❏ আরো পড়ুনঃ ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা সূচিপত্র সমাধানঃ ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা খোলামেলা দিনগুলি প্রশ্ন উ...
❏ আরো পড়ুনঃ
ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা খোলামেলা দিনগুলি প্রশ্ন উত্তর সমাধান পৃষ্ঠা-১৪
❒ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করাে :(ক) একটি বসোরা গােলাপের স্তবকে (চারটি/সাতটি/দুটি) গােলাপ ফুল ফুটে ছিল।
(খ) আমাদের আর ইঞ্জিনীয়ার সাহেবের বাড়ির মাঝখানে যে (নালাটি/খালটি পুকুরটি) আছে।
(গ) জলের ঝারিহাতে (পুকুর/নদী/সমুদ্র) থেকে জল তুলে চারাগাছ দিতেন।
❒ শূন্যস্থান পূরণ করাে :
(ক) বাবাকে_________দেখেছি প্রকৃতির পূজারি।
উত্তরঃ শৈশবাবধি
(খ) সেই______ বােধহয় আমাদেরও রক্তের ধারায় বয়ে এসেছে।
উত্তরঃ অনুরাগ
(গ)______দমবন্ধ করা অবরােধ এখানে এসে যেন একবারে হালকা হয়ে গেছে।
(খ) সেই______ বােধহয় আমাদেরও রক্তের ধারায় বয়ে এসেছে।
উত্তরঃ অনুরাগ
(গ)______দমবন্ধ করা অবরােধ এখানে এসে যেন একবারে হালকা হয়ে গেছে।
উত্তরঃ সভ্যতার
(ঘ) চোখ আকর্ষণ করে নেয় তাদের সুষমা, তাদের সােহাগ বন্ধন______যেন।
উত্তরঃ রাধাকৃষ্ণ
(ঙ) সে কি রুপবতী, রাজকন্যা_______।
উত্তরঃ পাতালপুরীতে।
(ঙ) সে কি রুপবতী, রাজকন্যা_______।
উত্তরঃ পাতালপুরীতে।
❒ এককথায় উত্তর দাও :
১. খােলামেলা দিনগুলি গল্পের লেখিকার বাড়ির চাকরের নাম কী?
উত্তরঃ আনন্দ।
২. লেখিকার কোথায় প্রকৃতি যেন চারপাশে নিবিড় হয়ে এলাে?
উত্তরঃ বরিশালের মুক্ত প্রাঙ্গণে।
৩. কে শৈশবধি ছিলেন প্রকৃতির পূজারি?
উত্তরঃ লেখিকার বাবা।
৪. “সেই উন্মুক্ত অবকাশগুলি নিরন্তর পূর্ণ হয়ে উঠছে”—কী পূর্ণ হয়ে উঠছে?
উত্তরঃ খােলা দরজার আহ্বানের সঙ্গে সঙ্গে কচিপাতার ও দূর্বাদলের শ্যামলিমায়, ফুলের হাসিতে ও পাখির গানে উন্মুক্ত অবকাশগুলি পূর্ণ হয়ে উঠছে।
৫. দক্ষিণের দরজার পাশের বাগানে কী কী গাছ সৌরভ ছড়ায়?
উত্তরঃ বাগানে শিউলি, গন্ধরাজ আর হাসনুহানার গাছ সৌরভ ছড়ায়।
৬. “সকল সত্তা যেন আটকে গেল ওই স্তবকে”—স্তবকে কী ছিল?
উত্তরঃ একটি স্তবকে দুটি গােলাপ ফুল ফুটেছিল।
৭. চোখ আকর্ষণ করে নেয় কাদের সুষমা?
৩. কে শৈশবধি ছিলেন প্রকৃতির পূজারি?
উত্তরঃ লেখিকার বাবা।
৪. “সেই উন্মুক্ত অবকাশগুলি নিরন্তর পূর্ণ হয়ে উঠছে”—কী পূর্ণ হয়ে উঠছে?
উত্তরঃ খােলা দরজার আহ্বানের সঙ্গে সঙ্গে কচিপাতার ও দূর্বাদলের শ্যামলিমায়, ফুলের হাসিতে ও পাখির গানে উন্মুক্ত অবকাশগুলি পূর্ণ হয়ে উঠছে।
৫. দক্ষিণের দরজার পাশের বাগানে কী কী গাছ সৌরভ ছড়ায়?
উত্তরঃ বাগানে শিউলি, গন্ধরাজ আর হাসনুহানার গাছ সৌরভ ছড়ায়।
৬. “সকল সত্তা যেন আটকে গেল ওই স্তবকে”—স্তবকে কী ছিল?
উত্তরঃ একটি স্তবকে দুটি গােলাপ ফুল ফুটেছিল।
৭. চোখ আকর্ষণ করে নেয় কাদের সুষমা?
উত্তরঃ গনিয়ারি গাছ ও রাশি রাশি লাল ফুলে ভরা ঝুমকো জবার গাছ।
❒ সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১. স্কুলের বাইরে প্রকৃতির কাছ থেকে কী কী শেখা যায় তা 'খােলামেলা দিনগুলি’ অবলম্বনে সংক্ষেপে লেখাে।
উত্তরঃ স্কুলের বাইরে প্রকৃতির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। যেমন ও (i) মাটির ধূলার সঙ্গে একান্ত প্রত্যক্ষ ঘনিষ্ঠতা লাভ করা যায়। (ii) ফুলের বাগানে ও ফসলের খেতে জলসেচন দ্বারা প্রকৃতির ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য পাওয়া যায়। (iii) কচিপাতার ও দূর্বাঘাসের শ্যামলিমায়, ফুলের হাসিতে ও পাখির গানে উন্মুক্ত অবকাশ নিরন্তর পূর্ণ হয়ে ওঠে।
১. স্কুলের বাইরে প্রকৃতির কাছ থেকে কী কী শেখা যায় তা 'খােলামেলা দিনগুলি’ অবলম্বনে সংক্ষেপে লেখাে।
উত্তরঃ স্কুলের বাইরে প্রকৃতির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। যেমন ও (i) মাটির ধূলার সঙ্গে একান্ত প্রত্যক্ষ ঘনিষ্ঠতা লাভ করা যায়। (ii) ফুলের বাগানে ও ফসলের খেতে জলসেচন দ্বারা প্রকৃতির ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য পাওয়া যায়। (iii) কচিপাতার ও দূর্বাঘাসের শ্যামলিমায়, ফুলের হাসিতে ও পাখির গানে উন্মুক্ত অবকাশ নিরন্তর পূর্ণ হয়ে ওঠে।
২. লেখিকার বাবার কী অনুরাগ লেখিকাদেরও রক্তের ধারায় বয়ে এসেছে?
উত্তরঃ লেখিকার বাবা নিজের হাতে খুরপি সহযােগে মাটি তৈরি করে জলের ঝারি হাতে পুকুর থেকে জল তুলে। চারাগাছগুলিতে সকাল সন্ধ্যা নিয়মিত জলসেচন দ্বারা ফুলের বাগানে ও ফসলের খেতে খুব সুন্দর করে তাদের বাড়িখানা সাজিয়েছিলেন। সেই অনুরাগ লেখিকাদেরও রক্তের ধারায় বয়ে এসেছে।
❥❥ আরো পড়ুনঃ ❥❥
❒ অধ্যায়ঃ- ১ সেনাপতি শংকর প্র্যাক্টিস সেট ❒
(ক) ডানার বদলে দুই হাতে (বাতাস/হাওয়া/জল) কেটে।
উত্তরঃ বাতাস
(খ) স্বপ্নে ভিতর খাট থেকে পড়ে গিয়ে (ডান পায়ের/বাঁ পায়ের/হাতের) শিরায় টান ধরেছে।
(খ) স্বপ্নে ভিতর খাট থেকে পড়ে গিয়ে (ডান পায়ের/বাঁ পায়ের/হাতের) শিরায় টান ধরেছে।
উত্তরঃ বাঁ পায়ের
(গ) এমু পাখি তিন বছরে (দুটি/ছয়টি/আটটি) ডিম পাড়ে।
(গ) এমু পাখি তিন বছরে (দুটি/ছয়টি/আটটি) ডিম পাড়ে।
উত্তরঃ দুটি
(ঘ) পাখিরা (নীল/বেগুনি/সবুজ) রং দেখতে পায় না।
(ঘ) পাখিরা (নীল/বেগুনি/সবুজ) রং দেখতে পায় না।
উত্তরঃ বেগুনি
(ঙ) শংকরের বাবার নাম (অভিমন্যু/নারায়ণ/ভােলানাথ) সেনাপতি।
উত্তরঃ অভিমন্যু।
(ঙ) শংকরের বাবার নাম (অভিমন্যু/নারায়ণ/ভােলানাথ) সেনাপতি।
উত্তরঃ অভিমন্যু।
⏏ শূন্যস্থান পূরণ করাে :
(ক) পাঁচ-সাত মাইলের ভিতর_________।
উত্তরঃ বঙ্গোপসাগর
(খ) _______স্কুলের ক্লাস ফাইভে বিভীষণ দাশ এমু পাখির কথা বলেছিলেন।
(খ) _______স্কুলের ক্লাস ফাইভে বিভীষণ দাশ এমু পাখির কথা বলেছিলেন।
উত্তরঃ আকন্দবাড়ি
(গ)________গাব গাছের উঁচু ডাল থেকে ঝাঁকা দিচ্ছে বড়ােদিঘিতে।
(গ)________গাব গাছের উঁচু ডাল থেকে ঝাঁকা দিচ্ছে বড়ােদিঘিতে।
উত্তরঃ ঘােলপুকরে
(ঘ) এতক্ষণ যেন সে ক্লাসের বাইরে______ সঙ্গেই আকাশে উড়ছিল।
(ঘ) এতক্ষণ যেন সে ক্লাসের বাইরে______ সঙ্গেই আকাশে উড়ছিল।
উত্তরঃ শঙ্খচিলদের
(ঙ) গম্ভীর গলায় বললেন, এমু পাখির বাসস্থান_______পর্বতমালা।
(ঙ) গম্ভীর গলায় বললেন, এমু পাখির বাসস্থান_______পর্বতমালা।
উত্তরঃ আন্দিজ
(চ) ওর খুব পেট গরম______তাই রােজ স্বপ্ন দেখে।
(চ) ওর খুব পেট গরম______তাই রােজ স্বপ্ন দেখে।
উত্তরঃ মাস্ সাই
⏏ সমার্থক শব্দ লেখাে : বাতাস/ছেলে/ রােজ/আলাে।
বাতাস — মরুৎ, বায়ু, পবন, সমীর, সমীরণ।
ছেলে — পুত্র, বেটা, সন্তান, দুলাল, কুমার।
রােজ — প্রতিদিন, দৈনিক, প্রত্যহ, নিত্য।
⏏ সমার্থক শব্দ লেখাে : বাতাস/ছেলে/ রােজ/আলাে।
বাতাস — মরুৎ, বায়ু, পবন, সমীর, সমীরণ।
ছেলে — পুত্র, বেটা, সন্তান, দুলাল, কুমার।
রােজ — প্রতিদিন, দৈনিক, প্রত্যহ, নিত্য।
আলাে — দীপ, রশ্মি, শিখা, আলােক।
⏏ এককথায় উত্তর দাও :
১. অপেরা বলতে কী বােঝাে?
১. অপেরা বলতে কী বােঝাে?
উত্তরঃ গীতিনাট্য বা যাত্রা।
২. এমু পাখির বাসস্থান কোথায়?
উত্তরঃ দক্ষিণ আমেরিকার আন্ডিজ পর্বতমালায়।
৩. তুমি জেগে দেখেছ আর স্বপ্নে দেখেছ এমন একটি করে জিনিসের নাম করাে।
উত্তরঃ জেগে ঘন সবুজ রােয়া ধান আর স্বপ্নে এমু পাখি দেখেছি।
৪. কোন বইতে জীবজন্তু বা পশুপাশি সম্পর্কে লেখা থাকে?
উত্তরঃ প্রকৃতিবিজ্ঞানের বইতে।
৫. এখানে বাতাসের ভিতর সবসময় কী থাকে?
উত্তরঃ ভিজে জলের ঝাপটা।
৬. কোন স্কুলে বিভীষণ দাশ পড়াতেন?
উত্তরঃ আকন্দবাড়ি।
৭. প্রকৃতিবিজ্ঞানের বইতে কীসের ছবি ছিল?
উত্তরঃ পাখির ছবি।
৮. বিভীষণ মাস্টারের কথা মতাে এমু পাখির বাসস্থান কোথায়?
উত্তরঃ দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পর্বতমালা।
৯. শংকর ক্লাসের বাইরে কাদের সঙ্গে আকাশে উড়ছিল?
উত্তরঃ শঙ্খচিলদের সঙ্গে।
১০. কোথায় ধানখেতে রােয়া ধানগাছ সবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
উত্তরঃ স্কুলের সামনে।
১১. ক্লাসে বিভীষণ মাস্টারের পড়ানাে কোন কথাটা একবার শংকরের কানে ঢুকেছিল?
উত্তরঃ এমু কথাটা।
১২. রেগেমেগে বিভীষণ মাস্টার বিদ্রুপ করে কোন অপেরার কথা বলেছিলেন?
উত্তরঃ পশ্চানন অপেরা।
১৩. তিন বছরে এমুপাখি মােটে ক-টা ডিম পাড়ে?
উত্তরঃ দুটো।
১৪. শংকরের স্বপ্নে দেখা এমু পাখির গায়ের রং কী ছিল?
উত্তরঃ গাঢ় ছাই রং।
১৫. বিভীষণ মাস্টার কাকে দৌড়বাজ পাখি বলেছেন?
উত্তরঃ এমু পাখি।
১৬. আকন্দবাড়ির স্কুলে ক্লাস ফাইভে কতগুলি ছেলেমেয়ে ছিল?
উত্তরঃ জনা ত্রিশেক।
১৭. নারকেল গাছের মাথার ওপর কী, কেমন ভাবে ভাসছে?
উত্তরঃ শঙ্খচিল, উঁচুতে ডানা মেলে।
১৮. শংকর স্বপ্নে অনেক উঁচুতে ডানার বদলে কী দিয়ে বাতাস কেটে এগিয়ে যাচ্ছিল?
উত্তরঃ দুই হাতে।
⏏ সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১. স্বপ্নের মধ্যে শংকর সেনাপতি ঘােলপুকুরে গাব গাছের ডাল থেকে কী করছিল?
উত্তরঃ স্বপ্নের মধ্যে শংকর সেনাপতি ঘােলপুকুরে গাব গাছের উঁচু ডাল থেকে বড়ােদিঘিতে ঝাপ দিচ্ছিল। মিঠে জলে না পড়ে সে পাখির মতাে ভাসছিল। ডানার বদলে সে দুই হাতে জলের মতাে বাতাস কেটে সাঁতার দিচ্ছিল। জলে সাঁতার দেওয়ার মতাে সে বাতাসে দু-পা ঠেলে দিয়ে আরও দু-পা এগিয়ে যাচ্ছিল। অনেক অনেক উঁচুতে উঠে অনেকটা শঙ্খচিলদের মতােই।
উত্তরঃ স্বপ্নের মধ্যে শংকর সেনাপতি ঘােলপুকুরে গাব গাছের উঁচু ডাল থেকে বড়ােদিঘিতে ঝাপ দিচ্ছিল। মিঠে জলে না পড়ে সে পাখির মতাে ভাসছিল। ডানার বদলে সে দুই হাতে জলের মতাে বাতাস কেটে সাঁতার দিচ্ছিল। জলে সাঁতার দেওয়ার মতাে সে বাতাসে দু-পা ঠেলে দিয়ে আরও দু-পা এগিয়ে যাচ্ছিল। অনেক অনেক উঁচুতে উঠে অনেকটা শঙ্খচিলদের মতােই।
২. যখন বিভীষণ মাস্টারমশাই এমু পাখি সম্বন্ধে পড়াচ্ছিলেন তখন শংকর সেনাপতি কী করছিল?
উত্তরঃ শংকর তখন স্কুলের শিক খােলা জানলা দিয়ে স্কুলের সামনের ধান খেতে রােয়া সবে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা ঘন সবুজ ধানগাছ দেখছিল। তার ওপর মেঘের ছায়া পড়ছিল, ছায়া সরে গেল, আবার সেখানে রােদ ঢুকল।
৩. বিভীষণ মাস্টার যখন ঠাট্টার সুরে শংকরকে প্রশ্ন করলেন কেমন দেখতে সে এমু পাখি’তখন শংকর কী উত্তর দিল?
উত্তরঃ শংকর তার স্বপ্নের ভিতর দেখা দৃশ্য মনে করে ভয়ে ভয়ে বলতে লাগল, সেই এমু পাখির গায়ের রং গাঢ় ছাই। তার বাজপাখির চেয়েও চওড়া বুক। সে উড়ে গেলে তার ডানায় বাতাস জোরে বাতাস কাটার শব্দ হয় তখন আবার ভয়ে অন্য পাখিগুলাে সরে যায়।
৪. সারা ক্লাসের ছেলেরা হাসি থামাবার পর বিভীষণ দাশ যখন শংকরকে প্রশ্ন করলেন তুমি স্বপ্নে দেখেছ। এমু পাখি?’ তখন শংকর কী বলল?
উত্তরঃ শংকর বলল, হ্যাঁ মাস্ সাই । নইলে আর কোথায় দেখব? আপনি তাে বললেন এমু পাখি থাকে আন্দিজ পাহাড়ে। সে পাহাড় কোথায় আমি জানি না। স্বপ্নে আরও অনেক রকমের পাখি আসে মাস্ সাই।
৫. শংকর কখন এক গাল হেসে ফেলল ? কারণ কী?
উত্তরঃ প্রথমে কিছুক্ষণ রাগ দেখানাের পর যখন বিভীষণ মাস্টারমশাই হঠাৎ শান্তভাবে প্রশ্ন করলেন যে সে গাছে গাছে ঘােরে কিনা তখন শংকর খুশিতে একগাল হেসে বলেছিল, হ্যাঁ মাস্ সাই। কারণ এমন প্রশ্ন তাকে মাস্ সাই করবেন তা সে আদৌ আগে ভাবতে পারেনি।
উত্তরঃ শংকর তখন স্কুলের শিক খােলা জানলা দিয়ে স্কুলের সামনের ধান খেতে রােয়া সবে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা ঘন সবুজ ধানগাছ দেখছিল। তার ওপর মেঘের ছায়া পড়ছিল, ছায়া সরে গেল, আবার সেখানে রােদ ঢুকল।
৩. বিভীষণ মাস্টার যখন ঠাট্টার সুরে শংকরকে প্রশ্ন করলেন কেমন দেখতে সে এমু পাখি’তখন শংকর কী উত্তর দিল?
উত্তরঃ শংকর তার স্বপ্নের ভিতর দেখা দৃশ্য মনে করে ভয়ে ভয়ে বলতে লাগল, সেই এমু পাখির গায়ের রং গাঢ় ছাই। তার বাজপাখির চেয়েও চওড়া বুক। সে উড়ে গেলে তার ডানায় বাতাস জোরে বাতাস কাটার শব্দ হয় তখন আবার ভয়ে অন্য পাখিগুলাে সরে যায়।
৪. সারা ক্লাসের ছেলেরা হাসি থামাবার পর বিভীষণ দাশ যখন শংকরকে প্রশ্ন করলেন তুমি স্বপ্নে দেখেছ। এমু পাখি?’ তখন শংকর কী বলল?
উত্তরঃ শংকর বলল, হ্যাঁ মাস্ সাই । নইলে আর কোথায় দেখব? আপনি তাে বললেন এমু পাখি থাকে আন্দিজ পাহাড়ে। সে পাহাড় কোথায় আমি জানি না। স্বপ্নে আরও অনেক রকমের পাখি আসে মাস্ সাই।
৫. শংকর কখন এক গাল হেসে ফেলল ? কারণ কী?
উত্তরঃ প্রথমে কিছুক্ষণ রাগ দেখানাের পর যখন বিভীষণ মাস্টারমশাই হঠাৎ শান্তভাবে প্রশ্ন করলেন যে সে গাছে গাছে ঘােরে কিনা তখন শংকর খুশিতে একগাল হেসে বলেছিল, হ্যাঁ মাস্ সাই। কারণ এমন প্রশ্ন তাকে মাস্ সাই করবেন তা সে আদৌ আগে ভাবতে পারেনি।
⏏ দীঘধর্মী প্রশ্নের উত্তর দাও :
১. শংকর যে স্কুলে পড়ত তার একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
অথবা, শংকরের স্কুলবাড়িটির বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ শংকরের স্কুলের নাম আকন্দবাড়ি স্কুল। স্কুলটি বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী পাঁচ-সাত মাইলের মধ্যে অবস্থিত। সেখানে গােটা চারেক গ্রাম থেকে জনা ত্রিশেক ছেলেমেয়ে পড়তে আসত। স্কুলবাড়িটি ছিল টালির ছাদে তৈরি। মাটির দেয়াল, মাটির মেঝে, কাঠের বেঞ। জানালায় একটাও শিক নেই। সেই জানালা দিয়ে আকাশের মেঘ দেখা যায়। গাছপালা সব কিছু দেখা যায়। দেখা যায় পাখি উড়ছে।
১. শংকর যে স্কুলে পড়ত তার একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
অথবা, শংকরের স্কুলবাড়িটির বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ শংকরের স্কুলের নাম আকন্দবাড়ি স্কুল। স্কুলটি বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী পাঁচ-সাত মাইলের মধ্যে অবস্থিত। সেখানে গােটা চারেক গ্রাম থেকে জনা ত্রিশেক ছেলেমেয়ে পড়তে আসত। স্কুলবাড়িটি ছিল টালির ছাদে তৈরি। মাটির দেয়াল, মাটির মেঝে, কাঠের বেঞ। জানালায় একটাও শিক নেই। সেই জানালা দিয়ে আকাশের মেঘ দেখা যায়। গাছপালা সব কিছু দেখা যায়। দেখা যায় পাখি উড়ছে।
২. হ্যাঁ মাস্ সাই —কথাটা কে কাকে কখন বলেছিল? তার আগে তাদের উভয়ের কথােপকথনগুলি পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী লেখাে।
উত্তরঃ ক্লাসে এমু পাখি সম্পর্কে পড়াতে পড়াতে বিভীষণ মাস্টারমশাই যখন লক্ষ করলেন যে শংকরের পড়ায় মন নেই তখন তিনি তাকে যে প্রশ্ন করেছিলেন তার উত্তরে সে বলেছিল—হ্যাঁ মাস্ সাই। তাদের উভয়ের কথােপকথন শুরু হয়েছিল এভাবে বিভীষণ দাশ চটে গিয়ে বললেন— কী দেখছিলে বাইরে ? ঘাবড়ে গিয়ে শংকর বলল—শঙ্খচিল মাস্টারমশাই আকাশে। ওঃ শঙ্খচিল! আমি কী পড়াচ্ছি বলাে তাে? কিছুক্ষণ আগে আনমনা থাকলেও শংকরের কানে এমু পাখির কথাটা কানে ঢুকেছিল। তাই সে বুক ঠুকে বলেছিল হ্যাঁ মাস্ সাই।
No comments
Hi Welcome ....