Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Top Ad

Breaking News:

latest

সেনাপতি শংকর প্রশ্ন উত্তর সমাধান | (Class 6 Bengali all answer)

             ❏ আরো পড়ুনঃ  ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা সূচিপত্র সমাধানঃ Class 6 Bengali 2nd Chapter Question Answer ...

সেনাপতি শংকর শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়
   

         ❏ আরো পড়ুনঃ 

Class 6 Bengali 2nd Chapter Question Answer

অধ্যায়ঃ (দুই) সেনাপতি শংকর শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় || টেক্সটবই পৃষ্ঠা = ১০/১১/১২/১৩ প্রশ্ন উত্তর সমাধান || ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা

   ❏ হাতেকলমে :
১.১. শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখাে।
⇨ 'বেঁচে থাকার স্বাদ’, ‘ভাস্কো দা গামার ভাইপাে' বই দুটি লিখেছেন শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়।
১.২. তিনি কোন বইয়ের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন?
⇨ তিনি 'শাহজাদা, দারাশুকো’ উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ আকন্দবাড়ি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কোন কোন জায়গা থেকে পড়তে আসে?
⇨ কাছাকাছি ভেটুরিয়া, সাইবাড়ি, ঘােলপুকুর ও আকন্দবাড়ি থেকে ছাত্রছাত্রীরা আসে।
২.২ স্কুলের জানলা থেকে কী কী দেখা যায়?
⇨ স্কুলের জানলা দিয়ে আকাশের মেঘ দেখা যায়, আর দেখা যায় পাখি উড়ছে।
২.৩ শংকর কীসের স্বপ্ন দেখে?
⇨ শংকর স্বপ্ন দেখে, সেও পাখির মতাে আকাশে ডানার বদলে দুই হাতে বাতাস কেটে উড়ে বেড়াচ্ছে।
২.৪ শংকরের স্বপ্নে বাতাসের রং কী?
⇨ শংকরের স্বপ্নে দেখা বাতাসের রং নীলচে।
২.৫ এমু ছাড়া উড়তে পারে না শুধু দৌড়ােত পারে এমন একটি পাখির নাম লেখাে।
⇨ দক্ষিণ মেরুর পার্বত্য প্রদেশে পেঙ্গুইন উড়তে পারে না কিন্তু দৌড়ােতে পারে।
৩. গল্প থেকে একই অর্থযুক্ত শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখাে :
বিদ্যালয়, অনিল, জগৎ, একাগ্রচিত্ত, পাখা, রােপণ করা।
⇨ বিদ্যালয়—স্কুল। অনিল—বাতাস। জগৎ—পৃথিবী।একাগ্রচিত্ত—তন্ময়। পাখা—ডানা। রােপণকরা—রােয়া।
৪. বিপরীতার্থক শব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্যরচনা করাে :
ভিজে, রাত, বাইরে, গাঢ়, বিশ্বাস।
⇨ ভিজে—(শুকনাে) প্রচণ্ড রােদুরে কচি আমগুলাে শুকনাে হয়ে পড়ে যাচ্ছে। 
⇨ বাইরে—(ঘরে) উৎসবের দিনে কি ঘরে কারও মন বসে? 
⇨ রাত—(দিন) আজ ছিল শ্যামলীর জন্ম দিন। 
⇨ গাঢ়—(পাতলা) রােজ রােজ বড় পাতলা দুধ দেয় গােয়ালা। 
⇨ বিশ্বাস—(অবিশ্বাস) অকারণে কাউকে অবিশ্বাস করা উচিত নয়।
৫. সন্ধি বিচ্ছেদ করাে : বঙ্গোপসাগর, তন্ময়, সাবধান, ত্রিশেক, পঞ্চানন।
 বঙ্গোপসাগর ⇨ বঙ্গ + উপসাগর। 
 তন্ময় ⇨ তৎ + ময়। 
 সাবধান ⇨ স + অবধান। 
 ত্রিশেক ⇨ ত্রিশ + এক ।
● পঞ্চানন⇨ পঞ্চ + আনন।
৬. নীচের শব্দগুলির কোন্টি বিশেষ্য এবং কোনটি বিশেষণ তা খুঁজে নিয়ে আলাদা দুটি স্তম্ভে সাজাও। এরপর  বিশেষ্যগুলির বিশেষণের রূপ এবং বিশেষণগুলির বিশেষ্যের রূপ লেখাে।
প্রকৃতি, ব্যথা, মাটি, বিশ্বাস, জল, মাঠ, শব্দ।
 বিশেষ্য ⇨ প্রকৃতি, ব্যথা, মাটি, বিশ্বাস, জল, মাঠ, শব্দ।
● বিশেষণ ⇨ প্রাকৃত, ব্যথিত, মেটে, বিশ্বাসী, জোলাে, মেঠো, শাব্দিক।
৭. সমােচ্চারিত বা প্রায় সমােচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থ লিখে বাক্যে প্রয়ােগ করাে:
● ভাষা (আমাদের মুখের কথা) নানান দেশের নানান ভাষা লক্ষ করা যায়। ● ভাসা  (ক্রিয়াপদ) সাঁতার না জানলে জলে ভাসা সম্ভব নয়। ● পড়ে ⇨ (ক্রিয়াপদ) গােপাল বই পড়ে। গাছ থেকে তাল পড়ে। ● পরে ⇨ (ভবিষ্যতে) আমি দুদিন পরে বাড়ি ফিরব। ● শংকর ⇨ (শিবের অপর নাম) আমাদের দেশে শংকর অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে পূজিত হন। ● সংকর ⇨ (মিশ্র জাতীয়) সংকর জাতীয় গােরু ভালাে দুধ দেয়।  মাথা ⇨ (শরীরের শীর্ষভাগ) পড়ে গিয়ে বুড়াের মাথা ফেটে গেছে।  মাতা ⇨ (গর্ভধারিণী) রবীন্দ্রনাথের মাতা ছিলেন সারদা দেবী। ● বাঁশ ⇨ (লম্বা গাছ) অসম রাজ্যে প্রচুর বাঁশ পাওয়া যায়। ● বাস ⇨ (যানবাহন) কলকাতা শহরে হাজার হাজার বাস চলে।

৮. গল্পে বেশ কিছু পাখি ও গাছের নাম আছে। এই পাখি ও গাছের নামের তালিকা তৈরি করে এগুলি সম্পর্কে তথ্য জানিয়ে নামের পাশে পাশে লেখাে। প্রয়ােজনে শিক্ষক-শিক্ষিকার সাহায্য নাও। এগুলি ছাড়াও তােমার জানা আরও কিছু পাখি আর গাছের নাম, তাদের বৈশিষ্ট্য লিখে নীচের ছকটি পূরণ করাে।



৯. নীচে কতক গুলি উপসর্গ দেওয়া হল। গল্প থেকে উপযুক্ত শব্দ খুঁজে নিয়ে এই উপসর্গগুলি যুক্ত করে কয়েকটি নতুন শব্দ তৈরি করাে :
উপসর্গ শব্দ নতুন শব্দ
বি বি+জ্ঞান = বিজ্ঞান বিক্রয়, বিকৃতি, বিধর্মী, বিরাগ, বিপদ
প্র প্র+মত্ত = প্রমত্ত প্রগতি, প্রদান, প্রচার, প্রলাপ, প্রবর্তন
নি নি+শ্বাস = নিশ্বাস নিগূঢ়, নিচয়, নিধান, নিয়ােগ, নিবারণ
সু সু+ভাষ = সুভাষ সুকৃতি, সুপ্রিয়, সুগম, সুলভ, সুতীব্র
আ +ভাস = আভাস আকণ্ঠ, আজীবন, আবেগ, আকাঙ্ক্ষা, আবাদ

১০. নীচের বাক্যগুলি থেকে সংখ্যাবাচক শব্দ খুজে বের করাে :
১০.১  পাঁচ-সাত মাইলের ভেতর বঙ্গোপসাগর।
⇨ পাঁচ সাত।
১০.২. জনা ত্রিশেক ছেলেমেয়ে বসে।
 জনা ত্রিশেক।
১০.৩ সেদিকে তাকিয়ে একটি ছেলে আনমনা হয়ে পড়েছিল।
 একটি।
১০.৪. এক একদিন রাতে স্বপ্নের ভেতর সেও অমন ভেসে পড়ে।
 এক একদিন।
১১. নীচের বাক্যগুলি থেকে অনুসর্গ খুঁজে বার করাে। প্রতিটি বাক্যের ভিতর যেসব শব্দ আছে তাদের সঙ্গে কী কী বিভক্তি যুক্ত হয়েছে দেখাও।
১১.১ এখানে বাতাসের ভেতর সবসময় ভিজে জলের ঝাপটা থাকে।
⇨ অনুসর্গ—ভেতর, এখানে। বিভক্তি—বাতাসের-বাতাস + এর বিভক্তি। ভিজে শূন্য বিভক্তি।
জলের—জল + এর বিভক্তি। ঝাপটা—শূন্য বিভক্তি। থাকে—থাক্ + এ বিভক্তি।

১১.২ মাটির মেঝে।
 অনুসর্গ—মেঝে। বিভক্তি—মাটি+র=মাটির, র বিভক্তি।
১১.৩ সেই জানলা দিয়ে মেঘ দেখা যায় আকাশের।
⇨ অনুসর্গ—দিয়ে। বিভক্তি—সে+ ই=সেই, ই বিভক্তি। জানলা—শূন্য বিভক্তি। মেঘ—শূন্য বিভক্তি।
দেখা—দেখ্+ আ বিভক্তি। যায়=যা +য় বিভক্তি। আকাশের আকাশ+এর বিভক্তি।

১১.৪ স্বপ্নের ভেতর সে খাট থেকে পড়েও যায়।
 অনুসর্গ—ভেতর, থেকে। বিভক্তি—স্বপ্নের=স্বপ্ন +এর বিভক্তি। সে—শূন্য বিভক্তি। খাট–শূন্য বিভক্তি।
পড়েও=পড্+এও বিভক্তি। যায়
=যা+য় বিভক্তি।
১১.৫ সে তার স্বপ্নের কথা আর কাউকে কখনও বলবে না।
⇨ অনুসর্গ—আর। বিভক্তি—সে=শূন্য বিভক্তি। তার=শূন্য বিভক্তি। স্বপ্নের স্বপ্ন+এর বিভক্তি। কথা =শূন্য
বিভক্তি। কাউকে=শূন্য বিভক্তি। কখনও =কখন+ও বিভক্তি। বলবে=বল্+বে বিভক্তি। না=অব্যয়।
১২. নীচের বাক্যগুলি থেকে উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ খুঁজে নিয়ে লেখাে :
১২.১ আবাড়ি স্কুলের ক্লাস ফাইভে বিভীষণ দাশ এমু পাখির কথা বলছিলেন।
⇨ বিভীষণ দাশ (উদ্দেশ্য) আকন্দবাড়ির স্কুলের ক্লাস ফাইভে এমু পাখির কথা বলছিলেন (বিধেয়)।
১২.২ স্কুলের সামনে ধানক্ষেতে রােয়া ধান সবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
 স্কুলের সামনে ধানক্ষেতে রােয়া ধান (উদ্দেশ্য) সবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে (বিধেয়।)
১২.৩ গাঢ় ছাইরঙের বিরাট এক পাখি।
⇨ বিরাট এক পাখি (উদ্দেশ্য) গাঢ় ছাই রঙের, বিধেয়।
১২.৪ তন্ময় হয়ে শুনছিল শংকর। 
 শংকর (উদ্দেশ্য) তন্ময় হয়ে শুনছিল (বিধেয়)।
১২.৫. এই খােলামেলা পৃথিবীই সবচেয়ে বড়াে বই।
 এই খােলামেলা পৃথিবীই (উদ্দেশ্য) সবচেয়ে বড় বই (বিধেয়)।

১৩. কথা, চোখ’—এই শব্দগুলির প্রত্যেকটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে বাক্য লেখাে।
  • কথা—(বাক্য) মানুষ কবে যে কথা বলতে শিখেছে তা কেউ জানে না।
  • কথা—(গল্প) আজকের সভায় সাহিত্যের কথা আলােচনা হবে।
  • চোখ—(শরীরের অঙ্গ) শরীরের তুলনায় হাতির চোখ খুব ছােটো।
  • চোখ—(লক্ষ্য) তােমাকে চোখ রাখতে হবে কীভাবে তুমি প্রথম হয়ে পাশ করবে।
১৪. পাঠ্যাংশ থেকে সাতটি জোড়-বাঁধা সাধিত শব্দ খুঁজে লেখাে।
 ১. বঙ্গোপসাগর, ২. ঢেউয়ে, ৩. সাঁইবাড়ি, ৪. ঘােলপুকুর, ৫. ছেলেমেয়ে, ৬. জনাত্রিশেক, ৭. আকন্দবাড়ি।
১৫. নীচের শব্দগুলি দিয়ে বাক্য তৈরি করে একটি অনুচ্ছেদের রূপ দাও।
 গুড়াে, প্রকৃতি, জানলা, ডানা, ছায়া, শব্দ, স্বপ্ন, ভােলামেলা।
⇨ হঠাৎ আবার একটা ঘন কালাে মেঘের ছায়া দেখা দিল। কিছুক্ষণ পরেই মেঘে মেঘে ধাক্কা লেগে ভয়ংকর বাজের শব্দ শােনা গেল। পরিবেশ এমন একটা অপূর্ব রূপ ধারণ করল যে তার মনে হল যেন জেগে জেগেই সে স্বপ্ন দেখছে। তার দৃষ্টি ছিল সম্পূর্ণ খোলামেলা প্রান্তরের ওপর।

১৬. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখাে :
১৬.১. ‘পাগলা বাতাসে তার ঢেউয়ের গুঁড়াে সবসময়ে উড়ে আসছে'—এখানে বাতাসকে ‘পাগলা’ বলা হল কেন?
⇨ এখানে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী প্রায় পাঁচ-সাত মাইলের মধ্যে আকন্দবাড়ির স্কুলের কথা বলা
হয়েছে। সমুদ্রের ঢেউ সারাক্ষণ তার তীরে তীব্রবেগে আছড়ে পড়ছে। বিশেষত বর্ষাকালে সমুদ্রের জলের ঢেউ আরও বেশি করে উত্তাল হয়। তখন তার পাশাপাশি অঞ্চলের হাওয়া কখনও কমে আবার কখনও খুব ভয়ংকর হয়ে ওঠে তাই এখানে বাতাসকে ‘পাগলা’ বলা হল।

১৬.২. বিভীষণ দাশ এমু পাখির কথা বলেছিলেন।'—গল্পের ‘বিভীষণ দাশ’-এর পরিচয় দাও। এমু পাখি ছাড়া গল্পে আর কোন পাখির প্রসঙ্গ এসেছে?
 বিভীষণ দাশ আদর্শবাদী একজন শিক্ষক। ক্লাসের প্রতিটি ছাত্রের প্রতি তার সতর্ক দৃষ্টি থাকে। কোনাে ছাত্র পড়াশােনায় মন না দিলে তিনি ভীষণ অসন্তুষ্ট হন। আবার যদি বােঝেন যে, কোনাে ছাত্র অমনােযােগী হলেও তাঁর পড়ানাে বিষয়টি সম্পর্কে গভীর চিন্তা করছে তাহলে তার ওপর তিনি খুশি হন। তাকে বিষয়টি সম্পর্কে আরও উৎসাহ দান করেন। গল্পে এমু পাখি ছাড়া শঙ্খচিল,বাজপাখি,মাছরাঙা,হাঁড়িচাচা,ডৌখােল, পানকৌড়ি,তিতির ইত্যাদিপাখিরপ্রসঙ্গ এসেছে।

১৬.৩ শংকর বুঝল, কোথাও একটা বড়াে ভুল হয়ে যাচ্ছে।'—কে এই শংকর ? তার স্বভাবের প্রকৃতি কেমন? তার যে কোথাও একটা বড়াে ভুল হয়ে যাচ্ছে—এটা সে কীভাবে বুঝতে পারল?
⇨ শঙ্কর আকন্দপুর গ্রামের ক্লাস ফাইভের একটি কল্পনাপ্রবণ ছাত্র। তার এই স্বভাবের লক্ষণ হল পাখিদের জীবন সম্পর্কে গভীর মনঃসংযােগ করে নিজেই চর্চা করা। সে প্রকৃতি বিজ্ঞানের ক্লাসে বসে শিক তােলা জানলা দিয়ে আকাশের অনেক উঁচুতে ওড়া শঙ্খচিলের দিকে একমনে তাকিয়ে ছিল। আর মনে মনে ভাবছিল, সে অনেকবার স্বপ্নে দেখেছে পাখির মতাে আকাশে ডানার বদলে হাতের সাহায্যে বাতাস কেটে উড়ে বেড়াচ্ছে। ঠিক তখনই হঠাৎ শিক্ষক বিভীষণ দাশের গম্ভীর ডাকে সে চমকে উঠল। আর তখনই শংকর ভাবল তার কোথাও একটা ভুল হয়ে গেছে।

১৬.৪. এমু পাখির যে বর্ণনা শংকর দিয়েছিল তার সঙ্গে পাখিটির মিল বা অমিল কী লেখাে।
 শংকরের বর্ণনায় এমু পাখি ছিল গাঢ় ছাই রঙের বাজপাখির চেয়েও বিরাট এক পাখি। পাখিটা উড়ে যেতে যেতে ডানায় বাতাস কাটার শব্দ হয়েছিল। সেটা তাদের গ্রামের ঘােলপুকুরের বড়াে দিঘির পাড়ে সবেদা গাছের ডালে এসে বসেছিল। কিন্তু প্রকৃতিবিজ্ঞানের শিক্ষক বিভীষণ দাশ বলেছেন, এমু পাখি গ্রামাঞ্চলে থাকে না। সে থাকে এখান থেকে বহু দূর আন্দিজ পর্বতমালায়। দৌড়বাজ এই পাখি উড়তে পারে না। তিন বছরে একবার মােটে বড়াে বড়াে দুটো ডিম পাড়ে।

১৬.৫  এটা কি পানন অপেরা পেয়েছ?'—অপেরা’ বলতে কী বােঝ ? এখানে অপেরার প্রসঙ্গ এলাে কেন?
⇨ অপেরাবলতে খােলারঙ্গমঞ্চে অভিনয় করাযাত্রার দলকে বােঝায়। যাত্রাদলেরমঞে যেসব অভিনেতা-অভিনেত্রী
অভিনয় করেন তারা মুখস্থ করা কথাগুলি পরস্পরের মধ্যে বিনিময় করেন। যখন কোনাে অভিনেতা তার মুখস্থ করা
কথাগুলি ভুলে যেতেন তখন তৎক্ষণাৎ বানিয়ে বানিয়ে কিছু কথা বলে অভিনয়ের সম্পূর্ণতা দান করেন। এখানেও প্রসঙ্গক্রমে বিভীষণ দাশের প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে শংকর তৎক্ষণাৎ কিছু মনগড়া কথা বলছিল তাই পঞ্চানন অপেরার নাম করছিলেন বিভীষণ মাস্টার।

১৬.৬ বলল,বলতেই হবে’—কাকে একথা বলা হল? উদ্দিষ্টকে কোন কথা বলতে হবে বলে দাবি জানানাে হয়েছে?
⇨ একথা বলা হয়েছে আকন্দপুর গ্রামের একটি স্কুলের ক্লাস ফাইভের ছাত্র শংকর সেনাপতিকে। উদ্দিষ্ট শংকরকে তার প্রকৃতি বিজ্ঞানের শিক্ষক বিভীষণ দাশ এমু পাখি সম্পর্কে প্রশ্ন করায় সে যে অসম্ভব উত্তর দিয়েছিল তাতে ভীষণ অসন্তুষ্ট হয়ে তিনি শংকরকে বললা, বলতেই হবে বলে দাবি করেছিলেন। অর্থাৎ, এমুপাখি সম্পর্কে উদ্ভট বর্ণনা শংকর কোথা থেকে জেনেছে তা তাকে বলতে হবে বলে দাবি করা হয়েছে।

১৬.৭ গল্প অনুসরণে আকন্দবাড়ি স্কুলে সে প্রকৃতিবিজ্ঞান ক্লাসে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিজের ভাষায় লেখাে।
⇨ আকন্দবাড়ির স্কুলে ক্লাস ফাইভে প্রকৃতিবিজ্ঞানের শিক্ষক বিভীষণ দাশ এমু পাখি নিয়ে আলােচনা করছিলেন ক্লাসে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে শংকর সেনাপতি নামে একটি ছেলে স্কুলের শিক খােলা জানলার বাইরে তাকিয়ে আকাশে মেঘ ওড়া, পাখি ওড়া ইত্যাদি দেখছিল। দেখছিল নারকেল গাছের মাথায় ডানা মেলে শঙ্খচিল ভাসছে। সে ভাবছিল, সেও রাতে একদিন স্বপ্ন দেখেছে পাখির মতাে ডানার বদলে হাত দিয়ে বাতাস কেটে ভেসে চলেছে শুন্যে। হঠাৎ তার এই ভাবুক অবস্থার দিকে নজর পড়তেই শিক্ষক বিভীষণ দাশ খুব রেগে গেলেন।

১৬.৮ ‘স্বপ্নে সে অনেক কিছু জানতে পেরেছে।'—কার স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে? স্বপ্ন দেখে সে কী জেনেছে?
⇨ আকন্দপুর গ্রামের একটি স্কুলের ক্লাস ফাইভের ছাত্র শংকরের স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে। স্বপ্নে সে জেনেছে বাতাসের রং নীলচে। বাড়ি-ঘরদোর খয়েরি রঙের। স্বপ্নে ধাক্কা খেলে কিংবা গুঁতো খেলে কোনাে ব্যথাই লাগে না। অনেকটা যেন ঘােলপুকুরের বড়ােদিঘিতে ডুব দিয়ে মাটি তােলার পর জলে ভেসে ওঠার মতাে। আপসে ভুস করে ওপরে ওঠা। জলের নীচে পোঁতা বাঁশে গা ঘষে গেলেও টের পাওয়া যায় না।

১৬.৯ 'পাখি দেখার জন্য যখন মাঠে বাগানে ঘুরবে’—তখন কীভাবে চলতে হবে?
⇨ পাখি দেখার ব্যাপারে শিক্ষক বিভীষণ দাশ বলেছিলেন, যখন মাঠে বা বাগানে ঘুরবে তখন খুব সাবধানে পা টিপে টিপে চলবে—যেন পায়ের শব্দ না হয়। জামাকাপড়ের রং শুকনাে পাতার রং বা জলপাই রঙের হলে ভালাে এই রং গাছের পাতার সঙ্গে মিশে থাকে। বেগুনি রঙের জামা পরলেও ভালাে—পাখিরা বেগুনি রং দেখতে পায় না।

১৬.১০ 'তাদের কথা বলতে পারাে?'—এই প্রশ্নের সূত্র ধরে বক্তা-শ্রোতার কথােপকথনের অংশটুকু নিজের ভাষায় লেখাে।
⇨ গল্পের শেষ মুহূর্তে মাস্টারমশায়ের কথায় তড়িঘড়ি করে শংকর যখন উঠে দাঁড়াল তখন মাস্টারমশাই তাকে বললেন, শংকর তুমি তাে গাছে গাছে ঘােরাে তার এই কথা শেষ না হতেই শংকর একগাল হেসে  বলল, ‘ তুমি তাে অনেকরকম পাখি দ্যাখাে। তাদের কথা বুঝতে পারাে? বিভীষণ মাস্টারমশাইয়ের এমন অভাবনীয় প্রীতিপূর্ণ কথা শুনে শংকর অসম্ভব বিস্মিত ও লজ্জিত হয়ে বলল, মাছরাঙা শংকরের কথা সম্পূর্ণ না হতেই মাস্টারমশাই আবেগে বলে উঠলেন—আর? শংকর বলে চলল হাঁড়িচাচা, ডৌখােল, পানকৌড়ি, তিতির মাসাই বিভীষণ মাস্টারের হৃদয়ে তখন জ্ঞানের গভীরতা উথলে উঠছে। তিনি আবেগপূর্ণ কণ্ঠে বলতে লাগলেন—বাঃ! যত পারবে চোখ খােলা রেখে এই পৃথিবীর পাখি, গাছপালা, মেঘ, আলাে—সব দেখে নেবে। এবার খুশিতে আর গর্বে শংকরের বুক এমন ফুলে উঠল যে সে কোনাে কথা আর বলতে পারল না।
বিভীষণ মাস্টারমশাই বললেন, এই খােলামেলা পৃথিবীই সবচেয়ে বড়াে বই। তাকে চোখ ভরে দেখাই সবচেয়ে বড়াে পড়াশােনা।

No comments

Hi Welcome ....