Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Top Ad

Breaking News:

latest

ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর অধ্যায় : (১) ইতিহাসের ধারণা

ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস সূচিপত্র অনুযায়ী অধ্যায় ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর সমাধান এবং আলোচনাঃ 👇   Read More Click Class - VI History ...

অধ্যায় ইতিহাসের ধারণা |History 1st Chapter Question and Answers

ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস সূচিপত্র অনুযায়ী অধ্যায় ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর সমাধান এবং আলোচনাঃ

👇 Read More Click
Class - VI History Question Answer 


History 1st Chapter Question and Answers | Itihaser Dharona Question- Answers Class 6 

১.১ কবে, কেন, কীভাবে, কোথায়?
☞ স্কুলে একদিন রুবির দাদুর গল্পটা দিদিমণির কাছে বলা হল। তিনি বোর্ডে ওই তিনটি জিনিস এঁকে দেখাতে বললেন। দিদিমণি আলোচনা করে বুঝিয়ে দিলেন মানুষ আগে পাথরের হামানদিস্তা বা শিলনোড়ার ব্যবহার শিখেছে। তারপর ধাতুর হামানদিস্তা, সবশেষে মিক্সার মেশিনের ব্যবহার শিখেছে। কারণ বিদ্যুতের ব্যবহার মানুষ শিখেছে অনেক পরে। এটাই ইতিহাসের গল্পের গোড়ার কথা। কবে, কেন আগে এবং কেন পরে এটাই ইতিহাসের গল্পের ধাপ। এবার প্রশ্ন হল, কীভাবে মানুষ প্রথমে পাথরের শিলনোড়ার ব্যবহার শিখল? কীভাবে বানাল ধাতুর হামানদিস্তা? কোন্ জায়গায় অর্থাৎ কোথায় শুরু হল এই কাজ? আমরা ইতিহাসের গল্প শুরু করব এই ভাবেই কবে, কেন, কীভাবে, কোথায়? অনেক অনেক দিন আগের কথা : কীভাবে জানা যায় অনেক অনেক দিন আগের কথা? পুরোনো দিনের লেখা পড়ে আর ছবি দেখে সেসব জানা যায়। আবার বয়স্ক মানুষদের মুখে শুনেও কিছুটা জানা যায়। কিন্তু যে সময়ের কোনো মানুষ আজও বেঁচে নেই, যে সময়ের ছবি নেই বা লেখা নেই সেই সময়ের কথা জানা যায় কীভাবে? সেই অনেক অনেক দিন আগের কথা জানা যায় ইতিহাসের বই পড়ে। তবে, মনে রাখতে হবে, অনেক গল্পের বইতে অনেক পুরোনো দিনের কথা লেখা থাকলেও সেগুলোর সব কথাই ইতিহাস নয়। যেমন রূপকথার গল্পে যে ডানাওয়ালা পক্ষীরাজ ঘোড়ার কথা আমরা পড়ি সেগুলো মানুষের মনের কল্পনা। সেগুলো ইতিহাস নয়। ইতিহাসে কল্পনা মেশানো গল্প থাকবে না, ইতিহাসে গল্পের মতো কথাগুলো সবই সত্যি।
১.২ ইতিহাসের কথা, মানুষের কথা?
☞ ইতিহাসে গল্পের মতো করে কী লেখা থাকে? ইতিহাসে বেশির ভাগ লেখা থাকে মানুষের কথা। পুরোনো দিনের মানুষের কথা। থাকে সেই সময়ের পরিবেশের কথা। কীভাবে মানুষ ধীরে ধীরে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলল। কীভাবে মানুষ নানান কাজকর্ম শিখল, আগুন জ্বালাতে শিখল, পোশাক পরতে শিখল, আঁকতে-লিখতে-পড়তে শিখল। কীভাবে মানুষ একজোট হতে শিখল, রান্নাবান্না শিখল, বাড়ি বানাল, গ্রাম-শহর তৈরি করল, নদীতে বাঁধ দিল, চাষ-আবাদ করল, গান গাইল, বাজনা বাজাল, রকেট তৈরি করল ইত্যাদি। আদিম মানুষ ইস্কুলে যেত না। কিন্তু এখন আমরা কত কঠিন কঠিন অঙ্ক করছি। কম্পিউটারে কাজ করছি। এসব ঘটনা কবে, কেন, কীভাবে, কোথায় হয়েছে ইত্যাদি প্রশ্ন আর উত্তরই হল ইতিহাসের কথা।

নদীমাতৃক সভ্যতা : আদিম যুগে যখন মানুষের সংখ্যা বাড়তে শুরু করল তখন মানুষ খাদ্যের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে লাগল। একসময় তারা নদীর তীরকেই খাবার সংগ্রহ ও বাসস্থানের উপযুক্ত স্থান বিবেচনা করল। দলবদ্ধ হয়ে তারা নদীর তীরে স্থায়ী বসবাস গড়ে তুলল। কৃষিকাজ ও পশুপালন শুরু করল। এভাবেই নদীকে আশ্রয় করে একদিন মানুষ হয়ে উঠল সভ্য। নদীর তীরে জোটবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে করতে একসময় তাদের মধ্যে মতের অমিল দেখা দিল। কিন্তু বিবাদ না বাড়িয়ে তারা নিজেরাই আলোচনা করে নিয়ম তৈরি করল। সকলেই ওই নিয়ম মেনে চলতে শিখল। গড়ে উঠল নিয়মের শাসন। মানুষ সুসভ্য হল। এই সুসভ্য মানুষ ধীরে ধীরে তাদের জীবনের প্রয়োজনে উন্নত চিন্তাভাবনা করতে শিখল। গড়ে উঠল সভ্যতা। পুরোনো দিনে এভাবে নদীর ওপর নির্ভর করেই তৈরি হয়েছিল অনেক সভ্যতা। তাই পুরোনো সভ্যতাগুলির কাছে নদী ছিল মায়ের মতো। বাংলায় ‘মাতৃক' শব্দের মানে বোঝায় মায়ের মতো, নদী আমাদের লালনপালন করে। নদীর পাশে যেসব সভ্যতা গড়ে উঠল তাদের বলা হল নদীমাতৃক সভ্যতা।
প্রাক্-ইতিহাস, প্রায়-ইতিহাস : ইতিহাস বলে পুরোনো দিনের গল্প। মানুষ যে সময়ে লিখতে শেখেনি সেই সময়টাকে অনেকে বলেন প্রাক্-ঐতিহাসিক যুগ। প্রাক্ শব্দের মানে পূর্বে বা আগে। সুতরাং প্রাক্-ইতিহাস বলতে বোঝায় ইতিহাসের আগের সময়। এরপর যে সময়ে মানুষ লিখতে শিখল, সেই সময়টা এত পুরোনো যে তখনকার লেখাগুলোর অর্থ এখনও বোঝা বাঝা গেল না। সেই সময়টাকে বলা হয় প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ। আর যখন পুরোনো মানুষের লেখাগুলি পড়া সম্ভব হল তখনকার সময়টাকে বলা হল ইতিহাস।

সাল-তারিখের নানারকম : একসময় মানুষ লিখতে শিখল। তখন ইতিহাসের সেই কবে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেতে লাগল খুব সহজে। সময়ের হিসাব হয়ে গেল সহজ। সাল বা সময়কাল বোঝাতে ইতিহাসে লেখা হল অব্দ শব্দটি। যেমন কলিঙ্গাব্দ, গুপ্তাব্দ, হর্ষাব্দ ইত্যাদি। ভারতে কুষাণ সম্রাট কনিষ্ক সিংহাসনে বসে যে অব্দ গোনা চালু করলেন তাকে বলা হল কনিষ্কাব্দ বা শকাব্দ। খ্রিস্টাব্দ থেকে ৭৮ বাদ দিলেই শকাব্দ হবে। এভাবে ভারতে ৩১৯-৩২০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ গুপ্তসম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্ত সিংহাসনে বসে চালু করলেন গুপ্তাব্দ। ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট হর্ষবর্ধন যখন উত্তর ভারতের রাজা হলেন তখন তিনি চালু করলেন হর্যাব্দ।

খ্রিস্টপূর্বাব্দ ও খ্রিস্টাব্দ : যে সময় জিশুখ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করলেন তখন থেকে সময় গণনা শুরু হল। সাল-তারিখ বোঝাতে একটি বছরকে বলা হল অব্দ বা সাল। তাই জিশুর জন্মের সময় থেকে বছর বা সাল গোনা হয় বলে তার নাম হল খ্রিস্টাব্দ। খ্রিস্ট + অব্দ, তাই খ্রিস্টাব্দ। বাংলা ‘পূর্ব’ কথার মানে আগে। তাই খ্রিস্টের জন্মের আগের সময়কে বলা হয় খ্রিস্টপূর্বাব্দ। আমরা যখন খ্রিস্টাব্দ বলি তখন গণনা করি ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ এভাবে। কিন্তু খ্রিস্টের জন্মের আগের সময় হিসাব করা হয় ৫, ৪, ৩, ২, ১ এভাবে উলটো দিকে বা ক্রমাগত পিছন দিকে। আবার, গণিতের হিসাব অনুযায়ী খ্রিস্টীয় শতক গোনা হয় এক ধাপ এগিয়ে। যেমন, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ সময়কালকে বলা হয় বিংশ শতক। কারণ জিশুর জন্মের ১ থেকে ১০০ বছর সময় পর্বকে বলা হয় খ্রিস্টীয় প্রথম শতক। পরবর্তী সময় অর্থাৎ, জিশুর জন্মের ১০১ বছর থেকে ১৯৯ বছর পর্যন্ত সময়কে বলা হল দ্বিতীয় শতক। সুতরাং হিসাবটা দেখে নাও —

✱ জিশুখ্রিস্টের জন্মের আগে
২৯৯-২০০ = খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতক
১৯৯-১০১ = খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক
১০০-১ = খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতক

✱ জিশুখ্রিস্টের জন্মের পরে
১-১০০ = খ্রিস্টীয় প্রথম শতক
১০১-১৯৯ = খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতক
২০০-২৯৯ = খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতক

এবার হিসাব করে দেখো, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ হল একবিংশ (একুশ) শতক। শতক শব্দটিকে শতাব্দী বা শতাব্দও বলা হয়। এক থেকে একশো বছর সময়কে বলা হয় শতাব্দ বা শতাব্দী বা শতক। আবার যখন আমরা ১ থেকে ১০০০ বছর গোনা শুরু করি তখন তাকে বলি সহস্রাব্দ। সহস্রাব্দ কথার মানে এক হাজার বছর। তবে এক থেকে দশ বছর পর্যন্ত সময়কে আর দশাব্দ বলা হয় না। বলা হয় দশক।
জাদুঘর : ইতিহাস জানার প্রয়োজনে মাটির নীচ থেকে কিংবা মাটির ওপর থেকে যেসব অনেক অনেক পুরোনো জিনিস পাওয়া গেছে সেগুলিকে বলা হয় প্রত্নবস্তু। প্রত্নবস্তুগুলি যে পরিষ্কার ঘরে খুব যত্ন করে রাখা হয় তাকে বলে জাদুঘর। জাদুঘর শব্দের ইংরেজি হল Museum (মিউজিয়াম)। আমাদের কলকাতা শহরে আছে বিরাট একটা জাদুঘর। এখানে ভীষণ যত্ন করে রাখা আছে অনেক প্রত্নবস্তু। এগুলি হল সে যুগের বিখ্যাত রাজা-রানিদের পোশাক, অস্ত্রশস্ত্র, মমি ইত্যাদি। আর আছে অনেক অনেক পুরোনো নানারকম মূর্তি, ছবি এবং আরও আরও হাজার রকমের জিনিস।

ভেবে দেখো (টেক্সট বইয়ের পৃষ্ঠা - ৯)
একটি ক্যালেন্ডার নাও। সেটি ভালো করে দেখো। কোন বঙ্গাব্দ, কোন শকাব্দ এবং কোন খ্রিস্টাব্দের ক্যালেন্ডার সেটি?
☞ আমি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের একটি নতুন ক্যালেন্ডার নিলাম। এই ক্যালেন্ডারে ১ জানুয়ারি শুরু হয়েছে ১৬ পৌষ, ১৪২০ বঙ্গাব্দ। ১৪২১ বঙ্গাব্দ শুরু হবে ১৫ এপ্রিল, ২০১৪, অর্থাৎ ১৪২১ বঙ্গাব্দের ১ বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ। এ ছাড়া ২০১৪ থেকে ৭৮ দিন বাদ দিলে যে সংখ্যা দাঁড়াবে তা হল শকাব্দ। তাহলে জানা গেল যে, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ = ১৯৩৬ শকাব্দ (২০১৪-৭৮)।

⏏ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করাে : 
 [প্রতিটি প্রশ্নের মান-১]

 বামদিকের সঙ্গে ডানদিক মেলা :
বামদিক ডানদিক
(ক) প্রথম চন্দ্রগুপ্ত  (i) মৌর্য সম্রাট
(খ) বাণভট্ট (ii) গুপ্তাব্দ
(গ) সমুদ্রগুপ্ত(iii) হর্ষচরিত
(ঘ) অশােক (iv) এলাহাবাদ প্রশস্তি

উত্তরঃ (ক) (ii), (খ) (iii), (গ) (iv), (ঘ) (i)

Q1. মানুষ যে সময়ে লিখতে শেখেনি সেই সময়টাকে বলা হয়?
(ক) ইতিহাস
(খ) প্রাক্-ঐতিহাসিক
(
প্রায়-ঐতিহাসিক
(
কোনােটিই নয়
উত্তরঃ 
(খ) প্রাক্-ঐতিহাসিক

Q2. মহাদেশের মতােই বড়াে অঞ্চলকে বলে?
(ক) উপমহাদেশ
(খ) দেশ
(গ) রাষ্ট্র
(ঘ) মহাদেশ
উত্তরঃ (ক) উপমহাদেশ

Q3. প্রাচীন কালে লেখা হত?
(ক) শিলায়
(খ) গাছের কাণ্ডে
(গ) পাথর বা ধাতুর পাতে
(ঘ) ব্রোঞ্জের পাতে 
উত্তরঃ (গ) পাথর বা ধাতুর পাতে

Q4. প্ৰত্ন কথার অর্থ হল-
(ক) প্রধান
(খ) নবীন
(গ) পুরােনাে
(ঘ) কোনােটিই নয়
উত্তরঃ (গ) পুরােনাে

Q5. ধর্মভিত্তিক সাহিত্যের মধ্যে প্রধান হল?
(ক) এলাহাবাদ প্রশস্তি
(খ) প্রশস্তি
(গ) স্থাপত্য শিল্প
(ঘ) বৈদিক সাহিত্য
উত্তরঃ  (ঘ) বৈদিক সাহিত্য

Q6. _____নামে একটি পুরােনাে জনগােষ্ঠী থাকত বলে একে ভারতবর্ষ বলা হত?
(ক) ভরত
(খ) ভারত
(গ) বিরাট
(ঘ) ভগত
উত্তরঃ (ক) ভরত

Q7. 
আর্যরা_______অংশে বাস করত বলে ওই অঞ্চলকে আর্যাবত বলা হত।
(ক) দক্ষিণ
(খ) পূর্ব
(গ) পশ্চিম
(ঘ) উত্তর
উত্তরঃ  (ঘ) উত্তর

Q8. মাটির নীচ থেকে পাওয়া পুরােনাে দিনের নানা প্রত্নবস্তু যত্ন করে রাখা হত_____
(ক) যাদুঘরে 
(খ) যাদুমহলে
(গ) যাদুর স্থান
(ঘ) কোনােটিই নয়
উত্তরঃ (ক) যাদুঘরে
 
Q9. জীবনীমূলক লেখা পত্র ও প্রাচীন ভারতের ইতিহাস জানা যায়____হর্ষচরিত গ্রন্থ থেকে।
(ক) সমুদ্রগুপ্তের
(খ) চন্দ্রগুপ্তের
(গ) আর্য ভট্টের
(ঘ) বানভট্টের
উত্তরঃ (ঘ) বানভট্টের

Q10. মুদ্রায় শাসকের নাম_____ খােদাই করা থাকে।
(ক) লেখা
(খ) মূর্তি
(গ) চিত্রলিপি
(ঘ) কোনােটিই নয়
উত্তরঃ  (খ) মূর্তি

⏏ শুদ্ধ বা অশুদ্ধ নির্ণয় করাে 
[প্রতিটি প্রশ্নের মান-১]

Q1. ইতিহাসের নিদর্শন ডাকঘরে সংরক্ষণ করা হয়।
Q2. এলাহাবাদ প্রশস্তি রচনা করেন সমুদ্রগুপ্ত।
Q3. প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসের উপাদানগুলিকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়।
Q4. মুদ্রায় শাসকের নাম, মূর্তি প্রভৃতি খােদাই করা হয়।
Q5. মানুষের তামা ব্যবহারের যুগকে ধাতুর যুগ বলা হয়।
Q6. সম্রাট হর্ষবর্ধন যখন উত্তর ভারতের রাজা হলেন তখন চালু করেন হর্ষাব্দ।
উত্তরঃ  Q1. অশুদ্ধ, Q2. শুদ্ধ, Q3. অশুদ্ধ, Q4. শুদ্ধ, Q5. অশুদ্ধ, Q6. শুদ্ধ।

⏏ এককথায় উত্তর দাও : 
[প্রতিটি প্রশ্নের মান-১]

Q1. আনন্দ করে ইতিহাস বই পড়া যায় কী উপায়ে?
উত্তরঃ অনেক ছবি, মজার কথা, অজানা কথা গল্পের মতাে করে বললে ইতিহাস আনন্দ করে পড়া যায়।
Q2. গল্পের মতাে মজা পাওয়া যায় কোন বই পড়ে?
উত্তরঃ ইতিহাস বই পড়ে।
Q3.  মিক্সার মেশিন কীসে চলে?
উত্তরঃ বিদ্যুতে চলে।
Q4. হামানদিস্তা, শিলনোেড়া আর মিক্সার মেশিন আগে-পরে কে এসেছে?
উত্তরঃ প্রথমে এসেছে শিলনােড়া, তারপর হামানদিস্তা, তারপর মিকসার।
Q5. নদীর ওপর নির্ভর করে যেসব পুরােনাে সভ্যতা গড়ে উঠেছিল তাদের কী বলা হয়?
উত্তরঃ নদীমাতৃক সভ্যতা।

 সংক্ষেপে উত্তর দাও : 
[প্রতিটি প্রশ্নের মান - ৩ ও ৫]

Q1. ইতিহাসে অনেক নাম, সাল, তারিখ মনে রাখতে হয় কেন?
উত্তরঃ পুরােনাে দিনের যেসব ঘটনা ইতিহাস বইতে লেখা থাকে সেগুলিকে আগে-পরে সাজিয়ে বিচার করতে হয়। আবার, বিভিন্ন নামগুলি মনে রাখতে হয় তাদের কাজকর্ম জানার জন্য। প্রতিদিন আমাদের জীবনের প্রয়ােজনে অনেক জিনিস ব্যবহার করতে হয়। সেগুলির প্রতিটির নাম আমাদের জানতে হয়। সভ্যতার অগ্রগতির লক্ষ্যে এই জিনিস কবে কে কীভাবে আবিষ্কার করেছে তা আমাদের জানতে হয়। আর ওইসব জানতে গেলে আমাদের ইতিহাস পড়তেই হয়। আর ইতিহাস পড়ে অনেক নাম সাল, তারিখ মনে রাখতে হয়।

Q2. নদীমাতৃক সভ্যতা কাকে বলে?
উত্তরঃ আদিম মানুষ যখন ঘর বাঁধতে শিখল, যখন দলবদ্ধ হল তখন তারা খাদ্যের প্রয়ােজনে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে লাগল। এক সময় মানুষ বুঝতে পারল নদীর তীরভূমিতে ভালাে গাছপালা হয়। যেসব গাছের ফলমূল কিংবা দানাশস্য খেয়ে পেট ভরানাে যায়। ফলে মানুষ নদীর তীরবর্তী এলাকাতেই বসবাস শুরু করল। নদীকে ঘিরেই গড়ে উঠল তাদের নিত্য দিনের জীবনযাত্রা। ধীরে ধীরে মানুষ একটু একটু করে সভ্য হল। মানুষ নদীর তীরভূমিকে আশ্রয় করেই তার সভ্য জীবনের ক্রমাগত বিস্তার ঘটাতে লাগল। সভ্যতার আদি পর্বে তাই নদী মানুষের মায়ের মত ছিল বলেই নদীমাতৃক সভ্যতা বলা হয়।

Q3. শিলনােড়া, হামানদিস্তা আর মিক্সার মেশিন এই তিনটি জিনিস দিয়ে ইতিহাস সম্পর্কেকীভাবে বােঝানাে সহজ?
উত্তরঃ শিলনােড়া, হামানদিস্তা আর মিক্সার মেশিন এই তিনটি জিনিসই মানুষের ব্যবহার্য সম্পদ। তবে এই তিনটি জিনিসের মধ্যে মানুষ কোনটি  আগে এবং কোনটি পরে ব্যবহার করেছে তা বােঝানাে যায়। এবার প্রশ্ন আসবে কেন আগে এবং কেনই বা পরে। ইতিহাসের গল্পের পরবর্তী ধাপ হল এটাই। এর পরের যে ধাপ তা হল, কীভাবে মানুষ এটি ব্যবহার করেছে বা এর ব্যবহার শিখেছে? কিংবা মানুষ কীভাবে বস্তুটি বানাতে শিখল? ইতিহাসের এবার প্রশ্ন শেষ হল, কোথায় অর্থাৎ কোন স্থানের মানুষ এর কাজ শুরু করেছে। কারণ, এক জায়গায় কিছু মানুষ একটা সময়ে একরকম কাজ করত আবার, অন্য জায়গায় অন্য মানুষ ওই একই সময়ে অন্যরকম কাজ করত। শিলনােড়া, হামানদিস্তা আর মিক্সার মেশিনের উদাহরণ দিয়ে বােঝানাে যায় কোনটি আগে আর কোনটি  পরে শিখেছে মানুষ। ইতিহাস বলে মানুষ আগে পাথরের শিলনােড়া, তারপর ধাতুর হামানদিস্তা এবং অবশেষে মিক্সার মেশিনে ব্যবহার শিখেছে।

Q4. ইতিহাসের কথা গল্পের মতাে হলেও সত্যি কেন?
উত্তরঃ  ইতিহাস মানে অতীত অর্থাৎ পুরােনাে দিনের কথা। পুরােনাে দিনের লেখা পড়ে কিংবা ছবি দেখে ইতিহাসের কথা কিছু আন্দাজ করা যায়। যেমন—বয়স্ক লােকেদের মুখ থেকে পুরােনাে কথা কিছু জানা যায়। খুব বেশি পুরােনাে হলে তা ছবি দেখে বা লেখা দেখে বুঝে নিতে হয়। কিন্তু যে সময়ে ছবি পাওয়া যায়নি বা লেখা পাওয়া যায়নি সেইসব দিনের কথা জানা যায় ইতিহাসের পাতা থেকে। আবার, এমন মনে হতে পারে যে, পুরােনাে দিনের অনেক গল্পে তাে পক্ষীরাজ ঘােড়া অর্থাৎ, পাখাওয়ালা ঘােড়ার কথা জানা যায় তাহলে সেগুলাে নিশ্চয়ই সত্য। এই ধারণাটাই মারাত্মক ভুল। কারণ একটা ঘােড়া কখনােই উড়তে পারে না। সুতরাং সেইসব গল্প আমাদের মনে আনন্দ দেওয়ার জন্য বানানাে হয়েছে। এমন মনগড়া গল্প ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে না। তাই ইতিহাস গল্প হলেও একেবারে সত্য।

⏏ রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর দাও : 
[ প্রশ্নের মান - ৮]

Q. ইতিহাস জানতে গেলে অনেক নাম এবং সাল, তারিখ মনে রাখতে হয় কেন?
উত্তরঃ ইতিহাস মানেই পুরােনাে ঘটনা। ঘটনাগুলি ইতিহাসে লেখা হয় মানুষের জীবনযাত্রাকে কেন্দ্র করে। যেদিন থেকে মানুষ দলবদ্ধ হয়েছে, দলনেতার অধীনে থেকেছে, সেদিন থেকে সেই দল বা দলনেতার নাম মনে না রাখলে সেই সময়ের ইতিহাস স্পষ্ট জানা যায় না। প্রাচীন কালের ঘটনাসমূহ যা ইতিহাসে লেখা থাকে সেগুলি যে কত পুরােনাে তার জন্য সময়ের মাপ অবশ্যই করতে হয়। যেমন—আমি জন্মেছি ২০০২ খ্রিস্টাব্দে, আমার বাবা জন্মেছেন ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে, আমার বাবার বাবা অথাৎ ঠাকুরদা জন্মেছেন ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে এগুলিকে বলা হয় সময়ের মাপ। ইতিহাসের ঘটনাবলিও তেমনি একই দিনে বা একই বছরে ঘটেনি। সেগুলি আগে পরে ভাবতে গেলে আমাদের সন-তারিখ মনে রাখতেই হবে। তারিখ, মাস, সাল, দশক, শতাব্দী, সহস্রাব্দ ইত্যাদি হল সময় মাপার হিসাব। ইতিহাসের ঘটনাবলি কোন স্থানে, কোন সময় ঘটেছে সেগুলি মনে রাখার জন্য তারিখ, মাস, সাল, দশক, শতাব্দী, সহস্রাব্দ অনুসারে সাজাতে হয়। তা ছাড়া ইতিহাসের যে বিভিন্ন ঘটনার পরিচয় জানা যায় সেই ঘটনাগুলি একই স্থানে ঘটেনি। তাই সেই সেই স্থানের নাম আমাদের মনে রাখা একান্তই জরুরি।

No comments

Hi Welcome ....