Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Top Ad

Breaking News:

latest

B.ed Notes Bengali Version Wbuttepa Course : 1.1.1 (1st Half)

WBUTTEPA B.ed notes in Bengali Version | childhood and growing up (1st half)       ❥ আরো পড়ুন  ❥ ❒  B.ed  ফার্স্ট সেমিস্টার নোটস সূচ...

b ed notes in bengali pdf

WBUTTEPA B.ed notes in Bengali Version | childhood and growing up (1st half)


      ❥ আরো পড়ুন ❥
❒ B.ed ফার্স্ট সেমিস্টার নোটস সূচিপত্র 
❒ Childhood and Growing Up: B.ed Question Paper Previous Year ☟☟☟

Course: 1.1.1 (1st Half)  Question Paper
Childhood & Growing Up 2021 Download Now
Childhood & Growing Up 2020 Download Now
Childhood & Growing Up 2019 Download Now
Childhood & Growing Up 2018 Download Now
Childhood & Growing Up 2017 Download Now
Childhood & Growing Up 2016 Download Now

B.ed 1st Semester Notes 
Childhood and Growing Up: Development & its Characteristic s
Course: 1.1.1 (1st Half) 
Mark - 2 
Total Notes Question - 65

All 65 Question [Mark - 2]

Q1. ব্যক্তিত্ব বলতে কী বোঝেন?

➢ ব্যক্তিত্ব হল মানুষের অভ্যন্তরীণ এমন কিছু বৈশিষ্ট্য, যা প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যেই বিরাজমান এবং এই বৈশিষ্ট্যের করণেই কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে পৃথক হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। মনোবিদ আলপোর্ট ব্যক্তিসত্বার সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বলেছেন - ব্যক্তিত্ব হল ব্যক্তির অন্তস্থিত এক ধরনের জৈব মানসিক সংগঠন যা তাকে পরিবেশের সঙ্গে সাধারণভাবে সামঞ্জস্য বিধান করতে সাহায্য করে।

Q2. ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলি লিখুন।
➢‘ব্যক্তিত্ব’ বা ‘Personality’-র কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়, এগুলি হল— (i) ব্যক্তিত্ব ব্যক্তির কিছু মনোবৈজ্ঞানিক বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়। (ii) এই বৈশিষ্ট্যের ব্যক্তিত্ব সমন্বয় মানুষকে সতত পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করতে সাহায্য করে। 
(iii) ব্যক্তিত্ব ব্যক্তির জৈব-মানসিক সংগঠন। অর্থাৎ, ব্যক্তিত্বের বিকাশে দেহ ও মন উভয়েরই ভূমিকা বর্তমান। (iv) ব্যক্তিত্বের ধারণা ব্যক্তির অনন্যতা বা নিজস্বতাকে প্রকাশ করে। 

Q3. ব্যক্তিসত্তার সংলক্ষণ কী?
➢ ব্যক্তিসত্তার বহুমুখী বিকাশের সঙ্গে ব্যক্তি পরিবেশের সংস্পর্শে এসে নিজের মধ্যে অনেক বৈশিষ্ট্যের সৃষ্টি করে। এই ধরনের বিভিন্ন সত্তাকে বলা হয় ব্যক্তিসত্তার সংলক্ষণ। মনোবিদ মে-এর মতে, “যেসব অভ্যাসমূলক আচরণের মধ্যে আংশিক বা সামগ্রিক মিল আছে, তাদের একত্রে সংলক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়।” অন্যদিকে মনোবিদ্‌ আলপোর্ট বলেন -“সংলক্ষণ সামগ্রিক এবং কেন্দ্রীভূত এমন এক জৈব মানসিক সত্তা, যা বিভিন্ন উদ্দীপকের সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যক্তির মধ্যে সামস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়।”

Q4. ব্যক্তিসত্তা সংলক্ষণের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
➢ ব্যক্তিসত্তা সংলক্ষণের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল— (i) ব্যক্তিসত্তার সংলক্ষণ অনেক বেশি সামগ্রিক ভাবাপন্ন। (ii) সংলক্ষণ ব্যক্তির আচরণের পারস্পরিক বিরোধকে দূর করে। (iii) সংলক্ষণ ব্যক্তির অর্জিত বৈশিষ্ট্য। জীবনপথে ঘাত-প্রতিঘাতের মাধ্যমে, জন্মগত প্রবণতার পুনঃসংগঠনের মাধ্যমে সংলক্ষণ বিকাশ হয়। (iv) ব্যক্তিসত্তার সংলক্ষণে দ্বিমুখিতা লক্ষ করা যায়।

Q5. পঞ্চ উপাদান তত্ত্বগুলি কী কী?
➢ পঞ্চ উপাদান তত্ত্বে পাঁচটি উপাদান বিদ্যমান। সেগুলি হল –
T — O মুক্ত অভিজ্ঞতা বনাম বদ্ধ অভিজ্ঞতা।
R — C  নৈতিকতা বনাম অনৈতিকতা।
A —  E নৈতিকতা বনাম অনৈতিকতা।
I — A গ্রহণযোগ্যতা বনাম গ্রহণযোগ্যতার অভাব।
T — N নিউরোটিসিজম বনাম আবেগসাম্যতা।

Q6. আইজ্যাঙ্কের তত্ত্বের শিক্ষাগত গুরুত্ব লিখুন। 
➢ আইজ্যাঙ্কের তত্ত্বের শিক্ষাগত গুরুত্বগুলি হল— (i) আইজ্যাঙ্কের তত্ত্বের মাধ্যমে ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন মাত্রাকে জানা সম্ভব হয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্বের ধরনগুলি সম্পর্কে অবগত হতে পারলে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্বের ধারণাগত পার্থক্য ও চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা দিতে পারবেন। (ii) এই তত্ত্বের সাহায্যে ব্যক্তির আচরণ সংগঠনের পর্যায় বা স্তর সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়। শিক্ষার্থীর কোনো নতুন আচরণ সংগঠনে এই তত্ত্বকে শিক্ষকগণ কাজে লাগাতে পারেন।

Q7. পঞ্চ উপাদান তত্ত্বের বৈশিষ্ট্যগুলি লিখুন।
➢ পঞ উপাদান তত্ত্বের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— (i) এই উপাদান কোনো শ্রেণিবিভাগ নয় এটি মাত্রাগত বা dimensional. (ii) এই উপাদানগুলি প্রত্যেক প্রাপ্রবয়স্ক মানুষের মধ্যে অবস্থান করে। (iii) এই উপাদানগুলিকে সার্বজনীন ও শাশ্বত হিসেবে গণ্য করা হয়। (iv) উপাদানগুলি আংশিকভাবে বংশগতির দ্বারা নির্ধারিত হয়।

Q8. প্রক্ষেপণ অভীক্ষা কী?
➢ সাধারণ প্রক্ষেপণ বলতে বোঝায় কোনো বিষয়ের উপস্থাপনাকে। ব্যক্তিত্ব পরিমাপের ক্ষেত্রে ব্যক্তির অবচেতন মনের প্রক্ষোভ, জটিলতা, সমস্যা, চাহিদা ইত্যাদি অন্যান্যদের সামনে তুলে উপস্থাপন করা কেই প্রক্ষেপণ বা Projection বলা হয়। ব্যক্তির অবচেতন মনের বিভিন্ন ক্ষেত্র, যেমন—ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য, ভয়, সন্দেহ, মনোভাব, যোগ্যতা ইত্যাদির পরিমাপক হিসেবে প্রক্ষেপণ অভীক্ষা ব্যবহার করা হয়।

Q9. পর্যবেক্ষণ কী?
➢ ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের বহিঃআচরণগত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য ব্যক্তিকে প্রত্যক্ষভাবে অধ্যয়ন বা অনুসন্ধান করাকে পর্যবেক্ষণ বলা হয়। ব্যক্তিত্ব পরিমাপের ক্ষেত্রে ব্যক্তি এবং বিজ্ঞানভিত্তিক কৌশল।সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের মৌলিক পদ্ধতি হল পর্যবেক্ষণ। 

Q10. রেটিং স্কেল কী?
➢ ব্যক্তিত্ব পরিমাপের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হল রেটিং স্কেল। ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণ করার পর তার বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মাত্রা কীরূপ তা বোঝানোর জন্য এই পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়। এর সাহায্যে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অন্যান্য দের মতামত জানা যায়। প্রকৃত অর্থে, Rating হল কোনো অবস্থা, বিষয়, বৈশিষ্ট্য বা গুণাগুণের ভিত্তিতে মতবাদ বা Judgement .

Q11. সাক্ষাৎকার কী?
➢ ব্যক্তির মুখোমুখি হয়ে তার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে তথ্যাদি সংগ্রহ করার পদ্ধতিকে সাক্ষাৎকার বলা হয়। অন্যভাবে বললে, সাক্ষাৎকার হল মুখোমুখি আন্তঃব্যক্তিকেন্দ্রীক এক পরিস্থিতি, যেখানে একজন সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী, অন্য ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব নির্ণায়ক প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করে ব্যক্তিত্ব পরিমাপের চেষ্টা করেন।

Q12. পরিণমন কী?
➢ পরিণমন হল এমন এক ধরনের পরিবর্তন যা মানুষের জীবনে স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসে। অর্থাৎ পরিনমনের জন্য প্রশিক্ষণ বা শিখনের কোনো প্রয়োজন হয় না তাকে পরিণমন বলে। 

Q13. 
বঞ্চনা কী ?
➢ বঞ্চনার অভিধানক অর্থ হল—” the state of not having something thatpeople need.” অর্থাৎ, 
বঞ্চনা হল মানুেষের প্রয়োজনীয়তাকে না পাওয়ার অবস্থা। শিক্ষাবিদ Jack Fincher-এর মতে, বঞ্চনা হল মানসিক ও শারীরিক/দৈহিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাভাবিক বিষয় থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার অবস্থা বা প্রক্রিয়া।

Q14. বিকাশের যে-কোনো চারটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন।
➢ বিকাশের চারটি বৈশিষ্ট্য হল— (i) বিকাশ জীবনব্যাপী একটি ধারবাহিক প্রক্রিয়া জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি একটি প্রক্রিয়া চলে। (ii) বিকাশ একদিনে হয় না। এটি ধীরে ধীরে এবং ধাপে ধাপে সংগঠিত হয়। প্রতিটি ধাপে কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য মানুষ অর্জন করে এবং তারপর সে পরবর্তী ধাপে পৌঁছায়। যেমন— মানুষ জন্মের পর শৈশব, বাল্য, কৈশোরের স্তর অতিক্রম করে বয়স্ক মানুষে পরিণত হয়। (iii) বিকাশ বংশগতি ও পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়। কোনো ব্যক্তির বিকাশ কতদূর হতে পারে তা নির্ধারণ করে বংশগতি এবং ব্যক্তির বিকাশের সম্ভাবনা তৈরি করে পরিবেশ। (iv) বিকাশ এমন একটি প্রক্রিয়া যা একটি নির্দিষ্ট ক্রম অনুসারে হয়।

Q15. বৃদ্ধি বলতে কী বোঝেন? 
 বৃদ্ধিও এক ধরনের পরিবর্তনের প্রক্রিয়া এবং এটি বিকাশের একটি অংশ। অর্থাৎ, পরিবর্তনের একটি বিশেষ বা নির্দিষ্ট ভাগকে বৃদ্ধি বলে। বৃদ্ধি হল শরীরের কাঠামোগত এবং শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন। এই পরিবর্তন সহজেই পর্যবেক্ষণযোগ্য এবং পরিমাপযোগ্য।

Q16. বৃদ্ধি ও বিকাশের মধ্যে কয়েকটি পার্থক্য লিখুন।
Or, বৃদ্ধি ও বিকাশের মধ্যে তুলনা করুন।


বৃদ্ধি বিকাশ
❶ বৃদ্ধি হল বিকাশের একটি অংশ। ❶ বিকাশ হল বৃদ্ধির থেকে বৃহৎ ও সামগ্রিক ধারণা।
❷ বৃদ্ধির একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। ❷ বিকাশ ধারাবাহিক প্রক্রিয়া অর্থাৎ সারাজীবনব্যাপী এই প্রক্রিয়া চলে।
❸ বৃদ্ধি সহজে পরিমাপযোগ্য কারণ এটি শারীরিক আকার ও আয়তনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ❸ বিকাশের সমস্ত দিক সহজভাবে পরিমাপ করা সম্ভব নয়।
❹ বৃদ্ধি পরিমাণগত (quantitative)। ❹ বিকাশ পরিমাণগত ও গুণগত (quantitative & qualitative)।

Q17. বিকাশের যে-কোনো চারটি নীতি উল্লেখ করুন।
 বিকাশের চারটি নীতি হল, যথা—(i) বিকাশ জীবনব্যাপী একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। (ii) বিকাশের ক্ষেত্রে ব্যক্তিবৈষম্য দেখা যায়। (iii) বিকাশ হল বংশগতি ও পরিবেশের মিথস্ক্রিয়ার ফল। (iv) বিকাশ হল একটি ক্রমপুঞ্জিত প্রক্রিয়া, যা একদিনে হয় না এটি ধীরে ধীরে ও ধাপে ধাপে সংগঠিত হয়।

Q18. বিকাশ বলতে কী বোঝেন?
➢বিকাশ হল এক ধরনের পরিবর্তন যা নির্দিষ্ট ক্রমানুসারে আসে, যা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং যা জীবনের প্রথম থেকে মৃত্যু অবধি সংগঠিত হয়। Hurlock-এর মতে, বিকাশ বা Development হল “progressive series of orderly, coherent changes.” অর্থাৎ, নির্দিষ্ট স্তরভিত্তিক, স্থায়ী ক্রমিক পরিবর্তন আসায় হল বিকাশ।

Q19. শৈশবের প্রাক্ষোভিক বৈশিষ্ট্যগুলি কী?
 শৈশবের প্রাক্ষোভিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল – (i) রাগ, ভয়, উল্লাস ইত্যাদি প্রক্ষোভের বিকাশ শিশুর মধ্যে হতে থাকে। (ii) এই স্তরে শিশুর প্রক্ষোভগুলির আরও পৃথক্করণ হয়। (iii) পরিবারকে ছাড়িয়ে তার স্নেহ-ভালোবাসা বৃহত্তর পরিবেশের মধ্যে বিস্তৃত হয়। (iv) এই সময় সেন্টিমেন্টের বিকাশ শুরু হয়।

Q20.  শৈশবের সামাজিক বৈশিষ্ট্যগুলি কী?
➢ শৈশবের সামাজিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল – (i) ধীরে ধীরে শিশুর সমাজ পরিবারকে ছাড়িয়ে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। (ii) সহযোগিতা, সহানুভূতি ইত্যাদি সামাজিক বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটে। (iii) সকলের সঙ্গে মানিয়ে চলার মনোভাব তার মধ্যে তৈরি হয়। (iv) সমবয়সীদের নিয়ে দলগঠনের প্রবণতা ধীরে ধীরে তার মধ্যে লক্ষ করা যায়।

Q21. বাল্যকালের দৈহিক বৈশিষ্ট্যগুলি কী? 
➢ বাল্যকালের দৈহিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল - (i) এইসময় শিশুরা লম্বায় গড়ে 2-3 ইঞ্জি করে বাড়ে। (ii) ওজনের দিক থেকে গড় বৃদ্ধির হার 3-6 পাউন্ডের মতো। (iii) দৌড়ানোর ক্ষমতা, লাফানোর ক্ষমতা ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়। (iv) ছেলেমেয়েদের পা গুলো দেহের তুলনায় বেশি লম্বা হয়।

Q22. বাল্যকালের মানসিক বৈশিষ্ট্যগুলি লিখুন।
➢ বাল্যকালের মানসিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল— (i) এই সময় শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি পায় ও স্মৃতির প্রখরতা বাড়ে।
(ii) আগ্রহের বিস্তৃতি ও মনোযোগের পরিসর বিস্তার লাভ করে। (iii) এই সময় সূক্ষ্ম রসবোধ লক্ষ করা যায়। (iv) কোনো বস্তুতে বিশেষভাবে প্রত্যক্ষ করার সক্ষমতা তাদের মধ্যে জন্ম নেয়।

Q23. বাল্যকালের প্রাক্ষোভিক বৈশিষ্ট্যগুলি লিখুন।
➢ বাল্যকালের প্রাক্ষোভিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল— (i) এই সময় ভূতের ভয়, অন্ধকারের ভয় ইত্যাদি ধরনের ভয় লক্ষ করা যায়। ভয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখে। (ii) এই সময় ছেলেমেয়েরা দলের মধ্যে থাকার দরুন প্রক্ষোভমূলক আচরণ, যেমন- ছোটো ভাই-বোনদের প্রতি ঈর্ষার মনোভাব তৈরি হয় এই সময়। (iii) বাবা-মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা তাদের মধ্যে দেখা দেয়।

Q24. বাল্যকালের সামাজিক বৈশিষ্ট্যগুলি লিখুন।
 বাল্যকালের সামাজিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল—(i) এই স্তরে নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত হয়। (ii) এই সময়কার বন্ধুত্ব দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়। (iii) এই স্তরে দলগত আনুগত্য খুব প্রবল থাকে। (iv) শিশুরা নিজের আচরণকে নীতিবোধের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবর্তন করতে পারে।

Q25. কৈশোরকালের দৈহিক বিকাশের বৈশিষ্ট্যগুলি লিখুন।
 কৈশোরকালের দৈহিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল— (i) এই সময় ছেলেমেয়েদের যৌন-ইন্দ্রিয়ের পরিপূর্ণতা ঘটে। (ii) দেহের পেশিতন্ত্রের ও অস্থিতন্ত্রের বৃদ্ধি ঘটে। (iii) হৃদযন্ত্রের সক্রিয়তার দরুন খুব বেশি খিদে পায়। (iv) এই বয়সের প্রথম দিকে দৈহিক বিকাশে মেয়েরা ছেলেদের থেকে এগিয়ে থাকে ও শেষের দিকে ছেলেরা দৈর্ঘ্য ও ওজনে মেয়েদের থেকে এগিয়ে থাকে।

Q26.  শৈশবের দৈহিক বৈশিষ্ট্যগুলি কী?
 শৈশবের দৈহিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল – (i) দৈহিক বিকাশের হার খুব দ্রুত থাকে। (ii) স্নায়ুতন্ত্রের দ্রুত বিকাশ ঘটে। (iii) শব্দ, আলো, গন্ধ ইত্যাদি তারা পৃথক পৃথক ইন্দ্রিয়ের দ্বারা অনুভব করতে শেখে। (iv) দেহ সঞ্চালনের দিক থেকে বিকাশ খুব দ্রুত হারে ঘটে।

Q27. কৈশোরকালের প্রাক্ষোভিক বিকাশের বৈশিষ্ট্যগুলি লিখুন। 
 কৈশোরকালের প্রাক্ষোভিক বিকাশের বৈশিষ্ট্যগুলি হল – (i) এই সময় প্রাক্ষোভিক প্রতিক্রিয়ার অসাম্য লক্ষ করা যায়। (ii) হীনম্মন্যতা, লজ্জাবোধ ইত্যাদি প্রক্ষোভ যৌন চেনতাকে কেন্দ্র করে প্রবল আকার ধারণ করে। (ii) এই সময় নৈতিক সেন্টিমেন্ট গড়ে ওঠে। (iv) এই স্তরে আশঙ্কা ও অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রাবল্য দেখা যায়।

Q28. কৈশোরকালের সামাজিক বিকাশের বৈশিষ্ট্যগুলি লিখুন।
 কৈশোরকালের সামাজির বিকাশের বৈশিষ্ট্যগুলি হল – (i) বাবা-মায়ের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ে। (ii) ছেলেমেয়েরা সহজে অন্যের সাথে মিশতে পারে না ভাল (iii) মূল্যবোধ, মনোভাব ইত্যাদির বিকাশ ঘটে। (iv) স্থায়ী বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।

Q29. জীবন বিকাশের বিভিন্ন স্তরগুলির নাম উল্লেখ করুন।
 মনোবিদ আর্নেস্ট জোন্‌স-এর মতে, জীবনবিকাশের চারটি স্তর রয়েছে, যথা— (i) শৈশব (জন্ম থেকে 5 বছর), (ii) বাল্য (5 থেকে 12 বছর), (iii) যৌবনাগম (12 থেকে 18 বছর), (iv) প্রাপ্তবয়স্ক ( 18 বছরের পর)।

Q30. কেন কৈশোরকালকে ‘ঝড়-ঝঞ্ঝার কাল' বলা হয়?
 মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাল হল কৈশোরকাল। এই বয়সে ছেলেমেয়েদের মধ্যে এত দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তন হয় যে তারা দিশেহারা হয়ে পড়ে। তাই কেউ কেউ একে ‘ঝড়-ঝঞ্ঝার কাল' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইংল্যান্ডের ‘হ্যাডো কমিটি’ কৈশোরের শিক্ষা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন—“এগারো থেকে বারো বছরের ছেলেমেয়েদেরা দেহ-মনে এক নতুন জোয়ার আসে। একেই আমরা কৈশোর বলি। এই জোয়ারের মুখে যদি জীবন তরী ঠিকমতো পরিচালনা করা যায়, তাহলে তারা জীবনে ঐশ্বর্যের অধিকারী হতে পারে এই জন্য একে ‘ঝড়-ঝঞ্ঝার কাল' বলা হয়।

Q31. কৈশোরকালের মানসিক বৈশিষ্ট্যগুলি লিখুন।
 কৈশোরকালের মানসিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল – (i) এই সময় ছেলেমেয়েদের ধারণার বিকাশ যথষ্টে পরিমাণে হয়। (ii) চিন্তাশক্তির বিকাশ যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ে। (iii) বিশ্লেষণাত্মক চিন্তনের ওপর ভিত্তি করে বাস্তবধর্মী জীবনাদর্শ এই সময় গড়ে ওঠে। (iv) স্বাধীন চিন্তা করার ক্ষমতার বিকাশ ঘটে।

Q32. শৈশবের মানসিক বৈশিষ্ট্যগুলি কী?
 শৈশবের মানসিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল— (i) শিশুর আত্মসচেতনতা বিকাশ হয়। (ii) জন্মাবস্থায় একমাত্র ভাষা কান্না ধীরে ধীরে ভাব প্রকাশের রূপ নেয়। (iii) ভাষার বিকাশ শুরু হয় ও এই স্তরের শেষে 2000-এর মতো শব্দভাণ্ডার শিশু আয়ত্ত করে। (iv) কল্পনা শক্তির বিকাশ ঘটে।

Q33. পুষ্টি কী?
➢ পুষ্টি হল সুষম খাদ্যের জোগান। অর্থাৎ, মানুষের যথাযথ বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সুষম খাদ্যের সরবরাহকেই পুষ্টি বলা যেতে পারে। বিকাশের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান হিসেবে বিকাশের সকল স্তরেই (শৈশব, বাল্য, কৈশোর) পুষ্টির প্রয়োজন। এই প্রয়োজনীয়তাকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করার জন্য বিকাশের বিভিন্ন স্তরকে অনুসরণ করে আলোচনা করা হয়।

Q34. পুষ্টিহীনতা বা অপুষ্টিজনিত কয়েকটি কারণ লিখুন।
শিশুর বিকাশের বিভিন্ন স্তরে প্রয়োজনীয় সুষম খাদ্যের অভাবকে ‘পুষ্টিহীনতা’ বলা হয়। পুষ্টিহীনতায় আক্রান্ত শিশুর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে, সেগুলি হল— (i) পুষ্টিহীনতার জন্য শিশুর স্থায়ীভাবে মস্তিষ্কের ওজনহানী হতে পারে। যার ফলে শিশুর সঠিক জ্ঞানমূলক বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। (ii) পুষ্টিহীনতার জন্য শিশুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালন জনিত কাজের সময় বিঘ্নিত হতে পারে। অর্থাৎ, শিশুর স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হতে পারে। (iii) পুষ্টির সমস্যায় আক্রান্ত শিশুর পড়াশুনায় মনোযোগ আনার ক্ষেত্রে সমস্যার সন্মুখীন হতে হয়। (iv) অয়িরন ও আয়োডিনের অভাবে শিশুর IQ স্কোর কম হতে পারে। 

Q35.মানসিক প্রতিকল্প বলতে কী বোঝেন?
➢ মানসিক প্রতিকল্প হল এমন এক ব্যবস্থা যার মাধ্যমে মানসিক বা সামাজিক সমস্যার সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন সমাধানের পথ খুঁজে বের করে সেই বিকল্প ব্যবস্থার প্রয়োগ করা, যাতে একজন ব্যক্তির সঙ্গে অন্য একজন ব্যক্তির সামাজিক বা মানসিক স্তরে পরবর্তিতে কোনোরকম সমস্যা তৈরি না হয়।

Q36. ব্যক্তিবৈষম্যের সংজ্ঞা লিখুন।
 ব্যক্তিবৈষম্যের সংজ্ঞার Plato বলেছেন—কোনো দুজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ একইরকমভাবে জন্মায় না। প্রকৃতিগতভাবেই একজন অন্য কারও থেকে আলাদা হয়; একজন কোনো একটি পেশার জন্য উপযুক্ত এবং অন্য কেউ অন্য কোনো পেশার জন্য উপযুক্ত।

Q37. ব্যক্তিবৈষম্যের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
 ব্যক্তিবৈষম্যের বৈশিষ্ট্যগুলি হল – (i) ব্যক্তিবৈষম্য হল কোনো ব্যক্তিকে চিহ্নিত বা নির্দেশিত করা। (ii) এটি সহজাত বা অর্জিত উভয়ই হতে পারে। (iii) এটি পরিমাপ বা নির্ণয় যোগ্য। অর্থাৎ ব্যক্তি বৈষম্যকে গুণগত বা পরিমাণগতভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। (iv) ব্যক্তির জীবন বিকাশের সকল স্তরেই (শৈশব, বাল্য, কৈশোর, প্রাপ্তবয়স্ক) ব্যক্তিবৈষম্য লক্ষণীয়।

Q38. ব্যক্তিবৈষম্যের দুটি শিক্ষাগত তাৎপর্য লিখুন। 
➢ ব্যক্তিবৈষম্যের দুটি শিক্ষাগত তাৎপর্য হল – (i) শিক্ষানীতি প্রণয়ন : শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করার জন্য একজন শিক্ষকের শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা, দক্ষতা, আগ্রহ, মনোভাব ইত্যাদি সম্পর্কে অবগত হওয়া প্রয়োজন।  (ii) পাঠ্যক্রম সংগঠন : শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যক্তিবৈষম্য থাকার জন্য পাঠ্যক্রম সংগঠনের সময় এজকন শিক্ষকের শিক্ষার্থীদের সামর্থ্য অনুযায়ী যথাসম্ভব নমনীয় ও বৈচিত্র্যের বিষয়সমূহকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।


Q39. Ego-Centric বচন বলতে কী বোঝায়?
➢ Ego-Centric বচন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে তিন বছরের শিশুরা শ্রোতার উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে তার নিজের স্বচ্ছন্দ গতিতে কথা বলে চলে। এই সময় শিশুদের যদি কোনো কঠিন কাজ করতে দেওয়া হয় তাহলে তারা বেশি পরিমাণে Ego- Centric বচন ব্যবহার করে থাকে।

Q40. শিক্ষার্থীদের নৈতিক বিকাশের জন্য বিদ্যালয়ের কর্মসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে এমন যে-কোনো চারটি কাজের নাম লিখুন। 
➢ শিক্ষার্থীদের নৈতিক বিকাশের জন্য বিদ্যালয়ের কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায় এমন চারটি কাজের নাম হল- (i) সেবামূলক কাজে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করানো। (ii) প্রতিদিন বিদ্যালয়ে প্রার্থনাসভার আয়োজন করা। (iii) বিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা মেনে চলার ব্যবস্থা করা। (iv) বিভিন্ন সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির ব্যবস্থা করা।

Q41. প্রজ্ঞা বলতে কী বোঝেন?
or, প্রজ্ঞা কী?
➢ তথ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ করতে যে সমস্ত মানসিক প্রক্রিয়া যুক্ত, সেগুলিকে একত্রে প্রজ্ঞা বলে (cognition)। যেমন—চিন্তন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সমস্যা সমাধান, যুক্তিকরণ প্রভৃতি।

Q42. স্কিমা বলতে কী বোঝেন?
➢ পিয়াজেঁ স্কিমা বলতে প্রজ্ঞার সংগঠনকে বুঝিয়েছেন। এই স্কিমা দ্বারাই মানুষ পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজন করে। মানুষ যে সমস্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয় সেগুলি বুঝতে স্কিমা সাহায্য করে। যদি অভিজ্ঞত নতুন হয় তখন স্কিমা সেই অভিজ্ঞতার অর্থ খোঁজার চেষ্টা করে। এইভাবেই মানুষ স্কিমা দ্বারা পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজন ঘটায়। জন্মের পরে যত বয়স বৃদ্ধি পায় তত সে বিভিন্ন সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি পায়।

Q43. Libido কী?
➢ ফ্রয়েডের মতবাদের গুরুত্বপূর্ণ দিক হল যৌন শক্তি সংক্রান্ত তত্ত্ব। তাঁর মতে, যৌনজীবন হঠাৎ বয়োঃপ্রাপ্তিতে শুরু হয় না। জন্মমুহূর্তের সময় যে জীবনী শক্তি থাকে সেখানে থেকেই পরবর্তী জীবনে যৌনতার প্রকাশ পায়। জীবনী শক্তির মূলে আছে যৌন আকাঙ্ক্ষা। একেই ফ্রয়েড নাম দিয়েছেন যৌনশক্তি বা Libido .

Q44. মূর্ত ও বিমূর্ত চিন্তন কী? 
➢ যে ধারণা মূর্ত বস্তু অর্থাৎ পঞ্চইন্দ্রিয় দিয়ে আমরা প্রত্যক্ষণ করতে পারি, সেগুলি হল মূর্ত ধারণা। যেমন—চেয়ার, টেবিল, বই ইত্যাদি। এই ধারণার জন্য যে চিন্তন কাজ করে, ধারণার জন্য চিন্তাকে বলে  তাকে বলে মূর্ত চিত্তন। কিন্তু সমস্ত ধারণা মূর্ত নয়, যেমন – স্বাধীনতা, সততা, ভালোবাসা। এই ধারণাগুলি কিন্তু মূর্তভাবে প্রত্যক্ষণ করতে পারি না, এগুলিকে বলে বিমূর্ত ধারণা। এই ধারণার জন্য চিন্তাকে বলে বিমূর্ত চিন্তন।

Q45. নৈতিক বিকাশ কী?
➢ Morality বা নৈতিকতা হল ভালো বা খারাপ বিচার করার ক্ষমতা। কোন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত বা করা উচিত নয় সেই বিচারকরণের ক্ষমতা হল নৈতিকতা। এই নৈতিকতার বিকাশ হঠাৎ করে হয় না, ধীরে ধীরে এই ক্ষমতার পরিবর্তন হয়। এই ধরনের বিচারকরণের ক্ষমতার পরিবর্তনই হল নৈতিক বিকাশ।

Q46. ধারণা কী?
Or,আত্ম-ধারণা বলতে কী বোঝায়?

➢ Self-concept বা স্ব-ধারণা বলতে বোঝায় আমাদের নিজেদের সম্পর্কে প্রত্যক্ষণকে। অর্থাৎ, ব্যক্তির নিজের সম্পর্কে বিশ্বাস বা মনোভাবই হল তার স্ব-ধারণা। স্ব-ধারণা ব্যক্তিকে তার পরিবেশে নিজস্ব অবস্থান বুঝতে সাহায্য করে।

Q47. ধারণার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
Or, স্ব-ধারণার চারটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।

➢ স্ব-ধারণার বেশিষ্ট্যগুলি হল – (i) এটি এক ধরনের অন্তদর্শন। (ii) এটি ধনাত্মক বা ঋণাত্মক উভয়ই হতে পারে। (iii) ব্যক্তিভেদে এটি প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রেই স্বতন্ত্র। (iv) এটি ব্যক্তির নিজের প্রতি মূল্যায়ন, যা নিজের সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করে।

Q48. নিজস্ব পরিচিতি কী?
➢ ব্যক্তির Personal Identity বা নিজস্ব পরিচয় হল ব্যক্তির নিজের সম্পর্কে ধারণা, যা সে সমস্ত জীবন ব্যাপী বহন করে চলে। ব্যক্তির জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্র বা aspect-এর সমন্বয়ে ব্যক্তির নিজস্ব পরিচয় তৈরি হয়, যা তাকে অন্য ব্যক্তিদের থেকে পৃথক হিসেবে চিহ্নিত করতে সাহায্য করে, যেমন— ব্যক্তির জন্মস্থান, গায়ের রং, বাসস্থান, নাম, উচ্চতা, পোশাকের ধরন ইত্যাদি সকল বিষয়ের সমন্বয়ে ব্যক্তির একটি পৃথক নিজস্ব পরিচিতি গড়ে ওঠে যা অন্যদের থেকে আলাদা।

Q49. নিজস্ব পরিচিতর বৈশিষ্ট্যগুলি লিখুন। 
➢ নিজস্ব পরিচিতির বৈশিষ্ট্যগুলি হল— (i) এটি ব্যক্তি নিজের সম্পর্কে ধারণা। (ii) ব্যক্তির নিজস্ব পরিচিতর ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। (iii) এটি  ব্যক্তিকে সমাজে তার অবস্থান ঠিক করে দেয়।

Q50. জ্ঞানমূলক মূলক বিশ বলতে কী বোঝেন?
➢ পিঁয়াজের তত্ত্বটি হল জ্ঞানমূলক বিকাশের তত্ত্ব। শিশুর প্রথা অর্থাৎ তার জ্ঞানলাভ করছে কৌশল বড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হতে থাকে, এটি হল জ্ঞানমূলক বিকাশের মূল বিষয়। পিঁয়াজে বলেছেন, জ্ঞানমূলক প্রক্রিয়া হল সেইসব প্রক্রিয়া যা জ্ঞানার্জনে সহায়তা করে। এই জ্ঞানার্জন প্রক্রিয়ায় যা কিছু অন্তর্ভুক্ত তা হল স্মরণ করা, চিন্তা করা, ধারণা গঠন ইত্যাদি।

Q51. আত্তীকরণ ও সহযোজন কী বোঝেন?
➢ নতুন তথ্যকে বর্তমান বিদ্যমান স্কিমাতে অর্ন্তভুক্তকরণ হল আত্তীকরণ। আর নতুন তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যমান স্কিমার পরিবর্তন সাধন বা নতুন স্কিমার গঠন প্রক্রিয়া হল সহযোজন।

Q52. ভাষার প্রধান প্রধান উপাদানগুলি কী কী?
➢ ভাষার মূলত চারটি উপাদান রয়েছে। যথা- (i) ধ্বনি, (ii) শব্দার্থ (iii) বাক্যবিন্যাস (iv) প্রয়োগ।

Q52. ধ্বনি কী?
➢ প্রত্যেক ভাষার যে নিজস্ব স্বাতন্ত্র্যসূচক, যা অন্য ভাষা থেকে পৃথক হয়, তাই হল একটি অথযুক্ত শব্দ ধ্বনি। ধ্বনি হল ভাষার একটি ক্ষুদ্রতম একক। এই এককগুলি পরস্পর যুক্ত হয়ে তৈরি হয়।

Q53. বাক্যবিন্যাস কী?
➢ বাকাবিন্যাস হল ভাষার ব্যাকরণ। এখানে বিভিন্ন শব্দ বিন্যস্ত হয়ে বাক্যে পরিণত হয়। শিশুরা কোনো নির্দেশ ছাড়াই সম্পূর্ণ বাক্য বলতে শুরু করার পূর্বেই বাক্যবিন্যাস বিধি রপ্ত করে।

Q54. ব্যাবলিং বা ব্যাবলিং স্তর কী? 
➢ 4 মাস বয়সের কাছাকাছি সময়ে শিশু স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের মিশ্রণে এক ধরনের শব্দ উচ্চারণ করতে শেখে। যেমন—ব্যা-ব্যা-ব্যা-ব্যা; ন্যা-ন্যা-ন্যা ইত্যাদি একে Babling বলা হয়।

Q55. টেলিগ্রাফিক স্তর কী?
➢ 18-24 মাস বয়সে শিশুর শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি পেয়ে 200-র কাছাকাছি পৌঁছায় এবং শিশু দুটি শব্দ ব্যবহার করতে সক্ষম হয়। একে Telegraphic speech বা টেলিগ্রাফিক স্তর বলা হয়।

Q56. প্রতিফলন বা প্রক্ষেপণ কী?
➢ পারমাপের ক্ষেত্র থেকে ব্যক্তিগত প্রভাব দূর করার জন্য যে কৌশল ব্যবহার করা হয় তাকে বলে প্রতিফলন। প্রতিফলন কথার অর্থ হল নিজের কোনো বৈশিষ্ট্যকে অপরের মধ্যে প্রতিফলিত হতে দেখা।

Q57. বৃদ্ধির ‘Cephalocaudal tendency’ বলতে কী বোঝায়?
➢ শৈশরে শিশুর দৈহিক বিকাশের সময় দেহের ওজন, উচ্চতা ও মাংসপেশির বৃদ্ধি হতে থাকে। 0-2 বছরের মধ্যে প্রাথমিক স্তরে শিশুর মাংসপেশি মাথা থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত হয়; যাকে ‘Cephalocaudal tendency' বলা হয়।

Q58. বৃদ্ধির ‘Proximodistal tendency' বলতে কী বোঝায়? 
➢শৈশবে শিশুর দৈহিক বিকাশের সময় 0-2 বছরের মধ্যে শেষের স্তরে মাংসপেশির বিকাশ দেহের মধ্যবর্তী স্থান থেকে শেষ পর্যায় পর্যন্ত হয়ে থাকে, যাকে ‘Proximodistal tendency' বলা হয়।

Q59.'বস্তুর স্থায়িত্ব সম্বন্ধে ধারণা’ কী?
➢ শিশু জন্মের পর কোনো কিছুর স্থায়ী অস্তিত্ব আছে তা বুঝতে পারে না। তবে এই স্তরের শেষে শিশুর বস্তুর স্থায়িত্ব সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয় একে (object perma nence) বলে।

Q60. 'Holophrase' কী?
➢10-12 মাস বয়সে শিশু প্রথম শব্দ উচ্চারণ করতে পারে। শিশু একটি শব্দ ও তার সঙ্গে ইশারা দিয়ে তার মনের ভাব বোঝাতে পারে, যাকে ‘Holophrase’ বলে।

Q61. ‘সর্বপ্রাণবাদ' কাকে বলে?
➢ প্রাক বা আদি বাল্যকালে শিশু জীব ও জড়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না, মা কিছুরই প্রাণ রয়েছে বলে ভেবে নেয়। এই ধরনের চিত্তনকে ‘সর্বপ্রাণবাদ’ বলা হয়।

Q62. ‘নৈতিক দ্বন্দ্ব' কী?
Or, নৈতিক দ্বন্দ্ব বলতে কী বোঝায়?

➢ নৈতিক বিকাশ কীভাবে হয় তা জানার জন্য Kohlberg বিভিন্ন বয়সের ব্যক্তিদের কার থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। তথ্য সংগ্রহের জন্য তিনি কতকগুলি নৈতিক দ্বন্দ্বমূলক গল্পের অবতারণা করেন এবং সেটি ঠিক না ভুল বা উচিত না অনুচিত উত্তর দিতে বলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে কেন সে ওই ধরনের উত্তর দিচ্ছে তার ব্যাখ্যাও দিতে বলেন। এই ধরনের দ্বন্দ্বমূলক নৈতিক গল্পগুলিকে বলা হয় 'Moral Dilemma’ বা ‘নৈতিক দ্বন্দ্ব’। এ প্রসঙ্গে Heinz dilemma উল্লেখযোগ্য।

Q63. নৈতিক বিকাশে প্রাক্-প্রথাগত ও উত্তর প্রথাগত পর্যায়ের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করুন।
➢ নৈতিক বিকাশে প্রাক্-প্রথাগত ও উত্তর প্রথাগত পর্যায়ের মধ্যে যেসব পার্থক্য লক্ষ করা যায়, তা হল—(i) প্রাক্-প্রথাগত পর্যায়ে কোনো কাজ ঠিক না ভুল সেটা ঠিক হয় অন্যেরা সেই কাজকে ঠিক না ভুল বলছে তার ওপর। যে কাজ করলে অন্যের প্রশংসা পাওয়া যায়, সেই কাজকেই সে ঠিক বলে মনে করে। অন্যদিকে, উত্তর প্রথাগত পর্যায়ে সমাজস্বীকৃত মানুষের যে অধিকার রয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে এই স্তরে ভালোমন্দ বিচার করা হয় এবং ব্যক্তি মনে করে সমাজের ভালোর জন্য আইনও পাল্টা যেতে পারে। 

(ii) প্রাক্‌-প্রথাগত পর্যায়ে সমাজের বা রাষ্ট্রের নিয়মনীতি মেনে যে কাজ করা হয় সেই কাজকেই ব্যক্তি ঠিক বলে মনে করে। সে সামাজিক নিয়মনীতিকে মান্য করতে এবং সেইগুলিকে মেনেই কাজ করতে চায়।  অন্যদিকে, উত্তর প্রথাগত পর্যায়ে ব্যক্তির ভালোমন্দ বিচার পুরোপুরি মানুষের বিবেকবোধের ওপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব কিছু যুক্তি করণের ক্ষমতা রয়েছে, তার ওপর নির্ভর করেই ব্যক্তি বিচার করে। এক্ষেত্রে সমাজস্বীকৃত বা রাষ্ট্রের স্বীকৃত নীতিসমূহ জানলেও তার ঊর্ধ্বে গিয়ে ব্যক্তি বিচার করে।

Q64. প্রত্যক্ষণ প্রক্রিয়ার পার্থক্যের ভিত্তিতে মানুষকে ক-ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?
➢ প্রত্যক্ষণ প্রক্রিয়ার পার্থক্যের ভিত্তিতে মানুষকে তিনভাগে ভাগ করা যায়, যথা— (i) সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষণ, (ii) অর্জিত প্রত্যক্ষণ ও (iii) সংপ্রত্যক্ষণ।

No comments

Hi Welcome ....