Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Top Ad

Breaking News:

latest

ষষ্ঠ-শ্রেণির-ইতিহাস-অধ্যায়-৮-প্রশ্ন-উত্তর | Class VI History (Chapter-8) Answer Pdf

Class 6 History Chapter 8 All Question And Answer 👇   Read More Click Class - VI History Question Answer   ❐  ভেবে দেখ খুঁজে দেখো .. ১. বেম...

প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিচর্চার নানাদিক প্রশ্ন উত্তর সমাধান

Class 6 History Chapter 8 All Question And Answer


👇 Read More Click
Class - VI History Question Answer 

❐ ভেবে দেখ খুঁজে দেখো ..
১. বেমানান শব্দটি খুঁজে বের করো :
১.১ নালন্দা, তক্ষশিলা, বলভী, পাটলিপুত্র
১.২ ব্রাহ্মী, সংস্কৃত, খরোষ্ঠি, দেবনাগরী।
১.৩ রত্নাবলী, মৃচ্ছকটিকম, অর্থশাস্ত্র, অভিজ্ঞান-শকুন্তলম।

২. নীচের বাক্যগুলির কোনটি ঠিক কোনটি ভুল লেখো :
২.১ নালন্দা মহাবিহারে কেবল ব্রাক্ষ্মণ ছাত্ররাই পড়তে পারত।
➧ ভুল 冈
২.২ কম্বনের রামায়ণে রামকেই বড়ো করে দেখানো হয়েছে।
➧ ভুল 
২.৩ বাগভট্ট ছিলেন একজন চিকিৎসক।
➧ ভুল 
২.৪ কুষাণ আমলে গন্ধার শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল।
➧ ঠিক 

৩. ক-স্তম্ভ স্তম্ভের সঙ্গে খ-স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :



 ৪. নিজের ভাষায় ভেবে লেখো (তিন/চার) লাইন :
৪.১ প্রাচীনকালের বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে আজকের শিক্ষাব্যবস্থার মিল-অমিল গুলি নিজের ভাষায় লেখো :
 প্রাচীন কালে বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থা ছিল গুরুকুলে। অর্থাৎ, গুরু-শিষ্য সম্পর্ক কেন্দ্রিক। গুরুর কাছেই চিকিৎসা, কৃষি, রাজ্য শাসন, তির চালানো ও তরবারি চালানো, কুস্তি ও নানারকম খেলাধুলো শেখানো হত। আর আজকের শিক্ষাব্যবস্থা হল শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকের জ্ঞানগত আলোচনা শুনবে, আর শুধুই পুঁথি বা বই-এর মধ্যে পড়াশোনায় ডুবে থাকবে। খেলাধুলা করবে। একটা বাঁধাধরা সময়ে বিদ্যালয়ে যাবে-আসবে। বৌদ্ধযুগের কিছু কিছু পড়াশোনার মিল এখনকার পড়াশোনায় পাওয়া গেলেও আবার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অমিল আছে।
৪.২ চরক সংহিতায় আদর্শ হাসপাতাল কেমন হবে, তা বলা আছে। তোমার মতে একটি ভালো হাসপাতাল কেমন হওয়া উচিত?
 একটি ভালো হাসপাতাল হতে হলে প্রথমেই দেখতে হবে দুষণমুক্ত পরিবেশ। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে হবে। চিকিৎসকদের ভালো অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সেবিকারা সহানুভূতির সঙ্গে রোগীদের মানবসেবা করবেন। ব্যবহার ভালো রাখবেন। সব সময় রোগীর ওষুধপত্র, সুচিকিৎসা, পথ্য, রোগীর দেখভালের ভালো ব্যবস্থা রাখবেন।
৪.৩ একটি বিহার ও স্তূপের মধ্যে পার্থক্যগুলি লেখো।
 স্তূপগুলো ছিল অর্ধগোলাকার, মাটির ঢিবিগুলোই ছিল আগের স্তূপ। স্তূপের চারদিকে চারটি বড়ো দরজা থাকত। সেগুলিকে তোরণ বলা হত। তোরণগুলিতে ভাস্কর্য খোদাই করা হত। বৌদ্ধ বিহারগুলি বা সংঘারামগুলিও স্থাপত্যশিল্পের উদাহরণ। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের থাকার ও পড়াশোনার জন্যই বিহারগুলি তৈরি হত। বিহারগুলি প্রকৃতপক্ষে ছিল অনেকগুলি গুহার সমষ্টি। পরবর্তীকালে ইট দিয়ে বিহার তৈরি করা হত।

❐ অধ্যায় ৮ প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিচর্চার নানাদিক
 এই অধ্যায় থেকে অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন ও উত্তর :
 ▻ এক কথায় উত্তর দাও

১. প্রাচীন ভারতে কোথায় ছাত্র শিক্ষাগ্রহণ করত?

➣ গুরুগৃহে।
২. গরিব ছাত্রদের সুবিধার জন্য কী প্রদান করা হত?
➣ বৃত্তি।
৩. যে গুরুর গৃহে থেকে ছাত্ররা শিক্ষালাভ করত তাদের কী বলা হত?
➣ আচার্য।
৪. গান্ধার রাজ্যের রাজধানী কী ছিল?
➣ তক্ষশিলা।
৫. পাণিনি কোথাকার ছাত্র ছিলেন?
➣ তক্ষশিলা মহাবিহারের।
৬. ভাষার সংস্কার কে করেন?
➣ পাণিনি।
৭. প্রাচীন বৌদ্ধ ও জৈন গ্রন্থ কী ভাষায় লেখা হত?
➣ পালি ও প্রাকৃত।
৮. ব্রাষ্মণদের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে লেখা বইগুলিকে কী বলা হত?
➣ ধর্মশাস্ত্র।
৯. 'অর্থশাস্ত্র' কার লেখা?
➣ কৌটিল্যের।
১০. মোগলমারি বৌদ্ধবিহার কোথায় অবস্থিত?
➣ পঃ মেদিনীপুর।
১১. বৌদ্ধবিহারগুলির ও মহাবিহারগুলির খরচ কারা বহন করতেন?
➣ রাজা ও বণিকরা।
১২. বাম দিক থেকে ডান দিকে যে লিপি লেখা হত তাকে কী বলত?
➣  ব্রাহ্মী।
১৩. ব্রাহ্মণরা যে ভাষার ব্যবহার করতেন তার নাম কী?
➣  দেবনাগরী।
১৪. সম্রাট অশোকের লিপিতে কী লিপি ব্যবহার করা হত?
➣ ব্রাহ্মী।
১৫. রামায়ণের রচয়িতা কে?
➣ বাল্মীকি।
১৬. রামায়ণের কয়টি কাণ্ড?
➣ সাতটি।
১৭. পঞ্চমবেদ কাকে বলা হত?
➣ মহাভারতকে
১৮. মহাভারতের আদিনাম কী ছিল?
➣ জয়কাব্য।
১৯. মেঘদূতম কার লেখা?
➣  কালিদাসের।
২০. ‘সূর্যসিদ্ধান্ত’ কার লেখা?
➣ বরাহমিহিরের।
২১. অশ্বঘোষের লেখা বইয়ের নাম কী?
➣ বুদ্ধচরিত।
২২. ‘অশোকস্তম্ভ’ কোন যুগে বানানো হয়?
➣ মৌর্যযুগে।
২৩.স্তূপের চারদিকের চারটি দরজাকে কী বলা হত?
➣ তোরণ।

 অতিসংক্ষিপ্ত  প্রশ্ন ও উত্তর :
১. প্রাচীন ভারতীয় লিপি কেমন ছিল?
উত্তর : ভাষা লেখার জন্য বর্ণ বা লিপি প্রয়োজন। সে সময়ে উপমহাদেশে দু-রকম লিপির চল ছিল। খরোষ্ঠী এবং ব্রাহ্মী। খরোষ্ঠী লেখা হত ডানদিক থেকে বাঁদিকে এবং ব্রাহ্মী লিপি লেখা হত বাঁদিক থেকে ডানদিকে।

২. প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞান চর্চার উল্লেখযোগ্য দিকগুলি কী?
উত্তর : বিজ্ঞান কথার মানে বিশেষ জ্ঞান। প্রযুক্তি অর্থাৎ প্রয়োগ করা। আমাদের জীবনে বিজ্ঞান অপরিহার্য। প্রাচীন ভারতে ভাষা বিজ্ঞান রচনা হয়েছিল। আর্যভট্ট প্রমাণ করেছিলেন পৃথিবীতে দিন-রাত্রি ও ঋতু পরিবর্তন তথ্য। এছাড়া শূন্য ও দশমিকেরও প্রচলন হয়।

৩. প্রাচীন ভারতীয় শিল্পরীতির পরিচয় দাও।
উত্তর : মূর্তি, চিত্র ও স্থাপত্য শিল্পের বিষয়েও সংস্কৃতে বই লেখা হয়েছিল। কিন্তু কারিগরি শিল্পের কোনো বই ছিল না। এই সময় গুহাবাস তৈরির রীতি, স্তূপ নির্মাণ কৌশল ও চৈত্য নির্মাণ পদ্ধতি খুবই আশ্চর্য ও সুন্দর ছিল।

৪. প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞান কেমন ছিল?
উত্তর : চিকিৎসার নানা দিক নিয়েও গ্রন্থ লেখা হয়েছিল। ব্রাহ্মণ ও বৌদ্ধদের লেখায় নানারকম ঔষধ ও অস্ত্রপচারের কথা জানা যায়। ‘চরক সংহিতা’ ও ‘শুশ্রুত সংহিতা’ সেকালের চিকিৎসা নিয়ে লেখা দুটি বিখ্যাত বই।

৫. মৃচ্ছকটিকম্ কী? কার লেখা?
উত্তর : মৃচ্ছকটিকম প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যের একটি বিখ্যাত নাটক। মুচ্ছকটিকম শূদ্রকের তাদের সুখ-দুঃখ নিয়েই লেখা এই নাটক লেখা। এর অর্থ মাটির ছোটো গাড়ি। এই নাটকের সব চরিত্র সাধারণ মানুষ।

৬. মোগলমারি মহাবিহার কেন প্রসিদ্ধ ?
উত্তর : ফার্সিয়ান ও সুয়ান জাং-এর লেখা থেকে জানতে পারি যে বাংলায় অনেকগুলো বৌদ্ধবিহার ছিল। তার মধ্যে এটি খুবই নামকরা ছিল। এটি পশ্চিম মেদিনীপুরের মোগলমারিতে ছিল। নালন্দা ও তক্ষশিলার মতো না হলেও এটির ঐতিহাসিক
 গুরুত্বও কম ছিল না।

৭. গুরুকুল প্রথা কী ?
উত্তর : বৈদিক যুগে নানা ধরনের শিক্ষা পদ্ধতি চালু হয়েছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গুরুকুল শিক্ষা ব্যবস্থা। এই শিক্ষাব্যবস্থার কেন্দ্র ছিল গুরু ও শিষ্যের সম্পর্ক। এখানে শিক্ষার্থীরা গুরুগৃহে থেকে শিক্ষাগ্রহণ করত।

৮. বৌদ্ধবিহার কাকে বলা হত?
উত্তর : বৌদ্ধরা লেখাপড়া শিখত বিহার বা সংঘ থেকে এগুলোকে বলা হত বৌদ্ধবিহার। ছাত্রদের এখানে থেকে পড়াশোনা করতে হত। কৃষি, চিকিৎসা, রাজ্যশাসন প্রভৃতি বিষয় এখানে পড়ানো হত।

৯. নালন্দা বিহার কেন বিখ্যাত?
উত্তর : নালন্দা বিহার সে যুগের এক গৌরবশালী শিক্ষাকেন্দ্র ছিল। দেশ-বিদেশ থেকে ছাত্ররা এখানে পড়তে আসত। প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে এখানে ভরতি হতে হত। এখানে পড়াশোনার কোনো খরচ লাগত না।

১০. তক্ষশিলা মহাবিহার কী?
উত্তর : গান্ধার রাজ্যের রাজধানী ছিল তক্ষশিলা। এখানে বৌদ্ধধর্ম খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ফলে এখানে শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে ওঠে ও একটি বিখ্যাত মহাবিহার হয়ে ওঠে। এখানে কেবলমাত্র যোগ্যতা দেখা হত। রাজা ও ব্যবসায়ীরা এটির খরচ বহন করত।

১১. বৌদ্ধদের পাঠ্য বিষয়গুলি কী ছিল?
উত্তর : বৌদ্ধদের পাঠ্য বিষয়গুলি ছিল কৃষি, চিকিৎসাবিদ্যা, রাজ্যশাসন, দর্শন, রাজনীতি ও অন্যান্য সামাজিক ও বৌদ্ধ রীতি নীতি।

১২. মহাবিহারগুলিতে কী কী বিষয় পড়ানো হত?
উত্তর : মহাবিহারগুলিতে ন্যায়, দর্শনশাস্ত্র, ব্যাকরণ, ধর্মশাস্ত্র, অর্থশাস্ত্র, চিকিৎসাশাস্ত্র, লোকশিক্ষা, রাজনীতি, সাহিত্য প্রভৃতি নানা বিষয়গুলি পড়ানো হত।

১৩. শুশ্রুত কে ছিলেন?
উত্তর : সুশ্রুত ছিলেন এক অসামান্য চিকিৎসক। ইনি প্রাচীন ভারতের চিকিৎসাবিদ্যার জ্ঞানকে একত্রে সংকলিত করে ‘সুশ্রুত সংহিতা' নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। এতে শল্য চিকিৎসা পদ্ধতির বিবরণ রয়েছে।

১৪. বরাহমিহির কে ছিলেন?
উত্তর : বরাহমিহির গুপ্তযুগের একজন প্রসিদ্ধ গণিতজ্ঞ ও জ্যোতিষবিদ ছিলেন। তাঁর বৃহৎ সংহিতা গ্রন্থে তিনি জ্যোতিষ-এর নানা সূত্র ও ব্যাখ্যা সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন।

১৫. আর্যভট্ট ইতিহাস প্রসিদ্ধ কেন?
উত্তর : প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সাহিত্যিক ছিলেন কালিদাস। গুপ্তযুগের একজন সনামধন্য সাহিত্যিক ছিলেন। তার লেখা অনেক গ্রন্থ ইতিহাসের এক রত্ন হিসাবে স্থান পেয়েছেন।

১৬. কালিদাসের প্রতিভা সম্পর্কে লেখো।
উত্তর : কালিদাস কাব্য, নাটক, সাহিত্য সব কিছুতেই জীবন দান করতে পারদর্শী ছিলেন। কালিদাসের প্রতিভা ইতিহাসে এক অভাবনীয় সম্পদ। তার লেখা ‘মেঘদূতম’ খুবই উল্লেখযোগ্য রচনা। সর্বদা তিনি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

১৭. অশ্বঘোষ কেন বিখ্যাত ছিলেন?
উত্তর : অশ্বঘোষ কণিষ্কের সময়ের সাহিত্যিক ছিলেন। তিনি একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ছিলেন। তাঁর বিখ্যাত রচনা হল ‘বুদ্ধচরিত'। গৌতমবুদ্ধের জীবনী এর মাধ্যমে হয়েছে।

১৮. প্রাচীন ভারতীয় কয়েকটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষাকেন্দ্রের নাম লেখো।
উত্তর : প্রাচীন ভারতের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি শিক্ষাকেন্দ্রের নাম হল- তক্ষশিলা,বারাণসী ও উজ্জয়িনী এবং নালন্দা ও বিক্রমশীলা মহাবিহার।

১৯. চরক কে ছিলেন?
উত্তর : চরক ছিলেন প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের একজন বিশিষ্ট নাম। একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। যিনি শল্য চিকিৎসা ও অন্যান্য ভেষজ চিকিৎসার জনক ছিলেন। তাঁর লেখা ‘চরক সংহিতা’ বিখ্যাত চিকিৎসাশাস্ত্র।

২০. জীবক কে ছিলেন?
উত্তর : জীবক ছিলেন বৌদ্ধ যুগের বিখ্যাত চিকিৎসক। তিনি বিম্বিসারের রাজ বৈদ্য ছিলেন। তিনি তক্ষশিলায় শিক্ষাগ্রহণ করেন। তিনি নানা ভেষজ ঔষধ তৈরি করেন। তিনি অনেককে কঠিন রোগ ব্যাধি থেকে সুস্থ করে তোলেন। সেকালে এই রকম গুণসম্পন্ন বৈদ্য হয়তো ভাবাই যায় না।

 রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর দাও :
[ প্রশ্নের মান-৮]
(১) গুপ্ত যুগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা কী ছিল?
উত্তরঃ গুপ্ত যুগের শিক্ষাব্যবস্থায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা লক্ষ করা যায়। তবে গুরুর বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করার পদ্ধতিরও চল ছিল। এই সময় বিভিন্ন রাজ্যের রাজা বিদ্যালয় তৈরি করে দিয়েছিলেন। পাঠ্য বিষয়ের মধ্যে লিপি ও ভাষা এবং বৈদিক সাহিত্য ছিল প্রধান। পাশাপাশি কাব্য, ব্যাকরণ, জ্যোতিষ, নাটক, আইন, রাজনীতি ও যুদ্ধবিদ্যাও পড়ানো হত। পেশাভিত্তিক শিক্ষার ওপরেও এ সময়ে জোর দেওয়া হয়। কিছু কিছু বৌদ্ধ বিহারকে মহাবিহার বলা হত।

দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য ছাত্র ওই মহাবিহারগুলিতে পড়তে আসত। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নালন্দা, তক্ষশিলা, বিক্রমশীল ও বলভী মহাবিহারগুলি খুবই বিখ্যাত ছিল। রাজারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে জমি ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করতেন। কয়েকটি বিখ্যাত শিক্ষাকেন্দ্র ছিল পাটলিপুত্র, কনৌজ, উজ্জয়িনী, মিথিলা, তাঞ্জোর, কল্যাণ প্রভৃতি নগরে। গুপ্ত যুগের পরবর্তীকালে অনেকটা আজকের দিনের মতো একটি অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। তার নাম ছিল বিদ্যারম্ভ। পাঁজিতে এখনও সেই বিদ্যারম্ভ শব্দটি পাওয়া যায়। পাঁচ বছর বয়সে এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই অক্ষর পরিচয় হত। এই পর্যায়ে ছাত্রকে একটি পাঠ্য বই ও গণিত পড়ানো হত।

বৌদ্ধ বিহারগুলিতে তির ও তরবারি চালানো, কুস্তি ও নানারকম খেলাধুলো শেখানো হত। শ্রমণ ও ভিক্ষুদের সুতো কাটা, কাপড় বোনা শিখতে হত। বিহারগুলিতে ছাত্রদের থাকার জন্য আলাদা ঘর থাকত। মেধা যাচাই করে ছাত্র নেওয়া হত। পড়াশোনার জন্য বেতন দিতে হত। গরিব ছাত্রদের সুবিধার জন্য বৃত্তি দেওয়া হত। গুপ্ত যুগে জীবিকার সঙ্গে পড়াশোনার একটা যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল

No comments

Hi Welcome ....