’ কবিকে ফিরতেই
হবে? সেখানে তিনি যেতে চান কেন?
উত্তর : ঝিরঝির বৃষ্টির পর ভিজে ঘাসের ওপর পা দিয়ে কবির সঙ্গে যে ঘাসফড়িং-এর গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল তাকে কবি কথা দিয়ে এসেছেন তার কাছে তিনি আবার যাবেন। তার কাছে তাঁকে আবার যেতেই হবে। সেখানে তিনি যেতে চান তাঁর হৃদয়ের গভীর ভালোবাসার টানে।
৭.৭. প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার নিবিড় টান কীভাবে কবি অরুণ মিত্রের ‘ঘাসফড়িং’ কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে,
তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর : কবি অরুণ মিত্র বাংলার সবুজ শ্যামলিমাময় গ্রামে জন্মেছেন। ঘন সবুজের মধ্যে বড়ো হয়ে উঠেছেন। বাংলার সবুজ গ্রাম তাঁর বাল্যসঙ্গী, কৈশোরকালের অন্তরঙ্গ বন্ধু, যৌবনে তাঁর মনে প্রিয়তমার স্পর্শ অনুভব করিয়েছে। তাই তাঁর হৃদয়ে প্রতিনিয়ত গ্রামবাংলার সবুজ গাছপালা, ঘাসপাতা, কীটপতঙ্গ প্রতিটির অন্তরঙ্গ ছবি জেগে উঠছে। তাদের প্রতি তাঁর সুগভীর ভালোবাসার টান বিরহজ্বালায় ক্রমাগত বেড়ে উঠছে।
Tags : class 6 bangla,class 6 bengali mon valo kora questions answer,class 6 bangla golpo,class 6 bengali,class 6 bengali mon valo kora,
No comments
Hi Welcome ....