class 6 Bengali chapter 27 question answer ❒ গান অধ্যায়ঃ- (২০ থেকে ২৪) ● চল রে চল সবে ● মোরা দুই সহোদর ভাই ● ধরাতাল ● সেথায় যেতে যে চ...
চল রে চল সবে
কবিতার বিষয়বস্তু :
‘চল রে চল সবে ভারত সন্তান'—এই বারো লাইনের কবিতাটি স্বদেশি প্রেম বিষয়ক একটি গান। কবিতার স্বদেশের পুত্রদের তিনি ভারত সন্তান নামে সম্বোধন করে দেশের কল্যাণে মাতৃদৈন্য মোচন করার জন্য তাদের জাগ্রত হতে বলেছেন। একই সুরে, একই মন্ত্রে দেশের পরাধীনতা মোচন করার জন্য তিনি সন্তানদের নিরলস প্রচেষ্টা তথা জপ এবং তপস্যা চালিয়ে যেতে বলেছেন, তবেই তাদের মোক্ষ আসবে। বীর দর্পে তাদের পৌরষত্ব লাভ হবে। তারা দেশ-দেশান্তরে ভারতের ধর্ম, জ্ঞান নতুন করে প্রচার করতে পারবে। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর যেটা গীতিকার জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বলছেন, লোকের বাহবা কিংবা লোকের গঞ্জনার দিকে দৃষ্টিপাত না শুভ, যেটা সত্য, জীবনে সেই কাজে উৎসর্গ করতে হবে। হিন্দু-মুসলমান দলাদলি ভুলে একতার সঙ্গে একই পথে একই সঙ্গে তাদের এগিয়ে যেতে হবে।
চল রে চল সবে ভারত সন্তান কবিতার প্রশ্নোত্তর প্র্যাকটিস
এক কথায় উত্তর দাওঃ
(ক) কবি কার চরণে ভারতবাসীদের প্রাণ সপে দিতে বলেছেন?
(খ) দলাদলি ভুলে একসাথে কাদেরকে নিয়ে এগিয়ে যেতে বলেছেন?
উত্তর : হিন্দু ও মুসলমানদের নিয়ে।
(গ) কবি কোন কোন বিষয়কে এক হওয়ার কথা বলেছেন?
উত্তর : শিক্ষা দীক্ষা লক্ষ্য মোক্ষ।
(ঘ) কীসের প্রতি জীবনকে দান করতে বলা হয়েছে?
উত্তর : যা মঙ্গল নিশ্চিতজনক এবং যা ন্যায়।
(ঙ) ‘চল রে চল সবে ভারত সন্তান’ কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর : জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের।
(চ) জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কে ছিলেন?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেজদা।
মোরা দুই সহোদর ভাই
‘সহোদর’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ করলে পাওয়া যায় — সহ + উদর। সহ উদর কথার অর্থ সমান উদর। ‘উদর’ শব্দের অর্থ পেট বা গর্ভ। সুতরাং সহোদর কথার সহজ মানে দাঁড়ায়, একই গর্ভে জন্ম যাদের, অর্থাৎ ভাই। ‘মোরা দুই সহোদর ভাই’ কবিতাটিতে কাজী নজরুল ইসলাম ভারতবর্ষে বসবাসকারী হিন্দু আর মুসলমান এই দুই প্রধান ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষদের বুঝিয়েছেন। পরাধীন ভারতবর্ষের হিন্দু আর মুসলমান এই দুই ধর্মাবলম্বী মানুষদের উসকানি দিয়ে সুচতুর ইংরেজরা একসময় পরস্পরের মধ্যে দাঙ্গা লাগিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের সেই চালাকি অগ্রাহ্য করে ভারতবাসী হিন্দু-মুসলমান যেভাবে ভ্রাতৃত্বের অটুট বন্ধনে একতাবদ্ধ থেকেছিল তাই বোঝাতে কবি এই কবিতাটি লিখেছিলেন। তিনি এই দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষদের বুঝিয়ে বলেছেন, এ দেশে মড়ক অর্থাৎ, খরা বা বৃষ্টি না হওয়ার ফলে যখন ফসল ফলে না তখন উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই ক্ষুধায় কাতর হয়। বন্যা হলে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘরবাড়ি ভেসে যায়। হিন্দুদের চাষের জমিতে যেমন রোদ, বৃষ্টি ঝরে পড়ে তেমন মুসলমানদের ফসলের খেতেও সমানভাবে পড়ে। আমাদের ধর্ম নামক পোশাকের রং আলাদা হলেও মূল জিনিসটি হল পোশাকই। তাই আমরা হিন্দু আর মুসলমান একই উদরে জন্মলাভ করা দুটি ভাই।
🖉 হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর :
১.১ কবি কাজী নজরুল ইসলামের কোন কবিতা প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল?
উত্তর : কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।
১.২ তাঁর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ ‘মোরা দুই সহোদর ভাই’ কবিতায় ‘সহোদর’ কারা?
উত্তর : হিন্দু আর মুসলমান হল দুই সহোদর ভাই।
২.২ ‘আমাদের হীন-দশা এই তাই’—আমাদের এই ‘হীন-দশা’র কারণ কী?
উত্তর : আমরা পরস্পরে বিবাদ করি বলেই আমাদের হীন-দশা।
২.৩ ‘বাইরে শুধু রঙের তফাত ভিতরে ভেদ নাই’—‘রঙের তফাত’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
৩. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
৩.১ ‘এক বৃন্তে দুটি কুসুম এক ভারতে ঠাঁই।'—পঙ্ক্তিটিতে প্রদত্ত উপমাটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখিত ‘মোরা দুই সহোদর ভাই’ নামক কবিতা থেকে। আলোচ্য পঙ্ক্তিটিতে কবি বলতে চেয়েছেন যে, আমাদের দেশ ভারতবর্ষে কোটি কোটি মানুষদের মধ্যে দুটি প্রধান ধর্ম সম্প্রদায় হল হিন্দু এবং মুসলমান। কবি তাই উপমা দিয়ে বলেছেন যে, গাছে গাছে যেমন দেখা যায় একই বৃন্তে দুটি কুসুম অর্থাৎ দুটি ফুল, তেমনি ভারতবর্ষের বুকে বসবাসকারী এই দুই প্রধান ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষও ভারতবর্ষ নামক একটি গাছের বৃত্তে পাশাপাশি ফুটে থাকা দুটি কুসুম। একটি গাছে যেমন দুটি ফুল শোভা বর্ধন করে তেমনি যুগ যুগ ধরে ভারতবর্ষে এই দুটি ধর্ম সম্প্রদায় পাশাপাশি অবস্থান করে ভারতবর্ষ নামক পুষ্পবৃক্ষের শোভা বর্ধন করছে।
৩.২ ‘সব জাতিরই সকলকে তাঁর দান যে সমান করে’—কার কোন দানের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর : ওপরের উদ্ধৃতিটিতে কবি বিশ্বস্রষ্টার অবদানের কথা বলেছেন। কবি বলেছেন, আকাশ থেকে যখন বৃষ্টি ঝরে পড়ে তখন কে হিন্দু কিংবা কে মুসলমান এই বিচার করে তার ওপর বিধাতা কমবেশি বৃষ্টির জল দান করে না। হিন্দুর কৃষিজমিতে যেমন বৃষ্টি পড়ে তেমন মুসলমানদের কৃষিজমিতেও একই বৃষ্টি পড়ে। যখন অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে দেশে বন্যা দেখা দেয়, তখন দরিদ্র হিন্দু ভারতবাসীর সাধের কুঁড়েঘরও ভেসে যায় আবার গরিব মুসলমানের ও কুঁড়েঘর বন্যার জলে ডুবে যায়। দুটি ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষই বিধাতার দেওয়া বৃষ্টির সমান জল পেয়ে সমান ফসল ফলায় এবং সেই ফসলে জীবনধারণ করে। তাই কবি বলেছেন, বিধাতার দান হিন্দু আর মুসলমান উভয়ের জন্যই সমান। বিধাতা হিন্দু নামক ধর্মীয় মানুষটিকে যতটুকু দান করেন আবার মুসলমান নামক ধর্মীয় মানুষটিকেও ততটুকুই দান করেন। অর্থাৎ, ভারতবর্ষ হল মায়ের মতো। তিনি যেমন তাঁর দুটি সন্তানকে সমানভাবে স্তন্য দান করেন স্বয়ং বিশ্বস্রষ্টাও তাঁর উদারহস্তে হিন্দু আর মুসলমান এই দুই সম্প্রদায়কে সমানভাবে সম্পদ বণ্টন করেন।
৩.৩ ‘চাঁদ সুরুযের আলো কেহ কম-বেশি কি পাই’—চাঁদ সুরুষের আলো কী? কবির এই প্রশ্নটির অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : চাঁদের আলোর নাম জ্যোৎস্না। সুরুষ অর্থাৎ সূর্যের আলোর নাম রৌদ্র। আলোচ্য উদ্ধৃটিতে কবি এদেশে বসবাসকারী হিন্দু আর মুসলমান এই দুটি ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষদেরকে উদ্দেশ্য করে চাঁদের আলো আর সূর্যের আলোর সমান অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। কবির এই বক্তব্যের অন্তর্নিহিত অর্থ হল, কবি যখন বেঁচেছিলেন তখন তিনি দেখেছেন কিছু কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মীয় গোঁড়ামিতে ভরা বুদ্ধিহীন মানুষের উসকানিতে হিন্দু এবং মুসলমান এই দুই প্রধান ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে মিথ্যা কলহ বেধে যায়। এই কলহ একসময় বাড়তে বাড়তে ভয়ংকর মারামারির পর্যায়ে চলে যায়। অবশেষে উভয় পক্ষের কিছু মানুষের প্রাণনাশও ঘটে। তাই কবি অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে এই দুই দ্বন্দ্বরত অবোধ মানুষদের বোঝাতে চেয়ে বলেছেন, আমরা হিন্দু কিংবা মুসলমান দুজনের কেউই ছোটো কিংবা বড়ো নয়। উভয়েই আমরা সমান। উভয়েই আমরা মানুষ। আমাদের উভয়ের শরীরেই যে রক্তের ধারা বয়ে চলেছে তার রং লাল। শুধুমাত্র বাইরেই আমাদের হিন্দু নামক এবং মুসলমান নামক ভিন্ন ভিন্ন পোশাকের আবরণ দেখা যায়। কিন্তু ভিতরে উভয়ে আমরা একই। আমাদরে উভয়ের জীবন রক্ষা করে সূর্য যেমন উদারহস্তে সমান রৌদ্র বিকিরণ করে, চন্দ্রও তেমন সমান জ্যোৎস্না ছড়িয়ে দেয়।
৪. নীচের বাক্যগুলি থেকে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়া চিহ্নিত করে লেখো :
৪.১ মোরা বিবাদ করে খোদার উপর করি যে খোদকারি।
উত্তর : বিবাদ করে (অসমাপিকা ক্রিয়া), খোদকারি করি (সমাপিকা ক্রিয়া)।
৪.২ দুই জাতি ভাই সমান মরে মড়ক এলে দেশে।
উত্তর : সমান মরে (সমাপিকা ক্রিয়া), মড়ক এলে (অসমাপিকা ক্রিয়া)।
৪.৩ সব জাতিরই সকলকে তাঁর দান যে সমান করে।
উত্তর : তাঁর দান (‘করেন' শব্দ উহ্য আছে—সমাপিকা ক্রিয়া), সমান করে (অসমাপিকা ক্রিয়া)।
৫. সন্ধি বিচ্ছেদ করো :
উত্তর : সহোদর = সহ + উদর। সৃষ্টি = সৃষ্ + তি। বৃষ্টি = বৃষ্ + তি। শাস্তি = শাস্ + তি।
৬. ‘বি’ উপসর্গ যোগে পাঁচটি শব্দ তৈরি করো :
উত্তর : বি + ভে = বিভেদ। বি + ভুঁই = বিভুঁই। বি + বর্ণ = বিবর্ণ। বি + রোধ = বিরোধ। বি + কল =বিকল। বি + নীত = বিনীত।
৭. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে রূপান্তরিত করে লেখো।
উত্তর : কুসুম—কুসুমিত। ভারত— ভারতীয়। সৃষ্টি—সৃষ্টিশীল। বিবাদ—বিবাদপূর্ণ। জাতি—জাতিত্ব। রং—রঙিন।
৮. নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ ভাগ করে দেখাও :
৮.১ হিন্দু আর মুসলিম মোরা দুই সহোদর ভাই।
উত্তর : হিন্দু আর মুসলিম মোরা (উদ্দেশ্য), দুই সহোদর ভাই (বিধেয়)।
৮.২ দুইজনারই মাঠেরে ভাই সমান বৃষ্টি ঝরে।
উত্তর : দুইজনারই মাঠেরে ভাই (উদ্দেশ্য), সমান বৃষ্টি ঝরে (বিধেয়)।
৮.৩ বন্যাতে দুই ভাইয়ের কুটির সমানে যায় ভেসে।
উত্তর : দুই ভাইয়ের কুটির (উদ্দেশ্য), বন্যাতে সমানে যায় ভেসে (বিধেয়)।
৮.৪ চাঁদ সুরুষের আলো কেহ কমবেশি কি পাই।
উত্তর : কেহ (উদ্দেশ্য) (আমরা উহ্য), চাঁদ সুরুযের আলো কমবেশি কি পাই (বিধেয়)।
ধরাতাল
বিশেষ্য | বিশেষণ |
---|---|
শ্যামলিমা | শ্যামল |
দুঃখিত | দুঃখ |
সুখী | সুখ |
কারুণ্য | করুণ |
ছায়া | ছায়াময় |
গ্রাম | গ্রাম্য |
ঔৎসুক্য | উৎসুক |
আলোকিত | আলো |
সেথায় যেতে যে চায়
বিষয়বস্তু আলোচনা : ১৯০৬ খ্রি. বাংলাদেশের অন্তর্গত রাজশাহি জেলায় বন্দে আলী মিয়া জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে কবি,সাহিত্যিক ছিলেন। এঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় দুইশত। সহজ, সরল ভাষায় তিনি লিখতেন। শিশুদের জন্য রচনার খুব সমাদর ছিল। বহু বছর তিনি বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কবি বন্দে আলী মিয়া গ্রামীণ পরিবেশে সুন্দর দৃশ্য আলোচ্য কবিতায় তুলে ধরেছেন। ডিঙিতে করে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় মাছেরা সব লাফায়। এসব দেখে মাছরাঙা বক মাছ ধরার জন্য কূলে বসে পাহারা দেয়, গাংচিলের আকাশে ওড়ে মাছ-চুরি করার জন্য। মধুমতী নদীর চরে নিশীথ রাতে চাঁদের জ্যোৎস্না ঝরে পড়ে, আবার বিকেল বেলার নরম রোদে আকাশে রঙের খেলা দেখা যায়। সন্ধ্যা হয়ে আসে, কবি ভাবছেন, এইভাবেই তিনি গ্রামের সুন্দর পরিবেশে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রকৃতির পরিবেশ দেখতে দেখতে সময় কাটিয়ে দেবেন।
স্নেহের ছাত্র-ছাত্রীরা তোমাদের এখান থেকে বড়ো প্রশ্ন পরীক্ষার মধ্যে আসে না।
হাবুর বিপদ
স্কুলের পরিবেশে ‘হাবুর বিপদ’ গল্পটি যেমন একদিকে শিক্ষণীয় তেমন হাস্যরসের বিষয় হয়েছে। আগের দিন হাবু ভজার পাল্লায় পড়ে গোপালপুর মেলায় গিয়েছিল। ফিরতে রাত হয়েছে। বাড়ি এসে, খেয়ে-দেয়ে আর পড়াশুনা হয়নি কারণ তার বাবা রাতে খাওয়ার পর পড়তে বারণ করেছেন। তাই আজ ইস্কুলে এসেই ‘তৃতীয়’ পিরিয়ডে শিক্ষক মহাশয় সুধীরবাবুর কাছে বাংলাদেশের বর্ষাকাল রচনাটি সম্পূর্ণ বানিয়ে ভালো ভাষায় বলে গেল। অন্য বন্ধুরা মুখস্থ করে, কেউবা কবি নকল করে লিখে এনেছে কিন্তু কারও লেখাই হাবুর মতো হয়নি। হাবু পড়া বলেছে কিন্তু শিক্ষক বুঝেছেন সে কী করে অন্য খাতার পাতা উলটে অবিকল সুন্দর ভাবে পড়া বলে গেল। বাংলা ভাষায় তার দখল দেখে সুধীরবাবু আশ্চর্য হলেন এবং তার লেখার তারিফ করলেন।
🖉 হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর :
১.১ অজেয় রায়ের লেখা একটি জনপ্রিয় বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : অজেয় রায়ের লেখা একটি জনপ্রিয় বই ‘আমাজনের গহনে'।
১.২ তিনি কোন কোন পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন?
উত্তর : তিনি সন্দেশ, কিশোর ভারতী, শুকতারা পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর লেখো :
২.১ প্রফুল্লর রচনা সুধীরবাবুর কেন পছন্দ হয়নি?
উত্তর : প্রফুল্লর রচনা দে সরকারের বই থেকে হুবহু টোকা বলে সুধীরবাবুর মোটেই পছন্দ হয়নি।
২.২ নিতাই শাস্তি পেল কেন?
উত্তর : নিতাই মায়ের নামে মিথ্যা কথা বলার কারণে এবং পরপর দুদিন রচনা না নিয়ে আসার জন্য ক্লাসে এককোণে দাঁড়িয়ে শাস্তি পেয়েছিল।
২.৩ সুধীরবাবু কোন অন্যায়কে ক্ষমা করেন না?
উত্তর : ক্লাসের কাজে অবহেলা করাকে সুধীরবাবু ক্ষমা করেন না।
২.৪ সুধীরবাবুর কপালের ভাঁজ কীসের চিহ্ন?
উত্তর : লেখা শুনে বিশেষ সন্তুষ্ট না হওয়ার চিহ্ন সুধীরবাবুর কপালের ভাঁজ।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ তিনকড়ি হাঁ করে হাবুর খাতার দিকে তাকিয়েছিল কেন?
উত্তর : তিনকড়ি হাঁ করে হাবুর খাতার দিকে তাকিয়েছিল কারণ হাবুর খাতায় কিছু লেখা ছিল না। হাবুলচন্দ্র মন থেকে রচনা বলে যাচ্ছিল, শুধু খাতাটা হাতে খোলা ছিল।
৩.২ ‘ছেলেটা চর্চা রাখলে বড়ো হয়ে নির্ঘাত সাহিত্যিক হবে।— ছেলেটি সম্পর্কে একথা বলার কারণ কী?
৩.৩ ‘মাঝে মাঝে পাতা উলটিয়ে বলে চলে।'—পাতা ওলটানোর কারণ লেখো।
উত্তর : খাতায় কিছুই লেখা ছিল না। শুধুমাত্র শিক্ষক মহাশয়ের বিশ্বাস আনার জন্য হাবুল মন থেকে বলে গেলেও
মাঝে মাঝে পাতা ওলটাচ্ছিল।
৩.৪ ‘বেমালুম ঠকাল আমাকে'—হাবুল কি সত্যিই মাস্টারমশাইকে ঠকিয়েছিল?
উত্তর : হাবুল বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তির জোরেই মাস্টারমশাইকে ঠকিয়েছিল।
৩.৫ হাবুলের রচনা শুনে সুধীরবাবুর হাবুলকে কী বলার ইচ্ছে হয়েছিল? শেষ পর্যন্ত সেই ইচ্ছে তিনি পূরণ করলেন না কেন?
উত্তর : সুধীরবাবু হাবুলের রচনা শুনে বলার ইচ্ছে হয়েছিল ‘সাবাস’। কারণ হাবুল দেখে বলেনি। আপন মনে নিজের ভাষায় সুন্দর বলে গেছে। শেষ পর্যন্ত সেই ইচ্ছে তিনি পূরণ করলেন না, কারণ অন্য ছেলেরা না দেখে এরপর বানিয়ে বানিয়ে আবোলতাবোল বলতে শুরু করবে। তাতে ক্লাসের ডিসিপ্লিন বা শৃঙ্খলা রক্ষা করা কঠিন হবে।
প্রশান্ত, অবহেলা, দুর্ভোগ, অনাবৃষ্টি, বেমালুম।
উত্তর : প্রশান্ত = প্র—শান্ত। প্র উপসর্গ যোগে প্রণত।
অবহেলা = অব—হেলা। অব উপসর্গ যোগ অবতরণ।
অনাবৃষ্টি = অনা—বৃষ্টি। অনা উপসর্গ যোগে অনাসৃষ্টি।
৫. ‘পাল্লা’ শব্দটিকে দুটি ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করে দুটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : পাল্লা= প্রতিযোগিতা, রেষারেষি→ দুজনেই পাল্লা দিয়ে তর্ক করছে।
পাল্লা= নৌকোর যাত্রাপথ→ নৌকায় সকলেই দূর পাল্লার যাত্রী চলেছে।
৬.১ আমি রচনা লিখতে বলেছি।
৬.৩ ছেলেরা যে যার রচনা খাতা বের করে ওপরে রাখে।
কর্তা | কর্ম | ক্রিয়া |
---|---|---|
৬.১ আমি | রচনা | লিখতে বলেছি। |
৬.২ হরিপদ | হাবুকে | তাড়া লাগায় |
৬.৩ ছেলেরা | রচনা খাতা | বের করে ওপরে রাখে |
৬.৪ তিনি | ঘড়ি | দেখলেন |
৭.১ ভজাটা কিছুতেই ছাড়ল না।
৭.৩ হাবু শুয়ে কান পেতে শোনে।
উদ্দেশ্য | বিধেয় |
---|---|
৭.১ ভজাটা | কিছুতেই ছাড়ল না। |
৭.২ সুধীরবাবু | মন দিয়ে শোনেন। |
৭.৩ হাবু | শুয়ে কান পেতে শোনে। |
৭.৪ তিনি (উহ্য) | দুর্গাপূজার পৌরাণিক অ্যাখানটা ক্লাসে বলে দেবেন। |
৮. ঠিক উত্তরে √’ চিহ্ন দাও :
৮.১ হরিপদর ডাকে সুধীরবাবু অবাক হন। (যৌগিক বাক্য/সরল বাক্য)
৮.২ গতকাল তোমার মাকে দেখেছি গোঁসাইবাড়িতে কীর্তন শুনছেন। (জটিল বাক্য/যৌগিক বাক্য)
৮.৩ ফের যদি রচনা আনতে ভুল হয়, তাহলে তোমার কপালে দুঃখ আছে। (সরল বাক্য/জটিল বাক্য)
৯. নীচের বাক্যগুলি থেকে অনুসর্গ খুঁজে বের করো এবং নিম্নরূপ পদের বিভক্তি উল্লেখ করো :
৯.১ বাবার কাছে থেকে চিঠি আনতে হবে।
৯.২ উঠানে কিছু ছেলে খেলছে।
৯.৩ কয়েকজনকে বেছে বেছে পড়তে বললেন।
৯.৪ দে সরকারের রচনার বই থেকে হুবহু টুকে এনেছ।
১০.১ স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে হাবুর কী মনে হচ্ছিল?
উত্তর: স্কুলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে হাবু ভাবল, সে ফিরে যাবে। গরমকালে সকালে স্কুলে পড়া হয়নি বলে সে স্কুলে ঢুকবে না।
১০.২ তাঁর চোখে স্কুলের ভেতরের কোন ছবি ধরা পড়ে?
উত্তর : হাবু একতলা স্কুল বাড়িটার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ঘরে ঘরে ছেলেদের কলরব শুনছে, সকাল সাতটায় স্কুল বসবে। গরমকলে উঠানে কিছু ছেলে খেলছে। হাবুর চোখে ভেসে ওঠে সুধীরবাবুর ভারিক্কি চেহারা, গম্ভীর মুখ। চশমায় কাচের আড়ালে বড়ো বড়ো চোখের তীক্ষ্ণ চাহনি।
১০.৩ হাবু শেষের দিকের বেঞ্চে বসতে চায় না কেন? সে শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে বসে?
উত্তর : শেষ পর্যন্ত হাবুল স্কুলে যায়। হাবু জানে স্যার তাকে পছন্দ করেন কিন্তু পড়া হয়নি বলে লাস্ট বেঞে
বসতে চায় না। হাবুল জানে সুধীরবাবুর লাস্ট বেঞ্চের ওপর চিরকাল করা নজর। হাবু শেষ পর্যন্ত থার্ড বেঞ্জের এক কোণে তিনকড়ির পাশে বসে পড়ে। সে ভাবে, ভাগ্যে থাকলে পাঁচজনের ভিড়ে হয়তো এ যাত্রায় থার্ড বেঞ্চের কোণে বসে পার পেয়ে যেতে পারে।
১০.৪ ‘এইটাই সুধীরবাবুর মেথড'— সুধীরবাবুর মেথডটি কী? তাঁর এমন মেথড অবলম্বন করার যুক্তিটি কী?
উত্তর : সুধীরবাবুর মেথড বা পদ্ধতিটা হল ছেলেদের লেখা রচনা ছেলেদের দিয়ে পড়ানো। তাঁর এমন মেথড অবলম্বন করার যুক্তি হল, —যারা বলে অর্থাৎ, নিজের লেখা নিজে দেখেই পড়ে, সেইসব লেখা শুনলে অন্যজনের লেখার মান সম্বন্ধে একটা ধারণা হবে। কারণ ক্লাসের মধ্যে সব ছেলের লেখা শোনার মতো সময় থাকে না। অবশ্য সুধীরবাবু সবার খাতা বাড়ি নিয়ে গিয়ে লেখাগুলি শুধরে দেন। এমন মেথড অবলম্বন করার এটি যুক্তি বলা যায়।
১০.৫ রচনা পড়ার সময় প্রফুল্লকে সুধীরবাবু থামিয়ে দিলেন কেন? তাঁকে তিনি কোন পরামর্শ দিলেন?
উত্তর : রচনা পড়ার সময় প্রফুল্লকে সুধীরবাবু থামিয়ে দেন কারণ পাতা দুই শোনার পর সুধীরবাবু প্রফুল্লকে ধমক দিয়ে বলেন, তিনি রচনা লিখতে বলেছেন। বই থেকে কপি করতে বলেননি। প্রফুল্ল আমতা আমতা করতেই সুধীরবাবু বলেন দে সরকারের বই থেকে হুবহু লিখে এনেছ। এটা ভালো কাজ নয়। কাল নতুন করে লিখে এনে দেবে। দু একখানা বই উলটে লিখলে সেই লেখার মান ভালো হয়—এই পরামর্শ সুধীরবাবু দিলেন।
১০.৬ ‘সুধীরবাবুর একটি মুদ্রাদোষ’—কী সেই ‘মুদ্রাদোষ’? কখনই বা এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল?
উত্তর : সুধীরবাবুর মুদ্রাদোষ’ হল ‘মনে থাকবে’ বারবার বলা। যখনই কাউকে কোনো বিষয় উপদেশ দেন, ছাত্ররা যদিও মন দিয়ে শোনে তবুও প্রতি কথার শেষে এই ‘মনে থাকবে' কথাটা মুদ্রাদোষ ব্যবহার করেন।
১০.৭ ‘তবেই রচনায় প্রকৃত সাহিত্যিক মূল্য আসবে।'—সুধীরবাবুর মতে কীভাবে একটি রচনা সাহিত্যিক মূল্যে অনন্য হয়ে ওঠে?
উত্তর : ‘তবেই রচনায় প্রকৃত সাহিত্যিক মূল্য আসবে।'—কথাটি সুধীরবাবু ক্লাসের ফার্স্টবয় প্রশান্তকে বলেছিলেন। তাঁর পরামর্শ হল লেখা মৌলিক হওয়া উচিত, নিজস্ব ভাব ও ভাষা থাকা উচিত, নিজের অভিজ্ঞতা থাকবে। শুধুমাত্র একটি বইয়ের ওপর নির্ভর করে লিখলে সেই লেখার প্রকৃত সাহিত্যিক মূল্য থাকে না।
১০.৮ ‘শুনছিস? স্রেফ আবোল তাবোল।'— হাবু ওরফে হাবুলচন্দ্রের রচনা পড়াকে প্রশান্তর ‘আবোল তাবোল' মনে হয়েছে কেন? তুমি কী এর সঙ্গে একমত?
উত্তর : হাবু ওরফে হাবুলচন্দ্রের রচনা পড়াকে প্রশান্তর ‘আবোল তাবোল’ মনে হয়েছে। কারণ প্রথমত হাবুল নিজের
লেখা দেখে পড়ছে না, মন থেকে বানিয়ে বলছে। ফলে পয়েন্ট দিয়ে বলা হচ্ছে না। একটা বিবরণ সে বলে চলেছে।
অবশ্য ‘বাংলাদেশে বর্ষাকাল’ রচনা স্বাভাবিক ভাবেই একটু দীর্ঘধর্মী। হাবুল যেহেতু মনে থেকে বলছে সুতরাং তার ভাষা এবং ভঙ্গিমা যদিও খুব সুন্দর কিন্তু বলতে বলতে কতটা দীর্ঘ হচ্ছে, ঠিকমতো পয়েন্ট অনুযায়ী বলছে কিনা, সেটি শোনার মধ্যে পড়ছে না। ফলে প্রশান্তর কথায় আমি এক মত হতে পারছি না।
১০.৯ ‘তাঁর কাছে রহস্য পরিষ্কার হয়ে গেল'—কোন রহস্যের কথা বলা হয়েছে? কীভাবে তার জট ছাড়ল?
উত্তর : হাবুলের রচনা পড়ার রহস্যটা সুধীরবাবু ধরতে পেরেছেন। হরিপদ প্রত্যেকের খাতা সংগ্রহ করতে গিয়ে যখন হাবুলের খাতা পায় না তখন তিনকড়ি হাবুলের ডেক্সের ওপর রবীন্দ্রনাথের ছবি দেওয়া খাতা নিয়ে সুধীরবাবুকে দেয়, সেটাই দেখে হাবুল পড়েছিল। অথচ রহস্যাটা হল সেটা বীজগণিত লেখা খাতা। তার মধ্যে রচনা নেই। সুধীরবাবু এতক্ষণে বুঝলেন, হাবুল মন থেকেই রচনাটা বলেছে। তার জন্য সে খাতা জমা দিতে চায়নি। পরের দিন ভালো করে লিখে আনবে বলেছে।
১০.১০ ‘না, এতটা বাড়াবাড়ি করা ঠিক হবে না।'—কার মনে এমন চিন্তার উদয় হল? সত্যিই কী তোমার সেই চিন্তাকে বাড়াবাড়ি মনে হয়?
উত্তর : সুধীরবাবুর মনে এই চিন্তার উদয় হল যে, হাবুলকে এতটা বাহবা দেওয়া ঠিক হবে না। হাবুল একটা বড়ো রচনা ‘বাংলাদেশে বর্ষাকাল’ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন থেকে বলে গেল কিন্তু । একটা নিয়মানুবর্তিতা আছে। সেটা রক্ষা করতে হয়। সুতরাং শুধুমাত্র বাহবা দেওয়া বা লেখা ভালো হয়েছে বলা ছাড়া অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়।
১০.১১ ‘তা সোজাসুজি স্বীকার করলেই পারতে’—সুধীরবাবু হাবুকে যে একথা বললেন, সেই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সুযোগ না থাকার জন্য তিনি নিজেই কতখানি দায়ী বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর : সুধীরবাবু হাবুকে বললেন যে, সোজাসুজি স্বীকার করলেই পারতে। সেটা হাবুর স্বীকার না করার জন্য সুধীরবাবুই তাকে স্বীকার করার অবসর দেননি কারণ হাবুর প্রতি তাঁর বিরাট আস্থা এবং সে ভালো ছেলে এটা সুধীরবাবুর মনে মনে জানা। তাই তিনি হাবুকে স্বীকার করতে দেননি।
১০.১২ গল্পে কঠোর মাস্টারমশাই সুধীরবাবুর মধ্যেও এক স্নেহপ্রবণ, নীতিনিষ্ঠ, আদর্শবাদী, প্রশ্রয়দাতা মানুষ লুকিয়ে
ছিল, আলোচনা করো।
উত্তর : ‘হাবুর বিপদ’ গল্পে লেখক অজেয় রায় কঠোর মাস্টার মহাশয় সুধীরবাবুর মধ্যেও এক স্নেহপ্রবণ, নীতিনিষ্ঠ,
আদর্শবাদী, প্রশ্রয়দাতা মানুষ লুকিয়েছিল, এটা সহজেই বোঝা যায়। হাবুল, প্রশান্ত সকলের প্রতিই সুধীরবাবুর স্নেহ রয়েছে। তিনি খাটেন। সুতরাং পড়াশুনায় ফাঁকি দেওয়াটা তিনি নীতিবিরুদ্ধ মনে সুধীরবাবু আদর্শবাদী কারণ নিজের শিক্ষকতা পেশাকে তিনি যথেষ্ট সমাদর করেন। ক্লাসের মধ্যে সম্পূর্ণ সময় ধরেই তিনি ছাত্রদের পড়া ধরা, নতুন পড়া বুঝিয়ে দেওয়া ইত্যাদি কাজগুলি নিজের আদর্শ বলে মনে করে থাকেন। সুধীরবাবুর মধ্যে এক প্রশ্রয়দাতা মানুষ লুকিয়েছিল কারণ স্কুলের নিয়মকানুন রক্ষা করতে তিনি বদ্ধ পরিকর হয়েও হাবুকে মনে মনে সাবাস জানাতে এবং শেষে হাবুলের লেখা খাসা হয়েছে বলার মধ্যে প্রশ্রয়ের ভাব লুকিয়েছিল।
১১. হাবু শ্রেণিকক্ষে যেভাবে নিজের মনে বানিয়ে চটজলদি রচনা বলে গেছে, এমন অসাধারণ গুণ। তোমরা খেলার সময় বন্ধুরা টুকরো টুকরো বিষয় নিয়ে এ ব্যাপারে চর্চা করতে পারো।
উত্তর : তোমরা নিজেরা এরকম রচনা লিখে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে দেখাতে পারো। নিজের মনে বানিয়ে চটজলদি রচনা বলার ক্ষমতা একটা অসাধারণ গুণ—এই গুণ অভ্যাস করার ব্যাপারে আমরা খেলার সময় টুকরো টুকরো বিষয় নিয়ে চর্চা করতে পারি।
না পাহারার পরীক্ষা
পাঠ্য বইতে শঙ্খ ঘোষের ‘না পাহারার পরীক্ষা’ লেখাটি মিলিয়ে পড়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছে। পরীক্ষা দিতে আমাদের কারও ভালো লাগে না, ভয় করে। কিন্তু পরে এই পরীক্ষাটাই মজার হয়ে দাঁড়ায়। হেডমাস্টার মহাশয় একবার স্কুলে এসে বললেন হলঘরে পরীক্ষার সময় মাস্টার মহাশয়রা যে গার্ড সেজে ঘুরে বেড়ান সেটা পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে খুবই শেখার বিষয়। তিনি চেয়ারে বসে আছেন, আর মাঝে মধ্যে বলছেন ফিসফিস করো না। কখনও বা মাস্টার মহাশয়রা পাহারাদার হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অথবা ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছেন। কিন্তু হেডমাস্টার মহাশয় বললেন তোমাদের কী একটুও বিশ্বাস করা যাবে না?
আমরা তাঁর কথাটা এভাবে ভাবিনি। আমাদের মধ্যে যারা পরীক্ষার খাতায় টুকরো টুকরো কাগজ বের করে দেখে দেখে টোকে তাদের বিশ্বাস করা যাবে না কিন্তু এবার থেকে নিজেরাই নিজেদের পড়ে নিয়ে আসা লেখা লিখবে, নকল করবে না। ঘরে কোনো পাহারাদার শিক্ষক থাকবে না। একটা নতুন রকমের কাণ্ড ঘটতে চলেছে। একদিন পরীক্ষা এসে গেল। ছাত্রদের বিশ্বাস করা হচ্ছে, দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেই দায়িত্বের মর্যাদা দিতে হবে। ক্লাসঘরে গিয়ে ছাত্ররা বসেছে, তাদের প্রশ্ন দিয়ে মাস্টার মহাশয় চলে গেছেন। সকলেই লেখা শুরু করেছে। হৃদয় নামে একটি ছাত্র পড়াশুনা করে না, একেবারে পিছনের বেঞ্চে বসে। সে নিশ্চয় নকল করতে বসেছে।
কিছুটা সময় পার হতে সেই হৃদয় তর্জন করে বলছে, নিজের মতো করে লেখ। ঘাড় ঘোরাচ্ছিস কেন? হৃদয় আসলে ফাঁকা খাতা জমা দিয়েছে কিন্তু কারও লেখা দেখে টোকেনি বা নিজের লেখা এনে নকল করেনি। পরীক্ষায় সে ফেল করেছে। কিন্তু অল্প কিছুদিন পড়াশুনা করে স্কুলের শেষ পরীক্ষা দিতে নাটোরে গেল। তখন সেখানে শিক্ষক-প্রহরীরা বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, এই স্কুলের ছাত্ররা মুখ তোলে না, ফিসফিস করে না, নকল করে না। তখন এই ছোট্ট স্কুলের ছাত্ররাই মর্যাদা ভরা খুশিতে ভরে উঠেছিল।
কবি ‘অন্নদাশংকর রায় ছোটোদের উপযোগী যেসব বিজ্ঞানভিত্তিক জীবনীমূলক কবিতা লিখেছেন তাদের মধ্যে কিশোর বিজ্ঞানী অন্যতম। কিশোর বিজ্ঞানী বলতে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনকে কবি অন্নদাশংকর রায় বুঝিয়েছেন। কিশোর বেলায় নিউটনের খেলায় আগ্রহ ছিল না। ছুটি পেলেই তিনি সমুদ্রতটে গিয়ে প্রায় রাত পর্যন্ত হেঁটে বেড়াতেন আর নানা রঙের নকশা আঁকা ঝিনুক কুড়িয়ে কুড়িয়ে সংগ্রহ করতেন। তাঁর কাছে তখন সেগুলি রত্ন মনে হত।
যখন বিজ্ঞানী বড়ো হলেন তখনও একই রকমভাবে ঝিনুক কুড়িয়েছেন। জ্ঞানের সাগর বেলায় সেই ঝিনুক বিদ্যারত্ন, হেলায় কেউ সেই বিদ্যারত্নকে মাড়িয়ে যেতে পারে না। বিজ্ঞানী যখন বৃদ্ধ হয়েছেন তখন লোকে তাঁর জীবনের বাণী শুনতে চেয়েছে। নিউটন বলেছেন, আমি জ্ঞান সাগরের তীরে সারা জীবন ঘুরে বেড়ালাম। এই মহাবিশ্বের রত্ন ভরা জ্ঞানের মাত্র কয়েক মুঠিরত্ন অর্থাৎ, ঝিনুক কুড়িয়ে গেলাম।
🖉 হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর :
১.১ অন্নদাশংকর রায় প্রথম জীবনে কোন ভাষায় সাহিত্য করতেন?
উত্তর : আন্নদাশংকর রায় প্রথম জীবনে ওড়িয়া ভাষায় সাহিত্য রচনা করতেন।
১.২ তাঁর লেখা দুটি ছোটোদের ছড়ার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : তাঁর লেখা দুটি ছোটোদের ছড়ার বইয়ের নাম উড়কি ধানের মুড়কি, রাঙা ধানের খই।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ কিশোরের মন লাগে না কীসে?
উত্তর : কিশোরের খেলায় মন লাগে না।
২.২ কখন কিশোর মন সমুদ্দুরের বেলায় যেতে চায়?
উত্তর : ছুটি পেলেই কিশোর মন সমুদ্দুরের বেলায় যেতে চায়।
২.৩ অনুসন্ধিৎসু কিশোরটি সাগরবেলায় কী কুড়িয়ে তোলে?
উত্তর : অনুসন্ধিৎসু কিশোরটি সাগরবেলায় নানা রঙের নকশা আঁকা ঝিনুক কুড়িয়ে তোলে।
২.৪ কোন পারাবারকে ‘অনন্তপার’ বলা হয়েছে?
২.৫ দুজন প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম লেখো।
উত্তর : দুজন প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়।
উত্তর : ‘জ্ঞান পারাবারকে’ অনন্তপার বলা হয়েছে।
আলো—আঁধার, ছোটো—বড়ো, এখানে—সেখানে, তখন—এখন।
৪. প্রতিটি শব্দকে পৃথক অর্থে আলাদা বাক্যে প্রয়োগ করো :
উত্তর : সুধায় (অমৃত)—জীবনদায়ী ওষুধ সুধায় ভরা হয়ে থাকে।
পুরী (স্থানবিশেষ)—পরীক্ষায় আমি পুরী ভ্রমণ রচনাটি সুন্দরভাবে লিখেছি।
বেলা (সময়)—যাবার বেলা কাউকে পিছনে ডাকতে নেই।
হেলা (ঝোঁকা)—পুকুরপাড়ে বটগাছের একটা অংশ জলের ওপর হেলে পড়েছে।
ভরা (আনন্দ দান)—মেয়েটির মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন দেখে মন ভরে গেল।
৫. আবিষ্কারের গল্পগুলির পাশে পাশে আবিষ্কারকের নাম উল্লেখ করো এবং তাঁদের সম্পর্কে আরও জানার চেষ্টা করো : ঘড়ি, এরোপ্লেন, রেডিও, দূরবিন, টেলিভিশন।
আবিষ্কার | আবিষ্কারক | দেশ |
---|---|---|
ঘড়ি | লিংস্যান ১৭২৫ খ্রিঃ | চিন |
এরোপ্লেন | রাইট ভ্রাতৃদ্বয় ১৯০৩ খ্রিঃ | আমেরিকা |
রেডিও | জগদীশ বসু, মার্কনি ১৮৯৫ খ্রিঃ | ইতালি |
দুরবিন | গ্যালিলিয়ো গ্যালিলি ১৬০৮ খ্রিঃ | ইতালি |
গ্যালিলিয়ো গ্যালিলি ১৬০৮ খ্রিঃ | জন বেয়ার্ড ১৯২৬ খ্রিঃ | ইংল্যান্ড |
উত্তর : ছুটি পেলে সকালবেলা আমি নদীর ধারে যাব আর একটি গাছের ছায়ায় বসে সূর্য ওঠা দেখব। সারাদিন ধরে
নদীর ঢেউ, নদীতে আসা পাখি, তাদের মাছ ধরা, নৌকোর যাতায়াত সব দেখব আর মনে মনে তাদের সঙ্গে যোগ
দেব। যদি কোনো মাঝিকে পাই তাহলে তার সঙ্গে নৌকায় চড়ে গল্প করতে করতে ঘুরে বেড়াব। সারা দুপুর নৌকোয়
করে এখানে-ওখানে ঘুরে নদীর দুই পার, পাড়ের জঙ্গল, জনবসতি দেখব। নদীতে কোথায় কোথায় গেলে কী কী
দেখা যায়, কোথায় কোন্ পাখি আসে, কোথায় কী মাছ পাওয়া যায়, সেইসব মাঝির কাছে শুনব। দিনের শেষে নদী,
মাছ, পাখি, গাছপালা এবং আমার নৌকার মাঝিকে সেই দিনের মতো বিদায় জানিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে আসব।
৮.১ পাঠ্য ছড়াটির প্রথম পঙ্ক্তিটি শুরু হয়েছে ‘এক যে ছিল কিশোর...’—এইভাবে। সাধারণত কোন ধরনের রচনা
এভাবে শুরু হয়ে থাকে? সেই ধরনের রচনার বিষয়ের সঙ্গে ছড়াটির বিষয়গত সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য আলোচনা করো।
উত্তর : জীবনীমূলক, কাহিনিমূলক, বর্ণনামূলক কোনো কিছু লিখতে গেলে ‘এক যে ছিল’ এইভাবে শুরু করতে হয়।
সেই বিষয়ের সঙ্গে ছড়াটির সাদৃশ্য হল উল্লিখিত মনীষীর জীবনী, বাণী ইত্যাদি থাকে। সেই ধরনের রচনার বিষয়ের সঙ্গে বৈসাদৃশ্য হল প্রকৃতির কোনো গাছপালা ইত্যাদির সঙ্গে কোনো জীবনী থাকলে জীবনীর কর্মপ্রবাহ এবং অবদানের মধ্যে তফাত দেখা যায়।
৮.২ ‘মন লাগে না খেলায়'— কার খেলায় ‘মন লাগে না’? কিশোরেরা সাধারণত কোন ধরনের খেলাধুলো করে থাকে? তার পরিবর্তে ছড়ার কিশোরটি কী করতে পছন্দ করত?
উত্তর : বিজ্ঞানী নিউটনের ছোটোবেলায় খেলায় মন লাগে না। কিশোরেরা সাধারণত ফুটবল, ক্রিকেট, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলাই খেলে থাকে। এর পরিবর্তে ছড়ার কিশোরটি সমুদ্রকূলে শুধু রং বেরং-এর ঝিনুক কুড়িয়ে বেড়ায়। এটাই তার খেলা।
৮.৩ ‘এক একটি রতন যেন/নাই বা কেউ চিনুক।'—কোন জিনিসকে রত্নের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে? কেনই বা
এধরনের তুলনা? তাকে চেনা বা না চেনার প্রসঙ্গই বা এল কেন?
উত্তর : রংবেরং-এর ঝিনুককে রত্নের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এই তুলনার কারণ হল কিশোর বয়সে ঝিনুকের মধ্যে রত্ন খুঁজে বেড়ানো এবং পরিণত বয়সে মহাবিশ্বের জ্ঞানসমুদ্রে বিদ্যারত্নকে খুঁজে বেড়ানো। কিশোর বয়সে কিশোর বিজ্ঞানী নিউটন ঝিনুক কুড়িয়ে বেরিয়েছেন কিন্তু সেই ঝিনুকের মধ্যে তিনি গুণগত মানকে চিনতেন না। পরে মহাবিশ্বের জ্ঞানসাগরে বহুবিধ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে সেই বিদ্যারত্নকে তিনি খুঁজে পেয়েছেন।
৮.৪ সেদিনের কিশোরটি পরিণত বয়সে উপনীত হলে তাকে কী করতে দেখা যায় ?
উত্তর : সেদিনের কিশোরটি পরিণত বয়সে বিজ্ঞানী নিউটন হিসেবে খ্যাত হয়েছেন। তিনি পদার্থ, বল, চাপ, মহাকর্ষ, পৃথিবী ইত্যাদি বিষয়ে বহু আবিষ্কার করে গ্রন্থ রচনা করেছেন।
৮.৫ ‘ঝিনুক কুড়োয়/জ্ঞানের সাগরবেলায়'—অংশের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : যে কিশোর সমুদ্রবেলায় ঝিনুক কুড়িয়ে বেরিয়েছে সেই কিশোর পরিণত বয়সে জ্ঞানের সাগরবেলায় মহাবিশ্বের অনেক রত্ন বিশেষ ঝিনুক কুড়িয়েছেন। সেইসব ঝিনুককে চিনেছেন, তাদের নিয়ে গবেষণা করেছেন। অনেক গবেষণা মূলক গ্রন্থ রচনা করেছেন।
৮.৬ ‘বৃদ্ধ এখন, সুধায় লোকে’—কে এখন ‘বৃদ্ধ’? লোকে তাকে কী জিজ্ঞেস করে? তাদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি কী বলেন?
উত্তর : বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন তখন বৃদ্ধ হয়েছেন। সেইসময় লোকে অর্থাৎ, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্র শিক্ষাবিদ পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাস করত, তাঁর দীর্ঘ জীবনের বাণী কী? তাদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলতেন,আমি সারাজীবন ধরে মহাবিশ্বের জ্ঞানসমুদ্রে কয়েকটি মাত্র নুড়ি কুড়িয়ে গেলাম ।
৮.৭ ছড়াটিতে যে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীর প্রসঙ্গ রয়েছে, বিজ্ঞানশাস্ত্রে তাঁর অবদান সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তর : বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনের প্রসঙ্গ এই ছড়াটিতে রয়েছে। স্যার আইজ্যাক নিউটন ১৬৪২ খ্রিঃ জন্মগ্রহণ করেন। এই বিশ্ববিখ্যাত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী নিউটনকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলা হয়। আধুনিক বিজ্ঞানের জনক হিসেবে নিউটন বিশেষ পরিচিত। তিনি একাধারে পদার্থবিদ, গণিতজ্ঞ ও জ্যোতির্বিদ। তাঁর প্রধান আবিষ্কার হল মহাকর্ষ তত্ত্ব, গতিসূত্র এবং আলোর কণাবাদ। তাঁর প্রধান গ্রন্থের নাম প্রিন্সিপিয়া। এই শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ১৭২৭ খ্রিঃ দেহত্যাগ করেন।
ননীদা নট আউট

বিশেষ্য | বিশেষণ |
---|---|
খেলা | খেলা |
জবাব | জবাবি |
অপমান | অপমানিত |
বিষণ্ন | বিষণ্নতা |
উদ্ভব | উদ্ভূত |
১. অধ্যায় বা Chapter কাকে বলে ?
উত্তর : অধ্যায় হল বই-এর মূল অংশ যেখানে বইটি যে বিষয় নিয়ে লেখা তা পরপর কতকগুলি নির্দিষ্ট ভাগে ভাগ করে (Chapter)।
২. বই-এর মধ্যে তার প্রকাশকের নাম কোথায় থাকে?
উত্তর : বই এর আখ্যাপত্র বা Title Page-এর নীচের দিকে প্রকাশকের নাম থাকে।
৩. বই বাঁধাই কী ধরনের হয়?
উত্তর : বাঁধাই হিসেবে বই হয় দু-রকম—বোর্ড বাঁধাই আর পেপারব্যাক। যাতে সব মানুষ বই কিনতে পারেন সে জন্য বই-এর দাম কম রাখার উদ্দেশ্যে একই বই পেপারব্যাক সংস্করণ হিসেবে প্রকাশ করা হয়। কারণ পেপারব্যাক সংস্করণের পাতা বা ছাপা কিছুটা সাধারণ মানের হয়। বোর্ড বাঁধাই অনেক বেশি টেকসই হয় কারণ তাতে ভালো পাতা, ভালো ছাপা যেমন থাকে তেমনি তার বাঁধা খুব ভালো হয়, ফলে সহজে ছেঁড়ে না।
৪. বইকে কতভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : বইকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যেমন—সাধারণ বই আর আকরগ্রন্থ বই বা রেফারেন্স বই। পাঠ্য বই বা গল্প, কবিতা নাটকের বই এগুলোকে সাধারণ বই-এর ভাগে রাখা যায়। আকরগ্রন্থ বা রেফারেন্স বই কিন্তু একেবারে আলাদা। নির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানতে রেফারেন্স বই ব্যবহার করতে হয়।
৫. অভিধান কী করে দেখতে হয়?
উত্তর : অভিধান দেখা খুব সহজ। ঠিক যেমন করে আমরা বর্ণমালায় অ-আ-ই-ঈ পাই তেমনি অভিধানে অ-দিয়ে
শব্দ আগে সাজানো থাকবে, তারপরে আসবে আ-দিয়ে শব্দগুলো। অ-দিয়ে যত শব্দ আছে, সেগুলোও কিন্তু ওই
একই নিয়মে অ-এর মধ্যে সাজানো থাকবে। এভাবে অ থেকে হ পর্যন্ত যত শব্দ আছে সবগুলো পরপর থাকবে
আর পাশে থাকবে শব্দের অর্থ।
৬. কত ধরনের অভিধান আছে?
উত্তর : প্রতি ভাষায় অভিধান আছে। বাংলা থেকে বাংলা, বাংলা থেকে ইংরেজি, ইংরেজি থেকে বাংলা, ইংরেজি
থেকে ইংরেজি, সংস্কৃত থেকে বাংলা, হিন্দি থেকে বাংলা ইত্যাদি। আবার, এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় তর্জমার অভিধানও আছে। যেমন ফরাসি থেকে জার্মান, উর্দু থেকে বাংলা। নানারকম ভাষার আলাদা অভিধান পাওয়া যায়। এ ছাড়াও সাহিত্যাভিধান, ইতিহাস অভিধান, ব্যাকরণ অভিধান প্রভৃতি নানা ধরনের অভিধানও হয়।
Tags: class 6 bengali chapter 1 question answer,class 6 bengali chapter 1,class 6 bengali chapter 2 question answer,class 6 bengali chithi question answer,class six bangla cement,class 6 bengali chapter 3 question answer,class 6 bengali chapter 5 question answer, class 6 bengali chapter 10 question answer,class 6 bengali chapter 2,class 6 science chapter 1 question answer bangla, class 6 science chapter 1 bangla,class 6 chapter bangla,bangla charupath class 6 pdf 2022,class 6 science chapter 6 bangla, class 6 bengali dharatal,class 6 bangla book download,class 6 bangla guide download,class 6 bangla book 2021 pdf download,class 6 math book pdf download bangla,class 6 er bangla book,class 6 bengali exam,class 6 bangla final pariksha,class 6 bangla final exam,class 6 bengali faki question answer,class 6 bengali final exam question paper 2022,class 6 bengali final exam,class 6 bengali final exam question answer,
No comments
Hi Welcome ....