Class 7 Poribesh o Bigyan Chapter 1 Question Answer Practice ক্লাস সেভেন এর বিজ্ঞান | অধ্যায় ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর প্র্যাকটিস সে...
Class 7 Poribesh o Bigyan Chapter 1 Question Answer Practice
ক্লাস সেভেন এর বিজ্ঞান | অধ্যায় ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর প্র্যাকটিস সেট
Direct Table Click Answer
1. ভৌত পরিবেশ ☟
❐ আরো পড়ুনঃ
(i) তাপ : প্রশ্ন উত্তর প্র্যাকটিস সেট
❍ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
প্রশ্ন. সব বস্তুতেই উন্নতা — থাকে/থাকে না/থাকতেও পারে, নাও পারে।
উত্তর : থাকে।
প্রশ্ন. তাপ পরিমাপ করার যন্ত্র হল—থার্মোমিটার/ব্যারোমিটার/হাইগ্রোমিটার/ক্যালোমিটার।
উত্তর : ক্যালোরিমিটার।
প্রশ্ন. সমস্ত বস্তুর মধ্যেই তাপ—আছে/নেই/থাকতে পারে, নাও থাকতে পারে।
উত্তর : আছে।
প্রশ্ন. একটি লোহার বলকে কয়লার উনুনে কিছুক্ষণ রাখলে বলটির ভর—কমে যাবে/একই থাকবে/বেড়ে যাবে।
উত্তর : একই থাকবে।
প্রশ্ন. তাপ কী?
উত্তর : তাপ এক প্রকার শক্তি, যা গ্রহণে বস্তু গরম হয় এবং বর্জনে বস্তু ঠান্ডা হয়।
প্রশ্ন. উষ্ণতা কী?
উত্তর : উষ্ণতা হল তাপের ফল বা বস্তুর তাপীয় অবস্থা।
প্রশ্ন. CGS পদ্ধতিতে তাপের একক কী?
উত্তর : ক্যালোরি।
প্রশ্ন. SI পদ্ধতিতে তাপের একক কী?
উত্তর : SI পদ্ধতিতে তাপের একক জুল।
প্রশ্ন. SI পদ্ধতিতে উষ্ণতার একক কী?
উত্তর : SI পদ্ধতিতে উষ্ণতার একক কেলভিন।
প্রশ্ন. তাপ কয়প্রকার ও কী কী?
উত্তর : তাপ তিন প্রকার – 1. লীন তাপ, 2. বোধগম্য তাপ, 3. বিকীর্ণ তাপ।
প্রশ্ন. থার্মোমিতি কাকে বলে?
উত্তর: উষ্ণতা পরিমাপের পদ্ধতিকে থার্মোমিতি বলে।
প্রশ্ন. আপেক্ষিক তাপ কাকে বলে?
উত্তর : কোনো পদার্থের একক ভরের একক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য যে তাপ প্রয়োজন হয় তাকে ওই পদার্থের আপেক্ষিক তাপ বলে।
প্রশ্ন. কোন পদার্থের আপেক্ষিক তাপ সবচেয়ে বেশি?
উত্তর : জলের আপেক্ষিক তাপ সবচেয়ে বেশি।
প্রশ্ন. কোন যন্ত্রের সাহায্যে থার্মোমিটারের ঊর্ধ্বস্থিরাঙ্ক মাপা হয়?
উত্তর : হিপসোমিটার যন্ত্র।
প্রশ্ন. পারদ থার্মোমিটারের নিম্নস্থিরাঙ্ক ও ঊর্ধ্বস্থিরাঙ্ক সেলসিয়াস স্কেলে কত?
উত্তর : নিম্নস্থিরাঙ্ক 0°C এবং ঊর্ধ্বস্থিরাঙ্ক 100°C
প্রশ্ন. ফারেনহাইট স্কেলে নিম্ন এবং ঊর্ধ্বস্থিরাঙ্ক কত?
উত্তর : নিম্নস্থিরাঙ্ক 32°F এবং ঊর্ধ্বস্থিরাঙ্ক 212°F
প্রশ্ন. সেলসিয়াস স্কেলে প্রাথমিক অন্তরকে কটি ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : 100টি সমান ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রশ্ন. ফারেনহাইট স্কেলে প্রাথমিক অন্তরকে কটি ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : 180টি সমান ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রশ্ন. কোন উষ্ণতায় সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের পাঠ সমান হবে?
উত্তর : –40°C উষ্ণতায়।
প্রশ্ন. 0°C ও 0°F-এর মধ্যে কোনটি বেশি?
উত্তর : 0°C বেশি।
প্রশ্ন. মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত?
উত্তর : মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা 98.4°F বা 37°C
প্রশ্ন. A থেকে B-তে তাপ প্রবাহিত হচ্ছে। কোনটির তাপমাত্রা বেশি?
উত্তরঃ A-এর তাপমাত্রা বেশি।
প্রশ্ন. জলের আপেক্ষিক তাপ কত?
উত্তর : জলের আপেক্ষিক তাপ 1 Cal/(g°/C) বা 4200 J (kg.k)।
প্রশ্ন. 1 ক্যালোরি তাপ বলতে কী বোঝো?
উত্তর : 1 গ্রাম বিশুদ্ধ জলের উষ্ণতা 1°C বৃদ্ধি করতে যে তাপ লাগে তাকেই 1 ক্যালোরি বলে।
প্রশ্ন. ক্যালোরি ও জুলের সম্পর্ক কী?
উত্তর : 1 ক্যালোরি = 4.1855 জুল।
প্রশ্ন. সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের উষ্ণতার মধ্যে সম্পর্ক লেখো।
উত্তর : কোনো উষ্ণতায় পাঠ সেলসিয়াসে C এবং ফারেনহাইটে F হলে উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক
C = F - 32
5 9
প্রশ্ন. ডাক্তারি থার্মোমিটার কোন স্কেলে অংশাঙ্কিত থাকে?
উত্তর : ফারেনহাইট স্কেলে।
প্রশ্ন. ডাক্তারি থার্মোমিটারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উন্নতা নির্দেশক বিন্দু দুটির পরিমাপ কত?
উত্তর : সর্বোচ্চ বিন্দুর পরিমাপ 110°F এবং সর্বনিম্ন বিন্দুর পরিমাপ 95°F
প্রশ্ন. পদার্থের কোন ধর্মকে থার্মোমিটার নির্মাণ কাজে লাগানো হয়?
উত্তর : উষ্ণতার পরিবর্তনে তরল পদার্থের আয়তন পরিবর্তন।
প্রশ্ন. 0°C উন্নতায় 1g বরফকে 80 ক্যালোরি তাপ দিলে চূড়ান্ত উষ্ণতা কত হবে?
উত্তর : ৪০ ক্যালোরি তাপ পেয়ে 1g বরফ একই উষ্ণতায় সম্পূর্ণ গলে গিয়ে জলে পরিণত হবে। সুতরাং চূড়ান্ত উষ্ণতা হবে 0°C
প্রশ্ন. লীনতাপ কাকে বলে?
উত্তর : যে তাপ গ্রহণে বা বর্জনে বস্তুর উষ্ণতার পরিবর্তন না হয়ে শুধু অবস্থার পরিবর্তন হয়, তাকে লীনতাপ বলে।
প্রশ্ন. বরফ গলনের লীনতাপ 80 ক্যালোরি বলতে কী বোঝো?
উত্তর : বরফ গলনের লীনতাপ ৪০ ক্যালোরি বলতে বোঝায় যে, 0°C উষ্ণতায় 1gm বিশুদ্ধ বরফ ওই উষ্ণতার বিশুদ্ধ জলে পরিণত হতে বাইরে থেকে ৪০ ক্যালোরি তাপ গ্রহণ করে।
প্রশ্ন. কোন তাপ থার্মোমিটারে পাঠ পরিবর্তন করে না?
উত্তর : লীনতাপ থার্মোমিটারে পাঠ পরিবর্তন করে না।
প্রশ্ন. কী জাতীয় পদার্থের নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক নেই?
উত্তর : অনিয়তাকার পদার্থ, যেমন—চর্বি, মোম ইত্যাদি।
প্রশ্ন. কোনো বস্তুর উষ্ণতা বৃদ্ধি বা হ্রাসের জন্য বাইরে থেকে কতটা তাপ নেবে বা হারাবে তা কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর : কোনো বস্তু দ্বারা গৃহীত বা বর্জিত তাগের পরিমাণ তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে—1. বস্তুর ভর, 2. উষ্ণতা বৃদ্ধি বা হ্রাস, 3. বস্তুর উপাদান।
প্রশ্ন. তাপ গ্রহণ বা বর্জন করলে কোনো পদার্থের অণুতে কী পরিবর্তন লক্ষ করা যায়?
উত্তর : তাপ গ্রহণ করলে পদার্থের অণুগুলির গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। ফলে অণুগুলির বেগ বৃদ্ধি পায় এবং অণুগুলির পরস্পর ব্যবধান বেড়ে যায়। তাপ বর্জনে অণুগুলির গতিশক্তি হ্রাস পায় ফলে ওদের বেগ কমে যায় এবং অণুগুলির পারস্পরিক ব্যবধান কমে যায়।প্রশ্ন. ভেজা কাপড় বর্ষাকাল অপেক্ষা শীতকালে তাড়াতাড়ি শুকোয় কেন?
উত্তর : বর্ষাকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুবই বেশি থাকে, ফলে ভেজা কাপড় থেকে বাষ্পায়ন খুবই ধীরে ধীরে হয়। কিন্তু শীতকালে বাতাস শুষ্ক থাকে, ফলে তাপমাত্রা কম থাকলেও বাষ্পায়ন দ্রুত হয়। সেইজন্য এীষ্ম বা বর্ষাকাল অপেক্ষা শীতকালে ভেজা কাপড় তাড়াতাড়ি শুকোয়।
প্রশ্ন. দেহের উষ্ণতা কমে গেলে মানুষ কী কী করে তা নীচের শব্দ ভাণ্ডারের সাহায্যে লেখো।
শব্দভাণ্ডার : কাঁপুনি, খাদ্যগ্রহণ, ঘর্মক্ষরণ, লোম।
উত্তর : দেহের উষ্ণতা কমে গেলে—i. মানবদেহের কাঁপুনি হতে থাকে। ii. মানুষের খাদ্যগ্রহণে ইচ্ছা হ্রাস পায়। iii. মানবদেহের ঘর্মক্ষরণের পরিমাণ কমে যায়। iv. মানুষের শরীরের লোম খাড়া হয়ে ওঠে।
প্রশ্ন. পেঙ্গুইন শীতপ্রধান দেশের প্রাণী হলেও কীভাবে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে?
উত্তর : পেঙ্গুইন বরফাবৃত অঞ্চলে থাকে, সেজন্য তাদের শরীরে পুরু পালকের আবরণ থাকে। শীতকালে তারা এই পালক ফুলিয়ে রাখে এবং তার মধ্যে বায়ুস্তর জমা হয়ে থাকে। ফলে তাদের শরীরের উত্তাপ সহজে বেরিয়ে যেতে পারে না। এ ছাড়াও তারা একসঙ্গে দলবদ্ধ হয়ে একে অপরের সঙ্গে জড়াজড়ি করে পরস্পরের শরীরের তাপকে কাজে লাগিয়ে ঠান্ডা থেকে রক্ষা পায়।
প্রশ্ন. কোনো প্রাণী কীভাবে নিজের দেহে প্রয়োজনীয় তাপ সৃষ্টি করে?
উত্তর : কোনো প্রাণী যে খাদ্য গ্রহণ করে, সেই খাদ্য থেকে বিপাকীয় ক্রিয়ার ফলে তাপশক্তি উৎপন্ন হয়।
প্রশ্ন. অতি শৈত্য কী?
উত্তর : যখন শরীরের তাপমাত্রা কোনো কারণে খুব কমে (96°F-এর কম) যায় তাকে অতি শৈত্য বলে।
প্রশ্ন. থার্মোমিটারের স্কেল কয় প্রকার ও কী কী? প্রতিটির ঊর্ধ্বস্থিরাঙ্ক, নিম্নস্থিরাঙ্ক কত?
উত্তর : থার্মোমিটারের স্কেল তিন প্রকার। যথা— সেলসিয়াস, ফারেনহাইট ও কেলভিন স্কেল। থার্মোমিটরের স্কেল এবং তাদের ঊর্ধ্বস্থিরাঙ্ক, নিম্নস্থিরাঙ্ক এবং প্রাথমিক অন্তর নিম্নরূপ—
(a) সেলসিয়াস স্কেল : এই স্কেলে প্রমাণ চাপে বরফের গলনাঙ্ক অর্থাৎ নিম্নস্থিরাঙ্ক 0°C ও বিশুদ্ধ জলের স্ফুটনাঙ্ক অর্থাৎ ঊর্ধ্বস্থিরাঙ্ক 100°C (b) ফারেনহাইট স্কেল : এই স্কেলে নিম্নস্থিরাঙ্ক 32°E, ঊর্ধ্বস্থিরাঙ্ক 212°F (c) কেলভিন স্কেল : এই স্কেলে নিম্নস্থিরাঙ্ক 273K, ঊর্ধ্বস্থিরাঙ্ক 373K।
প্রশ্ন. বাষ্পায়ন ও স্ফুটনের মধ্যে পার্থক্য কী?
বাষ্পায়ন | স্ফুটন |
---|---|
1. বাষ্পায়ন যে-কোনো উষ্ণতায় হয়। | 1. নির্দিষ্ট চাপে স্ফুটন একটি নির্দিষ্ট উষ্ণতায় হয়। |
2. বাষ্পায়ন খুব ধীরে হয়। | 2. স্ফুটন খুব দ্রুত হয়। |
3. উষ্ণতা বাড়লে বাষ্পায়নের হার বৃদ্ধি পায়। | 3. স্ফুটনের সময় তরলের উষ্ণতা স্থির থাকে। |
প্রশ্ন. তাপ ও তাপমাত্রার পার্থক্য লেখো।
উত্তর : তাপ ও তাপমাত্রার পার্থক্য-
তাপ | তাপমাত্রা |
---|---|
1. তাপ এক প্রকার শক্তি। | 1. তাপমাত্রা হল বস্তুর তাপীয় অবস্থা। |
2. কোনো বস্তুতে তাপ প্রয়োগ করলে তার উষ্ণতা বা তাপমাত্রা বাড়ে। তাই তাপকে উষ্ণতার কারণ বলা যায়। | 2. তাপমাত্রার পরিবর্তন হল তাপ গ্রহণ বা বর্জনের ফল তাই তাপমাত্রাকে তাপের ফল বলা যায়। |
3. দুটি বস্তুর তাপের পার্থক্য তাদের মধ্যে তাপ প্রবাহের অভিমুখ নির্ধারণ করে না। | 3. তাপমাত্রার পার্থক্যই তাপ প্রবাহের অভিমুখ নির্ধারণ করে। |
প্রশ্ন. জল দিয়ে মেঝে মোছার পর মেঝে বেশ ঠান্ডা লাগে কেন?
উত্তর : জল দিয়ে মেঝে মোছার পর ওই অংশটির জল বাষ্পীভূত হতে চায়। এই বাষ্পীভবনের জন্য প্রয়োজনীয় লীনতাপ ওই জল মেঝের পৃষ্ঠতল থেকে সংগ্রহ করে। ফলে মেঝে তাপ হারায় ও ঠান্ডা হয়।
(ii) আলো : প্রশ্ন উত্তর প্র্যাকটিস সেট
❍ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
প্রশ্ন. আলো এক প্রকার—(ক) শক্তি (খ) পদার্থ (গ) কোনোটিই নয় (ঘ) দুটোই।
উত্তর : (গ) শক্তি
প্রশ্ন. আলো চলাচল করে— (ক) বক্ররেখায় (খ) সরলরেখায় (গ) দুটোই (ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তর : (খ) সরলরেখায়
প্রশ্ন. পৃথিবীতে শক্তির গুরুত্বপূর্ণ উৎস—(ক) বাতাস (খ) সূর্য (গ) সমুদ্রের জল (ঘ) চাঁদ।
উত্তর : (খ) সূর্য
প্রশ্ন. নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস—(ক) পেট্রোল (খ) সৌরশক্তি (গ) কয়লা (ঘ) খনিজ তেল।
উত্তর : (খ) সৌরশক্তি
প্রশ্ন. দূষণ সৃষ্টিকারী শক্তির উৎস—(ক) সৌরশক্তি (খ) বায়ু (গ) খনিজ তেল (ঘ) জোয়ার-ভাঁটা।
উত্তর : (গ) খনিজ তেল
প্রশ্ন. আলোর পক্ষে কাচ হল একটি—(ক) স্বচ্ছ মাধ্যম (খ) ঘন মাধ্যম (গ) অস্বচ্ছ মাধ্যম (ঘ) স্বচ্ছ মাধ্যম।
উত্তর : (ঘ) স্বচ্ছ মাধ্যম
প্রশ্ন. সুচিছিদ্র ক্যামেরায় ছিদ্র বড়ো হলে প্রতিকৃতি —(ক) স্পষ্ট হবে (খ) অস্পষ্ট হবে (গ) গঠন হবে না (ঘ) অপরিবর্তিত থাকবে।
উত্তর : (খ) অস্পষ্ট হবে
প্রশ্ন. সূর্যগ্রহণ হয়—(ক) অমাবস্যায় (খ) পূর্ণিমায় (গ) অষ্টমী (ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তর : (ক) অমাবস্যায়
❐ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :-
প্রশ্ন. আলো কী?
উত্তর : আলো একপ্রকার শক্তি, কোনো কিছুকে দৃশ্যমান হতে সাহায্য করে, তাকে দেখা যায় না।
প্রশ্ন. আলোক উৎস কী?
উত্তর : যে বস্তু থেকে আলোক বিকীর্ণ হয় তাকে আলোক উৎস বলে।
প্রশ্ন. আলোর গমন পথ কীরূপ?
উত্তর : আলো সরলরেখায় গমন করে।
প্রশ্ন. পৃথিবীর সমস্ত শক্তির উৎস কী?
উত্তর : পৃথিবীর সমস্ত শক্তির উৎস হল সূর্য।
প্রশ্ন. একটি করে স্বপ্রভ এবং অপ্রভ বস্তুর নাম লেখো।
উত্তর : স্বপ্রভ বস্তু হল সূর্য এবং অপ্রভ বস্তু হল ইট।
প্রশ্ন. সূর্য কী?
উত্তর : সূর্য হল একটি বিশাল আকারের নক্ষত্র।
প্রশ্ন. গ্রহ ও নক্ষত্রের মধ্যে কোনটি স্বপ্রভ?
উত্তর : নক্ষত্র স্বপ্রভ।
প্রশ্ন. সূচিছিদ্র ক্যামেরার সাহায্যে কী প্রমাণিত হয়?
উত্তর : আলো সরলরেখায় চলে।
প্রশ্ন. ছায়া কয়প্রকার ও কী কী?
উত্তর : ছায়া দুই প্রকার। যথা—প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া।
প্রশ্ন. প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়ার মধ্যে কোনটি গাঢ়?
উত্তর : প্রচ্ছায়া।
প্রশ্ন. সূর্য না থাকলে পৃথিবী কীরূপ হত?
উত্তর : সূর্য না থাকলে পৃথিবী হিমশীতল হত এবং জীবজগতের কোনো অস্তিত্ব থাকত না।
প্রশ্ন. কোন তিথিতে সূর্যগ্রহণ হয়?
উত্তর : অমাবস্যা তিথিতে সূর্যগ্রহণ হয়।
প্রশ্ন. কোন তিথিতে চন্দ্রগ্রহণ হয়?
উত্তর : পূর্ণিমা তিথিতে চন্দ্রগ্রহণ হয়।
প্রশ্ন. গ্রহণের সময় সূর্য, চন্দ্র এবং পৃথিবীর অবস্থান কীরূপ হয়?
উত্তর : গ্রহণের সময় সূর্য, চন্দ্র এবং পৃথিবী এক সরলরেখায় অবস্থান করে।
প্রশ্ন. আলোক রশ্মি কাকে বলে?
উত্তর : যে পথে আলো চলাচল করে তাকে আলোকরশ্মি বলে।
প্রশ্ন. প্রতিফলিত রশ্মি কাকে বলে?
উত্তর : প্রতিফলক থেকে প্রতিফলিত হয়ে যে আলোকরশ্মি প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে, সেই আলোকরশ্মিকে প্রতিফলিত রশ্মি বলে।
প্রশ্ন. প্রতিফলন কোণ কাকে বলে?
উত্তর : প্রতিফলিত রশ্মি আপতন বিন্দুতে প্রতিফলকের ওপর অঙ্কিত অভিলম্বের সঙ্গে যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে প্রতিফলন কোণ বলে।
প্রশ্ন. প্রতিফলক কাকে বলে?
উত্তর : যে তল থেকে আলোর প্রতিফলন হয় তাকে প্রতিফলক বলে।
প্রশ্ন. কোন ধরনের প্রতিফলনের জন্য আমরা বই পড়তে পারি?
উত্তর : আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের জন্য আমরা বই পড়তে পারি।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :-
প্রশ্ন. সমসত্ত্ব মাধ্যম কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : যে মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আলো সরলরেখা বরাবর সর্বদিকে সমান বেগে চলে তাকে সমসত্ত্ব মাধ্যম বলে। উদাহরণ - বায়ু, কাচ, জল ইত্যাদি।
প্রশ্ন. অসমসত্ত্ব মাধ্যম কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : যে মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আলো বিভিন্ন দিকে বিভিন্ন বেগে চলে তাকে অসমসত্ত্ব মাধ্যম বলে। উদাহরণ - অভ্র, কোয়ার্টজ।
প্রশ্ন. প্রতিবিম্ব কাকে বলে? চিত্রসহ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : যে-কোনো সমসত্ত্ব তলের ওপর বস্তু থেকে আসা আলোকরশ্মি প্রতিফলিত হয়ে আবার একই মাধ্যমে ফিরে এসে দৃশ্যমান হলে তাকে প্রতিবিম্ব বলে। চিত্রে প্রতিবিম্ব দেখানো হল—
প্রশ্ন. আলোক রশ্মি কাকে বলে?
উত্তর : সমসত্ত্ব মাধ্যমে আলো এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে যে সরলরেখায় গমন করে সেই সরল রেখাংশকে আলোকরশ্মি বলে। সরলরেখাংশটির সঙ্গে তিরচিহ্ন দিয়ে আলোর গতির অভিমুখ নির্দেশ করা হয়।প্রশ্ন. প্রতিসরণ কাকে বলে? চিত্রসহ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : কোনো আলোক রশ্মিগুচ্ছ কোনো মাধ্যম দিয়ে চলতে চলতে দ্বিতীয় কোনো ভিন্ন ঘনত্বের মাধ্যমে যাত্রা করছে। দেখা যায়, ওই আলোক রশ্মিগুচ্ছের কিছু অংশ মাধ্যমদ্বয়ের বিভেদ তল থেকে পুনরায় প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে এবং আলোক রশ্মিগুচ্ছের বাকি অংশ দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রবেশের পর আগেকার যাত্রাপথ থেকে সরে যায় ও নতুন সরলরেখা বরাবর চলে এ ঘটনাকে বলে আলোর প্রতিসরণ।
প্রশ্ন. সিনেমার পর্দা সাদা ও অমসৃণ করা হয় কেন?
উত্তর : সিনেমার পর্দা সাদা হওয়ায় আপতিত আলোর কোনো অংশকেই শোষণ করে না, প্রায় সব আলোকেই প্রতিফলিত করে ফলে ছবির উজ্জ্বলতা কমে না। আবার, পর্দা অমসৃণ হওয়ায় আপতিত আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনে হয়। ফলে রশ্মি হলের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং সব দর্শকের চোখে পৌঁছায়। তাই হলের যে-কোনো জায়গা থেকে দর্শকরা ছবি দেখতে পায়।
প্রশ্ন. রামধনু কখন দেখা যায় ? রামধনু কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর : রামধনু সাধারণত বৃষ্টির পর বিকেলের আকাশে দেখতে পাওয়া যায়। আকশে ভাসমান জলকণার মধ্য দিয়ে সূর্যের আলো যাওয়ার সময় বিচ্ছুরণের ফলে আকাশে সাতটি আলোর পটি তথা রামধনু সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন. সব অমাবস্যা এবং পূর্ণিমায় গ্রহণ হয় না কেন?
উত্তর : সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হতে গেলে সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবীকে এক সরলরেখায় আসতে হবে। সূর্যকে ঘিরে পৃথিবীর কক্ষতল এবং পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদের কক্ষতল এক সমতলে থাকে না। দুটি কক্ষতল পরস্পরের সঙ্গে প্রায় 5° কোণে আনত থাকে। ফলে প্রত্যেক পূর্ণিমায় চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে আসে না। সুতরাং সব পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ হয় না। আবার, প্রত্যেক অমাবস্যায় চাঁদের ছায়া পৃথিবীর ওপর পড়ে না। তাই সব অমাবস্যায় সূর্যগ্রহণ হয় না।
প্রশ্ন. আলোক উৎস কাকে বলে? আলোক উৎস কয়প্রকার ও কী কী?
উত্তর : আলোর উৎস : যে-কোনো বস্তু যা আলো উৎপাদন করে অথবা অন্য উৎস থেকে পাওয়া আলো-বিকিরণ
করতে সক্ষম, তাকেই আলোক উৎস বলে। আলোক উৎস দুই প্রকার—(a) গঠনগত বা আকৃতিগত প্রকারভেদ এবং (b) কার্যগত প্রকারভেদ।
প্রশ্ন. সবিম্ব ও অসবিম্বের পার্থক্য লেখো।
উত্তর : সদ্বিম্ব ও অসদবিম্বের পার্থক্য—
সদ্বিম্ব | অসদবিম্ব |
---|---|
1. চোখে দেখা যায়, পর্দাতেও ফেলা যায়, ছবি তোলা তোলা যায় না। | 1. চোখে দেখা গেলেও পর্দায় ফেলা যায় না বা ছবি যায় না। |
2. আলোক রশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত হয়ে কোনো বিন্দুতে মিলিত হয়। | 2. আলোক রশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত হয়ে দ্বিতীয় কোনো বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়। |
3. সাধারণত বস্তু সাপেক্ষে উলটো (অবশীর্ষ) হয়। | 3. সাধারণত বস্তু সাপেক্ষে সোজা (সমশীর্ষ) হয়। |
প্রশ্ন. অদৃশ্য আলোর ক্ষতিকারক দিক সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর : অদৃশ্য আলোর ক্ষতিকারক দিক হল— (i) অতিবেগুনি রশ্মি। একে ইংরেজিতে আল্ট্রা ভায়োলেট (Ultras Violet light) বলে। সরাসরি চোখে পড়লে চোখের লেন্সের ক্ষতি হয়। আমাদের শরীর কোশের DNA অণুর ক্ষতি করে। সাদা চামড়ার মানুষের এই আলো থেকে যে অতি বেগুনি রশ্মি বের হয় তা মারাত্মক ক্ষতি করে। কারণ মানুষের শরীরে চামড়ায় মেলানিন নামক রঞ্জক পদার্থ খুব কম থাকে।
প্রশ্ন. নিয়মিত প্রতিফলন ও বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের পার্থক্য লেখো।
উত্তর : নিয়মিত প্রতিফলন ও বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের পার্থক্যগুলি হল—
নিয়মিত প্রতিফলন | বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন |
---|---|
1. মসৃণ এবং চকচকে তলে এই প্রতিফলন হয়। | 1. অমসৃণ এবং খসখসে তলে এই প্রতিফলন হয়। |
2. এই প্রতিফলনে প্রতিফলিত রশ্মিগুলি একটি নির্দিষ্ট দিকে যায়। | 2. এই প্রতিফলনে প্রতিফলিত রশ্মিগুলি বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। |
3. এই প্রতিফলনে প্রতিফলক বস্তুর প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে। | 3. এই প্রতিফলনে প্রতিফলক বস্তুর প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে না, কেবলমাত্র প্রতিফলকটিকে দেখা যায়। |
প্রশ্ন. শুদ্ধ বর্ণালি এব অশুদ্ধ বর্ণালির পার্থক্য নির্ণয় করো।
উত্তর : শুদ্ধ বর্ণালি ও অশুদ্ধ বর্ণালির পার্থক্যগুলি হল—
শুদ্ধ বর্ণালি | অশুদ্ধ বর্ণালি |
---|---|
1. এই বর্ণালিতে সাতটি বর্ণকে পৃথক দেখা যায়। | 1. এই বর্ণালিতে সাতটি বর্ণ একে অপরের ওপর পড়ায় বর্ণগুলি পৃথক পৃথক দেখা যায় না। |
2. প্রত্যেকটি বর্ণকে উজ্জ্বল এবং স্পষ্ট দেখা যায়। | 2. প্রত্যেকটি বর্ণকে অস্পষ্ট দেখা যায়। |
প্রশ্ন. ছায়া কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর : আলোকরশ্মি সরলরেখায় চলে। তাই আলোর গতিপথ কোনো অস্বচ্ছ (Opaque) বস্তু থাকলে আলো ওই বস্তুর মধ্য দিয়ে যেতে পারে না। কিন্তু চারপাশ দিয়ে যায়, ফলে বস্তুটির পিছনে, যে অংশে আলো গিয়ে পৌঁছায় না, সেই স্থান অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে। এই অন্ধকার অঞ্চলটিকে ছায়া বলে।
(iii) চুম্বক : প্রশ্ন উত্তর প্র্যাকটিস সেট
❐ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :-
প্রশ্ন. চৌম্বক পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর : চুম্বক যে যে পদার্থকে আকর্ষণ করে তাদের চৌম্বক পদার্থ বলে।
প্রশ্ন. অচৌম্বক পদার্থ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে যে পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করতে পারে না তাদের অচৈৗম্বক পদার্থ বলে।
প্রশ্ন. চুম্বক কয় প্রকার ও কী কী ?
উত্তরঃ চুম্বক দু-প্রকার। যেমন—(i) প্রাকৃতিক চুম্বক বা ম্যাগনেটাইট এবং (ii) কৃত্রিম চুম্বক।
প্রশ্ন. চুম্বকে কটি মেরু আছে ও কী কী?
উত্তর : চুম্বকের দুটি মেরু আছে। উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরু।
প্রশ্ন. চুম্বকের মেরু কাকে বলে?
উত্তর : চুম্বকের দু-প্রান্তের যে দু অঞ্চলে চুম্বকের আকর্ষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি, সেই দু অঞ্চলকে চুম্বকের মেরু বলে।
প্রশ্ন. চুম্বক শলাকা কাকে বলে?
উত্তর : চুম্বক সংক্রান্ত নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য দু-প্রান্ত ছুঁচালো এবং একটি খাড়া দণ্ডের ওপর যুক্ত অবস্থায়
রাখা থাকে, তাকে চুম্বক শলাকা বলে।
প্রশ্ন. কুরি বিন্দু কী?
উত্তর : যে বিশেষ তাপমাত্রায় কোনো চুম্বককে উত্তপ্ত করলে তার চুম্বকত্ব সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়, সেই তাপমাত্রাকে
এই পদার্থের কুরি বিন্দু বলে।
প্রশ্ন. এক মেরু বিশিষ্ট চুম্বক কি সম্ভব?
উত্তর : এক মেরু বিশিষ্ট চুম্বক পাওয়া অসম্ভব। চুম্বকের একটি মেরু পৃথক করা যায় না।
প্রশ্ন. দুটি চৌম্বক পদার্থের নাম লেখো।
উত্তরঃ দুটি চৌম্বক পদার্থ হল—লোহা, নিকেল।
প্রশ্ন. গিলবার্ট কীজন্য বিখ্যাত?
উত্তর : পৃথিবী নিজেই একই বিরাট চুম্বকের মতো আচরণ করে গিলবার্ট সর্বপ্রথম এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
প্রশ্ন. তড়িৎ চুম্বক স্থায়ী না অস্থায়ী?
উত্তর : তড়িৎ চুম্বক অস্থায়ী।
প্রশ্ন. তড়িৎ চুম্বকের উপাদান কী?
উত্তর : তড়িৎ চুম্বকের উপাদান কাঁচা লোহা।
প্রশ্ন. কৃত্রিম চুম্বক এবং প্রাকৃতিক চুম্বক—এদের মধ্যে কোনটি বেশি শক্তিশালী?
উত্তর : কৃত্রিম চুম্বক প্রাকৃতিক চুম্বক অপেক্ষা বেশি শক্তিশালী।
প্রশ্ন. দুটি অচৌম্বক পদার্থের নাম লেখো।
উত্তর : কাগজ ও কাঠ।
প্রশ্ন. কোন ধরনের চুম্বকের নির্দিষ্ট আকার নেই?
উত্তর : প্রাকৃতিক চুম্বকের নির্দিষ্ট আকার নেই।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :-
প্রশ্ন. চুম্বকের সাধারণ ধর্মগুলি কী কী?
উত্তর : চুম্বকের সাধারণ ধর্ম দুটি—(i) আকর্ষণী ধর্ম এবং (ii) দিক্নির্দেশক ধর্ম।
(i) আকর্ষণী ধর্ম : চুম্বক লোহা, নিকেল, কোবাল্ট প্রভৃতি চৌম্বক পদার্থকে আকর্ষণ করে কিন্তু অচৌম্বক পদার্থকে আকর্ষণ করে না।
(ii) দিক্নির্দেশক ধর্ম : চুম্বককে ঠিক মাঝখানে সুতোয় বেঁধে বাধাহীনভাবে ঝুলিয়ে দিলে এটি উত্তর-দক্ষিণে মুখ করে স্থির হয়। চুম্বকটিকে একটু নাড়িয়ে দিলে কয়েকবার আন্দোলনের পর আবার ঠিক উত্তর-দক্ষিণে মুখ করে স্থির হয়।
প্রশ্ন. চুম্বক কী?
উত্তর : যে পদার্থ লোহা, নিকেল ও কোবাল্ট ধাতুকে আকর্ষণ করে এবং যার দিক্ নির্দেশক ধৰ্ম আছে, তাকে চুম্বক বলে।
প্রশ্ন. চৌম্বক শক্তি কাকে বলে?
উত্তর : দণ্ডচুম্বক, তড়িৎ চুম্বক বা এ জাতীয় যে-কোনো চৌম্বক উপাদান দ্বারা প্রদর্শিত চৌম্বক ধর্মের প্রভাব বা প্রতিক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট শক্তিকে চৌম্বক শক্তি বলে। শক্তির অন্যান্য প্রকারভেদগুলির মতো এটিও অদৃশ্য, ভরহীন, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য এবং রূপান্তরযোগ্য।
প্রশ্ন. চুম্বক ও চৌম্বক পদার্থের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর : চুম্বক ও চৌম্বক পদার্থের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল—
চুম্বক | চৌম্বক পদার্থ |
---|---|
1. চুম্বকের দুটি ধর্ম আছে—আকর্ষণী ও দিগদর্শী। | 1. চৌম্বক পদার্থের এরূপ কোনো ধর্ম নেই। |
2. চুম্বকের দুটি মেরু বর্তমান যেগুলি উত্তর ও দক্ষিণ মেরু নামে পরিচিত। | 2. চৌম্বক পদার্থের কোনো মেরু নেই। |
3. চুম্বকের মধ্যে অণুচুম্বক বা ওয়েবার উপাদানগুলি শ্রেণিবদ্ধভাবে একরেখীয় সজ্জায় বিন্যস্ত থাকে। | 3. চৌম্বক পদার্থের অণুচুম্বকগুলি এলোমেলোভাবে বা বদ্ধমুখ শৃঙ্খল গঠন করে অবস্থান করে। |
প্রশ্ন. নৌ-কম্পাস কী? ভালো নৌ-কম্পাসের দুটি গুণের পরিচয় দাও।
উত্তর : সমুদ্রের মাঝে জাহাজ চলাচলের সময় দিক নির্ণয়ের কাজে যে কম্পাস ব্যবহার করা হয়, তাকে নৌ-কম্পাস বলে। ভালো নৌ-কম্পাসের দুটি বৈশিষ্ট্য বা গুণ হল—(i) কম্পাসটির কাঁটার দৈর্ঘ্য ছোটো হবে। (ii) কম্পাস কাঁটার চুম্বকত্ব স্থায়ী ও শক্তিশালী হবে।
প্রশ্ন. চুম্বকের মেরু কাকে বলে? চিত্রসহ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : কোনো চুম্বকের দুই প্রান্তে যে দুটি বিন্দুতে আকর্ষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি সেই দুই বিন্দুকে চুম্বক মেরু বলে।
প্রত্যেক চুম্বকের দুটি মেরু থাকে—উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরু।
মেরু দুটি চুম্বকের একেবারে শেষ প্রান্তে থাকে না, চুম্বকের প্রান্তের কাছাকাছি কোনো বিন্দুতে অবস্থান করে। বাধাহীনভাবে ঝুলিয়ে দিলে দণ্ডচুম্বকের একটি প্রান্ত সর্বদা উত্তরমুখী এবং অপরপ্রান্ত সর্বদা দক্ষিণমুখী হয়। চুম্বকের যে মেরুটি উত্তরদিকে তাকে তাকে উত্তর মেরু এবং যে মেরু দক্ষিণ দিকে থাকে তাকে দক্ষিণ মেরু বলা হয়।
প্রশ্ন. চুম্বকের বিভিন্ন ধর্ম উল্লেখ করো।
উত্তর : চুম্বকের বিভিন্ন ধর্মগুলি হল—(i) চুম্বকের আকর্ষণ ধর্ম, (ii) দিক্ নির্দেশক ধৰ্ম, (iii) সমমেরু পরস্পরকে বিকর্ষণ ও বিপরীত মেরু পরস্পরকে আকর্ষণ করে, (iv) আবেশী ধর্ম, (v) আগে প্রবেশ পরে আকর্ষণ হয়, (vi) চুম্বকের সর্বদা দুটি মেরু থাকে, (vii) একক মেরুর অস্তিত্ব নেই।
প্রশ্ন. প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম চুম্বকের মধ্যে পার্থক্যগুলি লেখো।
উত্তর : প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম চুম্বকের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল -
প্রাকৃতিক চুম্বক | কৃত্রিম চুম্বক |
---|---|
1. প্রাকৃতিক চুম্বকের আকৃতি নির্দিষ্ট নয়। | 1. কৃত্রিম চুম্বকের আকৃতি নির্দিষ্ট। প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন আকার তৈরি করা যায়। |
2. দিগদর্শী ধর্ম খুব স্পষ্ট নয়। | 2. দিগদর্শী ধর্ম অত্যন্ত স্পষ্ট। |
3. চৌম্বকত্ব স্থায়ী, সহজে তা বিনষ্ট হয় না। | 3. এর চৌম্বকত্ব অস্থায়ী। |
প্রশ্ন. কোন কোন বিষয়ে চুম্বক ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে চুম্বক ব্যবহার হয়ে থাকে—(i) সমুদ্রবুকে পাড়ি দেওয়ার সময় নাবিকেরা ‘নৌকম্পাস'
ব্যবহার করে, (ii) অডিয়ো বা রেডিয়ো ক্যাসেটের মধ্যে যে প্লাস্টিকের টেপ থাকে তার ওপরে চুম্বকিত পদার্থের আস্তরণ থাকে, (iii) ATM কার্ডে ও ক্রেডিট কার্ডে, (iv) কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে, (v) বিভিন্ন খেলনায় চুম্বকের ব্যবহার দেখা যায়, (vi) চোখের ভিতর লোহার সূক্ষ্ম চূর্ণ বার করতে ডাক্তাররা তড়িৎ চুম্বক যন্ত্র ব্যবহার করেন, (vii) লাউড স্পিকারে, (viii) সাইকেলের ডায়নামোতে, (ix) ইলেকট্রিক মিটারে, (x) ফ্রিজের দরজায়, (xi) ইলেকট্রিক কলিংবেলে,
(xii) ইলেকট্রিক মোটরে।
(iv) তড়িৎ : প্রশ্ন উত্তর প্র্যাকটিস সেট
❐ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :-
প্রশ্ন. তড়িৎ প্রবাহ কাকে বলে?
উত্তর : অসংখ্য রাসায়নিক ক্ষুদ্র তড়িৎবাহী কণার নির্দিষ্ট দিকের প্রবাহকে তড়িৎ প্রবাহ বলে।
প্রশ্ন. সবচেয়ে ভালো পরিবাহী কী?
উত্তর : সবচেয়ে ভালো পরিবাহী হল রূপা।
প্রশ্ন. কী অবস্থায় তড়িৎপ্রবাহ ঘটে?
উত্তর : পরিবাহীর দু-প্রান্তে স্থায়ী বিভব-প্রভেদ সৃষ্টি হলে তড়িৎপ্রবাহ ঘটে।
প্রশ্ন. তড়িৎ-এর সাহায্যে চলে এমন কয়েকটা জিনিসের নাম লেখো।
উত্তর : তড়িৎ-এর সাহায্যে চলে এমন কয়েকটা জিনিস হল—টর্চলাইট, বিজলীবাতি, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি, গাড়ির
শক্তিশালী ব্যাটারি ইত্যাদি।
প্রশ্ন. ব্যাটারি ও সেলের মধ্যে সম্পর্ক কী?
উত্তর : ব্যাটারি প্রকৃতপক্ষে একাধিক সেলের সমন্বয়।
প্রশ্ন. একটি সমপ্রবাহের উৎসের নাম করো।
উত্তর : তড়িৎ কোশ।
প্রশ্ন. তারের পাকসংখ্যার সঙ্গে তড়িৎচুম্বকের শক্তির সম্পর্ক কী?
উত্তর : একক দৈর্ঘ্যে পাকসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তড়িৎ চুম্বকের শক্তি বাড়ে।
প্রশ্ন. দুটি অর্ধপরিবাহীর নাম লেখো।
উত্তর : দুটি অর্ধপরিবাহী হল — জার্মেনিয়াম, সিলিকন।
প্রশ্ন. LED-এর পুরো নাম কী?
উত্তর : LED-এর পুরো নাম হল — Light Emitting Dide
প্রশ্ন. ব্যাটারি কীসের সাহায্যে তৈরি হয়?
উত্তর : ব্যাটারি একাধিক কোশের সাহায্যে তৈরি হয়।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :-
প্রশ্ন. প্রাইমারি বা ডিসপোজেবল সেল কী?
উত্তর : টর্চের সেলের ভিতরে থাকে রাসায়নিক পদার্থ। এই রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারের ফলে রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপ বদল করে। এই সেলকে বলে প্রাইমারি সেল বা ডিসপোজেবল সেল।
প্রশ্ন. সেকেন্ডারি সেল কী?
উত্তর : গাড়ির শক্তিশালী ব্যাটারিতে থাকে ছটা বা তার বেশি সেল এই ধরনের সেলকে সেকেন্ডারি সেল বলে।
প্রশ্ন. বোতাম সেল কী?
উত্তর : ইলেকট্রিক হাতঘড়িতে যে সেল থাকে তা দেখতে অনেকটা বোতামের মতো, একে বোতাম সেল বলে।
প্রশ্ন. বৈদ্যুতিক বাতির ফিলামেন্টের কী কী গুণ থাকা উচিত?
উত্তর : বৈদ্যুতিক বাতির ফিলামেন্টের গুণগুলি হল—(i) ফিলামেন্ট তারটি সরু ও লম্বা হওয়া উচিত। যাতে তার রোধ বেশি হয়। (ii) ফিলামেন্টের উপাদানের গলাঙ্ক বেশি হওয়া প্রয়োজন।
প্রশ্ন. সমপ্রবাহ ও পরিবর্তী প্রবাহ কাকে বলে?
উত্তর : সমবাহ : কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে একটানা একই দিকে তড়িৎ প্রবাহ হলে তাকে সমপ্রবাহ বলে।
পরিবর্তী প্রবাহ : কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহের দিক যদি নির্দিষ্ট সময় অন্তর পর্যায়ক্রমে বিপরীতমুখী
হয় তবে তাকে পরিবর্তী প্রবাহ বলে।
প্রশ্ন. তড়িদদ্বর্তনী বলতে কী বোঝো?
উত্তর : পরিবাহী দ্বারা সংযুক্ত তড়িৎ উৎস, রোধ ও অন্যান্য তড়িৎ যন্ত্রাদির সমন্বয়কে তড়িদ্বর্তনী বলে। তড়িদ্বর্তনী
দুই প্রকার—–(i) বদ্ধ বর্তনী, (ii) উন্মুক্ত বর্তনী।
প্রশ্ন. তড়িৎ প্রবাহের ফলে কী কী ঘটনা ঘটতে পারে?
উত্তর : তড়িৎ প্রবাহের ফলে নিম্নলিখিত ঘটনাগুলি ঘটতে পারে—(i) পরিবাহীতে তাপের উদ্ভব ঘটে। (ii) রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। (iii) পরিবাহীর নিকটস্থ অঞ্চলে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি হতে পারে। (iv) বৈদ্যুতিক যন্ত্রে তড়িৎ প্রবাহ চালিয়ে ওই যন্ত্রে যান্ত্রিক গতির সৃষ্টি করা যায়।
প্রশ্ন. তড়িদ্বর্তনীতে ব্যবহৃত বিভিন্ন অংশের নামগুলি লেখো।
উত্তর : তড়িদ্বর্তনীতে ব্যবহৃত বিভিন্ন অংশ—1. একটি ব্যাটারি বা কোশের সমবায়, 2. একটি তড়িৎ কোশ, 3. সুইচ
(বন্ধ), 4. সুইচ (মুক্ত), 5. পরস্পর যুক্ত নয় দুটি এমন তার, 6. পরস্পর সংযুক্ত তার, 7. রোধক, 8. পরিবর্তনশীল
রোধ বা রিওস্ট্যাট, 9. অ্যামিটার, 10. ভোল্টমিটার, 11. বালব, 12. তার।
প্রশ্ন. বৈদ্যুতিক পাখার রেগুলেটর দ্বারা পাখাকে আস্তে ঘোরালে রেগুলেটর গরম হয় কেন?
উত্তর : বৈদ্যুতিক পাখার রেগুলেটর একটি পরিবর্তনশীল রোধ। এটি নিয়ন্ত্রণের দ্বারা পাখাকে আস্তে ঘোরালে বর্তনীর রোধ বাড়ে এবং প্রবাহমাত্রা কমে। এই অবস্থায় রোধ বেশি হওয়ায় বেশি তাপ উৎপন্ন হয়। ফলে রেগুলেটর গরম হয়।
(v) পরিবেশবান্ধব শক্তি : প্রশ্ন উত্তর প্র্যাকটিস সেট
❐ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :-
প্রশ্ন. তাপশক্তির কয়েকটি ব্যবহার লেখো।
উত্তর : তাপশক্তির কয়েকটি ব্যবহার হল—বিদ্যুৎ উৎপাদনে, রান্না করতে, স্টিম ইঞ্জিন চালাতে, অপারেশন করার আগে ছুরি, কাঁচি চালাতে, নির্বীজ করতে ইত্যাদি।
প্রশ্ন. তড়িৎ শক্তির কয়েকটি ব্যবহার লেখো।
উত্তর : তড়িৎ শক্তির ব্যবহার—আলো জ্বালাতে, কম্পিউটার চালাতে, রেলগাড়ি চালাতে, ট্রাম চালাতে, পাম্প চালাতে ইত্যাদি।
প্রশ্ন. বর্তমান পৃথিবীতে সর্বোত্তম কার্যকরী শক্তি কী?
উত্তরঃ বর্তমান পৃথিবীতে সর্বোত্তম কার্যকরী শক্তি হল—বিদ্যুৎ।
প্রশ্ন. সাধারণভাবে সকল শক্তির প্রাথমিক উৎস কী?
উত্তর : সাধারণভাবে সকল শক্তির প্রাথমিক উৎস—সৌরশক্তি।
প্রশ্ন. বায়োগ্যাসের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর : বায়োগ্যাসের একটি উদাহরণ—গোবর গ্যাস।
প্রশ্ন. পেট্রোলিয়ামজাত খনিজ তেলের উৎস কী?
উত্তর : পেট্রোলিয়ামজাত খনিজ তেলের উৎস—প্রাণী জীবাশ্ম।
প্রশ্ন. X-Ray এবং Xerox মেশিনে কোন শক্তি ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : তড়িৎ শক্তি।
প্রশ্ন. ‘পেট্রোলিয়াম’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ কী?
উত্তর : পাথুরে তেল।
প্রশ্ন. সর্বপ্রথম কোন দেশে পেট্রোলিয়াম খনন শুরু হয়?
উত্তরঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র 1859 খ্রিস্টাব্দে।
প্রশ্ন. আমাদের রাজ্যে কোন জায়গায় সৌরশক্তির ব্যবহার হচ্ছে?
উত্তর : সুন্দরবন অঞ্চলে।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :-
প্রশ্ন. জৈব জ্বালানির গুরুত্ব কী?
উত্তর : (i) জৈব জ্বালানির ব্যবহারে বায়ুদূষণের মাত্রা অপেক্ষাকৃত কম হয়। কারণ, এই দহনের ফলে তুলনামূলকভাবে অনেক কম মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড, হাইড্রো কার্বন ইত্যাদি উৎপন্ন হয়। সুতরাং এই জ্বালানি তুলনা মূলকভাবে বেশি পরিবেশ বান্ধব। (ii) এ ছাড়া এটি পরিশোধিত খনিজ তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে খনিজ তেলের সাশ্রয় হয়।
প্রশ্ন. বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধাগুলি কী?
উত্তর : বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধাগুলি হল—(i) বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনোরকম পরিবেশ দূষণ ঘটে না। (ii) যেসব অঞ্চলে প্রচলিত শক্তির পরিবহণ ও বণ্টনের সমস্যা বর্তমান, অথচ তীব্র গতির প্রকৃতির বায়ু আছে, সেখানকার পক্ষে এই প্রকল্প খুব কার্যকরী সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে এর উপযোগিতা বেশি।
প্রশ্ন. সৌরশক্তির উৎস কী? কোন কোন শক্তি সূর্য থেকে আসে না?
উত্তর : সূর্যের কেন্দ্রীয় অংশে অতি উচ্চ উন্নতায় তাপ-নিউক্লীয় বিক্রিয়াগুলির মাধ্যমে সূর্যের মধ্যে থাকা হাইড্রোজেন
গ্যাসের সঞ্চয় নিরবিচ্ছিন্নভাবে হিলিয়ামে রূপান্তরিত হয়ে চলেছে। এই রূপান্তরের সময় ভর পরিবর্তিত হয়ে পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়, যার অতি সামান্য অংশ পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। একেই আমরা সৌরশক্তি বলি। যে শক্তিগুলি সূর্য থেকে আসে না, সেগুলি হল—পারমাণবিক শক্তি, ভূতাপীয় শক্তি বা পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ তাপশক্তি।
প্রশ্ন. সৌরশক্তি ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি উল্লেখ করো।
উত্তর : সুবিধা : সৌরশক্তি ব্যবহারের সবচেয়ে বড়ো সুবিধা হল—অদূষক, নবীকরণযোগ্য এবং এটির উৎপাদন
ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অতি সামান্য। অসুবিধা : (i) ভূপৃষ্ঠে আপতিত সূর্যালোকের পরিমাণ ধ্রুবক নয়। সংশ্লিষ্ট জায়গায় অবস্থান, দিনের সময়, বছরের সময় এবং আবহাওয়ার অবস্থা ইত্যাদি বিষয়গুলির ওপর আপতিত সৌরশক্তির পরিমাণ প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। (ii) যেহেতু একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে নির্দিষ্ট মুহূর্তে লভ্য সৌরশক্তির পরিমাণ যথেষ্ট বা আশানুরূপ নয়, সুতরাং কার্যকরী হারে সৌরশক্তি সংগ্রহের জন্য বড়ো এলাকা বা পৃষ্ঠতলের প্রয়োজন।
প্রশ্ন. গোবর গ্যাস (জৈব গ্যাস) প্ল্যান্টের কার্যনীতি লেখো।
উত্তর : (i) গোবর ও জল (1:1) অনুপাতে ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রণ আধারে ঢেলে দেওয়া হয়, (ii) পচন আধারে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে গোবর পচে তৈরি হয় জ্বালানি গ্যাস মিথেন। অক্সিজেন বিরুদ্ধ পরিবেশে এই রাসায়নিক ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। (iii) পচন আধারের ওপরে থাকে গ্যাস সংগ্রহ আধার। ওখান থেকে গ্যাস নির্গমন নল দিয়ে প্রয়োজন মতো গ্যাস ব্যবহার করা হয়। (iv) ডান দিকে থাকে বর্জ্য জৈব আধার। সেখান দিয়ে বেরিয়ে আসে বর্জ্য জৈব উপাদান। গোবর গ্যাসের সঙ্গে মানুষের মলজাত গ্যাস মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়। কারণ মানুষের মলজাত গ্যাসও মিথেন। এটিও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
প্রশ্ন. সত্যিকার পরিবেশবান্ধব হতে গেলে আমাদের কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?
উত্তর : (i) কয়লা বা খনিজ তেলের মতো জ্বালানির অপব্যবহার কমাতে হবে। (ii) উপযুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা বা খনিজ তেল থেকে অন্যান্য কম দূষক জ্বালানি তৈরি করে কয়লা বা খনিজ তেলের আয়ু দীর্ঘায়িত করা যেতে পারে। (iii) মাটির তলায় বা পাহাড়ের ফাটলে আবদ্ধ প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎস থেকে যে গ্যাস আমাদের অজান্তেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তা কাজে লাগাতে সচেষ্ট হতে হবে। (iv) গভীর নলকূপের জল সেচের কাজে ব্যবহার না করে, নদীর জল ব্যবহার করলে জল তোলার জন্য ব্যবহৃত প্রচলিত শক্তির অনেকটাই বাঁচানো যায়। (v) জলপথে পরিবহণে যন্ত্রহীন নৌকার ব্যবহার বাড়ানোর কথা ভাবা যেতে পারে। সাইকেলের মতো পরিবহণে কোনো জ্বালানি লাগে না, এরকম পরিবহণ আরো বেশি ব্যবহার করা যেতে পারে। (vi) আমোদ-প্রমোদে অতিরিক্ত পরিমাণ শক্তি ব্যবহার না করে, মানবকল্যাণের কথা ভাবা উচিত। (vii) অপ্রচলিত পরিবেশবান্ধব শক্তি ব্যবহারের বিষয়ে সকলের সচেতনতা সুনিশ্চিত করতে হবে।
No comments
Hi Welcome ....