ক্লাস 6 এর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর অধ্যায় ছয় - সাম্রাজ্য বিস্তার ও শাসন বইয়ের পৃষ্ঠা - ৯৭ class 6 history chapter 6 👇 ...
ক্লাস 6 এর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর অধ্যায় ছয় - সাম্রাজ্য বিস্তার ও শাসন বইয়ের পৃষ্ঠা - ৯৭
class 6 history chapter 6
১। নীচের বাক্যগুলির কোনটি ঠিক কোনটি ভুল লেখো :
১.১) সেলুকাস ও চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মধ্যে চিরকাল শত্রুতা ছিল।
২। নীচের বিবৃতিগুলির সঙ্গে কোন ব্যাখ্যাটি সবথেকে বেশি মানানসই বেছে বের করো:
২.১) বিবৃতি : অশোক তাঁর সাম্রাজ্যে পশুহত্যা বন্ধ করেছিলেন।
ব্যাখ্যা—১ তাঁর রাজ্যে পশুর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য।
ব্যাখ্যা—২ ধম্মের অনুসরণ করার জন্য।
ব্যাখ্যা—৩ পশু বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য।
উত্তর : ব্যাখ্যা—২ ধর্ম্মের অনুসরণ করার জন্য।
২.২) বিবৃতি : কুষাণ সম্রাটরা নিজেদের মূর্তি দেবকুলে রাখতেন।
ব্যাখ্যা—১ তাঁরা ছিলেন দেবতার বংশধর।
ব্যাখ্যা—২ তাঁরা প্রজাদের সামনে নিজেদের দেবতার মতোই সম্মাননীয় বলে হাজির করতেন।
ব্যাখ্যা—৩ তাঁরা দেবতাকে খুব ভক্তি করতেন।
উত্তর : ব্যাখ্যা—২ তাঁরা প্রজাদের সামনে নিজেদের দেবতার মতোই সম্মাননীয় বলে হাজির করতেন।
২.৪) বিবৃতি : সুয়ান জাং চিন থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিলেন।
ব্যাখ্যা—১ ভারতীয় উপমহাদেশে বেড়ানোর জন্য।
ব্যাখ্যা—২ হর্ষবর্ধনের শাসন বিষয়ে বই লেখার জন্য।
ব্যাখ্যা—৩ বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে আরও পড়াশোনা করার জন্য।
উত্তর : ব্যাখ্যা—২ হর্ষবর্ধনের শাসন বিষয়ে বই লেখার জন্য।
৩। নিজের ভাষায় ভেবে লেখো (তিন/চার লাইন) :
৩.১) কলিঙ্গযুদ্ধের ফলাফলের সঙ্গে অশোকের ধন্মের কী সম্পর্ক? ধৰ্ম্ম তাঁর শাসনকে কতটা প্রভাবিত করেছিল?
উত্তর : অশোক তাঁর ধৰ্ম্মনীতি দিয়ে জনগণকে একজোট করার চেষ্টা করেন। কলিঙ্গ যুদ্ধের পরে তিনি আর যুদ্ধ করেননি। তিনি হিংসার বদলে শান্তির নীতি নিয়েছিলেন। অশোক ঘোষণা করেন যে, এক প্রাণী অন্য প্রাণীর খাবার হতে পারে না। এর পাশাপাশি দয়া, দান, সত্যকথা এসব আচরণের কথাও ধম্মে বলা হয়েছে।
৩.২) মৌর্য সম্রাটরা গুপ্তচর কেন নিয়োগ করতেন?
উত্তর : মৌর্য সম্রাটরাই প্রথম সাম্রাজ্যের খোঁজ খবর আনতে গুপ্তচরদের কাজে লাগিয়েছিলেন। বিদেশি বা অচেনা সন্দেহজনক লোক সবার ওপরেই গুপ্তচরের নজর থাকত। রাজকর্মচারী এমনকি রাজপুত্ররাও গুপ্তচরদের নজরের বাইরে যেতে পারত না। সাম্রাজ্যের সব খবর চলে যেত সম্রাটের কাছে।
৪। হাতেকলমে উত্তর করো :
মৌর্ষ, কুষাণ ও গুপ্ত আমলের মুদ্রাগুলির তুলনা করলে কী কী মিল-অমিল দেখা যাবে?
উত্তর : ৮৮ পৃষ্ঠা এবং ৯৪ পৃষ্ঠায় মুদ্রাগুলি দেখে নিজে ভেবেচিন্তে লেখো।
▢ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :
১. অশোক স্তম্ভ কী?
উত্তর : সম্রাট অশোক যুদ্ধ করা ছেড়ে দিয়ে মানুষের কাছে শান্তির বাণী পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাই তার স্তম্ভটি জাতীয় প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সেটি ওলটানো পদ্মের মতো দেখতে একটি বেদির ওপর রাখা। তার ওপর অশোকচক্র দেখা যায়। এই চক্রের বাঁদিকে ষাঁড় ও ডানদিকে ঘোড়ার মূর্তি।
২. সাম্রাজ্য কী? সম্রাট কে?
উত্তর : অনেকগুলো রাজ্য জুড়ে একটা বড়ো শাসন এলাকা হয় সেই বড়ো শাসনএলাকাটাই সাম্রাজ্য।
সাম্রাজ্য শাসন করেন যিনি, তিনি সম্রাট, যে রাজা অনেক জনগণ ও অঞ্চলের শাসক তিনি সম্রাট।
৪. চাণক্য কে ছিলেন?
উত্তর : চাণক্য ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান পরামর্শদাতা। তিনি কৌটিল্য নামে অর্থশাস্ত্র রচনা করেন।
৫. কলিঙ্গ যুদ্ধের ঐতিহাসিক তাৎপর্য কী?
উত্তর : 'ঐতিহাসিক হেমচন্দ্র রায়চৌধুরী বলেছেন, বিম্বিসার অঙ্গরাজ্য জয় করে মগধের রাজ্য বিস্তারে যে সূচনা করেন, অশোকের কলিঙ্গ জয়ের দ্বারা তার সমাপ্তি ঘোষিত হয়। অতঃপর অশোক ভেরীঘোষ এর পরিবর্তে মানুষের অন্তর জয় ও ধৰ্ম্মঘোষ নীতি গ্রহণ করেন।
১.১) সেলুকাস ও চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মধ্যে চিরকাল শত্রুতা ছিল।
উত্তর : ভুল।
১.২) মৌর্য আমলে মেয়েরাও মহামাত্যের দায়িত্ব পেতেন।
১.২) মৌর্য আমলে মেয়েরাও মহামাত্যের দায়িত্ব পেতেন।
উত্তর : ভুল।
১.৩) কুষাণরা এদেশেরই মানুষ ছিলেন।
উত্তর : ঠিক।
১.৪) প্রথম চন্দ্রগুপ্ত গুপ্তাব্দ গোনা চালু করেন।
১.৩) কুষাণরা এদেশেরই মানুষ ছিলেন।
উত্তর : ঠিক।
১.৪) প্রথম চন্দ্রগুপ্ত গুপ্তাব্দ গোনা চালু করেন।
উত্তর : ঠিক।
২। নীচের বিবৃতিগুলির সঙ্গে কোন ব্যাখ্যাটি সবথেকে বেশি মানানসই বেছে বের করো:
২.১) বিবৃতি : অশোক তাঁর সাম্রাজ্যে পশুহত্যা বন্ধ করেছিলেন।
ব্যাখ্যা—১ তাঁর রাজ্যে পশুর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য।
ব্যাখ্যা—২ ধম্মের অনুসরণ করার জন্য।
ব্যাখ্যা—৩ পশু বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য।
উত্তর : ব্যাখ্যা—২ ধর্ম্মের অনুসরণ করার জন্য।
২.২) বিবৃতি : কুষাণ সম্রাটরা নিজেদের মূর্তি দেবকুলে রাখতেন।
ব্যাখ্যা—১ তাঁরা ছিলেন দেবতার বংশধর।
ব্যাখ্যা—২ তাঁরা প্রজাদের সামনে নিজেদের দেবতার মতোই সম্মাননীয় বলে হাজির করতেন।
ব্যাখ্যা—৩ তাঁরা দেবতাকে খুব ভক্তি করতেন।
উত্তর : ব্যাখ্যা—২ তাঁরা প্রজাদের সামনে নিজেদের দেবতার মতোই সম্মাননীয় বলে হাজির করতেন।
২.৩) বিবৃতি : গুপ্ত সম্রাটরা বড়ো বড়ো উপাধি নিতেন।
ব্যাখ্যা—১ উপাধিগুলি শুনতে ভালো লাগত।
ব্যাখ্যা—২ উপাধিগুলি প্রজারা দিত।
ব্যাখ্যা—৩ সম্রাটরা এর মাধ্যমে নিজেদের বিরাট ক্ষমতাকে তুলে ধরতেন।
উত্তর : ব্যাখ্যা—৩ সম্রাটরা এর মাধ্যমে নিজেদের বিরাট ক্ষমতাকে তুলে ধরতেন।
ব্যাখ্যা—১ উপাধিগুলি শুনতে ভালো লাগত।
ব্যাখ্যা—২ উপাধিগুলি প্রজারা দিত।
ব্যাখ্যা—৩ সম্রাটরা এর মাধ্যমে নিজেদের বিরাট ক্ষমতাকে তুলে ধরতেন।
উত্তর : ব্যাখ্যা—৩ সম্রাটরা এর মাধ্যমে নিজেদের বিরাট ক্ষমতাকে তুলে ধরতেন।
২.৪) বিবৃতি : সুয়ান জাং চিন থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিলেন।
ব্যাখ্যা—১ ভারতীয় উপমহাদেশে বেড়ানোর জন্য।
ব্যাখ্যা—২ হর্ষবর্ধনের শাসন বিষয়ে বই লেখার জন্য।
ব্যাখ্যা—৩ বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে আরও পড়াশোনা করার জন্য।
উত্তর : ব্যাখ্যা—২ হর্ষবর্ধনের শাসন বিষয়ে বই লেখার জন্য।
৩। নিজের ভাষায় ভেবে লেখো (তিন/চার লাইন) :
৩.১) কলিঙ্গযুদ্ধের ফলাফলের সঙ্গে অশোকের ধন্মের কী সম্পর্ক? ধৰ্ম্ম তাঁর শাসনকে কতটা প্রভাবিত করেছিল?
উত্তর : অশোক তাঁর ধৰ্ম্মনীতি দিয়ে জনগণকে একজোট করার চেষ্টা করেন। কলিঙ্গ যুদ্ধের পরে তিনি আর যুদ্ধ করেননি। তিনি হিংসার বদলে শান্তির নীতি নিয়েছিলেন। অশোক ঘোষণা করেন যে, এক প্রাণী অন্য প্রাণীর খাবার হতে পারে না। এর পাশাপাশি দয়া, দান, সত্যকথা এসব আচরণের কথাও ধম্মে বলা হয়েছে।
৩.২) মৌর্য সম্রাটরা গুপ্তচর কেন নিয়োগ করতেন?
উত্তর : মৌর্য সম্রাটরাই প্রথম সাম্রাজ্যের খোঁজ খবর আনতে গুপ্তচরদের কাজে লাগিয়েছিলেন। বিদেশি বা অচেনা সন্দেহজনক লোক সবার ওপরেই গুপ্তচরের নজর থাকত। রাজকর্মচারী এমনকি রাজপুত্ররাও গুপ্তচরদের নজরের বাইরে যেতে পারত না। সাম্রাজ্যের সব খবর চলে যেত সম্রাটের কাছে।
৩.৩) মৌর্য সম্রাট ও গুপ্ত সম্রাটদের মধ্যে ক্ষমতা ও মর্যাদার তুলনা
করো।
উত্তর : মৌর্য সম্রাটদের ক্ষমতা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য অনেক বাড়িয়ে তোলেন। আলেকজান্ডারের সহকারী গ্রিক সেনাপতি সেলুকাসের বিরুদ্ধে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য যুদ্ধে জয়ী হন। মৌর্য সম্রাটরা কোনো যজ্ঞ করে নিজেদের ক্ষমতা দাবি করেননি। তাঁরা দেবানাংপিয় বা ‘দেবতাদের প্রিয়’ উপাধি ব্যবহার করতেন। ফলে মৌর্য সম্রাটরা প্রজার কাছে দেবতার মতোই সম্মাননীয় ব্যক্তি হিসেবে নিজেদের তুলনা করতেন। প্রথমদিকে গুপ্ত শাসকরা ‘মহারাজ' উপাধি নিতেন। তবে সম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্তের সময় থেকেই গুপ্ত শাসকরা মহারাজাধিরাজ’ উপাধি নিয়েছিলেন। অর্থাৎ, প্রথম চন্দ্রগুপ্তের সময় থেকেই গুপ্তদের শাসন ক্ষমতা অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়েছিল।
উত্তর : মৌর্য সম্রাটদের ক্ষমতা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য অনেক বাড়িয়ে তোলেন। আলেকজান্ডারের সহকারী গ্রিক সেনাপতি সেলুকাসের বিরুদ্ধে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য যুদ্ধে জয়ী হন। মৌর্য সম্রাটরা কোনো যজ্ঞ করে নিজেদের ক্ষমতা দাবি করেননি। তাঁরা দেবানাংপিয় বা ‘দেবতাদের প্রিয়’ উপাধি ব্যবহার করতেন। ফলে মৌর্য সম্রাটরা প্রজার কাছে দেবতার মতোই সম্মাননীয় ব্যক্তি হিসেবে নিজেদের তুলনা করতেন। প্রথমদিকে গুপ্ত শাসকরা ‘মহারাজ' উপাধি নিতেন। তবে সম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্তের সময় থেকেই গুপ্ত শাসকরা মহারাজাধিরাজ’ উপাধি নিয়েছিলেন। অর্থাৎ, প্রথম চন্দ্রগুপ্তের সময় থেকেই গুপ্তদের শাসন ক্ষমতা অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়েছিল।
৪। হাতেকলমে উত্তর করো :
মৌর্ষ, কুষাণ ও গুপ্ত আমলের মুদ্রাগুলির তুলনা করলে কী কী মিল-অমিল দেখা যাবে?
উত্তর : ৮৮ পৃষ্ঠা এবং ৯৪ পৃষ্ঠায় মুদ্রাগুলি দেখে নিজে ভেবেচিন্তে লেখো।
❍ আরো পড়ুন
❍ এই অধ্যায়ঃ থেকে প্রশ্ন উত্তর প্র্যাকটিস সেট
▢ দুই একটি কথায় উত্তর দাও :
১. মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তরঃ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।
২. কার সহায়তায় চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য মগধের সিংহাসনে বসেন?
উত্তরঃ চাণক্য বা কৌটিল্য।
৩. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কত খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিংহাসনে বসেন?
উত্তরঃ ৩২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
৪. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজত্বকালে কোন গ্রিক দূত এদেশে আসেন?
উত্তরঃ মেগাস্থিনিস।
৫. ইন্ডিকা গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তরঃ মেগাস্থিনিস।
৬. মেগাস্থিনিস কার দূত হয়ে এদেশে এসেছিলেন?
উত্তরঃ গ্রিকরাজ সেলুকাসের।
৭. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য শেষ জীবনে কোন ধর্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ জৈনধর্ম।
৮. অশোক কত খ্রিস্ট পূর্বাব্দে সিংহাসনে বসেন?
উত্তরঃ ২৭৩ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে।
৯. মৌর্য রাজাদের রাজধানী কোথায় ছিল?
উত্তরঃ পাটলিপুত্র।
১০. মৌর্য বংশের শেষ সম্রাট কে ছিলেন?
উত্তরঃ বৃহদ্রথ।
১১. কুষাণরা কোন জাতির লোক?
উত্তরঃ ইউ-চি জাতির।
১২. ভারতে কুষাণ শাসনের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তরঃ প্রথম কদ্ফিসেস।
১৩. ভারতে কুষাণদের শ্রেষ্ঠরাজা কে ছিলেন?
উত্তরঃ কণিষ্ক।
১৪. কত খ্রিস্টাব্দে কণিষ্ক সিংহাসনে আরোহণ করেন?
উত্তরঃ ৭৮ খ্রিস্টাব্দে।
১৫. কণিষ্কের রাজধানী কোথায় ছিল?
উত্তরঃ পুরুষপুর।
১৬. শকাব্দ কে প্রচলন করেন?
উত্তরঃ কণিষ্ক।
১৭. কোন কুষাণ সম্রাট ‘মহেশ্বর’ উপাধি নিয়েছিলেন?
উত্তরঃ বিম কদ্ফিসেস।
১৮. সাতবাহন বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তরঃ সিমুক।
১৯. সাতবাহন বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট কে ছিলেন?
উত্তরঃ গৌতমীপুত্র সাতকর্ণী।
২০. গুপ্তবংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তরঃ শ্রীগুপ্ত।
২১. 'এলাহাবাদ প্রশস্তি’ থেকে কোন রাজার কীর্তিকাহিনি জানা যায়?
উত্তরঃ সমুদ্রগুপ্ত।
২২. এলাহাবাদ প্রশস্তি কে রচনা করেন?
উত্তরঃ সমুদ্রগুপ্তের সভাকবি হরিষেণ।
২৩. শকারি উপাধি কে গ্রহণ করেছিলেন?
উত্তরঃ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত।
২৪. দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে কোন পরিব্রাজক এদেশে
এসেছিলেন?
উত্তরঃ ফা-হিয়েন।
২৫. কোন গুপ্তরাজা হুণ অক্রমণ প্রতিহত করে খ্যাতি লাভ করেন?
উত্তরঃ স্কন্দগুপ্ত।
২৬. হর্ষবর্ধনের রাজধানী কোথায় স্থানান্তরিত করেন?
উত্তরঃ কনৌজ।
২৭. কে শিলাদিত্য উপাধি গ্রহণ করেন?
উত্তরঃ হর্ষবর্ধন।
২৮. হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে কোন চিনা পরিব্রাজক ভারতে আসেন?
উত্তরঃ হিউয়েন সাঙ্।
▢ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :
১. অশোক স্তম্ভ কী?
উত্তর : সম্রাট অশোক যুদ্ধ করা ছেড়ে দিয়ে মানুষের কাছে শান্তির বাণী পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাই তার স্তম্ভটি জাতীয় প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সেটি ওলটানো পদ্মের মতো দেখতে একটি বেদির ওপর রাখা। তার ওপর অশোকচক্র দেখা যায়। এই চক্রের বাঁদিকে ষাঁড় ও ডানদিকে ঘোড়ার মূর্তি।
২. সাম্রাজ্য কী? সম্রাট কে?
উত্তর : অনেকগুলো রাজ্য জুড়ে একটা বড়ো শাসন এলাকা হয় সেই বড়ো শাসনএলাকাটাই সাম্রাজ্য।
সাম্রাজ্য শাসন করেন যিনি, তিনি সম্রাট, যে রাজা অনেক জনগণ ও অঞ্চলের শাসক তিনি সম্রাট।
৩.কোন মৌর্য রাজা নন্দ বংশের উচ্ছেদ ঘটান ? অর্থশাস্ত্র কে রচনা করেন?
উত্তর : মৌর্য রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য নন্দ বংশের উচ্ছেদ ঘটান। অর্থশাস্ত্র রচনা করেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী কৌটিল্য।
উত্তর : মৌর্য রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য নন্দ বংশের উচ্ছেদ ঘটান। অর্থশাস্ত্র রচনা করেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী কৌটিল্য।
৪. চাণক্য কে ছিলেন?
উত্তর : চাণক্য ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান পরামর্শদাতা। তিনি কৌটিল্য নামে অর্থশাস্ত্র রচনা করেন।
৫. কলিঙ্গ যুদ্ধের ঐতিহাসিক তাৎপর্য কী?
উত্তর : 'ঐতিহাসিক হেমচন্দ্র রায়চৌধুরী বলেছেন, বিম্বিসার অঙ্গরাজ্য জয় করে মগধের রাজ্য বিস্তারে যে সূচনা করেন, অশোকের কলিঙ্গ জয়ের দ্বারা তার সমাপ্তি ঘোষিত হয়। অতঃপর অশোক ভেরীঘোষ এর পরিবর্তে মানুষের অন্তর জয় ও ধৰ্ম্মঘোষ নীতি গ্রহণ করেন।
৬. অশোক কর্তৃক ভারতের বাইরে প্রেরিত দুজন ধর্মপ্রচারকের নাম
লেখো।
উত্তরঃ অশোক কর্তৃক ভারতের বাইরে সিংহলে দুজন ধর্মদূতকে পাঠানো হয়
তাঁরা হলেন তাঁর পুত্র মহেন্দ্র এবং কন্যা সংঘমিত্রা।
৭. অর্থশাস্ত্র কে রচনা করেন? কোন রাজত্বকাল সম্পর্কে এতে বর্ণনা
আছে?
উত্তরঃ অর্থশাস্ত্র রচনা করেন কৌটিল্য। অর্থশাস্ত্রে মৌর্য শাসনকাল
বিশেষ করে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজত্বকাল সম্বন্ধে বর্ণনা আছে।
৮. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য প্রতিষ্ঠিত বংশের নাম মৌর্য হল কেন?
উত্তরঃ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য প্রতিষ্ঠিত বংশ মৌর্যবংশ নামে খ্যাত। মৌর্য
নামকরণ নিয়ে বিতর্ক আছে। (১) মুদ্রারাক্ষস অনুযায়ী চন্দ্রগুপ্তের
ঠাকুরমা এবং বিষ্ণুপুরাণ অনুযায়ী চন্দ্রগুপ্তের মায়ের নাম মুরা থেকে
মৌর্য নামকরণ হয়েছে, (২) কারও মতে চন্দ্রগুপ্তের পূর্বপুরুষরা ছিলেন
ময়ূর পোষক, আবার কারও মতে চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন পিপ্পলিবনের মৌরিয়
ক্ষত্রিয় গোষ্ঠীভুক্ত। এ থেকেই চন্দ্রগুপ্ত প্রতিষ্ঠিত বংশের
নাম হয়েছে মৌর্য।
৯. নাসিক প্রশস্তি কার রচনা? এই প্রশস্তিতে কার কৃতিত্বের কথা বলা
হয়েছে?
উত্তরঃ নাসিক প্রশস্তি গৌতমীপুত্র সাতকর্ণীর মা গৌতমী বলশ্রীর
রচনা। নাসিক প্রশস্তিতে গৌতমীপুত্র সাতকর্ণীর কৃতিত্বের কথা বলা
হয়েছে।
১০. কণিষ্ক কোন ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করেন? তিনি ভারতের বাইরে
কোন কোন স্থানে এই ধর্মপ্রচার করেন?
উত্তরঃ কণিষ্ক বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। তিনি ভারতের বাইরে
কাশগড়, খোটান, চিন, জাপান প্রভৃতি স্থানে এই ধর্মপ্রচার করেন।
১১. অশোকের ধৰ্ম্ম কী ছিল?
উত্তরঃ (১) প্রাণীহত্যা থেকে বিরত থাকা, (২) প্রাণীর ক্ষতি না করা, (৩)
বাবা মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, (৪) বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি
শ্রদ্ধা প্রদর্শন, (৫) গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, (৬) ব্রাহ্মণ,
শ্রমণ, আত্মীয় ও বন্ধুদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার। (৭) স্বল্প ব্যয় ও (৮)
স্বল্প সঞয় এই আটটি কর্তব্যকর্ম পালনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অশোকের
ধন্মে।
১২. মহাস্থানগড় কী?
উত্তরঃ মহাস্থানগড় হল বর্তমান বাংলাদেশের বগুড়া জেলার একটি প্রত্নস্থল।
এখানে মৌর্য যুগের ব্রাহ্মী লিপিতে লেখা একটি লেখ পাওয়া গেছে। মৌর্য
সম্রাট অশোকের লিপির সঙ্গে এর মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। যার সময় কাল
খ্রিঃপূঃ তৃতীয় শতক। মহাস্থান লেখটি লেখা হয়েছিল পুন্ড্রনগরের
মহামাত্রর উদ্দেশে।
১৩. আটবিক কারা ছিল?
উত্তরঃ মৌর্য শাসকরা বিভিন্ন ধরনের লোকেদের একটি শাসনের আওতায়
আনতে চেয়েছিল। কিন্তু জঙ্গলের বাসিন্দাদের প্রতি তাঁদের মনোভাব ভালো
ছিল না। বনে যারা থাকে তাদের নীচ, অসভ্য ও বুনো বলে ধরা হত। আটবি মানে
বন। বনে যারা থাকে তাদের আটবিক বলা হত। তারা মৌর্য সাম্রাজ্যে নানান
গোলমাল পাকাত।
১৪. গঙ্গারিদাই কী?
উত্তরঃ গ্রিক ও রোমান সাহিত্যে মগধের পূর্বদিকে এক শক্তিশালী রাজ্যের কথা
পাওয়া গেছে তার নাম গঙ্গারিদাই। এর রাজ্যের রাজধানী ছিল গঙ্গা বা
গ্যাঙ্গে বন্দর নগর। টলেমির মতে, গঙ্গা নদীর পাঁটি মুখ বা মোহনার
সবটাই জুড়ে ছিল গঙ্গারিদাই।
১৫. কুষাণ কারা?
উত্তরঃ মধ্য এশিয়া থেকে কয়েকটি যাযাবর গোষ্ঠী পশ্চিম দিকে চলে যায়। এরা
এখনকার আফগানিস্তান ও ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর পশ্চিম অংশে পৌঁছায় এদের
মধ্যে ইউয়ে-ঝি গোষ্ঠী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওই গোষ্ঠীর একটি শাখা ছিল কু এই
য়ুয়াং। তারা ব্যাকট্রিয়ার ওপর অধিকার কায়েম করেছিল। এরাই ভারত ইতিহাসে
কুষাণ নামে পরিচিত।
❐ রচনাধনী প্রশ্নের উত্তর :
১. ভারতীয় ইতিহাসে মৌর্য বংশ বিখ্যাত কেন?
উত্তর : আনুমানিক ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ভারতবর্ষের প্রথম বড়ো সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন মৌর্য সম্রাটরা চন্দ্রগুপ্ত,বিন্দুসার এবং অশোক। এই সময়েই ম্যাসিডনের সম্রাট অর্থাৎ গ্রিক বীর আলেকজান্ডার উত্তর-পশ্চিম ভারত জয় করে তাঁর প্রতিনিধিদের রেখে দেশে ফিরে যান। অর্থশাস্ত্র প্রণেতা কৌটিল্য চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মাধ্যমে নন্দবংশের শেষ রাজা ধননন্দকে পরাজিত করে বিশাল নন্দ সাম্রাজ্য দখল করেন। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য গ্রিকদের বিতাড়িত করেন তিনি প্রায় সমস্ত ভারতব্যাপী এক সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। প্রাচীন ভারতে মৌর্য সাম্রাজ্যই ছিল প্রথম সর্ববৃহ সাম্রাজ্য।
১. ভারতীয় ইতিহাসে মৌর্য বংশ বিখ্যাত কেন?
উত্তর : আনুমানিক ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ভারতবর্ষের প্রথম বড়ো সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন মৌর্য সম্রাটরা চন্দ্রগুপ্ত,বিন্দুসার এবং অশোক। এই সময়েই ম্যাসিডনের সম্রাট অর্থাৎ গ্রিক বীর আলেকজান্ডার উত্তর-পশ্চিম ভারত জয় করে তাঁর প্রতিনিধিদের রেখে দেশে ফিরে যান। অর্থশাস্ত্র প্রণেতা কৌটিল্য চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মাধ্যমে নন্দবংশের শেষ রাজা ধননন্দকে পরাজিত করে বিশাল নন্দ সাম্রাজ্য দখল করেন। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য গ্রিকদের বিতাড়িত করেন তিনি প্রায় সমস্ত ভারতব্যাপী এক সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। প্রাচীন ভারতে মৌর্য সাম্রাজ্যই ছিল প্রথম সর্ববৃহ সাম্রাজ্য।
চন্দ্রগুপ্তের সাম্রাজ্য ভারতের বাইরে ব্যাকট্রিয়া রাজ্যের কোনো কোনো অঞ্চল
পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। চন্দ্ৰগুপ্তের পুত্র বিন্দুসার সিংহাসনে বসে পিতার
সাম্রাজ্যকেই দক্ষতার সঙ্গে রক্ষা করেছিলেন। তাঁর রাজসভায় নানা দেশের
দার্শনিকরা আসতেন। তিনি তাঁদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করতেন। বিন্দুসারের
পুত্র অশোক ধর্ম সম্বন্ধে একেবারেই গোঁড়ামিমুক্ত ছিলেন। অশোকের রাজত্বকাল
বহুদিক থেকেই ছিল উল্লেখযোগ্য। তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং সমস্ত
রাজ্যে ও রাজ্যের বাইরে এই ধর্মমত প্রচার করার কাজে ব্রতী হয়েছিলেন।
তিনি যুদ্ধ নীতির পরিবর্তে ধর্মনীতি ঘোষণা করেন। অশোকের এই ধর্ম একেবারেই
মানবধর্ম অশোক এমন একজন সম্রাট যিনি বলেছিলেন, “সমস্ত প্রজা আমার সন্তান
তুল্য’। প্রজার কাছে আমার ঋণ আমি পরিশোধ করব প্রজাকল্যাণ করে। মানুষের
কল্যাণে যেভাবে চেষ্টা অশোক করেছিলেন সে জন্যই তিনি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে
থাকবেন। অশোকের পর মৌর্য সাম্রাজ্য মাত্র ৫০ বছর টিকেছিল।
Related Tags : ষষ্ঠ শ্রেণীর কোশ্চেন উত্তর,ক্লাস 6 এর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর,ষষ্ঠ শ্রেণির প্রশ্ন,ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায়,ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায়,ক্লাস সিক্স এর প্রশ্ন বিচিত্রা,ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস প্রথম অধ্যায়
No comments
Hi Welcome ....