Hajabarala Class 6 Bengali Answer Solutions ক্লাস - সিক্স হ-য-ব-র-ল প্রশ্ন ও উত্তর সমাধান হ য ব র ল [ হাতে কলমে ] ১. ❐ সংক্ষেপে উত্তর ...
Hajabarala Class 6 Bengali Answer Solutions
ক্লাস - সিক্স হ-য-ব-র-ল প্রশ্ন ও উত্তর সমাধান
হ য ব র ল [ হাতে কলমে ]
১. ❐ সংক্ষেপে উত্তর দাওঃ
১.১ কোথায় রুমালটা বেড়াল হয়ে গিয়েছিল?উত্তর : ঘাসের ওপর একটাল রুমাল ছিল। ঘাম মোছার জন্য রুমালটা তুলতে যেতেই সেটা বেড়াল হয়ে গিয়েছিলো।
১.২ শেষ পর্যন্ত সে কোথায় চলে গেল?
উত্তরঃ শেষ পর্যন্ত বেড়ালটা বেড়া টপকিয়ে চলে গেলো।
১.৩ কে চেঁচিয়ে বলেছিল, 'মানহানির মােকদ্দমা’?
উত্তরঃ একটা তকমা-আঁটা-পাগড়ি-বাঁধা কোলাব্যাং রুল উচিয়ে চিৎকার করে বলেছিল ‘মানহানির মােকদ্দমা’।
১.৪ কার তিনমাস জেল আর সাতদিনের ফাঁসির হুকুম হল?
উত্তরঃ ন্যাড়ার তিনমাস জেল আর সাতদিনের ফাঁসির হুকুম হল।
১.৫ কাকে দেখে বােঝা যাচ্ছিল না সে ‘মানুষ না বাঁদর, প্যাচা না ভূত’?
উত্তরঃ একটি জন্তুকে দেখে বােঝা যাচ্ছিল না সে মানুষ না বাঁদর, প্যাচা না ভূত।
১.৩ কে চেঁচিয়ে বলেছিল, 'মানহানির মােকদ্দমা’?
উত্তরঃ একটা তকমা-আঁটা-পাগড়ি-বাঁধা কোলাব্যাং রুল উচিয়ে চিৎকার করে বলেছিল ‘মানহানির মােকদ্দমা’।
১.৪ কার তিনমাস জেল আর সাতদিনের ফাঁসির হুকুম হল?
উত্তরঃ ন্যাড়ার তিনমাস জেল আর সাতদিনের ফাঁসির হুকুম হল।
১.৫ কাকে দেখে বােঝা যাচ্ছিল না সে ‘মানুষ না বাঁদর, প্যাচা না ভূত’?
উত্তরঃ একটি জন্তুকে দেখে বােঝা যাচ্ছিল না সে মানুষ না বাঁদর, প্যাচা না ভূত।
❐ ২. নীচের শূন্যস্থান পূরণ করাে এবং পূরণ করা শব্দ দিয়ে বাক্যরচনা করাে :
২.১ আমার নাম শ্রীব্যাকরণ শিং, বি.এ খাদ্য বিশারদ।
◉ খাদ্য বিশারদ ➛ জীবনবাবু একজন ভােজনরসিক মানুষ, অনেকেই তাকে খাদ্য বিশারদ বলে।
২.২ তার জুতাের নাম ছিল অবিমৃষ্যকারিতা, তার ছাতার নাম ছিল প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, তার গরুর নাম ছিল
পরমকল্যাণবরেষু কিন্তু যেই তার বাড়ির নাম দিয়েছে কিংকর্তব্যবিমূঢ় অমনি ভূমিকম্প হয়ে বাড়িটাড়ি সব পড়ে গিয়েছে।
◉ অবিমৃষ্যকারিতা ➛ অনেকসময় একের অবিমৃষ্যকারিতার ফল ভুগতে হয় অন্যকে।
◉ প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ➛ আমাদের বাড়ির কুকুরটির প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব আছে।
২.১ আমার নাম শ্রীব্যাকরণ শিং, বি.এ খাদ্য বিশারদ।
◉ খাদ্য বিশারদ ➛ জীবনবাবু একজন ভােজনরসিক মানুষ, অনেকেই তাকে খাদ্য বিশারদ বলে।
২.২ তার জুতাের নাম ছিল অবিমৃষ্যকারিতা, তার ছাতার নাম ছিল প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, তার গরুর নাম ছিল
পরমকল্যাণবরেষু কিন্তু যেই তার বাড়ির নাম দিয়েছে কিংকর্তব্যবিমূঢ় অমনি ভূমিকম্প হয়ে বাড়িটাড়ি সব পড়ে গিয়েছে।
◉ অবিমৃষ্যকারিতা ➛ অনেকসময় একের অবিমৃষ্যকারিতার ফল ভুগতে হয় অন্যকে।
◉ প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ➛ আমাদের বাড়ির কুকুরটির প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব আছে।
◉ পরমকল্যাণবরেষু ➛ দাদু নাতিকে পরমকল্যাণবরেষু সম্বােধনে চিঠি লেখেন।
◉ কিংকর্তব্যবিমূঢ় ➛ হঠাৎ বাড়ির পূজার দায়িত্ব পেয়ে পুরােহিত মহাশয় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন।
২.৩ কুমির সেই প্রকাণ্ড বই দিয়ে তার মাথায় এক থাবড়া মেরে জিজ্ঞাসা করল, দলিলপত্র সাক্ষী টাক্ষি কিছু আছে'।
◉ কিংকর্তব্যবিমূঢ় ➛ হঠাৎ বাড়ির পূজার দায়িত্ব পেয়ে পুরােহিত মহাশয় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন।
২.৩ কুমির সেই প্রকাণ্ড বই দিয়ে তার মাথায় এক থাবড়া মেরে জিজ্ঞাসা করল, দলিলপত্র সাক্ষী টাক্ষি কিছু আছে'।
◉ দলিলপত্র ➛ বাড়ির দলিলপত্র সাধারণত বাড়ির কর্তার কাছেই গচ্ছিত থাকে।
◉ সাক্ষী টাক্ষি ➛ আদালতে সাক্ষী টাক্ষির অনুপস্থিতিতে কখনােই বিচার সম্ভব হয় না।২.৪ মানহানির মােকদ্দমা, চব্বিশ নম্বর।
◉ মােকদ্দমা ➛ বহুবছর ধরে বােসবাড়ির জমিসংক্রান্ত মামলা মােকদ্দমা স্থগিত আছে।
২.৫ আমি বললাম, “কই না, কীসের বিজ্ঞাপন?
◉ বিজ্ঞাপন ➛ আধুনিক যুগকে এককথায় বিজ্ঞাপনের যুগ বলা হয়।
২.৬ পয়সার নামে হিজি বিজ বিজ তড়াক করে সাক্ষী দিতে উঠেই ফ্যাকফ্যাক করে হেসে ফেলল।
◉ সাক্ষী ➛ বিনােদের অন্যায় কর্মে পুলিশের কাছে সাক্ষী দিতে তার বন্ধুরা এগিয়ে এসেছিল।
২.৭ মস্ত ছুঁচো একটা বিশ্রী নােংরা হাতপাখা দিয়ে তাকে বাতাস করতে লাগল।
◉ বিশ্রী ➛ কাকটি সকালবেলা বিশ্রী শব্দ করে ডেকে চলেছে।
২.৮ শজারু কাঙ্গারু দেবদারু সব হতে পারে,মজারু কেন হবে না?
◉ মজারু ➛ মজারু শব্দটির আক্ষরিক কোনাে অর্থ হয় না।
২.৫ আমি বললাম, “কই না, কীসের বিজ্ঞাপন?
◉ বিজ্ঞাপন ➛ আধুনিক যুগকে এককথায় বিজ্ঞাপনের যুগ বলা হয়।
২.৬ পয়সার নামে হিজি বিজ বিজ তড়াক করে সাক্ষী দিতে উঠেই ফ্যাকফ্যাক করে হেসে ফেলল।
◉ সাক্ষী ➛ বিনােদের অন্যায় কর্মে পুলিশের কাছে সাক্ষী দিতে তার বন্ধুরা এগিয়ে এসেছিল।
২.৭ মস্ত ছুঁচো একটা বিশ্রী নােংরা হাতপাখা দিয়ে তাকে বাতাস করতে লাগল।
◉ বিশ্রী ➛ কাকটি সকালবেলা বিশ্রী শব্দ করে ডেকে চলেছে।
২.৮ শজারু কাঙ্গারু দেবদারু সব হতে পারে,মজারু কেন হবে না?
◉ মজারু ➛ মজারু শব্দটির আক্ষরিক কোনাে অর্থ হয় না।
২.৯ ইমারত খেসারত দলিল দস্তাবেজ।
◉ দলিল ➛ বাড়ি বিক্রির দলিল থাকা চাই।
২.১০ হুজুর, তাহলে বাদুড় গােপালকে সাক্ষী মানাতে আজ্ঞা হােক।
◉ বাদুড় গােপাল ➛ আদালতে বাদুড় গােপাল সাক্ষী হিসেবে হাজির হয়েছিল।
◉ দলিল ➛ বাড়ি বিক্রির দলিল থাকা চাই।
২.১০ হুজুর, তাহলে বাদুড় গােপালকে সাক্ষী মানাতে আজ্ঞা হােক।
◉ বাদুড় গােপাল ➛ আদালতে বাদুড় গােপাল সাক্ষী হিসেবে হাজির হয়েছিল।
❐ ৩. বিশদে উত্তর দাও :
৩.১ হিজি বিজ্ বিজ্ কে? তার একটি গল্প নিজের ভাষায় লেখাে।
উত্তরঃ হিজি বিজ্ বিজ্ একটা অদ্ভুত রকমের জন্তু। হিজি বিজ্ বিজ্ জন্তুটির মুখে শােনা প্রতিটি গল্পই সকলের অদ্ভুত লাগে। যেমন—হিজি বিজ্ বিজ্ বলছে, মনে করো পৃথিবীটা যদি চ্যাপ্টা হয়, আর সব জল গড়িয়ে ডাঙায় এসে পড়ে আর ডাঙার মাটি সব ঘুলিয়ে প্যাচপ্যাচে। কাদা হয়ে যায় আর সেই কাদায় লােকজন সব ধপাধপ আছাড় খায় তাহলে কেমন হয়?
আবার, হিজি বিজ বিজ বলছে, মনে করাে একটা লােক আসছে। তার এক হাতে কুলপি বরফ আর এক হাতে সাজিমাটি। লােকটা কুলপি খেতে গিয়ে ভুল করে সাজিমাটি খেয়ে ফেলল। আবার, হিজি বিজ্ বিজ্ বলছে, মনে করাে একজন লােক টিকটিকি পেয়ে, রােজ তাদের নাইয়ে খাইয়ে শুকোতে দেয়। একদিন একটা রামছাগল এসে সব টিকটিকি খেয়ে ফেলল।
৩.২ কাক্কেশ্বর কুচকুচে কোথায় থাকে? তার পরিচয় কী?
উত্তরঃ কাক্কেশ্বর কুচকুচে ৪১ নং গেছােবাজার, কাগেয়াপটি অঞ্চলে থাকে। কাক্কেশ্বর কুচকুচে সনাতন বায়স বংশীয় দাঁড়ি কুলীন অর্থাৎ দাঁড়কাক। পেশায় সে একজন ব্যবসায়ী। হিসাবি ও বেহিসাবি খুচরা ও পাইকারি সকল প্রকার কার্য বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় শ্রীকাক্কেশ্বর কুচকুচে সম্পন্ন করে থাকে।
উত্তরঃ কাক্কেশ্বর কুচকুচে ৪১ নং গেছােবাজার, কাগেয়াপটি অঞ্চলে থাকে। কাক্কেশ্বর কুচকুচে সনাতন বায়স বংশীয় দাঁড়ি কুলীন অর্থাৎ দাঁড়কাক। পেশায় সে একজন ব্যবসায়ী। হিসাবি ও বেহিসাবি খুচরা ও পাইকারি সকল প্রকার কার্য বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় শ্রীকাক্কেশ্বর কুচকুচে সম্পন্ন করে থাকে।
৩.৩ উধাে আর বুধাের কীর্তিকলাপ নিজের ভাষায় লেখাে।
উত্তরঃ উধাে আর বুধাে দুই ভাই। গাছের ফোকরে তারা বসবাস করে। টাক বুড়াে ডাকতেই গাছের ফোকর থেকে মস্ত একটা পোঁটলা মতাে হয়ে হুড়মুড় করে মাটিতে গড়িয়ে পড়ে। দেখতে পুরােপুরি হুঁকোওয়ালা বুড়াের মতাে। এই হুঁকোওয়ালা পোঁটলার ওপর চড়ে বসে হুঁকো দিয়ে তাকে ধাঁই ধাঁই করে মারতে থাকে আর বলে ‘ওঠ বলছি শিগগির ওঠ'। মনে হয় যেন উধাের বােঝা বুধাের ঘাড়ে। দুই ভাইতে রােজই এইরকম মারপিট হয়। খানিকক্ষণ মারামারির ওপোঁটলাসুদ্ধ বুধাে উঠে দাঁড়িয়ে দাঁত কড়মড় করে বলে, “তবে রে ইস্টুপিড উধাে। সঙ্গে সঙ্গে উর্ধেও আস্তিন গুটিয়ে ইকো বাগিয়ে হুংকার দেয় "তবে রে লক্ষ্মীছাড়া বুধাে”। যেন নারদে নারদে যুদ্ধ শুরু হয়। ঝটাপট, খটাখট, দমাদম, ধপাধপ আওয়াজ করে মুহূর্তের মধ্যে উধাে চিৎপাত হয়ে শুয়ে হাঁপায়। আর বুধাে ছটফট করে তাকে হাত বুলিয়ে দেয়। সবশেষে দুই ভাই কান্না জুড়ে দেয়। কাঁদতে কাঁদতে একজন অপরজনের গলা জড়িয়ে ধরে, কোলাকুলি করে। শেষে কান্না থামিয়ে খােজ মেজাজে গাছের ফোকরে চলে যায়।
৩.৪ হ য ব র ল-বইটির নাম এরকম কেন? তােমার কি নামটি ভালাে লেগেছে? ভালাে বা মন্দ লাগার কারণ জানাও।
উত্তরঃ বইটির নাম হ য ব র ল কারণ বইটির গল্পের বাস্তব কোনাে অর্থ নেই। নিছক মজা সৃষ্টি করা হয়েছে এই গল্পের মাধ্যমে। আমার এই নামটি ভালাে লেগেছে। ‘হ য ব র ল' কথাটির অর্থ হল উল্টোপাল্টা, এলােমেলাে, অর্থহীন। এই গল্পটিও প্রকৃতপক্ষে বাস্তব অর্থহীন ও এলােমেলাে। গল্পটির প্রথমেই বলা হয়েছে একটি রুমাল মােটাসােটা লাল টকটকে বেড়ালে পরিণত হয়েছে। বেড়ালের কথার কোনাে প্রকৃত অর্থ বােঝা গেলেও কথাগুলি পাঠকের মনে মজার সৃষ্টি করে। এরপর গল্পে হঠাৎ প্রবেশ দেখা যায় একটি কাক, উধাে ও বুধাে নামের দুই বৃদ্ধ মানুষের। যাদের কথােপকথনও সম্পূর্ণ অবাস্তব। এরপর যথাক্রমে হিজিবিজবিজ, ছাগল, ন্যাড়া, শজারু, কুমির, কোলাব্যাং, শেয়াল ইত্যাদি বিভিন্ন চরিত্রগুলি গল্পে যখন তখন এলােমেলাে ভাবে প্রবেশ করেছে। গল্পটি পড়তে পড়তে সত্যিই কেমন যেন সব গুলিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয়। গল্পের একেবারে শেষে জানা যায় সমস্ত গল্পটি আসলে লেখকের শিশুমনে নিছকই এক সাধারণ অর্থহীন স্বপ্নের বিবরণ যা তিনি সুন্দরভাবে লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। তবুও আমাকে ভালো লেগেছে।
৩.৫ হযবরল-বইটিতে কোন চরিত্রকে তােমার সবথেকে ভালাে লেগেছে? কেন ভালাে লাগল, সে বিষয়ে বলো।
উত্তরঃ হ য ব র ল বইটিতে কাকেশ্বর, টাক বুড়াে উধাে এবং তার ভাই বুধাে, হিজি বিজ্, বিজ্, সাক্ষিওয়ালা
ছাগল, ন্যাড়া, প্যাচা, কোলাব্যাং, শেয়াল ইত্যাদি এক-একটি অদ্ভুত সব চরিত্রের পরিচয় আমি পেয়েছি। প্রতি চরিত্রই আমার ভালাে লেগেছে এবং এদের প্রত্যেকের ক্রিয়াকলাপ আমাকে আনন্দ দিয়েছে। সুকুমার রায় রচিত হ য ব র ল গল্পের সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্র হল কাকেশ্বর আমার মতে, কৌতুক আড়ালে জীবনের এক অদ্ভুত হিসাব পাওয়া যায়। লেখকের সঙ্গে কাকেশ্বরের পরিচয় ঘটে যখন কাকেশ্বর হিসাব করতে ব্যস্ত ছিল। সাত দু গুণে কত হয় তা চিন্তিত কাক বারবার ঘর বাকিয়ে লেখকের দিকে তাকাতে থাকে, লেখক তার প্রশ্নের যথাযথ জবাব দিলে কাকেশ্বর ভুল উত্তর জানায় এবং তিনি ‘ফেল হয়েছেন তা ঘােষণা করে। এ থেকে কাকের অন্যকে বিশ্বাস না করার মানসিকতা প্রকাশ পায় সে কেবল নিজের বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করে।
পাঠ্যাংশ থেকে বােঝা যায় কাকেশ্বর একজন খুব হিসাবি চরিত্র। একটা সাধারণ সংখ্যাকেও সময় ধরে লিখতে সে পছন্দ করে। তাই লেখকের উত্তর দেওয়ার সময়কে ‘তেরাে টাকা চোদ্দ আনা তিন পাই বলে নিজের লেখার সময়কে যথার্থ বলেছে। কাকের এই অদ্ভুত হিসাব বিভ্রান্তিকে লেখক প্রতিবাদ জানালে কাক ধমক দিয়ে বলে ‘তােমাদের দেশে সময়ের দাম নেই বুঝি? তার সকল কাজই সে সংক্ষিপ্ত সময়েই সম্পূর্ণ করেছে কিছুটা চুরি করে সে সময় বাঁচিয়েছে। লেখকের সঙ্গে অযৌক্তিক কথােপকথনে তার সময় নষ্ট হয়েছে বলেও সে ক্ষোভ প্রকাশ করে। ইতিমধ্যে সে লেখককে তার লেখা একটি বিজ্ঞাপনের হ্যান্ডবিল ‘শ্রীকাকেশ্বর কুচকুচে’ দেখায় বিজ্ঞাপনের মূল বক্তব্য লেখকের বােধগম্য না হলে কাকেশ্বর লেখককে তুচ্ছভাবে খানিক ব্যঙ্গ সুরেই বলে ওঠে “সকলে বুঝতে পারে না। কাকেশ্বরের এই হিসাবি চিন্তাধারার আড়ালে এক কৌতুকের আঁচ পাওয়া যায় যখন বুড়ােকে সে ডেকে বলে সম্বােধন করে তাকে উত্যক্ত করতে শুরু করে।
বুড়াে হিসাব চাইলে সে তার হিসাবের শ্লেটটি বুড়াের টাকে হঠাৎ ফেলে দেয়। পাশাপাশি বুড়াে সান্ত্বনা দিয়ে ‘ষাটষাট’ বললে বুড়ােকে চূড়ান্ত বিরক্ত করা শুরু করে। শ্লেট কাকের করা হিসাব দেখে গণিতে কাকেশ্বরের পারদর্শিতা সম্পর্কে অবগত হওয়া চায়। তিন ফোঁটা জলের হিসাবে বুড়াে কাকেশ্বরকে ছটা পয়সা দিলে কাক মহাফুর্তিতে নাচের মাধ্যমে তার আনন্দ প্রকাশ করে। এরপর উধাে ও বুধাের মধ্যে ঝগড়া বাধলেও কাকেশ্বর বলে ‘লেগে যা, লেগে যা-নারদ-নারদ! এতে কাকেশ্বরের চুপিচুপি শয়তানি করার ফন্দিও সামনে আসে। গল্পের এই চরিত্রটিতে প্রায় একাধিক ভিন্ন গুণের সংমিশ্রণ পাওয়া যায় যা গল্পকে রসােত্তীর্ণ ও পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে এজন্য আমাকে খুবই ভালো লেগেছে।
No comments
Hi Welcome ....