ক্লাস পঞ্চম শ্রেণির বাংলা পাতাবাহার প্রশ্ন উত্তর | class 5 bangla question answer প্রিয় ক্লাস ফাইভ এর ছাত্র-ছাত্রীরা এই ওয়েবসাইটের পোস্ট...
ক্লাস পঞ্চম শ্রেণির বাংলা পাতাবাহার প্রশ্ন উত্তর | class 5 bangla question answer
প্রিয় ক্লাস ফাইভ এর ছাত্র-ছাত্রীরা এই ওয়েবসাইটের পোস্টে তোমাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এখানে তোমাদের বাংলা পাতাবাহার বইয়ের পাঁচটি অধ্যায় একসঙ্গে হাতে কলমে প্রশ্ন উত্তর সমাধান করে দেওয়া রয়েছে। নীচের দিকে Table Of Content - এ ক্লিক করে প্রতিটি অধ্যায় উত্তরগুলো দেখতে পারো।
- লিমেরিক—এডোয়ার্ড লিয়ার (তরজমা : সত্যজিৎ রায়)
- ঝড়—মৈত্রেয়ী দেবী
- মধু আনতে বাঘের মুখে—শিবশঙ্কর মিত্র
- মায়াতরু—অশোকবিজয় রাহা
- মায়াদানব — সুভাষ মুখোপাধ্যায়
❐ আরো পড়ুনঃ ক্লাস - V
{tocify} $title={Table of Contents}
❏ এডোয়ার্ড লিয়ার লেখক পরিচিতিঃ
অনুবাদক : সত্যজিৎ রায় ‘অস্কার’ পুরস্কার প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় ২ মে ১৯২১ সালে কলকাতার গড়পারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের আদিনিবাস ছিল বাংলাদেশের অন্তর্গত ময়মনসিংহ অঞ্চলে। তাঁর পিতামহ ছিলেন শিশুসাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী ও যন্ত্রকুশলী উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এবং বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায় ছিলেন তাঁর পিতা। প্রথম জীবনে বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে লেখাপড়া শেষ করে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতি বিষয়ে অনার্স সহ বি.এ পাশ করে শান্তিনিকেতনের কলাবিভাগের সঙ্গে যুক্ত হন। ‘পথের পাঁচালী’ ছায়াছবি সৃষ্টি করে তিনি সারা বিশ্বে সম্মানিত হয়েছেন। বহু পুরস্কারপ্রাপ্ত সত্যজিৎ রায় বাবা-ঠাকুরদার পথ সঠিকভাবেই অনুসরণ করেছিলেন। ছেলেবেলা থেকেই তিনি সাহিত্যানুরাগী ছিলেন। তাঁর প্রথম রচনা লিয়ারের ছড়া অবলম্বনে ‘পাপাঙ্গুল’, শ্রেষ্ঠ শিশুসাহিত্য ‘প্রফেসর শঙ্কু’, শ্রেষ্ঠ চরিত্র সৃষ্টি ‘ফেলুদা’ ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ‘ভারতরত্ন’ পুরস্কারে ভূষিত সত্যজিৎ রায় ২৩ এপ্রিল ১৯৯২ সালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
❏ লিমেরিক বিষয়বস্তু আলোচনা :
একজন বৃদ্ধ মানুষের বিশাল বড়ো দাড়ি। বৃদ্ধ মানুষটির দাড়ির মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে একটা মোরগ, চারটে শালিকের ছানা, দুরকমের হুতোম প্যাঁচা এবং একটি হাঁড়িচাচা পাখি। একটি ছোটো ছেলে ফুলগাছের মধ্যে পাখির মতো বসে আছে। মৌমাছি মধু পান করতে এসে পক্ষীরূপ খুদে বাবুটিকে সরে যেতে বলল। ছোটো বাবুটি তাকে চুপ করতে বলে। সে আরও বলে যে মৌমাছির জন্য কি গাছে কেউ বসবে না? কবি বলছেন, পাখি সম্বন্ধীয় সকল বই সকাল-সন্ধে পড়ে শেষ হয়েছে, আপশোশ হল এই অঞ্চলে এখন কোনো পাখি নেই।
লিমেরিক—এডোয়ার্ড লিয়ার (তরজমা : সত্যজিৎ রায়)
❏ লিমেরিক অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর প্র্যাকটিস :
দু-এক কথায় উত্তর দাও :
১। 'লিমেরিক’ নামটি কোন শহরের নাম অনুসারে হয়েছে?
উত্তর : আয়ারল্যান্ড দেশের লিমেরিক শহরের নাম অনুসরণে ছড়ার জগতে ‘লিমেরিক’ নামটি হয়েছে।
২। আমাদের পাঠ্য তিনটি লিমেরিক কোন বই থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর : শুধুমাত্র মজা করে পড়ার জন্য সত্যজিৎ রায়ের ‘তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম’ বই থেকে আমাদের পাঠ্য তিনটি ভারি সুন্দর লিমেরিক নেওয়া হয়েছে।
৩। এডওয়ার্ড লিয়ার কে?
উত্তর : অনেকে বলেন যে, লিমেরিকের স্রষ্টা হলেন এডওয়ার্ড লিয়ার। অবশ্য অনেকের মতে, লিমেরিকের স্রষ্টা অন্য ব্যক্তি। তবে এডওয়ার্ড লিয়ার যে ছড়ার জগতে এক নতুন ধারার সৃষ্টি করেছেন এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
৪। এডওয়ার্ড সমাজকে কীভাবে দেখতেন?
উত্তর : সমাজকে বাঁকা চোখে দেখতেন এডওয়ার্ড লিয়ার।
৫। এডওয়ার্ড লিয়ারের ছড়াগুলি কাদের কাছে কী কারণে খুব প্রিয়?
উত্তর : এডওয়ার্ড লিয়ারের ছড়াগুলি ছোটো আর সুন্দর হওয়ার জন্য শিশুদের কাছে আজও সমান প্রিয়।
৬। দাড়ির মধ্যে কতগুলি পাখি আস্তানা বেঁধেছে?
উত্তর : দাড়ির মধ্যে মোট আটটি পাখি বাসা বেঁধেছে।
৭। কোন কোন পাখি দাড়ির মধ্যে আস্তানা বেঁধেছে?
উত্তর : একটা মোরগ, চারটে শালিক ছানা, দুই রকমের হুতোম প্যাঁচা এবং একটা বোধহয় হাঁড়িচাচা দাড়ির মধ্যে আস্তানা বেঁধেছে।
৮। ফুল গাছে কে কীসের মতো বসে আছে?
উত্তর : ফুলগাছে যেন পক্ষী সেজে বসে খুদেবাবু।
৯। ‘এ তো মহাঝক্কি !' কথাগুলি কে বলেছিল কাকে?
উত্তর : ‘এতো মহাঝক্কি’ কথাগুলি মৌমাছি বলেছিল খুদেবাবুকে।
১০। মৌমাছি খুদেবাবুকে কী করতে বলেছিল?
উত্তর : মৌমাছি মধু খাবে বলে ফুল গাছ থেকে খুদেবাবুকে সরে যেতে বলেছিল।
১১। মৌমাছি ফুলগাছ থেকে খুদেবাবুকে সরে যেতে বললে খুদেবাবু কী বলেছিল?
উত্তর : ফুলগাছ থেকে মৌমাছি খুদেবাবুকে সরে যেতে বললে সে বলল, ‘চোপ রাও! তুমি আছো বলে গাছে বসবেনা লোক কি?’
১২। ছড়াকার মন দিয়ে কী পড়ে?
উত্তর : মন দিয়ে ছড়াকার সক্কাল—সন্ধে পাখি সম্বন্ধে যেখানে যে বই আছে সেগুলি মন দিয়ে পড়ে।
১৩। কীসে ছড়াকারের আপশোশ হয়েছিল?
উত্তর : আজ ছড়াকারের পাখি সম্বন্ধে সমস্ত বই পড়া শেষ হয়ে যাবে, আর কোনো বই বাকি নেই, কিন্তু তার আপশোশ শুধু এই তল্লাটে পাখি নেই একটাও।
১৪। এডওয়ার্ড লিয়ারের লেখা লিমেরিকগুলি আমাদের পড়ার জন্য কে কীভাবে তৈরি করে দিয়েছেন?
উত্তর : পৃথিবী বিখ্যাত লিমেরিক স্রষ্টা এডওয়ার্ড লিয়ারের ছড়াগুলি সুকুমার রায়ের সুযোগ্য পুত্র সত্যজিৎ রায় আমাদের জন্য বিদেশি ভাষা থেকে বাংলায় তরজমা অর্থাৎ অনুবাদ করে দিয়েছেন।
১৫। সত্যজিৎ রায় কে ছিলেন?
উত্তর : বাংলার বিখ্যাত ছড়াকার সুকুমার রায়ের একমাত্র পুত্র ছিলেন সত্যজিৎ রায়। তিনি নিজেও পৃথিবীবিখ্যাত একজন চিত্র পরিচালক। এ ছাড়া তিনি ছোটোদের জন্য ও বড়োদের জন্য প্রচুর সাহিত্য রচনা করেছেন। তিনি খুব ভালো ছবিও আঁকতেন।
![]() |
পঞ্চম শ্রেণির বাংলা ঝড় কবিতার প্রশ্ন উত্তর |
ঝড়—মৈত্রেয়ী দেবী
❏ ঝড় কবিতার লেখক পরিচিতিঃ
১৯১৪ সালে রবীন্দ্রজীবনের কথাকার, খ্যাতনামা লেখিকা মৈত্রেয়ী দেবী এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন সমাজসেবিকা ছিলেন। তিনি খুব অল্প বয়স থেকেই সাহিত্য জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর রচিত প্রথম কবিতার বইটি হল ‘উদিতা’। ১৯৭৭ সালে এই লেখিকা ‘পদ্মশ্রী’ উপাধিতে ভূষিতা হন। মৈত্রেয়ী দেবী রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল—‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’, ‘স্বর্গের কাছাকাছি’, ‘ন হন্যতে’ ইত্যাদি। ১৯৯০ সালে এই স্বনামধন্য লেখিকার জীবনাবসান ঘটে।
❏ ঝড় কবিতার বিষয়বস্তু আলোচনা :
‘ঝড়’ কবিতায় কবি মৈত্রেয়ী দেবী ছেলেবেলায় দেখা কালবৈশাখী ঝড়ের অভিজ্ঞতার সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। একদিন কবি হাটবারের দুপুরবেলা মাঠে খেলা করতে গেছেন। কোথা থেকে এলোমেলো বাতাস এসে সমস্ত আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে ফেলল। কালো মেঘে সূর্য ঢেকে চারদিকে অন্ধকার নেমে এল। কবির ছোটো ছোটো বন্ধুরা ঝড় উঠতেই যে যার ঘরে ছুটে পালিয়েছে। চারদিকের প্রকৃতি অন্ধকারে ঢেকে যেতে দেখে কবির মন আনন্দে ভরে গেল। কবি দেখলেন বকুলগাছের তলা, চাঁপার বন, নদীর জল কালো বর্ণ ধারণ করেছে। ঝড়ের ভয়ে মাঝি সেই কালো জলে তাড়াতাড়ি নৌকা বেয়ে নদীর পাড়ে এল। শিশুকবি তার মাকে জিজ্ঞাসা করছে ঝড় কাকে বলে? শিশুকবির মনে হয় হঠাৎ যেন কোনো ছোটো ছেলে কালির দোয়াত উপুড় করে মাটিতে ঢেলে দিয়েছে। এখানে কবি অন্ধকার আকাশের সঙ্গে দোয়াতের কালো কালির তুলনা করেছেন। ঝড়ের হাওয়া যেন তার কোমল ঠোঁটে মৃদু হেসে আকাশে ভীষণ আগুন জ্বেলে ঘুরে ঘুরে সাত সাগরের তীরে পালিয়ে গেল।
❏ হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর :
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখী যে ঋতুতে হয়—(গ্রীষ্ম/বর্ষা/শরৎ/শীত)।
উত্তর : পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখী গ্রীষ্ম ঋতুতে হয়।
১.২ দিনের যে সময়ে কালবৈশাখী ঝড় আসে—(সকাল/দুপুর/বিকেল/রাত)।
উত্তর : দিনের কালবৈশাখী ঝড় আসে দুপুরে।
১.৩ যখন ঝড় ওঠে, তখন আকাশ থাকে—(কালো/লাল/নীল/সাদা)।
উত্তর : যখন ঝড় ওঠে, তখন আকাশ থাকে কালো।
১.৪ গ্রীষ্মের একটি ফুল হল (গাঁদা/গন্ধরাজ/চাঁপা/পদ্ম)।
উত্তর : গ্রীষ্মের একটি ফুল হল চাঁপা।
২. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

৩. ‘চেয়ে’ ও ‘ভারী’ শব্দদুটিকে দুটি আলাদা আলাদা অর্থে বাক্যে ব্যবহার করো :
চেয়ে—শোভা গণিতে সবিতার চেয়ে কয়েক নম্বর বেশি পেয়েছে।
চেয়ে— মাঠে গরুগুলো রাখালের দিকে চেয়ে আছে।
ভারি — মেয়েটির গানের সুর ভারি মিষ্টি।
ভারী — বয়স হতেই দিদিমার শরীরটা ভারী হয়ে গেছে।
৪. বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো :
এলোমেলো বাতাস, চাঁপার বন, কালো জল, কালির দোয়াত, কোমল ঠোঁট।
বিশেষ্য | বিশেষণ |
---|---|
বাতাস | এলোমেলো |
জল | কালো |
ঠোঁট | কোমল |
বন | চাঁপার |
দোয়াত | কালির |
৫. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :
৫.১ কোথা থেকে বাতাস এল।
৫.২ আসলো মাঝি তাড়াতাড়ি।
৫.৩ আমি তোমার মেঝের ওপর ঢালি।
৫.৪ পালিয়ে গেল অনেক দূরে।
৫.৫ চেয়ে দেখি আকাশখানা এক্কেবারে কালো।
৬. কোনটি বেমানান, তার নীচে দাগ দাও :
৬.১ হাটবার, মাঠের ধার, দুপুরবেলা, ঝড়, কালি।
৬.২ কালো আকাশ, বকুলতলা, চাঁপার বন, কালো জল, হাটবার।
৬.৩ ছেলে, কালির দোয়াত, মেঝে, ফেলে দেওয়া কালি, মাঠের ধার।
৬.৪ আকাশ, বিদ্যুৎ, ঝড়, সাত সমুদ্র, কালির দোয়াত।
৬.৫ বাতাস, মাঝি, ঝড়, জল, ঘর।
৭. ‘অন্ধকার’ শব্দটির মতো ‘ন্ধ’ এর প্রয়োগ আছে, এমন পাঁচটি শব্দ তৈরি করো :
উত্তর : বন্ধ, সন্ধান, সন্ধ্যা, প্রবন্ধ, ধান্ধা।
৮. এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
- লো লো এ মে—এলোমেলো।
- না কা আ শ খা—আকাশখানা।
- ড়া ড়ি তা তা—তাড়াতাড়ি।
- কে ক্কে বা এ—এক্কেবারে।
- লা কু ত ব ল—বকুলতলা।
৯. শূন্যস্থান পূরণ করো :
৯.১ আকাশখানা এক্কেবারে কালো।
৯.২ আসলো মাঝি তাড়াতাড়ি।
৯.৩ আমার যেন লাগল ভারী ভালো।
৯.৪ হাসল কোমল ঠোঁট মেলে।
৯.৫ কালির দোয়াত কেমন করে হঠাৎ।
১০. বাক্যরচনা করো :
হাট, ভালো, সময়, পাড়ি, ভীষণ।
- হাট—গ্রামাঞ্চলে সাধারণত সপ্তাহে দুদিন হাট বসে।
- ভালো—ভালো গল্পের বই পেলেই আমি পড়ি।
- সময়— আমরা সময় মতো পড়াশোনা করি।
- পাড়ি—যাত্রী বোঝাই নৌকাটি এইমাত্র পাড়ি দিল।
- ভীষণ—ঘোড়া ভীষণ দ্রুত দৌড়োয়।
১১. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
এলোমেলো, তাড়াতাড়ি, কোমল, জ্বেলে, দূরে।
উত্তর : এলোমেলো—পরিপাটি, গোছানো। তাড়াতাড়ি—ধীরে। কোমল—কঠিন। জ্বেলে নিভিয়ে। দূরে—কাছে।
১২. প্রদত্ত সূত্র অনুসারে একটি গল্প তৈরি করো :
তুমি একা- –বিরাট মাঠ-–আকাশে ঘন মেঘ- -গাছের পাতা নড়ছে না--ঝড় এল--প্রবল বৃষ্টি- -কোথাও আশ্রয় নিলে-ঝড় থামলে রাতে বাড়ি ফিরলে।
উত্তর : বিরাট মাঠ পেরিয়ে গ্রামের শেষপ্রান্তে আমাদের বিদ্যালয়। আজ ছুটির পর আমি একা বাড়ি ফিরছি। সঙ্গীরা আমার সঙ্গে কেউ নেই। হঠাৎ ঘন কালো মেঘে আকাশ ভরে গেল। চারদিক অন্ধকার, গাছের পাতা একটিও নড়ছে না। কোথা থেকে হাওয়ার সঙ্গে ধুলো উড়িয়ে ঝড় এল। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল বৃষ্টি। আমি একটি ক্লাবঘরের বারান্দায় অন্য সকলের সঙ্গে আশ্রয় নিলাম। ঝড়-বৃষ্টি থামতে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেল। ঝড় থামলে রাতে বাড়ি ফিরলাম।
১৩. ‘কোমল’ ও ‘কমল’ শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য বাক্য রচনা করে বুঝিয়ে দাও।
- গোলাপ ফুলের পাপড়ি খুব কোমল (নরম) হয়।
- ভারতের জাতীয় ফুল হল কমল (পদ্ম)।
১৪. কোনটি কোন শ্রেণির বাক্য লেখো :
১৪.১ ওই এসেছে ঝড়!
উত্তর : বিস্ময়বোধক বাক্য।
১৪.২ ঝড় কারে মা কয়?
উত্তর : প্রশ্নসূচক বাক্য।
১৪.৩ কেমন জানি করল আমার মন!
উত্তর : জটিল বাক্য।
১৪.৪ চেয়ে দেখি—আকাশখানা এক্কেবারে কালো।
উত্তর : যৌগিক বাক্য।
১৪.৫ পালিয়ে গেল অনেক দূরে—সাত সাগরের পারে।
উত্তর : সরল বাক্য।
১৫.১ মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা দুটি বইয়ের নাম ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’, ‘ন হন্যতে'।
১৫.২ তিনি কত সালে ‘পদ্মশ্রী’ উপাধি পান?
উত্তর : তিনি ১৯৭৭ সালে ‘পদ্মশ্রী’ উপাধি পান।
১৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৬.১ কবিতায় শিশুর দল ছুটে চলে যেতে চেয়েছিল কেন?
উত্তর : কালবৈশাখীর সময় দুপুরবেলা হঠাৎ সমস্ত আকাশ ঘন কালো অন্ধকার করে ঝড় আসতেই শিশুর দল ছুটে চলে যেতে চেয়েছিল।
১৬.২ দুপুরবেলা চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেল কেন?
উত্তর : দুপুরবেলা হঠাৎ এলোমেলো বাতাস এসে সারা আকাশ কালো মেঘে ভরিয়ে দিল। কালো মেঘে সূর্যদেব ঢাকা পড়ে চারদিক অন্ধকার হয়ে গেল।
১৬.৩ ‘পালিয়ে গেল অনেক দূরে’—কে পালিয়ে গেল? পালিয়ে সে কোথায় গেল?
উত্তর : ঝোড়ো হাওয়া পালিয়ে গেল। ঝোড়ো হাওয়া সাত সাগরের পারে পালিয়ে গেল।
১৬.৪ ঝড়ের সঙ্গে শিশুর মনে কীসের তুলনা কবিতায় ধরা পড়েছে?
উত্তর : ঝড়ের সঙ্গে শিশুর মনে কালির দোয়াতের তুলনা কবিতায় ধরা পড়েছে।
১৬.৫ ‘ঝড়’-এর বর্ণনা দিতে ‘মেঘ করে আসা’ আর ‘বিদ্যুৎ চমকানোর'র কথা কবিতায় কোন কোন পঙ্ক্তিতে ফুটে উঠেছে?
উত্তর : ঝড়-এর বর্ণনা দিতে ‘এমন সময় এলেমেলো কোথা থেকে বাতাস এলো হঠাৎ থেকে থেকে পক্তিটি ‘মেঘ করে আসা এবং ‘হাসল কোমল ঠোঁটটি মেলে ভীষণ কেমন আগুন জ্বেলে আকাশ বারে বারে’ পক্তির মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ চমকানোর কথা ফুটে উঠেছে।
১৬.৬ ঝড়ের সময় নদী বা সমুদ্রে থাকলে কী ধরনের বিপদ ঘটতে পারে বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর : ঝড়ের সময় নদী বা সমুদ্রের জল উত্তাল হয়ে ওঠে। এই সময় জলে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
১৬.৭ সাতটি সাগরের নাম তোমার শিক্ষকের থেকে জেনে নিয়ে খাতায় লেখো।
উত্তর : আরব সাগর, বঙ্গোপসাগর, লোহিত সাগর, মরু সাগর, পীত সাগর, কাস্পিয়ান সাগর, ক্ষীরসাগর।
১৬.৮ কোনো একটি দিনে তোমার ঝড় দেখার কথা বন্ধুকে একটি চিঠি লিখে জানাও।
উত্তর : একটি দিনের ঝড় দেখার কথা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি :
প্রিয় রিয়া,
৭ জুলাই, ২০২১
তোমার চিঠি যথাসময়ে পেয়েছি। আমার নিজের চোখে দেখা একটি নতুন অভিজ্ঞতার কথা তোমাকে না জানিয়ে পারছি না। গত শনিবার স্কুল ছুটির সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি কালো মেঘে আকাশ ঢেকে গেছে। বুঝতে পারছি এখুনি ঝড় উঠবে। আমরা কয়েকজন বন্ধু বাড়ির পথে পা বাড়ালাম। হঠাৎ কোথা থেকে এলোমেলো বাতাস ধুলো উড়িয়ে ছুটে এলো। আমি একটা ক্লাবঘরের বারান্দায় কয়েকজনের সঙ্গে আশ্রয় নিলাম। বিদ্যুতের ঝলকানি দেখে বুক আমার কাঁপছিল। তারপর ঝড়ের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি শুরু হল। প্রায় দুঘণ্টা বৃষ্টির পর প্রকৃতি শান্ত হল। নিরাপদে বাড়ি ফিরে এলাম। প্রকৃতির এই ভয়াল রূপ প্রথম নিজের চোখে দেখে আমি অভিভূত হলাম। তুমি আমার ভালোবাসা
নিয়ো। অবশ্যই চিঠির উত্তর দিয়ো।
ইতি --
নন্দিনী
রিয়া ব্যানার্জি
গ্রাম : বাঁশাইপুর, পোঃ কানাইপুর
জেলা : হুগলি
১৬.৯ ঝড়ের প্রকৃতির একটি ছবি আঁকো।
উত্তর : নিজে চেষ্টা করো। ..
![]() |
মধু আনতে বাঘের মুখে প্রশ্ন-উত্তর |
মধু আনতে বাঘের মুখে—শিবশঙ্কর মিত্র
❏ মধু আনতে বাঘের মুখে গল্পের লেখক পরিচিতিঃ
শিবশঙ্কর মিত্র ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের খুলনা জেলার বেলফুলি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জীবিত অবস্থায় যা যা গ্রন্থ রচনা করেছেন তার সবটুকুই সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে। জীবনের বহুসময় তিনি সুন্দরবনে কাটিয়েছেন। সুতরাং তাঁর লেখার বিশেষ প্রিয় বিষয়ই ছিল ‘সুন্দরবন’। ভারত সরকার ১৯৬২ সালে তাঁকে তাঁর ‘সুন্দরবন’ বইটি লেখার জন্য শ্রেষ্ঠ শিশুসাহিত্যের পুরস্কার দেন। সুন্দরবন নিয়ে লেখা তাঁর অন্যান্য বইগুলি হল—‘বনবিবি’, ‘বিচিত্র এই সুন্দরবন' ‘রয়েল বেঙ্গলের আত্মকথা’, ‘সুন্দরবনের আর্জান সর্দার' ইত্যাদি। ১৯৯২ সালে লেখক পরলোকগমন করেন।
❏ মধু আনতে বাঘের মুখে গল্পের বিষয়বস্তু আলোচনা :
সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে মৌচাক ভেঙে মধু সংগ্রহের জন্য ধনাই, আর্জান ও কফিল তিনজন যাত্রা শুরু করেছিল। একজনের দ্বারা মধু কাটা সম্ভব নয়, তাই তিনজন গিয়েছিল। অনেকে বলে মধু কাটতে মন্ত্র জানতে হয়। বনাই মন্ত্র জানে। কিন্তু লোকে তার এই মন্ত্রের কথা বিশ্বাস করে না। বনের মধ্যে মধু যে কোথায় পাওয়া যাবে তা কারও জানা থাকে না। তাই মৌমাছি যেদিকে উড়ে যায় সেদিকে লক্ষ রেখেই এগিয়ে যেতে হয়। সময়টা শীতের শেষ, তাই গাছে সুন্দর ফুলের বাহার। ডিঙি করে বহুদূর যাওয়ার পর মধুর সন্ধান পাওয়া গেলে একটার পর একটা মধুর চাক তারা কাটতে শুরু করেছিল। ধনার বাঁহাতে কাস্তে এবং চট্ট, মাথায় মধুর কলশ, ডান হাতে মোটা লাঠি।
গরান গাছে মধুর চাক দেখেই ধনাই অন্য দুজনকে ডাকতে লাগল কিন্তু পরে বুঝল তাতে মধু নেই। এভাবে বনের ভিতর নানান জায়গায় মধুর খোঁজ করতে লাগল তারা। ধনাই একটা সরু খাদের সামনে এসে উপস্থিত হল। কলশিটা মাথায় নিয়ে কী করে পার হবে একথা চিন্তা করতে করতে অনেক কষ্টে পার হওয়ার পর আর্জান ও কফিলকে ডাকতে যাবে এমন সময় সারা বন কেঁপে উঠল বাঘের গর্জনে। আর্জান ও কফিল ঝোপের আড়াল থেকে খুবই হতভম্ব হয়ে পড়ল, দুজনে বাক্রুদ্ধ হয়ে গেল। এদিকে বাঘটা ধনাইয়ের দিকে লক্ষ করে লাফ দিতেই পড়ল তব্লা গাছের ওপর। বাঘের ল্যাজের ঝাপটে ধনাইয়ের মাথায় থাকা মধুর কলশিটা বাঘের মাথার ওপর পড়ে তার সারা মুখে-চোখে ছিটকে গেল। বাঘও পড়ল ‘শিষের’ গর্তে। কলশি ভেঙে মুখে মধু ছিটকে পড়াতে বাঘ চোখমুখ কুঁচকে ফ্যোৎ ফ্যোৎ করতে থাকল।
❏ হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর :
১. জেনে নিয়ে করো :
১.১ সুন্দরবনের যে অংশ পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে, তা কোন দুটি জেলায়, মানচিত্র থেকে খুঁজে বের করো।
উত্তর : উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার দক্ষিণ প্রান্তে ত্রিকোণ অঞ্চল নিয়ে সুন্দরবন।
১.২ সুন্দরবন অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে যে যে নদী বয়ে গেছে তাদের নামগুলি লেখো।
উত্তর : সুন্দরবন অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে যেসব নদী বয়ে গেছে সেগুলি হল—পিয়ালী, ঠাকুরান, মাতলা, গোসাবা, হাড়িয়াভাঙা, সপ্তমুখী, রায়মঙ্গল, ইছামতী, কালিন্দী, বড়তলা প্রভৃতি।
১.৩ পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ অঞ্চলটি কোন সমুদ্র-উপকূলে অবস্থিত তা মানচিত্র থেকে খুঁজে বের করো।
উত্তর : পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ অঞ্চলটি বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত।
১.৪ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের বৈশিষ্ট্য শিক্ষকের কাছ থেকে জেনে নিয়ে লেখো।
উত্তর : ভারতের উপকূল ও বদ্বীপ অঞ্চল সমূহে যেখানে সূক্ষ্ম পলিমাটির সঞ্জয় ও লবণাক্ত জলের প্রভাব রয়েছে এবং প্রতিদিন দুবার জোয়ার ও ভাটা হয় সেখানেই ম্যানগ্রোভ অরণ্য দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য : (১) জোয়ারভাটার প্রকোপে মৃত্তিকা সবসময় আর্দ্র থাকে বলে গাছগুলি চিরসবুজ। (২) জোয়ারভাটার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গাছগুলিতে ঠেসমূল দেখা যায়। (৩) শ্বাসপ্রশ্বাসের সুবিধার জন্য গাছে শ্বাসমূল দেখা যায়।
২. গল্প থেকে তথ্য নিয়ে বাক্যগুলি পূর্ণ করো :
বনের মধু কাটতে গিয়েছিল ধনাই, আর্জান আর কফিল। মধু কাটতে তিনজন লোক চাই। তিনজনের কাজ হল
একজন চাক কাটে আর-একজন মৌমাছি তাড়ায়, তৃতীয়জন চাকের নীচে দাঁড়ায়। বাঘ ধনাইকে আক্রমণ করেছিল, কিন্তু সে নিজেই পড়ল গর্তের ‘শিষের’ ভেতর। মধুর কলশ ভাঙল মাথার ওপর। বাঘের সারা মুখে নাকে চোখে ছিটকে পড়ল।
৩. এদের মধ্যে যে যে কাজটা করত :
ধনাই : চাক কাটাত।
আর্জান : মৌমাছি তাড়াত।
কফিল : ধামা হাতে চাকের নীচে দাঁড়াত।
৪. অর্থ লেখো :
ধামা, গোঁয়ার্তুমি, চট, হাজির, ঝিরঝিরে।
- ধামা—শস্য রাখা বা মাপার জন্য তৈরি বেতের ঝুড়ি।
- গোঁয়ার্তুমি—গোঁয়ারের ভাব বা কাজ।
- চট—পাটের সুতো থেকে তৈরি মোটা কাপড়।
- হাজির—উপস্থিত।
- ঝিরঝিরে—খুব হালকা ভাবে।
৫. বাক্যরচনা করো :
নাস্তা, মৌচাক, রং, স্ফূর্তি, কলশ।
- নাস্তা—রেহানা রোজ সকালে নাস্তা করে পড়তে যায়।
- মৌচাক—মৌচাক থেকে মধু পড়া খুব সহজ কাজ নয়।
- রং—দোলের দিনে বাচ্চারা রং খেলতে খুব ভালোবাসে।
- স্ফূর্তি—কমল বাবার সঙ্গে পূজার জামা কিনতে যাচ্ছে বলে স্ফূর্তি আর ধরে না।
- কলশ—গ্রামের মেয়েরা কলশ নিয়ে নদী থেকে জল আনে।
৬. কোনটি কোন ধরনের শব্দ তা শব্দঝুড়ি থেকে বেছে নিয়ে লেখো :
বিশেষ্য | বিশেষণ | সর্বনাম | অব্যয় | ক্রিয়া |
---|---|---|---|---|
পথ | গোঁয়ার | ওদের | কিন্তু | কাটে |
ভুল, বিশ্বাস | গভীর, এক | তার | ত্ত | তাড়ায় |
শক্তি, সকাল | বোঝাই, ছোটো | সে | আর | মারল |
চিৎকার, ডাঙা | সরু, বেজায় | নিয়েছে |
৭. নিম্নলিখিত শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
কাঁচা, ভরতি, তীক্ষ্ণ, দীর্ঘ, বোঝাই।
কাঁচা, ভরতি, তীক্ষ্ণ, দীর্ঘ, বোঝাই।
উত্তর : কাঁচা-পাকা। ভরতি — খালি। তীক্ষ্ণ—ভোঁতা। দীর্ঘ—হ্রস্ব। বোঝাই—খালি।
৮. সমার্থক শব্দ লেখো :
মৌমাছি, বাঘ, ফুল, বন,মাটি।
উত্তর : মৌমাছি—ভ্রমর। বাঘ—ব্যাঘ্র, শার্দূল। ফুল—পুষ্প। বন—অরণ্য, অটবী। মাটি—মৃত্তিকা।
৯. নীচের ঝুড়িতে বেশ কিছু বন্যপ্রাণীর নাম দেওয়া রয়েছে। আমাদের সুন্দরবনে এদের মধ্যে কার কার দেখা মেলেঃ
উত্তর : আমাদের সুন্দরবনে দেখা যায়—কুমির, হরিণ, কচ্ছপ, কাঁকড়া, সাপ, রয়াল বেঙ্গল টাইগার।
১০.১ পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল কোথায় রয়েছে?
উত্তর : পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে সুন্দরবনে।
১০.২ সুন্দরবনের খ্যাতি ও সমাদরের দুটি কারণ লেখো।
উত্তর : (১) বিশাল ও বিচিত্র গাছগুলি, নৈসর্গিক দৃশ্যাবলি, রাজকীয় বাংলার বাঘ। (২) সুন্দরবনের সুমিষ্ট মধু বিশ্বজুড়ে সমাদৃত।
১০.৩ কোন কোন গাছে সাধারণত মৌচাক দেখা যায়?
উত্তর : সুন্দরবনে খলসি, গেঁওয়া, কেওড়া, গরান ইত্যাদি গাছে মৌচাক দেখা যায়।
১১. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

১২. গল্পের ঘটনাগুলি ক্রমানুসারে সাজিয়ে লেখো :
১২.১ মনের আনন্দে একটার পর একটা মধুর চাক কেটে চলেছে।
১২.২ আর্জান এক থাবা কাদা তুলে গোল করে পাকিয়ে নিয়ে ছুঁড়ে মারল চাক লক্ষ করে।
১২.৩ পেটপুরে নাস্তা খেয়ে বনে মধু কাটার জন্য তৈরি হল।
১২.৪ কয়েকটা মৌমাছি ওদের দিকে তাড়া করল।
১২.৫ ডিঙি করে অনেক দূর বনের ভিতর গিয়ে তিনজনে ডাঙায় উঠেছে।
উত্তর : পেটপুরে নাস্তা খেয়ে বনে মধু কাটার জন্য তৈরি হল।
ডিঙি করে অনেকদূর বনের ভিতর গিয়ে তিনজনে ডাঙায় উঠেছে।
আর্জান এক থাবা কাদা তুলে গোল করে পাকিয়ে নিয়ে ছুঁড়ে মারল চাক লক্ষ করে।
মনের আনন্দে একটার পর একটা মধুর চাক কেটে চলেছে।
কয়েকটা মৌমাছি ওদের দিকে তাড়া করল।
১৩.১ শিবশঙ্কর মিত্রের লেখালিখির প্রিয় বিষয় কোনটি?
উত্তর : শিবশঙ্কর মিত্রের লেখালিখির প্রিয় বিষয় ‘সুন্দরবন’।
১৩.২ কোন বইয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ শিশুসাহিত্যের পুরস্কার পান?
উত্তর : ‘সুন্দরবন’ বইয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ শিশুসাহিত্যের পুরস্কার পান।
১৩.৩ সুন্দরবনকে নিয়ে লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : সুন্দরবনকে নিয়ে লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম ‘বনবিবি’, ‘বিচিত্র এই সুন্দরবন’।
১৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৪.১ বসন্তকালে সুন্দরবনের দৃশ্যটি কেমন তা নিজের ভাষায় পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তরঃ শীতের শেষে বসন্তে তাই সুন্দরবনে নানা গাছে ফুল ধরেছে। গরান গাছের ফুল খুব ছোটো। তার রং হলুদ। সকাল থেকেই ফুলের গন্ধে, হলুদ রঙে ও মৌমাছির গুঞ্জনে সারা বন মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে। ঝিরঝিরে বসন্তের হাওয়া বইছে চারিদিকে।
১৪.২ যদি তুমি কখনও সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে যাও, তবে কাকে কাকে সঙ্গে নেবে? জিনিসপত্রই বা কী কী নিয়ে যাবে?
উত্তর : সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে গেলে আমি আরও দুজন বন্ধুকে সঙ্গে নেব। কারণ মধু সংগ্রহ করতে গেলে তিনজন অবশ্যই প্রয়োজন। এ ছাড়া জিনিসপত্রের মধ্যে চট, কাস্তে, লম্বা বাঁশ, বড়ো ধামা, কলশ ইত্যাদি নিতে হবে।
১৪.৩ ‘বাংলার বাঘ’ নামে কে পরিচিত?
উত্তর : আশুতোষ মুখোপাধ্যায়কে ‘বাংলার বাঘ’ বলা হয়।
১৪.৪ ‘বাঘাযতীন’ নামে কে পরিচিত?
উত্তর : যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ‘বাঘাযতীন’ নামে পরিচিত।
১৪.৫ ‘সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ’—এই বিষয়ে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর : সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এই কাজটি একার দ্বারা হয় না, মধু সংগ্রহ করতে তিনজন লাগে। একজন চট মুড়ি দিয়ে গাছে উঠে কাস্তে দিয়ে চাক কাটে। আর একজন লম্বা কাঁচা বাঁশের মাথায় মশাল জ্বেলে ধোঁয়া দিয়ে মৌমাছি তাড়ায়। আর তৃতীয়জন একটা বড়ো ধামা হাতে নিয়ে চাকের নীচে দাঁড়ায় যাতে চাক কাটা শুরু হলে সেগুলি মাটিতে না পড়ে ধামার মধ্যে পড়ে।
১৪.৬ ধনাই কীসের মন্ত্র জানে?
উত্তর : ধনাই মৌচাক কাটার মন্ত্র জানে।
১৪.৭ গরান গাছের ফুল দেখতে কেমন?
উত্তর : গরান গাছের ফুল ছোটো ছোটো হলুদ রং-এর হয়।
১৪.৮ ডিঙি করে মধু সংগ্রহ করতে কে কে গিয়েছিল?
উত্তর : ডিঙি করে মধু সংগ্রহ করতে ধনাই, আর্জান এবং কফিল গিয়েছিল।
১৪.৯ টীকা লেখো—‘ট্যাক্', 'শিষে'।
- ট্যাক্—দুটো ছোটো নদী যখন একসঙ্গে মেশে তখন একটা ত্রিভুজ ভূখণ্ড তৈরি হয় এই ধরনের ত্রিভুজ আকারেরজমির মাথাকেই ট্যাক্ বলা হয়।
- শিষে—সুন্দরবনের জঙ্গলে একপ্রকার ছোটো সরু খাদ দেখা যায় একে শিষ বলে। এগুলি তিন-চার হাত বা তার বেশিও চওড়া হতে পারে।
১৪.১০ মধুর চাক খুঁজে পাওয়ার পন্থাটি কী?
উত্তর : পন্থাটি হল, মৌমাচি ফুল থেকে মধু নিয়ে কোন্দিকে ছুটে চলেছে সেদিকে লক্ষ করে তার পিছনে পিছনে যাওয়া।
১৪.১১ কফিল ও আর্জানকে পেছনে ফিরে ডাকার সময় ধনাই কী দেখেছিল?
উত্তর : কফিল ও আর্জানকে পিছনে ফিরে ডাকার সময় ধনাই দেখেছিল বিকট হুংকারে একটা বাঘ তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
১৪.১২ বাঘটা শিষের ভিতর পড়ে গেল কীভাবে?
উত্তর : ধনাইকে লক্ষ করে বাঘটা ঝাঁপ দিলেও ধনাইয়ের ওপর না পড়ে সে তবলা গাছের ওপর পড়েছিল। এরপর ধনাইকে ডিঙিয়ে বাঘের মাথা গাছে খুব জোরে ঠোক্কর খেতেই বাঘটা উলটে ধপাস করে শিষের ভিতর গিয়ে পড়ল।
১৪.১৩ ধনাই কীভাবে বাঘের হাত থেকে বেঁচে গেল?
উত্তর : বাঘটা শিষের গর্তের ভিতর পড়তেই ধনাইয়ের মাথায় যে মধুর কলশিটা ছিল সেটা বাঘের মাথার ওপর ভেঙে পড়ল। বাঘের সারা মুখে, চোখে মধু ছিটকে পড়ল। বাঘ ফ্যোৎ ফ্যোৎ করতে লাগল। এভাবে ধনাই বাঘের হাত থেকে বেঁচে গেল।
❏ মায়াতরু কবিতার লেখক পরিচিতিঃ
বাংলাদেশের অন্তর্গত শ্রীহট্টে ১৯১০ সালে কবি ও প্রাবন্ধিক অশোকবিজয় রাহা জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছেলেবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি বিশেষ উৎসাহী ছিলেন। তিনি বহু প্রবন্ধ এবং কবিতা রচনা করেছেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ হল, ‘ভানুমতীর মাঠ’, ‘রুদ্রবসন্ত’, ‘ডিহংনদীর বাঁকে’, ‘জলডম্বুর পাহাড়’, ‘রক্তসন্ধ্যা’, ‘উড়ো চিঠির ঝাঁক’ ইত্যাদি। তাঁর রচিত বেশির ভাগ কবিতার বিষয়বস্তু নদী, পাহাড়, অরণ্যপ্রকৃতি। ১৯৯০ সালে এই খ্যাতনামা কবির জীবনাবসান ঘটে।
❏ মায়াতরু কবিতার বিষয়বস্তু :
কবি তাঁর কল্পনা দিয়ে একটি আজব গাছের পরিচয় দিয়েছেন। চারদিকে সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে এলেই মনে হয়
গাছটি যেন দু-হাত তুলে ভূতের মতো নাচ শুরু করেছে। আবার সন্ধ্যার পর রাতের আকাশে চাঁদের আলো ছড়িয়ে পড়ে তখন গাছের আকৃতি অনেকটা ভালুকের মতো হয়। ভালুক যেন ঘাড় ফুলিয়ে রেগে গরগর করছে। পরক্ষণেই যখন গাছের মাথায় বৃষ্টি পড়ত তখন গাছের পাতা এমনভাবে কাঁপত যেন মনে হত গাছের কম্প দিয়ে জ্বর এসেছে। কিছুক্ষণ বৃষ্টি হওয়ার পর চাঁদ আবার আকাশে যখন দেখা দিত তখন সেই ভালুক বা সেই গাছকে আর দেখা যেত না। তখন লক্ষ হিরার মাছ হয়ে ঝাঁক বাঁধত। কবি ভোর বেলা যে সমস্ত কাণ্ড হত তা ভেবে পেতেন না। সকালবেলা উঠে দেখতেন একটাও মাছ নেই। কেবল তিনি লক্ষ করতেন সূর্য ঝিকমিক করে আলো দিচ্ছে। মনে হচ্ছে এই আলো যেন রুপালি এক ঝালর। আসলে কবি তাঁর কল্পনায় একটি গাছকে বিভিন্ন সময়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন। সকালের সোনাঝরা রোদ, রাতের অন্ধকার, পূর্ণিমার আলো আর বর্ষার পর বৃষ্টি—এভাবেই একটি গাছকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে তিনি দেখেছেন
❏ হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর :
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১.১ তোমার চেনা এমন দুটি গাছের নাম লেখো অন্ধকারে যাদের দেখলে মনে হয় যেন মানুষের মতো হাত নেড়ে ডাকছে।
উত্তর : আমার চেনা দুটি গাছের নাম হল তাল গাছ ও খেজুর গাছ। অন্ধকারে যাদের দেখলে মনে হয় যেন মানুষের মতো হাত নেড়ে ডাকছে।
১.২ দুই বন্ধু আর ভাল্লুককে নিয়ে যে গল্পটি আছে তা তোমরা শুনেছ। যদি না শুনে থাক, তাহলে শিক্ষকের থেকে জেনে নিয়ে গল্পটি নিজের খাতায় লেখো।
উত্তর : রমেশ এবং পরেশ দুজন বন্ধু ছিল। একদিন ওরা দুজনে বেড়াতে বেরোল। পথ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে হত। দুজনে জঙ্গলের মধ্যে অনেকটা দূর চলে গেল। এই সময় একটা ভালুক বেরোল। আস্তে আস্তে ভালুক ওদের কাছে এগিয়ে আসতে লাগল। জঙ্গলে পালাবার কোনো উপায় ছিল না। প্রাণ বাঁচাবার জন্য ওদের মধ্যে একজন তাড়াতাড়ি দৌড়ে একটা গাছের ওপর উঠে পড়ল। সে নিজের বন্ধুর কথা চিন্তা করল না। দ্বিতীয়জন মাটিতে মরার মতো পড়ে রইল। ভালুক ওর নাক-কান শুঁকে চলে গেল। দ্বিতীয় জন বেঁচে গেল। ভালুকটা চলে যাবার পরে প্রথম বন্ধু গাছ থেকে নামল। সে দ্বিতীয় জনকে জিজ্ঞাসা করল—ভাই, ভালুকটা তোর কানে কী বলল? দ্বিতীয়জন বলল, ভালুক বলেছে—বিপদের সময় পালিয়ে যাওয়া বন্ধুর সঙ্গে আর কখনো থাকবে না।
১.৩ নানারকম রঙিন মাছ তুমি কোথায় দেখেছ?
উত্তর : নানারকম রঙিন মাছ আমি অ্যাকুইরিয়াম-এ দেখেছি। (আলিপুর চিড়িয়াখানায় আছে)
১.৪ ভোরের আলো তোমার কেমন লাগে? তখন তোমার কোথায় যেতে ইচ্ছে করে?
উত্তর : ভোরের আলোর মধ্য দিয়ে একটি নতুন দিনের সূচনা হয়। ভোরের আলো খুব স্বচ্ছ, নির্মল। তাই ভোরের আলো আমার খুব ভালো লাগে। ভোরবেলা খোলা আকাশের নীচে, মাঠে অথবা নদীর ধারে যেতে আমার ইচ্ছে করে।
১.৫ আলোয় এবং অন্ধকারে একই গাছের দুরকম চেহারা তোমার চোখে কীভাবে ধরা পড়ে?
উত্তর : গাছে আলো পড়লে তা ঝলমল করে ওঠে। তার ওপর যদি এক পশলা বৃষ্টি হয় তবে পাতার ওপর বৃষ্টির
জলবিন্দুগুলি আলোর ঝলকানিতে হিরার মতো ঝলমল করে। আবার সেই গাছটির ওপর অন্ধকার নেমে এলে কালো ছায়া সৃষ্টি করে যা রাতেরবেলায় দেখলে অনেকসময় আমাদের ভয় করে।
২. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

৩. কবিতা অবলম্বনে শূন্যস্থান পূরণ করো :
৩.১ এক যে ছিল গাছ।
৩.২ বিষ্টি হলেই আসত আবার কম্প দিয়ে জ্বর।
৩.৩ মুকুট হয়ে ঝাঁক বেঁধেছে লক্ষ হিরার মাছ।
৩.৪ এক পশলার শেষে।
৩.৫ বনের মাথায় ঝিলিক মেরে চাঁদ উঠত যখন ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে করত সে গরগর।
৪. কবিতাটি অবলম্বনে একটি গল্প তৈরি করো :
উত্তর : একটি গাছ ছিল সন্ধে হলেই ভুতের নৃত্য শুরু করত। আবার কখনও হঠাৎ বনের মাথায় চাঁদের আলো পড়ে গাছগুলি ঝলমল করত। যখন বৃষ্টি শেষ হয়ে যেত গাছের পাতায় বৃষ্টির জলবিন্দুগুলি হিরার টুকরো মনে হত। ভোরবেলায় কত কী যে ঘটত সবই আবছা আলোয় এলোমেলো হয়ে যেত আর যখন সকাল হত তখন সূর্যের আলো পড়ে রুপালি ঝালরের মতো গাছটা ঝিকমিক করত।
৫. শব্দগুলির অর্থ লিখে তা দিয়ে বাক্যরচনা করো :
ঝাঁক, ঝিলিক, ঘাড়, মুকুট, ঝিকিরমিকির।
- ঝাঁক—(দল)—আকাশে এক ঝাঁক পানকৌড়ি উড়ে গেল।
- ঝিলিক—(হঠাৎ চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়া)—পূর্ব দিকের আকাশে বিদ্যুতের ঝিলিক দেখে মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে।
- ঘাড়—(কাঁধ)—ছেলেটার ঘাড়ে খুব ব্যথা করছে।
- মুকুট—(মাথায় পরা অলংকারযুক্ত টুপি) — মুকুট পরা যতটা সহজ ভোগ করা ততটাই কঠিন।
- ঝিকিরমিকির—(ঝিকিমিকি)—রাতেরবেলায় জোনাকির আলো ঝিকিমিকির করছে।
৬. কোনটি কী জাতীয় শব্দ শব্দঝুড়ি থেকে বেছে নিয়ে আলাদা করে লেখো :
বিশেষ্য | বিশেষণ | সর্বনাম | অব্যয় | ক্রিয়া |
---|---|---|---|---|
গাছ | রুপালি | সে | যে | জুড়ত |
লক্ষ | ঝিকিরমিকির | বা | তুলে | |
জ্বর | কম্প | হয়ে |
৭. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
সন্ধে, হঠাৎ, শেষে, হেসে, আলো।
উত্তর : সন্ধে—সকাল। হঠাৎ—সর্বদা। শেষে শুরুতে। হেসে—কেঁদে। আলো-ছায়া।
৮. সমার্থক শব্দ লেখো :
গাছ, ভূত, বন, বিষ্টি, মাছ, চাঁদ।
উত্তর : গাছ—বৃক্ষ। ভূত—অপদেবতা। বন—অরণ্য। বিষ্টি—বাদল। মাছ—মৎস্য। চাঁদ—শশধর।
৯. প্রতিটি বাক্য ভেঙে আলাদা বাক্যে লেখো :
৯.১ এক যে ছিল গাছ, সন্ধে হলেই দুহাত তুলে জুড়ত ভূতের নাচ।
উত্তর : একটি গাছ ছিল। সন্ধে হলেই গাছটি দুহাত তুলে ভূতের নাচ জুড়ত।
৯.২ বিষ্টি হলেই আসত আবার কম্প দিয়ে জ্বর।
উত্তর : বিষ্টি হত। আর তখন কম্প দিয়ে জ্বর আসত।
৯.৩ সকাল হল যেই, একটিও মাছ নেই।
উত্তর : সকাল হল। একটিও মাছ নেই।
৯.৪ মুকুট হয়ে ঝাঁক বেঁধেছে লক্ষ হিরার মাছ।
উত্তর : মুকুট হয়ে মাছগুলি ঝাঁক বেঁধেছে। লক্ষ হিরার মতো তারা ঝাঁক বেঁধেছে।
৯.৫ ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে করত সে গরগর।
উত্তর : গাছটি ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে রাখত। ভালুকটি রাগে গরগর করত।
১০. এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
র গ র্ গ—গরগর, ট কু মু–মুকুট, ব আ য়া ছা—আবছায়া, র কি মি ঝি র কি–ঝিকিরমিকির, র বে ভো লা—ভোরবেলা।
১১.১ কবি অশোকবিজয় রাহার দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : কবি অশোকবিজয় রাহার দুটি বইয়ের নাম ‘ভানুমতীর মাঠ’ ও ‘রুদ্রবসন্ত’।
১১.২ তাঁর কবিতা রচনার প্রধান বিষয়টি কী ছিল?
উত্তর : তাঁর কবিতা রচনার প্রধান বিষয়টি ছিল অরণ্যপ্রকৃতি।
১১.৩ ‘মায়াতরু’ কবিতাটি তাঁর কোন কাবগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর : ‘মায়াতরু’ কবিতাটি তাঁর ‘ভানুমতীর মাঠ' কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
১২. দিনের কোন সময়ে কোন ঘটনাটি ঘটেছে পাশে পাশে লেখো। খাতায় ছবি আঁকো
১২.১ দুহাত তুলে জুড়ত ভূতের নাচ সন্ধ্যাবেলা।
১২.২ ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে করত যে গরগর রাত্রিবেলা।
১২.৩ কেবল দেখি পড়ে আছে ঝিকিমিকির আলোর রূপালি এক ঝালর সকালবেলা।
১৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৩.১ ‘মায়াতরু' শব্দটির অর্থ কী? কবিতায় গাছকে ‘মায়াতরু’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : ‘মায়াতরু’ শব্দটির অর্থ মায়াবী গাছ। কবির কল্পনায় মায়াবী গাছটি নিজের ইচ্ছেমতো দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপ ধারণ করে থাকে। সেই কারণে গাছটিকে ‘মায়াতরু’ বলা হয়েছে।
১৩.২ শব্দের শুরুতে ‘মায়া’ যোগ করে পাঁচটি নতুন শব্দ তৈরি করো।
একটি করে দেওয়া হল : মায়াজাল।
উত্তর : মায়াবন, মায়াময়, মায়াকান্না, মায়াবাদ, মায়াডোর।
১৩.৩ ভূতের আর গাছের প্রসঙ্গ রয়েছে এমন কোনো গল্প তুমি পড়েছ? পাঁচটি বাক্যে সেই গল্পটি লেখো।
উত্তর : ভূতের আর গাছের প্রসঙ্গ রয়েছে এমন গল্প হল শশিভূষণ দাশগুপ্তের লেখা ‘বিবেকানন্দের ছেলেবেলা’। গল্পটি এরকমঃ রামরতনবাবুর বাড়ির এককোণে আছে একটি চাঁপা গাছ। ছেলেরা সময়ে-অসময়ে এই গাছের ডালে দোল খেত, ডিগবাজি খেত, হইচই করত, কিন্তু ছেলেদের হাত পা ভাঙবে এই ভেবে রামরতনবাবু ফন্দি করে ছেলেদের ডাকলেন এবং চাঁপা গাছের গল্প শোনালেন। তিনি বললেন, এই চাঁপা গাছে এক বেষ্মদত্যি সাদা কাপড় মুড়ি দিয়ে ঘুরে বেড়াত। যারা এই গাছে চড়ত তাদেরই ঘাড় মটকে দিত। রামরতনবাবুর গল্প শুনে ছেলেরা ভয়ে যে যার বাড়ি চলে গেল। তিনি ভাবলেন গল্পে কাজ হয়েছে।
১৩.৪ দিনের বিভিন্ন সময়ে কবি গাছকে কোন কোন রূপে দেখেছেন?
উত্তর : কবির কল্পনায় কবি একটি গাছকে বিভিন্ন সময়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন। সকালের সোনাঝরা রোদ, রাতের অন্ধকার, পূর্ণিমার আলো আর বর্ষার পর বৃষ্টি—এভাবেই একটি গাছকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে কবি দেখেছেন।
১৪. যে গাছটিকে দেখে তোমার মনেও অনেক কল্পনা ভিড় জমায়, তার একটি ছবি আঁকো, সেই গাছটি সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো :
উত্তর : গাছ থাকলে বৃষ্টির তোড়কেও অনেকখানি কমিয়ে দেয় তার ডালপালা। ভালো করে দেখি, গাছ যেখানে বেশি সেখানে বৃষ্টিও কেমন বেশি হয়, তেমনি জলও জমা থাকে অনেক। চাষের প্রয়োজনে, সেই জলেরই জোগান দেওয়া হয় নদীনালায়। গাছ দারুণ গরমের হাত থেকেও বাঁচিয়ে দেয় মানুষকে। সজীব আর শীতল রাখে পরিবেশ।
মায়াদানব — সুভাষ মুখোপাধ্যায়
❏ ময়দানব কবিতার লেখক পরিচিতিঃ১৯১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর অঞ্চলে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ক্ষিতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং মায়ের নাম যামিনীবালা দেবী। কলকাতার ভবানীপুর মিত্র ইন্সটিটিউশন থেকে স্কুল জীবন শুরু হয়। এরপর স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে স্নাতক উপাধি লাভ করেন। বিংশ শতাব্দীর রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের একজন প্রতিভাবান কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় গণতান্ত্রিক অধিকারের ভিত্তিতে সাম্যবাদী কবিতার ক্ষেত্রে সমাজে অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন। কবির রচিত উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলির মধ্যে পদাতিক, যত দূরেই যাই, চিরকূট, ছেলে গেছে বনে, কাল মধুমাস, একবার বিদায় দে মা ইত্যাদির আমাদের মনে দাগ কাটে।
❏ ময়দানব কবিতার বিষয়বস্তু :
অন্ধকার নির্জন মাঠে হাওয়া দিলে মাঠটি একটি অন্য চেহারা নেয়। রাতের অন্ধকারে নির্জন মাঠে হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা শোঁ শোঁ আওয়াজ ঘুরে বেড়ায়। রাতের অন্ধকারে রাস্তার পোস্টের আলো কেমন আবছা হয়ে আসে। কবি বলছেন, রাতেরবেলায় যেন একা ময়দানে খবরদার যেয়ো না। ময়দানে ময়দানবের দৌরাত্ম থেকে রেহাই পাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার। অ্যাং, ব্যাং, চ্যাং নামের সব ময়দানব মানুষ পেলেই তারা হা-ডু-ডু বলে ঠ্যাং খুলে নেবে। তার সঙ্গে জোনাকিরা উড়ে এসে গায়ে ছ্যাঁকা দেবে। এভাবে ময়দানব নানাভাবে অত্যাচার করে।
অন্ধকার নির্জন মাঠে হাওয়া দিলে মাঠটি একটি অন্য চেহারা নেয়। রাতের অন্ধকারে নির্জন মাঠে হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা শোঁ শোঁ আওয়াজ ঘুরে বেড়ায়। রাতের অন্ধকারে রাস্তার পোস্টের আলো কেমন আবছা হয়ে আসে। কবি বলছেন, রাতেরবেলায় যেন একা ময়দানে খবরদার যেয়ো না। ময়দানে ময়দানবের দৌরাত্ম থেকে রেহাই পাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার। অ্যাং, ব্যাং, চ্যাং নামের সব ময়দানব মানুষ পেলেই তারা হা-ডু-ডু বলে ঠ্যাং খুলে নেবে। তার সঙ্গে জোনাকিরা উড়ে এসে গায়ে ছ্যাঁকা দেবে। এভাবে ময়দানব নানাভাবে অত্যাচার করে।
❏ ময়দানব অধ্যায়ের প্র্যাকটিস সেট প্রশ্ন উত্তর :
১। ‘ময়দানব’ কবিতাটি কে লিখেছেন?
উত্তর : কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ‘ময়দানব’ কবিতাটি লিখেছেন।
২। ‘ময়দানব’ নামটি তুমি এই পাঠ্যপুস্তক ছাড়া অন্য কোনো সাহিত্যে জেনেছ কি?
উত্তর : হ্যাঁ, মহাভারতের কাহিনিতে ময়দানব নামে একটি শক্তিশালী রাক্ষসের নাম শুনেছি।
৩। কে কখন শালপাতা চাটে?
উত্তর : যখন নির্জন মাঠে কেউ থাকে না তখন হাওয়ার সুর ঘুরে ঘুরে শালপাতা চাটে।
৪। রাস্তার বাতিগুলো কী করে?
উত্তর : রাস্তার বাতিগুলো আঁধারে গা ঢাকে আর ঠেলা দিয়ে আঁদাড়ে পাঁদাড়ে ফেলে দেয়।
৫। কে ঠেসে ধরবেই?
উত্তর : ময়দানবেরা সব তাঁবু ছেড়ে এসে দে গোল দে গোল বলে ধরবেই ঠেসে।
৬। ঠ্যাং খুলে নেবে কে?
উত্তর : ময়দানব ছাড়া যেসব অ্যাং, ব্যাং আর চ্যাং আছে তারা হাডুডু বলতে বলতে ঠ্যাং খুলে নেবে।
৭। ‘নির্জন' কথার মানে কী?
উত্তর : ‘নির্জন’ শব্দের মানে জনশূন্য স্থান অর্থাৎ যে জায়গায় কোনো লোকজন নেই।
১। ‘ময়দানব’ কবিতাটি কে লিখেছেন?
উত্তর : কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ‘ময়দানব’ কবিতাটি লিখেছেন।
২। ‘ময়দানব’ নামটি তুমি এই পাঠ্যপুস্তক ছাড়া অন্য কোনো সাহিত্যে জেনেছ কি?
উত্তর : হ্যাঁ, মহাভারতের কাহিনিতে ময়দানব নামে একটি শক্তিশালী রাক্ষসের নাম শুনেছি।
৩। কে কখন শালপাতা চাটে?
উত্তর : যখন নির্জন মাঠে কেউ থাকে না তখন হাওয়ার সুর ঘুরে ঘুরে শালপাতা চাটে।
৪। রাস্তার বাতিগুলো কী করে?
উত্তর : রাস্তার বাতিগুলো আঁধারে গা ঢাকে আর ঠেলা দিয়ে আঁদাড়ে পাঁদাড়ে ফেলে দেয়।
৫। কে ঠেসে ধরবেই?
উত্তর : ময়দানবেরা সব তাঁবু ছেড়ে এসে দে গোল দে গোল বলে ধরবেই ঠেসে।
৬। ঠ্যাং খুলে নেবে কে?
উত্তর : ময়দানব ছাড়া যেসব অ্যাং, ব্যাং আর চ্যাং আছে তারা হাডুডু বলতে বলতে ঠ্যাং খুলে নেবে।
৭। ‘নির্জন' কথার মানে কী?
উত্তর : ‘নির্জন’ শব্দের মানে জনশূন্য স্থান অর্থাৎ যে জায়গায় কোনো লোকজন নেই।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দাও :
১। রাত্তিরে ময়দানে একা যাওয়া বারণ কেন?
উত্তর : কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ‘ময়দানব’ কবিতায় বলেছেন, রাতে একা ময়দানে গেলে জোনাকিরা উড়ে এসে গায়ে
ছ্যাঁকা দেবে। তাই রাত্তিরে একা ময়দানে যেতে বারণ আছে।
২। জোনাকি কাকে বলে?
উত্তর : যে পোকা রাতের অন্ধকারে গাছের ডালে ডালে উড়ে বেড়িয়ে দল বেঁধে নিজেদের শরীরের দেহের পেছন
থেকে ঝিকমিক আলো ছড়ায় তাদের বলে জোনাকি।
৩। ‘দে গোল’ ‘দে গোল’ বলে আওয়াজ তুমি ‘ময়দানব’ কবিতাটি ছাড়া অন্য কখন কোথায় শুনেছ?
উত্তর : ময়দানে ফুটবল খেলায় যখন দেখি কোনো এক পক্ষের খেলোয়াড় পায়ে বল নিয়ে বিপক্ষের গোলপোস্টের
দিকে দুরন্ত বেগে ছোটে তখন ‘দে গোল’ ‘দে গোল’ বলে আওয়াজ শুনেছি।
রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর দাও :
১। ‘ময়দানব’ কবিতাটির মধ্যে তুমি কবিতাটি নামের কোনো সামঞ্জস্য খুঁজে পেয়েছ কি?
উত্তর : সম্পূর্ণ কবিতাটি পড়লে বোঝা যায়, আমরা যে ময়দান দেখতে পাই সেখানে সন্ধ্যার অন্ধকার আর বাতাস এক
বিচিত্র রূপ দান করে। হাওয়ায় ময়দানে পড়ে থাকা শালপাতাগুলো উড়ে উড়ে মর্মর শব্দ করে, বাতাসে রাস্তার বাতিগুলো
দুলে দুলে আলো-আঁধারি সৃষ্টি করে। রাতের গাঢ় অন্ধকারে অসংখ্য জোনাকি এমনই ঝিকিমিকি আলো ছড়িয়ে উড়তে
থাকে যে মনে হয় যেন এই বুঝি ছ্যাঁকা দেবে। তাই ময়দান থেকে ‘ময়দানব’ নামে সুন্দর সামঞ্জস্য পাওয়া যায়।
Related Tags : ক্লাস 5 লিমেরিক কবিতা,ক্লাস ফাইভ লিমেরিক কবিতা,লিমেরিক,লিমেরিক কবিতা,বাংলা কার্টুন,লিমেরিক এডওয়ার্ড লিয়ার,ক্লাস 5,ক্লাস ৫ বাংলা ফনীমনসা ও বনের পরী,পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা,class 5 লিমেরিক কবিতা,wbbpe class 5th bengali (বাংলা) দশম অধ্যায় লিমেরিক,বাংলা কবিতা,বাংলা কবিতা আবৃত্তি,গল্প বুড়ো বাংলা কবিতা,পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা কবিতা,লিমেরিক কবিতা সত্যজিৎ রায়,লিমেরিক কবিতা আলোচনা,লিমেরিক শব্দের অর্থ কী,ক্লাস ফাইভ,বাংলা কবিতা,পঞ্চম শ্রেণি বাংলা,নবম শ্রেণী বাংলা কবিতা কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি,টর্নেডো ঝড় বাংলাদেশ,কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর,বাংলা হাতের লেখা,নবম শ্রেণির বাংলা,ক্লাস 9 কবিতা কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি,পঞ্চম শ্রেণির বাংলা,পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা,বাংলা কবিতা আবৃত্তি,বাংলা প্রবন্ধ আম্ফান,বাংলা আবেদন পত্র লেখা,ঝড়,বাংলা সাহিত্যের গল্প রহস্য কাহিনী,বাংলা পত্র লেখার সহজ নিয়ম,ঝড় কবিতা ,মধু আনতে বাঘের মুখে,মধু আনতে বাঘের মুখে প্রশ্ন উত্তর,মধু আনতে বাঘের মুখে শিবশঙ্কর মিত্র,মধু আনতে বাঘের মুখে গল্প,মধু আনতে বাঘের মুখে বাংলা গল্প,মধু আনতে বাঘের মুখে শিব শংকর মিত্র,মধু আনতে বাঘের মুখে শিবশংকর মিত্র গল্প,মধু আনতে বাঘের মুখে গল্পের প্রশ্ন উত্তর,মধু আনতে বাঘের মুখে শেখার সেতু প্রশ্নোত্তর,মধু আনতে বাঘের মুখে বাংলা কার্টুন,class 5 মধু আনতে বাঘের মুখে,মধু আনতে বাঘের মুখে কাটুন,মধু আনতে বাঘের মুখে কবিতা,বাংলা,মায়াতরু,মায়াতরু কবিতা,মায়াতরু অশোক বিজয় রাহা,class 5,mayataru,class 5 bangla kobita,dbs madam classes,assam board hs mayataru,mayataru assam board hs,mayatoru assam board hs,bangla poem,mayatoru explanation,bengali,bengali poems,bengali poem explanation,mayatoru assam board hs disussion,mayataru assam board hs disussion,ashok bijoy raha,assam board hs poem,mayatoru discussion,বাংলা পাতাবাহার class 5,ছাত্রবন্ধু ক্লাস 5 বাংলা,পাতাবাহার বাংলা পঞ্চম শ্রেণি
No comments
Hi Welcome ....