Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Top Ad

Breaking News:

latest

ক্লাস : X ইতিহাস (অধ্যায় : ১) ইতিহাসের ধারণা | সংক্ষেপে আলোচনা : সিরিজ ০১

class 10 history chapter 1 short questions and answers সংক্ষেপে আলোচনা : সিরিজ ০১ (১.১) আধুনিক ইতিহাসচর্চা

class 10 history chapter 1 short questions and answers

সংক্ষেপে আলোচনা : সিরিজ ০১
(১.১) আধুনিক ইতিহাসচর্চা

✤ ইতিহাসচর্চা 
✤ ইতিহাসতত্ত্ব
✤ অ্যানাল স্কুল
✤ খেলার ইতিহাস 
✤ খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস
✤ শিল্পচর্চার ইতিহাস
✤ পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাস
✤ যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস
✤ ফোটোগ্রাফির ইতিহাস  
✤ স্থাপত্যের ইতিহাস
✤ সামরিক ইতিহাস
✤ পরিবেশের ইতিহাস
✤ বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাস
✤ নারী ইতিহাস 

(১.২) আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি 
✤ সরকারি নথিপত্র 
✤ আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা 
✤ চিঠিপত্র 
✤ সাময়িক এবং সংবাদপত্র 
✤ ইতিহাস হল মানবসভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারা। এটি মানুষের অতীতের কার্যসমূহ এবং ঘটনাবলির অধ্যয়ন করে। ইতিহাসচর্চা হল বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা সংক্রান্ত বিবিধ ব্যাখ্যা এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনা। বর্তমানকালে ইতিহাসবিদগণ বহু নতুন বিষয়কে ইতিহাসচর্চার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—নতুন সামাজিক ইতিহাস, খেলার ইতিহাস, খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস, পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাস, শিল্পচর্চা, সংগীত, নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র, স্থাপত্যের ইতিহাস, দৃশ্যশিল্পের পরিবেশের ইতিহাস, নারী ইতিহাস প্রভৃতি।

✤ ইতিহাসতত্ত্ব : ইতিহাসতত্ত্ব হল ইতিহাসের একটি ধারা যেখানে ইতিহাস রচনার বিভিন্ন পদ্ধতি, ইতিহাসবিদদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি বিষয় পর্যালোচনা করা হয়। তারপর, নতুন সামাজিক ইতিহাস :  শুরু হয় সাধারণভাবে ১৯৬০-৭০-এর দশকে ।প্রথাগত ইতিহাসচর্চার থেকে নতুন সামাজিক ইতিহাস আলাদা—কৃষক, শ্রমিক, মজুর, নারী প্রভৃতি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষদের প্রসঙ্গে । সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত ডায়ারি, হিসাবের খাতা, পারিবারিক অ্যালবাম ইত্যাদি এখানে রয়েছে । সাম্প্রতিককালে সমাজের বৃহত্তর নিম্নবর্গের দরিদ্র, প্রান্তিক, পিছিয়ে-পড়া মানুষ সামাজিক ইতিহাসের আলোচনায় গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে আলোচনা করা এই ইতিহাস ‘নতুন সামাজিক ইতিহাস' নামে পরিচিত।

✤ অ্যানাল স্কুল:  ১৯৬০-৭০-এর দশক থেকে ইউরোপে নিচুতলা থেকে সামগ্রিক ইতিহাস (TOTAL HISTORY)  বা নতুন সামাজিক ইতিহাস অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এই উদ্যোগে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন ফ্রান্সের কয়েকজন ঐতিহাসিক। এদের মধ্যে মার্ক ব্লখ, লুসিয়েন ফেবর, ফার্নান্দ ব্রদেল, লাঁদুরি প্রমুখের নাম বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এঁদের দ্বারা পরিচালিত ঐতিহাসিক গোষ্ঠী 'অ্যানাল স্কুল' নাম পরিচিত। 

✤ খেলার ইতিহাস: খেলার ইতিহাস সামাজিক ইতিহাসচর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ । বিনোদনের পাশাপাশি খেলাধুলা জাতীয়তাবাদের বিকাশেও বিশেষ অবদান রাখে। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষে বাংলার মোহনবাগান ফুটবল ক্লাব ব্রিটিশ ইস্ট ইয়র্কশায়ার ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড জয় করেছিল। এর ফলে বাংলার পাশাপাশি সমগ্র ভারতবর্ষে জাতীয়তাবাদের বিস্তার ঘটেছিল।

✤ খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস: খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস নিয়ে চর্চার ক্ষেত্রে ভৌগোলিক অঞ্চল এবং কাল তথা সময়ের ওপর নির্ভরশীলতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এর দ্বারা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের খাদ্যাভ্যাসের পরিচয় পাওয়া যায় এবং সেটি কীভাবে জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটায় তাও জানা যায়। খাদ্যরীতির মিশ্রণ অনেক ক্ষেত্রেই খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাসচর্চার বিষয় হিসেবে উঠে আসে। যেমন—পোর্তুগিজরা ভারতে এসে এদেশে আলু চাষের প্রচলন ঘটায়। তেমনি ভারতের গোলমরিচ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রান্নায় ব্যবহার হতে থাকে।
✤  শিল্পচর্চার ইতিহাস: শিল্পচর্চার ইতিহাস-এর অন্তর্ভুক্ত ক্ষেত্রগুলির মধ্যে পড়ে সংগীত, নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র। এগুলি কখনও বিনোদন আবার গবোধের প্রসার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের হাতিয়াররূপে কখনও পরিগণিত হয়। সংগীত প্রাচীন যুগ থেকে মধ্যযুগ এবং মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগে বিবর্তনের পথ ধরে চলে আসছে। কাওয়ালি, টপ্পা, গজল, পল্লিগীতি, ভাটিয়ালি, রবীন্দ্রসংগীত ইত্যাদি সংগীতের অন্তর্ভুক্ত। তবলা, সেতার, বেহালা, বাঁশি, সানাই ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্রগুলিও সংগীতের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “বাংলার মাটি বাংলার জল” কিংবা রজনীকান্ত সেনের “মায়ের দেওয়া মোটা কাপড়” প্রভৃতি স্বদেশি গান ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবোধের প্রসারে সাহায্য করেছিল।

✤ পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাস : পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাস ব্যক্তির রুচি, সংস্কৃতির পাশাপাশি আর্থসামাজিক অবস্থানকেও তুলে ধরে। ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের পোশাকের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। ভারতীয় মহিলারা শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ঘাগরা, চুড়িদার ইত্যাদি পোশাক পড়েন। ভারতীয় পুরুষরা ধুতি-পাঞ্জাবি, কুর্তা-পাজামা, শেরওয়ানী, পাগড়ি ইত্যাদি পোশাক পড়েন।  বর্তমান সময় শার্ট-প্যান্ট, টি-শার্ট প্রভৃতি পোশাকও ভারতীয় পুরুষ এবং মহিলাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

✤ যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস: যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস থেকে আমরা বিভিন্ন সময়ের আর্থসামাজিক তথা রাজনৈতিক চিত্র পেয়ে থাকি। জানতে পারি কীভাবে এই দুই ব্যবস্থা জনগণের পাশাপাশি শাসকগোষ্ঠীর প্রয়োজন মেটাতে কাজে লেগেছে। এবিষয়ে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল জন আর্মস্ট্রং-এর ট্রান্সপোর্ট হিস্ট্রি’, গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের 'ইউরোপ অ্যান্ড দ্য হুগলি', আর আর ভান্ডারির 'ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ: ‘গ্লোরিয়াস ১৫০ ইয়ার্স’ প্রভৃতি। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং উন্নত প্রযুক্তি—স্থলপথ, জলপথ, আকাশপথে আমাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে যানবাহন তৈরিতে কাজে লাগছে। স্থলপথে ট্রেন, বাস, ট্রাম ইত্যাদি, জলপথে জাহাজ, নৌকা, স্টিমার ইত্যাদি এবং আকাশপথে এরোপ্লেন যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ডাকব্যবস্থা, টেলিগ্রাফ, টেলিফোন, মোবাইল ফোন ইত্যাদি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

✤ ফোটোগ্রাফির ইতিহাস  : দৃশ্যশিল্পের ইতিহাস নিয়ে চর্চা করতে গেলে ছবি আঁকা এবং ফোটোগ্রাফির কথা উঠে আসে। ছবি আঁকা প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে মধ্যযুগ হয়ে বর্তমান সময়েও চরম উৎকর্ষতার নিদর্শন হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। প্রাচীনকালে ভারতের বিভিন্ন পর্বতগাত্র, পুথিপত্রে চিত্রের ব্যবহার হত। মধ্যযুগ এবং আধুনিক যুগে ছবি আঁকা একটি শিল্পের পর্যায়ে উন্নীত হয়। লিওনার্দো দ্য ভিঞি, রাফায়েল প্রমুখ বিদেশি চিত্রকরের পাশাপাশি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, যামিনী রায় প্রমুখ স্বদেশি চিত্রকরের নাম এক্ষেত্রে উল্লেখ্য। ফোটোগ্রাফি ইতিহাসের উপাদান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে গবেষকদের ফোটোগ্রাফি ব্যবহারে সচেতনতা অবলম্বন করতে হয়। মহাবিদ্রোহ (১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ), মন্বন্তর (১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দ), নৌবিদ্রোহ (১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দ) ইত্যাদি ঐতিহাসিক ঘটনাগুলির সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে ফোটোগ্রাফি গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে উন্নত ডিজিট্যাল ক্যামেরা ও মোবাইল ক্যামেরা ফোটোগ্রাফিকে আরও সহজ করে তুলেছে। ফোটোগ্রাফির ইতিহাস খুব বেশি প্রাচীন না হলেও ইতিহাসের উপাদান হিসেবে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কোনো নিরপেক্ষ আলোকচিত্রীর তোলা ছবিগুলি আমাদের সামনে ইতিহাসকে তুলে ধরে। 
✤ স্থাপত্যের ইতিহাস :  স্থাপত্যের ইতিহাস হলো শাসকের আদেশে, সরকারি কাজে, ধর্মচর্চায় বিভিন্ন স্থাপত্য সৃষ্টি হয়েছে। তাজমহল (আগ্রা), হাজার দুয়ারী প্যালেস (মুরশিদাবাদ), ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল (কলকাতা), রাইটার্স বিল্ডিং (কলকাতা), বড়ো ও ছোটো সোনা মসজিদ (গৌড়), লাল কেল্লা (দিল্লি) ইত্যাদি হল ভারতে স্থাপত্যের উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। এছাড়াও এডুইন লুটিয়েন, হার্বার্ট বেকার, আবিদ আলি খান, আলেকজান্ডার কানিংহাম প্রমুখ স্থাপত্যের ইতিহাসচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এবং স্থানীয় ইতিহাস কোনো একটি বিশেষ অঞ্চলের প্রসঙ্গে জানতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। বৃহত্তর ভৌগোলিক পরিসরের ইতিহাসের অনুসন্ধানে স্থানীয় ইতিহাস অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। স্থানীয় ইতিহাসচর্চা অনেক ক্ষেত্রে মৌখিক উপাদানের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় উপাদানগুলি যাচাই করার প্রয়োজন পড়ে। শহরের ইতিহাস থেকে কোনো শহরের পত্তন, বিবর্তন, উন্নতি বা অবক্ষয় প্রসঙ্গে জানা যায়। কোনো শহর সাধারণ হিসেবে, বাণিজ্যিক কিংবা প্রশাসনিক ক্ষেত্র হিসেবে, ধর্মীয় অথবা তীর্থস্থান হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। শহরের ইতিহাস থেকে সমকালীন নগরায়ণ ও সভ্যতার বিবর্তনকে বুঝতে পারা যায়।

✤ পরিবেশের ইতিহাস : পরিবেশের ইতিহাস আমাদের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। এটি পরিবেশ বিষয়ক আন্দোলনগুলি সম্পর্কেও আমাদের সচেতন করে দেয়।  ভারতে পরিবেশ আন্দোলনের ইতিহাসচর্চা করলে চিপকো আন্দোলন, নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন প্রভৃতির উল্লেখ অবশ্যই করতে হয়। ভারতে পরিবেশ ইতিহাসচর্চাকারীদের মধ্যে রামচন্দ্র গুহ, মাধব গ্যাডগিল, ইরফান হাবিব প্রমুখ হলেন অগ্রণী ব্যক্তিত্ব। পরিবেশের পরিবর্তন, ইতিহাসে পরিবেশের প্রভাব প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আজকাল যথেষ্ট চর্চা হচ্ছে। এবিষয়ে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল র‍্যাচেল কারসন-এর ‘সাইলেন্ট স্প্রিং’, আলফ্রেড ক্রসবি-র ইকোলজিকাল ইম্পিরিয়ালিজম', রিচার্ড গ্রোভ-এর ‘গ্রিন ইম্পিরিয়ালিজম', ইরফান হাবিবের ‘মানুষ ও পরিবেশ', মাধব গ্যাডগিল ও রামচন্দ্র গুহর ‘ইকোলজি আ ইকুইটি’ প্রভৃতি।

✤ বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাস : বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাস মানবসভ্যতার ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আধুনিককালে উক্ত ক্ষেত্রগুলিতে যে ইতিবাচক পরিবর্তনগুলি লক্ষ করা যায় তা ইতিহাসচর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। প্রাচীনকাল থেকেই ভারত, গ্রিস, রোম ইত্যাদি স্থানের সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যারও উন্নতিসাধন, হয়েছিল। প্রাচীন ভারতে বিজ্ঞান ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে আর্যভট্ট,বরাহমিহির, চরক, সুশ্রুত, ধন্বন্তরি প্রমুখের অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ।  আবার আধুনিককালে ডা. মহেন্দ্রলাল সরকার, মধুসূদন গুপ্ত, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, জগদীশচন্দ্র বসু প্রমুখের নাম উল্লেখ করতে হয়।

✤ নারী ইতিহাস : ইতিহাসের অগ্রগতিতে নারীদেরও অসামান্য অবদান রয়েছে সেসব বিষয় নিয়ে সাম্প্রতিককালে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল জোয়ান স্কট-এর ‘জেন্ডার অ্যান্ড দ্য পলিটিক্স অব হিস্ট্রি', নীরা দেশাইয়ের উইমেন ইন মডার্ন ইন্ডিয়া’, জেরাডিন ফোর্বস-এর 'উইমেন ইন মডার্ন ইন্ডিয়া', এম এন শ্রীনিবাসের ‘দ্য চেঞ্জিং পজিশন অব ইন্ডিয়ান উইমেন',কমলা ভাসিনের ‘হোয়াট ইজ প্যাট্রিয়ার্কি’ প্রভৃতি।

MCQ Question Practice

Q1. প্রথম নাট্যচর্চার উদ্ভব হয় কোন দেশে?
(ক) রোম 
(খ) গ্রিস 
(গ) চিন 
(ঘ) ভারতবর্ষ
Answer :  (খ) গ্রিস 

Q2. প্রথম বাংলা রাজনৈতিক পত্রিকা কোনটি?
(ক) বঙ্গদর্শন
(খ) প্রবাসী
(গ) সোমপ্রকাশ
(ঘ) হিতবাদী
Answer :  (গ) সোমপ্রকাশ

Q3. 'জীবনের ঝরাপাতা' গ্রন্থটি হল একটি?
(ক) উপন্যাস
(খ) কাব্যগ্রন্থ
(গ) জীবনীগ্রন্থ
(ঘ) আত্মজীবনী
Answer : (ঘ) আত্মজীবনী

Q4. 'সোমপ্রকাশ’ ছিল একটি?
(ক) দৈনিক পত্রিকা
(খ) সাপ্তাহিক পত্রিকা
(গ) পাক্ষিক পত্রিকা
(ঘ) মাসিক পত্রিকা
Answer : (খ) সাপ্তাহিক পত্রিকা

Q5. 'ইতিহাস হল অতীত ও বর্তমানের অন্তহীন কথোপকথন'—উক্তিটি করেছেন?
(ক) ই এইচ কার 
(খ) এডমন্ড বার্ক
(গ) লর্ড অ্যাকটন
(ঘ) অমলেশ ত্রিপাঠী
Answer : (ক) ই এইচ কার 

Q6. সরকারি মহাফেজখানায় সংরক্ষিত থাকে?
(i) সরকারি আধিকারিকের প্রতিবেদন
(ii) সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিবেদন
(iii) গোয়েন্দা বিভাগের প্রতিবেদন
(iv) পুলিশ বিভাগের নথিপত্র

(ক) i, ii ঠিক
(খ) i, ii, ii ঠিক
(গ) i ঠিক
(ঘ) সবকটি ঠিক
Answer : (ঘ) সবকটি ঠিক

Q7. দাদাসাহেব ফালকে যুক্ত ছিলেন?
(ক) চলচ্চিত্রের সঙ্গে
(খ) ক্রীড়া জগতের সঙ্গে
(গ) স্থানীয় ইতিহাসচর্চার সঙ্গে
(ঘ) পরিবেশের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে
Answer : (ক) চলচ্চিত্রের সঙ্গে

Q8. বাংলার নমঃশূদ্র আন্দোলনের ইতিহাস হল?
(ক) পরিবেশ ইতিহাসচর্চার বিষয়
(খ) শহরের ইতিহাসচর্চার বিষয়
(গ) সামাজিক ইতিহাসচর্চার বিষয়
(ঘ) সামরিক ইতিহাসচর্চার বিষয়
Answer : (গ) সামাজিক ইতিহাসচর্চার বিষয়

Q9. সরকারি মহাফেজখানায় পাওয়া যাবে?
(ক) সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন
(খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনস্মৃতি
(গ) সরলাদেবী চৌধুরানির জীবনের ঝরাপাতা
(ঘ) ইন্দিরাকে লেখা জওহরলাল নেহরুর চিঠির সংকলন
Answer : (ক) সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন

Q10. ‘মেয়েকে লেখা পিতার পত্র’টির লেখক কে?
(ক) ইন্দিরা গান্ধি
(খ) জওহরলাল নেহরু
(গ) রাজীব গান্ধি
(ঘ) রাহুল গান্ধি
Answer :  (খ) জওহরলাল নেহরু

Q11. ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক বলা হয়?
(ক) সত্যজিৎ রায়কে
(খ) হীরালাল সেনকে
(গ) হীরালাল সরখেলকে
(ঘ) দাদাসাহেব ফালকেকে
Answer :  (ঘ) দাদাসাহেব ফালকেকে

Q12. কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত ‘গথিক স্থাপত্য’র প্রথম নিদর্শনটি হল?
(ক) এশিয়াটিক সোসাইটি
(খ) হেস্টিংস হাউস
(গ) হাইকোর্ট
(ঘ) মনুমেন্ট
Answer :  (গ) হাইকোর্ট

Q13. বাংলা ভাষায় প্রথম প্রকাশিত সাময়িক সংবাদপত্র হল?
(ক) সোমপ্রকাশ
(খ) দিগ্‌দর্শন
(গ) সমাচার দর্পণ
(ঘ) বেঙ্গল গেজেট
Answer :  (খ) দিগ্‌দর্শন

Q14. 'সোমপ্রকাশ’ পত্রিকাটির প্রকাশক হলেন?
(ক) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(খ) দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ
(গ) দীনবন্ধু মিত্র
(ঘ) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
Answer :  (খ) দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ

Q15. ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ পালিত হয়?
(ক) ৮ জানুয়ারি
(খ) ২৪ ফেব্রুয়ারি
(গ) ৮ মার্চ
(ঘ) ৫ জুন
Answer : (ঘ) ৫ জুন

Q16. ভারতীয়রা আলুর ব্যবহার শিখেছিল যাদের কাছ থেকে?
(ক) পোর্তুগিজ
(খ) ইংরেজ
(গ) মোগল
(ঘ) ওলন্দাজ
Answer :  (ক) পোর্তুগিজ

No comments

Hi Welcome ....