Class-XII-Philosophy-Notes ❐ আরো পড়ুনঃ নিরেপেক্ষ ন্যায় নোটস {tocify} $title={Table of Contents} সহ কার্যকে কারণ বলে মনে করার দোষ ✱ সহ ক...
Class-XII-Philosophy-Notes
❐ আরো পড়ুনঃ
{tocify} $title={Table of Contents}
সহ কার্যকে কারণ বলে মনে করার দোষ
✱ সহ কার্যকে কারণ বলে মনে করার দোষ?
▹ কারণ সংক্রান্ত দোষ : কারণ সংক্রান্ত দোষ বলতে বোঝায় ‘যা প্রকৃত কারণ নয়, তাকে কারণ বলে গণ্য করা’। মিলের মতে কারণ হল কার্যের নিয়ত, শর্তান্তরহীন, অব্যবহিত পূর্বগামী ঘটনা। কিন্তু অনেক সময় আমরা কোনো ঘটনার প্রকৃত কারণ যথাযথভাবে নির্ণয় করতে পারি না। এক্ষেত্রে আমরা যা প্রকৃতপক্ষে কারণ নয়, তাকে কারণ বলে মনে করি এবং এর ফলে যুক্তিটিতে কারণ সংক্রান্ত দোষের উদ্ভব ঘটে। কারণ সংক্রান্ত যে-কোনো দোষের মধ্যে অন্যতম হল —
❏ অবান্তর বা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়কে কারণ মনে করার দোষ : কোনো কার্যের যে-কোনো পূর্বগামী ঘটনা সেই কার্যের প্রকৃত কারণ নাও হতে পারে। তাই যেটি আসল কারণ সেটিকে কারণ হিসেবে গণ্য না করে কারণের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন কোনো অবান্তর বা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়কে যদি কারণ বলে গণ্য করা হয়, তাহলে যুক্তিটিতে কারণ সংক্রান্ত দোষ দেখা দেয়। এই দোষকে বলা হয় কোনো অবান্তর বা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়কে কারণ বলে গণ্য করার দোষ। মূলত অন্বয়ী পদ্ধতি কিংবা সহপরিবর্তন পদ্ধতির অপপ্রয়োগের ফলে এরূপ দোষ ঘটে থাকে। যেমন— কলকাতায় যত বহুতলবিশিষ্ট বাড়ির সংখ্যা বাড়ছে, মানসিক রোগীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। কাজেই মানসিক রোগের কারণ হল বহুতলবিশিষ্ট বাড়ির নির্মাণ।
❏ সহকার্যকে কারণ মনে করার দোষ : অনেক সময় একই কারণ থেকে একাধিক কার্য উৎপন্ন হতে পারে। যেক্ষেত্রে কারণ একটি, কিন্তু কার্য একাধিক সেক্ষেত্রে কার্যগুলিকে বলা হয় সহকার্য। এরূপ সহকার্য বা দুটি কার্যের মধ্যে যদি একটিকে অপরটির কারণ হিসেবে গণ্য করা হয় তাহলে যে দোষ ঘটে, তাকে বলা হয় সহকার্যকে কারণ বা কার্য হিসেবে গণ্য করা দোষ। এই দোষের ফলে দুটি ঘটনার মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক স্থাপন করা যায় না। মূলত অন্বয়ী পদ্ধতি ও সহপরিবর্তন পদ্ধতির অপপ্রয়োগের ফলে এরূপ দোষ ঘটে থাকে। যেমন— দিন হল রাত্রির পূর্ববর্তী ঘটনা, সুতরাং দিন হল রাত্রির কারণ।
❏ দোষ বিচার : উক্ত আরোহ যুক্তিটি সহকার্যকে কারণ বলে মনে করার দোষে দুষ্ট হয়েছে। যেহেতু দিনের পরেই রাত্রি আসে সেহেতু দিনকে রাত্রির কারণ বলা হয়েছে। কিন্তু আসলে দিন ও রাত্রি কোনোটিই কারোর কারণ নয়, এই দুটি ঘটনাই একই কারণের সহকার্য। পৃথিবীর আহ্নিক গতি হল সেই কারণ। পৃথিবীর আহ্নিক গতির জন্যই দিন ও রাত্রি সংঘটিত হয়। কাজেই যুক্তিটিতে দিনকে রাত্রির কারণ বলার জন্য সহকার্যের কোনো একটিকে কারণ বলে গণ্য করা দোষ ঘটেছে।
অবান্তর ঘটনাকে কারণ মনে করার দোষ
✱ অবান্তর ঘটনাকে কারণ মনে করার দোষ?
▹ অবান্তর বিষয়কে কারণ মনে করার দোষ : কোনো কার্যের যে-কোনো পূর্বগামী ঘটনা সেই কার্যের প্রকৃত কারণ নাও হতে পারে। তাই যেটি আসল কারণ সেটিকে কারণ হিসেবে গণ্য না করে কারণের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন কোনো অবান্তর বা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়কে যদি কারণ বলে গণ্য করা হয়, তাহলে যুক্তিতে কোনো অবান্তর ঘটনাকে কারণ বলে গণ্য করার দোষ ঘটে। মূলত অন্বয়ী পদ্ধতি কিংবা সহপরিবর্তন পদ্ধতির অপপ্রয়োগের ফলে এরূপ দোষ ঘটে থাকে। যেমন—কলকাতায় যত বহুতলবিশিষ্ট বাড়ির সংখ্যা বাড়ছে, মানসিক রোগীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। কাজেই মানসিক রোগের কারণ হল বহুতলবিশিষ্ট বাড়ির নির্মাণ।
❏ যুক্তিটির বিশ্লেষণ :
পূর্বগামী ঘটনা | অনুগামী ঘটনা |
---|---|
কলকাতায় বহুতলবিশিষ্ট বাড়ির সংখ্যাবৃদ্ধি→ | মানসিক রোগীর সংখ্যাবৃদ্ধি। |
কলকাতায় বহুতলবিশিষ্ট বাড়ির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি→ | মানসিক রোগীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি। |
কলকাতায় বহুতলবিশিষ্ট বাড়ির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি→ | মানসিক রোগীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি। |
সুতরাং, বহুতলবিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ মানসিক রোগের কারণ।
অর্থাৎ, বহুতলবিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ = কারণ
মানসিক রোগ = কার্য
❏ দোষ : অপ্রাসঙ্গিক বা অবান্তর ব্যাপারকে কারণ মনে করার দোষ।
❏ বিচার : উক্ত আরোহ যুক্তিটিতে সহপরিবর্তন পদ্ধতির অপপ্রয়োগের ফলে অবান্তর বিষয়কে কারণ বলে গণ্য করার দোষে দুষ্ট হয়েছে। এক্ষেত্রে দুটি ঘটনার মধ্যে সহপরিবর্তন লক্ষ করা গেলেও সেই সহপরিবর্তন প্রাসঙ্গিক নয়। বস্তুত দুটি ঘটনা অর্থাৎ ‘কলকাতায় বহুতলবিশিষ্ট বাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া’ এবং ‘মানসিক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া’ সহপরিবর্তিত হলেও এদের মধ্যে কোনো কার্যকারণ সম্পর্ক নেই। কাজেই সহপরিবর্তন পদ্ধতিতে যা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ঘটনা, তাকে কারণ বলার জন্য আলোচ্য যুক্তিতে উক্ত দোষ ঘটেছে।
✱ সহকার্যকে কারণ অথবা কার্য হিসেবে গ্রহণজনিত দোষ।
❏ সহকার্যকে কারণ মনে করার দোষ : অনেক সময় একই কারণ থেকে একাধিক কার্য উৎপন্ন হতে পারে। যেক্ষেত্রে কারণ একটি, কিন্তু কার্য একাধিক সেক্ষেত্রে কার্যগুলিকে বলা হয় সহকার্য। এরূপ সহকার্য বা দুটি কার্যের মধ্যে যদি একটিকে অপরটির কারণ হিসেবে গণ্য করা হয় তাহলে যে দোষ ঘটে, তাকে বলা হয় সহকার্যকে কারণ বা কার্য হিসেবে গণ্য করা দোষ। এই দোষের ফলে দুটি ঘটনার মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক স্থাপন করা যায় না। মূলত অন্বয়ী পদ্ধতি ও সহপরিবর্তন পদ্ধতির অপপ্রয়োগের ফলে এরূপ দোষ ঘটে থাকে। যেমন—দিন হল রাত্রির পূর্ববর্তী ঘটনা, সুতরাং দিন হল রাত্রির কারণ।
❏ যুক্তিটির বিশ্লেষণ
পূর্বগামী ঘটনা | অনুগামী ঘটনা |
---|---|
১নং ক্ষেত্রে দিন আসে→ | পরে রাত্রি আসে। |
২নং ক্ষেত্রে দিন আসে→ | পরে রাত্রি আসে। |
৩নং ক্ষেত্রে দিন আসে → | পরে রাত্রি আসে। |
সুতরাং, দিন হল রাত্রির কারণ।
অর্থাৎ, দিন = কারণ
রাত্রি = কার্য
❏ দোষ : সহকার্যকে কারণ বলে মনে করার দোষ।
❏ বিচার : দিন হল রাত্রির পূর্ববর্তী ঘটনা। দিনের পরেই রাত্রি আসে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে দিনকে রাত্রির কারণ বলা হয়েছে। কিন্তু আসলে দিন ও রাত্রি কোনোটিই কারোর কারণ নয়, এই দুটি ঘটনাই একই কারণের সহকার্য। পৃথিবীর আহ্নিক গতি হল সেই কারণ। পৃথিবীর আহ্নিক গতির জন্যই দিন ও রাত্রি সংঘটিত হয়। কাজেই যুক্তিটিতে দিনকে রাত্রির কারণ বলার জন্য সহকার্যের কোনো একটিকে কারণ বলে গণ্য করা দোষ ঘটেছে।
অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ টিকা
✱অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ টিকা?
❏ অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ : কার্যকারণ সম্পর্ক আবিষ্কারের চেষ্টা না করে কেবলমাত্র অবাধ অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে যদি সিদ্ধান্ত হিসেবে একটি সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয় তাহলে যুক্তিতে যে দোষ ঘটে, তাকে অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ বলা হয়। মূলত লৌকিক আরোহ বা অপূর্ণ গণনামূলক আরোহের ক্ষেত্রে এইরূপ দোষ ঘটে থাকে। যেমন— বহু লোক সাপের কামড়ে মারা গিয়েছে। সুতরাং সিদ্ধান্ত করা যায় সর্পদংশনই হল মৃত্যুর কারণ।
❏ যুক্তিটির বিশ্লেষণ
পূর্বগামী ঘটনা | অনুগামী ঘটনা |
---|---|
সর্পদংশন→ | মৃত্যু হওয়া। |
সর্পদংশন→ | মৃত্যু হওয়া। |
সর্পদংশন→ | মৃত্যু হওয়া। |
সুতরাং, সর্পদংশনই হল মৃত্যুর কারণ।
সর্পদংশন = কারণ
মৃত্যু হওয়া = কার্য
❏ দোষ : অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ।
❏ বিচার : উপরোক্ত যুক্তিটিতে অবাধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কয়েকটি ক্ষেত্রে সর্পদংশনে মৃত্যু হওয়া পর্যবেক্ষণ করে, কার্যকারণ সম্পর্ক বিচার না করে সিদ্ধান্ত করা হয়েছে যে সর্পদংশনই মৃত্যুর কারণ। কিন্তু এমন অনেক ক্ষেত্র আছে যেখানে সর্পদংশনে মৃত্যু হয়নি। অর্থাৎ যুক্তিটির সিদ্ধান্তটি বহুসংখ্যক দৃষ্টান্তের পর্যবেক্ষণের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। সুতরাং কেবল কয়েকটি বিশেষ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে যে সার্বিক সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তা ভ্রান্ত। সে কারণে যুক্তিটি অবৈধ এবং অবৈধ সামান্যীকরণ দোষদুষ্ট।
✱ অপর্যবেক্ষণ দোষ।
❏ অপর্যবেক্ষণ দোষ : অপর্যবেক্ষণ শব্দটির অর্থ হল ‘না দেখা’ বা ‘উপেক্ষা করা’। কোনো নির্ভুল সিদ্ধান্ত লাভ করার জন্য যে বিষয় বা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা উচিত ছিল তা যদি পর্যবেক্ষণ না করা হয় তাহলে যে দোষ সৃষ্টি হয়, তাকে অপর্যবেক্ষণ দোষ বলে। এক্ষেত্রে এমন কিছু আমরা দেখতে ভুলে যাই যা দেখা সহজ ছিল এবং যা দেখলে আমাদের মতবাদের পরিবর্তন ঘটত।
✱ অপর্যবেক্ষণ দোষ আবার দু-প্রকার— (১) প্রাসঙ্গিক দৃষ্টান্তের অপর্যবেক্ষণ দোষ এবং (২) প্রয়োজনীয় পারিপার্শ্বিক অবস্থার অপর্যবেক্ষণ দোষ।
১. প্রাসঙ্গিক দৃষ্টান্তের অপর্যবেক্ষণ দোষ : যখন কোনো বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রাসঙ্গিক বা প্রয়োজনীয় দৃষ্টান্ত লক্ষ করা হয় না তখন এই দোষ ঘটে। সাধারণত কোনো ঘটনা অন্বেষণের সময় আমাদের সদর্থক ও নঞর্থক উভয় প্রকারের দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করতে হয়। কিন্তু আমরা অনেক সময় কুসংস্কারবশত নঞর্থক দৃষ্টান্তগুলি পর্যবেক্ষণ করি না, কেবল সদর্থক দৃষ্টান্তগুলি দেখেই সিদ্ধান্ত করি। যেমন—ভোরবেলায় দেখা স্বপ্ন সত্য হয়—এই উক্তিটি অপর্যবেক্ষণ দোষে দুষ্ট হয়। কেন-না, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভোরবেলায় দেখা স্বপ্ন সত্য হয় না—এই দৃষ্টান্তও আছে। কিন্তু এই নঞর্থক দৃষ্টান্তগুলির দিকে নজর না দিয়েই আমরা সিদ্ধান্ত করি ভোরের স্বপ্ন সত্য হয়। কাজেই এই জাতীয় সিদ্ধান্ত প্রাসঙ্গিক দৃষ্টান্তের অপর্যবেক্ষণ দোষে দুষ্ট হয়।
কাকতালীয় দোষ টিকা
✱ কাকতালীয় দোষ।
❏ কাকতালীয় দোষ : কারণের লক্ষণে বলা হয়েছে— কারণ হল কার্যের অব্যবহিত, শর্তান্তরহীন, অপরিবর্তনীয়, পূর্বগামী বা অগ্রবর্তী ঘটনা। কিন্তু তাই বলে যে-কোনো অগ্রবর্তী ঘটনাকে কারণ বলে গ্রাহ্য করা যায় না। সুতরাং যে-কোনো অগ্রবর্তী ঘটনাকে কারণ হিসেবে গ্রহণ করলে যে দোষের উদ্ভব হয়, তাকে কাকতালীয় দোষ বলে। মূলত ব্যতিরেকী পদ্ধতির অপপ্রয়োগের ফলে এরূপ দোষের সৃষ্টি হয়। যেমন— পেঁচার ডাক অবশ্যই অশুভ। কেন-না গতকাল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঠিক পূর্বে সকলে পেঁচার ডাক শুনেছিল।
❏ যুক্তিটির বিশ্লেষণ :
পূর্বগামী ঘটনা | অনুগামী ঘটনা |
---|---|
পেঁচার ডাক আছে→ | ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আছে (সদর্থক দৃষ্টান্ত)। |
পেঁচার ডাক নেই→ | ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নেই (নঞর্থক দৃষ্টান্ত)। |
সুতরাং, পেঁচার ডাক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ।
অর্থাৎ, পেঁচার ডাক = কারণ
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড = কার্য
❏ দোষ : কাকতালীয় দোষ।
❏ বিচার : উপরোক্ত আরোহ যুক্তিটিতে ব্যতিরেকী পদ্ধতির অপপ্রয়োগের ফলে কাকতালীয় দোষ ঘটেছে। কেন-না এক্ষেত্রে পেঁচার ডাককে অগ্নিকাণ্ডের কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। কিন্তু পেঁচার ডাকের সঙ্গে অগ্নিকাণ্ড ঘটার কোনোরূপ কার্যকারণ সম্পর্ক নেই। এক্ষেত্রে প্রথম ঘটনাটি (পেঁচার ডাক) দ্বিতীয় ঘটনার (অগ্নিকাণ্ড ঘটা) অগ্রবর্তী হলেও নিয়ত অগ্রবর্তী ঘটনা নয়। কিন্তু কারণ হতে গেলে কোনো ঘটনাকে কার্যের নিয়ত অগ্রগামী ঘটনা হতে হবে। সুতরাং আলোচ্য যুক্তিতে পেঁচার ডাক অগ্নিকাণ্ডের নিয়ত অগ্রবর্তী ঘটনা নয় বলে যুক্তিটি কাকতালীয় দোষে দুষ্ট হয়েছে।
মন্দ উপমা দোষ টিকা
✱ মন্দ উপমা।
❏ মন্দ উপমাযুক্তি : দুই বা ততোধিক বস্তুর মধ্যে কয়েকটি বিষয়ে সাদৃশ্য দেখে এবং সেই সাদৃশ্যের ভিত্তিতে যখন তাদের মধ্যে অপর কোনো নতুন সাদৃশ্যের অস্তিত্ব অনুমান করা হয়, তখন তাকে উপমাযুক্তি বলা হয়। এই উপমাযুক্তির মূল্য সাদৃশ্যের সংখ্যা ও গুরুত্বের উপর নির্ভর করে। সাদৃশ্যের সংখ্যা যদি প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে সেই উপমাযুক্তিকে সবল বা ভালো উপমাযুক্তি বলা হয়। আর যদি সাদৃশ্যের সংখ্যা ও গুরুত্ব বা প্রাসঙ্গিকতা কম হয় তাহলে সেই উপমাযুক্তিতে যে দোষ ঘটে তাকে মন্দ বা দুষ্ট উপমাযুক্তি বলে। অর্থাৎ গুরুত্বহীন বা অপ্রাসঙ্গিক সাদৃশ্যধর্মের উপর নির্ভর করে উপমাযুক্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে তা মন্দ উপমা দোষে দুষ্ট হয়। যেমন— উপনিবেশগুলি ফলের মতো। কেন-না ফল পাকলে যেমন গাছ থেকে পড়ে যায় ঠিক তেমনি উপনিবেশগুলি সমৃদ্ধ হওয়ার পর তাদের মূল শাসক দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
❏ যুক্তিটির বিশ্লেষণ :
ফল (A) এবং উপনিবেশ (B)→ | এদের মধ্যে জাগতিক সত্তা (P) ও ধ্বংসশীলতা (q) বিষয়ে সাদৃশ্য আছে। |
---|---|
ফল (A)→ | পেকে গেলে গাছ থেকে পড়ে যায় (y) |
উপনিবেশ (B)→ | বৃদ্ধি পেলে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় (y) |
❏ দোষ : মন্দ উপমা দোষ।
❏ বিচার : উপরোক্ত যুক্তিটিতে ‘ফল’ও ‘উপনিবেশ’ –এই দুটি বিষয়ের মধ্যে কোনোরূপ কার্যকরণ সম্বন্ধ নিরূপণের চেষ্টা না করে কেবল উপনিবেশের সঙ্গে ফলের সাদৃশ্য দেখে সিদ্ধান্ত করা হয়েছে। কিন্তু উপনিবেশ ও ফলের মধ্যে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক সাদৃশ্য নেই, যার ভিত্তিতে উক্ত সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত হতে পারে। বস্তুতপক্ষে এখানে উপনিবেশ ও ফলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈসাদৃশ্যগুলি উপেক্ষা করা হয়েছে। কাজেই যুক্তিটিতে হেতুবাক্যের ধর্মের সাদৃশ্যের সঙ্গে সিদ্ধান্তের অনুমিত ধর্মের প্রাসঙ্গিকতার অভাব আছে বলে যুক্তিটিতে মন্দ উপমা দোষ ঘটেছে।
------------------
আরোহমূলক দোষ,class 12 philosophy আরোহমূলক দোষ টীকা,class 12 philosophy আরোহমূলক দোষ,আরোহমূলক দোষ থেকে সাতটি থেকে আলোচনা,আরোহমূলক দোষ থেকে টীকা মন্দ উপমা দোষ,আরোহ মূলক দোষ কি করে চিনবে,মন্দ উপমা দোষ,কাকতালীয় দোষ,আরোহ মূলক দোষ থেকে টীকা অপর্যবেক্ষণ দোষ,class 12 philosophy আরোহমূলক দোষ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর,class 12 philosophy আরোহমূলক দোষ important question answer,অপর্যবেক্ষণমূলক দোষ,অপর্যবেক্ষণ দোষ,আরোহ অনুমান সংক্রান্ত দোষ,উদাহরণ সহ কাকতালীয় দোষ ব্যাখ্যা করো
No comments
Hi Welcome ....