Syllabus : IX-X An overview of the reigns of Jahangir and Shahjahan - Aurangzeb's expansionist policies conflict with the Marathas - Shi...
Syllabus : IX-X
An overview of the reigns of Jahangir and Shahjahan - Aurangzeb's expansionist policies conflict with the Marathas - Shivaji - Aurangzeb and the disintegration of the Mughal empire.
Syllabus : XI-XII
An overview of the reigns of Jahangir and Shahjahan - Aurangzeb's expansionist policies conflict with the Marathas - Shivaji - The character of the Maratha Swarajya - Aurangzeb and the disintegration of the Mughal empire - The growth of regional powers, Bengal, Awadh, Hyderabad and the crisis of the empire in the early eighteenth century.
SLST History Chapter : IV An overview of the reigns of Jahangir and Shahjahan Study Notes Bengali Vession | Free PDF Download
❍ মুঘল রাষ্ট্র কি ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ (secular) রাষ্ট্র ছিল?
▹মুঘল রাষ্ট্রে (১) সম্রাটরা কেউই ধর্মগুরু ছিলেন না, (২) প্রশাসনের ওপর মৌল- বাদের তেমন প্রভাব ছিল না, (৩) সম্রাটরা শরিয়তি আইনের বাধ্যবাধকতা মানতেন না এবং (৪) আকবরের মতো অনেক সম্রাটই উদার ও সমন্বয়ী নীতি গ্রহণের চেষ্টা করেছেন। তাই মুঘল রাষ্ট্রকে কতকাংশে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ রাষ্ট্র বলা যেতে পারে।
❍ ‘ঝরোখা-দর্শন’ কী?
▹রাজধানীতে থাকলে মুঘল সম্রাট সাধারণত প্রতিদিন সকালে রাজপ্রাসাদের বারান্দায় এসে দাঁড়িয়ে প্রজাদের ‘দর্শন’ দিতেন এবং অনেক সময় তাদের অভাব-অভিযোগ শুনতেন এই ব্যবস্থা ‘ঝরোখা দর্শন’ নামে পরিচিত। এই প্রথা আকবর প্রবর্তন করেছিলেন বলে জানা যায়।
❍ মুঘল প্রশাসনের প্রধান স্তম্ভ বা প্রধান কেন্দ্রীয় কর্মচারী কারা ছিলেন?
▹মুঘল প্রশাসনিক কাঠামোর প্রধান স্তম্ভ বা কর্মচারীরা ছিলেন (১) ‘ভকিল’ বা ভকিল- ই-মুলক (প্রধানমন্ত্রী), (২) দেওয়ান-ই-আলা (রাজস্ব বিভাগের প্রধান), (৩) মীর বসি (সামরিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত), (৪) সদর-উস্-সুন্দর বা প্রধান সদর (ধর্ম, ধর্মীয় দান-খয়রাত ও বিচার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত), (৫) মীর সামান বা খান-ই-সামান (রাজপ্রাসাদ ও রাজসভা বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত) এবং (৬) মুক্তাশিব (নৈতিক মানোন্নয়ন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত)।
❍ ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ে (Bernier) কে?
▹ ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ে ছিলেন একজন ফরাসি চিকিৎসক ও পর্যটক। শাহজাহানের রাজত্বকালের একেবারে শেষের দিকে তিনি ভারতে আসেন এবং প্রায় নয় বছর অবস্থান করেন। তাঁর বিবরণ থেকে শাহজাহানের রাজত্বের শেষেরদিকের ও ঔরঙ্গজেবের রাজত্বের প্রথম দিককার ঘটনাবলী, বিভিন্ন শহরের বর্ণনা, হিন্দু সমাজজীবন ইত্যাদি সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া যায়। তাঁর বিবরণ মুঘল যুগের ভারত ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
❍ নিকোলো মানুচি (Niccolo Manucci) কে?
▹ নিকোলো মানুচি ছিলেন একজন ইতালীয় পর্যটক ভেনিসের অধিবাসী। তিনি ঔরঙ্গজেবের গোটা রাজত্বকালেই ভারতে অবস্থান করেন এবং সম্রাটের মৃত্যুর পর দেশে ফিরে যান। তাঁর Storia do Mogor নামক গ্রন্থটি ঔরঙ্গজেবের সময়কালের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
❍ মুঘল যুগে ভারতে আগত কয়েকটি ইউরোপীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নাম ও তাদের দুটি করে বাণিজ্যিক কেন্দ্রের নাম লেখো।
▹ ভারতে আগত ইউরোপীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হল : (১) ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (১৬০০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত), (২) ১৬০২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, (৩) ১৬১৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত দিনেমার (ডেনমার্ক) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, (৪) ১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।
- ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলি ছিল সুরাট, বোম্বাই, ব্রোচ, মাদ্রাজ, পাটনা, কোলকাতা ইত্যাদি।
- ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রধান’ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল সুরাট, মসুলিপত্তম্প ন্ডিচেরি, চন্দননগর, কারিকল, মাহে।
- ডাচ কোম্পানির প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল সুরাট, ব্রোচ, মসুলিপত্তম্, বালাসোর, চুঁচুড়া, কাশিমবাজার।
- দিনেমার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রধান দুটি কেন্দ্র ছিল বাংলার শ্রীরামপুর ও বঙ্গোপসাগরে নিকোবর দ্বীপ।
❍ কে, কবে কলকাতা শহরের পত্তন করেন?
▹ জোব চার্নক ১৬৯০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা শহরের পত্তন করেন।
❍ মুঘল আমলে ভারতে প্রতিষ্ঠিত ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রধান তিনটি প্রেসিডেন্সি শহর কী কী?
▹ মুঘল আমলে ভারতে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রধান তিনটি প্রেসিডেন্সি শহর হল কোলকাতা (ফোর্ট উইলিয়াম), মাদ্রাজ (ফোর্ট সেন্ট জর্জ) এবং বোম্বাই (বম্বে ক্যাসল)।
❍ কোলকাতায় ইংরেজ কোম্পানির ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ কবে নির্মিত হয়? এই দুর্গের নাম ফোর্ট উইলিয়াম কেন হয়?
▹ ১৬৯৬ খ্রিস্টাব্দে কোলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ নির্মিত হয়। তৎকালীন ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের নামানুসারে এই দুর্গের নাম হয় ফোর্ট উইলিয়াম।
❍ মুঘল রাষ্ট্রের প্রকৃতি কী ছিল?
▹ মুঘল রাষ্ট্র ‘ধর্মাশ্রয়ী’ (theocracy) ছিল না। আবার তাকে পুরোপুরি ‘ধর্ম-নিরপেক্ষত (Secular) বলা যায় না। মুঘল রাষ্ট্রব্যবস্থা ছিল ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ এবং সম্রাট ছিলেন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর ক্ষমতার উৎস ছিল সেনাবাহিনী ও অনুগত অভিজাত গোষ্ঠী। অনেকে তাই মুঘল রাষ্ট্রকে ‘পুলিশি রাষ্ট্র’ বলে অভিহিত করেছেন।
❍ মুঘল রাষ্ট্রব্যবস্থা কি ‘নিয়ন্ত্রিত রাজতন্ত্র’ বা ‘সীমাবদ্ধ রাজতন্ত্র’ (Limited monarchy) ছিল?
▹ মুঘল রাষ্ট্রব্যবস্থা ‘নিয়ন্ত্রিত রাজতন্ত্র’ ছিল না। কেননা, (১) সম্রাট ছিলেন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এবং (২) তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো কোনো ধর্মীয় অথবা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ছিল না। মুঘল সম্রাটরা ঈশ্বরদত্ত রাজাধিকার তত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলেন এবং মুঘল রাষ্ট্রব্যবস্থা ছিল মূলত ‘স্বৈরতান্ত্রিক’।
📢 More Updated Soon
No comments
Hi Welcome ....