❏ আরো পড়ুনঃ ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা সূচিপত্র সমাধানঃ Class 6 Bengali 1st Chapter Question Answer অধ্যায়ঃ (এক) ভব...
❏ আরো পড়ুনঃ
Class 6 Bengali 1st Chapter Question Answer
অধ্যায়ঃ (এক) ভবদুপুরে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী || টেক্সটবই পৃষ্ঠা-৩-৪
প্রশ্ন উত্তর সমাধান || ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা
❏ হাতেকলমে :
১.১. নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্মস্থান কোথায়?
⇨ বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার চান্দা গ্রামে।
১.২. তার লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখাে।
⇨ উলঙ্গ রাজা, কলকাতার যীশু।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ
২.১. ‘অশথ গাছকে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে কেন?
⇨ গরমকালের দুপুরে পথিকজন অশ্বথ গাছের নীচে বসে প্রখর রােদ থেকে
কিছুক্ষণের জন্য মাথা বাঁচায় বলে অশথ গাছকে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে।
২.২. রাখালরা গাছের তলায় শুয়ে কী দেখছে?
⇨ গাছের নীচে শুয়ে মেঘগুলােকে আকাশ ছুঁয়ে যেতে দেখছে।
২.৩. নদীর ধারের কোন দৃশ্য কবিতায় ফুটে উঠেছে?
⇨ নদীর ধারে কোনাে একজনের অর্থাৎ, কোনাে এক ব্যবসায়ীর শুকনাে খড়ের
আঁটি বােঝাই করা বড়াে নৌকা বাঁধা আছে এই দৃশ্য কবিতায় ফুটে উঠেছে।
৩. একই অর্থযুক্ত শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখাে :
তৃণ, তটিনী, গােরক্ষক, পৃথিবী, জলধর।
তৃণ—ঘাস। তটিনী—নদী। গােরক্ষক—রাখাল। পৃথিবী—বিশ্বভুবন।
জলধর—মেঘ।
৪. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে ও বিশেষণ শব্দগুলিকে বিশেষ্য
পরিবর্তিত করাে :
ঘাস, রাখাল, আকাশ, মাঠ, আদর, গাছ, লােক।।
ঘাস — ঘেসাে। রাখাল — রাখালিয়া ।
আকাশ — আকাশি। মাঠ —মেঠো । আদর — আদুরে।
গাছ—গেছো । লােক—লৌকিকতা।৫. পাশে দেওয়া শব্দগুলির সঙ্গে উপসর্গ যােগ করে নতুন শব্দ তৈরি করাে :
নদী, আদর, বাতাস।
নদী—উপনদী। আদর—অনাদর। বাতাস—প্রতিবাতাস।
৬. নীচের বাক্য বা বাক্যাংশগুলির থেকে উদ্দেশ্য ও বিধেয় চিহ্নিত করে উদ্দেশ্য অংশের সম্প্রসারণ করাে :
৬.১. ওই যে অশথ গাছটি, ও তাে পথিকজনের ছাতা।
⇨ ওই যে (পাতায় ভরা বিশাল) অশথ গাছটি (উদ্দেশ্য), ও তাে (দুপুরের
রােদে ক্লান্ত) পথিকজনের (উদ্দেশ্য),ছাতা (বিধেয়)।
৬.২. কেউ কোথাও নেই, বাতাস ওড়ায় মিহিন সাদা ধুলাে।
⇨ কেউ কোথাও নেই, (মাঝে মাঝে ঝােড়াে) বাতাস (উদ্দেশ্য), ভীষণ ওড়ায় মিহিন সাদা ধুলাে (বিধেয়)।
৬.৩. আঁচল পেতে বিশ্বভুবন ঘুমােচ্ছ এইখানে।
⇨ (অপূর্ব রঙিন) আঁচল পেতে বিশ্বভুবন (উদ্দেশ্য), ঘুমােচ্ছে এইখানে (বিধেয়)।
৭. বিশ্বভুবন’ শব্দে ‘বিশ্ব’ আর ‘ভুবন’ শব্দদুটির একত্র উপস্থিতি রয়েছে যাদের অর্থ একই। এমন পাঁচটি নতুন শব্দ তুমি তৈরি করাে।
⇨ জগৎ-সংসার, বিশ্বব্রমাণ্ড, লােকজন, ঘরবাড়ি, নদনদী।
৬.২. কেউ কোথাও নেই, বাতাস ওড়ায় মিহিন সাদা ধুলাে।
⇨ কেউ কোথাও নেই, (মাঝে মাঝে ঝােড়াে) বাতাস (উদ্দেশ্য), ভীষণ ওড়ায় মিহিন সাদা ধুলাে (বিধেয়)।
৬.৩. আঁচল পেতে বিশ্বভুবন ঘুমােচ্ছ এইখানে।
⇨ (অপূর্ব রঙিন) আঁচল পেতে বিশ্বভুবন (উদ্দেশ্য), ঘুমােচ্ছে এইখানে (বিধেয়)।
৭. বিশ্বভুবন’ শব্দে ‘বিশ্ব’ আর ‘ভুবন’ শব্দদুটির একত্র উপস্থিতি রয়েছে যাদের অর্থ একই। এমন পাঁচটি নতুন শব্দ তুমি তৈরি করাে।
⇨ জগৎ-সংসার, বিশ্বব্রমাণ্ড, লােকজন, ঘরবাড়ি, নদনদী।
১০.‘ওই যে অশথ গাছটি...' অংশে ‘ওই’ একটি দূরত্ববাচক নির্দেশক সর্বনাম। এমন
আরও কয়েকটি সর্বনামের উদাহরণ দাও। যেমন—ও, উহা, উনি, ওঁরা ইত্যাদি।
⇨ ওগুলাে, ওটা, ওঁদের, ওইগুলাে, ওইসকল, ওরা, ওদের।
১১. পথিকজনের ছাতা’—সম্বন্ধপদটি চিহ্নিত করাে, কবিতায় থাকা সম্বন্ধপদ খুজে লেখাে আর নতুন সম্বন্ধপদ যুক্ত শব্দ তৈরি করে। যেমন—গােঠের রাখাল, দুপুরের ঘুম।
⇨ ঘাসের গালচেখানি। গাছের তলায়। খােলের মধ্যে। খড়ের আঁটি। নদীর ধারে। নতুন সম্বন্ধযুত্তশব্দ হল—নদীর জল, গাছের ফল, ফলের বীজ, ডাবের জল, আমের আঁটি, পুকুরের ঘাট, মাঠের ধান, চিড়ের মােয়া, ফুলের মধু।
১২.. ‘ওই বড় নৌকাটি’ বলতে বােঝায় একটি নৌকোকে। নৌকোর সঙ্গে এখানে 'টি’ নির্দেশক বসিয়ে একবচন বােঝানাে হয়েছে। এরকম একটিমাত্র একবচনের রূপ বােঝাতে কোন কোন নির্দেশক ব্যবহৃত হতে পারে, তা উদাহরণ দিয়ে লেখাে।
⇨ বস্তুবাচক বিশেষ্য পদের পরে টি, টা, খানা, খানি, গাছা, গাছি যুক্ত করে একবচনের রূপ বােঝানাে যায়। যেমন—কলমটি, মালাখানি, চেয়ারটা, শাড়িখানা, চুড়িগাছা, বালাগাছি ইত্যাদি বইটি, খাতাটি।
১৩. কবিতা থেকে বহুবচনের প্রয়ােগ রয়েছে এমন শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখাে। প্রসঙ্গত, শব্দকে আর কী কীভাবে আমরা বহুবচনের রূপ দিতে পারি, তা উদাহরণের সাহায্যে বুঝিয়ে দাও।
⇨ মেঘগুলাে, লােকগুলাে (কবিতায় লেখা বহুবচন)। একবচনের সঙ্গে গুলা, গুলি, রা, এরা, গণ ইত্যাদি প্রত্যয় যােগ করে বহুবচন করা যায়। যেমন—কুকুরগুলা, বইগুলি, মেয়েরা, গাছেরা, মহিলাগণ ইত্যাদি।
একবচন শব্দের আগে সব, সকল, সমস্ত, বিস্তর, বহু, অসংখ্য, কত ইত্যাদি যােগ করে বহুবচন করা যায়। যেমন—সবলােক, সমস্ত দেশ, সকল ছাত্র, বিস্তর মাছি, বহু যুগ, অসংখ্য তারা, কত পিঁপড়ে ইত্যাদি।
১১. পথিকজনের ছাতা’—সম্বন্ধপদটি চিহ্নিত করাে, কবিতায় থাকা সম্বন্ধপদ খুজে লেখাে আর নতুন সম্বন্ধপদ যুক্ত শব্দ তৈরি করে। যেমন—গােঠের রাখাল, দুপুরের ঘুম।
⇨ ঘাসের গালচেখানি। গাছের তলায়। খােলের মধ্যে। খড়ের আঁটি। নদীর ধারে। নতুন সম্বন্ধযুত্তশব্দ হল—নদীর জল, গাছের ফল, ফলের বীজ, ডাবের জল, আমের আঁটি, পুকুরের ঘাট, মাঠের ধান, চিড়ের মােয়া, ফুলের মধু।
১২.. ‘ওই বড় নৌকাটি’ বলতে বােঝায় একটি নৌকোকে। নৌকোর সঙ্গে এখানে 'টি’ নির্দেশক বসিয়ে একবচন বােঝানাে হয়েছে। এরকম একটিমাত্র একবচনের রূপ বােঝাতে কোন কোন নির্দেশক ব্যবহৃত হতে পারে, তা উদাহরণ দিয়ে লেখাে।
⇨ বস্তুবাচক বিশেষ্য পদের পরে টি, টা, খানা, খানি, গাছা, গাছি যুক্ত করে একবচনের রূপ বােঝানাে যায়। যেমন—কলমটি, মালাখানি, চেয়ারটা, শাড়িখানা, চুড়িগাছা, বালাগাছি ইত্যাদি বইটি, খাতাটি।
১৩. কবিতা থেকে বহুবচনের প্রয়ােগ রয়েছে এমন শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখাে। প্রসঙ্গত, শব্দকে আর কী কীভাবে আমরা বহুবচনের রূপ দিতে পারি, তা উদাহরণের সাহায্যে বুঝিয়ে দাও।
⇨ মেঘগুলাে, লােকগুলাে (কবিতায় লেখা বহুবচন)। একবচনের সঙ্গে গুলা, গুলি, রা, এরা, গণ ইত্যাদি প্রত্যয় যােগ করে বহুবচন করা যায়। যেমন—কুকুরগুলা, বইগুলি, মেয়েরা, গাছেরা, মহিলাগণ ইত্যাদি।
একবচন শব্দের আগে সব, সকল, সমস্ত, বিস্তর, বহু, অসংখ্য, কত ইত্যাদি যােগ করে বহুবচন করা যায়। যেমন—সবলােক, সমস্ত দেশ, সকল ছাত্র, বিস্তর মাছি, বহু যুগ, অসংখ্য তারা, কত পিঁপড়ে ইত্যাদি।
১৪. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখাে :
১৪.১ আঁচল পেতে বিশ্বভুবন ঘুমােচ্ছ এইখানে —কবির এমন ভাবনার কারণ কী?
⇨ গ্রামের দুপুর। গরমকাল। সূর্যের প্রখর উত্তাপ। মাঠঘাট জনশূন্য। দূরে গােরুবাছুর চরছে। অশ্বথ গাছের নীচে রাখাল শুয়ে শুয়ে দেখছে কীভাবে মেঘগুলাে আকাশ ছুঁয়ে যাচ্ছে। কবির মনে হচ্ছে অন্য কোথাও কোলাহল থাকলেও গ্রামের এই গ্রীষ্মের দুপুরে এক বিশাল নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। অর্থাৎ, মানুষজন বা প্রাণীকুল ঘুমিয়ে পড়লে যে নিস্তব্ধতা বােঝা যায় তা এই মুহূর্তে কবি অনুভব করছেন। তাই তিনি বলেছেন বিশ্বভুবন ঘুমােচ্ছে এখানে।
১৪.২. 'ভরদুপুরে’ কবিতায় গ্রামবাংলার এক অলস দুপুরের ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।
কবিতায় ফুটে ওঠা সেই ছবিটি কেমন লেখাে।১৪.১ আঁচল পেতে বিশ্বভুবন ঘুমােচ্ছ এইখানে —কবির এমন ভাবনার কারণ কী?
⇨ গ্রামের দুপুর। গরমকাল। সূর্যের প্রখর উত্তাপ। মাঠঘাট জনশূন্য। দূরে গােরুবাছুর চরছে। অশ্বথ গাছের নীচে রাখাল শুয়ে শুয়ে দেখছে কীভাবে মেঘগুলাে আকাশ ছুঁয়ে যাচ্ছে। কবির মনে হচ্ছে অন্য কোথাও কোলাহল থাকলেও গ্রামের এই গ্রীষ্মের দুপুরে এক বিশাল নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। অর্থাৎ, মানুষজন বা প্রাণীকুল ঘুমিয়ে পড়লে যে নিস্তব্ধতা বােঝা যায় তা এই মুহূর্তে কবি অনুভব করছেন। তাই তিনি বলেছেন বিশ্বভুবন ঘুমােচ্ছে এখানে।
⇨ গ্রীষ্মের এক দুপুর পশুপাখি ক্লান্তিতে নীরব হয়েছে। অশ্বত্থ গাছ তার ডালপালা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নদীর ধারে শুকনাে খড়ের আঁটি বােঝাই করা ব্যবসায়ীর বড়াে নৌকা বাঁধা আছে। কোনাে মানুষ ধারেকাছে নেই। বাতাসে খুব সাদা গুঁড়ো ধুলাে উড়ছে যে যার ঘর লােকেরা ঘুমােচ্ছে। সারা প্রকৃতিই যেন ঘুমােচ্ছ।
১৪.৩. কোনাে এক ছুটির দিনে দুপুরবেলায় তােমার বাড়ির চারপাশ জুড়ে কেমন পরিবেশ সৃষ্টি হয় তা জানিয়ে বন্ধুকে একটি চিঠি লেখাে।
ঝিলরােড, কলকাতা
১৬ মে, ২০২২
প্রিয় সুমন,
গতকাল তােমার পত্র পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। এই ভয়ংকর গ্রীষ্মে তুমি তােমার
গ্রামের অবস্থা কী চেহারা নিয়েছে তা জানিয়ে আমাকে লিখেছ। এবার আমার শহর
কলকাতার কথা শােনাে। মে মাসের দুপুর আমাদের এখানে মাঝে মাঝে আকাশে দু-এক খণ্ড
মেঘ আসা-যাওয়া করছে। আমি কলকাতার যে জায়গায় থাকি তার সামনে ছােট্ট একটা মাঠ
আছে। তার পাশ দিয়ে গলি। মাঠের চারপাশে দু-একটা করে ছােটো-বড়াে গাছ আছে। এই
দুপুরের রােদে একটা কাক গাছের ডালে পাতার নীচে বসে আছে। পাশের গাছটার নীচে
হাঁপাচ্ছে দুটো কুকুর হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে। গলিতে একটাও লােক হাঁটছে না। দুরে
দেখা যাচ্ছে টুপি মাথায় আইসক্রিমওয়ালা তার রিক্সভ্যান নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে
চলেছে। আমি আমার বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে এসব দৃশ্য দেখছি। আশা করি, তােমরা
ভালাে আছো । চিঠি দিয়াে ভালােবাসা নিয়াে। মাসিমা-মেসোমশাইকে আমার প্রণাম
জানিয়াে।
ইতি
তােমারই প্রিয়
বিনােদ
সুমন দাসলক্ষ্মীকান্তপুর, হুগলি
১২.৪. তােমার দেখা একটি অলস দুপুরের ছবি আঁকো।
⇨ আমি গ্রামের ছেলে। সমস্ত ঋতুতেই আমি গ্রামের দুপুরের ছবি দেখি। সাধারণত সকল ঋতুতে দুপুরে লােকজন মােটামুটি নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু গরমকালে এত বেশি রােদের তাপ বাড়ে যে দুপুরে সকলেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কাজকর্ম করতে পারে না মানুষজন অলস হয়ে পড়ে। তবে একটি দিনের অলস দুপুরের ছবি আমি কখনােই ভুলব না তখন বেলা একটা। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু। সেদিন আমাদের বাড়ির অদূরে একটা পুকুরে ঘণ্টা দুয়েক আগে জেলেরা মাছ ধরে চলে গেছে। দুটি বক একপায়ে দাঁড়িয়ে সেই পুকুরের ধারে কাদা-জলে এক পায়ে দাঁড়িয়ে মাছ খুঁজছে। পাশের একটা গাছের ডালে দুটো কাক উঁকি মেরে দেখছে। একটা কুকুর কাদাজলে পিছনের অর্ধেক শরীর ডুবিয়ে এসে আম গাছের নীচে শুয়ে লম্বা জিভ বের করে হাঁপাচ্ছে। পুকুরের এক কোণে তিনটে মােষ সারা শরীর ডুবিয়ে শুধু মুখখানি বের করে রেখেছে। তাদের প্রত্যেকের শিঙে একটা করে অচেনা ছােটো পাখি বসে আছে। তারাও দেখছে পুকুরের ঘােলা জলে কোনাে মাছ ভেসে ওঠে কিনা। দূরের সমস্ত চাষের মাঠ ধুধু করছে। কোথাও কোনাে লােকজন নেই।
No comments
Hi Welcome ....