West Bengal Board Class 7 Health and Physical Education স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা | প্রথম অধ্যায় : শারীরশিক্ষার মৌলিক ধারণা
West Bengal Board Class 7 Health and Physical Education
স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা | প্রথম অধ্যায় : শারীরশিক্ষার মৌলিক ধারণা
❐ আরো পড়ুনঃ সূচিপত্র
Table Of Contents Click ↓↓
প্রথম অধ্যায় : শারীরশিক্ষার মৌলিক ধারণা
→ কর্মপত্র →
Section-1: Recap Zone
১। শূন্যস্থান পূরণ করো:
(i) জে. আর. সরমন-এর মতে, শারীরশিক্ষার উদ্দেশ্য ছয় প্রকার।
(i) জে. আর. সরমন-এর মতে, শারীরশিক্ষার উদ্দেশ্য ছয় প্রকার।
(ii) খেলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি।
(iii) ড্রিল হল ছন্দময় শৃঙ্খলাবদ্ধ বিভিন্ন সৌন্দর্যমূলক ব্যায়ামের সমষ্টি।
(iv) গ্রিক শব্দ জিমনস থেকে জিমনাস্টিকস কথাটি এসেছে।
(v) অ্যাথলেটিকস্ শব্দটি গ্রিক শব্দ অ্যাথলন থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
(vi) ১৯২০ সালে রায়বাহাদুর তড়িৎভূষণ রায়ের বাড়িতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
(vii) ১৯৪৮ সালের ১৬ জুলাই ভারতীয় জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়।
(viii) জৈনধর্ম অহিংসার মূর্ত প্রতীক হিসেবে বিদ্যমান।
(ix) খ্রিস্টধর্মের মর্মবাণী হল নিজের মতো করে তুমি তোমায় প্রতিবেশীকে ভালোবাসো।
(x) ইসলাম ধর্মও বলেছে, তুমি কি তোমার সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসো? তাহলে ভালোবাসো মানুষকে।
(xi) শিখ ধর্মগুরু গ্রন্থসাহেবে এই শিক্ষা দিয়েছেন প্রতিটি মানুষই হচ্ছে তাঁর সন্তান। তিনি হচ্ছেন সকলের ।
(xii) কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়— মোরা এক বৃত্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান।
(xiii) ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জার্সির রং লাল ও হলুদ।
(xiv) ভারতীয় জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
(xv) এন. সি. সি.-র নীল, লাল ও আকাশি রং নৌসেনা বাহিনীর প্রতীক।
২। দু-এক কথায় উত্তর দাও :
(i) খেলা কী?
উত্তর : খেলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি সৃজনশীল ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে মানুষকে আনন্দ প্রদান করে। খেলার মধ্য দিয়ে ব্যক্তি তার আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারে।
(i) খেলা কী?
উত্তর : খেলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি সৃজনশীল ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে মানুষকে আনন্দ প্রদান করে। খেলার মধ্য দিয়ে ব্যক্তি তার আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারে।
(ii) ড্রিল কাকে বলে?
উত্তর : ড্রিল হল ছন্দময়, শৃঙ্খলাবদ্ধ বিভিন্ন সৌন্দর্যমূলক ব্যায়ামের সমষ্টি। ড্রিল শুধুমাত্র দেহভঙ্গিমা ও সুঅভ্যাস গঠনে সাহায্য করে।
(iii) প্রত্যক্ষ বিনোদন কাকে বলে?
উত্তর : যেসব কাজে ব্যক্তি প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আনন্দলাভ করে, তাকেই বলে প্রত্যক্ষ বিনোদন। যেমন - বইপড়া, গান করা ইত্যাদি।
(iv) সৃজনশীল বিনোদনের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর : সৃজনশীল বিনোদনের উদাহরণ—বাগান তৈরি করা, কবিতা বা গল্প লেখা ইত্যাদি।
(v) কবে, কত সালে এন.সি.সি. প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : ১৯৪৮ সালের ১৬ জুলাই প্রতিরক্ষা দফতরের অধীনে এন.সি.সি. প্রতিষ্ঠিত হয়।
(vi) এন.সি.সি.-র পতাকার বর্ণনা দাও।
উত্তর : ১৯৫১ সাল পর্যন্ত এন.সি.সি.-র পৃথক পৃথক পতাকা ছিল। পরে ১৯৫৪ সালে একটি সমন্বিত পতাকা চালু হয়। এই পতাকার রং নীল, লাল ও আকাশি। স্বপ্নময় হালকা নীল নৌসেনা বাহিনীর প্রতীক। হালকা আকাশি রং বায়ুসেনা বাহিনীর প্রতীক, লাল রং স্থলসেনা বাহিনীর প্রতীক।
৩। সঠিক উত্তরটিকে বেছে নিয়ে (✔) চিহ্ন দাও :
(i) ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
(ক) ১৯২০ সালে। ✔
(ii) অ্যাথলেটিকস্ শব্দটি কোথা থেকে এসেছে?
(ii) অ্যাথলেটিকস্ শব্দটি কোথা থেকে এসেছে?
(গ) অ্যাথলন। ✔
(iii) মোহনবাগান ক্লাব কত সালে সাহেবদের হারিয়ে শিল্ড চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল?
(iii) মোহনবাগান ক্লাব কত সালে সাহেবদের হারিয়ে শিল্ড চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল?
(খ) ১৯১১ ✔
(iv) কত সালে এন.সি.সি.-র সমন্বিত পতাকা চালু হয়?
(iv) কত সালে এন.সি.সি.-র সমন্বিত পতাকা চালু হয়?
(ক) ১৯৫৪ ✔
৬। রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর দাও :
(i) শারীরশিক্ষার উদ্দেশ্যগুলি উল্লেখ করো।
উত্তর : শারীরশিক্ষার মাধ্যমে ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ হয়, ফলে মানবিক সম্পর্কের উন্নতিও হয়। এ ছাড়া সামাজিকতার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যগুলির উন্নতি ঘটে। যেমন— (ক) বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতি, (খ) সহযোগিতা ও সহানুভূতির উন্নতি, (গ) নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবোধের বিকাশসাধন, (ঘ) সততা, নিরপেক্ষতা, কর্তৃত্বকে সম্মান জানানো, নিষ্ঠা, পারস্পরিক মূল্যবোধ ও নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতার উন্নতিসাধন, (ঙ) খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতার উন্নতি, (চ) আদর্শ নাগরিক হয়ে ওঠার গুণাবলির বিকাশ।
(i) শারীরশিক্ষার উদ্দেশ্যগুলি উল্লেখ করো।
উত্তর : শারীরশিক্ষার মাধ্যমে ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ হয়, ফলে মানবিক সম্পর্কের উন্নতিও হয়। এ ছাড়া সামাজিকতার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যগুলির উন্নতি ঘটে। যেমন— (ক) বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতি, (খ) সহযোগিতা ও সহানুভূতির উন্নতি, (গ) নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবোধের বিকাশসাধন, (ঘ) সততা, নিরপেক্ষতা, কর্তৃত্বকে সম্মান জানানো, নিষ্ঠা, পারস্পরিক মূল্যবোধ ও নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতার উন্নতিসাধন, (ঙ) খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতার উন্নতি, (চ) আদর্শ নাগরিক হয়ে ওঠার গুণাবলির বিকাশ।
(ii) শারীরশিক্ষার সূচিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্যক্তিত্বের কোন গুণগুলি বিকাশলাভ করে তালিকাভুক্ত করো।
উত্তর : ব্যক্তিত্বের বিকাশ : নিয়মিত শরীরচর্চার মধ্য দিয়ে মানুষের চরিত্রের ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে। ব্যক্তিত্বের বিকাশের বিভিন্ন গুণগুলি হল: (ক) আত্মসংযম, (খ) সহিষ্ণুতা, (গ) আত্মনির্ভরশীলতা, (ঘ) নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, (ঙ) সহানুভূতি ও সহযোগিতা, (চ) নান্দনিকতা ও সৃষ্টিশীলতার বিকাশ, (ছ) সুনাগরিকত্বের গুণাবলির বিকাশ।
(iii) শারীরিক সক্ষমতা আমাদের কী কাজে লাগে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : শারীরশিক্ষার সূচিতে অংশগ্রহণের ফলে শিক্ষার্থীর যে বৃদ্ধি, বিকাশ ও উন্নয়ন হয়ে থাকে, তা হল— (১) আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি, (২) সামাজিকতার বিকাশ, (৩) শারীরিক সক্ষমতার বিকাশ, (৪) মানসিক গুণাবলির প্রকাশ, (৫) ব্যক্তিত্বের বিকাশ, (৬) স্নায়ু-পেশির সমন্বয়, (৭) শারীরিক বিকাশ, (৮) সাংস্কৃতিক বিকাশ, (৯) জাতীয় সংহতি সুদৃঢ়করণ, (১০) গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিকাশ, (১১) আন্তর্জাতিক বোঝাপড়ার উন্নতি।
(iv) খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করলে সামাজিকতার বিকাশ কীভাবে হয় তা চিহ্নিতকরণ করো।
উত্তর : খেলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি যা সৃজনশীল ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে মানুষকে আনন্দ প্রদান করে। খেলার মধ্য দিয়ে ব্যক্তি তার আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারে। খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করলে ব্যক্তির সামাজিকতার বিকাশ ঘটে। যেমনঃ (১) বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতি, (২) সহযোগিতা ও সহানুভূতির উন্নতি, (৩) নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবোধের বিকাশসাধন, (৪) সততা, নিরপেক্ষতা, কর্তৃত্বকে সম্মান জানানো, নিষ্ঠা, পারস্পরিক মূল্যবোধ ও নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতার উন্নতিসাধন, (৫) খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতার উন্নতি, (৬) আদর্শ নাগরিক হয়ে ওঠার গুণাবলির বিকাশ।
(v) খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করলে মানসিক গুণাবলির বিকাশ হয়—ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : শারীরশিক্ষার মাধ্যমে মানবিক গুণাবলির বিকাশসাধন হয়। কারণ শিশুর মানসিক বিকাশের পরিপূর্ণতা লাভের অন্যতম মাধ্যম হল খেলা ও শারীরিক অঙ্গসঞ্চালন। মানসিক বিকাশের উদ্দেশ্যগুলি হল— (ক) যে-কোনো বিষয়ের প্রতি মনঃসংযোগ বৃদ্ধি, (খ) মানসিক তৎপরতার উন্নতিসাধন, (গ) উপস্থিত বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার উন্নয়ন, (ঘ) প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার উন্নতি।
(vi) খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করলে জাতীয় সংহতি কীভাবে গড়ে ওঠে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করলে জাতীয় সংহতি গড়ে ওঠে। যেমন— ১. দলগত খেলায় ধর্মীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে : খেলাধুলার মাঠ হল সবধর্মসমন্বয়ের একটি ক্ষেত্র। এর ফলে জাতীয় সংহতি সুদৃঢ় হয়। ২. দলগত খেলা বর্ণভেদ প্রথাকে অবলুপ্ত করে : একটি দলে সকল বর্ণের মানুষ একে অপরকে সহযোগিতা করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যায়। এর ফলে সমাজের মধ্যে বর্ণভেদ অবলুপ্ত হয়। ৩. সহযোগী, সহমর্মী মনোভাব তৈরি করে : একটি দলীয় খেলায়, দলের একজন সদস্য এককভাবে কখনোই লক্ষ্যপূরণে সার্থকতা পেতে পারে না। দলের সমস্ত সদস্যদের সহযোগিতা নিয়ে যৌথভাবে মূল লক্ষ্যপূরণ করতে হয়। এর ফলে খেলোয়াড়েরা সামাজিক ক্ষেত্রেও সহযোগী মনোভাব প্রদর্শন করে, যা জাতীয় সংহতিকে আরও মজবুত করে। ৪. বিভিন্ন শিবিরের মাধ্যমে সংহতি স্থাপন : খেলাধুলায় দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে আবাসিক শিবিরে বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন বর্ণের, বিভিন্ন জাতির খেলোয়াড়দের একসঙ্গে, একই ছাদের নীচে, একইরকম পরিবেশে, একই কার্যক্রমের মধ্যে থাকতে হয়। এর ফলে নিজেদের মধ্যে ভাবের আদানপ্রদান হয়, সাংস্কৃতিক বিনিময় ঘটে এবং জাতীয় সংহতি আরও দৃঢ় হয়। ৫. মনের দূষণ রোধ করে শারীরশিক্ষা জাতীয় সংহতি রক্ষা করে : খেলাধুলার মাধ্যমে আমাদের অবচেতন মনের দূষণ বিরোচিত হয়ে যায়। আর এই খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা সমাজের সর্বস্তরে সঞ্চারিত করতে পারলে জাতীয় সংহতি সুদৃঢ় করার সুবিধা হবে।
(vii) জিমনাস্টিকসের উপকারিতাগুলি লেখো।
উত্তর : গ্রিক শব্দ ‘জিমনস’ থেকে জিমনাস্টিকস কথাটি এসেছে। শুধুমাত্র গ্রিস নয়, চিনদেশেও জিমনাস্টিকসের প্রচলন ছিল। সাধারণ জিমনাশিয়ামের মধ্যে খালি হাতে বা সরঞ্জাম নিয়ে যে সমস্ত ব্যায়াম করা হয় তাকে জিমনাস্টিকস বলে। শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জিমনাস্টিকস বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং এটি শারীরশিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
(viii) অ্যাথলেটিকস্ সম্বন্ধে যা জানো সংক্ষিপ্তকরণ করে লেখো।
উত্তর : ‘অ্যাথলেটিকস্' শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘অ্যাথলন’ থেকে উৎপন্ন হয়েছে, যার অর্থ প্রতিযোগিতা এবং এতে অংশগ্রহণ কারীদের বলা হয় অ্যাথলিট। ব্যাপক অর্থে সমস্ত খেলাধূলাকেই অ্যাথলেটিক্স বলা হয়। যেমন—ফুটবল, কবাড়ি, দৌড়োনো, লাফানো ইত্যাদি। সংকীর্ণ অর্থে অ্যাথলেটিক্স বলতে ট্র্যাক এবং ফিল্ড ইভেন্টগুলিকে বোঝায়।
(i) শারীরিক সংস্কৃতি বলতে যা বোঝো ব্যাখ্যা করো। শরীরচর্চার সুফলগুলি লেখো।
উত্তর : শারীরিক সংস্কৃতি বলতে সুন্দর, সৌন্দর্যময় পেশিবহুল শরীরলাভের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতিকে বোঝায়। অর্থাৎ, শরীরের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে প্রকাশ করার পদ্ধতিকেই শারীরিক সংস্কৃতি বলা হয়। শরীরচর্চার সুফল : শরীরচর্চার উদ্দেশ্যগুলি হল- ১. শারীরিক সক্ষমতার উন্নতি ঘটানো, ২. আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা এবং ৩. আত্মসংযম, সহনশীলতা ও সামাজিক গুণাবলির বিকাশসাধন করা।
উত্তর : শারীরিক সংস্কৃতি বলতে সুন্দর, সৌন্দর্যময় পেশিবহুল শরীরলাভের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতিকে বোঝায়। অর্থাৎ, শরীরের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে প্রকাশ করার পদ্ধতিকেই শারীরিক সংস্কৃতি বলা হয়। শরীরচর্চার সুফল : শরীরচর্চার উদ্দেশ্যগুলি হল- ১. শারীরিক সক্ষমতার উন্নতি ঘটানো, ২. আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা এবং ৩. আত্মসংযম, সহনশীলতা ও সামাজিক গুণাবলির বিকাশসাধন করা।
(ii) ‘অ্যাথলেটিকস্' এর কয়েকটি ট্র্যাক ইভেন্ট ও ফিল্ট ইভেন্ট-এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : অ্যাথলিটিক্স বলতে ট্র্যাক ইভেন্ট ও ফিল্ড ইভেন্টগুলিকে বোঝানো হয়। ট্র্যাকের বিভিন্ন ইভেন্টগুলি হল—— ১০০ মিটার, ২০০ মিটার, ৪০০ মিটার ইত্যাদি। আর ফিল্ডের বিভিন্ন ইভেন্টগুলি হল—–লং জাম্প, হাই জাম্প, শটপাট ইত্যাদি। ট্র্যাক ও ফিল্ডের কিছু কিছু ইভেন্ট নিয়ে তৈরি হয় কম্বাইন্ড ইভেন্ট। যেমন - ডেকাথলন, পেন্টাথলন, ট্রায়াথলন ইত্যাদি।
উত্তর : অ্যাথলিটিক্স বলতে ট্র্যাক ইভেন্ট ও ফিল্ড ইভেন্টগুলিকে বোঝানো হয়। ট্র্যাকের বিভিন্ন ইভেন্টগুলি হল—— ১০০ মিটার, ২০০ মিটার, ৪০০ মিটার ইত্যাদি। আর ফিল্ডের বিভিন্ন ইভেন্টগুলি হল—–লং জাম্প, হাই জাম্প, শটপাট ইত্যাদি। ট্র্যাক ও ফিল্ডের কিছু কিছু ইভেন্ট নিয়ে তৈরি হয় কম্বাইন্ড ইভেন্ট। যেমন - ডেকাথলন, পেন্টাথলন, ট্রায়াথলন ইত্যাদি।
(iii) বিনোদন কাকে বলে? বিনোদনের বৈশিষ্ট্যগুলি বর্ণনা করো।
উত্তর : অবসর সময়ে ব্যক্তি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমাজস্বীকৃত যে কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ও সহজাত তৃপ্তি লাভ করে, তাকে বিনোদন বলে।
বিনোদনের বৈশিষ্ট্য : বিনোদনের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— ১. অবসর সময়, ২. স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ, ৩. সমাজস্বীকৃত কাজ, ৪. সহজাত তৃপ্তি লাভ। দৈনন্দিন জীবনের শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তির হাত থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য বিনোদনের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
(iv) উষ্ণীকরণ বলতে কী বোঝো লেখো এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তর : খেলাধুলা বা শারীরিক ক্রিয়াকলাপের পূর্বে যে পদ্ধতিতে শারীরের তাপমাত্রা, রক্ত সঞ্চালন ও পেশিতে উৎসেচকের কার্যাবলি বৃদ্ধি করা হয়, তাকে উষ্ণীকরণ (Warming up) বলে।
বৈশিষ্ট্য : উষ্ণীকরণের নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য আছে এবং কীভাবে উষ্ণীকরণ করা হবে তারও কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম বর্তমান। উষ্ণীকরণের তীব্রতা থাকা উচিত। কিন্তু উষ্ণীকরণের পদ্ধতি এমন হতে হবে যাতে খেলাধুলায় অংশগ্রহণের পূর্বেই শরীর অবসাদগ্রস্ত হবে না। উষ্ণীকরণ সাধারণত খেলাধুলায় অংশগ্রহণের পূর্বেই করা উচিত, কারণ এটি প্রত্যক্ষভাবে খেলাধুলার গুণগত মানের সঙ্গে যুক্ত। এ ছাড়া এর ফলে আঘাতজনিত সমস্যা সহজে আসতে পারে না।
(v) বাংলার ক্লাব সংস্কৃতিতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বর্ণনা করো।
উত্তর : ময়মনসিংহ জেলার টাঙ্গাইল মহকুমার নাগপুর গ্রামের জমিদার সুরেশ চৌধুরীর ফুটবল খেলার প্রতি দারুণ উৎসাহ ছিল। ফুটবলের জন্য তিনি দরাজ হাতে টাকা খরচ করতেন। একটা ছোটো ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি জোড়াবাগান ক্লাব ছেড়ে একটি নতুন শক্তিশালী ও বড়ো ক্লাব স্থাপনের মনস্থির করলেন। এই সময় কুমারটুলি পার্কে ক্যালকাটা ইউনিয়ন ক্লাবটিকে তিনি নতুনভাবে গড়ার কথা ভাবলেন। যেমন ভাবনা তেমনি কাজ; তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন ছোটো ক্লাবটিকে মস্ত বড়ো করে গড়ে তুলবেন। আর বদলে ফেললেন ক্লাবের নামটাও। আর তার ক্লাবের নামটা পূর্ববঙ্গের নামেই হবে। আর তাই ইংরেজিতে ক্লাবের নাম দেওয়া হল ইস্টবেঙ্গল। ১৯২০ সালে রায়বাহাদুর তড়িৎভূষণ রায়ের বাড়িতে এক সভায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হলো। এই প্রথম সভায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সভাপতি হলেন স্বনামধন্য অধ্যাপক সারদারঞ্জন রায়, আর যুগ্ম-সম্পাদক হলেন সুরেশ চন্দ্র চৌধুরী ও রায়বাহাদুর তড়িৎভূষণ রায়। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রথম শ্যামপার্কে অনুষ্ঠিত হারকিউলিস কাপের খেলায় ইস্টবেঙ্গল ‘এ’ দল ও ‘বি’ দল অংশগ্রহণ করে। তখন থেকেই ইস্টবেঙ্গলের জার্সির রং লাল ও হলুদ।
(vi) জাতীয় সংহতি রক্ষার উদ্দেশ্যগুলি বর্ণনা করো।
উত্তর : যেসব মানুষের মনে ঘৃণা ও অন্ধ গোঁড়ামির জন্ম হয়েছে এবং বেড়ে উঠেছে, তাদের এই ব্যাধি থেকে আমাদের মুক্ত করতে হবে প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি শহরে, প্রতিটি উৎসব-মঞ্চে ঐক্যের অভিযান চালাতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা ও অন্ধ গোঁড়ামির বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চালাতে হবে স্কুল-কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, কর্মস্থলে, হাটেবাজারে, ক্লাবে ও প্রচারমাধ্যমে। পরস্পরের বিভিন্নতা সত্ত্বেও গড়ে তুলতে হবে এক অপূর্ব আত্মীয়তা। আজকের অশান্তি ও বিভেদের মধ্যে এই আত্মীয়তার প্রতিষ্ঠাই একান্ত প্রয়োজন। জাতীয় সংহতি সেই আত্মীয়তার সূত্র সন্ধান। প্রত্যেকে স্বতন্ত্র, আবার সবাই মিলে এক। সবাই মিলে যেন একটি পরিবার। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসেই গড়ে উঠবে জাতীয় সংহতি।
(vii) শারীরশিক্ষার পরিধির ক্ষেত্রসমূহের অঙ্গগুলির নাম তালিকাভুক্ত করো।
উত্তর : নিজে লেখো প্রকল্প : (i) তুমি সারা বছরে কোনদিন, কখন, কত সময় এবং কী ধরনের শারীর শিক্ষারসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছ এবং তোমার কী লাভ হয়েছে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করো। (ii) শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক একটি পোস্টার এঁকে তুমি কীভাবে সচেতন করবে। (iii) সুস্থ ও সম্পূর্ণ সুস্থ বা স্বাভাবিক নয় এমন শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করো এবং সমস্যা চিহ্নিত করো। কীভাবে তুমি বিদ্যালয়ে ও সমাজে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার বাতাবরণ তৈরি করবে।
দ্বিতীয় অধ্যায় : স্বাস্থ্যশিক্ষা
→ কর্মপত্ৰ →
Section-1: Recap Zone
১। দু-এক কথায় উত্তর দাও :
(i) যদি কোনো শিক্ষার্থীর দেহভর সূচক ৩০ কিলোগ্রাম/মিটার2-এর বেশি হয় তাহলে সে কোন শ্রেণিভুক্ত?
উত্তর : স্থূলকায়।
(ii) একটি আদর্শ খেলার মাঠের পরিমাপ কত?
উত্তর : একটি আদর্শ খেলার মাঠ কমপক্ষে ১৩০ মিটার দীর্ঘ ও ৯০ মিটার প্রস্থ হবে।
(iii) দেহভর সূচক কী?
উত্তর : দেহভর সূচক হল মানবদেহের উচ্চতা ও ওজন অনুপাত অনুসরণ করে মেদ পরিমাপের একটি বিশেষ পদ্ধতি।
২। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :
(i) ওজন কমানোর দুটি নীতি বর্ণনা করো।
উত্তর : (১) পুরুষদের ক্ষেত্রে ৭% ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ১২% মেদ কমানো। (২) ব্যাবহারিক জীবনে পরিবর্তন
আনতে হবে এবং ঠান্ডা পানীয়, ফ্যাট, শর্করাজাতীয় খাদ্যগ্রহণ কমাতে হবে।
(ii) মেদ বৃদ্ধি রোধ করে এমন চারটি ব্যায়ামের নাম লেখো।
উত্তর : মেদ বৃদ্ধি রোধ করে এমন চারটি ব্যায়াম হলঃ (১) শশঙ্গাসন, (২) পদহস্তাসন, (৩) সর্বাঙ্গাসন, (৪) তালাসন।
(iii) মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যায়ামের দুটি প্রভাব আলোচনা করো।
উত্তর : মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যায়ামের দুটি প্রভাব হল : ১. উদ্বেগ ও হতাশা কমাতে সাহায্য করে এবং ২. কাজের প্রতি মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পায়।
(iv) বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকর পরিবেশে পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা লেখো।
উত্তর : পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা : শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জনের জন্য বিভিন্ন ধরনের
বই, ম্যাগাজিন, খবরের কাগজ প্রভৃতি শিক্ষার্থীদের সহজেই সরবরাহ করার জন্য প্রতিটি শিক্ষায়তনে একটি আদর্শ
পাঠাগার থাকা উচিত। এই পাঠাগার থাকবে শিক্ষায়তনের মধ্যেই নিরিবিলি জায়গায়। যথেষ্ট খোলামেলা জায়গা
থাকবে, যাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাতে ব্যাঘাত না ঘটে।
(v) অ্যাথলেট কাদের বলা হয়?
উত্তর : অ্যাথলেট (Athlete) বলা হয় মল্ল বা ব্যায়ামবীর বা খেলোয়াড়কে। এর ফলে শরীরচর্চা হয়।
৩। শূন্যস্থান পূরণ করো :
(i) শরীরচর্চা বা নিয়মিত ব্যায়াম না করা মোটা হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
(ii) বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার জায়গা বা ডাস্টবিন থাকা আবশ্যক।
(iii) বিদ্যালয়ে ডাস্ট লেস ডাস্টার ব্যবহার আবশ্যক।
(iv) স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, “গীতাপাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলা শ্রেয়।”
৪। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(i) দেহভর সূচক (BMI) আমাদের কী ধারণা দেয়?
(ক) মেদের পরিমাণ
(খ) মাংসের পরিমাণ
(গ) হাড়ের পরিমাণ
(ঘ) রক্তের পরিমাণ।
(ii) একজন পূর্ণবয়স্ক মেয়ের ওজনের মেদের শতকরা পরিমাণ কত?
(ক) ১০%
(খ) ১৫%
(গ) ২০%
(ঘ) ২৫%
৫। সঠিক উত্তরটির পাশে সত্য এবং ভুল উত্তরটির পাশে মিথ্যা লেখো :
(i) ডায়াবেটিস একটি সংক্রামক রোগ।
উত্তর : মিথ্যা
(ii) বিদ্যালয়ে দ্বিপ্রাহরিক আহার একটি পুষ্টিকর কর্মসূচি।
উত্তর : সত্য
(iii) দেহভর সূচকের মান ১৮.৫-র কম হলে ব্যক্তিকে কম ওজনবিশিষ্ট বলা হয়।
উত্তর : সত্য
(iv) সাধারণত পূর্ণবয়স্ক পুরষের ওজনের ১৫% মেদ থাকে।
উত্তর : সত্য
(v) মেদ ঝরাতে ফাস্ট ফুড গ্রহণ করতে হবে।
উত্তর : মিথ্যা
৬। রচনাধর্মী প্রশ্ন :
(i) স্বাস্থ্যকর পরিবেশের উপাদানগুলি তালিকাভুক্ত করো।
উত্তর : একটি বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নলিখিত উপাদানগুলি থাকা বাঞ্ছনীয়। যথা— (১) নির্মল বায়ু, (২) পর্যাপ্ত সূর্যালোক, (৩) জীবাণুমুক্ত পরিবেশ, (৪) বিশুদ্ধ পানীয় জল, (৫) স্বাভাবিক জনবসতি, (৬) উপযুক্ত স্যানিটারি ব্যবস্থা, (৭) বিদ্যালয় ও স্বাস্থ্যকন্দ্রের সুব্যবস্থা, (৮) শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ, (৯) জল ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ, (১০) রাজনৈতিক সুস্থতা ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা, (১১) খেলার মাঠ ও শরীরচর্চার উপযুক্ত ব্যবস্থা, (১২) বিনোদনমূলক কর্মসূচির ব্যবস্থা, (১৩) জনঘনত্ব, বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী জনসমাজের শিক্ষা প্রভৃতি।
(ii) দেহভর সূচকের প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে লেখো।
উত্তর : দেহভর সূচক এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে মানবদেহের উচ্চতা ও ওজনের অনুপাতে দেহে উপস্থিত
মেদের পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
প্রয়োজনীয়তা: (১) বর্তমানে চিকিৎসাবিদ্যায় দেহভর সূচকের গুরুত্ব অপরিসীম। (২) উচ্চতা অনুসারে ওজন কম বা বেশি হলে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়। (৩) সহজ ও দ্রুততার সঙ্গে দেহের মেদ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। (৪) বিনা খরচে ঘরে বসেই দেহভর পরিমাপ করা যায়। (৫) ব্যক্তি কোন শ্রেণিভুক্ত তা জানা যায় এবং সেই অনুযায়ী সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শরীরচর্চা বা অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হয়।
(iii) শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যায়ামের প্রভাবগুলি আলোচনা করো।
উত্তর : শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যায়ামের প্রভাব : (১) হৃদপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। (২) বিশ্রামকালীন হৃদস্পন্দনের হার কম হয়। (৩) ফুসফুসের আয়তন ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। (৪) কোশে মাইটোকনড্রিয়ার সংখ্যা বাড়ে, ফলে বেশি পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন হয়। (৫) স্থূলকায় ব্যক্তির ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। (৬) ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। (৭) শক্তি, সহনশীলতা, নমনীয়তা, গতি, ভারসাম্য ইত্যাদির উন্নতি হয়; ফলে শারীরিক সক্ষমতা বাড়ে। (৮) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। (৯) শারীরিক কাঠামোকে শক্তিশালী করে তোলে। (১০) স্নায়ু ও মাংসপেশির মধ্যে সমন্বয় সাধন হয়। ফলে যে-কোনো কাজ সহজে করা সম্ভব হয়।
৭। বাঁদিকের বাক্যাংশের সঙ্গে ডানদিকের বাক্যাংশ মিলিয়ে লেখো :
উত্তর : (i)—(d), (ii)—(e), (ii)—(a), (iv)—(b), (v)—(c)
তৃতীয় অধ্যায় : প্রাথমিক চিকিৎসা
→ কর্মপত্র →
Section-1 : Recap Zone
১। দু-এক লাইনে উত্তর দাও :
(i) প্রাথমিক চিকিৎসার জনক কে?
উত্তর : জার্মানির শল্য চিকিৎসক ফ্রেডরিক এজমার্ক।
(ii) প্রাথমিক চিকিৎসা বা ফার্স্ট এইড কাকে বলে?
উত্তর : আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনায় ডাক্তার দেখার আগে রোগীকে সাময়িক বিজ্ঞানসম্মত সেবা-শুশ্রুষা করাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বা ফার্স্ট এইড বলে।
(iii) পাগলা কুকুরের লালায় কোন রোগের জীবাণু থাকে?
(ii) প্রাথমিক চিকিৎসা বা ফার্স্ট এইড কাকে বলে?
উত্তর : আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনায় ডাক্তার দেখার আগে রোগীকে সাময়িক বিজ্ঞানসম্মত সেবা-শুশ্রুষা করাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বা ফার্স্ট এইড বলে।
(iii) পাগলা কুকুরের লালায় কোন রোগের জীবাণু থাকে?
উত্তরঃ হাইড্রোফোবিয়া বা জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু থাকে।
Section-2 : Group Work
২। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :
(i) বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে দুটি পদ্ধতি বর্ণনা করো।
উত্তর : (১) কোনো অস্থায়ী কাঠামোর নীচে ক্লাস চালানো উচিত নয়। (২) স্কুলের ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার হয়ে গেলে সাবধানে পাত্রবন্দি অবস্থায় পৃথক স্থানে রাখতে হবে। (৩) বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিল-এর রান্নার ব্যবস্থা কোনো সুরক্ষিত জায়গায়, শ্রেণিকক্ষ থেকে ন্যূনতম ১০০ ফুট দূরত্বে হওয়া আবশ্যক। (৪) বিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করানো উচিত, কোথাও ত্রুটি গোচরে আসলে অবিলম্বে সংশোধন করা উচিত। (৫) বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত জলাধার ও তা পরিপূরণের ব্যবস্থা অবশ্যই রাখতে হবে।
৩। রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি :
(i) জলাতঙ্কের লক্ষণগুলি আলোচনা করো।
উত্তর : সবচেয়ে ভয়ংকর হল পাগলা কুকুরের কামড়। এই ধরনের কুকুরের লালায় হাইড্রোফোবিয়া বা জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু বা র্যাবিস ভাইরাস থাকে। ক্ষত গভীর বা বড়ো হলে রক্তপাত হতে পারে। তাতে জীবাণু সংক্রমণ হলে দু-ঘণ্টা বা তারপরে জ্বর হতে পারে। ক্ষতের জায়গায় পুঁজ হতে পারে, ফুলে যায় এবং লাল হয়।
● জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে কী কী লক্ষণ দেখা যায় :
(১) কামড়ের জায়গায় ব্যথা আর চিনচিন করতে পারে। (২) অনিয়মিত শ্বাস, কান্নাকাটি, জ্বর, ঢোক গিলতে ব্যথা ও অসুবিধা হয়। (৩) প্রচুর ঘন চটচটে লালা পড়ে। (৪) প্রথমদিকে জল খেতে ভয় হয় এবং পরে জল জিনিসটাতেই ভয় হয়।
(৫) শান্ত থাকতে থাকতে মাঝে মাঝে হঠাৎ রেগে যায়। (৬) রোগী সজাগ কিন্তু উৎকণ্ঠিত ও উত্তেজিত হয়ে থাকে। (৭) মৃত্যু এগিয়ে এলে ফিট (খিঁচুনি) আর পক্ষাঘাত হয়। জলাতঙ্কে আক্রান্ত ব্যক্তির লালা, প্রস্রাব ও ঘাম বিষাক্ত, এগুলোর ছোঁয়াও বিপজ্জনক।
(ii) পোশাক-পরিচ্ছদে আগুন লাগলে মানুষকে কীভাবে সাহায্য করবে?
উত্তর : (১) প্রারম্ভিক পর্বে হাতের কাছে পাওয়া জিনিস দিয়ে আগুনের মোকাবিলা করা উচিত। (২) অযথা চেঁচামেচি
বা দৌড়োদৌড়ি করে ভীতির সৃষ্টি করবে না। (৩) যদি আগুন বৈদ্যুতিক বস্তু থেকে উৎপন্ন হয়, তবে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে। (৪) আগুন লাগলে কোনো ঘরে বা বাথরুমে আশ্রয় নেবে না। (৫) আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে সঠিক নির্বাপক ব্যবস্থা অবলম্বন করা উচিত। (৬) সুশৃঙ্খলভাবে সমস্ত তলা খালি করে দেওয়া দরকার। (৭) আগুন লাগলে লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করা উচিত। (৮) ব্যক্তিগত সম্পত্তি পাওয়ার জন্য আগুনে প্রবেশ করবে না। (৯) ধোঁয়াপূর্ণ জায়গায় নীচু হয়ে বা হামাগুড়ি দিয়ে বিপন্মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। (১০) 'ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড’ অনুযায়ী সমস্ত দরজা, জানলা ও ঘরগুলিতে অগ্নিনিরোধক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। (১১) আসবাবপত্র ও গৃহসজ্জাদি যথাসম্ভব অগ্নিনিরোধক করতে হবে। (১২) লোডশেডিং থাকলেও বৈদ্যুতিক সুইচগুলি অফ করে রাখতে হবে। (১৩) ঘরে ঢুকে গ্যাসের গন্ধ পেলে সমস্ত দরজা-জানলা খুলে দিতে হবে। গ্যাস নব বন্ধ আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে, আর গ্যাস নব বন্ধ না থাকলে বন্ধ করতে হবে। রান্নার গ্যাস-সরঞ্জামের সামান্য খুঁত হয়েছে বা লিক হচ্ছে সন্দেহ হলেই গ্যাস সরবরাহকারীকে খবর দিতে হবে। রান্না হয়ে গেলেই আগুন নিভিয়ে ফেলতে হবে। রাতে শোবার আগে বা বাড়ি থেকে বেরোবার আগে দেখে নিতে হবে গ্যাসের নব ও রেগুলেটর বন্ধ আছে কিনা। (১৪) বাড়িতে বয়স্কদের বিছানায় শুয়ে বিড়ি বা সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে অবিলম্বে তা ত্যাগ করতে হবে। (১৫) বাড়িতে বা স্কুলে একাধিক সিঁড়ি ও অগ্নি নিরাপত্তামূলক স্থান রাখতে হবে। (১৬) বহুতল বসতবাড়িতে অগ্নিনির্বাপণের জন্য পর্যাপ্ত জলাধার পরিপূরণের ব্যবস্থা অবশ্যই রাখতে হবে। (১৭) বিপদের সময়
তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসতে হলে বাহির পথটা সবসময়ে পরিষ্কার ও বাধাহীন রাখতে হবে। (১৮) আগুন লাগার পর যদি ফ্ল্যাটের মধ্যে আটকে যাও তখন ভেজা কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে দরজা জানালার মুখ এঁটে দিতে হবে। একটি মাত্র জানালা খুলে তার নীচের দিকে শুয়ে আর একটি উজ্জ্বল কাপড়/রুমাল বাইরের দিকে নেড়ে নিজের অবস্থান সম্পর্কে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। (১৯) বসতি এলাকায় বাজি পোড়ানো সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। (২০) আপৎকালীন নির্গমনের পথে, ‘ধূমপান নিষেধ’ সম্পর্কিত বোর্ড, নিকটবর্তী দমকল কেন্দ্রের ফোন নম্বর সকলের দৃষ্টিগোচর হয় এমন জায়গায় অবশ্যই লিখে রাখতে হবে।
(iii) প্রাথমিক প্রতিবিধানকারীর গুণাবলি তালিকাভুক্ত করো।
উত্তর : প্রাথমিক প্রতিবিধানকারীর গুণগুলি হল : (১) সাহস ও আত্মবিশ্বাস, (২) তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ শক্তি, (৩) প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে সঠিক বিজ্ঞানসম্মত জ্ঞান, (৪) উপায় উদ্ভাবন ক্ষমতা, (৫) রোগীর অবস্থা বিচার ও বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা, (৬) কর্মদক্ষতা, (৭) দুর্ঘটনায় নিজেকে শান্ত রাখা (৮) স্পষ্টভাষণ, (৯) ভিড় এড়িয়ে কাজ করবার দক্ষতা, (১০) অধ্যবসায়, (১১) রোগীকে সাহস প্রদান করা, (১২) সহানুভূতি ও সমানুভূতি, (১৩) অত্যুৎসাহী না হওয়া, (১৪) কুশলী হওয়া, (১৫) রোগীর আত্মীয়দের সাহস প্রদান করা, (১৬) শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল।
৪। শূন্যস্থান পূরণ করো :
(i) প্রাথমিক চিকিৎসার জনক হলেন______।
উত্তর : জার্মানির শল্য চিকিৎসক ফ্রেডরিক এজমার্ক।
(ii) পাগলা কুকুরে কামড়ালে______রোগ হয়।
উত্তর : জলাতঙ্ক।
(ii) পাগলা কুকুরে কামড়ালে______রোগ হয়।
উত্তর : জলাতঙ্ক।
৫। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(i) শোয়ার ঘরে কী মজুত রাখা উচিত নয়?
(ক) ফ্যান (খ) আলমারি (গ) ঘড়ি (ঘ) গ্যাস সিলিন্ডার।
উত্তর : (ঘ) গ্যাস সিলিন্ডার।
(ii) জলাতঙ্ক রোগীদের কী খেতে ভয় হয়?
(ক) মিষ্টি (খ) ফল (গ) জল (ঘ) সবকিছু খেতেই।
(ii) জলাতঙ্ক রোগীদের কী খেতে ভয় হয়?
(ক) মিষ্টি (খ) ফল (গ) জল (ঘ) সবকিছু খেতেই।
উত্তর : (গ) জল ।
(iii) আগুন জ্বললে কী গ্যাস উৎপন্ন হয়?
(ক) অক্সিজেন (খ) নাইট্রেজেন (গ) সিলিকন (ঘ) কার্বন।
(iii) আগুন জ্বললে কী গ্যাস উৎপন্ন হয়?
(ক) অক্সিজেন (খ) নাইট্রেজেন (গ) সিলিকন (ঘ) কার্বন।
উত্তর : (ঘ) কার্বন।
(iv) জলাতঙ্ক রোগীর মুখ থেকে কী ঝরে?
(ক) লালা ঝরে (খ) জল ঝরে (গ) বমি হয় (ঘ) রক্ত পড়ে।
(iv) জলাতঙ্ক রোগীর মুখ থেকে কী ঝরে?
(ক) লালা ঝরে (খ) জল ঝরে (গ) বমি হয় (ঘ) রক্ত পড়ে।
উত্তর : (ক) লালা ঝরে।
৬। বাঁদিকের বাক্যাংশের সঙ্গে ডানদিকের বাক্যাংশ মিলিয়ে লেখো :

উত্তর : (i)—(b), (ii)—(a), (iii)—(c), (iv)—(d)
📥ডাউনলোড পিডিএফ ফাইল
বিষয়ঃ স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা
ক্লাস : সপ্তম শ্রেণি
পিডিএফ ফাইল : তিনটি অধ্যায় প্রশ্নোত্তর সমাধান
কোয়ালিটি : FULL HD Page
সাইজ : 10.75 MB
পৃষ্টা : 9
No comments
Hi Welcome ....