Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Top Ad

Breaking News:

latest

class six bengali text book question answer | ষষ্ঠ শ্রেণি (মধ্যশিক্ষা পর্ষদ) বাংলা সাহিত্যমেলা

  class 6 Bengali chapter 27 question answer ❒ গান অধ্যায়ঃ-  (২০ থেকে ২৪) ● চল রে চল সবে  ● মোরা দুই সহোদর ভাই  ● ধরাতাল  ● সেথায় যেতে যে চ...

 
class 6 Bengali chapter 27 question answer

❒ গান অধ্যায়ঃ-  (২০ থেকে ২৪)
● চল রে চল সবে 
● মোরা দুই সহোদর ভাই 
● ধরাতাল 
● সেথায় যেতে যে চায় 
● হাবুর বিপদ 
● না পাহারার পরীক্ষা 
● কিশোর বিজ্ঞানী 
● ননীদা নট আউট 
● বই পড়ার কায়দা কানুন 

আরো পড়ুনঃ


চল রে চল সবে 


কবিতার বিষয়বস্তু :
‘চল রে চল সবে ভারত সন্তান'—এই বারো লাইনের কবিতাটি স্বদেশি প্রেম বিষয়ক একটি গান।  কবিতার স্বদেশের পুত্রদের তিনি ভারত সন্তান নামে সম্বোধন করে দেশের কল্যাণে মাতৃদৈন্য মোচন করার জন্য তাদের জাগ্রত হতে বলেছেন। একই সুরে, একই মন্ত্রে দেশের পরাধীনতা মোচন করার জন্য তিনি সন্তানদের নিরলস প্রচেষ্টা তথা জপ এবং তপস্যা চালিয়ে যেতে বলেছেন, তবেই তাদের মোক্ষ আসবে। বীর দর্পে তাদের পৌরষত্ব লাভ হবে। তারা দেশ-দেশান্তরে ভারতের ধর্ম, জ্ঞান নতুন করে প্রচার করতে পারবে। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর যেটা গীতিকার জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বলছেন, লোকের বাহবা কিংবা লোকের গঞ্জনার দিকে দৃষ্টিপাত না শুভ, যেটা সত্য, জীবনে সেই কাজে উৎসর্গ করতে হবে। হিন্দু-মুসলমান দলাদলি ভুলে একতার সঙ্গে একই পথে একই সঙ্গে তাদের এগিয়ে যেতে হবে।

চল রে চল সবে ভারত সন্তান কবিতার প্রশ্নোত্তর প্র্যাকটিস
               এক কথায় উত্তর দাওঃ
(ক) কবি কার চরণে ভারতবাসীদের প্রাণ সপে দিতে বলেছেন? 
উত্তর : ভারতমাতার চরণে।
(খ) দলাদলি ভুলে একসাথে কাদেরকে নিয়ে এগিয়ে যেতে বলেছেন?
উত্তর : হিন্দু ও মুসলমানদের নিয়ে।
(গ) কবি কোন কোন বিষয়কে এক হওয়ার কথা বলেছেন?
উত্তর : শিক্ষা দীক্ষা লক্ষ্য মোক্ষ।
(ঘ) কীসের প্রতি জীবনকে দান করতে বলা হয়েছে?
উত্তর : যা মঙ্গল নিশ্চিতজনক এবং যা ন্যায়।
(ঙ) ‘চল রে চল সবে ভারত সন্তান’ কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর : জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের।
(চ) জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কে ছিলেন?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেজদা।

{tocify} $title={Table of Contents}


মোরা দুই সহোদর ভাই


মোরা দুই সহোদর ভাই


মোরা দুই সহোদর ভাই কবিতার বিষয়বস্তু :
‘সহোদর’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ করলে পাওয়া যায় — সহ + উদর। সহ উদর কথার অর্থ সমান উদর। ‘উদর’ শব্দের অর্থ পেট বা গর্ভ। সুতরাং সহোদর কথার সহজ মানে দাঁড়ায়, একই গর্ভে জন্ম যাদের, অর্থাৎ ভাই। ‘মোরা দুই সহোদর ভাই’ কবিতাটিতে কাজী নজরুল ইসলাম ভারতবর্ষে বসবাসকারী হিন্দু আর মুসলমান এই দুই প্রধান ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষদের বুঝিয়েছেন। পরাধীন ভারতবর্ষের হিন্দু আর মুসলমান এই দুই ধর্মাবলম্বী মানুষদের উসকানি দিয়ে সুচতুর ইংরেজরা একসময় পরস্পরের মধ্যে দাঙ্গা লাগিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের সেই চালাকি অগ্রাহ্য করে ভারতবাসী হিন্দু-মুসলমান যেভাবে ভ্রাতৃত্বের অটুট বন্ধনে একতাবদ্ধ থেকেছিল তাই বোঝাতে কবি এই কবিতাটি লিখেছিলেন। তিনি এই দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষদের বুঝিয়ে বলেছেন, এ দেশে মড়ক অর্থাৎ, খরা বা বৃষ্টি না হওয়ার ফলে যখন ফসল ফলে না তখন উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই ক্ষুধায় কাতর হয়। বন্যা হলে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘরবাড়ি ভেসে যায়। হিন্দুদের চাষের জমিতে যেমন রোদ, বৃষ্টি ঝরে পড়ে তেমন মুসলমানদের ফসলের খেতেও সমানভাবে পড়ে। আমাদের ধর্ম নামক পোশাকের রং আলাদা হলেও মূল জিনিসটি হল পোশাকই। তাই আমরা হিন্দু আর মুসলমান একই উদরে জন্মলাভ করা দুটি ভাই।

🖉 হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর :
১.১ কবি কাজী নজরুল ইসলামের কোন কবিতা প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল?
উত্তর : কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।
১.২ তাঁর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো। 
উত্তর : তাঁর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ ‘মোরা দুই সহোদর ভাই’ কবিতায় ‘সহোদর’ কারা?
উত্তর : হিন্দু আর মুসলমান হল দুই সহোদর ভাই।
২.২ ‘আমাদের হীন-দশা এই তাই’—আমাদের এই ‘হীন-দশা’র কারণ কী?
উত্তর : আমরা পরস্পরে বিবাদ করি বলেই আমাদের হীন-দশা।
২.৩ ‘বাইরে শুধু রঙের তফাত ভিতরে ভেদ নাই’—‘রঙের তফাত’ 
লতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : হিন্দু আর মুসলিম দুই ধর্মীয় নামে রঙের তফাত বুঝিয়েছেন। ভিতরে ভেদ নাই বলতে উভয়ের শরীরে যে মানুষেরই রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে তাই বুঝিয়েছেন।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
৩.১ ‘এক বৃন্তে দুটি কুসুম এক ভারতে ঠাঁই।'—পঙ্ক্তিটিতে প্রদত্ত উপমাটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখিত ‘মোরা দুই সহোদর ভাই’ নামক কবিতা থেকে। আলোচ্য পঙ্ক্তিটিতে কবি বলতে চেয়েছেন যে, আমাদের দেশ ভারতবর্ষে কোটি কোটি মানুষদের মধ্যে দুটি প্রধান ধর্ম সম্প্রদায় হল হিন্দু এবং মুসলমান। কবি তাই উপমা দিয়ে বলেছেন যে, গাছে গাছে যেমন দেখা যায় একই বৃন্তে দুটি কুসুম অর্থাৎ দুটি ফুল, তেমনি ভারতবর্ষের বুকে বসবাসকারী এই দুই প্রধান ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষও ভারতবর্ষ নামক একটি গাছের বৃত্তে পাশাপাশি ফুটে থাকা দুটি কুসুম। একটি গাছে যেমন দুটি ফুল শোভা বর্ধন করে তেমনি যুগ যুগ ধরে ভারতবর্ষে এই দুটি ধর্ম সম্প্রদায় পাশাপাশি অবস্থান করে ভারতবর্ষ নামক পুষ্পবৃক্ষের শোভা বর্ধন করছে।

৩.২ ‘সব জাতিরই সকলকে তাঁর দান যে সমান করে’—কার কোন দানের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর : ওপরের উদ্ধৃতিটিতে কবি বিশ্বস্রষ্টার অবদানের কথা বলেছেন। কবি বলেছেন, আকাশ থেকে যখন বৃষ্টি ঝরে পড়ে তখন কে হিন্দু কিংবা কে মুসলমান এই বিচার করে তার ওপর বিধাতা কমবেশি বৃষ্টির জল দান করে না। হিন্দুর কৃষিজমিতে যেমন বৃষ্টি পড়ে তেমন মুসলমানদের কৃষিজমিতেও একই বৃষ্টি পড়ে। যখন অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে দেশে বন্যা দেখা দেয়, তখন দরিদ্র হিন্দু ভারতবাসীর সাধের কুঁড়েঘরও ভেসে যায় আবার গরিব মুসলমানের ও কুঁড়েঘর বন্যার জলে ডুবে যায়। দুটি ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষই বিধাতার দেওয়া বৃষ্টির সমান জল পেয়ে সমান ফসল ফলায় এবং সেই ফসলে জীবনধারণ করে। তাই কবি বলেছেন, বিধাতার দান হিন্দু আর মুসলমান উভয়ের জন্যই সমান। বিধাতা হিন্দু নামক ধর্মীয় মানুষটিকে যতটুকু দান করেন আবার মুসলমান নামক ধর্মীয় মানুষটিকেও ততটুকুই দান করেন। অর্থাৎ, ভারতবর্ষ হল মায়ের মতো। তিনি যেমন তাঁর দুটি সন্তানকে সমানভাবে স্তন্য দান করেন স্বয়ং বিশ্বস্রষ্টাও তাঁর উদারহস্তে হিন্দু আর মুসলমান এই দুই সম্প্রদায়কে সমানভাবে সম্পদ বণ্টন করেন।

৩.৩ ‘চাঁদ সুরুযের আলো কেহ কম-বেশি কি পাই’—চাঁদ সুরুষের আলো কী? কবির এই প্রশ্নটির অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : চাঁদের আলোর নাম জ্যোৎস্না। সুরুষ অর্থাৎ সূর্যের আলোর নাম রৌদ্র। আলোচ্য উদ্ধৃটিতে কবি এদেশে বসবাসকারী হিন্দু আর মুসলমান এই দুটি ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষদেরকে উদ্দেশ্য করে চাঁদের আলো আর সূর্যের আলোর সমান অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। কবির এই বক্তব্যের অন্তর্নিহিত অর্থ হল, কবি যখন বেঁচেছিলেন তখন তিনি দেখেছেন কিছু কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মীয় গোঁড়ামিতে ভরা বুদ্ধিহীন মানুষের উসকানিতে হিন্দু এবং মুসলমান এই দুই প্রধান ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে মিথ্যা কলহ বেধে যায়। এই কলহ একসময় বাড়তে বাড়তে ভয়ংকর মারামারির পর্যায়ে চলে যায়। অবশেষে উভয় পক্ষের কিছু মানুষের প্রাণনাশও ঘটে। তাই কবি অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে এই দুই দ্বন্দ্বরত অবোধ মানুষদের বোঝাতে চেয়ে বলেছেন, আমরা হিন্দু কিংবা মুসলমান দুজনের কেউই ছোটো কিংবা বড়ো নয়। উভয়েই আমরা সমান। উভয়েই আমরা মানুষ। আমাদের উভয়ের শরীরেই যে রক্তের ধারা বয়ে চলেছে তার রং লাল। শুধুমাত্র বাইরেই আমাদের হিন্দু নামক এবং মুসলমান নামক ভিন্ন ভিন্ন পোশাকের আবরণ দেখা যায়। কিন্তু ভিতরে উভয়ে আমরা একই। আমাদরে উভয়ের জীবন রক্ষা করে সূর্য যেমন উদারহস্তে সমান রৌদ্র বিকিরণ করে, চন্দ্রও তেমন সমান জ্যোৎস্না ছড়িয়ে দেয়।

৪. নীচের বাক্যগুলি থেকে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়া চিহ্নিত করে লেখো :
৪.১ মোরা বিবাদ করে খোদার উপর করি যে খোদকারি।
উত্তর : বিবাদ করে (অসমাপিকা ক্রিয়া), খোদকারি করি (সমাপিকা ক্রিয়া)।
৪.২ দুই জাতি ভাই সমান মরে মড়ক এলে দেশে।
উত্তর : সমান মরে (সমাপিকা ক্রিয়া), মড়ক এলে (অসমাপিকা ক্রিয়া)।
৪.৩ সব জাতিরই সকলকে তাঁর দান যে সমান করে।
উত্তর : তাঁর দান (‘করেন' শব্দ উহ্য আছে—সমাপিকা ক্রিয়া), সমান করে (অসমাপিকা ক্রিয়া)।

৫. সন্ধি বিচ্ছেদ করো :
উত্তর : সহোদর = সহ + উদর। সৃষ্টি = সৃষ্ + তি। বৃষ্টি = বৃষ্ + তি। শাস্তি = শাস্ + তি।
৬. ‘বি’ উপসর্গ যোগে পাঁচটি শব্দ তৈরি করো :
উত্তর : বি + ভে = বিভেদ। বি + ভুঁই = বিভুঁই। বি + বর্ণ = বিবর্ণ। বি + রোধ = বিরোধ। বি + কল =বিকল। বি + নীত = বিনীত
৭. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে রূপান্তরিত করে লেখো।
উত্তর : কুসুম—কুসুমিত। ভারত— ভারতীয়। সৃষ্টি—সৃষ্টিশীল। বিবাদ
বিবাদপূর্ণ। জাতি—জাতিত্ব। রং—রঙিন।
৮. নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ ভাগ করে দেখাও :
৮.১ হিন্দু আর মুসলিম মোরা দুই সহোদর ভাই।
উত্তর : হিন্দু আর মুসলিম মোরা (উদ্দেশ্য), দুই সহোদর ভাই (বিধেয়)।
৮.২ দুইজনারই মাঠেরে ভাই সমান বৃষ্টি ঝরে।
উত্তর : দুইজনারই মাঠেরে ভাই (উদ্দেশ্য), সমান বৃষ্টি ঝরে (বিধেয়)।
৮.৩ বন্যাতে দুই ভাইয়ের কুটির সমানে যায় ভেসে।
উত্তর : দুই ভাইয়ের কুটির (উদ্দেশ্য), বন্যাতে সমানে যায় ভেসে (বিধেয়)।
৮.৪ চাঁদ সুরুষের আলো কেহ কমবেশি কি পাই।
উত্তর : কেহ (উদ্দেশ্য) (আমরা উহ্য), চাঁদ সুরুযের আলো কমবেশি কি পাই (বিধেয়)।


ধরাতাল


ধরাতল কবিতার বিষয়বস্তু :
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চতুর্দশপদী কবিতা হিসেবে অনেক কবিতা রচনা করেছেন। এটিকে ইংরেজিতে সনেট বলা হয়। কবিতাটি প্রথম অংশ আটটি পঙ্ক্তিতে এবং পরবর্তী অংশ ছয়টি পঙ্ক্তিতে বিভক্ত। ধরণির গ্রাম্য পরিবেশে নদীর শোভা এবং তার চারপাশের পরিবেশ সম্বন্ধে কবি প্রথম অংশে বর্ণনা দিয়েছেন এবং দ্বিতীয় অংশে নদীর গ্রামীণ পরিবেশে সুখ-দুঃখ, ভালো-মন্দ, অন্ধকার-আলো মিলিয়ে যে প্রাণস্পর্শী সুন্দর পরিবেশ গড়ে ওঠে। কবি পদ্মানদীতে নৌকো বেয়ে চলেছেন। ধরণির স্নেহছায়ায় নদীর ধারে গ্রামগুলি যেন ছায়াময় হয়ে উঠেছে। নদীতে নৌকোয় যেতে যেতে কবির কত কথা, কত গান মনে পড়ছে। কবির মনে হচ্ছে সুখ এবং দুঃখ যেন নদীর দুটি তীর। একইভাবে ভালো-মন্দ, অন্ধকার-আলো সবই কবি হৃদয়কে নদী তীরের ধরণির গ্রাম্য পরিবেশে উৎসুক করে তুলেছে। গ্রামীণ পরিবেশে নদীপথে যেতে যেতে কবির মনে হচ্ছে সুখ-দুঃখ, ভালো-মন্দ, অন্ধকার-আলো—এসব মিলিয়ে ধরণির মতো ভালো পরিবেশ জগতে আর হয় না।

🖉 হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর :
১.১ কবি রবীন্দ্রনাথের লেখা একটি গীতিনাট্যের নাম লেখো।
উত্তর : কবি রবীন্দ্রনাথের লেখা একটি গীতিনাট্য চিত্রাঙ্গদা।
১.২ তোমাদের পাঠ্যকবিতাটি তাঁর কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া?
উত্তর : পাঠ্যকবিতাটি কবির ‘চৈতালি’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর লেখো :
২.১ কবির মনে আজ কী ভাবনা এসেছে?
উত্তর : কবির মনে নদীতীরের গ্রাম্য পরিবেশে শ্যামল ধরণির ভালো-মন্দ, দুঃখ-সুখ, অন্ধকার-আলো মিলিয়ে ছায়াময় প্রেমপূর্ণ গ্রামের ভাবনা এসেছে।
২.২ যেতে যেতে নদীতীরে কবির চোখ কোন দৃশ্য ধরা পড়েছে?
উত্তর : যেতে যেতে নদীতীরে কবির চোখে চারপাশের দৃশ্য ধরা পড়েছে। কবি যত নদী পথে এগিয়ে চলেছেন, দুইপাশের শ্যামল ধরণির বিভিন্ন পরিবেশ যাই যাই করে নিমেষে নিমেষে পার হয়ে যাচ্ছে। কবি সেই পরিবেশ ক্ষণকাল দেখছেন, আর তাকে ভালোবাসে মনে করছেন, তারা কেমন কবির দিকে করুণ নয়নে তাকিয়ে রয়েছে।
২.৩ সবাই প্রতি মুহূর্তে কী কথা বলছে?
উত্তর : সকলেই প্রতি মুহূর্তে কবির সঙ্গে যেন ভাইবোনের মতো সুখ-দুঃখের কথা বলছে।
২.৪ যা কিছু দেখেন তাকেই কবি ভালোবাসে কেন?
উত্তর : কবি যা কিছু দেখেন তাকেই ভালোবাসেন এই কারণে যে, গ্রামীণ নদীমাতৃক পরিবেশ কবির শহুরে পরিবেশ থেকে আলাদা। ফলে নদীর দুইকূলের শ্যামল ধরণিকে দেখেই কবি তাদের ভালোবাসছেন।
২.৫ কবি কাদের ভাইবোনের সঙ্গে তুলনা করছেন?
উত্তর : কবি নদী পথে নৌকায় চলেছেন। নদীর কূলে কূলে শ্যামল ধরণি দেখা যায়। কবির মনে হয়, তীর হতে দুঃখ এবং সুখ যেন দুই ভাইবোন কবির সঙ্গে কথা বলতে, গান গাইতে, মেলামেশা করতে করুণ নয়নে উৎসুক প্রাণে তাকিয়ে রয়েছে।
২.৬ গ্রামগুলি দেখে কবির কী মনে হয়েছে?
উত্তর : গ্রামগুলি দেখে কবির মনে হয়েছে তারা কত ছায়াময়। কত প্রেম তাদের ঘিরে রয়েছে। তারা যেন উৎসুক নয়নে কবির দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
২.৭ পৃথিবীর দিকে তাকালে কবির কী মনে হয়?
উত্তর : পৃথিবীকে দিকে তাকালে কবির মনে হয়, এই পৃথিবীতে যেমন ভালো-মন্দ রয়েছে তেমন সুখ-দুঃখ রয়েছে।
দিনরাতের মতো আলো-অন্ধকারে এই পৃথিবী সুন্দর হয়ে উঠেছে।
৩. নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে এবং বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো :
শ্যামল, দুঃখ, সুখ, করুণ, ছায়াময়, গ্রাম, উৎসুক, আলো।
বিশেষ্য বিশেষণ
শ্যামলিমা শ্যামল
দুঃখিত দুঃখ
সুখী সুখ
কারুণ্য করুণ
ছায়া ছায়াময়
গ্রাম গ্রাম্য
ঔৎসুক্য উৎসুক
আলোকিত আলো

৪. শব্দঝুড়ির থেকে ঠিক শব্দ নিয়ে নীচের ছকটি সম্পূর্ণ করো :
 শব্দঝুড়ি : বেয়ে, প্রাণ, আমার, হেরি
বাহিয়া  〉 বেয়ে
হেরি    দেখি
মোর  〉 আমার
প্রাণ  〉পরান

৫. দুটি বিপরীতার্থক শব্দ যুক্ত হয়ে একটি শব্দে পরিণত হওয়া শব্দগুলি কবিতা থেকে খুঁজে বের করো। ওই শব্দগুলি দিয়ে একটি করে বাক্য লেখো :
উত্তর : ভালোমন্দ—ভালোমন্দ = লোক নিয়েই জগৎ সংসার। সুখদুঃখ–সুখ = যেমন জীবন আছে দুঃখও তেমন
আছে। অন্ধকার-আলো = দিনের বেলা আলো রাত অন্ধকার।
৬. নীচের বাক্যগুলি রেখাঙ্কিত অংশে কোন বচনের ব্যবহার হয়েছে লেখো :
৬.১ চোখে পড়ে যাহা কিছু হেরি চারি পাশে।
উত্তর : একবচন।
৬.২ কুলে কুলে দেখা যায় শ্যামল ধরণি।
উত্তর : বহুবচন।
৬.৩ ‘ক্ষণকাল দেখি বলে দেখি ভালোবেসে।
উত্তর : একবচন।
৬.৪ সবি বলে, ‘যাই যাই’ নিমেষে নিমেষে
উত্তর : বহুবচন।
৬.৫ যবে চেয়ে চেয়ে দেখি উৎসুক নয়ানে।
উত্তর : বহুবচন।

৭. নীচের কবিতাংশটি ভেঙে পৃথক পৃথক বাক্যে লেখো :
যবে চেয়ে চেয়ে দেখি উৎসুক নয়ানে—
আমার পরান হতে ধরার পরানে
ভালোমন্দ দুঃখসুখ অন্ধকার-আলো
মনে হয়, সব নিয়ে এ ধরণি ভালো।
উত্তর : কবি উৎসুক নয়নে চেয়ে চেয়ে দেখছেন। কবির প্রাণ থেকে ধরণির কেমন ভালো-মন্দ, দুঃখ-সুখ, অন্ধকার-আলো উৎসারিত হচ্ছে। কবির মনে হয় এই ধরণির সুন্দর।

৮. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর দাও :
৮.১ ‘আমি যেন চলিয়াছি বাহিয়া তরণী'—এখানে ‘যেন’ শব্দটি কেন ব্যবহার হয়েছে লেখো।
উত্তর : ‘আমি যেন চলিয়াছি বাহিয়া তরণী’—এখানে ‘যেন’ শব্দটি কবির কল্পনাপ্রবণ মনের ভাবনাকে নির্দেশ করছে।

৮.২ কবির কল্পনায় নৌকাযাত্রায় কী কী দৃশ্য তিনি দেখছেন?
উত্তর : কবির কল্পনায় নৌকোযাত্রায় যেসব দৃশ্য কবি দেখেছেন তার মধ্যে কূলে কূলে শ্যামল ধরণিকে দেখেছেন।
কবি যত এগিয়ে চলেছেন দুই কূলের পরিবেশ প্রতি মুহূর্তে কবিকে যাই যাই বলে বিদায় জানাচ্ছে। দুই তীরে দুঃখ
এবং সুখ দুই ভাইবোনকে কবি দেখেছেন। ছায়া ঘেরা গ্রামীণ পরিবেশ কবিকে উৎসুক করে তুলেছে। কবি যেন
তাদের প্রেম, ভালোবাসা প্রাণভরে গ্রহণ করছেন।

৮.৩ সুখদুঃখকে কবির ভাইবোন মনে হয়েছে কেন?
উত্তর : সুখদুঃখকে কবির ভাইবোন মনে হয়েছে, কারণ নদীর দুই কূলে ঢেউ এসে যখন আছড়ে পড়ে তখন সেই ঢেউয়ের আসা-যাওয়াকে কবির মনে হয়েছে তারা একই মায়ের অর্থাৎ, নদীর ছেলেমেয়ে পরস্পর ভাইবোন। সুখদুঃখ নিয়ে তারা একবার জোয়ারে এগিয়ে আসে আবার ভাটায় সরে যায়।

৮.৪ ‘মনে হয় সব নিয়ে এ ধরণি ভালো’—কখন পৃথিবীকে ভালো মনে হয়? এরকম মনে হবার কারণ কী?
উত্তর : পৃথিবীকে কবির ভালো মনে হয় যখন এই পৃথিবীর মধ্যে ভালো-মন্দ, সুখ-দুঃখ পরস্পর মিশে থাকে। পৃথিবী নদীর মতো গতিশীল হয়। পৃথিবী অন্ধকার এবং আলোতে অর্থাৎ, রাত ও দিনে একইভাবে কর্মপ্রবাহ নদীর মতো এগিয়ে চলে। এই রকম মনে হওয়ার কারণ কবি নৌকায় করে নদীপথে চলেছেন এবং নদীর দুই তীরে গাছপালার ছায়া ঘেরা গ্রামীণ পরিবেশ কবিকে ভাবিয়ে তুলেছে। এই কারণেই ধরণিকে নিয়ে কবির ভাবনা, এই পৃথিবী কত সুন্দর হতে
পারে।

৮.৫ ট্রেন, নৌকো বা দূরপাল্লার বাসে করে যেতে যেতে পথের দুধারে যা দেখেছ, তার বর্ণনা দিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তর : আমি, আমার কয়েকজন বন্ধু মা, বাবা ও ভাইবোন আমরা দক্ষিণেশ্বর থেকে খেয়াঘাট নৌকায় যাব স্থির করলাম। ভোরবেলা আমরা সবাই দক্ষিণেশ্বরে মিলিত হলাম। নৌকা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল, চড়ে বসলাম আমরা। সঙ্গে নিয়ে এসেছি সবাই মিলে নানারকম খাবার। নৌকার মধ্যেই হবে আমাদের পিকনিক। সকাল ৮টায় নৌকো হেলেদুলে ছাড়ল। নদীর মাঝে গিয়ে নৌকার গতি হল জোর। আমি নৌকার পাশে জলে পা ডুবিয়ে বসলাম।

ওপরে নীল উন্মুক্ত আকাশ, ফুরফুর করে হাওয়া দিচ্ছে। সে এক অন্য অনুভূতি। চা আমার কাপেই ঠান্ডা হল। দুপাশে
সারি সারি মন্দির, বাড়ি, কোনো ঘাটে মেয়ে, বউ, ভদ্রলোকেরা সব স্নান করছে। কেউবা স্নান করে উঠে হাত জোড়
করে সূর্য প্রণাম করছে। নদীর জলে নৌকার দাঁড় টানার ছলাৎ ছলাৎ আওয়াজ হচ্ছে। সকালে বেরিয়েছি তাই মা
খাবারের ঝুড়ি খুললেন। আমরা সকলে গোল করে বসলাম। মা সবাইকে লুচি, আলুরদম, সন্দেশ খেতে দিলেন।
সবাই মিলে হই হই করে খাবার খেলাম। আবার বসলাম নিজের জায়গায়। চারদিকের কী সুন্দর পরিবেশ, পূর্ব দিক
থেকে ‘অরুণ আলোর অঞ্জলি’ সূর্য দেখা দিচ্ছে। নদীর জলে গাছের ছায়া পড়ে চিকচিক করছে। এ এক আশ্চর্য
অনুভূতি যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমরা সবাই মিলে সূর্য দেবতার উদ্দেশ্য গান গাইতে গাইতে কখন যে
খেয়াঘাটে পৌঁছেছি, খেয়াল করতে পারিনি।

সেথায় যেতে যে চায়

বিষয়বস্তু আলোচনা : ১৯০৬ খ্রি. বাংলাদেশের অন্তর্গত রাজশাহি জেলায় বন্দে আলী মিয়া জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে কবি,সাহিত্যিক ছিলেন। এঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় দুইশত। সহজ, সরল ভাষায় তিনি লিখতেন। শিশুদের জন্য রচনার খুব সমাদর ছিল। বহু বছর তিনি বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কবি বন্দে আলী মিয়া গ্রামীণ পরিবেশে সুন্দর দৃশ্য আলোচ্য কবিতায় তুলে ধরেছেন। ডিঙিতে করে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় মাছেরা সব লাফায়। এসব দেখে মাছরাঙা বক মাছ ধরার জন্য কূলে বসে পাহারা দেয়, গাংচিলের আকাশে ওড়ে মাছ-চুরি করার জন্য। মধুমতী নদীর চরে নিশীথ রাতে চাঁদের জ্যোৎস্না ঝরে পড়ে, আবার বিকেল বেলার নরম রোদে আকাশে রঙের খেলা দেখা যায়। সন্ধ্যা হয়ে আসে, কবি ভাবছেন, এইভাবেই তিনি গ্রামের সুন্দর পরিবেশে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রকৃতির পরিবেশ দেখতে দেখতে সময় কাটিয়ে দেবেন।

স্নেহের ছাত্র-ছাত্রীরা তোমাদের এখান থেকে বড়ো প্রশ্ন পরীক্ষার মধ্যে আসে না। 

হাবুর বিপদ

হাবুর বিপদ


হাবুর বিপদ গল্পটির বিষয়বস্তু :
স্কুলের পরিবেশে ‘হাবুর বিপদ’ গল্পটি যেমন একদিকে শিক্ষণীয় তেমন হাস্যরসের বিষয় হয়েছে। আগের দিন হাবু ভজার পাল্লায় পড়ে গোপালপুর মেলায় গিয়েছিল। ফিরতে রাত হয়েছে। বাড়ি এসে, খেয়ে-দেয়ে আর পড়াশুনা হয়নি কারণ তার বাবা রাতে খাওয়ার পর পড়তে বারণ করেছেন। তাই আজ ইস্কুলে এসেই ‘তৃতীয়’ পিরিয়ডে শিক্ষক মহাশয় সুধীরবাবুর কাছে বাংলাদেশের বর্ষাকাল রচনাটি সম্পূর্ণ বানিয়ে ভালো ভাষায় বলে গেল। অন্য বন্ধুরা মুখস্থ করে, কেউবা কবি নকল করে লিখে এনেছে কিন্তু কারও লেখাই হাবুর মতো হয়নি। হাবু পড়া বলেছে কিন্তু শিক্ষক বুঝেছেন সে কী করে অন্য খাতার পাতা উলটে অবিকল সুন্দর ভাবে পড়া বলে গেল। বাংলা ভাষায় তার দখল দেখে সুধীরবাবু আশ্চর্য হলেন এবং তার লেখার তারিফ করলেন।

🖉 হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর :
১.১ অজেয় রায়ের লেখা একটি জনপ্রিয় বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : অজেয় রায়ের লেখা একটি জনপ্রিয় বই ‘আমাজনের গহনে'।
১.২ তিনি কোন কোন পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন?
উত্তর : তিনি সন্দেশ, কিশোর ভারতী, শুকতারা পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর লেখো :
২.১ প্রফুল্লর রচনা সুধীরবাবুর কেন পছন্দ হয়নি?
উত্তর : প্রফুল্লর রচনা দে সরকারের বই থেকে হুবহু টোকা বলে সুধীরবাবুর মোটেই পছন্দ হয়নি।
২.২ নিতাই শাস্তি পেল কেন?
উত্তর : নিতাই মায়ের নামে মিথ্যা কথা বলার কারণে এবং পরপর দুদিন রচনা না নিয়ে আসার জন্য ক্লাসে এককোণে দাঁড়িয়ে শাস্তি পেয়েছিল।
২.৩ সুধীরবাবু কোন অন্যায়কে ক্ষমা করেন না?
উত্তর : ক্লাসের কাজে অবহেলা করাকে সুধীরবাবু ক্ষমা করেন না।
২.৪ সুধীরবাবুর কপালের ভাঁজ কীসের চিহ্ন?
উত্তর : লেখা শুনে বিশেষ সন্তুষ্ট না হওয়ার চিহ্ন সুধীরবাবুর কপালের ভাঁজ।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ তিনকড়ি হাঁ করে হাবুর খাতার দিকে তাকিয়েছিল কেন?
উত্তর : তিনকড়ি হাঁ করে হাবুর খাতার দিকে তাকিয়েছিল কারণ হাবুর খাতায় কিছু লেখা ছিল না। হাবুলচন্দ্র মন থেকে রচনা বলে যাচ্ছিল, শুধু খাতাটা হাতে খোলা ছিল।
৩.২ ‘ছেলেটা চর্চা রাখলে বড়ো হয়ে নির্ঘাত সাহিত্যিক হবে। ছেলেটি সম্পর্কে একথা বলার কারণ কী?
উত্তর : ছেলেটি হল হাবুল। ‘বাংলাদেশে বর্ষাকাল' রচনাটি নিজের ভাষায় হাবুল মন থেকে বলে যাচ্ছিল। সুন্দর লেখা, সুন্দর ভাষা শুনে শিক্ষক মহাশয় সুধীরবাবু এই মন্তব্য মনে মনে করেছিলেন—'ছেলেটা চর্চা রাখলে বড়ো হয়ে নির্ঘাত সাহিত্যিক হবে।'
৩.৩ ‘মাঝে মাঝে পাতা উলটিয়ে বলে চলে।'—পাতা ওলটানোর কারণ লেখো।
উত্তর : খাতায় কিছুই লেখা ছিল না। শুধুমাত্র শিক্ষক মহাশয়ের বিশ্বাস আনার জন্য হাবুল মন থেকে বলে গেলেও
মাঝে মাঝে পাতা ওলটাচ্ছিল।
৩.৪ ‘বেমালুম ঠকাল আমাকে'—হাবুল কি সত্যিই মাস্টারমশাইকে ঠকিয়েছিল?
উত্তর : হাবুল বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তির জোরেই মাস্টারমশাইকে ঠকিয়েছিল।
৩.৫ হাবুলের রচনা শুনে সুধীরবাবুর হাবুলকে কী বলার ইচ্ছে হয়েছিল? শেষ পর্যন্ত সেই ইচ্ছে তিনি পূরণ করলেন না কেন?
উত্তর : সুধীরবাবু হাবুলের রচনা শুনে বলার ইচ্ছে হয়েছিল ‘সাবাস’। কারণ হাবুল দেখে বলেনি। আপন মনে নিজের ভাষায় সুন্দর বলে গেছে। শেষ পর্যন্ত সেই ইচ্ছে তিনি পূরণ করলেন না, কারণ অন্য ছেলেরা না দেখে এরপর বানিয়ে বানিয়ে আবোলতাবোল বলতে শুরু করবে। তাতে ক্লাসের ডিসিপ্লিন বা শৃঙ্খলা রক্ষা করা কঠিন হবে।

৪. নীচের শব্দগুলির থেকে উপসর্গ পৃথক করে, তা ব্যবহার করে নতুন শব্দ তৈরি করো :
প্রশান্ত, অবহেলা, দুর্ভোগ, অনাবৃষ্টি, বেমালুম।
উত্তর : প্রশান্ত = প্র—শান্ত। প্র উপসর্গ যোগে প্রণত।
অবহেলা = অব—হেলা। অব উপসর্গ যোগ অবতরণ।
দুর্ভোগ = দুঃ—ভোগ। দুঃ উপসর্গ যোগে দুঃস্বপ্ন।
অনাবৃষ্টি = অনা—বৃষ্টি। অনা উপসর্গ যোগে অনাসৃষ্টি।
বেমালুম = বে—মালুম। বে উপসর্গ যোগে বেগতিক।

৫. ‘পাল্লা’ শব্দটিকে দুটি ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করে দুটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : পাল্লা= প্রতিযোগিতা, রেষারেষি→ দুজনেই পাল্লা দিয়ে তর্ক করছে।
পাল্লা= নৌকোর যাত্রাপথ→ নৌকায় সকলেই দূর পাল্লার যাত্রী চলেছে।
৬. নীচের বাক্যগুলি থেকে কর্তা, কর্ম ও ক্রিয়া খুঁজে বের করে ছকের মধ্যে লেখো :
৬.১ আমি রচনা লিখতে বলেছি।
৬.২ হরিপদ হাবুকে তাড়া লাগায়।
৬.৩ ছেলেরা যে যার রচনা খাতা বের করে ওপরে রাখে।
৬.৪ তিনি ঘড়ি দেখলেন।
কর্তা কর্ম ক্রিয়া
৬.১ আমি রচনা লিখতে বলেছি।
৬.২ হরিপদ হাবুকে তাড়া লাগায়
৬.৩ ছেলেরা রচনা খাতা বের করে ওপরে রাখে
৬.৪ তিনি ঘড়ি দেখলেন

৭. বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশকে আলাদা করো :
৭.১ ভজাটা কিছুতেই ছাড়ল না।
৭.২ সুধীরবাবু মন দিয়ে শোনেন।
৭.৩ হাবু শুয়ে কান পেতে শোনে।
৭.৪ দুর্গাপূজার পৌরাণিক অ্যাখানটা বলে দেবেন ক্লাসে।
উদ্দেশ্য বিধেয়
৭.১ ভজাটা কিছুতেই ছাড়ল না।
৭.২ সুধীরবাবু মন দিয়ে শোনেন।
৭.৩ হাবু শুয়ে কান পেতে শোনে।
৭.৪ তিনি (উহ্য) দুর্গাপূজার পৌরাণিক অ্যাখানটা ক্লাসে বলে দেবেন।

৮. ঠিক উত্তরে √’ চিহ্ন দাও :
৮.১ হরিপদর ডাকে সুধীরবাবু অবাক হন। (যৌগিক বাক্য/সরল বাক্য) 
উত্তর :  যৌগিক বাক্য।
৮.২ গতকাল তোমার মাকে দেখেছি গোঁসাইবাড়িতে কীর্তন শুনছেন। (জটিল বাক্য/যৌগিক বাক্য) 
উত্তর :  জটিল বাক্য।
৮.৩ ফের যদি রচনা আনতে ভুল হয়, তাহলে তোমার কপালে দুঃখ আছে। (সরল বাক্য/জটিল বাক্য) 
উত্তর :  জটিল বাক্য।
৯. নীচের বাক্যগুলি থেকে অনুসর্গ খুঁজে বের করো এবং নিম্নরূপ পদের বিভক্তি উল্লেখ করো :
৯.১ বাবার কাছে থেকে চিঠি আনতে হবে।
উত্তর : বাবার—সম্বন্ধ পদ ষষ্ঠী বিভক্তি। থেকে-অনুসর্গ।
৯.২ উঠানে কিছু ছেলে খেলছে।
উত্তর : উঠানে—অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি। কিছু—অনুসর্গ।
৯.৩ কয়েকজনকে বেছে বেছে পড়তে বললেন।
উত্তর : কয়েকজনকে—কর্মকারকে ‘কে’ বিভক্তি। বেছে বেছে—অনুসর্গ।
৯.৪ দে সরকারের রচনার বই থেকে হুবহু টুকে এনেছ। 
উত্তর : রচনার—সম্বন্ধ পদে ‘র’ বিভক্তি। থেকে—অনুসর্গ।

১০. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর দাও :
১০.১ স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে হাবুর কী মনে হচ্ছিল?
উত্তর: স্কুলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে হাবু ভাবল, সে ফিরে যাবে। গরমকালে সকালে স্কুলে পড়া হয়নি বলে সে স্কুলে ঢুকবে না।

১০.২ তাঁর চোখে স্কুলের ভেতরের কোন ছবি ধরা পড়ে?
উত্তর : হাবু একতলা স্কুল বাড়িটার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ঘরে ঘরে ছেলেদের কলরব শুনছে, সকাল সাতটায় স্কুল বসবে। গরমকলে উঠানে কিছু ছেলে খেলছে। হাবুর চোখে ভেসে ওঠে সুধীরবাবুর ভারিক্কি চেহারা, গম্ভীর মুখ। চশমায় কাচের আড়ালে বড়ো বড়ো চোখের তীক্ষ্ণ চাহনি।

১০.৩ হাবু শেষের দিকের বেঞ্চে বসতে চায় না কেন? সে শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে বসে?
উত্তর : শেষ পর্যন্ত হাবুল স্কুলে যায়। হাবু জানে স্যার তাকে পছন্দ করেন কিন্তু পড়া হয়নি বলে লাস্ট বেঞে
বসতে চায় না। হাবুল জানে সুধীরবাবুর লাস্ট বেঞ্চের ওপর চিরকাল করা নজর। হাবু শেষ পর্যন্ত থার্ড বেঞ্জের এক কোণে তিনকড়ির পাশে বসে পড়ে। সে ভাবে, ভাগ্যে থাকলে পাঁচজনের ভিড়ে হয়তো এ যাত্রায় থার্ড বেঞ্চের কোণে বসে পার পেয়ে যেতে পারে।

১০.৪ ‘এইটাই সুধীরবাবুর মেথড'— সুধীরবাবুর মেথডটি কী? তাঁর এমন মেথড অবলম্বন করার যুক্তিটি কী?
উত্তর : সুধীরবাবুর মেথড বা পদ্ধতিটা হল ছেলেদের লেখা রচনা ছেলেদের দিয়ে পড়ানো। তাঁর এমন মেথড অবলম্বন করার যুক্তি হল, —যারা বলে অর্থাৎ, নিজের লেখা নিজে দেখেই পড়ে, সেইসব লেখা শুনলে অন্যজনের লেখার মান সম্বন্ধে একটা ধারণা হবে। কারণ ক্লাসের মধ্যে সব ছেলের লেখা শোনার মতো সময় থাকে না। অবশ্য সুধীরবাবু সবার খাতা বাড়ি নিয়ে গিয়ে লেখাগুলি শুধরে দেন। এমন মেথড অবলম্বন করার এটি যুক্তি বলা যায়।

১০.৫ রচনা পড়ার সময় প্রফুল্লকে সুধীরবাবু থামিয়ে দিলেন কেন? তাঁকে তিনি কোন পরামর্শ দিলেন?
উত্তর : রচনা পড়ার সময় প্রফুল্লকে সুধীরবাবু থামিয়ে দেন কারণ পাতা দুই শোনার পর সুধীরবাবু প্রফুল্লকে ধমক দিয়ে বলেন, তিনি রচনা লিখতে বলেছেন। বই থেকে কপি করতে বলেননি। প্রফুল্ল আমতা আমতা করতেই সুধীরবাবু বলেন দে সরকারের বই থেকে হুবহু লিখে এনেছ। এটা ভালো কাজ নয়। কাল নতুন করে লিখে এনে দেবে। দু একখানা বই উলটে লিখলে সেই লেখার মান ভালো হয়—এই পরামর্শ সুধীরবাবু দিলেন।

১০.৬ ‘সুধীরবাবুর একটি মুদ্রাদোষ’—কী সেই ‘মুদ্রাদোষ’? কখনই বা এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল?
উত্তর : সুধীরবাবুর মুদ্রাদোষ’ হল ‘মনে থাকবে’ বারবার বলা। যখনই কাউকে কোনো বিষয় উপদেশ দেন, ছাত্ররা যদিও মন দিয়ে শোনে তবুও প্রতি কথার শেষে এই ‘মনে থাকবে' কথাটা মুদ্রাদোষ ব্যবহার করেন।

১০.৭ ‘তবেই রচনায় প্রকৃত সাহিত্যিক মূল্য আসবে।'—সুধীরবাবুর মতে কীভাবে একটি রচনা সাহিত্যিক মূল্যে অনন্য হয়ে ওঠে?
উত্তর : ‘তবেই রচনায় প্রকৃত সাহিত্যিক মূল্য আসবে।'—কথাটি সুধীরবাবু ক্লাসের ফার্স্টবয় প্রশান্তকে বলেছিলেন। তাঁর পরামর্শ হল লেখা মৌলিক হওয়া উচিত, নিজস্ব ভাব ও ভাষা থাকা উচিত, নিজের অভিজ্ঞতা থাকবে। শুধুমাত্র একটি বইয়ের ওপর নির্ভর করে লিখলে সেই লেখার প্রকৃত সাহিত্যিক মূল্য থাকে না।

১০.৮ ‘শুনছিস? স্রেফ আবোল তাবোল।'— হাবু ওরফে হাবুলচন্দ্রের রচনা পড়াকে প্রশান্তর ‘আবোল তাবোল' মনে হয়েছে কেন? তুমি কী এর সঙ্গে একমত?
উত্তর : হাবু ওরফে হাবুলচন্দ্রের রচনা পড়াকে প্রশান্তর ‘আবোল তাবোল’ মনে হয়েছে। কারণ প্রথমত হাবুল নিজের
লেখা দেখে পড়ছে না, মন থেকে বানিয়ে বলছে। ফলে পয়েন্ট দিয়ে বলা হচ্ছে না। একটা বিবরণ সে বলে চলেছে।
অবশ্য ‘বাংলাদেশে বর্ষাকাল’ রচনা স্বাভাবিক ভাবেই একটু দীর্ঘধর্মী। হাবুল যেহেতু মনে থেকে বলছে সুতরাং তার ভাষা এবং ভঙ্গিমা যদিও খুব সুন্দর কিন্তু বলতে বলতে কতটা দীর্ঘ হচ্ছে, ঠিকমতো পয়েন্ট অনুযায়ী বলছে কিনা, সেটি শোনার মধ্যে পড়ছে না। ফলে প্রশান্তর কথায় আমি এক মত হতে পারছি না।

১০.৯ ‘তাঁর কাছে রহস্য পরিষ্কার হয়ে গেল'—কোন রহস্যের কথা বলা হয়েছে? কীভাবে তার জট ছাড়ল?
উত্তর : হাবুলের রচনা পড়ার রহস্যটা সুধীরবাবু ধরতে পেরেছেন। হরিপদ প্রত্যেকের খাতা সংগ্রহ করতে গিয়ে যখন হাবুলের খাতা পায় না তখন তিনকড়ি হাবুলের ডেক্সের ওপর রবীন্দ্রনাথের ছবি দেওয়া খাতা নিয়ে সুধীরবাবুকে দেয়, সেটাই দেখে হাবুল পড়েছিল। অথচ রহস্যাটা হল সেটা বীজগণিত লেখা খাতা। তার মধ্যে রচনা নেই। সুধীরবাবু এতক্ষণে বুঝলেন, হাবুল মন থেকেই রচনাটা বলেছে। তার জন্য সে খাতা জমা দিতে চায়নি। পরের দিন ভালো করে লিখে আনবে বলেছে।

১০.১০ ‘না, এতটা বাড়াবাড়ি করা ঠিক হবে না।'—কার মনে এমন চিন্তার উদয় হল? সত্যিই কী তোমার সেই চিন্তাকে বাড়াবাড়ি মনে হয়?
উত্তর : সুধীরবাবুর মনে এই চিন্তার উদয় হল যে, হাবুলকে এতটা বাহবা দেওয়া ঠিক হবে না। হাবুল একটা বড়ো রচনা ‘বাংলাদেশে বর্ষাকাল’ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন থেকে বলে গেল কিন্তু । একটা নিয়মানুবর্তিতা আছে। সেটা রক্ষা করতে হয়। সুতরাং শুধুমাত্র বাহবা দেওয়া বা লেখা ভালো হয়েছে বলা ছাড়া অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়।

১০.১১ ‘তা সোজাসুজি স্বীকার করলেই পারতে’—সুধীরবাবু হাবুকে যে একথা বললেন, সেই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সুযোগ না থাকার জন্য তিনি নিজেই কতখানি দায়ী বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর : সুধীরবাবু হাবুকে বললেন যে, সোজাসুজি স্বীকার করলেই পারতে। সেটা হাবুর স্বীকার না করার জন্য সুধীরবাবুই তাকে স্বীকার করার অবসর দেননি কারণ হাবুর প্রতি তাঁর বিরাট আস্থা এবং সে ভালো ছেলে এটা সুধীরবাবুর মনে মনে জানা। তাই তিনি হাবুকে স্বীকার করতে দেননি।

১০.১২ গল্পে কঠোর মাস্টারমশাই সুধীরবাবুর মধ্যেও এক স্নেহপ্রবণ, নীতিনিষ্ঠ, আদর্শবাদী, প্রশ্রয়দাতা মানুষ লুকিয়ে
ছিল, আলোচনা করো।

উত্তর : ‘হাবুর বিপদ’ গল্পে লেখক অজেয় রায় কঠোর মাস্টার মহাশয় সুধীরবাবুর মধ্যেও এক স্নেহপ্রবণ, নীতিনিষ্ঠ,
আদর্শবাদী, প্রশ্রয়দাতা মানুষ লুকিয়েছিল, এটা সহজেই বোঝা যায়। হাবুল, প্রশান্ত সকলের প্রতিই সুধীরবাবুর স্নেহ রয়েছে। তিনি খাটেন। সুতরাং পড়াশুনায় ফাঁকি দেওয়াটা তিনি নীতিবিরুদ্ধ মনে সুধীরবাবু আদর্শবাদী কারণ নিজের শিক্ষকতা পেশাকে তিনি যথেষ্ট সমাদর করেন। ক্লাসের মধ্যে সম্পূর্ণ সময় ধরেই তিনি ছাত্রদের পড়া ধরা, নতুন পড়া বুঝিয়ে দেওয়া ইত্যাদি কাজগুলি নিজের আদর্শ বলে মনে করে থাকেন। সুধীরবাবুর মধ্যে এক প্রশ্রয়দাতা মানুষ লুকিয়েছিল কারণ স্কুলের নিয়মকানুন রক্ষা করতে তিনি বদ্ধ পরিকর হয়েও হাবুকে মনে মনে সাবাস জানাতে এবং শেষে হাবুলের লেখা খাসা হয়েছে বলার মধ্যে প্রশ্রয়ের ভাব লুকিয়েছিল।

১১. হাবু শ্রেণিকক্ষে যেভাবে নিজের মনে বানিয়ে চটজলদি রচনা বলে গেছে, এমন অসাধারণ গুণ। তোমরা খেলার সময় বন্ধুরা টুকরো টুকরো বিষয় নিয়ে এ ব্যাপারে চর্চা করতে পারো।
উত্তর : তোমরা নিজেরা এরকম রচনা লিখে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে দেখাতে পারো। নিজের মনে বানিয়ে চটজলদি রচনা বলার ক্ষমতা একটা অসাধারণ গুণ—এই গুণ অভ্যাস করার ব্যাপারে আমরা খেলার সময় টুকরো টুকরো বিষয় নিয়ে চর্চা করতে পারি। 


না পাহারার পরীক্ষা শঙ্খ ঘোষ


না পাহারার পরীক্ষা


না পাহারার পরীক্ষা বিষয়বস্তু :
পাঠ্য বইতে শঙ্খ ঘোষের ‘না পাহারার পরীক্ষা’ লেখাটি মিলিয়ে পড়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছে। পরীক্ষা দিতে আমাদের কারও ভালো লাগে না, ভয় করে। কিন্তু পরে এই পরীক্ষাটাই মজার হয়ে দাঁড়ায়। হেডমাস্টার মহাশয় একবার স্কুলে এসে বললেন হলঘরে পরীক্ষার সময় মাস্টার মহাশয়রা যে গার্ড সেজে ঘুরে বেড়ান সেটা পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে খুবই শেখার বিষয়। তিনি চেয়ারে বসে আছেন, আর মাঝে মধ্যে বলছেন ফিসফিস করো না। কখনও বা মাস্টার মহাশয়রা পাহারাদার হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অথবা ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছেন। কিন্তু হেডমাস্টার মহাশয় বললেন তোমাদের কী একটুও বিশ্বাস করা যাবে না?

আমরা তাঁর কথাটা এভাবে ভাবিনি। আমাদের মধ্যে যারা পরীক্ষার খাতায় টুকরো টুকরো কাগজ বের করে দেখে দেখে টোকে তাদের বিশ্বাস করা যাবে না কিন্তু এবার থেকে নিজেরাই নিজেদের পড়ে নিয়ে আসা লেখা লিখবে, নকল করবে না। ঘরে কোনো পাহারাদার শিক্ষক থাকবে না। একটা নতুন রকমের কাণ্ড ঘটতে চলেছে। একদিন পরীক্ষা এসে গেল। ছাত্রদের বিশ্বাস করা হচ্ছে, দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেই দায়িত্বের মর্যাদা দিতে হবে। ক্লাসঘরে গিয়ে ছাত্ররা বসেছে, তাদের প্রশ্ন দিয়ে মাস্টার মহাশয় চলে গেছেন। সকলেই লেখা শুরু করেছে। হৃদয় নামে একটি ছাত্র পড়াশুনা করে না, একেবারে পিছনের বেঞ্চে বসে। সে নিশ্চয় নকল করতে বসেছে।

কিছুটা সময় পার হতে সেই হৃদয় তর্জন করে বলছে, নিজের মতো করে লেখ। ঘাড় ঘোরাচ্ছিস কেন? হৃদয় আসলে ফাঁকা খাতা জমা দিয়েছে কিন্তু কারও লেখা দেখে টোকেনি বা নিজের লেখা এনে নকল করেনি। পরীক্ষায় সে ফেল করেছে। কিন্তু অল্প কিছুদিন পড়াশুনা করে স্কুলের শেষ পরীক্ষা দিতে নাটোরে গেল। তখন সেখানে শিক্ষক-প্রহরীরা বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, এই স্কুলের ছাত্ররা মুখ তোলে না, ফিসফিস করে না, নকল করে না। তখন এই ছোট্ট স্কুলের ছাত্ররাই মর্যাদা ভরা খুশিতে ভরে উঠেছিল।

স্নেহের ছাত্র-ছাত্রীরা তোমাদের এখান থেকে বড়ো প্রশ্ন পরীক্ষার মধ্যে আসে না। 


কিশোর বিজ্ঞানী অন্নদাশংকর রায়


কিশোর বিজ্ঞানী 


কিশোর বিজ্ঞানী বিষয়বস্তু :
কবি ‘অন্নদাশংকর রায় ছোটোদের উপযোগী যেসব বিজ্ঞানভিত্তিক জীবনীমূলক কবিতা লিখেছেন তাদের মধ্যে কিশোর বিজ্ঞানী অন্যতম। কিশোর বিজ্ঞানী বলতে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনকে কবি অন্নদাশংকর রায় বুঝিয়েছেন। কিশোর বেলায় নিউটনের খেলায় আগ্রহ ছিল না। ছুটি পেলেই তিনি সমুদ্রতটে গিয়ে প্রায় রাত পর্যন্ত হেঁটে বেড়াতেন আর নানা রঙের নকশা আঁকা ঝিনুক কুড়িয়ে কুড়িয়ে সংগ্রহ করতেন। তাঁর কাছে তখন সেগুলি রত্ন মনে হত।

যখন বিজ্ঞানী বড়ো হলেন তখনও একই রকমভাবে ঝিনুক কুড়িয়েছেন। জ্ঞানের সাগর বেলায় সেই ঝিনুক বিদ্যারত্ন, হেলায় কেউ সেই বিদ্যারত্নকে মাড়িয়ে যেতে পারে না। বিজ্ঞানী যখন বৃদ্ধ হয়েছেন তখন লোকে তাঁর জীবনের বাণী শুনতে চেয়েছে। নিউটন বলেছেন, আমি জ্ঞান সাগরের তীরে সারা জীবন ঘুরে বেড়ালাম। এই মহাবিশ্বের রত্ন ভরা জ্ঞানের মাত্র কয়েক মুঠিরত্ন অর্থাৎ, ঝিনুক কুড়িয়ে গেলাম।

🖉 হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর :
১.১ অন্নদাশংকর রায় প্রথম জীবনে কোন ভাষায় সাহিত্য করতেন?
উত্তর : আন্নদাশংকর রায় প্রথম জীবনে ওড়িয়া ভাষায় সাহিত্য রচনা করতেন।
১.২ তাঁর লেখা দুটি ছোটোদের ছড়ার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : তাঁর লেখা দুটি ছোটোদের ছড়ার বইয়ের নাম উড়কি ধানের মুড়কি, রাঙা ধানের খই
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ কিশোরের মন লাগে না কীসে?
উত্তর : কিশোরের খেলায় মন লাগে না।
২.২ কখন কিশোর মন সমুদ্দুরের বেলায় যেতে চায়?
উত্তর : ছুটি পেলেই কিশোর মন সমুদ্দুরের বেলায় যেতে চায়।
২.৩ অনুসন্ধিৎসু কিশোরটি সাগরবেলায় কী কুড়িয়ে তোলে?
উত্তর : অনুসন্ধিৎসু কিশোরটি সাগরবেলায় নানা রঙের নকশা আঁকা ঝিনুক কুড়িয়ে তোলে।
২.৪ কোন পারাবারকে ‘অনন্তপার’ বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘জ্ঞান পারাবারকে’ অনন্তপার বলা হয়েছে।
২.৫ দুজন প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম লেখো।
উত্তর : দুজন প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়।

৩. কবিতা থেকে বিপরীত শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো :
উত্তর : ‘জ্ঞান পারাবারকে’ অনন্তপার বলা হয়েছে।
আলো—আঁধার, ছোটো—বড়ো, এখানে—সেখানে, তখন—এখন।
৪. প্রতিটি শব্দকে পৃথক অর্থে আলাদা বাক্যে প্রয়োগ করো : 
সুধায়, পুরী, বেলা, হেলা, ভরা।
উত্তর : সুধায় (অমৃত)—জীবনদায়ী ওষুধ সুধায় ভরা হয়ে থাকে।
পুরী (স্থানবিশেষ)—পরীক্ষায় আমি পুরী ভ্রমণ রচনাটি সুন্দরভাবে লিখেছি।
বেলা (সময়)—যাবার বেলা কাউকে পিছনে ডাকতে নেই।
হেলা (ঝোঁকা)—পুকুরপাড়ে বটগাছের একটা অংশ জলের ওপর হেলে পড়েছে।
ভরা (আনন্দ দান)—মেয়েটির মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন দেখে মন ভরে গেল।

৫. আবিষ্কারের গল্পগুলির পাশে পাশে আবিষ্কারকের নাম উল্লেখ করো এবং তাঁদের সম্পর্কে আরও জানার চেষ্টা করো : ঘড়ি, এরোপ্লেন, রেডিও, দূরবিন, টেলিভিশন।
আবিষ্কার আবিষ্কারক দেশ
ঘড়ি লিংস্যান ১৭২৫ খ্রিঃ চিন
এরোপ্লেন রাইট ভ্রাতৃদ্বয় ১৯০৩ খ্রিঃ আমেরিকা
রেডিও জগদীশ বসু, মার্কনি ১৮৯৫ খ্রিঃ ইতালি
দুরবিন গ্যালিলিয়ো গ্যালিলি ১৬০৮ খ্রিঃ ইতালি
গ্যালিলিয়ো গ্যালিলি ১৬০৮ খ্রিঃ জন বেয়ার্ড ১৯২৬ খ্রিঃ ইংল্যান্ড


৬. ছুটি পেলে তোমার মন কী করতে চায় পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : ছুটি পেলে সকালবেলা আমি নদীর ধারে যাব আর একটি গাছের ছায়ায় বসে সূর্য ওঠা দেখব। সারাদিন ধরে
নদীর ঢেউ, নদীতে আসা পাখি, তাদের মাছ ধরা, নৌকোর যাতায়াত সব দেখব আর মনে মনে তাদের সঙ্গে যোগ
দেব। যদি কোনো মাঝিকে পাই তাহলে তার সঙ্গে নৌকায় চড়ে গল্প করতে করতে ঘুরে বেড়াব। সারা দুপুর নৌকোয়
করে এখানে-ওখানে ঘুরে নদীর দুই পার, পাড়ের জঙ্গল, জনবসতি দেখব। নদীতে কোথায় কোথায় গেলে কী কী
দেখা যায়, কোথায় কোন্ পাখি আসে, কোথায় কী মাছ পাওয়া যায়, সেইসব মাঝির কাছে শুনব। দিনের শেষে নদী,
মাছ, পাখি, গাছপালা এবং আমার নৌকার মাঝিকে সেই দিনের মতো বিদায় জানিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে আসব।




 ৮. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর দাও :
৮.১ পাঠ্য ছড়াটির প্রথম পঙ্ক্তিটি শুরু হয়েছে ‘এক যে ছিল কিশোর...’—এইভাবে। সাধারণত কোন ধরনের রচনা
এভাবে শুরু হয়ে থাকে? সেই ধরনের রচনার বিষয়ের সঙ্গে ছড়াটির বিষয়গত সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য আলোচনা করো।

উত্তর : জীবনীমূলক, কাহিনিমূলক, বর্ণনামূলক কোনো কিছু লিখতে গেলে ‘এক যে ছিল’ এইভাবে শুরু করতে হয়।
সেই বিষয়ের সঙ্গে ছড়াটির সাদৃশ্য হল উল্লিখিত মনীষীর জীবনী, বাণী ইত্যাদি থাকে। সেই ধরনের রচনার বিষয়ের সঙ্গে বৈসাদৃশ্য হল প্রকৃতির কোনো গাছপালা ইত্যাদির সঙ্গে কোনো জীবনী থাকলে জীবনীর কর্মপ্রবাহ এবং অবদানের মধ্যে তফাত দেখা যায়।

৮.২ ‘মন লাগে না খেলায়'— কার খেলায় ‘মন লাগে না’? কিশোরেরা সাধারণত কোন ধরনের খেলাধুলো করে থাকে? তার পরিবর্তে ছড়ার কিশোরটি কী করতে পছন্দ করত?
উত্তর : বিজ্ঞানী নিউটনের ছোটোবেলায় খেলায় মন লাগে না। কিশোরেরা সাধারণত ফুটবল, ক্রিকেট, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলাই খেলে থাকে। এর পরিবর্তে ছড়ার কিশোরটি সমুদ্রকূলে শুধু রং বেরং-এর ঝিনুক কুড়িয়ে বেড়ায়। এটাই তার খেলা।

৮.৩ ‘এক একটি রতন যেন/নাই বা কেউ চিনুক।'—কোন জিনিসকে রত্নের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে? কেনই বা
এধরনের তুলনা? তাকে চেনা বা না চেনার প্রসঙ্গই বা এল কেন?

উত্তর : রংবেরং-এর ঝিনুককে রত্নের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এই তুলনার কারণ হল কিশোর বয়সে ঝিনুকের মধ্যে রত্ন খুঁজে বেড়ানো এবং পরিণত বয়সে মহাবিশ্বের জ্ঞানসমুদ্রে বিদ্যারত্নকে খুঁজে বেড়ানো। কিশোর বয়সে কিশোর বিজ্ঞানী নিউটন ঝিনুক কুড়িয়ে বেরিয়েছেন কিন্তু সেই ঝিনুকের মধ্যে তিনি গুণগত মানকে চিনতেন না। পরে মহাবিশ্বের জ্ঞানসাগরে বহুবিধ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে সেই বিদ্যারত্নকে তিনি খুঁজে পেয়েছেন।

৮.৪ সেদিনের কিশোরটি পরিণত বয়সে উপনীত হলে তাকে কী করতে দেখা যায় ?
উত্তর : সেদিনের কিশোরটি পরিণত বয়সে বিজ্ঞানী নিউটন হিসেবে খ্যাত হয়েছেন। তিনি পদার্থ, বল, চাপ, মহাকর্ষ, পৃথিবী ইত্যাদি বিষয়ে বহু আবিষ্কার করে গ্রন্থ রচনা করেছেন।

৮.৫ ‘ঝিনুক কুড়োয়/জ্ঞানের সাগরবেলায়'—অংশের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : যে কিশোর সমুদ্রবেলায় ঝিনুক কুড়িয়ে বেরিয়েছে সেই কিশোর পরিণত বয়সে জ্ঞানের সাগরবেলায় মহাবিশ্বের অনেক রত্ন বিশেষ ঝিনুক কুড়িয়েছেন। সেইসব ঝিনুককে চিনেছেন, তাদের নিয়ে গবেষণা করেছেন। অনেক গবেষণা মূলক গ্রন্থ রচনা করেছেন।

৮.৬ ‘বৃদ্ধ এখন, সুধায় লোকে’—কে এখন ‘বৃদ্ধ’? লোকে তাকে কী জিজ্ঞেস করে? তাদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি কী বলেন?
উত্তর : বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন তখন বৃদ্ধ হয়েছেন। সেইসময় লোকে অর্থাৎ, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্র শিক্ষাবিদ পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাস করত, তাঁর দীর্ঘ জীবনের বাণী কী? তাদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলতেন,আমি সারাজীবন ধরে মহাবিশ্বের জ্ঞানসমুদ্রে কয়েকটি মাত্র নুড়ি কুড়িয়ে গেলাম ।

৮.৭ ছড়াটিতে যে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীর প্রসঙ্গ রয়েছে, বিজ্ঞানশাস্ত্রে তাঁর অবদান সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তর : বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনের প্রসঙ্গ এই ছড়াটিতে রয়েছে। স্যার আইজ্যাক নিউটন ১৬৪২ খ্রিঃ জন্মগ্রহণ করেন। এই বিশ্ববিখ্যাত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী নিউটনকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলা হয়। আধুনিক বিজ্ঞানের জনক হিসেবে নিউটন বিশেষ পরিচিত। তিনি একাধারে পদার্থবিদ, গণিতজ্ঞ ও জ্যোতির্বিদ। তাঁর প্রধান আবিষ্কার হল মহাকর্ষ তত্ত্ব, গতিসূত্র এবং আলোর কণাবাদ। তাঁর প্রধান গ্রন্থের নাম প্রিন্সিপিয়া। এই শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ১৭২৭ খ্রিঃ দেহত্যাগ করেন।

ননীদা নট আউট


ননীদা নট আউট 


🖉 হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর :
১.১ মতি নন্দীর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো। 
উত্তর : মতি নন্দীর লেখা দুটি বইয়ের নাম কোনি, স্ট্রাইকার।
১.২ তিনি কোন ক্রিকেটারের জীবনকথা লিখেছেন?
উত্তর : তিনি ক্রিকেটের একচ্ছত্র সম্রাট ডন ব্র্যাডম্যানের জীবনকথা লিখেছেন।
২. নীচের শব্দগুলির বর্ণ বিশ্লেষণ করে মৌলিক ও যৌগিক বর্ণগুলিকে ছকের ঠিক ঠিক ঘরে বসাও :
তৈরি, পৌঁছোবার, দৌড়ানো, চৌধুরি।


৩. নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণ ও বিশেষণগুলিকে বিশেষ্য রূপান্তরিত করে লেখো :
খেলা, জবাব, অপমানিত, বিষণ্নতা, উদ্ভব।
বিশেষ্য বিশেষণ
খেলা খেলা
জবাব জবাবি
অপমান অপমানিত
বিষণ্ন বিষণ্নতা
উদ্ভব উদ্ভূত

৪. চার, পাঁচ, এগারো, পঁচিশ, তিরিশ—এই শব্দগুলিকে ব্যাকরণগত ভাবে আমরা কী বলি? এদের পূরণবাচক
রূপটি লেখো
উত্তর : চার, পাঁচ, এগারো, পঁচিশ, তিরিশ—এই শব্দগুলিকে ব্যাকরণগত ভাবে আমরা সংখ্যাবাচক শব্দ বলি। এদের পূরণবাচক রূপটি হল—চতুর্থ, পঞ্চম, একাদশ, পঞ্চবিংশ, ত্রিংশ।
৫. নীচের শব্দগুলি থেকে উপসর্গ পৃথক করে দেখাও এবং তা দিয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে লেখো :
উত্তর : প্রতিশব্দ—প্রতি/প্রতিকার, হাফ-ডে—হাফ/হ্যাফপ্যান্ট,  অতুল—অ/অবুঝ, বেফিকির—বে/বেহিসেবি।
৬. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৬.১ রুপোলি সংঘের সঙ্গে কাদের খেলা হয়েছিল?
উত্তরঃ রুপোলি সংঘের সঙ্গে সিসিএইচ দলের খেলাহয়েছিল।
৬.২ খেলাটিতে ক্যাপ্টেন কে ছিলেন?
উত্তর : খেলাটিতে ক্যাপ্টেন ছিলেন মোনাদা?
৬.৩ সি সি এইচ-এর খেলোয়াড়দের মুখ ম্লান হয়েছিল কেন?
উত্তর : ১৪ রানে সবাই আউট হয়ে যেতে সি সি এইচ-এর খেলোয়াড়দের মুখ ম্লান হয়েছিল।
৬.৪ বোলিং ক্রিজে পৌঁছোবার আগে বিষ্টু কী কাণ্ড করেছিল?
উত্তর : বোলিং ক্রিজে পৌঁছোবার আগে বিষ্টু প্রথমে পিছিয়ে গেল তারপর গোল হয়ে ঘুরতে শুরু করল।
৬.৫ ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছাড়ছিল না কেন?
উত্তরঃ বোল্ড হয়ে যাওয়ার ভয়ে ব্যাসম্যান ক্রিজ ছাড়ছিল না।
৬.৬ ফিল্ডাররা মাঠে কী করছিল?
উত্তর : ফিল্ডাররা মাঠে কেউ শুয়ে, কেউ বসে ছিল।
৬.৭ সবার মুখ যখন ম্লান তখন ননীদার মুখে কোনো বিকার ছিল না কেন?
উত্তর : সবার মুখ যখন ম্লান তখন ননীদার মুখে কোনো বিকার ছিল না, কারণ ননীদা নিজেদের সম্মান রক্ষা করতে খেলা ড্র করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন।

৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৭.১ ‘এটাকে শিবরাম চক্রবর্তীর লেখা গল্প বলেই ধরে নিতাম।'—বক্তার এহেন মন্তব্যের কারণ কী? শিবরামের
গল্পের কোন বিশেষত্বের গুণে তাঁর এমন মন্তব্য?
উত্তর : লেখক মতি নন্দী বলছেন যে, দুটি দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই-এর গল্প এই খেলার ক্যাপ্টেন মোনাদা পরিচয় দিয়েছেন। সেই জন্যই লেখক তা বিশ্বাস করেছেন নচেৎ ক্রিকেট খেলায় উভয় দলকে ড্র করার অবাস্তব ক্রিয়াকলাপ শিবরাম চক্রবর্তীর লেখা গল্প বলেই তিনি ধরে নিতেন। শিবরাম চক্রবর্তী বাংলা সাহিত্যে একজন খ্যাতনামা শিশু সাহিত্যিক। তিনি বিভিন্ন অবাস্তব ঘটনার সঙ্গে রং-রস একত্র করে শিশুদের মন আকর্ষণ করেন।

৭.২ ‘সারা মাঠ অবাক, শুধু ননীদা ছাড়া।'—সারা মাঠকে অবাক করে দেওয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেছিল?
ননীদা সেই ঘটনায় অবাক হলেন না কেন?
উত্তর : রুপোলি সংঘের সঙ্গে সি সি এইচ-এর খেলায় সি সি এইচ প্রথম ব্যাট করে ১৪ রানে সবাই আউট হয়ে যায়। এরপর রুপোলি সংঘ ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না পড়ে ১৪ রান হওয়ার পরেই ননীদা বোলার অতুল মুখুজ্জের পরিবর্তে বিষ্টুকে বল করতে পাঠান। বিষ্টু ননীদার কথামতো গুনে গুনে ছাব্বিশ কদম এগিয়ে মাটিতে বুটের ডগা দিয়ে বোলিং মার্ক কেটে পিছু হটতে শুরু করল। তারপর গোল হয়ে ঘুরতে লাগল। বিষ্টুর এই অদ্ভুত কাণ্ড দেখে সারা মাঠের দর্শক অবাক হল। বিষ্টুর এই অদ্ভুত খেলা ননীদার নির্দেশে পরিচালিত হওয়ায় সকল দর্শক অবাক হলেও একমাত্র ননীদা বল করতে দিয়ে বিষ্টুর কাণ্ড দেখে একটুও অবাক হলেন না।

৭.৩ ‘যখন খেলা শেষ হয়ে যাবে।'—খেলা শেষের পর কোন ঘটনা ঘটবে?
উত্তর : ক্রিকেট খেলা শেষ হওয়ার পর আম্পায়ারকে ঘিরে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ননীদা তৈরি দূরত্ব থেকে ছুটে এসে বল করবে সে সম্পর্কে কিছুই লেখা নেই। সারাদিন সে ছুটতে পারে বল ডেলিভারি দেওয়ার আছেন। তিনি পকেট থেকে ক্রিকেট খেলার নিয়মকানুনের বই বের করে দেখিয়ে দেবেন, একজন বোলার কতখানি আগে পর্যন্ত।

৭.৪ 'ক্রিকেট আইনের বই বার করে দেখিয়ে দিলেন... - তোমার জানা ক্রিকেটের কিছু আইন যোগ করো। সঙ্গে অন্য কোনো ঘরের বাইরের খেলার আইনকানুনও যোগ করতে পারো।
উত্তর : ইংল্যান্ডের এম সি সি ক্লাবের প্রচলিত আইনকানুনের দ্বারাই বিশ্বের সর্বত্র খেলা নিয়ন্ত্রিত হয়। ক্রিকেটে দুই
দলের প্রত্যেকটিতে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকে। পালা অনুযায়ী একদল ব্যাটিং ও একদল ফিল্ডিং করে। টসে যে
দল জেতে, সেই দল ইচ্ছেমতো ব্যাটিং বা ফিল্ডিং বেছে নিতে পারে। এই খেলায় অধিনায়কের যোগ্যতা ও গুরুত্ব বেশি। মাঠের মাঝখানে পরস্পরের মুখোমুখি এবং সমান্তরালভাবে উইকেট পুঁততে হয়। প্রত্যেক দিকের উইকেটে তিনটি করে স্ট্যাম্প থাকতে হবে। দুদিকে স্ট্যাম্পের মধ্যে ব্যবধান থাকবে ২২ গজ। উইকেট চওড়ায় ৯ ইঞি হবে এবং মাটি থেকে প্রত্যেকটি স্ট্যাম্পের উচ্চতা হবে ২৮ ইঞ্জি। উইকেটের ওপর প্রায় সাড়ে চার ইঞ্চি লম্বা করে বেল থাকবে। বেলসহ স্ট্যাম্পের উচ্চতা সাড়ে চার ইঞ্চির বেশি হলে চলবে না। বলের ওজন সাড়ে পাঁচ থেকে প্রায় ছয় আউন্সের মধ্যে হওয়া চাই। বলের পরিধি ৯ ইঞ্চির বেশি হলে চলবে না।

উইকেটের উভয় দিকের স্ট্যাম্পগুলির থেকে বোলিং লাইনে ৮ ফুট লম্বা ‘বোলিং ক্রিজ’ হবে। বোলিং ক্রিজের সঙ্গে সমান্তরালভাবে ৪ ফুট পপিং ক্রিজ টানতে হবে। এই পপিং ক্রিজের দৈর্ঘ্য অন্তত ৬ ফুট হতে হবে। এই খেলায় পিচের গুরুত্ব সর্বাধিক। দুই দিকের মিডল স্ট্যাম্প থেকে দুই দিকে আড়াই ফুট করে মোট ৫ ফুট চওড়া। যে জায়গা দুই বোলিং ক্রিজের মধ্যে পড়ে তাকে ‘পিচ’ বলে। পিচ তৈরির সমস্ত দায়িত্ব আম্পায়ারদের। খেলা চলাকালীন দুই অধিনায়কের সম্মতি ছাড়া ‘পিচ’ বদলানো যাবে না।

ক্রিকেট খেলায় যে দল বেশি রান করতে পারে, সেই দল বিজয়ী হয়। যে দল ব্যাট করবে, সেই দলের দুজন ব্যাটসম্যান দুদিকের উইকেটে দাঁড়াবে। ব্যাটসম্যানের মারা বল মাটি স্পর্শ করে সীমারেখার বাইরে চলে গেলে বাউন্ডারি হয় এবং ব্যাটসম্যান ও তার দল ৪ রান পায়। একইভাবে কোনো বল মাটি স্পর্শ না করে মাঠের বাইরে চলে গেলে ওভার বাউন্ডারি হয়। সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান ও তার দল ৬ রান পায়। একই ইনিংসে কোনো বোলার পরপর দু ওভার বল করতে পারে না। সাধারণত ৬টি বলে একটি ওভার হয়। নিয়মানুযায়ী বল না করলে আম্পায়ার তাকে ‘নো-বল’ হিসেবে গণ্য করেন। নো-বল খেলে রান করলে তা ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত রানের সঙ্গে যোগ হবে অথবা এক্সট্রা হিসেবে দলের রানের সঙ্গে যুক্ত হয়।

যে দল ফিল্ডিং করবে, তাদের বোলার ও উইকেট-কিপার ছাড়া ৯ জন খেলোয়াড় বোলার বা অধিনায়কের নির্দেশিত স্থানে দাঁড়াবে। ক্রিকেট দুটি ইনিংসে খেলতে হয়। দুটি ইনিংস মিলে যে দল বেশি রান করবে, তারাই জয়ী ঘোষিত হবে। যে দল শেষে ব্যাট করবে তারা জয়ী হলে, তাদের যে কয়টি উইকেট তখনও পড়তে বাকি থাকবে, তারা তত উইকেটে জয়লাভ করবে। ক্রিকেটে ‘ফলো অন’ বলে একটা কথা আছে। পাঁচ বা বেশি দিনের খেলায় প্রথম ব্যাটধারী দল যদি বিরোধী দল অপেক্ষা প্রথম ইনিংসে ২০০ রানে এগিয়ে থাকে এবং তারপর তৃতীয় ও চতুর্থ দিনের খেলায় ১৫০ রানে ও দুদিনের খেলায় ১০০ রানে এগিয়ে থাকে, তাহলে প্রথম ব্যাটধারী দল তাদের বিরোধী পক্ষকে আবার ব্যাট নিতে বাধ্য করতে পারে। একেই ‘ফলো অন’ বলে।

৭.৫ ‘আম্পায়ারকে ঘিরে তর্কাতর্কি শুরু হল।'—আম্পায়ারকে ঘিরে তর্কাতর্কি শুরু হয়েছিল কেন? মাঠে চূড়ান্ত
অস্থিরতার সময় ননীদা কেমন ভূমিকা নিলেন?
উত্তর : খেলার মাঠে আম্পায়ারকে ঝিরে তর্কবিতর্ক শুরু হয়েছিল কারণ সি সি এইচ প্রথমবার ব্যাট করে ১৪ রানে সবাই আউট হয়ে যায়। এরপর সি সি এইচ দলের ননীদা খেলাটি ড্র করার সিদ্ধান্ত নেয়। রুপোলি সংঘের বিরুদ্ধে বিষ্টুকে ক্রিজে বল করতে পাঠান। বিষ্টু বল করতে গিয়ে এক অদ্ভুত ঘটনার সৃষ্টি করে। বিষ্টু বল হাতে উইকেটের দিকে দৌড়ে এসে আবার পিছু হটতে শুরু করে। তারপর গোল হয়ে ঘুরতে শুরু করে।

রুপোলির ব্যাটসম্যান বোলারকে এভাবে বল হাতে ছুটতে দেখে কারণ জিজ্ঞাসা করায় ননীদা উত্তর দেন যে, বোলার বল করতে আসছে। তবে বল করতে এসে পৌঁছোবে কখন জিজ্ঞাসা করলে ননীদা পুনরায় বলেন পাঁচটার পর যখন খেলা শেষ হবে। এই ধরনের অদ্ভুত কথা শুনে খেলোয়াড়রা আম্পায়ারকে ঘিরে তর্কাতর্কি শুরু করে। মাঠে চূড়ান্ত অস্থিরতার সময় ননীদার ভূমিকা ছিল স্বাভাবিক, শান্ত। তিনি বিষ্টুকে বোলার হিসেবে পাঠিয়ে খেলাটি পরিচালনার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

৭.৬ ‘নতুন এক সমস্যার উদ্ভব হল।'—উদ্ভুত নতুন সমস্যাটি কী?
উত্তর : ক্রিকেট খেলা পাঁচটার সময় শেষ হওয়ার কথা। বিষ্টু একভাবে বল নিয়ে দৌড়ে চলেছে। ঠিক পাঁচটা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে নতুন এক সমস্যর উদ্ভব হল। খেলার সময় বিষ্টু বল ডেলিভারি দেওয়ার জন্য ছুটছে; তার মাঝখানে খেলা শেষ করা যায় কিনা এই নিয়ে দুই আম্পায়ার আলোচনা করে ঠিক করছেন হঠাৎ মাঝখানে খেলা শেষ করা সম্ভব নয় কেননা একটা বেআইনি হবে। তখনও বিষ্টু পাক দিয়ে দিয়ে দৌড়ে যেতে লাগল। দর্শকদের মধ্যে অনেকে বাড়ি চলে গেল। আবার, অনেক লোক খেলার খবর পেয়ে দেখতে এলো। ধীরে ধীরে অন্ধকার নেমে এলো।

৭.৭ ‘এরপর বিষ্টু বল ডেলিভারি দিল।'—বল ডেলিভারির আগে বিষ্টু যা যা ঘটনা ঘটায় তা বিবৃত করো।
উত্তর : বিষ্টু সি সি এইচ দলের একজন ব্যাটসম্যান। কিন্তু ননীদা ১৪ রানে সমস্ত উইকেট আউট হলে ‘ম্যাচ ড্র’ করে খেলা শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো তিনি ব্যাটসম্যান বিষ্টুকে বোলার হিসেবে মাঠে ডেকে নেন। ননীদার কথা মতো বিষ্টু গুনে গুনে ছাব্বিশ কদম গিয়ে মাটিতে বুটের ডগা দিয়ে বোলিং মার্ক কেটে তারপর উইকেটের দিকে ছুটতে শুরু করল। বোলিং ক্রিজে পৌঁছোবার আগে পিছনে গিয়ে আবার গোল ভাবে ঘুরতে শুরু করে। সে ঘুরছে, পাক খাচ্ছে আবার ঘুরছে, বোলিং মার্ক করে ফিরে আবার ডাইনে যাচ্ছে বাঁয়ে যাচ্ছে। তার হাতে বল আছে। ননীদার নির্দেশে বিষ্টু পাঁচটা বাজার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত ওইভাবে হাতে বল নিয়ে সময় কাটিয়ে ঠিক পাঁচটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে বল ডেলিভারি দিল।

৭.৮ ‘চটপট মঞ্জুর হয়ে গেল।'—কোন আবেদন মঞ্জুর হয়ে গেল? আবেদনকারী কে ছিলেন? তার এমন আবেদনের কারণ কী ছিল?
উত্তর : খেলায় আলোর অভাব এই আবেদন মঞ্জুর হয়ে গেল। আবেদনকারী ছিলেন ননীদা স্বয়ং। রুপোলি সংঘের সঙ্গে সি সি এইচ-এর ক্রিকেট ম্যাচ। সি সি এইচ দলটি প্রথম ব্যাট করে ১৪ রানে সবাই আউট হয়ে যায়। এবার রুপোলি দল মাঠে নামে। ননীদা যেনতেন উপায়ে ম্যাচটি ড্র করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই কারণেই নানা অজুহাতে আম্পায়ারদের কাছে আবেদন করছেন।

৭.৯ ‘তারা কেউ এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে খুব বেশি প্রশ্ন তুলবে না।'—কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে? সে ঘটনা
সত্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে কেন বলে বক্তার মনে হয়েছে? পাঠ্যাংশটি পড়ে তোমার মনে জাগা প্রশ্নগুলি লেখো।
উত্তর : রুপোলি সংঘের সঙ্গে সি সি এইচ-এর ক্রিকেট খেলায় ম্যাচটি ড্র হওয়ার ঘটনাটি এখানে বলা হয়েছে।
বক্তা এখানে লেখক মতি নন্দী। এই ক্রিকেট ম্যাচের ঘটনার কথা মোনাদার কাছে শুনেছেন। লেখকের মনে হয়েছে,
অনেক ক্ষেত্রে মোনাদা অতিরঞ্জিত করে ম্যাচটির পরিচয় দিয়েছেন যা শেষ মুহূর্তে ননীদার পরিচালনায় ড্র হয়েছে।
‘ননীদা নট আউট’ মতি নন্দীর লেখা এই গল্পটি পড়ে আমার মনে হয়েছে, এটি কিশোরদের একটি উপযোগী গল্প
যা কখনোই বাস্তবে সম্ভব নয়। আর আইনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে বোঝা যায় আইনের খাতা কলমে যা
 লেখা থাকে বাস্তবে তা কাজে লাগানোর সময় অনেক কিছু নিজেদের মতো করে তৈরি করে নিতে হয়। আইনের
খাতায় লেখা নেই বলেই যে সারাদিন ধরে একজন বোলার বল নিয়ে ছুটে যাবে এটা হতে পারে না। এই গল্পের
ননীদা নট আউট হওয়ার এটাই বিশেষত্ব।

বইপড়ার কায়দা-কানুন

বই পড়ার কায়দা কানুন


বইপড়ার কায়দা-কানুন : প্রশ্ন ও উত্তর প্র্যাকটিস
১. অধ্যায় বা Chapter কাকে বলে ?
উত্তর : অধ্যায় হল বই-এর মূল অংশ যেখানে বইটি যে বিষয় নিয়ে লেখা তা পরপর কতকগুলি নির্দিষ্ট ভাগে ভাগ করে (Chapter)।

২. বই-এর মধ্যে তার প্রকাশকের নাম কোথায় থাকে?
উত্তর : বই এর আখ্যাপত্র বা Title Page-এর নীচের দিকে প্রকাশকের নাম থাকে।

৩. বই বাঁধাই কী ধরনের হয়?
উত্তর : বাঁধাই হিসেবে বই হয় দু-রকম—বোর্ড বাঁধাই আর পেপারব্যাক। যাতে সব মানুষ বই কিনতে পারেন সে জন্য বই-এর দাম কম রাখার উদ্দেশ্যে একই বই পেপারব্যাক সংস্করণ হিসেবে প্রকাশ করা হয়। কারণ পেপারব্যাক সংস্করণের পাতা বা ছাপা কিছুটা সাধারণ মানের হয়। বোর্ড বাঁধাই অনেক বেশি টেকসই হয় কারণ তাতে ভালো পাতা, ভালো ছাপা যেমন থাকে তেমনি তার বাঁধা খুব ভালো হয়, ফলে সহজে ছেঁড়ে না।

৪. বইকে কতভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : বইকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যেমন—সাধারণ বই আর আকরগ্রন্থ বই বা রেফারেন্স বই। পাঠ্য বই বা গল্প, কবিতা নাটকের বই এগুলোকে সাধারণ বই-এর ভাগে রাখা যায়। আকরগ্রন্থ বা রেফারেন্স বই কিন্তু একেবারে আলাদা। নির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানতে রেফারেন্স বই ব্যবহার করতে হয়।

৫. অভিধান কী করে দেখতে হয়?
উত্তর : অভিধান দেখা খুব সহজ। ঠিক যেমন করে আমরা বর্ণমালায় অ-আ-ই-ঈ পাই তেমনি অভিধানে অ-দিয়ে
শব্দ আগে সাজানো থাকবে, তারপরে আসবে আ-দিয়ে শব্দগুলো। অ-দিয়ে যত শব্দ আছে, সেগুলোও কিন্তু ওই
একই নিয়মে অ-এর মধ্যে সাজানো থাকবে। এভাবে অ থেকে হ পর্যন্ত যত শব্দ আছে সবগুলো পরপর থাকবে
আর পাশে থাকবে শব্দের অর্থ।

৬. কত ধরনের অভিধান আছে?
উত্তর : প্রতি ভাষায় অভিধান আছে। বাংলা থেকে বাংলা, বাংলা থেকে ইংরেজি, ইংরেজি থেকে বাংলা, ইংরেজি
থেকে ইংরেজি, সংস্কৃত থেকে বাংলা, হিন্দি থেকে বাংলা ইত্যাদি। আবার, এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় তর্জমার অভিধানও আছে। যেমন ফরাসি থেকে জার্মান, উর্দু থেকে বাংলা। নানারকম ভাষার আলাদা অভিধান পাওয়া যায়। এ ছাড়াও সাহিত্যাভিধান, ইতিহাস অভিধান, ব্যাকরণ অভিধান প্রভৃতি নানা ধরনের অভিধানও হয়।


Tags: class 6 bengali chapter 1 question answer,class 6 bengali chapter 1,class 6 bengali chapter 2 question answer,class 6 bengali chithi question answer,class six bangla cement,class 6 bengali chapter 3 question answer,class 6 bengali chapter 5 question answer, class 6 bengali chapter 10 question answer,class 6 bengali chapter 2,class 6 science chapter 1 question answer bangla, class 6 science chapter 1 bangla,class 6 chapter bangla,bangla charupath class 6 pdf 2022,class 6 science chapter 6 bangla, class 6 bengali dharatal,class 6 bangla book download,class 6 bangla guide download,class 6 bangla book 2021 pdf download,class 6 math book pdf download bangla,class 6 er bangla book,class 6 bengali exam,class 6 bangla final pariksha,class 6 bangla final exam,class 6 bengali faki question answer,class 6 bengali final exam question paper 2022,class 6 bengali final exam,class 6 bengali final exam question answer,

No comments

Hi Welcome ....